ঘরোয়া উপায়
বর্ষাকালে জামা-কাপড়ের স্যাঁতসেঁতে ভাব ও দুর্গন্ধ দূর করার ঘরোয়া উপায়
বর্ষাকাল মানেই গ্রীষ্মের প্রচণ্ড দাবদাহ থেকে স্বস্তি। দিনভর রোদের প্রখর তাপ থেকে মুক্তি দিয়ে মুষলধারে বৃষ্টি সারা শরীর জুড়ে প্রশান্তির পরশ বুলায়। কিন্তু নিত্যদিনের স্বাস্থ্যকর পোশাক-পরিচ্ছদের প্রসঙ্গ যখন আসে, তখন এই ভেজা আবহাওয়াটাই হয়ে ওঠে বিড়ম্বনার কারণ। ভালো করে ধুয়ে শুকানোর পরেও নতুন জামা-কাপড়ে লেগে থাকা অপ্রীতিকর গন্ধ এ সময়ের স্বাভাবিক বিষয়। দুর্গন্ধের পাশাপাশি কাপড়ের স্যাঁতসেঁতে ভাব রীতিমতো বিরক্তির উদ্রেক করে। এই পরিপ্রেক্ষিতে চলুন, বৃষ্টির মৌসুমে জামা-কাপড়ের দুর্গন্ধের কারণ এবং তা দূর করার ঘরোয়া উপায়গুলো জেনে নেওয়া যাক।
বর্ষাকালে কাপড়ের স্যাঁতসেঁতে ভাব ও দুর্গন্ধের কারণ
বাতাসে আর্দ্রতার আধিক্য
বৃষ্টির দিনগুলোতে বাতাসে আর্দ্রতা বেড়ে যায়। এই উচ্চ আর্দ্রতা বাষ্পীভবন প্রক্রিয়াকে ধীর করে দেয়। ফলশ্রুতিতে জামা-কাপড় পরিপূর্ণভাবে শুকাতে অনেক সময় লেগে যায়। বৃষ্টির কারণে চারপাশের স্যাঁতসেঁতে অবস্থার প্রভাব পড়ে কাপড়ের উপর। এমনকি এই আর্দ্রতা ড্রয়ারে রাখা কাপড়গুলোকেও স্যাঁতসেঁতে করে তোলে।
কাপড়ের মধ্যে বিশেষ করে তুলা এবং উলের মতো প্রাকৃতিক উপাদান থেকে তৈরি পোশাকগুলো বাতাস থেকে আর্দ্রতা শোষণ করে। ফলে প্রথম দিকে সাময়িক শুষ্কতা থাকলেও কিছুক্ষণের মধ্যেই কাপড়গুলোতে স্যাঁতসেঁতে ভাব চলে আসে।
আরও পড়ুন: মুখের দুর্গন্ধ দূর করার ঘরোয়া উপায়
কাপড় শুকানোর পর্যাপ্ত পরিবেশের অভাব
সূর্যের তাপ ও অতিবেগুনী রশ্মি উভয়ই বাষ্পীভবন এবং ব্যাকটেরিয়া হত্যা করতে সহায়তা করে। তাই কাপড় সঠিকভাবে শুকানোর ক্ষেত্রে সূর্যালোকের ভূমিকা সর্বাধিক। কিন্তু বর্ষাকালে অধিকাংশ সময় মেঘলা অবস্থা থাকার কারণে সরাসরি সূর্যালোক পাওয়া সম্ভব হয় না। এর ফলে কাপড়ে পরিপুর্ণ শুষ্কতা আসতেও অনেক সময় লাগে।
বর্ষাকালে বৃষ্টির কারণে অনেক সময় বারান্দাতেও কাপড় মেলে দেওয়ার উপায় থাকে না। এ অবস্থায় কাপড় শুকানোর একমাত্র অবলম্বন ভেতরের ঘরগুলো। ঘরের অভ্যন্তরীণ পরিবেশে অধিকাংশ ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত বায়ুচলাচলের অভাব থাকে। তাছাড়া দিনভর বৃষ্টি ঘরগুলোকে আগে থেকেই স্যাঁতসেঁতে করে রাখে, যে পরিবেশ কাপড় শুকানোর জন্য একদমি অনুকূল নয়।
জীবাণুর বংশবিস্তার ও সংক্রমণ
দীর্ঘ সময় ধরে স্তূপ করে বা দড়িতে মেলে রাখা কাপড় ব্যাকটেরিয়ার বংশবিস্তারের জন্য আদর্শ জায়গা। এই অণুজীবগুলো আর্দ্র অবস্থায় দ্রুত বংশবিস্তার এবং সংক্রমণ ঘটাতে পারে। এর ফলে শুধু খারাপ গন্ধই নয়; নানা ধরনের স্বাস্থ্য ঝুঁকিও সৃষ্টি হয়। সম্পূর্ণভাবে শুকানোর আগেই যারা কাপড় পড়ে নেন তাদের এই ব্যাকটেরিয়ার মাধ্যমে সংক্রামিত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
আরও পড়ুন: ফ্রিজের দুর্গন্ধ দূর করার ঘরোয়া উপায়
বর্ষাকালে বৃষ্টি ও তার পরের কিছু সময় বাদে অন্যান্য সময়গুলোতে গরম থাকে। এর সঙ্গে উচ্চ আর্দ্রতা সম্পন্ন বাতাস যুক্ত হয়ে সৃষ্টি করে ঘামের। আর ঘর্মাক্ত শরীরে যেখানে শুকনো কাপড়ই বিব্রতকর অবস্থার সৃষ্টি করে, সেখানে হাল্কা ভেজা পরিধেয়গুলো রীতিমতো অসহনীয় করে তোলে।
তাছাড়া এই ঘাম কাপড়ের স্যাঁতসেঁতে অবস্থা বৃদ্ধির মধ্যে দিয়ে ব্যাকটেরিয়াসহ বিভিন্ন ধরনের দূষকের জন্য অনুকূল পরিবেশের সৃষ্টি করে।
ঘরোয়া উপায়ে বর্ষাকালে কাপড়ের স্যাঁতসেঁতে ভাব ও দুর্গন্ধ দূর করার পদ্ধতি
ধোয়ার জন্য কাপড় স্তূপ করে না রাখা
অনেকেই তাদের দৈনন্দিন কাপড়গুলোকে ধোয়ার জন্য সব একসঙ্গে করে একটি লন্ড্রি ব্যাগে বা ঝুড়িতে ভেতরে ফেলে রাখেন। বদ্ধ জায়গায় এভাবে কাপড় ফেলে রাখলে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে দুর্গন্ধ আরও প্রকোট আকার ধারণ করে। বর্ষার মৌসুমে এই কাপড়গুলো ধুয়ে ফেলার পরেও দুর্গন্ধ দূর হয় না।
আরও পড়ুন: অতিরিক্ত দাবদাহে যেভাবে ঘরের ছাদ ঠান্ডা রাখবেন
