মহম্মদপুর
মাগুরায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে নারীর মৃত্যু
মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলায় কৃষি জমিতে সেচ দিতে গিয়ে সীমা খাতুন (২৫) নামে এক নারী নিহত হয়েছেন।
শুক্রবার (২ আগস্ট) দুপুর দিকে চালিমিয়া গ্রামে ঘটনাটি ঘটে।
আরও পড়ুন: পাবনায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ভাই-বোনের মৃত্যু
নিহত সীমা খাতুন ওই গ্রামের সাবু মোল্যার স্ত্রী।
স্থানীয়রা জানায়, বাড়ির পাশে একটি কৃষি জমিতে সেচ দিতে যান সীমা। সেচপাম্প প্রস্তুত করে বৈদ্যুতিক সুইচ অন করতে যান সিমা। কিন্তু বৃষ্টির পানিতে ভিজে থাকা সুইচে হাত দিতেই সীমা বিদ্যুতায়িত হয়ে পড়েন। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক সীমা খাতুনকে মৃত ঘোষণা করেন।
মহম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বোরহান উল ইসলাম বলেন, ‘আইনি প্রক্রিয়া শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: সিরাজদিখানে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে নির্মাণশ্রমিকের মৃত্যু
পাবনায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে আপন ভাইবোন নিহত
৪ মাস আগে
মাগুরায় অজ্ঞাত সেই লাশের পরিচয় পাওয়া গেছে
মাগুরার মহম্মদপুরে পুকুর থেকে অজ্ঞাত যুবকের লাশ উদ্ধারের পর তার পরিচয় পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) উপজেলার পলাশবাড়ীয়া ইউনিয়নের মহিমানগর গ্রাম থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত ওসমান (২০) ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গার কাতলাশুর গ্রামের মো. নুরুল ইসলাম ছেলে। তিনি নড়াইল লোহাগড়া উপজেলার মাকড়াইল মধ্যপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুল ওহাব মোল্যার বাড়িতে থাকতেন।
আরও পড়ুন: মাগুরায় স্কুলছাত্রীসহ ২ জনের আত্মহত্যা
বৃহস্পতিবার সকালে এলাকাবাসী লাশটি দেখতে পেয়ে পুলিশকে সংবাদ দিলে মহম্মদপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করে।
মহম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বোরহানুল ইসলাম জানান, এ ব্যাপারে মহম্মদপুর থানায় মামলা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, ওসমান শারীরিক প্রতিবন্ধী ও মৃগী রোগী ছিলেন। তিনি বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে সাহায্য চেয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন।
আরও পড়ুন: মাগুরায় অজ্ঞাত যুবকের লাশ উদ্ধার
মাগুরায় সড়ক দুর্ঘটনায় স্ত্রীর মৃত্যু, স্বামী আহত
১ বছর আগে
মাগুরায় বিভিন্ন স্থানে একই ট্রাকের ধাক্কায় নিহত ১, আহত ৩
মাগুরার মহম্মদপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় একজন নিহত ও আরও তিনজন আহত হয়েছেন। গুরুতর আহত তিনজন বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
বুধবার (৫ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার কালিশংকরপুর ও যশোবন্তপুর এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তি মিজানুর বিশ্বাস যশোবন্তপুর গ্রামের মৃত ইয়াছিন বিশ্বাসের ছেলে।
মহম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসির উদ্দীন জানান, একটি কাভার্ডভ্যান উপজেলার পলাশবাড়ীয়া ইউনিয়নের কালিশংকরপুর সুইসগেট এলাকায় এসে মাহাবুর রহমান নামে এক ব্যক্তিকে ধাক্কা দিয়ে দ্রুত চলে যায়। এরপর কালিশংকরপুর নতুন বাজার এলাকায় এসে কাবুল মোল্যা নামে আরেক ব্যক্তিকে ধাক্কা দেয়।
আরও পড়ুন: মাগুরায় বিভিন্ন স্থানে একই ট্রাকের ধাক্কায় নিহত ১, আহত ৩
