পড়াশোনার খরচ
পোল্যান্ডে উচ্চশিক্ষা: আবেদন, পড়াশোনার খরচ, ও স্কলারশিপসহ যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা
একটি দেশে তখনি শিক্ষার সুস্থ পরিবেশ গড়ে ওঠে, যখন সেখানে মেধা ও বুদ্ধির স্বাধীন ও সঠিক চর্চা হয়। একটি দক্ষ জনগোষ্ঠী দেশের সংস্কৃতি ও সভ্যতাকে নাগরিকদের জন্য কল্যাণকর করে তুলতে পারে। এর নিরীখেই বিকশিত হয় উন্নত জীবনধারণ, যা প্রতিটি মানুষেরই কাম্য। আর এই কারণেই ইউরোপ অভিমুখী হচ্ছে বিশ্বের নানা প্রান্তের উচ্চাকাঙ্ক্ষী শিক্ষার্থীরা। বছরের পর বছর ধরে পেশাদার জনশক্তি তৈরি করে আসছে বাস্তবধর্মী শিক্ষা ব্যবস্থার প্রতিনিধি শেনজেনভুক্ত দেশগুলো। এগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি দেশ পোল্যান্ডে উচ্চশিক্ষা নিয়ে আজকের প্রবন্ধ। চলুন, পোল্যান্ডে অধ্যয়ন খরচ ও স্কলারশিপসহ ক্যারিয়ার গঠনের যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
পোল্যান্ডে কেন পড়তে যাবেন
উচ্চশিক্ষা লাভে এই ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)-এর সদস্য রাষ্ট্রটিকে বেছে নেওয়ার নেপথ্যে প্রধান কারণ হতে পারে এর আর্থ-সামাজিক অবস্থা। মাত্র ২৯ দশমিক ১ অপরাধ সূচক নিয়ে শীর্ষ সহিংসতাহীন দেশগুলোর তালিকায় পোল্যান্ড রয়েছে ২৮ নম্বরে। পৃথিবীর শান্তিপূর্ণ দেশগুলোর সারিতে
৩২ নম্বর অবস্থানে থাকা এই দেশটির বৈশ্বিক শান্তি সূচক ১ দশমিক ৬৭৮। সর্বসাকূল্যে, ১৪৯ দশমিক ৩ জীবনমান সূচক নিয়ে উন্নত জীবনধারণে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় দেশগুলোর মধ্যে পোলিশ জাতির অবস্থান ৩৯ নম্বর।
এরপরেই সবচেয়ে আকর্ষণীয় কারণটি হচ্ছে স্বল্প খরচে মানসম্মত শিক্ষা। এখানে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর স্তরে প্রতি বছর গড়ে ২ হাজার ৫০০ থেকে ৩ হাজার ৫০০ মার্কিন ডলার অধ্যয়ন ফি নেওয়া হয়। বাংলাদেশি টাকায় এর পরিমাণ প্রায় ২ লাখ ৯৮ হাজার ৬৯৪ থেকে ৪ লাখ ১৮ হাজার ১৭১ টাকার (১ মার্কিন ডলার = ১১৯ দশমিক ৪৮ বাংলাদেশি টাকা) সমান। শুধু তাই নয়, পোল্যান্ডের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো তাদের সমস্ত বিদেশি ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য আবাসনের ব্যবস্থাও করে।
কম ফি নেওয়ার পরেও শিক্ষার মানের সঙ্গে এতোটুকু আপোস করা হয়নি। বিশ্ব কিউএস র্যাংকিং-এ এর বিদ্যাপীঠগুলোর অবস্থান তারই প্রমাণ। পোল্যান্ডের প্রথম সারির বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিভার্সিটি অফ ওয়ারস-এর র্যাংক ২৬২’তে। জাগিলোনিয়ান ইউনিভার্সিটি এবং ওয়ারস ইউনিভার্সিটি অফ টেকনোলজি রয়েছে যথাক্রমে ৩০৪ এবং ৫৭১ নং অবস্থানে।
পোল্যান্ডের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে পরিচালিত শিক্ষা কার্যক্রমের নাম বোলোগ্না, যা গোটা ইউরোপে মেনে চলা হয়। এর ফলে এখান থেকে অর্জিত ডিগ্রিগুলো আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি পায়। শুধু ইউরোপেই নয়, এর বাইরে বিশ্বের যে কোনো চাকরির বাজারে যথেষ্ট গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে পোলিশ ডিগ্রির।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে থেকে জার্মান ভাষার আন্তর্জাতিক সার্টিফিকেট পাওয়ার উপায়
