বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য
শিল্প-সংস্কৃতিকে অর্থনীতির মূলধারায় নিয়ে আসার অঙ্গীকার আমীর খসরুর
ক্ষমতায় গেলে আগামী দিনে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের শিল্প-সংস্কৃতিকে অর্থনীতির মূলধারায় নিয়ে আসার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। এ সময়ে ‘সৃষ্টিশীল শিল্প’ নিয়ে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করে তিনি বলেন, আমাদের সম্ভাবনা কাজে লাগাতে জনমিতিক সুফল কাজে লাগাতে হবে। এ জন্য সবাইকে লেখাপড়ার পাশাপাশি নিজেকে দক্ষ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।
বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) সকালে রাজধানীর গুলশানের একটি চার তারকা হোটেলে তরুণদের নিয়ে একটি অনুষ্ঠানে আমীর খসরু এমন কথা বলেন।
সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, রাজনীতিতে গণতন্ত্রই যথেষ্ট না, যদি অর্থনীতিকে গণতন্ত্রায়ন করা না যায়, তাহলে কোনো রাজনীতি কাজ করবে না, গণতন্ত্রও কাজে লাগবে না। সবার জন্য গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা যেমন করতে হবে, তেমনই সমানাধিকার দিতে হবে। একটি কল্যাণমূলক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
জনগণের আকাঙ্ক্ষা ধারণ করে আগামী বাংলাদেশের সমস্ত কার্যক্রম প্রত্যন্তাঞ্চলের মানুষের কাছে নিয়ে যেতে হবে বলে মন্তব্য করেন বিএনপির নেতা। এ সময়ে ক্রিয়েটিভ ইন্ডাস্ট্রি বা সৃষ্টিশীল শিল্পের একটি ধারণা দেন তিনি।
ক্রিয়েটিভ শিল্পের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে আমীর খসরু বলেন, ‘এটিতে হবে বাংলাদেশের সব মানুষ, তাঁতি, কামার-কুমার, চারুশিল্পী, ডিজাইনার, সঙ্গীতশিল্পী—সবাইকে অর্থনীতির মধ্যে নিয়ে আসা। যেমন, আমাদের হরেক ধরনের সঙ্গীত আছে—ভাওয়াইয়া, পল্লীগীতি, লালনগীতি—এগুলো আমরা এখনো মূলধারায় নিয়ে আসতে পারিনি। বাংলাদেশে অনেক সঙ্গীত হারিয়ে যাচ্ছে।’
‘আবার বিশ্বে হস্তশিল্পের অনেক দাম। কিন্তু আমরা এগুলোকে কাজে লাগাতে পারিনি। এদের সবাইকে অর্থনীতির মূলধারায় নিয়ে আসতে ক্রিয়েটিভ ইন্ডাস্ট্রির কর্মসূচি নেব। তাদের যে কাঁচামাল দরকার, সেগুলো তাদের দিতে হবে। তাদের সহায়তা করতে হবে, পণ্যের ব্র্যান্ডিংয়ের সুযোগ দিতে হবে, বিপণনের প্ল্যাটফর্ম দিতে হবে,’ যোগ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: পুঁজিবাজারে সরকারের ভূমিকার সমালোচনা, সংস্কারের অঙ্গীকার আমির খসরুর
থাইল্যান্ডের অভিজ্ঞতা তুলে ধরতে গিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, থাকসিন সিনাওয়াত্রা প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে আমাদের দেশটিতে নেওয়া হয়েছিল, সেখানকার ‘একটি গ্রাম, একটি পণ্য’ দেখাতে। তারা প্রতিটি গ্রামকে শনাক্ত করেছে এভাবে যে সেখানকার কোন পণ্যটি ভালো। এই গ্রামে এই পণ্যটি ভালো তৈরি হয়, ওই গ্রামে অন্যটি—কাজেই ওই পণ্যটির ডিজাইন, রফতানি ও ব্র্যান্ডিং সহায়তা দেব। তারা এমন পরিকল্পনা করে এগিয়েছে। ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান আমাজন ও আলিবাবার মতো তারা নিজেদের পণ্যগুলোকে ব্র্যান্ডিং করেছেন।
আমীর খসরু বলেন, লোকজনকে আমরা এমন প্ল্যাটফর্ম করে দেব, যেন গ্রামে-গঞ্জে বসে তারা পণ্য রফতানি করতে পারেন। তাদের ঢাকা শহর কিংবা চট্টগ্রামে যাওয়ার দরকার পড়বে না।
‘আমরা নাটক ও থিয়েটার উপভোগ করি। কিন্তু সেটাকে আমরা প্রমোট করতে পারি না। সেটিকে আর্থিকীকরণ করতে পারিনি। কিন্তু লন্ডনের থিয়েটারের মতো ঢাকার থিয়েটারও হতে পারে, চট্টগ্রামেও হতে পারে।’
