ধর্ম
শ্রীমঙ্গলে জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সম্প্রীতির র্যালি ও মানববন্ধন
জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে বৈষম্যহীন,অহিংস ও শান্তি সম্প্রীতির বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার নিয়ে শ্রীমঙ্গলে র্যালি ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (১৯ আগস্ট) দুপুরে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলায় রুপান্তর আস্থা প্রকল্পের যুব ফোরামের সদস্যরা র্যালি ও মানববন্ধনের আয়োজন করে।
আরও পড়ুন: পেনশন স্কিম: বাকৃবিতে মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের মানববন্ধন
র্যালিতে অংশগ্রহণ করে যুব ফোরামের সদস্য চা শ্রমিক, কলেজের শিক্ষার্থী, উন্নয়নকর্মী, ধর্মীয়নেতাসহ সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। র্যালিটি শ্রীমঙ্গল চৌমোহনা থেকে শুরু করে কলেজ রোডে শেষ হয়।
জেলা নাগরিক প্ল্যাটফর্মের সদস্য পরিমল সিং বাড়াইক বলেন, ‘শ্রীমঙ্গলে নানা জাতিগোষ্ঠী ও ধর্মের মানুষের বসবাস। এরা সবাই এক হয়ে মিলেমিশে থাকার অঙ্গীকার করেছেন।’
ইমাম মো. ফুরকান মিয়া বলেন, ‘শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রাখতে হলে সব ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে ঐক্য সৃষ্টি করতে হবে। দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।’
কলেজ শিক্ষার্থী মো. আরিফ বকস বলেন, ‘সব জাতি গোষ্ঠী, ধর্ম বর্ণের মানুষেরা একই রক্তে মাংসে গড়া। সকলে একটি বৈষম্যহীন, অহিংস বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার করেন।’
জেলার নাগরিক প্ল্যাটফর্মের সদস্য পরিমল সিং বাড়াইক, যুব ফোরামের আহ্বায়ক মো. আফজাল হোসেন, কলেজ শিক্ষার্থী মো. আরিফ বকস, মসজিদের ইমাম মো. ফুরকান মিয়া ও সদর উপজেলার যুব ফোরামের আহ্বায়ক ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মৌলভী বাজার জেলার নেতা শিপন দেবসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনায় নরসিংদীতে মানববন্ধন
৪ মাস আগে
পারস্পরিক সহমর্মিতা-বিশ্বাসের উপর ভিত্তি করে দেশকে এগিয়ে নিতে হবে: মোমেন
পারস্পরিক সহমর্মিতা ও বিশ্বাসের উপর ভিত্তি করে দেশকে এগিয়ে নিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
তিনি বলেন, সব মানুষ এক মহান সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ জীব। সব ধর্মের অনুসারীদের মধ্যে পারস্পরিক সহমর্মিতা ও বিশ্বাসের উপর ভিত্তি করে দেশকে এগিয়ে নিতে হবে।
শনিবার (২৫ নভেম্বর) সিলেট জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট আয়োজিত পুরোহিত ও সেবাইত সম্মেলন ২০২৩- এ প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন মোমেন।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগ দেশের উন্নয়নকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
মন্ত্রী বলেন, মানবতাকে আমাদের সবকিছুর উপরে স্থান দিতে হবে।
এক ধর্ম সম্পর্কে অন্য ধর্মের অনুসারীদের জানা ও বোঝার চেষ্টা বাড়ানোর উপর গুরুত্বারোপ করে মোমেন বলেন, এই দেশ সবার। আমরা সবাইকে নিয়েই বঙ্গবন্ধুর উন্নত সমৃদ্ধ ও অসাম্প্রদায়িক সোনার বাংলা গড়তে চাই।