পোল্যান্ডে উচ্চশিক্ষার জন্য আবেদনের পূর্বশর্ত
আন্ডারগ্রাজুয়েশনে ভর্তির জন্য একাডেমিক শিক্ষা কার্যক্রমে ১২ বছর অতিবাহিত করতে হবে। এখানে প্রতিটি চূড়ান্ত পরিক্ষায় সর্বনিম্ন ৬০ শতাংশ নাম্বার পেতে হবে। জিপিএ (গ্রেড পয়েন্ট এভারেজ) পদ্ধতিতে প্রোগ্রাম অনুসারে ন্যূনতম গ্রেডের প্রয়োজনীয়তা ভিন্ন হয়। তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রে জিপিএ ২ দশমিক ৫ চাওয়া হয়ে থাকে।
ইংরেজি ভাষা দক্ষতার জন্য আইইএলটিএস-এ প্রতিটি ব্যান্ডে ৫ দশমিক ৫ সহ সামগ্রিক স্কোর ৬ থাকতে হয়।
মাস্টার্স-এর জন্য ৩ থেকে ৪ বছরের স্নাতক ডিগ্রি থাকতে হবে, যেখানে কোনো পরীক্ষায় ৬০ শতাংশের নিচে পাওয়া যাবে না। আইইটিএলএস-এ প্রতিটি ব্যান্ড স্কোর অবশ্যই ৬ দশমিক ৫ বা তার ওপরে থাকতে হবে।
এছাড়া ডিজাইন, মেডিকেল, বা প্রকৌশলের মত প্রোগ্রামগুলোর ক্ষেত্রে অতিরিক্ত যোগ্যতা পূরণের প্রয়োজন হতে পারে।
পোল্যান্ডের সেরা বিশ্ববিদ্যালয় এবং চাহিদা সম্পন্ন কোর্সের তালিকা
.
গোটা ইউরোপে বহুল সমাদৃত ১০টি পোলিশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান:
- ইউনিভার্সিটি অফ ওয়ারস
- জাগিলোনিয়ান ইউনিভার্সিটি
- ওয়ারস ইউনিভার্সিটি অফ টেকনোলজি
- অ্যাডাম মিকিউইচ ইউনিভার্সিটি পোজনান
- পোজনান ইউনিভার্সিটি অফ লাইফ সায়েন্সেস
- জিডান্স্ক ইউনিভার্সিটি অফ টেকনোলজি
- এজিএইচ (একাডেমিয়া গরনিক্জো-হাটনিক্জা) ইউনিভার্সিটি অফ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি
- নিকোলাস কোপার্নিকাস ইউনিভার্সিটি
- ইউনিভার্সিটি অফ রোক্ল
- রোক্ল ইউনিভার্সিটি অফ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি |
আরও পড়ুন: মালয়েশিয়ায় উচ্চশিক্ষা: উপায়, খরচ ও সুযোগ-সুবিধা
পোল্যান্ডের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অধ্যয়নের সেরা বিষয়গুলো:
মেডিসিন, মনোবিজ্ঞান, কম্পিউটার সায়েন্স, আইন, ব্যবসা ব্যবস্থাপনা, ইঞ্জিনিয়ারিং, কলা, নকশা, এবং স্থাপত্য |
২ মাস আগে
রোমানিয়ায় উচ্চশিক্ষা: আবেদন পদ্ধতি, খরচ, স্কলারশিপ ও যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা
দেশের বাইরে পড়তে যাওয়ার সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকে উন্নত ক্যারিয়ার ও জীবনধারণের সমূহ সম্ভাবনা। এ ক্ষেত্রে গন্তব্যটি এমন হতে হয় যেখানে সন্নিবেশ ঘটবে নিরাপদ পরিবেশ, মেধাভিত্তিক শিক্ষা ব্যবস্থা এবং কর্মসংস্থানের পর্যাপ্ততা। সেই সঙ্গে সামগ্রিক খরচটাও হতে হবে সাধ্যের মধ্যে। ঠিক এমনি সুযোগের প্রসঙ্গ যখন আসে, তখন অধিকাংশ ইউরোপীয়ান দেশগুলোর মতো নিমেষেই চলে আসে রোমানিয়ার কথা। বিশ্বমানের সব বিদ্যাপীঠ নিয়ে শেনজেনভুক্ত দেশটি প্রতি বছর সাদরে আমন্ত্রণ জানায় হাজার হাজার আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের। চলুন, রোমানিয়ায় উচ্চশিক্ষার জন্য আবেদন পদ্ধতি, খরচ ও স্কলারশিপসহ যাবতীয় সুযোগ-সুবিধার ব্যাপারে জেনে নেওয়া যাক।
রোমানিয়ায় কেন পড়তে যাবেন
