কোটা সংস্কার আন্দোলন
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনে বেরিয়ে আসে জুলাই গণহত্যার সত্য
কোনো গণহত্যার ওপর সংবাদ প্রতিবেদন তৈরি করতে গেলে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ যে তথ্যের প্রয়োজন হয় সেটি হলো মৃতের সংখ্যা। সাম্প্রতিক কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে ১৬ থেকে ২১ জুলাই সবচেয়ে বেশি সহিংসতা ও বিশৃঙ্খলা হয়। এসময় যে গণহতাহতের ঘটনায় সঠিক মৃত্যুর সংখ্যা পাওয়া অত্যন্ত কঠিন হয়ে গিয়েছে। এর পেছনে রয়েছে বেশ কিছু বিষয়।
কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে বেশ কয়েকদিন ধরে দেশজুড়ে ভিন্ন ভিন্ন জায়গায় সহিংসতার ঘটনা ঘটে। এ কারণে মোট মৃত্যুর সংখ্যা বের করা বেশ কঠিন হয়ে পড়ে।
যেহেতু মৃত্যুর তথ্য চিকিৎসকের মাধ্যমে নিশ্চিত করতে হয় তাই হাসপাতালগুলো থেকে তথ্য সংগ্রহ করতে হয়েছে।
১৬-২১ জুলাইয়ে মৃত্যুর সংখ্যা এত বেশি ছিল এবং এত বিচ্ছিন্নভাবে ভিন্ন ভিন্ন এলাকায় হয়েছিল যে কারণে মৃত্যুর তথ্য বের করা বেশ কঠিন হয়ে যায়।
এর মধ্যে কারফিউ ও ইন্টারনেট শাটডাউনের কারণে তথ্যগুলো পাওয়া আরও কঠিন হয়ে যায়।
আরও পড়ুন: গণআন্দোলন দমনে করা মামলা তিন কর্মদিবসের মধ্যে প্রত্যাহার
বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, আন্দোলনের সময় শুধু রাজধানী ঢাকাতেই ৩০টির বেশি ভিন্ন ভিন্ন হাসপাতাল রোগীদের চিকিৎসা দিয়েছে বা মৃতদেহ গ্রহণ করেছে।
তবে তথ্য পাওয়ার ক্ষেত্রে বড় বাধা হয়ে সামনে আসে গণমাধ্যমের কাছে সঠিক মৃত্যুর সংখ্যা প্রকাশ না করতে সরকারের কঠোর নির্দেশ।
গত ১৮ থেকে ১৯ জুলাই পূর্ব রামপুরা এলাকায় ব্যাপক সহিংসতার ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, আহতদের মধ্যে শতাধিক মানুষকে ওই এলাকায় অবস্থিত বেটার লাইফ হাসপাতালে নেওয়া হয়।
২৪ জুলাই বেটার লাইফ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে গিয়ে কর্তব্যরত চিকিৎসক শুভ্রজিৎ সরকারের কাছে আন্দোলনে সহিংসতা চলাকালে হাসপাতালে আসাদের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এখানে কোনো রোগী মারা যায়নি। কয়েকজন চিকিৎসা নিয়েছেন।’
অন্যদিকে জরুরি বিভাগের নার্স প্রসেনজিৎ মধু দেন ভিন্ন তথ্য। তিনি বলেন, তারা এক হাজারেরও বেশি আহতকে চিকিৎসা দিয়েছেন। ১২ জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন তিনি, যাদের মৃত অবস্থায়ই হাসপাতালে আনা হয়েছিল।
এর প্রায় এক সপ্তাহ পরে দ্বিতীয়বারের মতো হাসপাতালটিতে যান এই প্রতিবেদক।
এসময় হাসপাতালটির জরুরি বিভাগের আরেক চিকিৎসক রাজীব পার্থ বলেন, ‘সরকারের পক্ষ থেকে আমাদের পুরো নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে কোনো সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা না বলতে। একই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে ডিবি, এনএসআই থেকেও। লোকজন আমাদের ওপর নজর রাখছে। আজও এসবি (স্পেশাল ব্রাঞ্চ পুলিশ) থেকে লোক এসেছে। মিডিয়াকে কোনো তথ্য দেওয়া হবে না। এটা সব বেসরকারি হাসপাতালের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য।’
