ইভ্যালি
চেক জালিয়াতির মামলায় ইভ্যালির রাসেল ও শামীমার এক বছরের কারাদণ্ড
চেক জালিয়াতি ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে চট্টগ্রামে আদালতে দায়ের হওয়া একটি মামলায় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী (সিইও) মোহাম্মদ রাসেল এবং তার স্ত্রী প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনকে এক বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
রবিবার (২ জুন) চট্টগ্রামের ৭ম যুগ্ম মহানগর জজ মো. মহিউদ্দীনের আদালত এই রায় দেন। একইসঙ্গে তাদের এক লাখ ৮০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডও দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: জাল ভোট দিতে গিয়ে রিকশাচালকের ১৫ দিনের কারাদণ্ড
আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর আইনজীবী এম এস হোসেন সাহেদ বলেন, ২০২১ সালে বাদী জসিম উদ্দিন আবিদ ইভ্যালির সিইও রাসেল এবং চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনের বিরুদ্ধে চেক বাউন্স বা ডিজঅনারের অভিযোগ এনে মামলা করেন। সেই মামলায় বিচারক তাদের উভয়কে এক বছর করে কারাদণ্ড এবং চেকের সমপরিমাণ অর্থদণ্ড প্রদান করেন।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০২১ সালের এপ্রিল মাসে নগরীর পাঁচলাইশ থানার হামজারবাগ এলাকার বাসিন্দা জসিম উদ্দিন আবিদ মোটরসাইকেল কেনার জন্য ইভ্যালিকে ১ লাখ ১০ হাজার টাকা দিয়েছিলেন। কিন্তু ইভ্যালির পক্ষ থেকে তাকে মোটরসাইকেলটি দেওয়া হয়নি। পরে একটি চেক দেওয়া যায় যেটি ব্যাংকের কাছ থেকে প্রত্যাখ্যাত হয়।
এই ঘটনায় ভুক্তভোগী জসিম উদ্দিন আবিদ বাদী হয়ে ২০২১ সালের ২ অক্টোবর চট্টগ্রাম আদালতে ইভ্যালির সিইও মোহাম্মদ রাসেল এবং প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ২০২১ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর এক মামলায় রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বাসা থেকে রাসেল ও শামীমাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ২০২২ সালের এপ্রিলে জামিনে মুক্তি পান শামীমা। ২০২৩ সালের ১৯ ডিসেম্বর রাসেল জামিনে মুক্তি পান।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে স্কুলছাত্র হত্যায় ২ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
উপজেলা নির্বাচন: ফরিদপুরে জালভোট দেওয়ায় যুবকের ৬ মাসের কারাদণ্ড
৫ মাস আগে
অল্প সময়ের মধ্যে গ্রাহকদের টাকা ফেরত দেবে ইভ্যালি: সিইও রাসেল
ইভ্যালির প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোহাম্মদ রাসেল বলেছেন, বর্তমানে ই-কমার্স প্লাটফর্মটি যেভাবে পরিচালিত হচ্ছে তাতে গ্রাহকদের হারানো অর্থ ফেরত দিতে তার প্রতিষ্ঠান খুব বেশি সময় নেবে না।
মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ই-কমার্স ও ই-সেবা খাতে ভোক্তা অধিকার শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন। বাংলাদেশ মোবাইল কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন (বিএমসিএ) এ সভার আয়োজন করে।
আরও পড়ুন: ইভ্যালির শামীমার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
তিনি বলেন, ইভ্যালি বর্তমানে যেভাবে কাজ করছে এবং মুনাফা করছে, তাতে সবাই সহযোগিতা করলে গ্রাহকদের দায় নিষ্পত্তিতে খুব বেশি সময় লাগবে না।
ক্যাশ অ্যান্ড ডেলিভারি সিস্টেমের মাধ্যমে ইভ্যালির ব্যবসা পরিচালিত হচ্ছে জানিয়ে রাসেল বলেন, যেখানে পণ্য পাওয়ার পর গ্রাহক অর্থ পরিশোধ করবেন। এই অর্থ সরাসরি পণ্য সরবরাহকারী কোম্পানির কাছে যাবে। সেখান থেকে সরকারকে ভ্যাট ও ট্যাক্স পরিশোধ করা হয়।
আরও পড়ুন: ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় জামিন পেলেও কারামুক্তি পাচ্ছেন না ইভ্যালির রাসেল