মূলত জামা-কাপড়ের সঙ্গে লেগে থাকা ঘামসহ অন্যান্য শারীরিক তরল পদার্থ প্রতিটি পোশাকেই দুর্গন্ধ সৃষ্টি করে। অতঃপর যত বেশি পোশাক একসঙ্গে এক জায়গায় জমা করা হয়, সব পোশাকের গন্ধ মিলে দুর্গন্ধ আরও খারাপ হতে থাকে।
তাই জামা-কাপড়গুলোকে পরস্পরের মাঝে অল্প জায়গা রেখে দড়িতে ঝুলিয়ে রাখা উচিৎ। এমনকি কাপড়গুলো যদি কয়েক দিন পরে ধোয়ার জন্য রাখা হয়, তাহলেও সেগুলোকে আলাদা ভাবে ঝুলিয়ে রাখতে হবে। এতে করে কাপড়ের ভেতরে ও বাইরে উভয় অংশে কিছুটা বাতাস পায়, যা সেগুলোকে খারাপ গন্ধ থেকে দূরে রাখে।
নিয়মিত কাপড় ধোয়া
বৃষ্টির কারণে কাপড় শুকানোর পর্যাপ্ত উপায় না থাকার কারণে অনেকেই কাপড় ধোয়ার জন্য রোদ ওঠার অপেক্ষা করেন। আষাঢ়-শ্রাবণ মাসে দিনের পর দিন রোদ্রের দেখা না পাওয়াটা খুব স্বাভাবিক বিষয়। তাই পরিধেয় পোশাক পরিষ্কারের ক্ষেত্রে এই দীর্ঘ বিরতিটা একদমি উচিৎ নয়। বরং স্যাঁতসেঁতে অবস্থায় দীর্ঘ দিন পরে থাকার চেয়ে পরিষ্কার অবস্থায় হাল্কা ভেজা থাকা ভালো। একইভাবে ধুয়ে মেলে রাখার পর হাল্কা ভেজা কাপড়ের গন্ধের তুলনায় স্তূপ করে রাখা নোংরা কাপড়ের গন্ধ অনেক খারাপ।
আরও পড়ুন: অতিরিক্ত গরমে স্কুলগামী শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য রক্ষার উপায়
আর একই কাপড় দুই বা ততোধিক দিন পড়ে থাকার তো কোনও প্রশ্নই নেই। প্রতিদিন নিয়মিত পরিধেয়গুলো ধুয়ে ফেলা বৃষ্টির মৌসুমে অপ্রীতিকর গন্ধ অপসারণে অনেকটা সহায়ক হয়।
ভিনেগার, বেকিং সোডা বা লেবুর রস ব্যবহার করা
প্রতিদিন কাপড় ধোয়ার মাধ্যমে সতেজ গন্ধ দেওয়ার ক্ষেত্রে শুধুমাত্র ওয়াশিং পাউডার যথেষ্ট নাও হতে পারে। এ ক্ষেত্রে ডিটারজেন্টের সঙ্গে পানিতে কিছুটা ভিনেগার বা বেকিং সোডা মিশিয়ে নেওয়া যেতে পারে। এটি খারাপ গন্ধকে দূর করে কাপড়ের সুগন্ধ নিশ্চিত করতে পারে।
বেকিং সোডায় কাপড় ভিজিয়ে রাখলে তা ডিওডোরাইজার বা দুর্গন্ধনাশকের কাজ করে। জামা-কাপড় থেকে দুর্গন্ধ দূর করার পাশাপাশি এটি কাপড়কে নমনীয় করতে সাহায্য করে। এর জন্য ধোয়া সময় প্রায় আধ কাপ বেকিং সোডাই যথেষ্ট।
আরও পড়ুন: ঈদের ছুটিতে বাড়ি যাওয়ার আগে যে বিষয়গুলো খেয়াল রাখা জরুরি
আর ভিনেগার ডিটারজেন্টে থাকা দস্তার লবণ পৃথক করে কাপড়ের লেগে থাকা ময়লা দূর করে। ভিনেগারের ব্যাকটেরিয়া-বিরোধী বৈশিষ্ট্যও রয়েছে।
ভিনেগার এবং বেকিং সোডা উভয়ই কাপড়ে তাদের নিজস্ব কোনও গন্ধ ছড়ায় না। ফলে কাপড় গন্ধহীন, পরিষ্কার এবং রীতিমতো তাজা হয়ে ওঠে।
হাতের কাছে কোনো কিছু না থাকলে নিদেনপক্ষে লেবুর রস দিয়েও কাপড়ের স্যাঁতসেঁতে গন্ধ দূর করা যায়। এর জন্য জামা-কাপড় ভিজিয়ে রাখা পানিতে অল্প পরিমাণে লেবুর রস মিশিয়ে নিতে হবে।
আরও পড়ুন: বর্ষায় পোকামাকড়ের উপদ্রব থেকে বাঁচতে করণীয় সম্পর্কে জেনে নিন
ঘরের ভেতরে কাপড় শুকানোর সহায়ক পরিবেশ তৈরি করা
সূর্যের প্রাকৃতিক অতিবেগুনী রশ্মি কাপড়ের অপ্রীতিকর গন্ধ থেকে মুক্তির জন্য সবথেকে উৎকৃষ্ট উপায়। বর্ষাকালের যে দিনগুলোতে রোদের দেখা মিলবে সে সময় বারান্দা, ছাদ বা উঠোনই কাপড় মেলে দেওয়ার উপযুক্ত স্থান। কিন্তু অন্যান্য দিনগুলোতে কাপড়গুলোর সর্বোচ্চ শুষ্কতা নিশ্চিতকরণে ঘরের ভেতরে সহায়ক পরিবেশ তৈরি করতে হবে।
কেননা ঘরের বাইরে ভেজা কাপড়গুলো উচ্চ আর্দ্রতার বাতাসের সর্বাধিক সংস্পর্শ পাবে। সেদিক থেকে ঘরের ভেতরটা সেই ক্ষতিকর আর্দ্রতা থেকে অনেকটাই মুক্ত থাকে। তাই জামা-কাপড় জানালার ধারে উপরে বা ফ্যানের কাছাকাছি কোথাও ঝুলিয়ে রাখা যেতে পারে।
এর জন্য অনেকেই ঘরের ভেতরে দড়ি টাঙিয়ে কাপড়গুলো চলন্ত ফ্যানের নিচে ঝুলিয়ে রাখেন। এটি বেশ ভালো একটি উপায়। তবে এ ক্ষেত্রে যে ঘরটিতে বেশ ভালো বায়ু চলাচল রয়েছে, সে ঘরকে দড়ি টাঙানোর জন্য বেছে নেওয়া উচিৎ। এতে করে কাপড় শুকানোর প্রক্রিয়া অপেক্ষাকৃত দ্রুত হতে পারে।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গু প্রতিরোধ: বাড়িকে মশামুক্ত রাখার প্রাকৃতিক উপায়
শুকনো কাপড়ের জন্য শুকনো জায়গা নিশ্চিত করা
