জাতীয় রাজস্ব বোর্ড
আয়কর আইনের ইংরেজি সংস্করণ প্রকাশ
আয়কর আইন, ২০২৩-এর ইংরেজি সংস্করণ সরকারি গেজেট নোটিফিকেশন আকারে প্রকাশ করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
গেল বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) বাংলা ভাষায় প্রণীত আয়কর আইন, ২০২৩-এর স্বীকৃত ইংরেজি সংস্করণ (Authentic English Text) সরকারি গেজেট আকারে প্রকাশ করে এনবিআর।
শনিবার (১৮ অক্টোবর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এনবিআর এ তথ্য জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ বাতিল করে ২০২৩ সালে বাংলা আয়কর আইন, ২০২৩ প্রণয়ন করার পর থেকেই বিদেশি বিনিয়োগকারীরা সরকারি গেজেট নোটিফিকেশনের মাধ্যমে আয়কর আইনের ইংরেজি সংস্করণ প্রকাশের দাবি জানাচ্ছিলেন।
‘আয়কর আইনের স্বীকৃত ইংরেজি সংস্করণ না থাকায় বিদেশি বিনিয়োগকারীরা আইনের সঠিক ব্যাখ্যা ও অনুশীলনের বিষয়ে সংশয়ের মধ্যে থাকতেন এবং বিভিন্ন আইনি জটিলতার সম্মুখীন হতেন।’
এবার আয়কর আইনের ইংরেজি সংস্করণ সরকারি গেজেটে প্রকাশ হওয়ার ফলে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীরা আয়কর আইন সম্পর্কে স্বচ্ছ ব্যাখ্যা পাবেন। এতে করে করদাতাদের আস্থা আরও বাড়বে এবং আইন প্রয়োগের ক্ষেত্রে দ্ব্যর্থবোধকতা দূর করে স্বচ্ছতা ও সঠিকতা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে বলে আশা প্রকাশ করেছে সংস্থাটি।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, কাস্টমস আইন, ২০২৩ এবং মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন, ২০১২-এর ইংরেজি সংস্করণ সরকারি গেজেটে প্রকাশের প্রক্রিয়া প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে। খুব শিগগিরই এই দুটি আইনের ইংরেজি সংস্করণ সরকারি গেজেট আকারে প্রকাশের মাধ্যমে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের দীর্ঘদিনের অপেক্ষার অবসান ঘটবে বলে আশা করছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড।
৪৭ দিন আগে
বিদেশে পাচারকৃত অর্থে গড়া ৪০ হাজার কোটি টাকার সম্পত্তির সন্ধান পেয়েছে এনবিআর
বাংলাদেশ থেকে অর্থ পাচার করে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে গড়া প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকার সম্পদের সন্ধান পেয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেল (সিআইসি)।
চলতি বছরের জানুয়ারিতে থেকে এ পর্যন্ত পাঁচটি দেশের সাতটি শহরে অনুসন্ধান চালিয়ে এই তথ্য পাওয়া গেছে বলে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসকে জানিয়েছেন সিআইসির মহাপরিচালক আহসান হাবিব।
রবিবার (১৭ আগস্ট) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান ও সিআইসি মহাপরিচালক প্রধান উপদেষ্টার সামনে এসব তথ্য তুলে ধরেন।
এ ছাড়াও নয়টি দেশে ৩৫২টি পাসপোর্টের সন্ধান পাওয়া গেছে যেগুলো টাকার বিনিময়ে অর্জন করেছে কিছু বাংলাদেশি।
দেশগুলো হচ্ছে— অ্যান্টিগুয়া অ্যান্ড বারবুডা, অস্ট্রিয়া, ডমেনিকা, গ্রেনেডা, সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস, নর্থ মেসিডোনিয়া, মালটা, সেন্ট লুসিয়া ও তুরস্ক।
এ সময় আহসান হাবিব বলেন, দেশে বসেই বিভিন্ন উৎস থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে প্রাথমিক প্রস্তুতি শেষে সিআইসির গোয়েন্দারা দেশগুলোতে সরেজমিনে পরিদর্শন করে বিস্তারিত তথ্য তুলে নিয়ে আসেন।
আরও অনুসন্ধান চলমান আছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামে অর্থ পাচার করে গড়ে তোলা ৩৪৬টি সম্পত্তির সন্ধান মিলেছে। এটি আমাদের অনুসন্ধানের আংশিক চিত্র।’