বিএমসিএ'র মতে, বর্তমানে দেশে ই-কমার্সের বাজার প্রায় তিন বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যার উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম শফিকুজ্জামান, বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের পরিচালক গাজী গোলাম তৌসিফ, ই-ক্যাবের সচিব আবদুল ওয়াহেদ তমাল, মহিউদ্দিন আহমেদ অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দেন।
আরও পড়ুন: ইভ্যালির রাসেল-শামীমার বিচার শুরু
ইভ্যালির রাসেল-শামীমার বিচার শুরু
১০ মাস আগে
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় জামিন পেলেও কারামুক্তি পাচ্ছেন না ইভ্যালির রাসেল
প্রতারণার মাধ্যমে গ্রাহকের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. রাসেলকে জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। তবে রাসেলের বিরুদ্ধে আরও মামলা থাকায় তিনি এখনই কারামুক্তি পাচ্ছেন না।
মঙ্গলবার (৬ জুন) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আমিনুল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: ইভ্যালির শামীমার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
রাসেলের জামিন বিষয়ে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে রায় দেওয়া হয়।
আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আহসানুল করিম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সারওয়ার হোসেন বাপ্পী।
আদেশের পরে অ্যাডভোকেট আহসানুল করিম বলেন, রাসেলের বিরুদ্ধে আরও মামলা থাকায় তিনি এখনই কারামুক্তি পাচ্ছেন না।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সারওয়ার হোসেন বাপ্পী বলেন, রাসেলের জামিন আদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করা হবে।
প্রতারণার অভিযোগে ২০২১ সালের ১৬ সেপ্টম্বর মো. রাসেল তার স্ত্রীসহ গ্রেপ্তার হন। ওই দিন বিকাল পাঁচটার দিকে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের স্যার সৈয়দ রোডের বাসা থেকে তাদের আটক করে র্যাব। পরে অবশ্য তার স্ত্রী জামিনে মুক্তি পান।
২০২১ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ইভ্যালির গ্রাহক মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন বাদী হয়ে রাসেল দম্পতিসহ অজ্ঞাত ১৫ থেকে ২০ জনকে আসামি করে বাড্ডা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে এ মামলা করেন।
মামলায় বলা হয়, ২০২০ সালের ১ জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ইভ্যালি থেকে ইলেকট্রনিক পণ্য কেনার জন্য বিকাশ ও নগদের মাধ্যমে ২৮ লাখ টাকা পাঠান বাদী। অর্ডার দেওয়ার ৪৫ দিনের মধ্যে পণ্য ডেলিভারি দেওয়ার কথা থাকলেও ৭ মাস পরও তিনি তা পাননি।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) উপ-পরিদর্শক (এসআই) প্রদীপ কুমার দাস গত বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
চলতি বছরের ২ মার্চ ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ এম জুলফিকার হায়াত এ মামলায় অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: ইভ্যালির রাসেল-শামীমার বিচার শুরু
ইভ্যালির রাসেল-শামীমার বিচার শুরু
১ বছর আগে
ইভ্যালির রাসেল-শামীমার বিচার শুরু
প্রতারণার মাধ্যমে গ্রাহকের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলায় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. রাসেল এবং তার স্ত্রী ও প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত।
এর মধ্য দিয়ে এ মামলায় বিচার কাজ শুরু হলো।
বৃহস্পতিবার ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ এম জুলফিকার হায়াতের আদালত এ অভিযোগ গঠন করেন।
আরও পড়ুন: ইভ্যালির রাসেল-শামীমার বিচার শুরু
এদিন আসামি রাসেলকে আদালতে হাজির করা হয়। রাসেলের অব্যাহতি চেয়ে আবেদন করেন আইনজীবী আহসান হাবীব।