তিনি বলেন, ‘এটা কেবল বিনোদন না, বিপুল কর্মসংস্থানও তৈরি হবে এটা করতে পারলে। এগুলোও অর্থনীতি। কেবল তৈরি পোশাক শিল্প কিংবা উৎপাদন খাতই অর্থনীতি না। বিগত দিনে এই অর্থনীতি আমরা কাজে লাগাইনি।’
‘সঙ্গীতের সীমান্ত নেই, আমরা বাংলাদেশে বসে ইংরেজি, স্প্যানিশ গান শুনি। এখনকার ছেলে-মেয়েরা কোরিয়ান নাটক দেখায় সবসময় মগ্ন থাকে। তার মানে হলো, শিল্প-সংস্কৃতির কোনো সীমান্ত নেই। এগুলো মূলধারার অর্থনীতিতে নিয়ে আসতে হবে।’
এ সময়ে দেশের সর্বত্র আইটি ব্যবসাকে ছড়িয়ে দেওয়ার প্রত্যাশার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, দেশ হিসেবে আমরা ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড বা জনসংখ্যাগত সুফলে আছি। অর্থাৎ পশ্চিমা দেশগুলোর তুলনায় আমাদের দেশে তরুণ ও কর্মক্ষম মানুষের সংখ্যা বেশি। এটাই আমাদের সম্পদ। কিন্তু এটিকে যখন আর্থিকীকরণ করতে পারব, তখনই এটা সম্পদ হবে। আর এ জন্য কাজ করতে হবে, লেখাপড়ার পাশাপাশি দক্ষতা বাড়াতে হবে। দক্ষতার অভাবে দেশের জনমিতিক সুফলটা আমরা কাজে লাগাতে পারছি না।
৯৮ দিন আগে
নির্বাচনবিরোধীরা রাজনীতির মাঠ থেকে বাদ পড়বেন: সালাহউদ্দিন আহমদ
যারা নির্বাচনবিরোধী কথা বলবে, রাজনীতির মাঠ থেকে তারা বাদ পড়ে যাবেন কিংবা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। তিনি বলেন, মাঠের আলোচনা মাঠেই জবাব দেওয়া হবে। নির্বাচনবিরোধী কথা যে-ই বলুক, তারা রাজনীতির মাঠ থেকে মাইনাস হয়ে যাবেন।
এ সময় আওয়ামী লীগের আমলে যুগপৎ আন্দোলনে যারা বিএনপির সঙ্গী ছিলেন, তাদের সঙ্গে জোট গঠনের সম্ভাবনার কথাও তুলে ধরেন সালাহউদ্দিন আহমদ। মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) রাজধানীর গুলশানে নিজ বাসায় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এমন কথা বলেন।
‘কোনো দল নির্বাচনে অংশ না নিলে তা তাদের রাজনৈতিক স্বাধীনতার অংশ। তবে যারা অযৌক্তিকভাবে বয়কটের সুযোগ খুঁজবে, তারা ভবিষ্যৎ রাজনীতিতে নিজেরাই পিছিয়ে যাবেন,’ বলেন বিএনপির এই নেতা।
সালাহউদ্দিন বলেন, আগামী ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া নির্বাচন সম্পর্কে কোনো শঙ্কা নেই। যদিও কিছু দল বিভ্রান্তি সৃষ্টির চেষ্টা করছে, তবে এটি শুধুই তাদের রাজনৈতিক কৌশল।
আরও পড়ুন: নির্বাচন বিঘ্নিত করার অসৎ প্রচেষ্টা দেশের জনগণ রুখে দেবে: সালাহউদ্দিন
ফ্যাসিবাদবিরোধী জাতীয় ঐক্য বজায় রেখে দেশে সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে উল্লেখ করে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, এই নির্বাচন রাজনৈতিক ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ ও ঐতিহাসিক ঘটনা হবে। দেশে এরই মধ্যে নির্বাচনী আমেজ বিরাজ করছে। যে-ই এর বিপক্ষে কথা বলবে, তারা নিজেদের রাজনীতিকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে।
সালাহউদ্দিন আহমদ সংবিধান ও রাজনৈতিক সংস্কারের বিষয়ে বলেন, জুলাই সনদের কিছু অঙ্গীকার অযৌক্তিক মনে হচ্ছে। তবে বিকল্প প্রস্তাব নিয়ে কমিশনের আলোচনায় অংশগ্রহণ করা হবে। সংবিধানের ওপরে স্থান পাওয়া কোনো বিষয় গ্রহণযোগ্য নয়। আলোচনার মাধ্যমে রাজনৈতিক দলগুলো একটি ঐকমত্যপূর্ণ অবস্থানে পৌঁছাবে।
তিনি বলেন, সংবিধান সংস্কারের জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ শুধু ঐকমত্যের ভিত্তিতেই সম্ভব। সংসদ নির্বাচনের পর তা বাস্তবায়ন করা হবে। যা দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে আরও শক্তিশালী করবে।
অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে নির্বাচন নিয়ে বিএনপি কোনো জটিলতা চায় না উল্লেখ করে তিনি বলেন, সবার ঐকমত্য দিয়ে বর্তমান সরকার গঠিত হয়েছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিষয়টি পুনর্বহাল হওয়ার পর পরবর্তী নির্বাচনে তা কার্যকর হতে পারে। বর্তমান সরকারের ঘোষিত সময়ের মধ্যে নির্বাচন হবে।
জামায়াত ও অন্যান্য ইসলামী দলসমূহের সঙ্গে রাজনৈতিক জোট বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সালাহউদ্দিন বলেন, নির্বাচনের আগে জামায়াতের সঙ্গে জোটের কোনো সুযোগ নেই।
‘তবে যুগপৎ আন্দোলনে যারা ছিলেন তাদের সঙ্গে জোট হতে পারে। পাশাপাশি কয়েকটি ইসলামী ঘরানার দলের সঙ্গে আলোচনা চলছে; এটি চূড়ান্ত নয়,’ যোগ করেন তিনি।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য আরও বলেন, এ ছাড়া বিগত আন্দোলনে যারা ছিলেন তাদের সঙ্গে জোটের সম্ভাবনা আলোচনা শেষে স্পষ্ট হবে।
১০০ দিন আগে
মুক্ত সাংবাদিকতা নিশ্চিত করতে কমিশন গঠন করবে বিএনপি: আমীর খসরু
গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে এবং সাংবাদিকদের মুক্ত ও স্বচ্ছভাবে পেশা চর্চায় উৎসাহিত করতে বিএনপি ক্ষমতায় গেলে একটি কমিশন গঠন করবে বলে জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
শনিবার (২৩ আগস্ট) ঢাকায় রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) আয়োজিত ‘ফ্যাসিস্ট আমলে সাংবাদিকতা এবং বর্তমান অবস্থা’ শীর্ষক এক সেমিনারে তিনি এ প্রতিশ্রুতি দেন।
আমীর খসরু বলেন, ‘বিগত ফ্যাসিস্ট আমলে সাংবাদিকতাকে রীতিমতো ধ্বংস করে ফেলা হয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকার দেশে সাংবাদিকতার কোনো পরিবেশ রাখেনি। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান স্বাধীন সাংবাদিকতায় সোচ্চার। আগামীতে কমিশন গঠন করে সাংবাদিকতার স্বাধীনতা নিশ্চিত করা হবে।’
গত ১৫ বছরের প্রসঙ্গ টেনে খসরু অভিযোগ করে বলেন, ‘অনেক সাংবাদিক বাংলাদেশে টিকতে না পেরে বিদেশে পাড়ি জমিয়েছেন। অনেকে আবার সাংবাদিকতা পেশাই ছেড়ে দিয়েছেন। বাংলাদেশে এমন এক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল, যেখানে সাংবাদিকতা বলে কিছু নেই।’
আরও পড়ুন: অন্তর্বর্তী সরকারের উচিত ছিল অন্তর্বর্তী বাজেট দেওয়া: আমীর খসরু
‘আমি নিজেই দুই-চারজন সাংবাদিককে বিদেশে যেতে সাহায্য করেছি। দেশে থেকে তারা টিকতে পারছিল না।’
তিনি বলেন, ‘রাষ্ট্রে বিচার বিভাগ, নির্বাচন কমিশন ও সংসদের মধ্যে যেমন আলাদা সীমারেখা থাকা উচিত, একইভাবে একটি মিডিয়া হাউসে ম্যানেজমেন্ট এবং সাংবাদিকতার মধ্যেও সীমারেখা থাকা প্রয়োজন।’
‘হাসিনা সরকারের আমলে যেমনি বিচার বিভাগ, নির্বাচন কমিশন এবং সংসদের মধ্যকার ড্র লাইন তুলে দিয়ে দেশকে অকার্যকর করা হয়েছে, একইভাবে ম্যানেজমেন্ট আর সাংবাদিকদের মধ্যকার ড্র লাইন তুলে দিয়ে সাংবাদিকতা ধ্বংস করা হয়েছে,’ মন্তব্য করেন তিনি।
খসরু বলেন, ‘শুধু রাজনৈতিক গণতন্ত্র নয়, অর্থনৈতিক গণতন্ত্র এবং মতপ্রকাশের গণতন্ত্র সুপ্রতিষ্ঠিত না হলে গণতান্ত্রিক পদযাত্রা ব্যাহত হয়। পাঁচ আগস্টের পর একজন কার্টুনিস্ট বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের একটি কার্টুন আঁকেন। অন্য কেউ হলে হয়তো প্রতিক্রিয়া দেখাতেন, সমালোচনা করতেন। কিন্তু তারেক রহমান নিজেই সেই কার্টুন শেয়ার দিয়ে কার্টুনিস্টের প্রশংসা করেছেন। এটাই মুক্ত গণমাধ্যম এবং স্বাধীন মতপ্রকাশের প্রতি সম্মান প্রদর্শন।’
সাংবাদিকদের যে আদর্শই থাকুক না কেন, সংবাদ প্রকাশের ক্ষেত্রে ‘অবজেকটিভ’ থাকার পরামর্শ দেন খসরু।
১০৩ দিন আগে
নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতে ঘোষণায় বিএনপির বিজয় হয়েছে: মঈন খান