তিনি বলেন, এসব সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে বাংলাদেশের অনুকূলে নিয়ে আসার জন্য এবং অর্থ পাচারের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের সাজা নিশ্চিত করতে কাজ করছে সিআইসি।
ছয়টিরও অধিক আন্তর্জাতিক সংস্থা এই প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশকে সহযোগিতা করছে বলেও জানান তিনি।সিআইসি মহাপরিচালক বলেন, এখন পর্যন্ত আমরা যা পেয়েছি এটি ‘টিপ অব দ্য আইসবার্গ’। আমাদের কাছে এখনো প্রচুর তথ্য রয়েছে যা উন্মোচনে আরও সময় প্রয়োজন।
পড়ুন: সুশাসন নিশ্চিতে কঠোর অবস্থানে বাংলাদেশ ব্যাংক, ঢাকা ব্যাংক এমডির পদত্যাগ
এই অর্থ পাচারের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরা শেখ হাসিনার আমলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডাটবেজ নিয়ন্ত্রণ প্রক্রিয়ায় নিজেদের লোক বসিয়ে বহু তথ্য গায়েব করে দিয়েছে জানিয়ে আহসান হাবিব বলেন, আশার বিষয় হচ্ছে মুছে দেয়া তথ্য উদ্ধারে দক্ষতা অর্জন করেছে সিআইসি।
বিস্তারিত জানার পর প্রধান উপদেষ্টা বলেন, অর্থ পাচারের সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনতে দুদক, সিআইসি ও পুলিশের সিআইডিসহ অন্যান্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সমন্বয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
তিনি বলেন, 'এমন দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে যাতে ভবিষ্যতে কেউ দেশের সম্পদ লুট করে বিদেশে সম্পত্তি তৈরি করতে না পারে।'
সিআইসিকে অনুসন্ধান কাজ চলমান রাখার নির্দেশনা দিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, যতদূর সম্ভব গভীরে যেতে হবে এবং সম্ভাব্য আরও দেশে অনুসন্ধান বিস্তৃত করতে হবে। যাতে দেশের সম্পদ দেশে ফিরিয়ে আনতে সম্ভাব্য সকল পদক্ষেপে সরকার সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে।
দেশের অর্থনৈতিক খাতের এই লুটপাটকে ভয়াবহ দেশদ্রোহিতা হিসেবে উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, 'ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি সুন্দর দেশ বিনির্মাণ করতে হলে অবশ্যই এই লুটেরাদের আইনের আওতায় আনতে হবে।'তিনি বলেন, দেশের সম্পদকে কীভাবে লুটপাট করেছে কিছু মানুষ তা জাতির সামনে প্রকাশ করতে হবে। সেজন্য সবগুলো সংস্থাকে জোটবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।
১০৯ দিন আগে
এনবিআরের চাকরি অত্যাবশ্যকীয় সেবা, কর্মস্থলে না ফিরলে কঠোর পদক্ষেপ: বিবৃতি
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চাকরিকে অত্যাবশ্যকীয় সেবা আখ্যায়িত করে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্মস্থলে ফিরে যেতে বলা হয়েছে। অন্যতায় সরকার কঠোর পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। রবিবার (২৯ জুন) অন্তর্বর্তী সরকারের এক বিবৃতিতে এমন কথা বলা হয়েছে।
এতে বলা হয়, বাংলাদেশের বাজেট ব্যবস্থাপনায় উন্নয়নমুখী কার্যক্রম পরিচালনার সবচেয়ে বড় সীমাবদ্ধতা হলো দুর্বল রাজস্ব সংগ্রহ ব্যবস্থা। রাষ্ট্রের প্রয়োজনের তুলনায় আমাদের রাজস্ব সংগ্রহ অনেক কম। এর মূল কারণ হলো আমাদের রাজস্ব আহরণ ব্যবস্থাপনার নানা দুর্বলতা, অনিয়ম ও দুর্নীতি।
এমন পরিপ্রেক্ষিতে অন্তর্বর্তী সরকার সব অংশীজনের পরামর্শ অনুযায়ী জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) পুনর্গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে বিবৃতি জানানো হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়, সরকার গভীর উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছে যে, রাজস্ব সংস্কারের কাজকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য কতিপয় কর্মকর্তা-কর্মচারী নজিরবিহীনভাবে গত ২ মাস ধরে দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য, আমদানি-রপ্তানি এবং রাজস্ব আদায় কার্যক্রম অন্যায় ও অনৈতিকভাবে ব্যাহত করে মারাত্মকভাবে ব্যাহত করে আন্দোলনের নামে চরম দুর্ভোগ তৈরি করেছে, যা সম্পূর্ণভাবে অগ্রহণযোগ্য।