তিনি আরও জানান, বরাবরই স্থানীয়রা গাড়িটি আটকানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। এ খবর পেয়ে যশোবন্তপুর পশ্চিম পাড়া রাজু বিশ্বাসের বাড়ির সামনের সড়কে মিজানুর বিশ্বাস নামে এক যুবক কাভার্ডভ্যানটিকে আটকানোর চেষ্টা করলে ঘটনাস্থনে তাকে পিষ্ট করে গাড়িটি। এ সময় ওই গ্রামের আকরাম মোল্যা নামে আরও এক ব্যক্তি আহত হয়।
পরে গাড়িটি ঝামা বাজার এলাকায় পৌঁছালে স্থানীয় লোকজন ড্রাইভার সোহেল রানাসহ গাড়িটিকে আটক করে। স্থা্নীয়রা সোহেল রানাকে মারধর ও গাড়িটি ভাঙচুর করে। খবর পেয়ে মহম্মদপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থালে এসে ড্রাইভার ও গাড়িটি জব্দ করে।
কাভার্ডভ্যানটি ড্রাইভার সোহেল রানা পার্শবর্তী নড়াইল জেলার লোহাগড়া উপজেলার লাহুড়িয়া ছাইমনারচর গ্রামের দাউদ মোল্যার ছেলে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
গুরুতর আহত মিজানুর বিশ্বাসকে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে, পরে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যায়। অপরদিকে গুরুতর আহত মাহাবুর রহমান লোহাগড়া এবং অন্যরা বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
ওসি বলেন, ড্রাইভার ও কাভার্ডভ্যানটি পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। এ ব্যাপারে মহম্মদপুর থানায় মামলা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: গোপালগঞ্জে ট্রাক-অ্যাম্বুলেন্সের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ৪, আহত ৩
১ বছর আগে
মাগুরায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ১৫
মাগুরার মহম্মদপুরে গরুর পাট খাওয়াকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে ১৫ ব্যক্তি আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে গুরুতর আহত ৮ জনকে ফরিদপুর ও মহম্মদপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে উপজেলা সদরের চরজাঙ্গালিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা ও পুলিশ জানান, শুক্রবার দুপুরে চরজাঙ্গালিয়া গ্রামের আব্দুস সাত্তারের ছেলে তৈয়েব আলীর গরুতে প্রতিবেশি দরবেশ শেখের ছেলে হাফিজারের খেতের পাট খায়। এ নিয়ে তৈয়েব এবং হাফিজারের মধ্যে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে হাতাহাতি হয়। বিষয়টি জানাজানি হলে দুই পক্ষ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এতে উভয় পক্ষের ১৫ ব্যক্তি আহত হন।
তাদের মধ্যে গুরুতর আহত অবস্থায়- মো. ইকবাল (২৮), আলী রেজা (২৫), শোয়েব (৩৬), তৈয়েব (৩০), মতিয়ার (৭০), হাফিজার (৬৫), মুন্নাফ (৩৫) এবং রাসেলকে (৩০) উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। অবস্থার গুরুতর হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য সেখান থেকে ইকবাল, আলী রেজা, শোয়েব ও তৈয়েবকে ফরিদপুর মেডিকেলে স্থানান্তর করা হয়। অন্যরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
মহম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অসিত কুমার রায় বলেন, ‘সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে এ ঘটনায় কাউকে আটক করা হয়নি। মামলার প্রস্তুতি চলছে।’
আরও পড়ুন: মাগুরায় কৃষকের ২শ’ কলাগাছ কেটে দিল দুর্বৃত্তরা
মাগুরায় প্রতিপক্ষের হামলায় কৃষক খুন
মাগুরায় প্রতিপক্ষের হামলায় যুবক নিহত, ২ পুলিশ সদস্যসহ আহত ৩
১ বছর আগে
মাগুরার মহম্মদপুরে গণকবরের সন্ধান লাভ
মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলা পরিষদের ভেতরে পুরোনো হলরুমের পাশে ভবন নির্মাণের জন্য মঙ্গলবার মাটি খোঁড়ার সময় মানুষের হাড়, মাথার খুলি ও দাঁতের অংশবিশেষ দেখতে পেয়ে ৭১ সালের গণকবরের সন্ধান পেয়েছেন শ্রমিকেরা। পরে সেগুলোকে সংশ্লিষ্ট ইউএনও, পুলিশ ও স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের উপস্থিতিতে পার্শ্ববর্তী স্থানে পুঁতে রাখা হয়েছে।