ওয়ারড্রোব বা ড্রেসারে দীর্ঘদিন বাদে পরিধানের জন্য নির্ধারিত পোশাকগুলো সুন্দরভাবে ভাঁজ করে রাখা হয়। কিন্তু দৈনন্দিন পরিধানের কাপড়গুলো সাধারণত বাইরে হ্যাঙ্গার বা আলনাতেই থাকে। এগুলো খুব দ্রুত আর্দ্রতাপূর্ণ বাতাসের সান্নিধ্যে আসে। এ ক্ষেত্রে কাপড়গুলো একটার ওপর আরেকটা না রেখে আলাদাভাবে দুয়েক ভাঁজ দিয়ে পরিপাটি করে রাখা উচিৎ। সম্ভব হলে প্রতিদিনের কাপড়গুলোর জন্যও আলাদা ওয়ারড্রোব রাখার চেষ্টা করা উচিৎ।
তাছাড়া অত্যধিক আর্দ্র আবহাওয়ার দিনগুলোতে ওয়ারড্রোবই আর্দ্রতা থেকে নিরাপদ থাকে না। এ অবস্থায় আর্দ্রতা শোষণ করার জন্য ড্রেসারে সিলিকন পাউচ, চক বা বেকিং সোডাসহ একটি ছোট কাপ রাখা যায়। এগুলো ডিহিউমিডিফায়ার বা আর্দ্রতা শোষক হিসেবে কাপড় থেকে দুর্গন্ধ দূর করতে সাহায্য করবে।
পরিশিষ্ট
বর্ষাকালে জামা-কাপড়ের দুর্গন্ধের মুল কারণ হলো বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ বেশি থাকা। এর ভিত্তিতেই পরবর্তীতে স্যাঁতসেঁতে অবস্থা; অতঃপর জীবাণুর বংশবিস্তারের মাধ্যমে সৃষ্টি হয় দুর্গন্ধ। এই আবহাওয়ার সঙ্গে মানিয়ে চলতে হলে কাপড় শুকনো রাখার কোনও বিকল্প নেই। দুর্গন্ধ দূরীকরণে ভিনেগার, বেকিং সোডা এবং লেবুর রস উপযুক্ত উপকরণ।
এরপরেও স্বাস্থ্যকর পরিবেশের স্বার্থে ধোয়ার আগে বা পরে কখনই কাপড় অবিন্যস্তভাবে স্তূপ করে রাখা যাবে না। প্রতিদিন কাপড় পরিষ্কার এবং তা সঠিকভাবে শুকানোর এই পদ্ধতিগুলো অনুসরণের মাধ্যমে বৃষ্টির দিনগুলোতে জামা-কাপড়ের দুর্গন্ধজনিত বিড়ম্বনা থেকে মুক্তি মিলবে।
আরও পড়ুন: তীব্র গরমে পানিশূন্যতা প্রতিরোধে উপকারী শাকসবজি
৫ মাস আগে
মুখের দুর্গন্ধ দূর করার ঘরোয়া উপায়
শ্বাস-প্রশ্বাসের সঙ্গে মুখের ভেতর থেকে গন্ধ বের হওয়াটা স্বাভাবিক। কিন্তু কারো কারো ক্ষেত্রে দুর্গন্ধের তীব্রতা এতটাই থাকে যে অন্যের সঙ্গে কথা বলার সময় এ নিয়ে ভীষণ বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হয়। যাদের নিঃশ্বাসের গন্ধ স্বাভাবিক, নানা রকম স্বাস্থ্য সমস্যায় তারাও এরকম দুর্গন্ধজনিত অবস্থায় পড়তে পারেন। চিকিৎসাশাস্ত্রে শ্বাস ছাড়ার সময় এমন খারাপ গন্ধ বের হওয়াটাকে হ্যালিটোসিস বলা হয়। এর ফলে চূড়ান্ত মাত্রায় মুখের ক্যান্সার পর্যন্ত হতে পারে। অথচ দৈনন্দিন জীবনধারণে একটু সাবধান থাকলেই এড়ানো যায় এই স্বাস্থ্য ঝুঁকি। তাই চলুন, মুখের দুর্গন্ধের কারণ ও তা দূর করার জন্য কার্যকরী ঘরোয়া উপায়গুলো জেনে নেওয়া যাক।
মুখে দুর্গন্ধ হওয়ার কারণ
অতিরিক্ত গন্ধযুক্ত খাবার গ্রহণ
প্রতিটি খাবারেরই একটা নিজস্ব গন্ধ থাকে। খাবার চাবানোর সময় এই গন্ধ মুখ গহ্বরে ছড়িয়ে পড়ে। খাবারের মধ্যে থাকা উপাদানসহ এই গন্ধ রক্ত প্রবাহের মাধ্যমে ফুসফুসে যেয়ে শ্বাস ছাড়ার বাতাসকে প্রভাবিত করে। একই ঘটনা ঘটে রসুন, পেঁয়াজ বা নানা রকম মশলাদার খাবারের ক্ষেত্রেও। কিন্তু শরীর থেকে না বের হওয়া পর্যন্ত এ ধরনের অতিরিক্ত গন্ধযুক্ত খাবার রক্ত প্রবাহে শোষিত হওয়ার পর শ্বাস-প্রশ্বাসেই থেকে যায়। এর ফলে মুখের ভেতর এই খাবারগুলো গন্ধ দীর্ঘ সময় ধরে থাকে।
দাঁতের যত্নে অবহেলা
প্রতিদিন নিয়ম মেনে দাঁত ব্রাশ না করলে টুকরো খাবার দাঁতের ফাকেই থেকে যায়। খাবার জমা হওয়া এই স্থানগুলো ব্যাকটেরিয়ার প্রজনন ক্ষেত্র। জীবাণুর বংশ বিস্তারের মধ্যে দিয়ে দাঁত, মাড়ি এবং জিহ্বায় জমা হওয়া খাবারে পচন ধরতে শুরু করে। ফলশ্রুতিতে মুখের মধ্যে অপ্রীতিকর গন্ধ সৃষ্টি হয়। শুধু তাই নয়, এর ধারাবাহিকতায় মুখের স্বাদও নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।
আরও পড়ুন: অতিরিক্ত দাবদাহে যেভাবে ঘরের ছাদ ঠান্ডা রাখবেন
জিহ্বায় দুর্গন্ধ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া
অনেক সময় ধরে অপরিষ্কার থাকা জিহ্বায় জন্মানো ব্যাকটেরিয়া খাবারের সংস্পর্শে এলে খাবারের অ্যামিনো অ্যাসিডের সঙ্গে বিক্রিয়া করে। এই বিক্রিয়ায় সৃষ্টি হয় বাজে গন্ধযুক্ত সালফার যৌগ, যা শ্বাস ছাড়ার সময় মুখ দিয়ে নির্গত হয়।
শুষ্ক মুখ