রাজধানীতে তীব্র বিক্ষোভ ও সহিংসতার অন্যতম প্রধান কেন্দ্রস্থল ছিল বনশ্রী। সেখানকার ফরাজী হাসপাতালের তথ্যকেন্দ্রে যোগাযোগ করা হলে তারা কোনো তথ্য সরবরাহ করতে পারেনি। এ বিষয়ে তারা মহাব্যবস্থাপকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বললেও মহাব্যবস্থাপক তানভীর আলমকে ফোনে পাওয়া যায়নি।
এদিকে উত্তরার ক্রিসেন্ট হাসপাতালের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক চিকিৎসক জানান, তিনি হাসপাতালে ১৮ জুলাই ৭ জন এবং ১৯ জুলাই দুজনকে মারা যেতে দেখেছেন। কাউকে প্রাতিষ্ঠানিক তথ্য দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়নি।
সরকারি হাসপাতালগুলো তথ্য দিলেও আছে বিভ্রান্তি
আন্দোলন চলাকালে সহিংসতায় আহত-নিহতের তথ্য সরবরাহের ক্ষেত্রে সরকারি হাসপাতালের চিত্র ছিল একটু ভিন্ন।
রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের পরিচালক শফিউর রহমান জানান, কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় গত ১৬ জুলাই থেকে ২০ জুলাই পর্যন্ত হাসপাতালটিতে চিকিৎসা নিয়েছেন ৫১৮ জন। এর মধ্যে ৬৫ জনকে ভর্তি করতে হয়।
আরও পড়ুন: ‘দেশের ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড বন্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে’
৩০ জনের বড় এবং ১৫০ জনের ছোট অস্ত্রোপচার করতে হয়েছিল বলে জানান তিনি।
শফিউর রহমান জানান, হাসপাতালে আনার আগেই ১৩ জনের মৃত্যু হয়। নিহতদের বেশিরভাগই শিক্ষার্থী এবং তাদের শরীরে গুলির আঘাত ছিল।
তিনি আরও জানান, অস্ত্রোপচার ওয়ার্ডে আরও রোগী ভর্তি হচ্ছে। জটিল রোগীদের জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে (এনআইসিভিডি) রেফার করা হয়।
হাসপাতালের চারতলা সার্জারি ওয়ার্ডে রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল। এমনকি সাংবাদিকদের পরিদর্শনের অনুমতিও দেওয়া হয়।
সার্জারি ওয়ার্ডে চিকিৎসা নিচ্ছিল আন্দোলন চলাকালে সহিংসতায় আহত আকাশ (২৫)। তিনি জানা, মোহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ডের সামনে দিয়ে হাঁটার সময় একাধিক রাবার বুলেট এসে তার গায়ে লাগে। মেরুদণ্ডের নিচের মাংসপেশি থেকে ১৩টি ছররা বের করতে হয়েছে।
একই ওয়ার্ডে ভর্তি অবস্থায় যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছিল দ্বিতীয় শ্রেণির ১১ বছরের ছাত্র কাওসার। উত্তরার আবদুল্লাহপুরের একটি মহল্লায় দুই-তিনজন বন্ধুর সঙ্গে খেলছিল সে। এমন সময় হঠাৎ গুলি এসে লাগে কিডনির পাশে। গুলিটি এদিক থেকে ওদিকে বের হয়ে যায়।
কাওসারের প্রশ্ন, 'আমরা তো বিক্ষোভে অংশগ্রহণ করিনি। আমার কেন গুলি লাগলো?'