জাতির উদ্দেশে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের দেওয়া ভাষণে নির্দিষ্ট করে আগামী ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ঘোষণাকে ‘বিএনপির বিজয়’ বলে অভিহিত করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খান
তিনি বলেন, তারেক রহমানের নেতৃত্বে গতকাল মঙ্গলবার রাতে আমাদের বিজয় হয়েছে। তবে শুধু সময় নয়, আমরা চাই একটি সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন।
বুধবার (৬ আগস্ট) দুপুরে সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপির উদ্যোগে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
নির্বাচনের জন্য বিএনপি প্রস্তুত জানিয়ে তিনি বলেন, জনগণকে সঙ্গে নিয়ে বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেবে এবং বিজয়ী হবে। সেজন্য দলীয় নেতাকর্মীদের প্রস্তুতি নিতে দিকনির্দেশনাও দেন তিনি।
সমাবেশ শেষে রেজিস্ট্রারি মাঠ থেকে শুরু হয় বিজয় র্যালি। এতে অংশ নেন সংগঠনটির জেলা ও মহানগরের নেতাকর্মীরা। বৃষ্টির কারণে র্যালিটি সংক্ষিপ্ত করে কোর্ট পয়েন্টে গিয়ে শেষ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ১৬ বছর জুলুমের পুঞ্জীভুত ক্ষোভের বহির্প্রকাশ ৫ আগস্ট: মঈন খান
সমাবেশে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির, জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক এমরান আহমদ চৌধুরী, মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এমদাদ হোসেন চৌধুরীসহ জেলা ও মহানগর বিএনপির বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া আগামী ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ঘোষণাকে ‘ঐতিহাসিক’ বলে অভিহিত করে একে স্বাগত জানিয়েছে বিএনপি। বুধবার রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আনুষ্ঠানিকভাবে দলীয় এই প্রতিক্রিয়া জানান।
তিনি বলেন, বিএনপি মনে করে, এই ঐতিহাসিক ঘোষণায় বাংলাদেশের রাজনৈতিক অচলাবস্থা কেটে যাবে, গণতন্ত্র উত্তরণের পথকে সুগম করবে।
১২০ দিন আগে
১৬ বছর জুলুমের পুঞ্জীভুত ক্ষোভের বহির্প্রকাশ ৫ আগস্ট: মঈন খান
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেছেন, ‘দীর্ঘ ১৬ বছর আওয়ামী দুঃশাসন ও স্বৈরশাসন বাংলাদেশের জনজীবন বিপর্যস্ত করে তুলেছিল। দীর্ঘ সময় ধরে তাদের এই জুলুম-অত্যাচারে মানুষের মধ্যে যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছিল, সেই পুঞ্জীভূত ক্ষোভের বহির্প্রকাশ ঘটে গত বছরের ৫ আগস্ট। তাই এ দিন ছাত্রজনতাসহ সারা দেশের মুক্তিকামী মানুষ ঢাকার রাজপথে নেমে আসে।’
মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) সকালে গণঅভ্যুত্থানের একবছর পূর্তি উপলক্ষে নরসিংদী পলাশে বিএনপির ও এর অঙ্গ সংগঠনের আয়োজনে বিজয় র্যালিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
এ সময় মঈন খান বলেন, আওয়ামী দুঃশাসনের সময় বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে লাখ লাখ মামলা দেওয়া হয়। এসব মামলা থেকে রক্ষা পায়নি তৎকালিক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ তৃণমূলের হাজার হাজার নেতাকর্মী।’
আরও পড়ুন: গণতান্ত্রিক উত্তরণ বিলম্বিত হলে জনগণ আবার ফুঁসে উঠতে পারে: ড. মঈন খান
তিনি বলেন, ‘বিএনপি একটি গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল, তারা প্রতিহিংসায় বিশ্বাস করে না। গণতান্ত্রিক পদ্ধতি ব্যাতীত কোনো সভ্য দেশ সৃষ্টি হতে পারে না। তাই অন্তর্বর্তী সরকার দ্রুত সময়ের মধ্যে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে সেই গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠিত করবে।’