ধর্মীয় ও আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপটে পুরোহিত ও সেবাইতদের দক্ষতা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্পের পরিচালক অধ্যাপক শিখা চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ছিলেন ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সচিব মু. আ. হামিদ জমাদ্দার, সিলেটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) হোসাইন মো. আল-জুনায়েদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুদীপ দাশ, হিন্দু কল্যাণ বোর্ডের ট্রাস্টি অশোক মাধব রায় ও ইঞ্জিনিয়ার পি. কে. চৌধুরী এবং হিন্দু কল্যাণ বোর্ডের সচিব ড. কৃষ্ণেন্দু কুমার পাল।
আরও পড়ুন: যথাসময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, পেছানো হবে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
নির্বাচন কেন্দ্রিক সহিংসতা বন্ধে সব দলকে আন্তরিক হতে হবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
১ বছর আগে
বাংলাদেশে সব ধর্মের নাগরিকের অধিকার সমান: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন বলেছেন, বাংলাদেশে সব ধর্মের নাগরিকের অধিকার সমান। সব সম্প্রদায়ের মানুষ কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে একসঙ্গে লড়াই করে আমরা বাংলাদেশকে স্বাধীন করেছি। সবাই একসঙ্গে থাকলে আমরা সব ক্ষেত্রে অবশ্যই সফল হব।
সোমবার (২৩ অক্টোবর) সন্ধ্যায় রাজধানীর বনানীতে কামাল আতাতুর্ক পার্কে পূজামণ্ডপ পরিদর্শনকালে এসব কথা বলেন ড. মোমেন।
আরও পড়ুন: আমরা এগুলোকে গুরুত্ব দিই না: বিএনপির কর্মসূচি সম্পর্কে পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা আনন্দিত এজন্য যে সমাজের দুষ্ট লোকগুলোকে পরাজিত করেছি। শুধু পূজার সময় না, সারা বছরই আমাদের সতর্ক থাকতে হবে যাতে এই দুষ্ট লোকগুলোর আর কখনো উত্থান না হয়।
এসময় ড. মোমেন সকলের সহযোগিতায় বাংলাদেশে একটি অসাম্প্রদায়িক অর্থনীতি প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হবে বলে আশা প্রকাশ করেন।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) উপাচার্য সত্য প্রসাদ মজুমদার ও পূজা উদযাপন কমিটির নেতৃবৃন্দ এসময় উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বিদেশিদের ‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’ চলচ্চিত্রটি দেখা উচিত: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
অশুভ শক্তিকে পরাজিত করে সুন্দর বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
১ বছর আগে
ধর্মের নামে নিরাপরাধ মানুষ হত্যার অনুমতি দেয় না ইসলাম: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের আলেম-উলামাদের ধর্মীয় কুসংস্কার, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ নির্মূলে তার সরকারকে সহযোগিতা করার আহ্বান জানিয়েছেন, যাতে কেউ ইসলামের ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে শিশুদের বিপথগামী করতে না পারে।
তিনি বলেন, ‘ধর্ম, কুসংস্কার, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ নির্মূলে আপনাদের সহযোগিতা চাই। আমরা বিশেষ করে আপনাকে সতর্ক থাকার জন্য অনুরোধ করছি যাতে আমাদের বাচ্চারা ভুল পথ অনুসরণ না করে।’
আরও পড়ুন: পাবনার ৯০ বছর বয়সী বৃদ্ধাকে বাড়ি দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ
রবিবার (১৩ আগস্ট) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) আয়োজিত জাতীয় হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতা ২০২৩ এর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি শান্তির ধর্ম ইসলামের মর্যাদা রক্ষার জন্য দেশের ইসলামিক স্কলারদের প্রতি আহ্বান জানান।
সন্তানরা কোথায় যায় এবং কার সঙ্গে মেলামেশা করে তা দেখার জন্য মা-বাবা ও অভিভাবকদের প্রতি অনুরোধ করেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, বিশ্বের গুটিকয়েক মানুষের সন্ত্রাস ও জঙ্গি তৎপরতার কারণে শান্তির ধর্ম ইসলামের বদনাম হচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘এই সন্ত্রাসীরা ইসলামের নামে পরিচিত হবে এটা আমার কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। সবচেয়ে দুঃখের বিষয় হলো, মুষ্টিমেয় কিছু লোক আমাদের ধর্মকে জঙ্গি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাতে ব্যবহার করে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি জানেন না যে তাদের কে শিখিয়েছে কেউ মানুষকে হত্যা করলে সে স্বর্গে যেতে পারে।
তিনি বলেন, ‘এটা কোরানের কোথাও লেখা নেই এবং নবী (সা.)ও বলেননি। বিদায়ী হজের ভাষণে তিনি মুসলমানদের সব ধর্মের প্রতি সহনশীলতা প্রদর্শনের আহ্বান জানান। এটি ইসলামের মর্মকথা।’
তিনি বলেন, বিচার দিবসে একমাত্র আল্লাহই সর্বোচ্চ বিচারক হবেন।
আরও পড়ুন: বিএনপি-জামায়াতের পেছনে কোনো বৈশ্বিক শক্তি নেই: প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘আল্লাহ কাউকে চূড়ান্ত বিচারের দায়িত্ব দেননি। রাসুল (সা.) কাউকে বলেননি। তাহলে নিরপরাধ মানুষকে হত্যা করে বেহেশতে যাবে কীভাবে? বলা হয়, আপনি যদি নিরপরাধ মানুষকে হত্যা করেন তবে আপনি নরকে যাবেন।’
তিনি বলেন, ইসলামে আত্মহত্যা করা মহাপাপ। ইসলামে বলা হয়, যদি তুমি আত্মহত্যা কর তাহলে বেহেস্তে যেতে পারবে না।
তরুণ শিশু-কিশোরদের সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ থেকে দূরে রাখতে সবার প্রতি আহ্বান জানান শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘তারা বিশ্বাস করে আত্মঘাতী হামলায় মানুষ হত্যা করে তারা স্বর্গে যাচ্ছে। তাদের অবশ্যই এই পথ থেকে বাধা দিতে হবে।’
ধর্মের নামে সন্ত্রাসের তীব্র নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেন, সন্ত্রাসীরা সব ধর্মের লেবাস ব্যবহার করে। ‘সন্ত্রাসীরা সন্ত্রাসী। তাদের কোনো ধর্ম নেই, দেশ নেই। সন্ত্রাসবাদই তাদের ধর্ম।’
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান, ধর্মবিষয়ক সচিব মো. এ হামিদ জমাদ্দার প্রমুখ, পিএইচপি গ্রুপের চেয়ারম্যান সুফি মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, বাংলাদেশ কওমি মাদ্রাসা বোর্ডের মহাপরিচালক মাওলানা উবায়দুর রহমান খান নদভী এবং চট্টগ্রামের মাওলানা সালাহউদ্দিন নানোপুরী প্রমুখ।
সবাইকে ধন্যবাদ দেন দ্বিনি সেবা ফাউন্ডেশনের প্রধান পৃষ্ঠপোষক এম আবুল কালাম আজাদ। এর আগে প্রধানমন্ত্রী প্রতিযোগিতায় বিজয়ী পাঁচজনের মধ্যে পাঁচটি পুরস্কার বিতরণ করেন।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আল-কায়েদার হাতে অপহৃত জাতিসংঘের বাংলাদেশি কর্মকর্তার সাক্ষাৎ
১ বছর আগে
দেশে সব ধর্মের মানুষ স্বাধীনভাবে বসবাস করে: পার্বত্যমন্ত্রী