আরও পড়ুন: আ.লীগ সরকারের আমলের চুক্তিভিত্তিক সব কর্মকর্তার নিয়োগ বাতিল হচ্ছে
কাওসারের খালা সুমি জানান, প্রথমে তাকে বাংলাদেশ কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে তাকে এখানে বদলি করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘প্রথমে গুলির শব্দে সবাই দৌড়ে পালাতে থাকে। আমরাও পালিয়ে যাচ্ছিলাম। গুলি চালানোর কারণ কী ছিল? রাস্তাঘাট ছিল ফাঁকা। পুলিশ কেন তাকে গুলি করল?’
কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মিজানুর রহমান ইউএনবিকে বলেন, ১৮ তারিখে সাতজনসহ তাদের হাসপাতালে মোট আটজন মারা যান। তাদের মধ্যে ছয়জনের পরিচয় পাওয়া গেছে, বাকি দুজনের পরিচয় পাওয়া যায়নি। তাদের মরদেহ এনআইসিভিডি মর্গে পাঠানো হয়েছে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল রেজাউল করিম বলেন, 'এখানে কেউ মারা যায়নি। চিকিৎসা নিয়েছেন ১২০ জন। বর্তমানে ১১ জন ভর্তি রয়েছে। তাদের মধ্যে তিনজনকে আইসিইউতে নেওয়া হয়েছিল। এদের মধ্যে একজনকে মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) বেডে দেওয়া হয়েছে।
কিন্তু জুলাই মাসে কোটা আন্দোলনে ১৫০ জনের মৃত্যুর কথা উল্লেখ করে সরকারের দেওয়া তালিকায় বিএসএমএমইউতে মারা যাওয়া ব্যক্তিদের নাম রয়েছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএসএমএমইউ পরিচালক বলেন, ‘তালিকা তাহলে আমাদের আবার দেখতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো তালিকায় তা নেই।’
এতে স্পষ্ট হয়ে ওঠে যে, সরকারি হাসপাতালগুলো তথ্য দেওয়ার ক্ষেত্রে এগিয়ে থাকলেও কঠোর নির্দেশনার অধীনেই তথ্য দিচ্ছে যে কারণে সরবরাহকৃত তথ্যগুলো কত নির্ভরযোগ্য তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েই যাচ্ছে।
এদিকে, কোটা সংস্কার আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জুলাইয়ের হত্যাকাণ্ডে ২৬৬ জন নিহত হওয়ার কথা জানিয়েছে। গণমাধ্যমগুলোর মধ্যে প্রথম আলো সেই সংখ্যার কাছাকাছি- ২১০ জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
জুলাইয়ের এই গণহত্যার সত্য উদঘাটনে সবচেয়ে বড় বাধা হিসেবে ছিল সরকার। এখন সরকার পতনের পরে জুলাই গণহত্যায় মৃত্যুর সঠিক সংখ্যা বের করার কাজটি নতুন করে শুরু করলে হয়তো সঠিক তথ্য সামনে আসতেও পারে।
৪ মাস আগে
সাম্প্রতিক সহিংসতায় আটক শিক্ষার্থীদের বিশেষ আইনি সহায়তা দেবে সরকার
কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সাম্প্রতিক সহিংসতার সময় আটকদের মধ্যে কেউ যদি বর্তমান উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) পরীক্ষার্থী হন তবে তাদের জামিনের জন্য বিশেষ আইনি সহায়তা দেওয়া হবে বলে ঘোষণা দিয়েছে সরকার।
বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জামিন আবেদনের সময় ওই শিক্ষার্থীদের অবশ্যই তাদের পরীক্ষার প্রবেশপত্র ও প্রাসঙ্গিক কাগজপত্র জমা দিতে হবে।
এছাড়া আটক যেসব শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে গুরুতর কোনো অভিযোগ নেই, তাদের জামিনের জন্যও আইনি সহায়তা দেবে সরকার।
৪ মাস আগে
কর্তৃপক্ষ তাদের কথা রাখেনি, আন্দোলন চলবে: সমন্বয়ক সারজিস আলম
বৃহস্পতিবার পর্যন্ত গোয়েন্দা পুলিশের হেফাজতে থাকা কোটা সংস্কার আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়কারী সারজিস আলম এক ফেসবুক পোস্টে অভিযোগ করেছেন, কর্তৃপক্ষ আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের গ্রেপ্তার বা মামলা দিয়ে হয়রানি না করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, কিন্তু তারা তাদের প্রতিশ্রুতি রাখতে ব্যর্থ হয়েছে।
