সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
৫ দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা যশোরে
৫২ বছরের মধ্যে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে যশোরে।
মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) দুপুরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়।
আরও পড়ুন: তাপমাত্রা ছাড়িয়েছে ৪৩ ডিগ্রি, লোডশেডিং রেকর্ড ৩২০০ মেগাওয়াট
এর আগে, সোমবার (২৯ এপ্রিল) যশোরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছিল।
যশোর বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান বিমান ঘাঁটির আবহাওয়া সূত্র জানায়, মঙ্গলবার দুপুর ২টায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এদিন, শহরের রাস্তায় খুব কম লোকজন চলাচল করতে দেখা গেছে। তবে তীব্র তাপদাহে থেমে নেই শ্রমজীবী ও সাধারণ মানুষের জীবন।
এই দিন রাস্তার তাপ দাহ কমাতে যশোর পৌরসভার পক্ষ থেকে গাড়িতে করে পানি রাস্তায় সেটাতে দেখা গেছে।
তীব্র তাপদাহ থেকে একটু মুক্তি পেতে অনেকই পানি পান করতে ও হাতে মুখে পানি ছিটিয়ে একটু স্বস্তি পাওয়ার জন্য চেষ্টা করতে দেখা যায়।
এছাড়াও এই তীব্র তাপদাহের মধ্যে ও শহর ও শহরতলীতে মাঠে ধান কাটা ও বহনে ব্যস্ত সময় কাটছে কৃষক ও শ্রমজীবী মানুষের।
স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালের ১৮ মে রাজশাহীতে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৫ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছিল।
এটিই এখন পর্যন্ত দেশের নথিভুক্ত ইতিহাসের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।
এই হিসেবে ১৯৭২ সালের পর ৫২ বছরের মধ্যে মঙ্গলবার যশোরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়।
আরও পড়ুন: ৪৩ ডিগ্রিও ছাড়িয়ে গেল পাবনার তাপমাত্রা!
২৫ বছরের ইতিহাসে খুলনায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪১.৮ ডিগ্রির রেকর্ড, সতর্কতা জারি
৬ মাস আগে
চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ৭ ডিগ্রি
প্রকৃতি পুড়ছে তীব্র থেকে অতি তীব্র তাপপ্রবাহে। ঘরে ও বাইরে কোথাও স্বস্তি নেই। একটানা অসহ্য গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে চুয়াডাঙ্গার মানুষ।
বিশেষ করে শিশুদের নিয়ে জনজীবন অস্থির হয়ে পড়ছে।
এরই মধ্যে শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) বিকালে চুয়াডাঙ্গায় মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪২ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ১১ শতাংশ।
আরও পড়ুন: পাবনার তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি
এছাড়া বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) ৪২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। এর আগে মঙ্গলবার (২৪ এপ্রিল) মধ্যরাতে ২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হলেও গরম কিন্তু কমেনি।
চুয়াডাঙ্গা কোর্টপাড়ার বাসিন্দা ইমরান শেখ বলেন, প্রচণ্ড গরমের কারণে কিছুই করা যাচ্ছে না। বিকাল হলেই আকাশ মেঘলা হয়ে আসে। কিন্তু আবার সেই সকাল হয়, তখন প্রচণ্ড রোদে অসহ্য গরম অনুভূত হয়।
চা বিক্রেতা শাহজালাল বলেন, এই গরমে বিক্রি কম। প্রচুর মানুষ আমার দোকানের বেঞ্জে শুয়ে-বসে সময় কাটাচ্ছে। তাড়াতাড়ি এই গরম কমুক।
চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ইনচার্জ জামিনুর রহমান বলেন, শুক্রবার বিকালে চুয়াডাঙ্গায় ৪২ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। যেটা এই মৌসুমের সর্বোচ্চ এবং দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। আর এই অসহ্য গরম অনুভূতি হওয়ার কারণ বাতাসে জলীয় বাষ্প বেশি। এ পরিস্থিতি থাকবে আরও কয়েকদিন। আপাতত বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। এছাড়া চুয়াডাঙ্গা জেলার অবস্থান কর্কটক্রান্তি রেখার কাছাকাছি হওয়ায় প্রতি বছর এপ্রিলে তাপমাত্রা স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি থাকে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী, সাধারণত তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে তা মৃদু তাপপ্রবাহ। তাপমাত্রা যদি ৩৮ থেকে ৩৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকে, তবে তাকে বলা হয় মাঝারি তাপপ্রবাহ।