অধিকাংশ ক্ষেত্রে হ্যালিটোসিসের প্রধান উপসর্গ থাকে মুখের শুষ্কতা, চিকিৎসার ভাষায় যেটি জেরোস্টোমিয়া হিসেবে পরিচিত। এ সময় উল্লেখযোগ্য হারে মুখের প্রয়োজনীয় লালা উৎপাদন হ্রাস পায়। এতে মুখের স্বয়ংক্রিয় আত্ম-বিশোধন প্রক্রিয়া নষ্ট হওয়ায় আহারের পরে অবশিষ্ট খাদ্যকণাগুলোর অপসারণ হয় না।
এই শুষ্কতা অনেক সময় কিছু ওষুধের কারণে অথবা লালা গ্রন্থির ব্যাধি বা নাকের পরিবর্তে অনবরত মুখ দিয়ে শ্বাস নেওয়ার কারণেও হতে পারে।
আরও পড়ুন: জিমে অনুশীলনের সময় সম্ভাব্য দুর্ঘটনা এড়ানোর উপায়
ধূমপান বা তামাকজাত দ্রব্য গ্রহণ
সিগারেট বা ধোয়াবিহীন তামাকজাত দ্রব্য গ্রহণের সময় এগুলোতে থাকা ক্ষতিকর রাসায়নিক যৌগ মুখের লালার সঙ্গে মিশে যায়। ফলে লালার উৎপাদন হ্রাস পায় এবং মুখ শুকিয়ে যায়। পরিণতিতে নিঃশ্বাসের সঙ্গে যুক্ত হয় দুর্গন্ধ।
ধোঁয়াবিহীন তামাকজাত দ্রব্যের চিনি এবং জ্বালাপোড়ার কারণে দাঁতের ক্ষয়, দাঁতে দাগ, মাড়ির রোগ এবং শিকড়ের চারপাশে হাড় ক্ষয় হতে পারে। এর ফলে মুখে খারাপ গন্ধ ছাড়াও স্বাদ গ্রহণের ক্ষমতা হারিয়ে যাওয়া এবং মুখের ক্যান্সার হতে পারে।
বিভিন্ন ধরনের রোগের উপসর্গ
মুখ থেকে নির্গত বাজে গন্ধের পেছনে অধিকাংশ ক্ষেত্রে যে সমস্যাটি দায়ী থাকে তা হচ্ছে পিরিয়ডন্টাল রোগ। মাড়িকে কেন্দ্র করে সৃষ্টি হওয়া এই রোগে মুখের স্বাদ নষ্ট হয়ে যায় এবং মুখের হাড়ের ক্ষয় হয়।
আরও পড়ুন: অতিরিক্ত গরমে স্কুলগামী শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য রক্ষার উপায়
প্রাথমিক পর্যায়ে মাড়িতে ব্যাকটেরিয়ার একটি বর্ণহীন ও আঠালো পর্দা তৈরি হয়, যা দাঁতের প্ল্যাক নামে পরিচিত। এটি অপসারণ করা না হলে মাড়িতে জ্বালাতন শুরু হয়। অবশেষে এটি দাঁত এবং মাড়ির মাঝে প্ল্যাক-ভরা গর্ত তৈরি করতে পারে। মাড়িতে সমস্যার এই পর্যায়টির নাম জিঞ্জিভাইটিস।
শ্বাসযন্ত্রের যে সমস্যাগুলোর জন্য নিঃশ্বাসে দুর্গন্ধ দেখা দেয়, সেগুলো হলো- নাক, বায়ুনালী বা ফুসফুসে সংক্রমণ, দুরারোগ্য ব্রংকাইটিস, কফ এবং ক্রোনিক সাইনোসাইটিস।
এছাড়া ডায়াবেটিস, অন্ত্র ও কিডনীর ব্যাধিতেও একটি প্রধান লক্ষণ হচ্ছে দুর্গন্ধযুক্ত শ্বাস-প্রশ্বাস।
আরও পড়ুন: ব্লু জোন রহস্য: রোগহীন দীর্ঘজীবী সম্প্রদায়ের খোঁজে
ঘরোয়া উপায়ে যেভাবে মুখের দুর্গন্ধ দূর করা যায়
নিয়মিত দাঁত ব্রাশ
প্রতিদিনের আহারে যা খাওয়া হয় তা সম্পূর্ণ বিপাক ক্রিয়া সম্পন্ন করে শরীর থেকে বেরিয়ে যেতে ৩ দিন লাগে। এর মধ্যের সময়টা খাবারের গন্ধ মুখ গহ্বরে লেগে থাকে এবং নিঃশ্বাসের উপর প্রভাব ফেলে। এ সময় মৌখিক স্বাস্থ্যবিধি অনুশীলনের মাধ্যমে মুখের আভ্যন্তরীণ প্রতিটি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের সুস্বাস্থ্য বজায় রাখা যায়।
খাবারের উচ্ছিষ্ট অপসারণের জন্য দিনে ন্যূনতম ২ বার ব্রাশ করা উচিৎ। প্রতিবার ভারী খাবারের পর ব্রাশ করে দাঁতের ফাকে জমে থাকা টুকরো খাবারগুলো ফেলে দেওয়া আবশ্যক। এই অনুশীলনে দীর্ঘ সময় ধরে একই টুথব্রাশ ব্যবহার না করে প্রতি ২ থেকে ৩ মাস টুথব্রাশ বদলাতে হবে।
কুলি করা
বিশেষজ্ঞের প্রস্তাবিত মাউথওয়াশ দিয়ে কুলি করাটা ব্যাকটেরিয়া থেকে পরিত্রাণে অতিরিক্ত সুরক্ষা যোগ করে। সারাদিনে প্রতিবার খাওয়ার পরে ভালো ভাবে কুলি করলে দাঁতে আটকে থাকা খাদ্য কণা বের হয়ে আসে। পানির সঙ্গে অল্প লবণ যোগ করে কুলি করলে আরও ভালো।
আরও পড়ুন: সার্কেডিয়ান রিদম বা দেহ ঘড়ি নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি
এর জন্য ৮ আউন্স গরম পানিতে এক-চতুর্থাংশ থেকে আধা চা চামচ লবণ দিয়ে কুলি করা যেতে পারে। প্রায় ৩০ সেকেন্ড মুখভর্তি করে কুলি করে বাইরে ফেলে দিতে হবে। এই পদ্ধতিটি যতবার খুশি ততবার পুনরাবৃত্তি করা যায়। এতে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ ধ্বংস করা সহ মাড়িতে প্ল্যাক এবং প্রদাহ কমে। এটি নিঃশ্বাসে দুর্গন্ধ, গহ্বর বা মাড়ির রোগ হওয়ার আশঙ্কা হ্রাসের পাশাপাশি গলা ব্যথাও দূর করে।
জিহ্বা পরিষ্কার করা