ডিবি হেফাজত থেকে মুক্তি পাওয়ার পর সারজিস আলম বৃহস্পতিবার বিকালে নিজের ফেসবুক পোস্টে লেখেন,'তারা তাদের কথা রাখেনি। তাই এসব গণগ্রেপ্তার, নিপীড়ন, নির্যাতন বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত এই আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।'
আরও পড়ুন: ডিবি হেফাজত থেকে মুক্তি পেলেন কোটা আন্দোলনের ৬ সমন্বয়ক
তিনি আরও লেখেন, 'আপনারা (আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী) আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ওপর হামলা করেছেন। আমার ভাইয়ের (স্কুল-কলেজের ছাত্র) ওপর লাঠিচার্জ করছেন। যাকে খুশি তুলে নিতেন। আন্দোলনকারীকে খুঁজে না পেয়ে তাদের ভাইকে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে গেছেন, বাবাকে হুমকি দিয়েছেন! মাশরুর এর একটি উদাহরণ।’
তিনি আরও বলেন, ‘আপনারা আমার ভাইদের রিকশা থেকে নামিয়ে মামলা দিয়ে কারাগারে পাঠিয়েছেন। আপনারা আমার বোনদের রাস্তায় ফেলে মারলেন। কি ভাবছেন আপনি? এভাবেই কি সব শেষ হয়ে যাবে? যারা একবারের জন্যও এই আন্দোলনে যোগ দিয়েছিল তারা গ্রেপ্তারের ভয়ে শান্তিতে ঘুমাতে পারে না। অনেকে আছেন যাদের পরিবার এখনো তাদের সন্ধান পায়নি। এটা হওয়া উচিত হয়নি!’
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে 'রিমেমবারিং আওয়ার হিরোজ' কর্মসূচিতে হামলায় আহত ১০
তিনি আরও লেখেন, ছয়জনকে ডিবি হেফাজতে ৬ দিন আটকে রাখা যায়, কিন্তু বাংলাদেশের পুরো তরুণ প্রজন্মকে কীভাবে আটক করা যায়? দুর্নীতি, লুটপাট, অর্থ পাচার, ক্ষমতার অপব্যবহার যা ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে, সেগুলো কীভাবে বন্ধ করা যায়?
পুলিশ সদস্যদের ভাই বলে সম্বোধন করে তিনি আরও লেখেন, 'এ দেশের মানুষের ক্ষোভ আপনাদের ওপর নয়, পুলিশের ওপর নয়। এই রাগ আপনার পোশাকের (ইউনিফর্ম) উপর। বছরের পর বছর ধরে এ দেশের অনেক মানুষ এই ইউনিফর্মধারীদের দ্বারা নির্যাতিত হয়েছে। ঐ পোশাক ছেড়ে আমাদের কাতারে আসুন, আমরা আপনাদেরকে স্বাগত জানাবো এবং আলিঙ্গন করব।
পোস্টের শেষ অংশে তিনি লেখেন, ‘যেহেতু এই পথ সত্যের পথ, ন্যায়ের পথ, তাই আমরা কোন কিছুর মুখোমুখি হতে ভয় পাই না। যতদিন বাংলাদেশ আন্দোলনকারীদের জন্য নিরাপদ আশ্রয়স্থল হয়ে উঠছে না, গণগ্রেপ্তার, নিপীড়ন, নির্যাতনের অবসান হচ্ছে না, ততদিন পর্যন্ত এই লড়াই চলবে।’
আরও পড়ুন: ‘মার্চ ফর জাস্টিস’ কর্মসূচিতে আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশের গ্রেনেড-টিয়ারশেল নিক্ষেপ
৪ মাস আগে
পুলিশের হামলার প্রতিবাদে ঢাবি শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সমাবেশ আজ
পুলিশি হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও সমাবেশ করবেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) সকাল ১১টায় এই সমাবেশ হবে বলে জানান অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক সেলিম রায়হান।
তিনি বলেন, 'আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক-কর্মচারীরা, আগামী ১ আগস্ট সকাল ১১টায় শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ওপর নির্যাতন ও সহিংসতার প্রতিবাদে অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে সমাবেশ করব।’