সরকার জানিয়েছে, সংস্কারের বিরোধিতা ছাড়াও অর্থ বছরের শেষ ২ মাসে তারা রাজস্ব আদায় কার্যক্রম মারাত্মকভাবে বাধাগ্রস্ত করেছে। এই তথাকথিত আন্দোলন পরিকল্পিত ও দুরভিসন্ধিমূলক, যা জাতীয় স্বার্থ এবং নাগরিক অধিকারের চরম পরিপন্থি।
আরও পড়ুন: এনবিআর আন্দোলনকারীদের সঙ্গে নির্ধারিত বৈঠক বাতিল করলেন অর্থ উপদেষ্টা
‘সরকারের পক্ষ থেকে রাজস্ব বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দাবি বিবেচনায় নেওয়ার সুস্পষ্ট ঘোষণা দেয়া হয় এবং আলোচনায় আসার আহ্বান জানালেও তারা তা অগ্রাহ্য করে।’
বিবৃতিতে বলা হয়, আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার গ্রহণযোগ্য সমাধান না করে তারা আন্দোলনের নামে অনমনীয় অবস্থান নিয়ে ক্রমাগত দেশের অর্থনীতির ক্ষতি করে চলেছে।
‘এ পরিস্থিতিতে, অতি জরুরি আমদানি-রপ্তানি ও বৈদেশিক বাণিজ্যের কার্যক্রম চলমান রাখার জাতীয় স্বার্থে সরকার জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের আওতাধীন সব কাস্টমস হাউস, আইসিডি, বন্ড কমিশনারেট এবং শুল্ক স্টেশনের সর শ্রেণির চাকরিকে অত্যাবশ্যকীয় সার্ভিস ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’
অন্তর্বর্তী সরকার জানিয়েছে, আমরা আশা করি, অনতিবিলম্বে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কর্মস্থলে ফিরে যাবেন এবং আইনবিরোধী ও জাতীয় স্বার্থ বিধ্বংসী কর্মকাণ্ড থেকে সরে আসবেন। অন্যথায় দেশের জনগণ ও অর্থনীতির সুরক্ষায় সরকার কঠোর হতে বাধ্য হবে।
১৫৮ দিন আগে
সক্ষমতা বাড়াতে এনবিআরের ডিজিটাল রূপান্তর প্রয়োজন: সেমিনারে বক্তারা
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কার্যকারিতা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত এবং দেশের দীর্ঘমেয়াদি অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে প্রতিষ্ঠানটিকে সম্পূর্ণ ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে রূপান্তরের ওপর জোর দিয়েছেন দেশের খ্যাতনামা অর্থনীতিবিদ, আর্থিক খাতের বিশেষজ্ঞ ও শিল্প উদ্যোক্তারা।
বুধবার (২৫ জুন) রাজধানীতে ইমার্জিং ক্রেডিট রেটিং লিমিটেডের (ইসিআরএল) প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত এক সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন।
বক্তারা বলেন, ‘এনবিআরের ডিজিটাল রূপান্তর শুধু প্রযুক্তিগত পরিবর্তন নয়, বরং এটি জাতীয় অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য অপরিহার্য।’
অ্যানালগ থেকে ডিজিটাল যাত্রা: যৌক্তিকতা, বিভিন্ন দেশের অভিজ্ঞতা ও বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য এনবিআরের ডিজিটাল রূপান্তর’ শীর্ষক সেমিনারটিতে দেশীয় প্রেক্ষাপটে এনবিআরকে আধুনিক ও দক্ষ কর কর্তৃপক্ষ হিসেবে গড়ে তোলার সুযোগ ও চ্যালেঞ্জ নিয়ে আলোচনা হয়।
সেমিনারটির সভাপতিত্ব করেন ইসিআরএল চেয়ারম্যান ও মূল প্রবন্ধ উপস্থাপক ড. জামালউদ্দিন আহমেদ এবং সঞ্চালনা করেন ইসিআরএলের প্রধান নির্বাহী (সিইও) আরিফুর রহমান।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির বিজনেস অ্যান্ড ইকোনমিক্স স্কুলের ডিন ড. ওয়ারেসুল করিম। আলোচনায় অংশ নেন অস্ট্রেলিয়ান সরকারের ডেটা ওয়্যারহাউজ বিশেষজ্ঞ মিজানুর রহমান, এনএসইউর অর্থনীতি বিভাগের প্রধান ড. সৈয়দ মর্তুজা আসিফ এহসান এবং ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রধান ড. জিয়াউল হক আদনান।
মূল প্রবন্ধে ড. জামালউদ্দিন বলেন, ‘দক্ষিণ কোরিয়া, অস্ট্রেলিয়া, সিঙ্গাপুর ও ভারতের উদাহরণ অনুসরণ করে বাংলাদেশকেও ধাপে ধাপে ডিজিটাল রূপান্তরের পথে হাঁটতে হবে। বিশেষ করে দেশের বৃহৎ অনানুষ্ঠানিক খাত ও কর ফাঁকির প্রবণতা বিবেচনায় রেখে একটি কৌশলগত পরিকল্পনা গ্রহণের তাগিদ দেন তিনি।’