নিত্যদিনের আহারে জিহ্বায় যে আবরণ তৈরি হয়, তা দুর্গন্ধযুক্ত ব্যাকটেরিয়ার জন্য অনুকূল পরিবেশের যোগান দেয়। টুথব্রাশ দিয়ে দাঁত ব্রাশ করার সময় জিহ্বার উপরিভাগ সমানভাবে ঘষে আবরণটি তুলে ফেলা যেতে পারে।
দিনে প্রতিবার ব্রাশ করার সময় দাঁতের সঙ্গে জিহ্বাকেও অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। কাজ শেষ হয়ে গেলে কোনোভাবেই টুথব্রাশটি ধুয়ে ফেলতে ভুলে যাওয়া চলবে না।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গু সম্পর্কে ১০টি প্রচলিত ধারণা: জেনে নিন সঠিক তথ্য
দাঁতের মাড়ি পরিষ্কার রাখা
দাঁত ও জিহ্বার পরিষ্কারের সময় মাড়ির যত্নের প্রতিও সমান গুরুত্ব দিতে হবে। জিনজিভাইটিসের মতো মাড়ির রোগ থেকে মুক্তি পেতে ডাক্তারের প্রস্তাবিত ব্যাকটেরিয়া-বিরোধী মাউথওয়াশ একটি উৎকৃষ্ট উপায়। এটি ব্যাকটেরিয়া মেরে ফেলে প্ল্যাক দূরীকরণে অংশ নেয় এবং মুখ নিঃসৃত দুর্গন্ধ দূর করে।
অতিরিক্ত গন্ধযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলা
পেঁয়াজ ও রসুনের মতো অতিরিক্ত গন্ধযুক্ত খাবারের পাশাপাশি মশলাদার খাবারগুলো এড়িয়ে চলতে হবে। পেঁয়াজ-রসুন খাওয়ার পরে ব্রাশ করলেও দুর্গন্ধ যায় না।
ভারী খাবারের পরে চিনি জাতীয় কোনো খাবার খাওয়া যাবে না। কেননা মুখের অভ্যন্তরে থাকা ব্যাকটেরিয়া চিনি ব্যবহার করে অ্যাসিড তৈরি করে। এতে নিঃশ্বাসের সঙ্গে দুর্গন্ধ বের হয়, এমনকি দাঁত পড়ে যেতে পারে।
আরও পড়ুন: নারীদের চেয়ে পুরুষদের আত্মহত্যার হার বেশি যে কারণে
এর পরিবর্তে চিনিবিহীন গাম চাবানো বা চিনি ছাড়া মিছরি চুষে খাওয়া ভালো। এর ফলে লালা উৎপাদন বৃদ্ধি পায়, যা মুখের ভেতর থেকে খাদ্যের কণা এবং ব্যাকটেরিয়া ধুয়ে ফেলতে সাহায্য করে।
মুখের আর্দ্রতা বজায় রাখা
মুখগহ্বরে পর্যাপ্ত পরিমাণে লালা তৈরি না হওয়াটা মুখের স্বাস্থ্যের জন্য খারাপ লক্ষণ। মুখ শুকিয়ে গেলে দিনে প্রচুর পানি পান করতে হবে। এমনকি মুখের ভেতরের অংশের পাশাপাশি মুখের বাইরের ত্বককেও শুষ্ক হতে দেওয়া যাবে না। পানি দিয়ে ঠোটের চারপাশসহ সারা মুখমন্ডল ভালো করে ভিজিয়ে নিতে হবে।
নানা ধরনের ভেষজ খাবার খাওয়া
মুখ থেকে বের হওয়া বাতাসকে তাৎক্ষণিকভাবে সুগন্ধি যুক্ত করতে একটি উৎকৃষ্ট খাদ্য উপাদান লবঙ্গ। এটি মুখের ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে লড়াইয়েও সহায়তা করে। যে কোনো সময় খাওয়ার জন্য কয়েকটি লবঙ্গ সারাদিন সঙ্গে রাখা যেতে পারে। চুষে বা চিবিয়ে যে কোনো ভাবেই খাওয়া যেতে পারে এই ভেষজ খাবারটি।
আরও পড়ুন: অটিজম কী? অটিজম সচেতনতা ও সহমর্মিতা কেন জরুরি?
নিঃশ্বাসের দুর্গন্ধের এই প্রাকৃতিক প্রতিকারের মধ্যে আরও রয়েছে পুদিনা, তুলসী, এবং এলাচ। কারো সঙ্গে দেখা করতে বা কোনো সামাজিক অনুষ্ঠানের যাওয়ার ঠিক আগে এগুলো ব্যবহার করা চমৎকার একটি কৌশল।
দাঁত পরিষ্কারের জন্য আরও একটি উপকারী খাদ্য উপাদান হচ্ছে মৌরি বীজ। এই বীজ চিবিয়ে খাওয়া যায় অথবা হাল্কা গরম পানি দিয়ে গারগেল করা যায়।
এছাড়া পান পাতাও মুখের খারাপ গন্ধকে দূর করতে পারে। দিনের যে কোনো আহারের পর কয়েকটি পান পাতা চিবিয়ে খেলে নিঃশ্বাসে মিষ্টি গন্ধ ছড়ায়, মাড়ি শক্ত হয়, দাঁত সুরক্ষিত থাকে এবং সমগ্র মুখ গহ্বর পরিষ্কার হয়ে যায়।
আরও পড়ুন: মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ: কারণ, লক্ষণ ও প্রতিরোধ
ধূমপান ও তামাকজাত পণ্য বর্জন করা
নিঃশ্বাসের দুর্গন্ধ প্রতিরোধের অন্যতম কার্যকর উপায় হলো ধূমপানসহ নানা ধরনের তামাকজাত পণ্য ত্যাগ করা। ধূমপানে জিহ্বায় ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ ঘটার আশঙ্কা বেড়ে যায় এবং মুখ শুকিয়ে যায়। এই ধরনের নেশাজাত দ্রব্য বর্জনের মাধ্যমে মাড়ির রোগ, দাঁতের ক্ষয় থেকে শুরু করে মুখের ক্যান্সারের ঝুঁকিও কমে যায়।
ফলমূল ও শাকসবজি খাওয়া
আপেল ও গাজরসহ বিভিন্ন ফল এবং শাকসবজি ঠিক আপনার টুথব্রাশের মতো দাঁত থেকে ব্যাকটেরিয়া দূর করতে সাহায্য করে। মুখের লালা বাড়াতেও এগুলোর ভূমিকা অপরিসীম।