অন্যান্য বিভাগের শিক্ষক-কর্মচারীদেরও তাদের সঙ্গে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
এছাড়া দুপুর ১২টায় একই স্থানে মানববন্ধন করবেন জনপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে এক শিক্ষার্থীকে বাঁচাতে গিয়ে আহত হন জনপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষক শেহরীন আমিন ভূঁইয়া ও অধ্যাপক ড. নুসরাত জাহান চৌধুরী।
বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আন্দোলনরত এক শিক্ষার্থীকে হেফাজতে নেওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ এ ঘটনা ঘটে।
এর আগে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে 'মার্চ ফর জাস্টিস'-এ যোগ দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কয়েকজন শিক্ষক।
৪ মাস আগে
নরসিংদী কারাগারের ৬৮ কারারক্ষী বরখাস্ত
কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে দেশজুড়ে সহিংসতার মাঝে নরসিংদী জেলা কারাগারে হামলা-অগ্নিসংযোগের পর কয়েদি পালিয়ে যাওয়া এবং অস্ত্র ও গুলি লুটের ঘটনায় জেলা কারাগারের ৬৮ জন কারারক্ষীকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা বিভাগের বরাত দিয়ে মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) নরসিংদীর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট তাজওয়ার আকরাম সাকাপি ইবনে সাজ্জাদ এ তথ্য জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: নরসিংদীতে সহিংসতায় ১১ মামলা দায়ের, গ্রেপ্তার ১৮৪: পুলিশ সুপার
এর আগে, ২৩ জুলাই নরসিংদী জেলা করাগারের জেল সুপার আব্দুল কালাম আজাদ ও জেলার কামরুল ইসলামকে বরখাস্ত করা হয়।
এদিকে, আসামিরা যাতে আত্মসর্মপণ করেন, সেজন্য ২১ জুলাই রাত থেকে নরসিংদী জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং করা হচ্ছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার পর্যন্ত ১১ দিনে মোট ৫৭৫ জন পলাতক বন্দী নরসিংদীর আদালতে স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পণ করেছেন। এছাড়া লুট হওয়া ৮৫টি অস্ত্রের মধ্যে ৪৯টি অস্ত্র ও ১ হাজার ৯১টি গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার (১৯ জুলাই) বিকালে জেলা কারাগারে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় জেলখানায় থাকা ৯ জঙ্গিসহ ৮২৬ জন বন্দী পালিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: নরসিংদী জেলা কারাগারের ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা করা হচ্ছে: তদন্ত কমিটির প্রধান
৪ মাস আগে
কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে গণহত্যার তদন্ত করবে 'জাতীয় গণতদন্ত কমিশন'
কোটা সংস্কার আন্দোলনের সঙ্গে সম্পর্কিত সাংবিধানিক, আইনি ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের গুরুতর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে একটি 'জাতীয় গণতদন্ত কমিশন' গঠন করা হয়েছে।
সোমবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান কমিশনের যুগ্ম সদস্যসচিব তানজীমউদ্দিন খান ও মাহা মির্জা।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘১৬ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন দমনে শিক্ষার্থীদের বেধড়ক পিটিয়ে সহিংসতার সূত্রপাত করা হয়। বিশেষ করে এই সহিংসতার প্রতিবাদে সারা বাংলাদেশে শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ পথে নেমে এলে রংপুরে আবু সাঈদকে সরাসরি বুকে গুলি করা হয়। কিন্তু পুলিশ যখন মামলা করে, তখন সাধারণ ছাত্র ও জনগণকে দায়ী করা হয়। এতে গোটা তদন্তপ্রক্রিয়া নিয়ে সাধারণ নাগরিকদের মনে প্রশ্ন উঠেছে এবং এসব ঘটনায় সত্য উদ্ঘাটনের দাবি উঠেছে।’
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, এ ঘটনায় সংবাদপত্রের হিসাবে অন্তত ২০৯ জনের মৃত্যুর সংবাদ প্রকাশিত হলেও সরকারি হিসাবে তা ১৪৭ জন। নির্যাতন, গুলিবর্ষণ, গণগ্রেপ্তারসহ বিভিন্নভাবে আন্দোলন নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা হয়েছে যার ফলে সংবিধান, প্রচলিত আইন ও চরম মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে।
আরও পড়ুন: কোটা সংস্কার আন্দোলনে সহিংসতায় নিহত ১৪৭: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
এসব ঘটনার কারণ উদ্ঘাটন, সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের লক্ষ্যে দেশের শিক্ষক, আইনজীবী, সংস্কৃতিকর্মী ও সাধারণ অভিভাবকদের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের কয়েকজন প্রথিতযশা ব্যক্তির সমন্বয়ে ‘জাতীয় গণতদন্ত কমিশন’ গঠন করা হয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মো. আব্দুল মতিনের নেতৃত্বে কমিশনের সদস্যরা হলেন- মানবাধিকারকর্মী সুলতানা কামাল, জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জেড আই খান, সাংবাদিক আবু সাইয়িদ খান, অধ্যাপক গীতিআরা নাসরিন, সাংবাদিক আশরাফ কায়সার, আইনজীবী অনীক আর হক, অধ্যাপক তানজিমউদ্দিন খান এবং লেখক ও গবেষক মাহা মির্জা।
কমিশনের যুগ্ম সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বিচারপতি মো. আব্দুল মতিন ও সুলতানা কামাল, আর সদস্যসচিব হিসেবে যৌথভাবে কাজ করবেন অধ্যাপক তানজিমউদ্দিন খান ও মাহা মির্জা।
এ ছাড়া, এই গণতদন্ত কমিশনে উপদেষ্টা হিসেবে থাকবেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী তোবারক হোসেন, সারা হোসেন, বিশিষ্ট আইন বিশেষজ্ঞ ড. শাহদীন মালিক, অধ্যাপক সলিমুল্লাহ্ খান, শিক্ষক কাজী মাহফুজুল হক সুপন, আইনের অধ্যাপক সাইমুম রেজা তালুকদার, জ্যেষ্ঠ আইনজীবী রাশনা ইমাম ও জ্যোতির্ময় বড়ুয়া।
আরও পড়ুন: 'নিরাপত্তার জন্য' কোটা সংস্কার আন্দোলনের সমন্বয়কদের হেফাজতে নেওয়া হয়েছে: ডিবি প্রধান হারুন
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ১ জুলাই থেকে সংগঠিত বিভিন্ন সহিংসতা, নির্যাতন, হত্যা, গুলিবর্ষণ, হুমকি, মামলা ও মানবাধিকার লঙ্ঘনসহ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে অডিও, ভিডিও, ফটোগ্রাফ ও লেখাসহ সব ধরনের তথ্য কমিশনের কাছে পাঠাতে আহ্বান জানিয়েছে জাতীয় গণতদন্ত কমিশন।
সোমবার রাতে আইনজীবী অনীক আর হক নিজ ফেসবুক অ্যাকাউন্টে লেখেন, কমিশন তার কাজে ‘যারা সাক্ষ্য দেবে তাদের গোপনীয়তা বজায় রাখবে’। এতে আরও বেশি মানুষ তাদের কাছে থাকা তথ্য সরবরাহ করতে এগিয়ে আসার ব্যাপারে উৎসাহিত হবে যেসব তথ্য গুরুত্বপূর্ণও হতে পারে।
'দু-একদিনের মধ্যে' কমিশনের টার্মস অব রেফারেন্স ও কল ফর এভিডেন্স প্রকাশ করা হবে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: কোটা আন্দোলনে সহিংসতা ও হত্যাকাণ্ডের বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
৪ মাস আগে