আদালত অব্যাহতির আবেদন খারিজ করে অভিযোগ গঠনের আদেশ দেন।
তবে অপর আসামি শামিমা নাসরিন উপস্থিত না হওয়ায় জামিন বাতিল করে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আদালত।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী নজরুল ইসলাম শামীম আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের প্রার্থনা করেন। দুপক্ষের শুনানি শেষে বিচারক আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশ দেন।
এ সময় রাসেল নিজেকে নির্দোষ দাবি করে ন্যায়বিচার চান। তবে শামীমা নাসরিন পলাতক থাকায় নির্দোষ দাবি করতে পারেননি।
রাসেলের আইনজীবী আহসান হাবীব এসব তথ্য জানান।
ডিজিটাল মাধ্যমে প্রতারণা করে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ২০২১ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর আলমগীর হোসেন নামে এক গ্রাহক ইভ্যালির রাসেল ও শামীমার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে বাড্ডা থানায় মামলাটি করেন।
গত বছর ১৬ সেপ্টেম্বর রাসেল ও শামীমাকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডি পুলিশের উপপরিদর্শক প্রদীপ কুমার।
গত বছর ১৯ অক্টোবর শামীমা নাসরিনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।
আরও পড়ুন: ইভ্যালির শামীমার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
ইভ্যালি‘র বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু: ২৮ অক্টোবর ‘ধন্যবাদ উৎসব’
১ বছর আগে
ইভ্যালির রাসেল-শামীমার বিচার শুরু
ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোহাম্মদ রাসেল এবং প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত।
গ্রাহকের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে রাজধানীর গুলশান থানার মামলায় তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়।
এর মাধ্যমে মামলার আনুষ্ঠানিক বিচার কাজ শুরু হলো।
আরও পড়ুন: ১৫ অক্টোবর থেকে নতুন পণ্য বিক্রিতে যেতে পারে ইভ্যালি
বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) ঢাকা মহানগর হাকিম মেহেদী হাসানের আদালত তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। একই সঙ্গে এ মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেন আদালত।
এদিন কারাগারে আটক আসামি রাসেলকে আদালতে হাজির করা হয়।
তবে জামিনে থাকা আসামি শামীমা নাসরিন উপস্থিত না হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে সময়ের আবেদন করেন।
আদালত আবেদন নামঞ্জুর করে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। একই সঙ্গে আসামি রাসেলের উপস্থিতিতে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত।
তিন লাখ ১০ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে গত বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর রাতে গুলশান থানায় আরিফ বাকের নামে এক গ্রাহক প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে রাসেল ও তার স্ত্রী শামীমার বিরুদ্ধে মামলা করেন।
২৯ আগস্ট আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির উপপুলিশ পরিদর্শক (এসআই) রফিকুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: ইভ্যালির শামীমার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
ইভ্যালি‘র বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু: ২৮ অক্টোবর ‘ধন্যবাদ উৎসব’
১ বছর আগে
ইভ্যালির শামীমার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
গ্রাহকের সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগে করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনাল ১৯ অক্টোবর এ আদেশ দিলেও বিষয়টি বুধবার (২৬ অক্টোবর) নিশ্চিত করেছেন ট্রাইব্যুনালের বেঞ্চ সহকারী শামীম আল মামুন।