বিগত দশক জুড়ে ব্যবসায়িক, শিক্ষা এবং আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানের কারণে উচ্চশিক্ষার জন্য সেরা গন্তব্য হতে পারে রোমানিয়া। ইউরোপীয়ান ইউনিয়নের এই সদস্য দেশটি বর্তমানে ৩২ দশমিক ৩ ক্রাইম ইনডেক্স নিয়ে শীর্ষ নিরাপদ দেশগুলোর তালিকায় ৩৫ নম্বরে অবস্থান করছে। এ ছাড়া ১ দশমিক ৭৫৫ গ্লোবাল পিস ইনডেক্স নিয়ে দেশটি বিশ্বের শীর্ষ শান্তিপূর্ণ দেশগুলোর মধ্যে ৩৬ নম্বরে রয়েছে।
রোমানিয়ায় পড়াশোনার ও জীবনযাত্রার খরচ পুরো ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে সবচেয়ে কম। অথচ মানের দিক থেকে শিক্ষা ব্যবস্থা একদমই আপোসহীন। শুধু তাই নয়, ইউরোপের অন্যান্য সেরা বিদ্যাপীঠগুলোর সঙ্গে এক সারিতে রয়েছে দেশটির শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো।
ওয়ার্ল্ড কিউএস র্যাংকিংয়ে শীর্ষ রোমানিয়ান বিশ্ববিদ্যালয় হলো বাবেস-বলিয়াই ইউনিভার্সিটি, যেটি রয়েছে ৮০১ নম্বরে। এ ছাড়া বুখারেস্ট ইউনিভার্সিটির র্যাংকিং ৮৫১।
এই বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের একটি সুবিধা হলো এখানে অর্জন করা ক্রেডিটগুলো সহজেই অন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে স্থানান্তর করা যায়। এই পরিবর্তনে অধ্যয়নের গুণমানের কোনো ঘাটতি হয় না। এমনকি অতিরিক্ত যোগ্যতা হিসেবে ছাত্রছাত্রীদের কোনো শর্ত পূরণ করতে হয় না।
আরও পড়ুন: আয়ারল্যান্ডে উচ্চশিক্ষা: আবেদনের পদ্ধতি, খরচ, স্কলারশিপ ও যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা
এই স্থানান্তরকে নিরবচ্ছিন্ন করার জন্য সারা বিশ্ব জুড়ে স্বীকৃত কিছু প্রতিষ্ঠান কাজ করে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে-
· ইউরোপীয় ক্রেডিট ট্রান্সফার অ্যান্ড অ্যাক্যুমুলেশন সিস্টেম
· ডিপ্লোমা সাপ্লিমেন্ট
· ইউরোপিয়ান কোয়ালিটি চার্টার ফর মোবিলিটি
· ইউরোপিয়ান কোয়ালিফিকেশন্স ফ্রেমওয়ার্ক ফর লাইফ লং লার্নিং
· ইউরোপিয়ান নেটওয়ার্ক অব ইনফরমেশন সেন্টার্স অন একাডেমিক রিকগনিশন অ্যান্ড মোবিলিটি
· ন্যাশনাল একাডেমিক রিকগনিশন ইনফরমেশন সেন্টার্স
আরও পড়ুন: চেক প্রজাতন্ত্রে উচ্চশিক্ষা: পড়াশোনার খরচ ও স্কলারশিপসহ যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা
রোমানিয়াতে উচ্চশিক্ষায় আবেদনের পূর্বশর্ত
আন্তর্জাতিক ছাত্রছাত্রীদের রোমানিয়ার শিক্ষা ব্যবস্থায় প্রবেশ করতে হলে ন্যূনতম ১২ বছরের শিক্ষাগত জীবন অতিবাহিত করতে হবে। এ ক্ষেত্রে আন্ডারগ্রাজুয়েশনের জন্য হাইস্কুল ডিপ্লোমা বা তার সমতুল্য একাডেমিক ডিগ্রির প্রয়োজন হয়।
মাস্টার্স প্রোগ্রামের জন্য আবেদনকারীকে প্রাসঙ্গিক বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি অর্জনের পাশাপাশি প্রযোজ্য ক্ষেত্রে গবেষণার অভিজ্ঞতা থাকা জরুরি। পিএইচডির জন্য প্রধান শর্ত হলো প্রাসঙ্গিক বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী হওয়া।
পড়াশোনা ও চাকরিসহ প্রায় সব ক্ষেত্রে ইংরেজি ভাষার অগ্রাধিকার থাকায় রোমানিয়ান ভাষা শেখা বাধ্যতামূলক নয়। ইংরেজি ভাষা দক্ষতার জন্য আইইএলটিএস স্কোর ৬ থেকে ৬ দশমিক ৫ এর কিংবা টিওইএফএল-এ ৮০ থেকে ৯০ থাকতে হবে।