প্রধান অতিথি ওয়ারেসুল করিম বলেন, ‘বাংলাদেশের রাজস্ব-জিডিপি অনুপাত আশঙ্কাজনকভাবে কম, জাতীয় ঋণ বেড়েই চলেছে। আমরা পশ্চিমা দেশের মতো জনসেবা চাই, কিন্তু কর দিতে চাই না—এই মানসিকতা থেকে বের হতে হবে।’
তিনি বিলাসব্যয় পর্যবেক্ষণের জন্য একটি ব্যয় কর চালুর প্রস্তাব দেন এবং এনবিআরের দুর্নীতির অভিজ্ঞতা থেকে একটি ঘুষের ঘটনার উদাহরণ তুলে ধরেন।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রের মূলনীতি-এনসিসি নিয়ে নতুন প্রস্তাব ঐকমত্য কমিশনের
অস্ট্রেলিয়ায় কর্মরত মিজানুর রহমান কর ফাঁকি রোধে একটি পূর্ণাঙ্গ প্রযুক্তিগত কাঠামো উপস্থাপন করেন, যার মধ্যে ছিল বাধ্যতামূলক ই-ফাইলিং ও ডিজিটাল পেমেন্ট, এআই প্রযুক্তির মাধ্যমে ব্যাংক ডেটা যাচাই, এনবিআরকে ভূমি রেজিস্ট্রি, কাস্টমস ও আরজেএসসির সঙ্গে সংযুক্তকরণ এবং নিরাপদ ই-ইনভয়েসিংয়ের জন্য ব্লকচেইন প্রযুক্তির ব্যবহার। ভারতের জিএসটিএন ব্যবস্থা তার উল্লেখিত উদাহরণগুলোর অন্যতম।
তিনি বলেন, রূপান্তর প্রক্রিয়ায় প্রাথমিক বিনিয়োগ বেশি হলেও দীর্ঘমেয়াদে এটি করদাতা বাড়াবে এবং দুর্নীতি ব্যাপকভাবে কমাবে।
অর্থনীতিবিদ সৈয়দ মর্তুজা বলেন, ‘ডিজিটালাইজেশন বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য গেম চেঞ্জার হতে পারে।’
তবে তিনি এনবিআরের নীতিনির্ধারণ ও বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ার পৃথকীকরণের মতো কাঠামোগত সংস্কারের ওপর জোর দেন।জিয়াউল হক কর পদ্ধতি সহজীকরণের প্রস্তাব দিয়ে বলেন, ‘একটি নিম্ন, সমতল হারে কর চালু করলে কর প্রদানে উৎসাহ বাড়বে। তিনি এনআইডি বা কর শনাক্তকরণ নম্বরকে (টিআইএন) সামাজিক নিরাপত্তা নম্বরে রূপান্তর ও দেশীয় প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে তথ্য-নিরাপত্তা নিশ্চিত করার প্রস্তাব দেন।’
সেমিনারের সমাপনী বক্তব্যে বক্তারা বলেন, এনবিআরের ডিজিটাল রূপান্তর কেবল প্রযুক্তি-নির্ভর উন্নয়ন নয়, বরং এটি সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রয়োজন। এজন্য নেতৃত্বের সাহস, আইন সংস্কার এবং জাতীয় মনোভাবের পরিবর্তন জরুরি।
১৬২ দিন আগে
চেয়ারম্যানকে অসহযোগিতা করার কর্মসূচি শুরু এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) জারিকৃত অধ্যাদেশ নিয়ে সংস্থাটির চেয়ারম্যানকে লাগাতার অসহযোগিতাসহ নতুন কয়েকটি কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ।
বুধবার (২১ মে) এক সংবাদ বিবৃতিতে পরিষদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, আজ (বুধবার) থেকেই চেয়ারম্যানের সঙ্গে অসহযোগিতা কর্মসূচি শুরু হয়েছে এবং তা চলমান থাকবে।
আরও পড়ুন: দুভাগই থাকবে এনবিআর, দূর হয়েছে ভুল ধারণা: অর্থ উপদেষ্টা
এছাড়া বৃহস্পতিবার প্রধান উপদেষ্টার কাছে তাদের দাবিসংবলিত স্মারকলিপি পেশ করা হবে বলেও বিবৃতিতে জানানো হয়।
এ ছাড়াও বৃহস্পতিবার ঢাকা ও ঢাকার বাইরের এনবিআর-সংশ্লিষ্ট সব কার্যালয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হবে। তবে রপ্তানি ও আন্তর্জাতিক যাত্রী সেবা এ কর্মসূচির বাইরে থাকবে।
আগামী ২৪ ও ২৫ মে সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত কাস্টম হাউস ও এলসি স্টেশন ব্যতীত কর, কাস্টমস ও ভ্যাট বিভাগের সব কার্যালয়ে পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালিত হবে। কাস্টম হাউস ও এলসি স্টেশনেও এ সময়ের মধ্যে কর্মবিরতি চলবে, তবে রপ্তানি ও আন্তর্জাতিক যাত্রী সেবা এর আওতায় থাকবে না।
পরে ২৬ মে থেকে আন্তর্জাতিক যাত্রী সেবা ব্যতীত কর, কাস্টমস ও ভ্যাট বিভাগের সব কার্যালয়ে পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালিত হবে।