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং বলেছেন, বাংলাদেশে সব ধর্মের মানুষ স্বাধীনভাবে বসবাস করে।
তিনি বলেন, ‘খারাপ মানুষ কোনো দল বা ধর্মের নয়। সমাজে যারা অপরাধী ও সন্ত্রাসী তাদের কোনোভাবেই রেহাই দেওয়া হবে না। সরকার কোনোভাবেই এ ধরনের খারাপ লোকদের বরদাস্ত করবে না।’
বৃহস্পতিবার পিআইডির এক প্রেস নোটে জানানো হয়েছে, বান্দরবান সদরের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে এক পূজা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে সব ধর্মের মানুষ একসঙ্গে থাকবে এটাই বঙ্গবন্ধুর নীতি, লক্ষ্য ও আদর্শ।
মারমা সম্প্রদায়ের অন্যতম প্রধান ঐতিহ্যবাহী অনুষ্ঠান সাংগ্রাই উদযাপনের জন্য উশৈসিং সেখানে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রায় অংশ নেন। মিছিলটি বান্দরবান রাজার মাঠ থেকে শুরু হয়ে বান্দরবান শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট প্রাঙ্গণে এসে শেষ হয়।
সাংগ্রাই হলো বাংলাদেশি মারমা এবং রাখাইন জাতিগোষ্ঠীর নববর্ষ উদযাপনের নাম, যা প্রতি বছর ১৩ থেকে ১৫ এপ্রিল পালিত হয়।
পার্বত্য চট্টগ্রাম মন্ত্রী নতুন বছরকে (বাংলা বছর) স্বাগত জানিয়ে বিগত বছরকে বিদায় জানিয়ে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।
এ সময় ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর নেতারা ও জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
১ বছর আগে
দেশের সব ধর্মের অধিকার সমুন্নত রেখেছে আ.লীগ সরকার: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশের সব ধর্মের অনুসারীদের অধিকার নিশ্চিত করতে আওয়ামী লীগ সব সময় কাজ করে যাচ্ছে।
বুধবার বাংলাদেশ হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের নেতারা তার সরকারি বাসভবন গণভবনে তার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তিনি একথা বলেন।
আরও পড়ুন: শ্রীলঙ্কার সঙ্গে সম্পর্ককে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয় বাংলাদেশ: প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ যখনই সরকার গঠন করে তখনই সব ধর্মীয় বিশ্বাসের মানুষের অধিকার নিশ্চিত করতে কাজ করে।
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি কে এম শাখাওয়াত মুন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
শেখ হাসিনা পুনর্ব্যক্ত করেন যে ধর্ম ব্যক্তির কিন্তু উৎসব সবার।
তিনি প্রতিনিধি দলকে বলেন, তার সরকার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ ও একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।
বৈঠকে বাংলাদেশ হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রানা দাস গুপ্তের নেতৃত্বে নেতারা বলেন, বর্তমানে দেশে চাকরি, নিয়োগ, পদোন্নতির মতো সব ক্ষেত্রে বৈষম্য দূর হয়েছে।
তারা প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান কারণ বিভিন্ন ধর্মের মানুষ নির্বিঘ্নে তাদের ধর্মীয় রীতি অনুসরণ করছে।
এ সময় প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ও আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া এবং কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নির্মল কুমার চ্যাটার্জি উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ইরান-বাংলাদেশ বাণিজ্য প্রসারে একত্রে কাজ করার আহ্বান বাণিজ্যমন্ত্রীর