এছাড়া কমলালেবু, লেবু, ও জাম্বুরার মতো ভিটামিন সি সমৃদ্ধ সাইট্রাস ফলগুলো মাড়ির স্বাস্থ্যের উন্নয়নে সাহায্য করে। প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় ফলমূল ও শাকসবজি রাখা মুখের দুর্গন্ধের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য একটি কার্যকর ঘরোয়া প্রতিকার।
আরও পড়ুন: থ্যালাসেমিয়া রোগের কারণ, লক্ষণ ও প্রতিরোধ
শেষাংশ
মুখের দুর্গন্ধ দূর করার জন্য দাঁত, জিহ্বা ও মাড়ি প্রত্যেকটির সঠিক যত্ন নেওয়া জরুরি। এর জন্য নিয়মিত দাঁত ব্রাশ এবং ভালোভাবে কুলি করার কোনো বিকল্প নেই। প্রতিবার খাবারের পরপরই মুখের ভেতর থেকে যাওয়া উচ্ছিষ্টগুলো ভালোভাবে বের করে ফেলা হলে আর দুশ্চিন্তা থাকে না।
তবে দীর্ঘদিন ধরে যারা এ সমস্যায় ভুগছেন তাদের দুর্গন্ধনাশক বা সুগন্ধি ছড়ানো খাদ্য উপকরণগুলো গ্রহণ করা উচিৎ। পাশাপাশি একটি নির্দিষ্ট ধারাবাহিকতা বজায় রেখে ডেন্টিস্টের সরণাপন্ন হওয়া আবশ্যক। এতে করে আগে থেকেই মাড়ির রোগ, বা সংক্রমণসহ মুখের বিভিন্ন রোগ শনাক্তপূর্বক যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া যাবে।
আরও পড়ুন: সাইলেন্ট হার্ট অ্যাটাক: কারণ, লক্ষণ ও প্রতিরোধ
৫ মাস আগে
মাইগ্রেনের ব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায়
মাইগ্রেন হলো মাথাব্যথার সর্বোচ্চ পর্যায় যেখানে মাথার যে কোন এক পাশে প্রচণ্ড ব্যথা অনুভূত হয়। এই ব্যথার সময় অধিকাংশ ক্ষেত্রেই অনেকে অসুস্থ বোধ করেন। এমনকি আলো বা শব্দ সহ্য করতে পারেন না। মস্তিষ্কের রাসায়নিক গঠনে, স্নায়ু এবং রক্তনালীতে অস্থায়ী পরিবর্তনের ফলস্বরূপ এরকম ব্যথার আধিক্য হতে পারে। এছাড়া জিনগত বৈশিষ্ট্যের উপর ভিত্তি করেও মাইগ্রেন বিভিন্ন মানুষের মধ্যে বিভিন্নভাবে প্রভাব ফেলে। কখনো প্রচণ্ড শারীরিক চাপ, ক্লান্তি ও নির্দিষ্ট কোন খাবার বা পানীয় গ্রহণ মাইগ্রেন ব্যথার সূত্রপাত ঘটাতে পারে। আজ জানবো, কিভাবে এই মাইগ্রেনের ব্যথা কমানো যায়।
মাইগ্রেনের ব্যাথা কমানোর উপায়সমূহ
অনুকূল পরিবেশ তৈরি করা
আলো এবং শব্দ অধিকাংশ সময় মাইগ্রেন বৃদ্ধির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এক্ষেত্রে সর্বপ্রথম একটি শান্ত ও অন্ধকার জায়গা খুঁজে বের করা জরুরি। সম্ভব হলে অন্ধকার ঘরে কিছু শুয়ে থাকা অথবা ঘুমের চেষ্টা করা যেতে পারে।
অনেক সময় সান্ধ্যকালীন পরিবেশে শান্ত প্রকৃতির গান মাইগ্রেনের ব্যথা উপশমে কাজ দেয়।
আরও পড়ুন: হার্ট অ্যাটাক: করণীয় এবং প্রতিরোধে যে সকল পদক্ষেপ নিতে হবে
অ্যারোমাথেরাপিতে ব্যবহৃত কিছু তেল আছে যেগুলো মাথার ব্যথা কমাতে সাহায্য করতে পারে। তবে যাদের সুগন্ধি সংবেদনশীলতা আছে তারা এই তেলগুলো ব্যবহার করার আগে নিশ্চিত হয়ে প্রয়োজন যে সেগুলোর গন্ধে মাথাব্যথা আরও বেড়ে যাচ্ছে কি না। এই তেলগুলো হলো- ল্যাভেন্ডার, পুদিনা, মৌরি, রসুন এবং গোলাপের তেল।
আলোক সংবেদনশীলদের জন্য সানগ্লাস পড়াটা আবশ্যক। যখনই আলো বিরক্তিকর হয় তখনই সানগ্লাস পড়ে ফেলা দরকার, এমনকি বাড়ির ভিতরে থাকলেও।
সানগ্লাসের উপরে ফাঁকা অংশ দিয়ে আলো প্রবেশ ঠেকানোর জন্য ক্যাপ ব্যবহার করা যেতে পারে। সব মিলিয়ে শ্রবণ, ঘ্রাণ এবং দৃষ্টি; এই তিন ইন্দ্রিয়ের জন্য অনুকূল পরিবেশের ব্যবস্থা মাইগ্রেনের ব্যথা হাল্কা করতে পারে।
আরও পড়ুন: উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে উপযুক্ত খাবার ও জীবন ধারণ পদ্ধতি
গরম বা ঠান্ডা পরশ
প্রচণ্ড গরমের সময় ঠান্ডার পরশ আর শীতকালে গরমের পরশ শরীর ও মন দুটোকেই আরাম দেয়। বাইরে থেকে ঘরে আসার পর বাইরের অতিরিক্ত শব্দ, অধিক পরিশ্রমের কারণে দেহ ও মন দুটোরই খুব খারাপ অবস্থা থাকে। এ অবস্থায় মাইগ্রেনের ব্যথা হওয়া অস্বাভাবিক কিছু নয়। এ সময় গরম স্নান বা ঝরনা পেশী শিথিল করে মুড ভালো করে দিতে পারে। সাথে মাথা ব্যথাটাও অনেকটা কমে যায়।
পেশী সংকোচনের কারণে মাইগ্রেনে আক্রান্ত ব্যক্তিদের ঘাড় বা মাথার পিছনের অংশে বা সর্বত্র তাপ প্রযোগটা অনেক কাজে দেয়।
আরও পড়ুন: করোনা মহামারি থেকে শিশুকে নিরাপদ রাখবেন কীভাবে?
