বিদেশি বিনিয়োগ
বাংলাদেশ সব সময় বিদেশি বিনিয়োগকে স্বাগত জানায়: উপদেষ্টা
নৌপরিবহন উপদেষ্টা বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, বাংলাদেশ সব সময় বিদেশি বিনিয়োগকে স্বাগত জানায়।
তিনি বলেন, সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গে আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্যসহ বিভিন্ন সেক্টরে বহুমাত্রিক সম্পর্ক বিদ্যমান। চট্টগ্রাম বন্দরসহ অন্যান্য সকল ক্ষেত্রেই সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিনিয়োগের আকাঙ্ক্ষাকে সাধুবাদ জানাই।
বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) মন্ত্রণালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) রাষ্ট্রদূত আব্দুল্লাহ আলী আব্দুল্লাহ খাসিফ আল হামুদির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে নৌপরিবহন উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
নৌপরিবহন উপদেষ্টা বলেন, এটির মাধ্যমে দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছে যাবে। বাংলাদেশের জনগণের জন্য যেটি মঙ্গলজনক, সেসব প্রস্তাবকে বর্তমান সরকার ইতিবাচকভাবে বিবেচনা করবে।
এ সময় উপদেষ্টা রাষ্ট্রদূতকে বাংলাদেশি নাবিকদের দুবাইয়ের ভিসা জটিলতা দূরীকরণের মাধ্যমে সহজে ট্রানজিট ভিসা ইস্যু করার আহ্বান জানান।
ইউএই রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশি নাবিকদের জন্য ইতোমধ্যে ট্রানজিট ভিসা দেওয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়া রাষ্ট্রদূত দুই দেশের স্বার্থসংশ্লিষ্ট যেকোনো বিষয়ে একসঙ্গে কাজ করার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।
আরও পড়ুন: সম্পর্কোন্নয়নে একাত্তরের সমস্যা সমাধানে পাকিস্তানের প্রতি ড. ইউনূসের আহ্বান
ইউএই রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, বাংলাদেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতের বন্ধু রাষ্ট্র। ব্যবসা-বাণিজ্যসহ দ্বিপক্ষীয় বিভিন্ন বিষয়ে উভয় দেশের মধ্যে গভীর সম্পর্ক বিদ্যমান। বাংলাদেশ থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাত পোশাক, কৃষিজাত পণ্য, নিটওয়্যারসহ বিভিন্ন পণ্য আমদানি করে আসছে। এই ধারাবাহিকতায় সংযুক্ত আরব আমিরাত বাংলাদেশের সঙ্গে আরও বৃহৎ পরিসরে কাজ করতে আগ্রহী। যার মাধ্যমে দুদেশের জনগণই উপকৃত হবে।
তিনি বলেন, ইউএই সরকার বিশ্বাস করে বাংলাদেশের বন্দরের উন্নয়নে বিশেষ করে চট্টগ্রাম বন্দরের উন্নয়নে বিনিয়োগ দুদেশই উপকৃত হবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ইউএই রাষ্ট্রদূতের নেতৃত্বে তিন সদস্যের প্রতিনিধি দল, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ ইউসুফ ও চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এস. এম. মনিরুজ্জামান।
২ দিন আগে
ড. ইউনূসকে নিয়ে 'লবিস্ট সমর্থিত' বিবৃতি বিদেশি বিনিয়োগে প্রভাব ফেলবে না: হাছান মাহমুদ
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে নিয়ে 'লবিস্ট সমর্থিত' কোনো বিবৃতির কারণে দেশে বিদেশি বিনিয়োগ প্রবাহের ওপর কোনো বিরূপ প্রভাব ফেলবে না।
তিনি বলেন, 'ড. ইউনূস ইস্যুতে কিছু লোক বেশ কিছু লবিস্ট ফার্ম নিয়োগ করেছে। লবিস্টদের বিবৃতির কারণে বিনিয়োগে কোনো প্রভাব পড়বে না।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ড. ইউনূস গত ১২ বছর ধরে আলোচনায় রয়েছেন। তারপরও বাংলাদেশ এখনও উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বিদেশি বিনিয়োগ পায়।
আরও পড়ুন: বিদ্যুৎকেন্দ্রের বকেয়া পরিশোধের জন্য বেসরকারি ব্যাংকের সঙ্গে সরকারের বন্ড চুক্তি সই
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বিদেশি বিনিয়োগ বাড়ছে। এর সঙ্গে বিনিয়োগের কোনো সম্পর্ক নেই। এটি স্রেফ আইনি বিষয়।’