আরও পড়ুন: অর্থ উপদেষ্টার সঙ্গে এনবিআর কর্মীদের সংগঠনের বৈঠক 'ব্যর্থ'
সংগঠনটি পূর্বঘোষিত তিন দাবির সঙ্গে নতুন একটি দাবি সংযুক্ত করেছে— অবিলম্বে এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমানের অপসারণ।
তাদের আগের দাবিগুলো হলো— জারি করা অধ্যাদেশ অবিলম্বে বাতিল করতে হবে, রাজস্ব সংস্কার বিষয়ক পরামর্শক কমিটির সুপারিশ জনসাধারণের জন্য ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতে হবে এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের প্রস্তাবিত খসড়া এবং পরামর্শক কমিটির সুপারিশ আলোচনা-পর্যালোচনাপূর্বক প্রত্যাশী সংস্থাগুলো, ব্যবসায়ী সংগঠন, সুশীল সমাজ, রাজনৈতিক নেতৃত্বসহ সংশ্লিষ্ট সব অংশীজনের মতামত নিয়ে উপযুক্ত ও টেকসই রাজস্ব ব্যবস্থা সংস্কার নিশ্চিত করতে হবে।
১৯৭ দিন আগে
জুয়েলারি প্রতিষ্ঠানের তালিকা চাইল এনবিআর
ইলেকট্রনিক ফিসক্যাল ডিভাইস (ইএফডি) স্থাপনের জন্য ঢাকাসহ কয়েকটি জেলার জুয়েলারি প্রতিষ্ঠানের তালিকা চেয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। সম্প্রতি মূসক তথ্য প্রযুক্তি ও প্রকল্প পরিকল্পনার দ্বিতীয় সচিব শাহাদাত জামিলের সই করা এ সংক্রান্ত একটি চিঠি বাংলাদেশ জুয়েলারি সমিতিকে পাঠানো হয়েছে।
সব জুয়েলারি প্রতিষ্ঠানে ইএফডি স্থাপনে সহযোগিতার আহ্বান জানিয়ে গত ৭ জানুয়ারি বাজুসের সঙ্গে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে ইএফডি স্থাপন বিষয়ে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় বাজুস নেতারা জুয়েলারি খাতে নানা সমস্যা তুলে ধরেন। এরমধ্যে জুয়েলারি খাতে এখনো অনেক প্রতিষ্ঠান রয়েছে, যারা ভ্যাটের আওতায় নিবন্ধিত হয়নি বলে জানান তারা।
বাজুস নেতারা বলেন, অনিবন্ধিত প্রতিষ্ঠান নিবন্ধিত করে, সব প্রতিষ্ঠানে ইএফডি স্থাপন করে, এই খাতে অন্যান্য সমস্যার যুক্তিসংগত, ন্যায়ভিত্তিক সমাধান করা গেলে সরকারের রাজস্ব আদায় বৃদ্ধি পাবে এবং এই খাত উজ্জীবিত হবে।
সেই সূত্র ধরে এনবিআরের চিঠিতে বলা হয়েছে, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের পক্ষ থেকে সব সমস্যার আইনসংগত সমাধানের জন্য সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হবে।
আরও পড়ুন: রেস্তোরাঁ খাতে ভ্যাট পুনর্বিবেচনার সিদ্ধান্ত এনবিআরের
আগামী ২৩ জানুয়ারি বিকাল ৩টায় অংশীজনদের নিয়ে একটি সচেতনতামূলক ভার্চুয়্যাল সভা আহ্বান করা হয়েছে। এই সভার পর জেনেক্স ইনফোসিস পিএলসি, ইএফডি স্থাপনের জন্য মাঠ পর্যায়ে যাবে। এজন্য ঢাকা (পূর্ব/পশ্চিম/উত্তর/দক্ষিণ/চট্টগ্রাম) কমিশনারেটের আওতাধীন বিভিন্ন মার্কেট, এলাকায় অবস্থিত জুয়েলারি প্রতিষ্ঠানের তালিকা প্রয়োজন।
ঢাকার বাইরের নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদী, মুন্সীগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, সাভার, গাজীপুর, ময়মনসিংহ, নেত্রকোণা, কিশোরগঞ্জ, শেরপুর, টাঙ্গাইল, জামালপুর, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি, রাঙ্গামাটি জেলার জুয়েলারি প্রতিষ্ঠানেরও তালিকা চেয়েছে এনবিআর। সব তালিকা একসঙ্গে দেওয়া সম্ভব না হলে আংশিকভাবে দেয়ার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে চিঠিতে।
৩১৮ দিন আগে
রেস্তোরাঁ খাতে ভ্যাট পুনর্বিবেচনার সিদ্ধান্ত এনবিআরের
রেস্তোরাঁ খাতে আরোপিত ১৫ শতাংশ ভ্যাট পুনর্নির্ধারণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
বুধবার (১৫ জানুয়ারি) এনবিআরের মূল্যসংযোজন কর বিভাগের প্রথম সচিব মশিউর রহমান স্বাক্ষরিত রেস্তোরাঁ মালিক সমিতিকে পাঠানো এক চিঠিতে এ সিদ্ধান্তের কথা জানায় এনবিআর।