আর তাপমাত্রা ৪০ থেকে ৪১ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকলে তা হয় তীব্র বা প্রচণ্ড তাপপ্রবাহ। আর ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা হলে তা হয় চরম বা অতি তীব্র তাপপ্রবাহ।
এদিকে, এই ধারাবাহিক তাপপ্রবাহে জনজীবনে অস্বস্তি আর ভোগান্তি নেমে এসেছে। এই তাপমাত্রায় অতিষ্ঠ সব শ্রেণি-পেশার মানুষ।
এদিকে, গরমের কারণে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে গরমজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।
সদর হাসপাতালের ডায়রিয়া ও শিশু ওয়ার্ডসহ বিভিন্ন ওয়ার্ডে গরমজনিত কারণে ২৫০ এর বেশি রোগী ভর্তি রয়েছেন।
এ অবস্থায় অতি প্রয়োজনীয় কাজ ছাড়া বাইরে বের না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন চুয়াডাঙ্গার ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা. আউলিয়ার রহমান।
তিনি বলেন, বেশি বেশি পানি ও ফলমূল খেতে হবে। তীব্র দাবদাহে হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি থাকে। তাই যতটা সম্ভব ঠান্ডা স্থানে থাকতে হবে।
তিনি আরও বলেন, হাসপাতালে শিশু রোগীসহ ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। তাপমাত্রা কমে এলে রোগীর সংখ্যা কমে যাবে।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় রাতে বৃষ্টি দিনে সূর্যের চোখ রাঙানি, রেকর্ড তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ২ ডিগ্রি
তাপমাত্রা বৃদ্ধি: পিরোজপুরে এক সপ্তাহে হাসপাতালে ভর্তি ৫৬৮ ডায়রিয়া রোগী
৬ মাস আগে
টানা চতুর্থ দিনের মতো দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়
টানা চতুর্থ দিনের মতো দেশের ও মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায়। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) এ জেলায় ৪১ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে বলে জানিয়েছে চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার কর্তৃপক্ষ।
আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার সূত্র জানায়, এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ১৭ শতাংশ।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৩৮ দশমিক ২ ডিগ্রি, হিট অ্যালার্ট জারি
এর আগে বেশ কিছুদিন ধরে এ জেলার ওপর দিয়ে মাঝারি থেকে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এর আগে বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) বিকেল ৩টায় চুয়াডাঙ্গায় ৪০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। এছাড়াও গত বুধবার (১৭ এপ্রিল) ৪০ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত মঙ্গলবার বিকেলে ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।
অর্থাৎ গত মঙ্গলবার থেকে আজ শুক্রবার পর্যন্ত একটানা চার দিন দেশের ও মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায় রেকর্ড করা হচ্ছে।
এদিকে, টানা তাপপ্রবাহে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে চুয়াডাঙ্গাসহ এ অঞ্চলের জনজীবন। রোদের তাপের কারণে হাঁসফাঁস অবস্থা। অতি প্রয়োজন ছাড়া লোকজন তেমন বাইরে বের হচ্ছে না।
শোচনীয় অবস্থার মধ্যে রয়েছেন দিনমজুররা। কাজ না করলে পেটের বাত জুটে না। আবার তীব্র গরম ও কাঠফাঠা রোদে দুপুরের আগেই কাজ শেষ করে বাড়ি ফিরতে বাধ্য হচ্ছেন তারা।
চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরের ব্যাটারিচালিত পাখিভ্যানচালক আজগর হোসেন ও রিকশাচালক লিয়াকত আলী জানান, প্রচণ্ড তাপদাহের কারণে রোজার মাসে যাত্রী পাননি তারা। আবার সেই গরম শুরু হয়েছে একেবারেই যাত্রী নেই। সংসার চালানোই দায়।