ড. ইউনূসের কর্মচারীরা তাদের পাওনা থেকে বঞ্চিত হয়ে মামলা করেছেন। সেই মামলায় সাজা দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সরকারে এখানে কোনো পক্ষ নয়।
তিনি বলেন, ‘ড. ইউনূসের প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই বলতে চাই, তার কর্মচারীরা মামলাটি দায়ের করেছেন। সরকার এখানে কোনো পক্ষ নয়। এটা আদালতের সিদ্ধান্ত। সরকার এতে হস্তক্ষেপ করতে পারে না।’
এর আগে শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় ড. ইউনূস ও গ্রামীণ টেলিকমের তিন শীর্ষ কর্মকর্তাকে ছয় মাসের কারাদণ্ড ও ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন আদালত।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- গ্রামীণ টেলিকম ট্রাস্টের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আশরাফুল হাসান, মো. ট্রাস্টি নূরজাহান বেগম এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম শাহজাহান।
তাদের বিরুদ্ধে গ্রামীণ টেলিকমের কিছু শ্রমিক-কর্মচারীকে স্থায়ী না করা, সরকারি ছুটি নগদায়ন না করা এবং শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনে নির্দিষ্ট লভ্যাংশ জমা না দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়।
৮৪ পৃষ্ঠার রায়ে বিচারক বলেন, তাদের বিরুদ্ধে শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। তবে আদালত তাদের শর্তসাপেক্ষে জামিন দেন।
ড. ইউনূস দাবি করেন, তিনি এমন একটি অপরাধের জন্য শাস্তি পেয়েছেন যা তিনি করেননি। শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর ড. ইউনূস সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি এমন একটি অপরাধের জন্য শাস্তি পেয়েছি, যা আমি করিনি। আপনি যদি এটাকে ন্যায়বিচার বলতে চান, বলতে পারেন।’
আরও পড়ুন: সৌদি রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে আইনমন্ত্রীর বৈঠক
অপতথ্যকে জবাবদিহির আওতায় আনতে চাই: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
১০ মাস আগে
এফবিসিসিআইয়ের বিদেশি বিনিয়োগ কমিটির চেয়ারম্যান হলেন ওয়াহিদ রায়হান
ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের (এফবিসিসিআই) বিদেশি বিনিয়োগ কমিটির চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন এসকেপ বাংলাদেশ লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও সিইও এবং চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কর্মাস অ্যান্ড ইন্ড্রাস্ট্রিজের ভাইস প্রেসিডেন্ট (ফরেন ট্রেড অ্যান্ড অ্যাফেয়ার্স) ওয়াহিদ রায়হান ইফতেখার মাহমুদ (রাসেল)।
আরও পড়ুন: তারেকের বিরুদ্ধে রায় বাস্তবায়নে যা কিছু করা সম্ভব্ সবই করবে সরকার: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
তিনি দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগ আনার ক্ষেত্রে কাজ করছেন। বর্তমানে এফবিসিসিআইয়ের বিদেশি বিনিয়োগ কমিটির চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় তার অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে দেশে আরও বিদেশি বিনিয়োগ আনার ক্ষেত্রে শক্তিশালী ভূমিকা পালনে সক্ষম হবেন বলে প্রত্যাশা সংশ্লিষ্টদের।
আরও পড়ুন: ঢাকা-লন্ডন সম্পর্ক আধুনিক অংশীদারিত্বের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে: ক্যামেরন
১০ মাস আগে
চলতি বছরে ৯০০ কোটি ডলার বিদেশি বিনিয়োগ পেয়েছে বাংলাদেশ: বিডা নির্বাহী চেয়ারম্যান
২০২৩ সালে এখন পর্যন্ত ৯০০ কোটি মার্কিন ডলারের বৈদেশিক প্রত্যক্ষ বিনিয়োগ পেয়েছে বাংলাদেশ।
শনিবার(২১ অক্টোবর) রাজধানীর একটি হোটেলে সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) মহসিনা ইয়াসমিন এ তথ্য জানান।