এর আগে ভ্যাট কমানোর অনুরোধ জানিয়ে এনবিআরকে চিঠি পাঠায় রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি। চিঠির জবাবে এনবিআর জানিয়েছেন, মালিক সমিতির উল্লেখিত দিকগুলো গুরুত্বসহকারের বিবেচনা করে ভ্যাট পুনর্বিবেচনা করা হবে।
চলতি মাসের ৯ জানুয়ারি রেস্তোরাঁসহ শতাধিক পণ্যের ওপর ভ্যাট এবং সম্পূরক শুল্ক বাড়িয়েছে সরকার। অধ্যাদেশ জারি করে রেস্তোরাঁ খাতে ৫ শতাংশ ভ্যাট বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: মুঠোফোন-ইন্টারনেটের ভ্যাট না কমালে এনবিআর ঘেরাও
সরকারের এ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ১০ জানুয়ারি সংবাদ সম্মেলন করে বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি।
ভ্যাট ১৫ শতাংশ ও সম্পূরক শুল্ক ১০ শতাংশ যোগ করা হলে রেস্তোরাঁর খাবারের ওপর ভোক্তাদের মোট ২৫ শতাংশ কর দিতে হবে। গুলশান-বনানীর মানুষ এই ভ্যাট দিতে পারলেও সাধারণ মানুষের পক্ষে এটা দেওয়া সম্ভব না উল্লেখ করে ভ্যাট কমানোর দাবি তোলে সংগঠনটি।
৩২৩ দিন আগে
আগামী দুই অর্থবছরে রাজস্ব সংগ্রহের উচ্চাভিলাষী লক্ষ্যমাত্রা সরকারের
২০২৪-২৫ ও ২০২৫-২৬ অর্থবছরে উচ্চাভিলাষী রাজস্ব সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ সরকার।
২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য এ লক্ষামাত্রা ৫ হাজার ৮৭২ বিলিয়ন এবং ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য ৭ হাজার ৯৭ বিলিয়ন টাকা। তবে ডিজিটালাইজেশনের পরিধি বাড়ানো এবং ব্যক্তি ও ব্যবসা ক্ষেত্রে কর পদ্ধতি সহজ করার ওপর এ বিষয়টি নির্ভর করছে।
এছাড়াও রাজস্ব বাড়াতে প্রত্যক্ষ কর ও মূল্য সংযোজন করের ওপর নজর দিচ্ছে সরকার। কর নেট সম্প্রসারণ ও কর কর্মকর্তাদের সক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি কর অব্যাহতির যে ব্যাপক সুযোগ রয়েছে সে বিষয়টি যৌক্তিকতা যাচাই করতে এবং বাজেট বক্তৃতায় আরও স্বচ্ছতা আনতে সরকার আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের মধ্যমেয়াদি সামষ্টিক অর্থনৈতিক নীতি বিবৃতি (২০২৪-২৫ থেকে ২০২৫-২৬) অনুযায়ী, কর রাজস্ব খাত থেকে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে প্রায় ৫ হাজার ৩৪৩ বিলিয়ন টাকা এবং ২০২৫-২৬ সালে ৬ হাজার ৪৬৩ বিলিয়ন টাকা আসবে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) আগামী দুই অর্থবছরে যথাক্রমে ৫০ হাজার ৯৫ কোটি টাকা এবং ৬ হাজার ১৭১ কোটি টাকা দেবে।
আরও পড়ুন: চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে বাংলাদেশের জিডিপি বৃদ্ধি পেয়েছে ৬.০৭%
আয়কর শাখা থেকে, আগামী অর্থবছরের জন্য প্রাক্কলিত সংগ্রহ হবে ১ হাজার ৭৫৩ বিলিয়ন টাকা এবং ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য ২ হাজার ১২৩ বিলিয়ন টাকা। আমদানি শুল্ক থেকে আদায় হবে যথাক্রমে ১ হাজার ৫১১ বিলিয়ন টাকা এবং ১ হাজার ৮৩০ বিলিয়ন টাকা।
আর ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক থেকে রাজস্ব আদায় হবে যথাক্রমে ১ হাজার ৮৩১ বিলিয়ন টাকা এবং ২ হাজার ২১৮ বিলিয়ন টাকা।
২০২৪-২৫ ও ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য এনবিআর বহির্ভূত কর হবে যথাক্রমে ২৪৮ বিলিয়ন টাকা এবং ২৯২ বিলিয়ন টাকা।
কর বহির্ভূত রাজস্ব আদায় হবে যথাক্রমে ৫২৯ বিলিয়ন টাকা এবং ৬৩৪ বিলিয়ন টাকা।
চলমান ২০২৩-২৪ অর্থবছরের লক্ষ্যমাত্রা ৪ হাজার ৫০০ বিলিয়ন টাকা রাজস্ব করসহ মোট ৫ হাজার বিলিয়ন টাকা। মোট রাজস্বের মধ্যে এনবিআর থেকে আসবে ৪ হাজার ৩০০ বিলিয়ন টাকা, যার মধ্যে আয়কর থেকে ১ হাজার ৪৮০ বিলিয়ন টাকা, আমদানি শুল্ক থেকে ১ হাজার ২৭৫ বিলিয়ন টাকা, ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক থেকে ১ হাজার ৫৪৫ বিলিয়ন টাকা।
অন্যদিকে এনবিআর বহির্ভূত খাত থেকে প্রায় ২০০ বিলিয়ন টাকা এবং কর বহির্ভূত রাজস্ব খাত থেকে ৫০০ বিলিয়ন টাকা আদায় করা হবে।