ঘোড়াশাল বাইপাস সড়ক থেকে শুরু করে বিজয় র্যালিটি নরসিংদী-২ নির্বাচনী এলাকার বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এতে অংশ নেয় উপজেলা বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের হাজার হাজার নেতাকর্মী।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন— পলাশ উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুস সাত্তার, সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর সাইফুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. বাহাউদ্দীন ভুঁইয়া মিল্টন, সাংগঠনিক সম্পাদক আবুবকর, উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট জসিম উদ্দিন, সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট কানিজ ফাতেমা ও আওলাদ হোসেন জনি প্রমুখ।
১২১ দিন আগে
জুলাই ঘোষণাপত্র প্রসঙ্গে সালাহউদ্দিন: সংবিধান কোনো ‘সাহিত্য’ নয়
জুলাই ঘোষণাপত্র সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করা প্রসঙ্গে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, ‘সংবিধান কোনো সাহিত্য নয়; যেখানে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পর্যন্ত সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি, সেখানে জুলাই ঘোষণাপত্র অন্তর্ভুক্তির কোনো কারণ নেই।’
বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে আলোচনা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সালাহউদ্দিন বলেন, ‘২৪-এর গণঅভ্যুত্থানকে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দিতে বিএনপি আন্তরিক। তবে একটি পুরো ঘোষণাপত্রকে সংবিধানে যোগ না করে জুলাইয়ের চেতনা এবং বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বৈধতা সংবিধানের চতুর্থ তফসিলে যোগ করা যেতে পারে।’
‘মুক্তিযুদ্ধের সময় ১০ এপ্রিলের ঘোষণাপত্রের ওপর ভিত্তি করে ১৭ এপ্রিল প্রবাসী সরকার গঠন হয়েছিল। যুদ্ধ শেষে ১৯৭২ সালের ১৬ ডিসেম্বর নতুন সংবিধান প্রণয়ন হলে সেখানে এই ঘোষণাপত্র পুরোটা যুক্ত না করে এর গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয় যোগ করা হয়েছিল। এখন জুলাই ঘোষণাপত্র যোগ করতে গেলে প্রশ্ন উঠবে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র, ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস এবং ‘৯০-এর গণঅভ্যুত্থান কেন সংবিধানে যোগ করা হবে না।’
আরও পড়ুন: শুল্ক নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনায় বিশেষজ্ঞ নিয়োগ করতে অন্তর্বতী সরকারকে আহ্বান ফখরুলের
জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে বিএনপির আগ্রহ নেই—এমন অভিযোগ প্রসঙ্গে সালাহউদ্দিন বলেন, ‘১২ ফেব্রুয়ারি সরকারের দুই উপদেষ্টার কাছে এই ঘোষণাপত্রে বিএনপির অবস্থান নিয়ে খসড়া প্রেরণ করা হলেও এ কয় মাসে এর কোনো উত্তর আসেনি। গত কয়েকদিন আগে সরকারের পক্ষ থেকে এক উপদেষ্টা যোগাযোগ করলে একদিনের মাথায় বিএনপি প্রতিউত্তর দিয়েছে। জুলাই প্রসঙ্গে বিএনপি বরাবরই আন্তরিক।’
ঐকমত্য কমিশনে প্রধান বিচারপতি নিয়োগ প্রসঙ্গে বিএনপির অবস্থান প্রসঙ্গে সালাহউদ্দিন জানান, ‘প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা ছাড়াই আপিল বিভাগের সর্বজ্যেষ্ঠ দুই বিচারপতির মধ্য থেকে একজনকে বেছে নিতে পারবেন রাষ্ট্রপতি। এই প্রস্তাবে বিএনপি একমত হলেও বেশ কিছু রাজনৈতিক দলের মধ্যে মতানৈক্য দেখা গেছে। তাই এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব হয়নি।’