তিনি বলেন, ১৯ অক্টোবর মামলার অভিযোগপত্র গ্রহণের জন্য দিন ধার্য ছিল। এদিন শামীমা আদালতে উপস্থিত না হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে সময়ের আবেদন করেন। আদালত আবেদন নামঞ্জুর করে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
২২ জানুয়ারি মামলার অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য দিন ধার্য করা হয়েছে বলে জানান ট্রাইব্যুনালের বেঞ্চ সহকারী।
আরও পড়ুন: ১৫ অক্টোবর থেকে নতুন পণ্য বিক্রিতে যেতে পারে ইভ্যালি
ডিজিটাল মাধ্যমে প্রতারণা করে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ২০২১ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর আলমগীর হোসেন নামে এক গ্রাহক ইভ্যালির রাসেল ও শামীমার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে বাড্ডা থানায় মামলাটি করেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, বাদী ২০২০ সালের শুরুর দিকে ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ইভ্যালি সম্পর্কে জানতে পারেন। সেখানে কম দামে ইলেক্ট্রনিকস পণ্যসহ বিভিন্ন নিত্য প্রয়েজনীয় জিনিসের অফার করা হয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে বাজারদরের থেকে প্রায় অর্ধেক দামে বিক্রি করার বিজ্ঞাপন দেয়া হয়।
পরবর্তীতে ইভ্যালি অ্যাপের মাধ্যমে দুটি মোবাইল নম্বর দিয়ে দুটি অ্যাকাউন্ট খুলেন বাদী। তিনি নিজের আইডি দিয়ে আনুমানিক পাঁচ লাখ টাকার বিভিন্ন পণ্য অর্ডার করেন। বন্ধুর নামে আরেকটি আইডি খুলে ২৩ লাখ টাকার বিভিন্ন পণ্য অর্ডার করেন। এই দুই আইডি দিয়ে মোট ২৮ লাখ টাকার অর্ডার করেন বাদী।
এই টাকা পরে মোবাইল ব্যাংকিং সেবা বিকাশ, নগদ, ও বিভিন্ন ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে দেয়া হয়।
এজাহারে আরও বলা হয়, অর্ডার করা পণ্যগুলো নির্ধারিত ৪৫ কার্যদিবসের মধ্যে দেয়ার কথা ছিল ইভ্যালির।
কিন্তু সাত মাস পেরিয়ে গেলেও পণ্যগুলো বুঝে পাননি মামলার বাদী।
এ বিষয়ে ইভ্যালি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করলে তারা পণ্য ডেলিভারি দেয়ার আশ্বাস দিয়ে কালক্ষেপণ করে।
আজও মামলার বাদী আলমগীর হোসেন তার ২৮ লাখ টাকার বেশি অর্ডার করা পণ্য বুঝে পাননি বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়।
এরপর এ মামলার তদন্ত শেষে চলতি বছরের (২০২২ সাল) ১৬ সেপ্টেম্বর রাসেল ও শামীমার বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন সিআইডি পুলিশের উপ-পরিদর্শক প্রদীপ কুমার।
বর্তমানে রাসেল কারাগারে রয়েছেন। আর তার স্ত্রী শামীমা নাসরিন ৬ এপ্রিল জামিনে মুক্তি পেয়ে কারাগার থেকে বের হন।
এবার তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করলেন সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক।
আরও পড়ুন: নতুন করে ইভ্যালি চালু করতে আদালতে আবেদন
ইভ্যালি‘র বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু: ২৮ অক্টোবর ‘ধন্যবাদ উৎসব’
২ বছর আগে
ইভ্যালি‘র বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু: ২৮ অক্টোবর ‘ধন্যবাদ উৎসব’
ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালি নব উদ্যোগে ব্যবসায়িক কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছে। নতুন করে পথচলার শুরুতেই দেশজুড়ে থাকা ইভ্যালির লাখো গ্রাহক, ব্যবসায়ী এবং শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশে প্রতিষ্ঠানটি ‘ধন্যবাদ উৎসব’ আয়োজন করতে যাচ্ছে।
প্রতিষ্ঠানটি চলতি মাসের ২৮ তারিখ রাত ১০টায় ‘ধন্যবাদ উৎসব’ শুরু করবে বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এই উৎসবে ইভ্যালি থেকে কেনা যাবে দেশের নামীদামী আর বড় ব্র্যান্ডগুলোর পণ্য। মোবাইল, ইলেকট্রনিক্স, কম্পিউটার এক্সেসরিজ, গৃহস্থালি সরঞ্জাম থেকে শুরু করে থাকছে পোশাক-জুতার মতো লাইফস্টাইল পণ্য।