আরও পড়ুন: চলতি অর্থবছর ফেব্রুয়ারিতে সর্বোচ্চ ২১৬ কোটি ডলার রেমিট্যান্স এসেছে বাংলাদেশে
মধ্যমেয়াদি সামষ্টিক অর্থনৈতিক নীতি বিবৃতি অনুসারে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য প্রাক্কলিত রাজস্ব আয় এবং পরবর্তী দুই বছরের আনুমানিক রাজস্ব আয়ে যে উচ্চ স্থিতিস্থাপকতা এবং ক্রমবর্ধমান প্রবৃদ্ধি দেখা যায়, তাতে রাজস্ব সংগ্রহের জোরালো আভাস পাওয়া যায়।
এতে উল্লেখ করা হয়েছে, রাজস্ব সংগ্রহে কর ও কর-বহির্ভূত অংশগুলোর মধ্যে, কর-বহির্ভূত অংশের তুলনায় কর রাজস্ব আরও ক্রিয়াশীল ও স্থিতিস্থাপক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এছাড়াও এই তথ্যউপাত্তে ২০২৫-২৬ অর্থবছরে ন্যূনতম জিডিপি থেকে সামগ্রিক রাজস্ব ১ দশমিক ৬৫ গুণ বেশি বাড়বে বলে অনুমান করা হয়েছে।
বিবৃতি অনুসারে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য জিডিপির রাজস্ব স্থিতিস্থাপকতা গত অর্থবছরের তুলনায় ১ দশমিক ২৮ গুণ বেশি এবং পরবর্তী অর্থবছরে এটি ১ দশমিক ৪০ গুণ বেশি হবে বলে অনুমান করা হয়েছে।
চলতি অর্থবছরে জিডিপির কর রাজস্ব স্থিতিস্থাপকতা ১ দশমিক ৩৩ গুণ বেশি হবে, যা পরবর্তী অর্থবছরে ১ দশমিক ৫০ গুণ বেশি এবং ২০২৫-২৬ অর্থবছরে ১ দশমিক ৬৬ গুণ বেশি হবে।
চলমান অর্থবছরের জন্য জিডিপির কর-বহির্ভূত রাজস্ব স্থিতিস্থাপকতা চলতি অর্থবছরে ০.৯২ গুণ বেশি, পরবর্তী অর্থবছরে ০.৪৭ গুণ বেশি এবং ২০২৫-২৬ অর্থবছরে ১.৫৭ গুণ বেশি হবে।
অন্যদিকে, ২০২৫-২৬ অর্থবছরে করের রাজস্ব প্রকৃত জিডিপির প্রবৃদ্ধির চেয়ে ৯৮ শতাংশ বেশি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
নীতি বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে, রাজস্ব সংগ্রহ একটি দেশের উন্নয়ন করতে অনুঘটক হিসেবে কাজ করে। বাংলাদেশ ২০৩১ সালে উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালে একটি উন্নত দেশ হতে দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়নের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে।
এতে আরও বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিত পরিকল্পনা (২০২১-২০৪১)’- অনুযায়ী রাজস্ব-জিডিপি অনুপাত ২০৩১ সালের মধ্যে ১৯.৫৫ শতাংশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে ২৪ শতাংশে পৌঁছানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ২০২৫-২৬ অর্থবছরের মধ্যে জিডিপির ১১.২% কর আদায়ের লক্ষ্য সরকারের
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, গত কয়েক দশকে বাংলাদেশ চমকপ্রদ প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে, তবে বাংলাদেশ সমন্বিত রাজস্ব প্রবৃদ্ধি অর্জন হয়নি। রাজস্বের একটি বড় অংশ আসে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সংগৃহীত প্রত্যক্ষ (আয়কর) এবং পরোক্ষ কর (ভ্যাট এবং শুল্ক) থেকে। এছাড়াও এনবিআরবহির্ভূত কর এবং কর বহির্ভূত রাজস্ব (এনটিআর) হিসেবেও সামান্য অংশ আসে।
এতে বলা হয়েছে, পরবর্তী ধাপে যাওয়ার জন্য কম রাজস্ব সংগ্রহের কারণগুলো চিহ্নিত করতে হবে। অর্থনৈতিক কাঠামো (বৃহৎ অনানুষ্ঠানিকতা এবং অব্যাহতি), কাঠামোগত দুর্বলতা (জটিল প্রক্রিয়া এবং তথ্যের অসামঞ্জস্য) এবং সাংস্কৃতিক কারণ (কর প্রদানের প্রতি উদাসীনতা) কম রাজস্ব সংগ্রহের উল্লেখযোগ্য কারণ।
নীতিগত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বেসরকারি খাতে সহায়তা নিয়ে সরকার কর প্রদান পদ্ধতি সহজীকরণ, কর বিধি যেন সহজে বুঝা যায় এবং কর অব্যাহতি যেন যৌক্তিক হয় সে নিয়ে কাজ করতে আগ্রহী।
এতে আরও বলা হয়, কর প্রশাসনের সঙ্গে সহজে যোগাযোগের সুযোগ, স্বচ্ছতা ও অনুমানযোগ্যতা আনতে ডিজিটালাইজেশন বাড়ানো এবং কর ব্যবস্থায় গতিশীলতা আনার মাধ্যমে রাজস্ব সংগ্রহে সাফল্য জোরদার করা সম্ভব হবে।