২ বছর আগে
কোলেস্টেরল কমানোর কার্যকরী ঘরোয়া উপায়
কোলেস্টেরল একটি মোমের মতো পদার্থ যা যকৃতে উৎপন্ন হয়। এটি কোষের দেয়াল নমনীয় রাখতে সাহায্য করে এবং বেশ কয়েকটি হরমোন তৈরির জন্য প্রয়োজন। মানবদেহ তার প্রয়োজনীয় সমস্ত কোলেস্টেরল নিজেই তৈরি করে, তাই খাবারের মাধ্যমে কোলেস্টেরল যোগানের দরকার হয় না। বরং স্যাচুরেটেড ফ্যাট এবং ট্রান্স ফ্যাট সমৃদ্ধ প্রচুর খাবার খাওয়া উচ্চ কলেস্টেরল এবং হৃদরোগের কারণ হতে পারে। চলুন জেনে নিই- কীভাবে আপনি ঘরে থেকেই শরীরে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন।
কোলেস্টেরল কমানোর কার্যকরী ঘরোয়া উপায়
সাদা আটার পরিবর্তে লালা আটার রুটি বেছে নিন
লালা আটার রুটি বিভিন্ন ধরণের রোগবালাই যেমন টাইপ-২ ডায়াবেটিস, হৃদরোগ এবং ক্যান্সারের ঝুঁকি হ্রাস করে। এ রুটি থেকে ফাইবার, ভিটামিন বি, খনিজ যেমন দস্তা, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম এবং ম্যাঙ্গানিজ পাওয়া যায়।
আপনার ডায়েটে গ্রীক দই যোগ করুন
গ্রীক দই নিয়মিত দইয়ের চেয়ে ঘন এবং অধিক সরের আস্তরণ সম্পন্ন। এতে নিয়মিত দইয়ের চেয়ে চর্বি এবং প্রোটিন বেশি থাকে। প্রকৃতপক্ষে, এটি একই পরিমাণে নিয়মিত দই থেকে দ্বিগুণ পর্যন্ত প্রোটিন ধারণ করে। প্রতি ১০০ গ্রাম গ্রীক দইয়ে ১০ গ্রাম পর্যন্ত প্রোটিন থাকে।
এটি খাওয়ার পর দীর্ঘক্ষণ আপনার পাকস্থলী পরিপূর্ণ মনে হবে। এতে সেই সময়টুকু ধরে আপনার ক্ষুধা নিবারণ হবে। ডায়েট করার জন্য গ্রীক দই কার্যকরী একটি খাবার।
পাশাপাশি এতে নিয়মিত দইয়ের তুলনায় কম কার্বোহাইড্রেট এবং কম ল্যাকটোজ থাকে। এটি এমন লোকদের জন্য উপযুক্ত যারা কম কার্ব ডায়েট অনুসরণ করে বা যাদের ল্যাকটোজ নিতে সমস্যা হয়।
আরও পড়ুন: কঠোর ডায়েটের স্বাস্থ্য ঝুঁকিসমূহ জেনে নিন
সকালের নাস্তায় ডিম খান
ডিম যথেষ্ট স্বাস্থ্যকর, বিশেষ করে সকালের নাস্তায়। ডিমের মধ্যে থাকে উচ্চমানের প্রোটিন ও প্রয়োজনীয় পুষ্টি সমৃদ্ধ কোলিন যা অন্য খাবারে পর্যাপ্ত পরিমাণে পাওয়া যায় না। বিভিন্ন ধরনের ক্যালোরি সম্পন্ন নাস্তার সাথে তুলনা করলেও ডিমের অবস্থান সব দিক থেকে উপরে থাকে।
সকালে ডিম খাওয়া পাকস্থলি ভরার অনুভূতি বাড়ায়। তাই এটি ওজন কমানোর জন্য বেশ সহায়ক।
প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবারের পরিমাণ বাড়ান
প্রোটিনকে প্রায়ই পুষ্টির রাজা বলা হয়ে থাকে। যে হরমোনগুলো মানুষের ক্ষুধা এবং তৃপ্তি অনুভূতি নিয়ন্ত্রণ করে, এই খাদ্য উপাদানটি সেগুলোকে প্রভাবিত করার ক্ষমতা রাখে। কাজেই এটি ম্যাক্রোনিউট্রিয়েন্টে ভরা থাকে।
প্রোটিন পেশীর ভর ধরে রাখতে সাহায্য করে এবং প্রতিদিন পোড়ানো ক্যালোরির সংখ্যাও সামান্য বৃদ্ধি করে। পেশী ভর হ্রাস রোধ করার জন্যও এটি গুরুত্বপূর্ণ, যা সাধারণত ওজন হ্রাস এবং বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে হতে পারে।
প্রোটিনের ভালো উৎসগুলোর মধ্যে দুগ্ধজাত পণ্য, বাদাম, বাদামের মাখন, ডিম, মটরশুটি, চর্বিহীন মাংস অন্যতম।
আরও পড়ুন: বর্ষা মৌসুমে যেসব পুষ্টিকর সবজি খেতে পারেন
পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন
খাবার পানি ওজন হ্রাস করতে পারে এবং প্রতিদিন পোড়ানো ক্যালোরিগুলোর সংখ্যা সামান্য বাড়িয়ে তুলতে পারে। খাবারের আগে পানি পান করা ক্ষুধা এবং খাবারের পরিমাণ কমিয়ে আনার ক্ষেত্রে সহায়ক।
এমনকি অন্যান্য পানীয়র পরিবর্তে সাধারণ খাবার পানি পান চিনি যুক্ত এবং অন্যান্য ক্যালোরি যুক্ত খাবার গ্রহণের পরিমাণ হ্রাস করতে সাহায্য করে।
ভাজার পরিবর্তে রোস্ট করুন
গ্রিলিং, ফ্রাইং এবং ডিপ ফ্রাইং সবই মাংস এবং মাছ তৈরির জনপ্রিয় পদ্ধতি। এই ধরনের রান্নার সময়, বেশ কিছু বিষাক্ত যৌগ গঠিত হয়। যেমন, পলিসাইক্লিক সুগন্ধযুক্ত হাইড্রোকার্বন, উন্নত গ্লাইকেশন জাত বস্তু, হেটারোসাইক্লিক অ্যামাইনস। এই সমস্ত যৌগগুলো ক্যান্সার এবং হৃদরোগের কারণ হতে পারে।
স্বাস্থ্যকর রান্নার পদ্ধতিগুলোর মধ্যে বেকিং, ব্রোয়লিং, পোচিং, প্রেশার কুকিং, ফুটানো, গরম ভাপে সিদ্ধ করা প্রভৃতি অবলম্বন করতে পারেন। এগুলো ক্ষতিকারক যৌগ গঠন করে না, বরং খাবারকে আরো স্বাস্থ্যকর করে তুলে।
ভাজা আলুর উপর সিদ্ধ আলুকে অগ্রাধিকার দিন
১০০ গ্রাম সিদ্ধ আলুতে ৯৩ ক্যালোরি থাকে, যা একই পরিমাণ ভাজা আলুতে থাকে ৩ গুণেরও বেশি (৩৩৩ ক্যালোরি) তদুপরি, বেশি ভাজা আলুতে সাধারণত ক্ষতিকারক যৌগ থাকে যেমন অ্যালডিহাইড এবং ট্রান্স ফ্যাট।
আরও পড়ুন: সাইক্লিং, দৌড় কিংবা সাঁতার: ওজন কমাতে কোনটি বেশি কার্যকরী?