চুয়াডাঙ্গা শহরের গুলশানপাড়ার বাসিন্দা লতিফুন নাহার বলেন, ‘প্রচণ্ড গরম পড়ছে। তাই বাচ্চা নিয়ে খুবই সমস্যায় আছি। ঘরের মধ্যে গরমে থাকা যায় না। জানি না কবে বৃষ্টির দেখা মিলবে। আবার ৩ বছর বয়সী বাচ্চাটাও গরমজনিত কারণে অসুস্থ হয়ে পড়েছে।’
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার মোমিনপুর এলাকার মুদি ব্যবসায়ী ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘কয়েক দিন ধরে যে তাপ উঠছে তাতে দোকানে বসার অবস্থা নেই। পুরো দোকান দিয়ে মনে হচ্ছে আগুনের ভাপ বের হচ্ছে। এরাম গরমে বেচাবিক্রি ক্যামনে হবে।’
চলমান দাবদাহে সব শ্রেণির মানুষকে সতর্ক করে পরামর্শ দিয়েছেন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আওলিয়ার রহমান। তিনি বলেন, তাপপ্রবাহের কারণে হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি থাকে। অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের না হতেও পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া বেশি বেশি পানি ও ফলমূল খেতে বলা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: মেহেরপুরে তীব্র গরম, তাপমাত্রা পৌঁছাতে পারে ৪০ ডিগ্রিতে
অপরদিকে, চলমান দাবদাহে ফসল রক্ষায় কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে চুয়াডাঙ্গা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক বিভাস চন্দ্র সাহা বলেন, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী আগামী আরও কিছুদিন তীব্র দাবদাহ অব্যাহত থাকতে পারে। এ সময় বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। এমতাবস্থায় ফল বিভাগ, উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট চাষিদের পরামর্শ দিচ্ছে।
চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের সিনিয়র আবহাওয়া পর্যবেক্ষক রকিবুল হাসান বলেন, আজ শুক্রবার বেলা ৩টায় ৪১ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এসময় বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ১৭ শতাংশ। এনিয়ে টানা চার দিন দেশের ও মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হলো চুয়াডাঙ্গায়।
তিনি আরও বলেন, আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার জন্য আবহাওয়া সতর্কবার্তা (হিট ওয়েভ এলার্ট) জারি করা হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমা জানান, এই তীব্র তাপপ্রবাহে স্বাস্থ্য সতর্কতায় নানা নির্দেশনা জানিয়ে তথ্য অফিসের মাধ্যমে প্রচার অব্যাহত রেখেছে জেলা প্রশাসন ও জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ।
এদিকে, একটু স্বস্তি পেতে ঠান্ডা শরবত, পানি, আইসক্রিম খেয়ে তৃষ্ণা মেটানোর চেষ্টা করতে দেখা গেছে সাধারণ মানুষকে। তিন-চার দিন আরও তাপমাত্রা বাড়ার শঙ্কা রয়েছে বলে জানায় আবহাওয়া অধিদপ্তর। আর বৃষ্টিপাত না হওয়ায় এর প্রভাব পড়তে শুরু করেছে জীব-বৈচিত্র্যের ওপর। এমন প্রচণ্ড গরমে নাভিশ্বাস চুয়াডাঙ্গাবাসীর।
আরও পড়ুন: দেশের বিভিন্ন অংশে বয়ে যাচ্ছে তাপপ্রবাহ, সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি
৭ মাস আগে
আজ দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা শ্রীমঙ্গলে
আজ মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) সকালে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে শ্রীমঙ্গলে। বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের নিয়মিত বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়।
অন্যদিকে, সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৪ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে কক্সবাজারে।
এছাড়া, আবহাওয়া অফিস আজ সকাল ৯টা থেকে পরের ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলেছে, রাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারা দেশে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে এবং তা কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।