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৃহস্পতিবারের আলোচনায় বিএনপি ছাড়াও বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), গণঅধিকার পরিষদ, গণসংহতি, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টিসহ ৩০টি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন।
১৪৭ দিন আগে
সংসদে চারটি স্থায়ী কমিটির সভাপতি পদ বিরোধী দলের: সালাহউদ্দিন
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে দ্বিতীয় ধাপের দ্বিতীয় পর্যায়ের সভার মধ্যাহ্নভোজের বিরতিতে সাংবাদিকদের বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, আগামী জাতীয় সংসদে ৫০টি স্থায়ী কমিটির মধ্যে চারটি বিরোধী দলের জন্য ধার্য হয়েছে এবং সব রাজনৈতিক দল এ বিষয়ে একমত।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মঙ্গলবারের (১৭ জুন) সভায় চারটি গুরুত্বপূর্ণ সংসদীয় স্থায়ী কমিটি পাবলিক অ্যাকাউন্ট, প্রিভিলেজ, ইস্টিমেশন এবং পাবলিক আন্ডারটেকিং কমিটির সভাপতি পদ বিরোধী দল থেকে দেওয়ার সিদ্ধান্তে সবাই একমত বলে জানিয়েছে তিনি।
বাকি স্থায়ী কমিটি প্রসঙ্গে বিএনপির এ নেতা বলেন, ‘শুধু এই চারটি কমিটি না, সংখ্যাধিক্যের ভিত্তিতে বাকি কমিটিতেও আনুপাতিক হারে বিরোধীদলের জন্য নির্দিষ্ট জায়গা থাকবে।’
আরও পড়ুন: বিএনপি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে শুধু জাতীয় নির্বাচন চায়: সালাহউদ্দিন
‘এছাড়া সংবিধানের ৭০ নং অনুচ্ছেদ যেখানে নিজ দলের বিরুদ্ধে ভোট দিলে সদস্য পদ বাতিলের বিধান আছে, সে বিষয়ে আস্থা ভোট এবং অর্থ বিল বাদে অন্য কোনো বিষয়ে ভোটদানে সংসদ সদস্যদের স্বাধীনতা প্রসঙ্গে সবাই একমত,’ বলেন তিনি।
তবে বিএনপির পক্ষ থেকে যুদ্ধ পরিস্থিতি এবং জাতীয় নিরাপত্তা এই দুই বিষয়েও দলের বিরুদ্ধে ভোট দেওয়া যাবে না এমন মত দেওয়া হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে সালাহউদ্দিন বলেন, ‘বিএনপির পক্ষ থেকে এই দুই বিষয়ে অটল থাকার সিদ্ধান্ত হয়েছে। আমরা নির্বাচিত হলে ৭০নং অনুচ্ছেদে এ দুটি বিষয়ও যুক্ত করা হবে।’
নারীদের ১০০ সংরক্ষিত আসন প্রসঙ্গে সালাহউদ্দিন বলেন, ‘বেশিরভাগ রাজনৈতিক দলই এ বিষয়ে একমত। তবে নির্বাচন পদ্ধতি কেমন হবে তা নিয়ে মতানৈক্য আছে। আশা করছি, আজকের আলোচনা শেষে এ বিষয়ে সমাধানে আসা যাবে ‘
এছাড়া জুলাই সনদের পাশাপাশি প্রতিটি রাজনৈতিক দলের আলাদা আলাদা ইশতেহার গুরুত্ব পাবে বলে জানিয়েছেন বিএনপির এ নেতা।
১৭০ দিন আগে
ক্ষমতায় গেলে আপনাদের কথা মনে রাখব: সরকারি কর্মচারীদের মঈন খান
জনগণের ভোটের মাধ্যমে ফের ক্ষমতায় যেতে পারলে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কথা মনে রাখবেন বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ড. আব্দুল মঈন খান।
শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নরসিংদী ড্রিম হলিডে পার্কে সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের বনভোজন ও পরিচিতি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগের পুনরুত্থান ঠেকাতে শক্ত প্রতিরোধ গড়ে তুলুন: মঈন খান
মঈন খান বলেন, ‘আল্লাহর রহমতে জনগণের ভোটের মাধ্যমে আমরা যদি নির্বাচিত হই, তবে অবশ্যই আপনাদেরকে পুরস্কৃত করব। আপনাদেরকে এ দেশের মানুষ ও সংবিধান অত্যন্ত গুরুদায়িত্ব দিয়েছেন এবং ভবিষ্যতে আপনারা সে দায়িত্ব নিষ্ঠার সাথে পালন করবেন।’
‘যে জুলুম, অত্যাচার, নির্যাতন আপনাদের ও আমাদের ওপর হয়েছে, তা থেকে শিক্ষা নিয়ে ভবিষ্যতে দেশের মানুষকে হয়রানিমুক্ত সেবা দিতে হবে। সংবিধানে রাষ্ট্রের তিনটি স্তম্ভের কথা বলা হয়েছে। চেয়ারের চারটি পা থাকে, কিন্তু রাষ্ট্রের যে ভিত্তি সেটা হচ্ছে তিনটি,’ বলেন সাবেক এই মন্ত্রী।