শাক জাতীয় খাবারকে অধিক গুরুত্ব দিন
শাক খাওয়ার অভ্যাস গড়ার একটি ভাল উপায় হল ক্ষুধার মুহুর্তে সর্বপ্রথম সেগুলো খাওয়া। ফলে প্রচন্ড ক্ষুধার্ত অবস্থায় আপনি সব শাক শেষ করে ফেলবেন। এতে করে পরবর্তীতে অস্বাস্থ্যকর খাবারগুলো এড়ানো হবে।
এই কাজটি আপনাকে সামগ্রিকভাবে কম এবং স্বাস্থ্যকর ক্যালোরি সম্পন্ন খাবারে অভ্যস্ত করে তুলবে। পাশাপাশি ওজন হ্রাস করতে সাহায্য করবে।
কার্ব-সমৃদ্ধ খাবারের আগে সবজি খাওয়া রক্তে শর্করার মাত্রায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। এটি রক্তের প্রবাহে কার্বস শোষিত হওয়ার গতি হ্রাস করে। এছাড়াও ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের স্বল্প এবং দীর্ঘমেয়াদী পরিসরে রক্তে শর্করার নিয়ন্ত্রণ করে।
ফলের জুসের বদলে আস্ত ফলটি খান
ফল পানি, ফাইবার, ভিটামিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর। বারবার ফল খাওয়ার সাথে হৃদরোগ, টাইপ-২ ডায়াবেটিস এবং ক্যান্সারের মতো বেশ কিছু স্বাস্থ্য ঝুঁকি কমে যায়।
যেহেতু ফলে ফাইবার এবং বিভিন্ন উদ্ভিদ যৌগ থাকে, তাই সেগুলোর প্রাকৃতিক শর্করা সাধারণত খুব ধীরে ধীরে হজম হয় এবং রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়ায় না। কিন্তু ফলের রসের এমনটা হয় না। অনেক ফলের রস প্রকৃত ফল থেকে তৈরি না করে চিনিযুক্ত কোমল পানীয় দিয়ে বানানো হয়।
এমনকি আসল ফলের রসে ফাইবারের অভাব রয়েছে যা রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়ানোর সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয়।
পড়ুন: করোনা মহামারি থেকে শিশুকে নিরাপদ রাখবেন কীভাবে?
চিনিযুক্ত পানীয়গুলোর বদলে সোডা পানি পান করুন
চিনিযুক্ত পানীয়গুলো হৃদরোগ, স্থূলতা ও টাইপ-২ ডায়াবেটিসের মত মারাত্মক সব রোগের কারণ হতে পারে। এছাড়া, এই পানীয়গুলো সাধারণ খাবারের মতো দেহের উপর প্রভাব ফেলে না। চিনিযুক্ত পানিয় কম খাওয়ার মাধ্যমে আপনি ক্যালোরি কমাতে পারবেন না একটি ৪৯২-মিলিগ্রাম চিনিযুক্ত সোডায় প্রায় ২০৭ ক্যালোরি থাকে।
এর বদলে শুধু সোডা বা স্পার্কলিং পানি বেছে নিন। এর ফলে আপনার শরীরে অপকারী ক্যালোরিগুলোর প্রবেশ বন্ধ হবে এবং অতিরিক্ত চিনির পরিমাণ হ্রাস পাবে।
চিপসের পরিবর্তে পপকর্ন খান
পপকর্ন বা খৈ-ভাজা যথেষ্ট পরিমাণে পুষ্টি এবং ফাইবার সম্পন্ন। ১০০ গ্রাম পপকর্নে ৩৮৭ ক্যালরি এবং ১৫ গ্রাম ফাইবার থাকে। একই পরিমাণ আলুর চিপসে ক্যালোরি থাকে ৫৩২ এবং ফাইবার থাকে মাত্র ৩ গ্রাম। এই খাবারটির সুবিধা হলো- প্রদাহ এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমানো।
একটি স্বাস্থ্যকর নাস্তার হিসেবে বাড়িতেই পপকর্ন তৈরি করার চেষ্টা করুন। বাইরে থেকে কিনলে এয়ার-পপড পপকর্ন কিনতে পারেন। তবে খেয়াল রাখবেন, অনেক বাণিজ্যিক জাত চর্বি, চিনি এবং লবণ দিয়ে তাদের পপকর্ন প্রস্তুত করে, এটি আলুর চিপের চেয়ে স্বাস্থ্যকর নয়।
রান্নায় স্বাস্থ্যকর তেল ব্যবহার করুন
দুর্ভাগ্যবশত, সয়াবিনের মত অত্যন্ত প্রক্রিয়াজাত বীজ এবং উদ্ভিজ্জ তেল গৃহস্থালিতে বহুল ব্যবহৃত হচ্ছে।
এই তেলগুলিতে ওমেগা-৬ ফ্যাটি অ্যাসিড বেশি কিন্তু হার্টের জন্য উপকারী ওমেগা-৩ এস কম থাকে। উচ্চ ওমেগা -৬ ও ওমেগা -৩ অনুপাত প্রদাহ সৃষ্টি করার পাশাপাশি আরো জটিল রোগ সৃষ্টি করতে পারে যেমন হৃদরোগ, ক্যান্সার, অস্টিওপোরোসিস এবং অটোইমিউন ডিসঅর্ডার। তাই বিকল্প হিসেবে অতিরিক্ত কুমারি জলপাই তেল, সরিষার তেল, অ্যাভোকাডো তেল ও নারকেল তেল ইত্যাদি তেলগুলো ব্যবহার করতে পারেন।
আরও পড়ুন: যদি স্লিম থাকতে চান রোজ ৫ রকমের বাদাম খান
নিয়মিত ব্যায়াম করুন
শারীরিক ক্রিয়াকলাপ আপনার ওজন নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি আপনার কোলেস্টেরল এবং রক্তচাপের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য প্রতি সপ্তাহে আড়াই ঘন্টার মাঝারি তীব্রতার ব্যায়াম, যেমন দ্রুত হাঁটা বা সাইকেল চালানো উত্তম। শিশু-কিশোরদের প্রতিদিন ১ ঘণ্টা ব্যায়াম করা উচিত।
ব্যায়ামকে প্রতিদিনের একটি অংশ করে ফেলুন। লিফটের পরিবর্তে সিঁড়ি ব্যবহার করুন, অপেক্ষাকৃত একটু দূরে গাড়ি পার্ক করুন যেন বাকি পথ পেরিয়ে বাড়ি পৌছতে হেটে যেতে হয়, নিত্য সদাই কিনতে হেটে যান।
শেষাংশ
এই প্রাকৃতির উপায় ছাড়াও কোলেস্টেরল কমানোর অনেক ওষুধও আছে যেগুলো ব্যবহার করে অনেকেই উপকৃত হয়েছে। কিন্তু ক্ষতিকর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকার কারণে সেগুলো ব্যবহারের আগে সতর্ক থাকা উচিত। বিশেষত অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নেবেন। সর্বসাকুল্যে, নিরবচ্ছিন্ন সুস্থ জীবনের জন্য একটি সুষম খাবার গ্রহণ করে নির্দিষ্ট জীবন ব্যবস্থা মেনে চলুন, আপনাকে কোন ওষুধের শরণাপন্ন হতে হবে না।
আরও পড়ুন: করোনা মহামারি থেকে বাড়ির বয়োজ্যেষ্ঠদের নিরাপদ রাখবেন কিভাবে?
৩ বছর আগে
বর্ষায় মশার উপদ্রব থেকে বাঁচতে ঘরোয়া উপায়
এখন ভাদ্র মাস বছরের এই সময়ে অতিরিক্ত গরম পড়ে এবং বর্ষা এলেই মশার উপদ্রবও বাড়তে থাকে। এছাড়া এই সময়টা ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাবও বেশি থাকে। তাই একটাও মশা যাতে না কামড়ায়, সব সময় সতর্ক থাকতে হয়।
৪ বছর আগে