রোমানিয়ার সেরা বিশ্ববিদ্যালয় এবং চাহিদা সম্পন্ন কোর্সের তালিকা
যে স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো রোমানিয়াসহ গোটা ইউরোপে বহুল সমাদৃত, সেগুলো হলো-
· বাবেস-বলিয়াই ইউনিভার্সিটি
· বুখারেস্ট ইউনিভার্সিটি
· আলেকজান্দ্রু ইওয়ান কুজা ইউনিভার্সিটি অব ইয়াসি
· টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটি অব ক্লুজ-নাপোকা
· গিওর্গে আসাকি টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটি অব ইয়াসি
· ট্রান্সিলভানিয়া ইউনিভার্সিটি অব ব্রাসভ
· ইউনিভার্সিটি পলিটেকনিকা অব বুখারেস্ট
· ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি অব টিমিসোয়ারা
· বুখারেস্ট ইউনিভার্সিটি অব ইকোনমিক স্টাডিজ
· গ্রিগোরে টি. পোপা ইউনিভার্সিটি অব মেডিসিন অ্যান্ড ফার্মেসি, ইয়াসি
আরো পড়ুন: মালয়েশিয়ায় উচ্চশিক্ষা: উপায়, খরচ ও সুযোগ-সুবিধা
রোমানিয়ান বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর প্রথম সারির কোর্সগুলো-
· জেনারেল মেডিসিন
· ডেন্টিস্ট্রি
· ফার্মেসি
· মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং
· সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং
· ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং
· সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং
· আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স
· সাইবার সিকিউরিটি
· ফাইন্যান্স
· মার্কেটিং
· হিউম্যান রিসোর্স
আরও পড়ুন: অস্ট্রিয়াতে উচ্চশিক্ষা: আবেদন পদ্ধতি, খরচ ও স্কলারশিপসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা
রোমানিয়ার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে আবেদনের উপায়
ফল এবং স্প্রিং; এই দুই সেমিস্টারে সাধারণত রোমানিয়ান বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ভর্তি নিয়ে থাকে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে ফলের সময়সীমা থাকে পরের বছরের জুলাই বা আগস্ট পর্যন্ত। আর স্প্রিং শেষ হয় ডিসেম্বর বা জানুয়ারিতে।
ভর্তির জন্য প্রত্যেকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ওয়েবসাইটে অনলাইন আবেদন সম্পন্ন করতে হয়। এ সময় সরবরাহ করা তথ্যের সাপেক্ষে আপলোডের জন্য প্রাসঙ্গিক কাগজপত্রের স্ক্যান কপি প্রস্তুত রাখতে হবে।
অনলাইন আবেদনের যাবতীয় কাজ শেষে পূরণ করা ফর্মটি ডাউনলোড করে নির্দিষ্ট স্থানে স্বহস্তে সাইন করতে হবে। এরপর প্রয়োজনীয় প্রাসঙ্গিক নথিপত্র সহকারে ডাকযোগে পাঠিয়ে দিতে হবে সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয় বরাবর।
আরও পড়ুন: ফ্রান্সে উচ্চশিক্ষা: আবেদন পদ্ধতি, খরচ ও যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা
ভর্তির আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
· নির্ভুলভাবে পূরণ করা ভর্তির আবেদনপত্র
· উচ্চ মাধ্যমিক সনদ, স্নাতক ডিপ্লোমা বা সমমানের সনদের প্রত্যয়িত অনুলিপি (স্নাতকের জন্য)
· স্নাতক শংসাপত্রের প্রত্যয়িত অনুলিপি (স্নাতকোত্তরের জন্য)