এদিকে, কুয়াশার কারণে উড়োজাহাজ চলাচল, অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন ও সড়ক যোগাযোগে সাময়িকভাবে বিঘ্ন ঘটতে পারে এবং সারা দেশে রাত ও দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলে উল্লেখ করা হয়।
তাছাড়া, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে।
এদিকে, বুধবার ও বৃহস্পতিবার দেশের বিভিন্ন জায়গায় বৃষ্টি হতে পারে বলে আবহাওয়া অফিস পূর্বাভাসে বলেছে।
চলমান ঘন কুয়াশা ও শীতে বিশেষ করে উত্তরবঙ্গের জেলাসমূহের সাধারণ ও খেটে খাওয়া মানুষগুলো বেশ বিপাকে পড়েছেন। শিশু ও বয়স্করা কষ্ট পাচ্ছেন সবচেয়ে বেশি। হাসপাতালগুলোতে বেড়ে ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে আজ দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮.৫ ডিগ্রি
দেশে মৃদু শৈত্যপ্রবাহে বিপর্যস্ত দৈনন্দিন জীবন
১০ মাস আগে
চুয়াডাঙ্গায় আবারও টানা ৩ দিন দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
চৈত্রের দাবদাহের মতো এই বৈশাখের গরমেও অতিষ্ঠ জনজীবন। এখন বৈশাখী ঝড়-বৃষ্টির ছন্দে স্বস্তিতে ফেরার প্রার্থনা সবার।
প্রকৃতি পুড়ছে গ্রীষ্মের তাপদাহে। মৃদু থেকে অতি তীব্র তাপপ্রবাহে হাঁপিয়ে উঠেছে খেটে খাওয়া মানুষ। এছাড়া অসহনীয় গরম আর তাপদাহে বিমর্ষ প্রাণ-প্রকৃতি।
এদিকে সোমবার বিকালে চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। এসময় বাতাসের আদ্রতা ছিলো ৩৪ শতাংশ।
আরও পড়ুন: বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় রবিবার সকালে ঢাকা ৯ম
চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের সিনিয়র পর্যবেক্ষক রাকিবুল হাসান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
রাকিবুল হাসান বলেন, এ পরিস্থিতি থাকবে আরও কয়েকদিন। এ অঞ্চলে বৃষ্টির সম্ভাবনা আপাতত নেই।
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার মোমিনপুর বাজারের ভ্যানচালক লিপু মিয়া বলেন, ব্যাটারিচালিত চার্জার ভ্যান চালাতে কষ্ট নেই। কষ্ট এ রোদে যাত্রী নিয়ে যেতে।
আর বেশি তাপের কারণে মানুষ বের হয় না, এ জন্য আয় রোজগার কমে গেছে।
চুয়াডাঙ্গা আলী হোসেন মার্কেটের ইলেকট্রনিক মিস্ত্রি শিলন আলী বলেন, গরমে নাভিশ্বাস অবস্থা। মার্কেটে প্রচুর গরম থাকায় দিনের বেলা অনেকটা ফাঁকা থাকছে।
দিনমজুর সামসুল বলেন, এতো তাপদাহ সহ্য করা কঠিন। জমিতে বেশিক্ষণ কাজ করতে পারলাম না। এখন এই ছায়ায় বসে আছি। আজ কাজ শেষ করতে দেরি হবে।
রাস্তার পাশে বসে বেল ও কলা বিক্রেতা মুনছুর আলী বলেন, কোনো বিক্রি নেই। গাছের নিচে শুয়ে-বসে কাটাচ্ছি। এভাবে চললে সংসার চালানোই দায় হয়ে যাবে।
তরমুজ ও ডাব বিক্রেতা শামীম হোসেন বলেন, এতো গরম, তারপরও দিনের বিক্রি নেই। কিন্তু এই তাপদাহে দোকানে বসে থাকায় কষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
ব্যাটারিচালিত রিকশাচালক লিয়াকত জানান, গরমের কারণে দিনের বেলায় তেমন ভাড়া পাচ্ছি না। আর সন্ধ্যার পরও গরমের কারণে ভাড়া নেই।
আরও পড়ুন: উপসাগরীয় এলাকায় নিম্নচাপ; মৃদু তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে
১ বছর আগে
আজও দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়, ৪২.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস
চৈত্রের দাবদাহের মতো এই বৈশাখের গরমেও অতিষ্ঠ জনজীবন। এখন বৈশাখী ঝড়-বৃষ্টির ছন্দে স্বস্তিতে ফেরার প্রার্থনা সবার। দুই সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে প্রকৃতি পুড়ছে গ্রীষ্মের তাপদাহে।
মৃদু থেকে অতি তীব্র তাপপ্রবাহে হাঁপিয়ে উঠেছে খেটে খাওয়া মানুষ। অসহনীয় গরম আর তাপদাহে বিমর্ষ প্রাণ প্রকৃতি।
এদিকে চুয়াডাঙ্গায় টানা ১৫ দিন দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় ৫ দিন দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের সিনিয়র পর্যবেক্ষক রাকিবুল হাসান এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, বৃহস্পতিবার চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। এসময় বাতাসের আদ্রতা ছিল ১২ শতাংশ।