আরও পড়ুন: ১৫ অক্টোবর থেকে নতুন পণ্য বিক্রিতে যেতে পারে ইভ্যালি
এতে আরও বলা হয়, পিক অ্যান্ড পে, ক্যাশ অন ডেলিভারি এবং ক্যাশ বিফোর ডেলিভারি; মূল্য পরিশোধের এই তিনটির যেকোনো একটি উপায় ব্যবহার করে সম্পূর্ণ ঝুঁকিমুক্ত অবস্থায় এখন ইভ্যালি থেকে কেনাকাটা করা যাবে।
এছাড়াও ইভ্যালি থেকে কেনাকাটায় প্রতিটি অর্ডার ডেলিভারির জন্য একটি ‘স্টার’ পাবেন গ্রাহকেরা। অর্জিত স্টার ব্যবহার করে বিশেষ মূল্যছাড়ে কেনাকাটার জন্য বিভিন্ন সময় চমকপ্রদ অফার দেবে ইভ্যালি।
ধন্যবাদ উৎসব সফল করার আহ্বান জানিয়ে ইভ্যালির সহ প্রতিষ্ঠাতা এবং বর্তমান পরিচালনা পর্ষদের সদস্য শামীমা নাসরিন বলেন, সময়ের সঙ্গে আমরা আমাদের অতীতের দেনা পরিশোধ করতে পারবো বলে জোরালোভাবে বিশ্বাস করি। ইভ্যালি এখন এমন একটা ব্র্যান্ড যা এই জাতির আবেগের সঙ্গে মিশে আছে। আমাদের এখন দুইজন স্বাধীন পরিচালক আছেন। একজন ই-ক্যাব থেকে এবং একজন বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে। কাজেই এখন আমরা আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে অনেক বেশি দায়বদ্ধতা এবং জবাবদিহিতার মধ্যে আছি।
শামীমা আরও বলেন, আমরা আগেও বলেছি এখন থেকে আমরা আর লসে পণ্য বিক্রি করব না। তবে ইভ্যালির গ্রাহকরা আকর্ষণীয় মূল্যে পণ্য কিনতে পারবেন না, তা নয়। আমরা বিশ্বাস করি ডিজিটাল বাংলাদেশের অবকাঠামো কাজে লাগিয়ে ই-কমার্সকে ব্যবহার করে লাভ করে পণ্য বিক্রি করলেও, গতানুগতিক বাজারের তুলনায় গ্রাহকদের ‘বেস্ট প্রাইস’ দিতে পারবো আমরা। তুলনামূলক সাশ্রয়ী মূল্য ও গুণগত পণ্য সরবরাহ করতে আমরা বদ্ধপরিকর। কুইক ডেলিভারি এবং গ্রাহক সেবার দিকে আমরা সর্বাধিক গুরুত্ব প্রদান করব।
শামীমা নাসরিন বলেন, আমরা ইভ্যালিকে সর্বোচ্চ বিনিয়োগ বান্ধব ই-কমার্স তৈরির লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি। আমরা পূর্বের সকল অর্ডার ডেলিভারি করতে কাজ করে যাচ্ছি। ইভ্যালির হাত ধরে সম্ভাবনাময় এই খাতকে এগিয়ে নিয়ে দেশের জিডিপি সমৃদ্ধি, বেকারত্ব দূরীকরণ এবং নতুন নতুন উদ্যোক্তা তৈরিতে অবদান রাখবে সেই লক্ষ্যেই কাজ করে যাব। আমাদের গতি বেগবান করতে ও ইভ্যালিকে আরও শক্তিশালী করতে আমাদের প্রাক্তন সিইও রাসেলের দ্রুত মুক্তি কামনা করছি।
গত বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ইভ্যালির সিইও মোহাম্মদ রাসেল ও তার স্ত্রী শামীমাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।
ইভ্যালির মালিকদের বিরুদ্ধে কয়েকশ’ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে। একজন ভুক্তভোগী তাদের বিরুদ্ধে মামলা করার পর তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
চলতি বছরের ৬ এপ্রিল জামিন পান শামীমা।
আরও পড়ুন: নতুন করে ইভ্যালি চালু করতে আদালতে আবেদন
চট্টগ্রামে ইভ্যালির সাবেক সিইও ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা
২ বছর আগে
১৫ অক্টোবর থেকে নতুন পণ্য বিক্রিতে যেতে পারে ইভ্যালি
ইভ্যালির সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মের প্রাক্তন চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন ১৫ অক্টোবর থেকে পণ্য বিক্রির জন্য একটি নতুন প্রচার শুরু করার ইঙ্গিত দিয়েছেন।
সম্প্রতি তিনি বলেন, ‘যদি আমরা ব্যবসা শুরু করতে পারি, আমরা এগিয়ে যেতে পারব। আমরা প্রথম দিন থেকেই লাভে পণ্য বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
শামীমা বলেন, ইভ্যালি এক বছর নিরবচ্ছিন্নভাবে ব্যবসা চালাতে পারলে ঋণ পরিশোধ করা সম্ভব হবে।
তিনি গ্রাহকদের ইভ্যালিতে বিশ্বাস রাখার আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: ইভ্যালির সিইও রাসেলের জামিন মঞ্জুর
শামীমা বলেন, ‘আমাদের অপারেশন পরিচালনার জন্য হাইকোর্ট কর্তৃক নিযুক্ত দুইজন স্বতন্ত্র পরিচালক আছেন।’