‘একটি হলো জাতীয় সংসদ, দ্বিতীয়টি সুপ্রিম কোর্ট এবং তৃতীয়টি হচ্ছে সচিবালয়। সচিবালয় হলো এক্সিকিউটিভ ব্রাঞ্চ (নির্বাহী শাখা)। আর এটিই হচ্ছে রাষ্ট্র পরিচালনার অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। আপনারা সে হিসেবে রাষ্ট্রের অবিচ্ছেদ্য অংশ। অর্থাৎ এক্সিকিউটিভ ব্রাঞ্চ।’
মঈন খান আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী যারা রয়েছেন, তাদের পরিবার বর্গের অনেকেই এক কঠিন সময় পার করে এসেছেন। দীর্ঘ ১৬ বছর আপনারা কিভাবে দিন কাটিয়েছেন, আমার চেয়ে বেশি কেউ জানেন না। সে সময়ও আপনারা আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন, আমি ধৈর্য ধরতে বলেছিলাম। আপনারা ধৈর্য ধরেছেন, এ জন্যই আজকে একটি সুদিনের স্বপ্ন আপনারা দেখতে পারছেন।’
‘কোনো অন্যায় চিরকাল টিকে থাকতে পারে না। অন্যায় ও স্বৈরশাসক বাংলাদেশ থেকে দূর হয়েছে। এ দেশে হয়তো রাজনীতিকরা সরকার ও মন্ত্রিসভা গঠন করবে, সে সময়ে আমি আপনাদের কথা মনে রাখবো,’ বলেন মঈন খান।
আরও পড়ুন: নির্বাচনি সংস্কার নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অবস্থানের সমালোচনা করলেন মঈন খান
তিনি বলেন, ‘মানুষকে আপনারা সেবা দিয়ে থাকেন, রাজধানী থেকে শুরু করে অজপাড়াগাঁ পর্যন্ত আপনাদের সেবার পরিধি। সে কারণেই একটি দেশ পরিচালনায় আপনাদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কাজেই আপনারা দেশের জনগনের কথা মাথায় রেখে হয়রানিমুক্ত সেবা করবেন। দেশের মানুষও আপনাদের সেবা করবে। দেশের মানুষ আপনাদেরকে মাথায় তুলে রাখবে।’
বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের সভাপতি নূরুল ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন, ড্রিম হলিডে পার্কের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রবীর কুমার সাহা। অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন স্থানীয় বাস ট্রাক মালিক সমিতির সভাপতি ও বিএনপি নেতা সারোয়ার মৃধা, বাবুল সরকার, আব্দুর রশিদ, ভিপি মনির ও শাহানশাহ শানু।
২৯৯ দিন আগে
‘নির্বাচনের জন্য অপেক্ষা করতে রাজি আছি, তবে যুগ যুগ ধরে নয়’
জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বক্তব্যকে সাধুবাদ জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। তিনি বলেছেনে, ‘নির্বাচনের জন্য অপেক্ষা করতে রাজি আছি; সংস্কার হবে। তবে যুগ যুগ ধরে অপেক্ষা করতে রাজি নই। দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা খারাপ- এসব কিছুর জন্য রাজনৈতিক সরকার দরকার। নির্বাচনের রোডম্যাপ দরকার।’
বিজয় দিবসে (১৬ ডিসেম্বর) রাজধানীর চন্দ্রিমা উদ্যানে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
সোমবার জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আগামী বছর অর্থাৎ ২০২৫ সালের শেষ থেকে ২০২৬ সালের প্রথমার্ধে দেশে জাতীয় নির্বাচন হতে পারে।
আরও পড়ুন: দুর্নীতি মামলায় মির্জা আব্বাসসহ ৫ জন খালাস
এ বিষয়টি নিয়ে মির্জা আব্বাসের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, ‘আমি প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যটা শুনি নাই, আপনার মুখেই যেটুকু জানলাম। উনি যেটা বলেছেন, যথার্থ বলেছেন। নির্বাচনে যারা পার্টিসিপেট (অংশগ্রহণ) করবে, যারা অংশীজন, তারা যদি চায় তিনি যৌক্তিক সময়ে নির্বাচন দেবেন… সাদুবাদ জানাই। কিন্তু এর বাইরে কোনা কথা কারো নাই।’