রাকিবুল হাসান বলেন, এ পরিস্থিতি থাকবে আরও কয়েকদিন। যদিও কোথাও কোথাও বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
তবে এ অঞ্চলে ২৩-২৪ এপ্রিলের আগে তেমন সম্ভাবনা নেই।
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার মোমিনপুর বাজারের ভ্যানচালক লিপু মিয়া বলেন, ব্যাটারি চালিত চার্জার ভ্যান চালাতে কষ্ট নেই। কষ্ট এ রোদে যাত্রী নিয়ে যেতে।
আর বেশি তাপের কারণে মানুষ বের হয় না, এ জন্য আয় রোজগার কমে গেছে।
চুয়াডাঙ্গা আলী হোসেন মার্কেটের ইলেকট্রনিক মিস্ত্রি শিলন আলী বলেন, গরমে নাভিশ্বাস অবস্থা। মার্কেটে প্রচুর গরম থাকায় দিনের বেলা অনেকটা ফাঁকা থাকছে। তবে ঈদের কারণে জুতা-কাপড়ের দোকানে ভিড় আছে।
দিনমজুর সামসুল বলেন, এতো তাপদাহ সহ্য করা কঠিন। জমিতে বেশিক্ষণ কাজ করতে পারলাম না। এখন এই ছায়ায় বসে আছি।
আজ কাজ শেষ করতে দেরি হবে।
রাস্তার পাশে বসে বেল ও কলা বিক্রেতা মুনছুর আলী বলেন, কোনো বিক্রি নেই। কাছে নিচে শুয়ে-বসে কাটাচ্ছি। এভাবে চললে সংসার চালানোই দায় হয়ে যাবে।
তরমুজ ও ডাব বিক্রেতা শামীম হোসেন বলেন, এতো গরম তারপরও দিনের বেলায় রোজার কারণে তেমন বিক্রি নেই। ইফতারীর আগমুহূর্তে বিক্রি বাড়বে। কিন্তু এই তাপদাহে দোকানে বসে থাকায় কষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
বেসরকারি চাকরিজীবী রত্না মালিক জানান, অফিস ছুটি বাড়িতে আছি। তবে কেনাকাটা করতে বের হতে পারছি না। সৃষ্টিকর্তা দ্রুত আবহাওয়া স্বাভাবিক করুক, সেই প্রার্থনা করছি।
চুয়াডাঙ্গা শহরের আপন ফ্যাশনের মালিক মিস্টার শাকিল বলেন, আমরা নিজেরাই দোকানে এই তাপমাত্রায় দোকানে বসতে পারছি না। কাস্টমার কেমনে আসবে। ঈদের কেনাকাটায় ভাটা পড়ল।
ব্যাটারি চালিত রিকশা চালক লিয়াকত জানান, গরমের কারণে দিনের বেলায় তেমন ভাড়া পাচ্ছি না। আর সন্ধ্যার পরও রোজার কারণে ভাড়া নেই। সামনে ঈদ কি যে করবো, ভাবছি।
এদিকে, ১৮দিন ধরে এ অবস্থা বিরাজ করছে। স্মরণকালের এমন গরমে মানুষসহ হাঁসফাঁস করছে পশু পাখি। প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের হচ্ছে না অনেকেই। একদিকে খরতাপে হাঁসফাঁস, আরেকদিকে ঘন ঘন লোডশেডিং।
রমজান মাসে এমন অসহ্য দাবদাহে অস্বস্তি সবার মনে। আর মধ্যবিত্ত ও খেটে খাওয়া মানুষের অবস্থা আরও খারাপ। চলার পথে একটুখানি ছায়া পেলে জিরিয়ে নিচ্ছে কেউ কেউ।
চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার সূত্রে জানা গেছে, গত ২ এপ্রিল ৩৩ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায় রেকর্ড করা হয়। যা ছিল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।
এরপর থেকে আজ পর্যন্ত একটানা ১৪দিন দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা এ জেলায় রেকর্ড করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় ‘মাদক কারবারির’ গলাকাটা লাশ উদ্ধার
গত ৩ এপ্রিল ৩৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ৪ এপ্রিল ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ৫ এপ্রিল ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ৬ এপ্রিল ৩৭ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ৭ এপ্রিল ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ৮ এপ্রিল ৩৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ৯ এপ্রিল ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ১০ এপ্রিল ৩৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও ১১ এপ্রিল ৩৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ১২ এপ্রিল ৩৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ১৩ এপ্রিল ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ১৪ এপ্রিল ৪১ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও ১৫ এপ্রিল ৪২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ১৬ এপ্রিল ৪১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ১৭ এপ্রিল ৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও ১৮ এপ্রিল অর্থাৎ গত মঙ্গলবার ৪০ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং গতকাল বুধবার ৪২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।