যেকোনো শর্তে রাসেলের জামিন চাইবেন বলে জানিয়ে তিনি বলেন, ইভ্যালির জন্য এগিয়ে যাওয়া প্রয়োজন।
ইভ্যালি বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে কত টাকা পেয়েছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমাদের গ্রেপ্তারের পর অনেক বিনিয়োগকারী আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল। এখন আবার ব্যবসা শুরু করলে নতুন বিনিয়োগকারী আসবে।’
ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে শামীমা বলেন, ইভ্যালির ৪৫ লাখ ক্রেতা ও ৩০ হাজার বিক্রেতা (ব্যবসায়িক সহযোগী) তাদের দৈনন্দিন প্রয়োজনে নিয়মিত পণ্য ক্রয় করলে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ আনা সহজ হবে।
তিনি বলেন, জামিনে মুক্তির পর সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে হলফনামার মাধ্যমে চার শতাধিক বিক্রেতা ইভ্যালিকে নতুন পণ্যে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন।
ক্রেতা-বিক্রেতাদের স্বার্থ রক্ষায় সরকারের নিবিড় তত্ত্বাবধানে ইভ্যালি পরিচালনার জন্য পাঁচ সদস্যের একটি পরিচালনা পর্ষদ গঠন করেছে হাইকোর্ট।
ইভ্যালির সাবেক চেয়ারম্যান বলেন, ই-ক্যাবের মোহাম্মদ সাহাব উদ্দিন শিপন এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব ড. কাজী কামরুন নাহার বোর্ডে রয়েছেন।
শামীমা বলেন, ‘আমরা ক্যাশ অন ডেলিভারি, পিক অ্যান্ড পে এবং ডেলিভারির আগে নগদ পণ্য বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ইভ্যালি লাভ ছাড়া একটি পণ্যও বিক্রি করবে না।’
আরও পড়ুন: নতুন করে ইভ্যালি চালু করতে আদালতে আবেদন
চট্টগ্রামে ইভ্যালির সাবেক সিইও ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা
২ বছর আগে
নতুন করে ইভ্যালি চালু করতে আদালতে আবেদন
ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালি পুনরায় চালু করতে আদালতের মাধ্যমে গঠিত বোর্ডের কাছে আবেদন করেছেন কোম্পানির সাবেক চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন। আবেদনে তিনি নিজেকে এবং তার মা ও বোনের স্বামীকে পরিচালনা বোর্ডে অন্তর্ভুক্ত করতে বলেছেন।
বুধবার হাইকোর্টের বিচারপতি মো. খুরশীদ আলম সরকারের একক কোম্পানি বেঞ্চে এ আবেদন করেন অ্যাডভোকেট আহসানুল করিম।
তিনি বলেন, এ ছাড়া হাইকোর্টে আরেকটি আবেদন দায়ের করা হয়েছে। এ আবেদনে মো. রাসেল ও শামীমা নাসরিনকে যেন অযথা মামলা দিয়ে হয়রানি না করা হয়, তার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। এছাড়া ই-ভ্যালি পুনরায় চালু করতে পারলে পাওনাদারদের পাওনা পরিশোধ করা হবে বলেও আবেদনকারী তার আবেদনে উল্লেখ করেছেন। আগামী রবিবার এ আবেদনের ওপর শুনানি হতে পারে।
আরও পড়ুন: ইভ্যালির সম্পত্তি যে কোন স্বনামধন্য ফার্ম দিয়ে অডিট করতে নির্দেশ
প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ এনে গত বছর ১৫ সেপ্টেম্বর আরিফ বাকের নামের এক গ্রাহক গুলশান থানায় ইভ্যালির মো. রাসেল ও তার স্ত্রী শামীমা নাসরিনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। পরদিন বিকালে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের স্যার সৈয়দ রোডের বাসা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে র্যাব। এরপর ইভ্যালির অবসায়ন চেয়ে এক গ্রাহকের করা আবেদনের শুনানি নিয়ে গত বছর ২২ সেপ্টেম্বর ইভ্যালির সব ধরনের সম্পদ বিক্রি এবং হস্তান্তরে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। এছাড়া আদালত কেন ইভ্যালিকে অবসায়ন করা হবে না তা জানতে একটি নোটিশ ইস্যু করেন। এরপর ওই বছর ১৮ অক্টোবর ইভ্যালির ব্যবস্থাপনায় আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরীর নেতৃত্বে (চেয়ারম্যান) পাঁচ সদস্যের একটি বোর্ড গঠন করেন হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন: ইভ্যালির প্রতারণার মামলা: তাহসান খানের ৬ সপ্তাহের আগাম জামিন