৬০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আগামী ৮ থেকে ৯ নভেম্বর দুই দিনব্যাপী ইনভেস্টমেন্ট এক্সপো-২০২৩ বিষয়ে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে ফরেন ইনভেস্টরস চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফআইসিসিআই)।
তিনি বলেন, বিদেশি প্রত্যক্ষ বিনিয়োগের প্রচার এবং দেশে বিনিয়োগের পরিবেশ উন্নত করতে বিডা দীর্ঘদিন ধরে এফআইসিসিআইয়ের সঙ্গে কাজ করছে। এরই ধারাবাহিকতায় এফআইসিসিআইয়ের এই মেগা ইভেন্টের কৌশলগত অংশীদার হতে পেরে আমরা আনন্দিত।
এফআইসিসিআই সভাপতি নাসের এজাজ বিজয় বলেন, ‘চেম্বারটির ছয় দশক পূর্তি উপলক্ষে র্যাডিসন ব্লু ওয়াটার গার্ডেনে এই বিনিয়োগ প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: মুদ্রাস্ফীতি মোকাবিলায় ঋণের সুদের হার বাড়াল বিবি
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসেবে এই অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করবেন।
বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) বিনিয়োগ মেলার কারিগরি অংশীদার।
বিজয় বলেন, প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই দেশের অর্থনীতির উন্নয়নে এফআইসিসিআই'র অবদান তুলে ধরা এই ইভেন্টের মূল উদ্দেশ্য। পাশাপাশি কার্যকর ব্যবসায়িক পরিবেশ নিশ্চিত করতে নীতিসহ আমাদের অর্থনীতির রূপান্তরমূলক যাত্রাকেও তুলে ধরা হবে।
বিডার নির্বাহী পরিচালক ইয়াসমিন বলেন, বিনিয়োগ বাড়াতে ও ব্যবসায়ীদের বিনিয়োগসংক্রান্ত সমস্যা সমাধানে ওয়ান স্টপ সার্ভিস চালু করা হয়েছে। বর্তমানে এখানে ৯০ ধরনের সেবা প্রদান করা হয়। ফলস্বরূপ, ব্যবসায়ীরা হয়রানি ও ব্যয় উভয় থেকে রেহাই পাচ্ছে।
আরও পড়ুন: এক মার্কিন ডলার ১২০ টাকা: মানিচেঞ্জাররা বলছেন হাত খালি, নেটওয়ার্কে বিক্রি হচ্ছে ডলার
তিনি বলেন, বিদেশি বিনিয়োগ যেকোনো দেশের অর্থনীতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ এবং বাংলাদেশ সবসময় এটিকে স্বাগত জানিয়েছে।
তিনি বলেন, 'আমি বিশ্বাস করি, এই আয়োজন দেশে বিদ্যমান বিদেশি বিনিয়োগকারীদের উৎসাহিত করবে এবং ভবিষ্যতে বাংলাদেশে বিনিয়োগের জন্য সম্ভাব্য বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করবে।’
এফআইসিসিআই'র পরিচালনা পর্ষদ ও অনুষ্ঠানের আহ্বায়ক মাহবুবুর রহমান বলেন, 'দুই দিনব্যাপী এই বিনিয়োগ মেলায় প্রায় ৪০টি স্টলের মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক সহনশীলতা, প্রতিযোগিতা ও খাতভিত্তিক বিনিয়োগের সুযোগ সম্পর্কে বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরা হবে।’
আরও পড়ুন: আমদানি করা ডিম বাজারে আসবে এ সপ্তাহেই: বাণিজ্যমন্ত্রী
১ বছর আগে
প্রতি বছর হবে ‘বাংলাদেশ স্টার্টআপ সামিট’
এখন থেকে ‘বাংলাদেশ স্টার্টআপ সামিট’ প্রতি বছরই হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
রবিবার (৩০ জুলাই) রাতে রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ‘স্টার্টআপ বাংলাদেশ সামিট ২০২৩’ এর সমাপনী অনুষ্ঠানে তিনি ঘোষণা দেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সম্মতিক্রমে আগামী বছর থেকে নিয়মিত বাংলাদেশ স্টার্টআপ সামিট করা হবে।
আরও পড়ুন: দেশে এক দশকে স্টার্টআপ খাতে সাড়ে ৭’শ মিলিয়ন ডলারের বেশি বিদেশি বিনিয়োগ এসেছে: আইসিটি প্রতিমন্ত্রী
রবিবার (৩০ জুলাই) তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের সভাপতিত্বে সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান (সালমান এফ রহমান)।
সালমান এফ রহমান বলেন, স্টার্টআপদের পুঁজি বাজারে তালিকাভুক্ত না হয়েও বিদেশি বিনিয়োগ প্রাপ্তির সুবিধা নিশ্চিত করে তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোতে বিনিয়োগ থেকে অর্জিত আয় দেশে নিতে কোনো বাধা নেই।