এছাড়া আজ বৃহস্পতিবারও দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা এ জেলায় রেকর্ড করা হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আওলিয়ার রহমান বলেন, অতি প্রয়োজনীয় কাজ ছাড়া বাইরে বের না হতেও পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। রোজাদারদের সন্ধ্যার পর থেকে বেশি বেশি পানি ও ফলমুল খেতে বলা হচ্ছে। শিশু, কিশোর ও যারা রোজায় থাকছেন না তাদেরকে ঘন ঘন পানি ও শরবত পান করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। তীব্র তাপদাহে হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি থাকে। তাই যতটা সম্ভব ঠান্ডাস্থানে থাকতে হবে।
চুয়াডাঙ্গা সড়ক বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী (অতিরিক্ত দায়িত্ব) প্রকাশ চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, শহরের কিছু স্থানে রাস্তার পিচ গলে যাওয়ার খবর পাচ্ছি। তবে এতে যান চলাচলে কোনো বিঘ্ন ঘটবে না।
তবে পিচ বেশি গলে গেলে খোয়াগুলো নরম হয়ে চলাচলে বিঘ্ন ঘটবে।
তিনি আরও বলেন, রাস্তায় অনেক সময় ছোট ছোট ছিদ্র হয়ে যায়। পিচ গলে গেলে যান চলাচল করলে সেই ছিদ্রগুলো বন্ধ হয়ে যায়। এতে পানি ঢুকতে পারে না।
আমরা বিষয়গুলো গুরুত্ব সহকারে দেখছি। তেমন পর্যায়ে গেলে বা কেউ জানালে আমরা মেরামত করব।
চুয়াডাঙ্গার জেলা প্রশাসক আমিনুল ইসলাম খান বলেন, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জেলার সব স্থানে মাইকিং করে জনসাধারণকে সতর্ক করা হচ্ছে। তারা যেন অতি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বাহির না হয়।
সন্ধার পর শরবত, পানি ও ফলমূল বেশি বেশি খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, স্ট্রোক, ডায়রিয়াসহ গরমজনিত রোগীদের চিকিৎসায় বিশেষ ব্যবস্থা করার জন্য সদর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া এই তাপমাত্রায় ক্ষতিগ্রস্ত নিম্ন আয়ের মানুষের পাশে দাঁড়ানো হচ্ছে। তাদের সহায়তা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় ৪২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড
১ বছর আগে
৫৮ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা অনুভব করল ঢাকাবাসী
ঢাকাবাসী শনিবার ১৯৬৫ সালের পর সবচেয়ে উষ্ণতম একটি দিন অতিবাহিত করেছে। এতে সবাইকে দুর্ভোগও পোহাতে হয়েছে।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর (বিএমডি) অনুসারে, এদিন রাজধানীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪০ দশমিক চার ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা ১৯৬৫ সালের পর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।
১৯৬৫ সালে রাজধানীতে সর্বোচ্চ ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল।
শুক্রবার রাজধানীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪০ দশমিক দুই ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা ঠিক ৯ বছর আগে ২০১৪ সালের ১৪ এপ্রিল রেকর্ড করা হয়েছিল।
তবে শনিবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায় ৪২ দশমিক দুই ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আরও পড়ুন: তীব্র তাপপ্রবাহ গ্রাস করেছে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থান
আগামী ৭ দিন তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে: আবহাওয়া অধিদপ্তর
১ বছর আগে
চুয়াডাঙ্গায় মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪১ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড
বৈশাখের প্রথম দিনেই অসহনীয় তাপমাত্রায় পুড়ছে চুয়াডাঙ্গা। শুক্রবার বেলা ৩টায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪১ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস চুয়াডাঙ্গায় রেকর্ড করা হয়েছে।
এনিয়ে টানা ১৩ দিন দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা এ জেলায় রেকর্ড করা হলো।
গত বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হওয়া তীব্র তাপপ্রবাহ এখন আরও তীব্র হচ্ছে।
এই টানা তাপপ্রবাহে দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে জনজীবন। তীব্র তাপদাহে এ জেলার খেটে খাওয়া মানুষ সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে। তীব্র গরম ও রোদের তাপের কারণে শ্রমিক, দিনমজুর, ভ্যান-রিকশা চালকরা কাজ করতে না পেরে অলস সময়ও পার করছে।
আরও পড়ুন: সারাদেশে রাত ও দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে: আবহাওয়া অধিদপ্তর
একটু প্রশান্তির খোঁজে গাছের ছায়া ও ঠান্ডা পরিবেশে স্বস্তি খুঁজছে সব শ্রেণির মানুষ। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রাস্তা-ঘাটে লোকজনের চলাচল সীমিত হয়ে পড়ছে। আবার অনেকে জরুরি প্রয়োজন ও জীবন-জীবিকার তাগিদে প্রচণ্ড দাবদাহ উপেক্ষা করে কাজে বের হচ্ছেন।
অতিরিক্ত গরমে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন অনেকে। জেলা সদরের হাসপাতালসহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতেও বেড়েছে শিশুসহ বিভিন্ন বয়সী রোগীর সংখ্যা।
চুয়াডাঙ্গা গুলশানপাড়ার বাসিন্দা গৃহিণী নারগিস আক্তার বলেন, এতো তাপে ঘর থেকে বের হতে পারছি না। রান্না-বান্না করা কষ্টকর হয়ে পড়েছে। ইফতারের পরে রোদ আর তাপ কমলে চুলার পাড়ে যাবো।
চুয়াডাঙ্গা সদরের কুলচারা গ্রামের শফিউল বলেন, 'এত তাপ সহ্য করা কঠিন। জমিতে বেশিক্ষণ কাজ করতে পারলাম না। এখন ছায়ায় বসে আছি। আজ কাজ শেষ করতে দেরি হবে। যে গরম পড়ছে, আর কাজ করতে পারব কিনা জানি না।'
একই গ্রামের তাপস দাস বলেন, ধানে এখন শিষ বের হয়েছে, কিন্তু প্রচণ্ড রোদে তা পুড়ে যাচ্ছে। প্রতিদিন পানিও দেওয়া লাগছে। যেখানে আগে সপ্তাহে দুদিন পানি দিলেই চলত। এখন প্রতিদিন দিতে হচ্ছে। তারপরও কি হবে বলা যাচ্ছে না।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল সড়কের বাসিন্দা বেসরকারি চাকরিজীবি এমদাদুল হক এমদাদ বলেন, মোটরসাইকেলযোগে বিভিন্ন স্থানে মার্কেটিংয়ের কাজ করি। মোটরসাইকেল চালালে বাতাসে স্বস্তির লাগলেও আজ রোদের প্রখরতার কারণে মনে হচ্ছে গরম হাওয়ায় পুড়ে যাচ্ছে শরীর। রোজায় আছি। এই গরমে গলা-বুক যেন শুকিয়ে আসছে।
চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার সূত্রে জানা গেছে, গত ২ এপ্রিল ৩৩ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায় রেকর্ড করা হয়। যা ছিল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।
এরপর থেকে আজ পর্যন্ত একটানা ১৩দিন দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা এ জেলায় রেকর্ড করা হচ্ছে। গত ৩ এপ্রিল ৩৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ৪ এপ্রিল ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ৫ এপ্রিল ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ৬ এপ্রিল ৩৭ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ৭ এপ্রিল ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ৮ এপ্রিল ৩৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ৯ এপ্রিল ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ১০ এপ্রিল ৩৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও ১১ এপ্রিল অর্থাৎ গত মঙ্গলবার ৩৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ১২ এপ্রিল ৩৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ১৩ এপ্রিল ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও আজ ১৪ এপ্রিল ৪১ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ইনচার্জ জামিনুর রহমান বলেন, আজ ১৪ এপ্রিল দুপুর ৩টায় দেশের ও এই মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪১ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস চুয়াডাঙ্গায় রেকর্ড করা হয়েছে। এটি এই মৌসুমের ও দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। এছাড়া গত ২ এপ্রিল থেকে আজ ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা এই চুয়াডাঙ্গায় রেকর্ড হলো। আপাতত বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা নেই। ফলে এই তাপমাত্রা আরও বাড়বে। আর আজ থেকে তীব্র তাপপ্রবাহ শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বোচ্চ ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড
দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে: আবহাওয়া অধিদপ্তর
১ বছর আগে
চুয়াডাঙ্গায় ৫ দিন দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
অব্যাহত রয়েছে তাপপ্রবাহ; চুয়াডাঙ্গায় টানা গরমে দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে অঞ্চলের জনজীবন। এ অবস্থায় মানুষ ও যানবাহন চলাচল কমে গেছে অনেকটা। তাই ছেদ পড়েছে ঈদের কেনাকাটায়। এছাড়া তীব্র গরমে রোজাদারদের অবস্থাও ওষ্ঠাগত।
শনিবার চুয়াডাঙ্গায় দেশের ও এই মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৮ দশমিক ৫ সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সারাদেশে রাত ও দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে: আবহাওয়া অধিদপ্তর
গত কয়েক দিন ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে তাপমাত্রা আটকে থাকলেও আজ সেটা ৩৮-এর ঘরে পার করে ৩৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছেছে।
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিস জানায়, জেলার ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ অব্যাহত আছে। শুক্রবার জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বৃহস্পতিবার ৩৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বুধবার ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, মঙ্গলবার ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, সোমবার ৩৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি। শনিবার ৩৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। আর এটাই পঞ্চম দিনের মতো দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।
১ বছর আগে
বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, দেশের বিভিন্ন অংশে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।
রাজশাহী ও রংপুর বিভাগ এবং চুয়াডাঙ্গা জেলায় নিম্ন তাপমাত্রার প্রভাব অনুভূত হচ্ছে।
৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রাকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ, ৬ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রাকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ এবং ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কম তাপমাত্রাকে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ হিসাবে বিবেচিত হয়।
মঙ্গলবার আবহাওয়া অধিদপ্তরের নিয়মিত বুলেটিনে বলা হয়, আজ সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৭ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে রাজশাহীর বদলগাছীতে। এ সময় টেকনাফে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৮ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়।
এছাড়া নদী অববাহিকা ও উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা এবং মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের অন্যত্র হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা পড়তে পারে।
অধিদপ্তর আরও জানায়, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
আরও পড়ুন: ৫ জেলায় বয়ে যাচ্ছে শৈত্যপ্রবাহ
বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ
১ বছর আগে