· জন্ম শংসাপত্রের প্রত্যয়িত অনুলিপি
· মেডিকেল সার্টিফিকেট
· পাসপোর্টের প্রত্যয়িত কপি
· ভাষা দক্ষতা শংসাপত্র (আইইএলটিএস বা টিওইএফএল স্কোর)
· দুটি সাম্প্রতিক ছবি (পাসপোর্ট সাইজের)
· গবেষণার প্রস্তাবনা (পিএইচডির ক্ষেত্রে)
· প্রাসঙ্গিক বিষয়ে প্রকাশনা (পিএইচডির ক্ষেত্রে)
· সিভি বা পোর্টফোলিও (স্নাতকোত্তর বা পিএইচডির ক্ষেত্রে)
· লেটার অব রিকমেন্ডেশন
· আবেদনের ফি পরিশোধের রশিদ: ৫০ থেকে ১০০ ইউরো বা ৬ হাজার ৩৫৬ থেকে ১২ হাজার ৭১২ টাকা (১ ইউরো = ১২৭ দশমিক ১১ বাংলাদেশি টাকা)
মাস্টার্সের বিষয়ের ওপর নির্ভর করে জিআরই, জিম্যাট বা এলস্যাটের মতো অতিরিক্ত পরীক্ষার স্কোর প্রদর্শন করতে হতে পারে। তাছাড়া এর বাইরেও সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে প্রযোজ্য ক্ষেত্রে অতিরিক্ত নথি চাওয়া হতে পারে। প্রতিটি নথি রোমানিয়ান, ইংরেজি ও ফরাসি যেকোনো একটি ভাষায় অনূদিত হতে হবে।
আরও পড়ুন: হাঙ্গেরিতে উচ্চশিক্ষা: আবেদনের উপায়, পড়াশোনার খরচ, স্কলারশিপ ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা
৩ মাস আগে
চেক প্রজাতন্ত্রে উচ্চশিক্ষা: পড়াশোনার খরচ ও স্কলারশিপসহ যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা
উন্নত মানের শিক্ষার ভিত্তিতে যুগ যুগ ধরে মেধার সুষ্ঠু বিকাশের মঞ্চ হয়ে আসছে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠগুলো। বছরের পর বছর ধরে দেশের সভ্যতা ও সংস্কৃতির ক্রমবর্ধমান উন্নয়ন এই মহান মঞ্চগুলোরই রূপকল্পের ফসল। শত বছরের ঐতিহ্য নিয়ে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে সগর্বে নিজেদের অবস্থান জানান দিচ্ছে এই শিক্ষাকেন্দ্রগুলো। প্রতিটির মতো ইউরোপের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোও প্রতি বছর পরিণত হয় জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে বিশ্বজোড়া শিক্ষার্থীদের মিলনমেলায়। তেমনই একটি দেশ চেক প্রজাতন্ত্র, যেটি ৯৯ শতাংশ শিক্ষার হার এবং মেধাভিত্তিক শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে পরিণত হয়েছে শিক্ষার স্বর্গভূমিতে। চলুন, চেক প্রজাতন্ত্রে উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় যাবতীয় তথ্য জেনে নেওয়া যাক।
উচ্চশিক্ষায় চেক প্রজাতন্ত্রের জনপ্রিয়তার কারণ
বিগত দশকে বিশ্বজুড়ে একটি স্বতন্ত্র অবস্থান মধ্য ইউরোপের দেশটিকে উচ্চশিক্ষার জন্য একটি আকর্ষণীয় বিকল্পে পরিণত করেছে। সব থেকে মোক্ষম কারণটি হচ্ছে দেশটির নিরাপদ পরিবেশ। বিশ্বব্যাপী ১৬৩টি দেশের মধ্যে ১ দশমিক ৪৫৯ গ্লোবাল পিস ইনডেক্স স্কোর নিয়ে ১২তম অবস্থানে রয়েছে চেক প্রজাতন্ত্র। অন্যদিকে বিশ্বের শীর্ষ নিরাপদ দেশগুলোর মধ্যে ৬ষ্ঠ তম এই দেশটির ক্রাইম ইনডেক্স স্কোর ২৬ দশমিক ৮।
শেনজেনভুক্ত রাষ্ট্র হওয়ায় অন্যান্য সদস্য রাষ্ট্রগুলোতে ভ্রমণের আকর্ষণে অধিকাংশ বিদেশি শিক্ষার্থীর গন্তব্য থাকে এই দেশটি।