ডা. জাফরুল্লাহ অত্যন্ত স্পষ্টবাদী, দুঃশাসন ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন: বিএনপি
১ বছর আগে
ধর্ম নিয়ে অপপ্রচার চালিয়ে সরকারকে বিপদে ফেলার চেষ্টা: রেলপথমন্ত্রী
রেলপথমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, নির্বাচন এলে ধর্মকে কেন্দ্র করে সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রপাগান্ডা চালিয়ে সরকারকে বিপদে ফেলার চেষ্টা করা হয়।
তিনি বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়ও একই কাজ করা হয়েছে। এসব কাজে বিএনপি ও জামায়াত প্রত্যক্ষভাবে জড়িত থাকে। তারা নানা ইস্যু তৈরি করে দেশকে অস্থিতিশীল করতে চায়।
বুধবার (১৫ মার্চ) দুপুরে পঞ্চগড় পৌরসভার আহমদনগর এলাকায় সালানা জলসা মাঠে আহমদিয়া সম্প্রদায়ের সালানা জলসাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ঘে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারদের সহায়তা দেয়ার সময় তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: চালুর দিনই পদ্মা সেতু দিয়ে ট্রেন চলবে: রেলপথমন্ত্রী
মন্ত্রী বলেন, হামলাকারীরা ট্রাফিক পুলিশের অফিসে হামলা করে আগুন ধরিয়ে দেয়। সরকারি বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা করে ক্ষতিসাধন করে। ডিসি এবং এসপি অফিসে হামলার চেষ্টা করে। প্রশাসন তৎপর ছিল বলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কম হয়েছে।
এ সময় হামলার ঘটনায় নিরীহ মানুষদের যেন হয়রানি করা না হয় সেবিয়ে পুলিশকে খেয়াল রাখতে বলেন মন্ত্রী।
এছাড়া এ ঘটনায় জড়িতদের শনাক্তে প্রশাসনকে সহায়তা করতে গণমাধ্যমকর্মীদের আহ্বান জানান রেলপথমন্ত্রী।
মানবিক সহায়তা অনুষ্ঠানে পঞ্চগড়ের জেলা প্রশাসক জহুরুল ইসলামের সভাপতিত্বে এসময় বক্তব্য দেন পঞ্চগড়-১ আসনের সংসদ সদস্য মজাহারুল হক প্রধান, আহমদিয়া সম্প্রদায়ের জামিয়া আহমদিয়ার অধ্যক্ষ মোবাশ্বের উর রহমান প্রমুখ।
এছাড়া পঞ্চগড়ের পুলিশ সুপার এসএম সিরাজুল হুদা, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার সাদাত সম্রাট, কৃষক লীগ নেতা আব্দুল লতিফ তারিন প্রমুখ।
এসময় জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং জেলা আওয়ামী লীগের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরাসহ ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
পরে মন্ত্রী পঞ্চগড় সদর ও বোদা উপজেলার ২০৬ জনের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর মানবিক সহায়তার এক কোটি টাকার চেক বিতরণ করেন।
এরমধ্যে পঞ্চগড় সদর উপজেলায় ১০৮ জন এবং বোদা উপজেলায় ৯৮ জন।
বিতরণকৃত টাকার মধ্যে সবোর্চ্চ পাঁচ লাখ ২৬ হাজার ৩৬৬ এবং সর্বনিম্ন চার হাজার ৮০০ টাকা ক্ষয়ক্ষতির আনুপাতিক হারে বিতরণ করা হয়।
আরও পড়ুন: আধুনিক রেলওয়ে ব্যবস্থা করতে চান প্রধানমন্ত্রী: কুড়িগ্রামে রেলপথমন্ত্রী
চট্টগ্রামবাসী না চাইলে সিআরবিতে হাসপাতাল হবে না: রেলপথমন্ত্রী
১ বছর আগে
আজ পবিত্র শবে বরাতের রাত
যথাযোগ্য ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে মঙ্গলবার (৭ মার্চ) দিবাগত রাতে দেশে পালিত হবে সৌভাগ্য ও ক্ষমার রজনী পবিত্র শবে বরাত।
আরবি শাবান মাসের ১৫তম রাতে এটি পালিত হয়।