কোটা আন্দোলনে নিহতদের স্মরণে মঙ্গলবার সারা দেশে শোক
গত সপ্তাহে কোটা সংস্কার আন্দোলনে যারা নিহত হয়েছেন, তাদের স্মরণে মঙ্গলবার সারা দেশে শোক পালন করা হবে।
সোমবার (২৯ জুলাই) সচিবালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন।
তিনি আরও জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ সংক্রান্ত একটি শোক প্রস্তাব গৃহীত হয়।
নিহতদের স্মরণে প্রত্যেকে কালো ব্যাজ পরবেন এবং মসজিদ ও মন্দিরে প্রার্থনা করা হবে বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সহিংসতায় ১৪৭ জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
এর আগে রবিবার সচিবালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে আসাদুজ্জামান বলেন, নিহতদের মধ্যে পুলিশ কর্মকর্তা, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী, শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন পেশার মানুষ রয়েছেন।
নারী-পুরুষ ও পেশা যাচাই করে নিহতের মোট সংখ্যা এবং আক্রান্তদের সংখ্যা জানার চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।
৪ মাস আগে
নিরীহ শিক্ষার্থীদের হয়রানি না করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি ঢাবির আহ্বান
কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সহিংসতার ঘটনায় কোনো নিরপরাধ শিক্ষার্থী যেন হয়রানির শিকার না হয়, তা নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি)।
বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের পরিচালক মাহমুদ আলমের সই করা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শিক্ষার্থীরা হয়রানির শিকার হলে প্রক্টর অফিসে জানানোর নির্দেশ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
এই জাতীয় ঘটনায় সম্ভাব্য সব সহায়তা করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়।
৪ মাস আগে
সাম্প্রতিক সহিংসতায় আরও ১৪ মামলা দায়ের, গ্রেপ্তার ২৪৩: ডিএমপি
সোমবার সকাল ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকায় কোটা আন্দোলনে সহিংসতায় আরও ১৪টি মামলা দায়ের হয়েছে।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) সহকারী কমিশনার (এসি-মিডিয়া) জাহাঙ্গীর কবির জানান, এ নিয়ে ডিএমপির বিভিন্ন থানায় মোট ২৪৩টি মামলা রেকর্ড হলো।
তিনি বলেন, এ সময়ে ঢাকার বিভিন্ন এলাকা থেকে ৫৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সাম্প্রতিক সহিংসতায় এ পর্যন্ত ২ হাজার ৮২২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
সম্প্রতি সারাদেশে সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ব্যাপক সহিংসতা হয়েছে।
বিভিন্ন গণমাধ্যমে দুই শতাধিক নিহতের খবর প্রকাশিত হলেও রবিবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান দাবি করেন, মাত্র ১৪৭ জন নিহত হয়েছে।
৪ মাস আগে
কোটা সংস্কার আন্দোলনে সহিংসতায় নিহত ১৪৭: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
কোটা সংস্কার আন্দোলনে এখন পর্যন্ত ১৪৭ জন নিহতের খবর পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। এর মধ্যে পুলিশ, আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী, শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ রয়েছে বলেও জানান মন্ত্রী।
রবিবার (২৮ জুলাই) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, নিহতদের মধ্যে কতজন নারী, কতজন পুরুষ কিংবা কোন পেশার মানুষ কতজন- সেটি নির্ধারণের কার্যক্রম চলছে।