এখানে পড়াশোনার জন্য স্থানীয় ভাষা শেখা বাধ্যতামূলক নয়। এমনকি চাকরি ক্ষেত্রে অধিকাংশ চাহিদাসম্পন্ন কোর্সগুলো ইংরেজিতেই পড়ানো হয়ে থাকে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে ইংরেজি ভাষা দক্ষতা হিসেবে আইইএলটিএস স্কোরের পূর্বশর্তটিও শিথিল করা হয়। সেক্ষেত্রে পূর্ববর্তী একাডেমিক ডিগ্রি ইংরেজি মাধ্যমে করা হয়েছে কিনা তার জন্য এমওআই ( মিডিয়াম অব ইন্স্ট্রাক্শন ) চাওয়া হয়।
এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সহজে ভর্তি হওয়ার জন্য ভাষার জন্য সিইএফআর বা কমন ইউরোপীয় ফ্রেমওয়ার্ক অব রেফারেন্স পরীক্ষায় অংশ নেওয়া যায়। এরই ধারাবাহিকতায় বিদেশি ছাত্রছাত্রীদের এই দেশ নির্বাচনের আরও একটি কারণ হচ্ছে চেক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সহজ ভর্তি প্রক্রিয়া। এখানে প্রবেশিকা পরীক্ষা বা ইন্টারভিউয়ের যথেষ্ট বিকল্প রয়েছে, যেখানে শুধু সঠিক কাগজপত্র এবং ফি প্রদানের মাধ্যমেই ভর্তির কাজ সম্পন্ন করা যায়।
চেক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো একদিকে যেমন প্রাচীন, অন্যদিকে তেমনি বিশ্বনন্দিত এবং নানা শিল্পের সর্বোচ্চ পর্যায়গুলোতে সমাদৃত।
কিউএস র্যাংকিং-এ ২৪৮ নম্বরে রয়েছে সুপরিচিত চেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চার্লস বিশ্ববিদ্যালয়। এছাড়া মাসারিক বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে ৪০০ নম্বরে, চেক টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটির অবস্থান ৪৫৪, এবং কেমিস্ট্রি অ্যান্ড টেকনোলজি, প্রাগ ৫৫৬-তে। ব্রনো ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি রয়েছে ৬১১, প্যালাস্কি ইউনিভার্সিটি অলোমৌচ ৬৩১-এ এবং চেক ইউনিভার্সিটি অব লাইফ সায়েন্সেস প্রাগ ৭০১ নম্বরে।
আরো পড়ুন: জার্মানিতে স্কলারশিপ পাওয়ার উপায়
উচ্চশিক্ষার জন্য চেক প্রজাতন্ত্র গমনের পূর্বশর্ত
এখানকার কোর্সগুলোতে পড়ার জন্য প্রাথমিক শর্ত হলো পূর্ববর্তী প্রাসঙ্গিক একাডেমিক ডিগ্রিগুলোতে উত্তীর্ণ হওয়া। যেমন আন্ডারগ্রাজুয়েশনের জন্য উচ্চ মাধ্যমিক, ডিপ্লোমা বা সমমানের একাডেমিক পরীক্ষার সনদ থাকা প্রয়োজন। মাস্টার্সের জন্য স্নাতক ও স্নাতকোত্তর এবং ডক্টরাল স্টাডি প্রোগ্রামের জন্য স্নাতকোত্তর ডিগ্রি দরকার হয়।
সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর চেক ভাষায় পড়ানো কোর্সগুলোতে কোনো খরচ নেই। বিদেশি শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে অনেক সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চেক ভাষায় পড়ার জন্য এক বছরের একটি ফাউন্ডেশন কোর্স করায়। অতঃপর প্রবেশিকা পরীক্ষার মাধ্যমে ভাষা দক্ষতা যাচাইয়ের ভিত্তিতে চূড়ান্তভাবে ভর্তি নেওয়া হয়। এখানে ভাষা টেস্ট পরীক্ষায় ন্যূনতম স্কোর বি-২, কিছু প্রোগ্রামের ক্ষেত্রে সি-১ থাকতে হয়।
আর ইংরেজিতে পড়ানো কোর্সের ক্ষেত্রে যে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ভাষা দক্ষতা সনদ চায়, তারা সচরাচর আইইএলটিস বা টিওইএফএল স্কোরকে গুরুত্ব দেয়।
আরো পড়ুন: উচ্চশিক্ষায় দেশের বাইরে যেতে প্রস্তুতির ধাপগুলো জেনে নিন
আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য চেক প্রজাতন্ত্র সেরা বিশ্ববিদ্যালয় ও কোর্সগুলো