আরবি শব-ই-বরাত অর্থ ভাগ্য রজনী। আরবি শাবান মাসের ১৫ তম রজনীতে এটি পালিত হয়। মুসলিম ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে, এ রাতে আল্লাহ তায়ালা তার সকল সৃষ্টির অতীত আমলের হিসাব নিয়ে আগামী বছরের জন্য তাদের ভাগ্য লিপিবদ্ধ করেন।
মুসলিম ধর্ম বিশ্বাসীরা আজকে সারা রাত নামাজ পড়েন, পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করেন, নিজের ও সমগ্র মানবজাতির মঙ্গল কামনায় বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করেন।
তারা রাতের খাওয়ার জন্য বিভিন্ন ধরনের বিশেষ এবং ঐতিহ্যবাহী সুস্বাদু খাবার তৈরি করেন। যেমন- হাতে তৈরি রুটি, গরুর মাংস, হালুয়া ইত্যাদি।
পবিত্র শবে বরাত কে সামনে রেখে রাজধানীতে আতশবাজি ফোটানো নিষিদ্ধ করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।
ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক জানান, মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরদিন সকাল ৬টা পর্যন্ত ১২ ঘণ্টার এ নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে।
রাজধানীতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা, শবে বরাতের পবিত্রতা রক্ষা এবং পবিত্র ঈদুল ফিতর সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে পালন নিশ্চিত করতে এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতারসহ বেসরকারি টিভি চ্যানেল ও রেডিও গুলো দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে বিশেষ অনুষ্ঠানমালা সম্প্রচার করবে।
আবদুল হামিদ তার বাণীতে বলেন, পবিত্র রমজান মাস ও সৌভাগ্যের আগমনের মধ্য দিয়ে মানবজাতির মাঝে পবিত্র শবে বরাত এসেছে।
আরও পড়ুন: সায়েন্স ল্যাব ভবনে নাশকতার আলামত পাওয়া যায়নি: ডিএমপি কমিশনার
পবিত্র শবে বরাতে আমরা মহান আল্লাহর কাছে রহমত ও বরকত কামনার পাশাপাশি মুসলিম উম্মাহর অব্যাহত অগ্রগতি, কল্যাণ ও বৃহত্তর ঐক্য কামনা করছি। পবিত্র শবে বরাতের পূর্ণ ফজিলত আমাদের ওপর বর্ষিত হোক।
পবিত্র শবে বরাতে আমরা মহান আল্লাহর কাছে রহমত ও বরকত কামনার পাশাপাশি মুসলিম উম্মাহর অব্যাহত অগ্রগতি, কল্যাণ ও বৃহত্তর ঐক্য কামনা করছি। পবিত্র শবে বরাতের পূর্ণ ফজিলত আমাদের ওপর বর্ষিত হোক।
কোভিড-১৯ মহামারি এবং ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধের কারণে বিশ্ব যখন নানা সংকটে জর্জরিত, তখন তিনি বিত্তবানদের এগিয়ে আসার এবং দুস্থ ও দরিদ্রদের সহায়তায় এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, 'পবিত্র শবে বরাতের মহিমায় অনুপ্রাণিত হয়ে আমি সবাইকে মানবকল্যাণ ও জাতি গঠনে আত্মনিয়োগের আহ্বান জানাচ্ছি।’
তিনি সকল প্রকার অবিচার, সহিংসতা ও কুসংস্কার পরিহার করে ব্যক্তিগত, সামাজিক ও জাতীয় পর্যায়ে ইসলামের চেতনা প্রতিষ্ঠার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: ৩১ ডিসেম্বর রাতে উন্মুক্ত স্থানে অনুষ্ঠান করা যাবে না: ডিএমপি
১ বছর আগে
‘সকল ধর্মের মানুষের মেলবন্ধন আছে বাংলাদেশে’
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়কমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং বলেছেন, সকল ধর্মের মেলবন্ধন রয়েছে বাংলাদেশে। সব ধর্মের মানুষ এখানে শান্তিপ্রিয়ভাবে মিলেমিশে বসবাস করছে।