‘আর সংস্কার একটা বিষয়। এটা যুগ যুগ ধরে চলবে, এটা নতুন কিছু না। এটা একটা প্যাকেট না যে, একটা প্যাকেটে করে এনে আমি সংস্কার হয়ে গেলাম। এটা সময়ের বিবর্তনে, সময়ের চাহিদায় সংস্কার প্রয়োজন হয়। আমরা আশা করছি, এই সরকার দ্রুততম সময়ে জনগণের ভোটের অধিকার জনগণের হাতে ফেরত দেবে এটাই আমাদের কাম্য।’
তিনি বলেন, বলেন, ‘এ দেশের মানুষ ভোটের অধিকার চায়। আমরা শুনেছি, আমরা দেখেছি, ভোটের কথা বললে, ইলেকশনের কথা বললে অনেকে মুখ বাকা হয়ে যায়। আমরা পরিষ্কার বলতে চাই, আমাদের নেতা তারেক রহমান সাহেব পরিষ্কার বলেছেন- আমাদের কতদিন অপেক্ষা করতে হবে, এটা একটু আমাদের জানিয়ে দিন।’
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে শেরে বাংলা নগরে মির্জা আব্বাসের নেতৃত্বে বিএনপির কয়েক হাজার নেতাকর্মী জিয়াউর রহমানের কবরে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান।
এ সময় দলটির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য মাসুদ আহমেদ তালুকদার, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, কেন্দ্রীয় নেতা ফজলুল হক মিলন, কামরুজ্জামান রতন, নাজিম উদ্দিন আলম, সাইফুল আলম নিরব, আবদুল কাদির ভুঁইয়া জুয়েল, আনিসুর রহমান তালুকদার খোকন, মহানগর উত্তর বিএনপির আমিনুল হক, দক্ষিণের তানভীর আহমেদ রবিন, যুব দলের আবদুল মোনায়েম মুন্নাসহ অঙ্গ সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: শিক্ষার্থীদের কোটা আন্দোলনকে ভিন্ন দিকে ধাবিত করার অপচেষ্টা করছে সরকার: মির্জা আব্বাস
৩৫৩ দিন আগে
সরকারের ভেতরের কিছু লোক দেশকে অস্থিতিশীল করতে কাজ করছে: আব্বাস
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, বাংলাদেশ ও অন্তর্বর্তী সরকারকে বিব্রত করতে একটি কুচক্রী মহল কাজ করে যাচ্ছে। সরকারের ভেতরেরই কিছু লোক ড. ইউনুসকে ভুল পথে চালানোর পরিকল্পনা করছে।
তিনি বলেছেন, ‘অন্যদিকে, বিএনপি ও অন্যান্য দলগুলো ড. ইউনুসকে সঠিক পথে চালানোর জন্য কাজ করছি। তবে কিছু লোক বিএনপিকে আওয়ামী লীগের সঙ্গে ট্যাগ করার চেষ্টা করছে। দেশের বাইরে কিছু ভ্লগার আছেন, যাদের কাজই হলো বিএনপির ক্ষতি করা।’
রবিবার (১ ডিসেম্বর) প্রেসক্লাবে স্বাধীনতা ফোরাম আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা আব্বাস বলেন, ২১ আগস্ট একটি গ্রেনেড হামলা হয়েছিল যা পরিকল্পিত একটি বিদেশি শক্তির কাজ ছিল। তাতে বিএনপি কখনও ইনভলভ (জড়িত) ছিল না। কিন্তু ওই হামলা ঘিরে একটি মিথ্যা মামলা সাজিয়ে তারেক রহমানকে সাজা দেওয়া হয়। সেই মামলার আজ রায় হয়েছে, যে রায়ে প্রমাণিত হয়েছে যে গ্রেনেড হামলার সঙ্গে তারেক রহমান জড়িত নয়।’
আরও পড়ুন: দুর্নীতি মামলায় মির্জা আব্বাসসহ ৫ জন খালাস
তিনি বলেন, ‘গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার জন্য ১৭ বছর ধরে আমরা রাজপথে আন্দোলন করে আসছি। তার জন্য হাজার হাজার নেতাকর্মীকে জেলে যেতে হয়েছে। এত কষ্ট করার পর তাদের জিজ্ঞেস করতে চাই, যে বিএনপির সঙ্গে আপনাদের শত্রুতা কী? কেন আপনারা আওয়ামী লীগের সঙ্গে আমাদের ট্যাগ (যুক্ত) করতে চান?’
তিনি আরও বলেন, ‘গণতন্ত্র আর আওয়ামী লীগ এই দুটো শব্দ একসঙ্গে যায় না। বিএনপি আর গণতন্ত্র একসঙ্গে যায়, কারণ খালেদা জিয়া সবসময় গণতান্ত্রিক উপায়ে ক্ষমতা হস্তান্তর করেছেন।’
‘আমরা প্রমাণ করেছি যে আমরা গণতান্ত্রিক দল। শেখ হাসিনা যদি গণতান্ত্রিকভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর করতেন, তাহলে দেশের আজ এই দশা হতো না।’
আরও পড়ুন: অখণ্ড ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতির মধ্যেই রয়েছে শান্তির চাবিকাঠি: আব্বাস
৩৬৮ দিন আগে