বিগত বছরগুলোতে দেশটির যে বিশ্ব মানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে সর্বাধিক বিদেশি ছাত্রছাত্রীদের অংশগ্রহণ ছিল, সেগুলো হলো-
· চার্লস বিশ্ববিদ্যালয়
· মাসারিক বিশ্ববিদ্যালয়
· চেক টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটি
· ইউনিভার্সিটি অব কেমিস্ট্রি এ্যান্ড টেকনোলজি, প্রাগ
· ব্রনো ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি
· প্যালাস্কি ইউনিভার্সিটি অলোমৌচ
· চেক ইউনিভার্সিটি অব লাইফ সায়েন্সেস প্রাগ
· মেন্ডেল বিশ্ববিদ্যালয় ইন ব্রনো
· অস্ট্রাভা টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটি
· সাউথ বোহেমিয়া বিশ্ববিদ্যালয় ইন চেক বুডিজোভিচ
আরো পড়ুন: দেশের বাইরে পড়তে যাওয়ার আগে যে অভ্যাসগুলো গড়ে তোলা জরুরি
বিশ্ববিদ্যালয় এবং একাডেমি ডিগ্রির স্তর নির্বিশেষে সর্বাধিক চাহিদাসম্পন্ন বিষয়গুলো হলো-
· মেডিসিন ও হেল্থকেয়ার
· ব্যবসা ও অর্থনীতি
· মানবিক ও সামাজিক বিজ্ঞান
· তথ্য প্রযুক্তি
· প্রকৌশলী
চেক প্রজাতন্ত্রের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে আবেদনের উপায়
ভর্তির জন্য আবেদনের মৌসুম শুরু হয় সাধারণত ফেব্রুয়ারি এবং এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে। অনলাইনে ভর্তির আবেদনের জন্য প্রত্যেকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের রয়েছে নিজস্ব পোর্টাল। সেখানে কাঙ্ক্ষিত কোর্স খুঁজে বের করার জন্য রয়েছে যাবতীয় তথ্য।
অনলাইনে আবেদন সম্পন্নের সময় কিছু প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের স্ক্যান কপি আপলোড করতে হতে পারে। ইলেক্ট্রনিক আবেদন সফলভাবে সম্পন্ন করার পর তা প্রিন্ট করতে হবে। অতঃপর তা সই করে সব প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে ডাকযোগে পাঠাতে হবে।
আরো পড়ুন: জার্মানিতে বিনামূল্যে স্নাতকোত্তর পড়ার জন্য কিভাবে আবেদন করবেন
প্রয়োজনীয় নথিপত্র
ভর্তির আবেদনের সঙ্গে যে কাগজপত্রগুলো সংযুক্তি হিসেবে দিতে হয়, তা হলঃ
· ডিপ্লোমা বা সমমানের শিক্ষাগত যোগ্যতার প্রমাণের সত্যায়িত অনুলিপি
· সনদপত্র এবং একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট ইংরেজির পরিবর্তে বাংলায় হলে সেগুলো চেক বা ইংরেজিতে অনুবাদ করে নিতে হবে
· প্রশাসনিক ফি প্রদানের প্রমাণ: ৩ হাজার চেক কোরুনা বা ১৪ হাজার ৯৯১ টাকা ( ১ চেক কোরুনা = ৫ বাংলাদেশি টাকা )
· ভর্তি প্রক্রিয়াকরণ ফি প্রদানের প্রমাণ:
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানভেদে এর পরিমাণ ভিন্ন হয়ে থাকে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন ২০ ইউরো থেকে শুরু হয়ে ৫০ ইউরোর অধিক হতে পারে। বাংলাদেশি টাকায় এটি ২ হাজার ৫৪১ টাকা ( ১ ইউরো = ১২৭ দশমিক ০৩ বাংলাদেশি টাকা ) থেকে ৬ হাজার ৩৫২ টাকার সমান।
· মোটিভেশন লেটার
· ২ থেকে ৩টি রেফারেন্স লেটার
· সিভি বা পোর্টফোলিও
· বৃত্তি পেলে বা অন্য কেউ পড়াশোনার খরচ বহন করলে তার প্রমাণ
· ইংরেজি দক্ষতা পরীক্ষা ( সাধারণত পিটিই একাডেমিক, টিওইএফএল ও আইইএলটিএস স্কোর দেখা হয়)|
আরো পড়ুন: ডুওলিঙ্গো ইংলিশ টেস্ট কী? কীভাবে প্রস্তুতি নেবেন?