মন্ত্রী বলেন, এই ধরনের হত্যাকাণ্ড, বর্বরোচিত আক্রমণ পৃথিবীর কোনো সভ্য দেশ দেখেছে বলে আমার মনে হয় না। আমরা এ-ও দেখেছি তারা একটা হসপিটাল পর্যন্ত রেডি রেখেছে, কেউ ইট কিংবা লাঠির আঘাতে আহত হলে তাদের সেখানে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করিয়ে আবার তাদের ভালো করে আরেক দল এসেছে। আগে থেকে একটা পরিকল্পনা করে আক্রমণ করেছে।
আরও পড়ুন: ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড করলে কাউকে ছাড় দেব না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
এ সময় মন্ত্রী সাংবাদিকদের পুলিশ হত্যার বিভিন্ন ছবি দেখান।
পুলিশ যখন পারছিল না, তখন সেনাবাহিনীকে ডাকা হয় এবং কারফিউ জারি করা হয় জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ক্রমে দেশ স্বাভাবিক হয়ে আসছে। ক্রমেই আমরা সান্ধ্য আইন শিথিল করছি। যখন আরও স্বাভাবিক হবে তখন আমরা কারফিউ উঠাতে সক্ষম হব।
নিহতের সংখ্যা নিয়ে অনেকে অনেক কিছু বলছেন জানিয়ে আসাদুজ্জামান খান বলেন, এই কয়দিনের আন্দোলনে যারা প্রাণ হারিয়েছেন তাদের একটা তালিকা আমাদের কাছে আছে। এটি আমরা আরও যাচাই-বাছাই করছি। আরও যদি দুয়েকজনের খবর পাই তবে তা আমরা অন্তর্ভুক্ত করব।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সাম্প্রতিক সহিংসতায় এখন পর্যন্ত ১৪৭ জন মারা গেছে বলে আমাদের হিসাবে রয়েছে। এখানে বিভিন্ন শ্রেণির মানুষ রয়েছে, বিভিন্ন বয়সের মানুষ রয়েছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক পরিচয়ের মানুষ রয়েছেন।
বিভিন্ন হাসপাতাল, বিভিন্ন জেলা থেকে নিহতের এ সংখ্যা পাওয়া গেছে বলেও জানান মন্ত্রী।
'নিহতের সংখ্যা নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে। কখনো বলা হচ্ছে ৫০০, কখনো বলা হচ্ছে ১০০০। সেজন্য আমাদের কাছে যে হিসাব সেটি আমরা দিলাম।'
তিনি বলেন, 'দোষী ব্যক্তিদের আমরা অবশ্যই শনাক্ত করে আইনের আওতায় নিয়ে আসব। আমরা কাউকে এখানে ছাড় দেব না।'
এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, শিশুদের গ্রেপ্তার করার কথা উদ্দেশ্যমূলকভাবে বলা হচ্ছে। এ কাজে (সহিংসতা) টাকার বিনিময়ে কিশোর গংদের কাজে লাগানোর তথ্য আছে।
পুলিশের গাড়ি থেকে লাশ টেনে হিঁচড়ে ফেলে দেওয়া এবং আত্মসমর্পণের পরও পুলিশকে গুলি করতে দেখা গেছেএমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, আমাদের পুলিশ প্রশিক্ষিত। তাদের অযথা গুলির করার দরকার হয় না। প্রতিটি গুলির হিসাব তাকে দিতে হয়। প্রতিটি মৃত্যুর জবাবদিহি তাকে করতে হয়। পুলিশ অযথা গুলি করেছে, শিশুকে মেরে ফেলেছে। এগুলো সম্পূর্ণই গুজব, অপপ্রচার।
নির্দোষ মানুষ গ্রেপ্তারের অভিযোগ প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, 'আপনাদের কাছে তথ্য আছে? কারে আমরা বিনা ইসে (কারণে) ধরেছি। আমাদের গোয়েন্দা বাহিনী পুলিশকে তালিকা করে দিয়েছে, প্রত্যেকটি গ্রেপ্তার ভিডিও ফুটেজ দেখে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: হামলাকারীরা শনাক্ত না হওয়া পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযান চলবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
দেশব্যাপী সহিংসতায় জড়িতদের বিচারের মুখোমুখি করা হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
৪ মাস আগে