গত ১৯ এপ্রিল ইভ্যালির অবসায়ন চেয়ে করা রিট মামলায় পক্ষভুক্ত হতে সংস্থাটির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনের আবেদন গ্রহণ করেন হাইকোর্ট। আদালত আদেশে বলেন, এখন থেকে এ রিট মামলায় শামীমা নাসরিন ১৫ নম্বর বিবাদী হিসেবে গণ্য হবেন। এরপর গত ২২ এপ্রিল শামীমা নাসরিন জামিনে গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার থেকে মুক্তি পান।
এছাড়া গত ২১ এপ্রিল চেক প্রতারণার ৯ মামলায় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. রাসেলকে জামিন দেন আদালত। ওই দিন ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত থেকে জামিন পান তিনি। তবে তার বিরুদ্ধে আরও মামলা থাকায় কারামুক্ত হতে পারেননি রাসেল।
২ বছর আগে
চট্টগ্রামে ইভ্যালির সাবেক সিইও ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা
প্রতারণার অভিযোগে ই-কমার্স ভিক্তিক প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির সাবেক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোহাম্মদ রাসেল এবং তার স্ত্রী ও প্রতিষ্ঠানটির সাবেক চেয়ারম্যান মোছা. শামীমা নাসরিনের বিরুদ্ধে চট্টগ্রামের আদালতে মামলা করা হয়েছে।নগরীর চকবাজার থানার ডিসি রোডের ব্যবসায়ী চৌধুরী নাঈম সরোয়ার বাদী হয়ে মঙ্গলবার (৫ জুলাই) দুপুরে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জুয়েল দেবের আদালতে মামলাটি দায়ের করেন। আদালত মামলাটি গ্রহণ করে আসামিদের বিরুদ্ধে সমন জারি করেছেন।বাদির আইনজীবী অ্যাডভোকেট আবুল হাসনাত মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, পণ্য ক্রয়ে লোভনীয় অফারে প্রতারিত হয়ে এবং চেক ডিজঅনারের অভিযোগে ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোহাম্মদ রাসেল এবং তার স্ত্রী প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন করা হয়। আদালত অভিযোগ আমলে নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে সমন জারি করেছেন।মামলার এজাহারে অভিযোগ আনা হয়, চৌধুরী নাঈম সরোয়ার ইভ্যালির বিজ্ঞাপন দেখে প্রভাবিত হয়ে এক লাখ ৬০ হাজার টাকার মোটরসাইকেল অর্ডার দেন। কিন্তু দীর্ঘসময়ে তার কাছে কোনো মোটরসাইকেল সরবরাহ করা হয়নি। পরে ইভ্যালির অফিস থেকে একটি চেক দেয়া হয়। চেকটি ব্যাংকে জমা দিলে প্রত্যাখ্যাত হয়।বুধবার (১৫ ডিসেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাদ্দাম হোসেনের আদালতে চেক প্রতারণার অভিযোগে চট্টগ্রামের ব্যবসায়ী মো. ফারুক বাদী হয়ে মামলা দুটি দায়ের করেন।এর আগে গত বছরের ১৫ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাদ্দাম হোসেনের আদালতে চেক প্রতারণার অভিযোগে চট্টগ্রামের আরেক ব্যবসায়ী একই আসামিদের বিরুদ্ধে দুটি মামলা করেছিলেন।উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে যাত্রা শুরু করে মাত্র আড়াই বছরের মাথায় সরবরাহকারী কোম্পানি ও গ্রাহকদের কাছে ৫৪৩ কোটি টাকার দায়ে পড়ে ইভ্যালি। এত অল্প সময়ে বিপুল টাকা কোথায় গেল, তার হদিস এখনও মেলেনি। ২০২১ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর বিকালে রাজধানীর মোহাম্মদপুরে ইভ্যালির এমডি রাসেলের বাসায় অভিযান চালায় র্যাব। অভিযান শেষে এ দম্পতিকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর তাদের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগে একাধিক মামলা করেন ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহকরা। বর্তমানে তারা কারাগারে আছেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ইভ্যালির সিইও ও চেয়ারম্যানসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা
স্বজনসহ ইভ্যালির রাসেলের ব্যাংক হিসাব জব্দের নির্দেশ
২ বছর আগে