আরও পড়ুন: এডিবি'র সর্বশেষ প্রতিবেদন: ২০২৪ অর্থবছরকে বাংলাদেশের জন্য একটি ভালো বছর হিসেবে পূর্বাভাস
৬৩৩ দিন আগে
ট্যাক্স রিটার্ন জমা দেয়া যাবে ২০২৩ সালের ১ জানুয়ারি পর্যন্ত
ট্যাক্স রিটার্ন জমা দেয়ার সময়সীমা বাড়িয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। ৩০ ও ৩১ ডিসেম্বর সাপ্তাহিক ছুটি বিবেচনায় সময়সীমা ১ জানুয়ারি পর্যন্ত বাড়ানো হয়।
আরও পড়ুন: আয়কর রিটার্ন জমা দেয়ার সময় ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ল: এনবিআর
বুধবার সময়সীমা বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকারি এই সংস্থাটি।
এর আগে, পৃথক করদাতাদের কাছ থেকে সাড়া কম পাওয়ার কারণে রাজস্ব বোর্ড রিটার্ন জমা দেয়ার সময়সীমা ৩১ ডিসেম্বর, ২০২২ পর্যন্ত বাড়িয়েছিল।
আরও পড়ুন: ১ কোটি ১৬ লাখ মানুষের করযোগ্য আয় থাকলেও অধিকাংশই রিটার্ন জমা দেয় না: এনবিআর কর্মকর্তা
১০৭২ দিন আগে
চট্টগ্রাম কাস্টমসের শুল্কায়ন কার্যক্রম বন্ধ থাকবে ১২ ঘন্টা
চট্টগ্রাম কাস্টমসে পণ্যের শুল্কায়নসহ যাবতীয় কার্যক্রম ১২ ঘণ্টা বন্ধ থাকবে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) অ্যাসাইকুডা ওয়ার্ল্ড সিস্টেমের মাইগ্রেশন কার্যক্রম সম্পন্ন করার জন্য ১৪ অক্টোবর রাত ৮টা থেকে ১৫ অক্টোবর সকাল ৮টা পর্যন্ত ১২ ঘণ্টা অ্যাসাইকুডা ওয়ার্ল্ড সিস্টেমের যাবতীয় কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। এ কারণে কাস্টমসের শুল্কায়নসহ যাবতীয় কার্যক্রম বন্ধ থাকবে বলে জানা গেছে।
চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস সূত্রে জানা গেছে, ১৪ অক্টোবর রাত ৮টা থেকে ১৫ অক্টোবর সকাল ৮টা পর্যন্ত আমদানি-রপ্তানি পণ্য চালানের বিল অব এন্ট্রি দাখিল, শুল্কায়ন, ডিউটি পেমেন্ট ও বন্দর থেকে ডেলিভারি কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। এ সময়ের মধ্যে যদি কাজ শেষ হয়ে যায় তবে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যে খুব বেশি প্রভাব পড়বে না। তবে সময় বাড়লে তখন সমস্যা হতে পারে।
চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের কমিশনার মো. ফায়জুর রহমান বলেন, অ্যাসাইকুডা ওয়ার্ল্ড সিস্টেমটি জাতীয় রাজস্ব বোর্ড থেকে নিয়ন্ত্রণ করা হয়। আগামী ১৪ অক্টোবর অ্যাসাইকুডা ওয়ার্ল্ড সিস্টেমের ভার্সন ৪.৩.১ থেকে ৪.৩.৩ এ মাইগ্রেশন কার্যক্রম সম্পন্ন করা হবে। তাই ১২ ঘণ্টা সিস্টেমের আওতায় থাকা সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।
আরও পড়ুন: ঈদের ছুটিতে খোলা থাকবে কাস্টমস হাউস
ইতোমধ্যে চট্টগ্রাম কাস্টমসের পক্ষ থেকে সকল অংশীজনদের বিষয়টি ই-মেইল ও এসএমএসের মাধ্যমে জানিয়ে দেয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যকে গতিশীল করার জন্য ১৯৯৫ সালে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসে অটোমেশনের যাত্রা শুরু হয়। ২০১৩ সাল থেকে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসে অ্যাসাইকুডা ওয়ার্ল্ড পদ্ধতি চালু হয়। এই পদ্ধতিতে বিদেশ থেকে পণ্য আমদানির পর এর শুল্কায়ন থেকে শুরু করে সবকিছুই অনলাইনের মাধ্যমে সম্পন্ন করা হচ্ছে। চট্টগ্রামসহ দেশের সব বন্দর এ সফটওয়্যারের আওতায় কাজ করে। এটি নিয়ন্ত্রণ করা হয় কাকরাইলের এনবিআরের কার্যালয় থেকে। কোনো চালান ছাড়তে না চাইলে এ সফটওয়্যারের মাধ্যমে সেটা বন্ধ করারও স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থা রয়েছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম বন্দরে পড়ে থাকা ৩৮৫ কনটেইনারের পণ্য ধ্বংস করবে কাস্টমস
চট্টগ্রামে অবৈধ সম্পদ অর্জন মামলায় কাস্টমস কর্মকর্তার ৮ বছর কারাদণ্ড
১১৫৬ দিন আগে