বুধবার বান্দরবান সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের প্রবারণা পূর্ণিমা উপলক্ষে বান্দরবান সদরের ১৪০টি বৌদ্ধ বিহারের প্রতিনিধিদের কাছে সরকারি অনুদান বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, হিন্দু সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পূজার শেষেই বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের প্রবারণা পূর্ণিমা এবং এর পরেই মুসলমানদের ঈদে মিলাদুন্নবী। সংবিধানে সব ধর্মের মানুষকে সমান অধিকার ভোগ করার কথা উল্লেখ আছে।
মন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রত্যেক ধর্মের কল্যাণে আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
মন্ত্রী আরও বলেন, প্রত্যেক ধর্মাবলম্বীরা পার্বত্য অঞ্চলে শান্তিপূর্ণভাবে উৎসব পালন করছে। সরকারি আইন শৃঙ্খলা বাহিনী সবসময় নিরাপত্তার কাজে তৎপর রয়েছে।
তিনি বলেন, এখানকার মানুষ স্বাচ্ছন্দে ও শান্তিপূর্ণভাবে নিজ নিজ ধর্মের উৎসব পালন করতে পারছে।
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর এসময় ৫০০ কেজি করে সরকারি চাল ১৪০টি বৌদ্ধ বিহারের প্রতিনিধিদের মাঝে বিতরণ করেন।
বান্দরবান সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাজিয়া আফরোজের সভাপতিত্বে এসময় অন্যান্যের মধ্যে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ডা. মো. শেখ ছাদেক, বান্দরবান সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ কে এম জাহাঙ্গীর, ভাইস চেয়ারম্যান য়ইসা প্রু উপস্থিত ছিলেন।
২ বছর আগে
শনিবার মহা ষষ্ঠীর মধ্যদিয়ে শুরু হচ্ছে শারদীয় দুর্গাপূজা
শনিবার (১ অক্টোবর) মহা ষষ্ঠীর মধ্যদিয়ে শুরু হচ্ছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। এ বছর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ৯টি উপজেলায় ৬০৫টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে।
গত বছরের তুলনায় এ বছর পূজা মণ্ডপের সংখ্যা বেড়েছে ২১টি।
জেলার সদর উপজেলায় ৭৮টি, নাসিরনগর উপজেলায় ১৫১টি, নবীনগরে ১৩৩টি, বিজয়নগর উপজেলায় ৫৭টি, সরাইল উপজেলায় ৪৯টি, কসবা উপজেলায় ৫৪টি, বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় ৪৭টি, আখাউড়া উপজেলায় ২২টি ও আশুগঞ্জ উপজেলায় ১৪টিসহ মোট ৬০৫টি মণ্ডপে পূজা করবে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা।
এদিকে পূজা শুরু হওয়ার শেষ লগ্নে মণ্ডপে-মণ্ডপে চলছে প্রতিমা সাজানোর কাজ। এছাড়াও বিভিন্ন মণ্ডপকে জাঁকজমকপূর্ণ করতে বর্ণিল সাজে তৈরি করা হচ্ছে প্যাণ্ডেলসহ বিভিন্ন অস্থায়ী ডেকোরেটেড স্থাপনা।
আরও পড়ুন: সিলেটে বিজিবির ধাওয়া খেয়ে পিকআপ ভ্যান উল্টে আহত ৫, গ্রেপ্তার ২
জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের নেতারা জানিয়েছেন, শান্তিপূর্ণ পরিবেশে পূজা সম্পন্নে প্রশাসনের সঙ্গে একাধিকবার মতবিনিময় হয়েছে। প্রশাসেন আমাদেরকে যেভাবে নির্দেশনা দিয়েছেন, সে আলোকেই এবং উৎসবমূখর পরিবেশে আমরা এই উৎসব পালন করবো।
জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম জানান, মণ্ডপগুলোর সার্বিক নিরপাত্তায় সিসিটিভি স্থাপনসহ সব ধরণের নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। সকলের সমন্বয়ে আনন্দমুখর পরিবেশে বৃহৎ এ উৎসব পালিত হবে বলে আমরা আশাবাদী।
আরও পড়ুন: কুমিল্লার পূজামণ্ডপে কোরআন অবমাননা: মামলার তদন্ত শেষ পর্যায়ে
২ বছর আগে