তিনি বলেন, সাধারণত বিদেশি বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগ থেকে অর্জিত আয় দেশে নিয়ে যাওয়া ও স্থানীয় নিয়ন্ত্রণ নিয়ে উদ্বিগ্ন থাকেন। এই ক্ষেত্রে আইনগত কোনো বাধা নেই।
তিনি আরও বলেন, তালিকাভুক্ত কোম্পানির ক্ষেত্রে এটা তো বৈধ। পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তরা ডিভিডেন্ড ও ক্যাপিটাল গেইন সুযোগ পান বলেও জানান তিনি।
তিনি আশা প্রকাশ করেন, ফান্ড অব ফান্ডে বাংলাদেশি করপোরেট ও বিদেশিরাও বিনিয়োগ করবে।
এজন্য তিনি আইসিটি বিভাগকে উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানান।
স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেডের প্রশংসা করে তিনি বলেন, এখান থেকে ভবিষ্যতে ভালো ভালো উদ্ভাবনী উদ্যোগ বেরিয়ে আসবে।
জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী ৩টি গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া স্টার্টআপ ব্রিজ, কোটি টাকার ফান্ড অব ফান্ড এবং স্মার্ট বাংলাদেশ এক্সেলেটর উদ্বোধন করেছেন।
তিনি বলেন, এসব ঘোষণা দিয়ে তিনি স্টার্টআপদের এগিয়ে নিয়েছেন। আমাদের তরুণরা তাদের উদ্ভাবনী ধারণা দিয়ে বেশ ভালো করছে। আমরা পুল অব ট্যালেন্ট তৈরিতে মনোযোগী হয়েছি।
তিনি আরও বলেন, স্টার্টআপরাই হবে দেশের স্মার্ট অর্থনীতি ও স্মার্ট বাংলাদেশের মেরুদণ্ড।
সামিটে ভারত-বাংলাদেশ স্টার্টআপ ব্রিজিং পোর্টাল ও ভবিষ্যতের উদ্যোক্তাদের জন্য কোটি টাকার ফান্ড অব ফান্ড ও স্মার্ট বাংলাদেশ এক্সেলেটর উদ্বোধন করা হয়।
এ ছাড়া দেশের শীর্ষ স্টার্টআপদের সেবা প্রদর্শন এবং ফিনটেক, এডটেক, হেলথটেক, এগ্রিটেক নিয়ে দুই দিনে ৪০টি সেশন অনুষ্ঠিত হয় এবং ইয়ুথ কো ল্যাব স্টার্টআপ বিজয়ীদের পুরস্কৃত করা হয়।
অনুষ্ঠানে ইয়ুথ কো-ল্যাব চ্যাম্পিয়ন পালকি মোটরস, প্রথম রানার্সআপ ড্রিম ওয়াটার এবং সেকেন্ড রানার্সআপ উই গ্রো উদ্যোক্তাদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি বিনিয়োগ উপদেষ্টা ও আইসিটি প্রতিমন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন- আইসিটি বিভাগের সচিব মো. সামসুল আরেফিন, স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেড কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক সামী আহমেদ, জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি) বাংলাদেশের আবাসিক প্রতিনিধি ভ্যান গুয়েন।
অনুষ্ঠানে স্টার্টআপ বাংলাদেশে ব্যবস্থাপনা পরিচালক সামি আহমেদ জানান, প্রথমবারের মতো করা হলেও বিভিন্ন দেশ থেকে ৭২ জন বিনিয়োগকারী, ৩ হাজার উদ্যোক্তা অংশ নিয়েছেন এ সামিটে।
তারা আমাদের তরুণদের সম্ভাবনা দিয়েছেন। আশা করি আগামী বছর আরও বড় পরিসরে এই আয়োজন করা হবে।
আরও পড়ুন: ভারত-বাংলাদেশ স্টার্টআপ এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রামের কার্যক্রম ও সুযোগ বৃদ্ধির প্রত্যয়
আইপিএমের উদ্যোগে বিনিয়োগকারী ও স্টার্টআপ সম্মেলন ‘ফান্ড ফরওয়ার্ড’ অনুষ্ঠিত
১ বছর আগে
দেশে বিদেশি বিনিয়োগ বাড়াতে জাপানের নিপ্রো যোগ দিয়েছে জেএমআই গ্রুপের সাথে
চিকিৎসা সরঞ্জাম খাতের জাপানি খ্যাতনামা বহুজাতিক শিল্পগোষ্ঠী নিপ্রো কর্পোরেশন দেশীয় প্রতিষ্ঠান জেএমআই গ্রুপের সাথে যুক্ত হয়ে বাংলাদেশে ব্যবসা সম্প্রসারণে প্রায় ১২৮ কোটি টাকার (১৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার) নতুন বিদেশি বিনিয়োগ নিয়ে এসেছে।
৪ বছর আগে
ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের উৎসাহিত করতে বেজাকে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ
বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার পাশাপাশি ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা, বিশেষ করে তরুণদের সহযোগিতা ও উৎসাহিত করতে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষকে (বেজা) নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
৪ বছর আগে