স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের দাবি, এগুলো ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে নিহত সাধারণ মানুষের কঙ্কাল। মঙ্গলবার সকালে নির্মাণশ্রমিকেরা বেজ ঢালাইয়ের জন্য মাটি খুঁড়তে গিয়ে সেগুলো দেখতে পান।
স্থানীয়রা বলছেন, কৃষি যন্ত্র সংরক্ষণাগার ভবন নির্মাণের জন্য মাটি খোঁড়ার সময় মানুষের হাড়, মাথার খুলি ও দাঁতের অংশ বেরিয়ে আসে। পরে খবর পেয়ে স্থানীয় লোকজন সেগুলো দেখতে ছুটে যান।
আরও পড়ুন: মাগুরায় প্রতিপক্ষের হামলায় কৃষক খুন
এ বিষয়ে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার আব্দুল হাই মিয়া বলেন, ‘১৯৭১ সালে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় উপজেলা পরিষদের পুরোনো হলরুমের (তৎকালীন টিটিডিসি ভবন) ছাদে পাকিস্তানি দোসর ও রাজাকার বাহিনী ক্যাম্প স্থাপন করেছিল। ১৯ নভেম্বর বীর যোদ্ধাদের সঙ্গে স্বাধীনতাবিরোধীদের যুদ্ধ হয়েছিল। যে কঙ্কাল পাওয়া গেছে সেগুলো একাত্তরের স্বাধীনতাবিরোধীদের হত্যার শিকার সাধারণ মানুষেরর।
কমান্ডার আব্দুল হাই মিয়া আরও বলেন, সেই যুদ্ধে মহম্মদপুরের বীর সন্তান আহম্মদ ও মহম্মদ নামের দুই ভাই শহীদ হন। শহীদ হন মহম্মদ উল্লাহ্ নামের এক ইস্টবেঙ্গল রেজিমেন্ট সদস্য।
খননকাজে নিয়োজিত শ্রমিক কিবরিয়ার ধারণা, ওই স্থানের মাটি খুঁড়লে আরও হাড়-গোড়, মাথার খুলি পাওয়া যেতে পারে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রামানন্দ পাল বলেন, ‘বিষয়টি জেনেছি। স্থানীয় কৃষি বিভাগ ও মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে ধর্মীয় রীতিনীতি অনুযায়ী মাথার খুলি, হাড় উপজেলা পরিষদ চত্বরের এক পাশে মাটির নিচে রাখতে বলা হয়েছে।’
এ বিষয়ে মহম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অসিত কুমার রায় বলেন, ‘রাস্তা বা অন্যান্য কোথাও খোঁড়ার সময় কবর পাওয়া গেলে সেটা স্থানান্তর করা হয়। সেই নিয়ম অনুযায়ী পরে উপজেলার এক পাশে হাড় ও মাথার খুলি পুঁতে রাখা হয়েছে।’
উপজেলা কেন্দ্রীয় মসজিদের পেশ ইমাম আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘ইউএনও, ওসি, কৃষি কর্মকর্তা ও মুক্তিযোদ্ধাদের উপস্থিতিতে ধর্মীয় নিয়ম মেনে হাড়গোরগুলো মাটিতে পুঁতে রাখা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে নিশ্চিহ্নের পথে ৭১ এর আট গণকবর
চলন্ত লঞ্চে আগুন: বরগুনায় গণকবরে অজ্ঞাত ২৩ লাশ দাফন
১ বছর আগে
মাগুরায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৪
মাগুরায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় চারজন নিহত ও আহত হয়েছেন অন্তত আরও আটজন।
এদের মধ্যে মাগুরা মহম্মদপুর সড়কে বড়রিয়া মাদরাসার সামনে আলিক নুর (১৮) নামের এক কলেজ ছাত্র মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত হন।
তিনি বড়রিয়া গ্রামের হাসান মোল্লার ছেলে।
আরও পড়ুন: বরগুনায় সড়ক দুর্ঘটনায় ২ ভাই নিহত
অপর দিকে শ্রীপুর উপজেলার সাবিনগর বাসষ্টান্ডে মোটরসাইকেল ও অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মোটরসাইকেল চালক নাহিদ আলী (৩০) নিহত ও অপর চারজন আহত হয়েছে। নিহতের বাড়ী দলিলপুর গ্রামে।
অপর দিকে সাবিনগর নামক এলাকা থেকে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত অজ্ঞাত এক পথচারীর লাশ উদ্ধার করেছে শ্রীপুর ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।
এছাড়াও বৃহস্পতিবার ভোরে শালিখা উপজেলার শিমাখালী নামক স্থানে বাস ও ট্রাকের সংঘর্ষে মোহাম্মদ আলী(৫০) নামের এক যাত্রী ঘটনাস্থলে নিহত ও অপর চারজন আহত হয়েছে।