আবেদন পরবর্তী প্রক্রিয়া
পরবর্তী পদক্ষেপগুলো সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের পোর্টালের মাধ্যমে এবং চিঠি বা ইমেলের মাধ্যমে জানানো হয়। এখানে প্রার্থীর আবেদন ও কাগজপত্রগুলো যাচাইকরণে ৩০ সর্বোচ্চ ৬০ দিন পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।
আবেদনের প্রাথমিক ধাপে উতড়ে গেলে কোনো কোনো বিশ্ববিদ্যালয় জুম বা স্কাইপের মাধ্যমে মৌখিক সাক্ষাৎকার নিতে পারে। যাবতীয় যাচাই-বাছাই শেষে সাধারণত জুনের শেষের দিকে চূড়ান্ত ফলাফল পাওয়া যায়।
ফলাফল ইতিবাচক হলে প্রযোজ্য ক্ষেত্রে প্রথম সেমিস্টারের জন্য টিউশন ফি দিতে বলা হয়। আর এই ফি প্রাপ্তির পর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিক্ষার্থীকে তার কাঙ্ক্ষিত অফার লেটারটি পাঠানো হয়। এটি পরবর্তীতে স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়ার ক্ষেত্রে মূল ভূমিকা পালন করে।
চেক প্রজাতন্ত্রের স্টুডেন্ট ভিসার জন্য আবেদন পদ্ধতি
অফার লেটার পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ভিসার কাজ শুরু করে দিতে হবে। চেক প্রজাতন্ত্রের দীর্ঘমেয়াদী ডি-টাইপ ক্যাটাগরিই হচ্ছে স্টুডেন্ট ভিসা, যেখানে ৯০ দিনেরও বেশি সময় থাকার অনুমতি দেয়া হয়। ভিসার মেয়াদ থাকে সর্বোচ্চ ১ বছর পর্যন্ত; এরপর ভিসা আবার রিনিউ করতে হয়।
আবেদনের জন্য https://frs.gov.cz/en/forms-and-documents/-এই লিঙ্কে যেয়ে অনলাইন আবেদন করা যাবে। এ ছাড়া ফর্ম ডাউনলোড করে কম্পিউটারের মাধ্যমে অথবা প্রিন্ট করে হাতে লিখেও পূরণ করা যেতে পারে। ফর্মের সব তথ্য নির্ভুলভাবে প্রদানের পর সব শেষে সই করতে হবে। ইলেক্ট্রনিকভাবে এই আবেদনের সময় ভিসার প্রয়োজনীয় কাগজপত্রগুলো সঙ্গে থাকা দরকার।
আরো পড়ুন: যে ১০টি দেশে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা অল্প খরচে পড়তে পারবেন
দরকারি কাগজপত্র
চেক প্রজাতন্ত্রের স্টুডেন্ট ভিসার আবেদন করার জন্য যে নথিগুলো প্রস্তুত রাখতে হয়, সেগুলো হলো-
· চেক বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছ থেকে ভর্তির অফার লেটার
· দুটি ফাঁকা পৃষ্ঠা সহ একটি বৈধ পাসপোর্ট, যার মেয়াদ থাকতে হবে চেক প্রজাতন্ত্রে উপস্থিত হওয়ার দিন থেকে ন্যূনতম ৩ মাস পর্যন্ত।
· সদ্য তোলা পাসপোর্ট সাইজের ছবি
· দেশটিতে থাকার জন্য আর্থিক তহবিলের প্রমাণপত্র ( কমপক্ষে ৭৮ হাজার ২৫০ কোরুনা বা প্রায় ৩ লাখ ৯০ হাজার ৯৯৭ টাকার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট স্টেটমেন্ট )
· মেডিকেল রিপোর্ট
· আবাসন নিশ্চিতকরণের প্রমাণ
· পুলিশ ক্লিয়ারেন্স ( অফিসিয়াল রাবার স্ট্যাম্পসহ চেক ভাষায় অনুবাদ করা হতে হবে )
· চেক প্রজাতন্ত্রে পৌছার দিন থেকে কমপক্ষে ৯০ দিনের জন্য ভ্রমণ চিকিৎসা বীমার প্রমাণপত্র
ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ও পাসপোর্ট ছাড়া আবেদনের সঙ্গে সংযুক্ত সমস্ত নথি চেক ভাষায় হতে হবে। পাসপোর্ট ও ছবি ছাড়া ব্যতিত কোনো নথি ১৮০ দিনের বেশি পুরনো হতে পারবে না।
আরো পড়ুন: মালয়েশিয়ায় উচ্চশিক্ষা: উপায়, খরচ ও সুযোগ-সুবিধা
৩ মাস আগে
গরু চুরির সাথে দিনমজুর পরিবারে স্বপ্ন ভেঙে চুরমার
নিজ গোয়ালে লালনপালন করা চারটি গরু বড় হলে বিক্রি করে চার মেয়ের বিয়ে ও পড়াশোনার খরচ যোগানোর কথা ছিল দিনমজুর পরিবারের এক বাবার। কথা ছিল মেধাবী ওই মেয়েদের উচ্চশিক্ষার পথ তৈরি করার।
৪ বছর আগে