এ ব্যাপারে শালিখা, শ্রীপুর ও মহাম্মদপুর থানায় পৃথক পৃথক মামলা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে।
মাগুরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কামরুল হাসান জানান, পুলিশের তদন্ত চলছে।
আরও পড়ুন: মাগুরায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১, আহত ৩
কুষ্টিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় স্কুলছাত্রের মৃত্যু
২ বছর আগে
মাগুরায় আ.লীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষে আহত ২০
মাগুরার মহম্মদপুরের পলাশবাড়ী ইউনিয়নে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। তাৎক্ষণিভাবে আহতদের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
এলাকাবাসী জানায়, এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে পলাশবাড়ী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলজার রহমানের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এর জের ধরে মঙ্গলবার সকালে রবিউল ও গোলজারের সমর্থকরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
আরও পড়ুন: নাচোলে আ’লীগের দুই পক্ষের সমাবেশকে কেন্দ্র করে ১৪৪ ধারা জারি
মহম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকরাম হোসেন বলেন, সংঘর্ষে উভয় পক্ষ অস্ত্র নিয়ে একে অপরের ওপর হামলা করে। এতে ২০ জন আহত হন।
আহতদের ফরিদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও নড়াইলের লোহাগড়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানান ওসি।
পুলিশের দাবি, সংঘর্ষে বেশ কয়েকটি বাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: শিবগঞ্জে আ’লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১০
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে জানিয়ে ওসি বলেন, সহিংসতার ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
২ বছর আগে
মাগুরায় মধুমতি নদীতে আবার ভাঙন শুরু
পানি কমতে শুরু করায় মাগুরার মহম্মদপুরে মধুমতি নদীতে আবার ভাঙন শুরু হয়েছে। গত সাত দিনে উপজেলার হরেকৃষ্ণপুর গ্রামের প্রায় ১৫টি বসত বাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙনের ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে ওই গ্রামের প্রায় ২৫টি বাড়িসহ বেশ কিছু স্থাপনা।
এদিকে, বাজেট না থাকায় ভাঙনরোধে জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড অনুমতি পেলে কাজ শুরু করবে বলে জানিয়েছে।
সরেজমিন মঙ্গলবার সকালে গিয়ে দেখা যায়, হরেকৃষ্ণপুর গ্রামের রবিউল ইসলাম, মো. ফরিদ আহম্মদ, মো. আক্কাচ আলী, হাফেজ মো. আহম্মদ আলীসহ অনেকে তাদের শেষ সম্বল বসত ঘর ভেঙে, গাছপালা কেটে সরিয়ে নিচ্ছেন।
পানি কমতে থাকায় নদীভাঙন ক্রমাগত বেড়েই চলেছে। ভাঙন ভয়ংকর আকার ধারণ করায় নদীতীরে বসবাসকারী মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। ভাঙনের মুখে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করছেন শাহাদত মোল্যা, ইবাদত মোল্যা, রমজান মিয়া, নান্নু, মৃদুল শেখ, মন্নু শেষ, পান্নু ও সুলেমান শেখ।
এছাড়া উপজেলার নদী তীরবর্তী চরপাচুড়িয়া, মহেষপুর, কাশিপুর, ভোলানাথপুর, আড়মাঝি, হরেকৃষ্ণপুর ও রুইজানি এলাকার ভাঙনকবলিত অধিবাসীদের এখন দিন কাটছে আতঙ্কে। এসব গ্রামের মসজিদ, মন্দির, ঈদগাহসহ হাজার হাজার একর ফসলি জমি ও বসতবাড়ি ভাঙনের কবলে পড়েছে। গত দুই বছরে বর্ষা মৌসুমে মধুমতীর ভাঙনে নদীতে বিলীন হয়ে গেছে ৪৫টি পরিবারের শতাধিক ঘরবাড়ি। এ বছর ভাঙনের মুখে রয়েছে অসংখ্য দোকানপাটসহ হাজার হাজার একর ফসলি জমি।
আরও পড়ুন: তিস্তা নদী ভাঙনে দিশেহারা কুড়িগ্রামের মানুষ
হরেকৃষ্ণপুর এলাকায় নদী ভাঙনে মাফুজার ও মিটুর মিয়ার বাড়ি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। সহায়-সম্বল হারিয়ে মিটুর মিয়া অন্যের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন।
অন্যদিকে মাফুজার মিয়া রাস্তার পাশে ছাপড়াঘর তুলে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
তারা বলেন, ‘আমাদের এখন কোন জমিজমা নেই। নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। মোট সাত বার বসত ঘর সরিয়ে শেষ রক্ষা হয়নি। এবার পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে মধুমতি ভাঙন বৃদ্ধি পায়। এই ভাঙনে আমাদের বসতবাড়ি নদীতে নিয়ে গেছে।’
এ ব্যাপারে মহম্মদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রামানন্দ পাল বলেন, ‘ভাঙনকবলিত এলাকা পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মধ্যে সহায়তা দেয়ার ব্যাপারে তালিকা করা হচ্ছে।’
মাগুরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মেহেদী হাসান বলেন, ‘ফের ভাঙনের খবর পেয়েছি। সরেজমিনে লোক পাঠানো হয়েছে। যেহেতু বাজেট নেই, তাই অনুমতির জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। অনুমতি পেলে কাজ শুরু করবো।’
আরও পড়ুন: নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত সাড়ে নয় হাজার পরিবারকে জমিসহ ঘর দেয়া হবে
৩ বছর আগে
ইউএনও স্ত্রীকে ছেড়ে শ্যালিকাকে বিয়ে, থানায় অপহরণের মামলা
স্ত্রী বিসিএস পাস করে ইউএনও আর স্বামী দমকল বাহিনীর কর্মী। পেশাগত মর্যাদার কারণে তাদের মধ্যে দূরত্ব বাড়তে থাকে। একপর্যায়ে বিচ্ছেদও হয়ে যায় তাদের।
তবে দুলাভাইয়ের সঙ্গে বড় বোনের এমন আচারণ মেনে নিতে পারেননি শ্যালিকা। পরবর্তীতে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। সম্প্রতি তারা বিয়েও করেছেন। মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলায় এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি এলাকায় আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।
এদিকে এ ঘটনায় ওই মেয়ের বাবা তার সাবেক জামাইয়ের বিরুদ্ধে তার ছোট মেয়েকে অপহরণের অভিযোগে মহম্মদপুর থানায় মামলা করেছেন। তবে অভিযুক্ত স্বামী মিলন জানান, তারা স্বেচ্ছায় বিয়ে করেছেন ও একসাথে বসবাস করছেন।
মিলনের বাবা মতিয়ার রহমান মোল্লা বলেন, ছোটবেলা থেকে মিলনের সাথে মেয়েটির (ইউএনও) প্রেমের সর্ম্পক ছিল। তাদের পারিবারিক অবস্থা ভালো ছিল না। আমার ছেলেই মেয়েটির পড়ালেখার খরচ দিত। কিন্তু ইউএনও হয়ে সে মিলনের সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। এক পর্যায়ে তালাক দেয়।
মহম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাছির উদ্দীন জানান, মেয়ের বাবা থানায় অভিযোগ করেছেন, উপজেলার বালিদিয়া ইউনিয়নের মৌশা গ্রামে দরিদ্র পরিবারে বেড়ে ওঠা মেয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা করে বিসিএস পাস করে প্রশাসনে যোগ দেন। ইউএনও হিসেবে পদোন্নতি পাওয়ার পর পেশাগত মর্যাদাগত কারণে স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে দূরত্ব বাড়তে থাকে। কারণ স্বামী মিলন স্বল্প শিক্ষিত দমকল কর্মী।
এ ঘটনায় তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানিয়েছেন ওসি।
আরও পড়ুন: যুবককে জোর করে বিয়ে, ৯ জন কারাগারে
পুলিশের হস্তক্ষেপে বাল্যবিয়ে থেকে রক্ষা পেল অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী
কুড়িগ্রামে নিজের বাল্যবিয়ে ঠেকিয়ে সংবর্ধনা পেলো মোনালিসা
৩ বছর আগে
মাগুরায় ফুটবল খেলা নিয়ে মারামারিতে নিহত ১
মহম্মদপুর উপজেলায় ফুটবল খেলা নিয়ে দুই দলের সমর্থকদের মাঝে মারামারিতে একজনের মৃত্যু হয়েছে।
৪ বছর আগে