কারবারি
শীর্ষ মাদক চোরাকারবারিদের তালিকা দাখিলের নির্দেশ হাইকোর্টের
দেশের শীর্ষ মাদক কারবারিদের নাম-ঠিকানাসহ তালিকা দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে এক মাসের মধ্যে এ প্রতিবেদন দিতে হবে।
একইসঙ্গে বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকাসহ গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর-প্রতিবেদনে মাদক কারবারির মাধ্যমে অর্থপাচার সংক্রান্ত অভিযোগ অনুসন্ধানেরও নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ- (সিআইডি), বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট –(বিএফআইইউ), জাতীয় রাজস্ব বোর্ড –(এনবিআর) ও মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরকে এই অনুসন্ধান করে দুই মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।
রবিবার অর্থ পাচার বিষয়ে বিচারাধীন এক রিটে সম্পূরক আবেদনের প্রেক্ষিতে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের দ্বৈত বেঞ্চ রুলসহ এই আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: থ্যালাসেমিয়া রোগের বিস্তার বন্ধে হাইকোর্টে রিট
রুলে মাদক কারবারির মাধ্যমে অর্থ পাচারকারী ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে বিদ্যমান আইন অনুসারে আইনগত ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্টদের নিষ্ক্রিয়তা ও ব্যর্থতা কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না এবং মাদক কারবারির মাধ্যমে অর্থ পাচারকারী ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, এর আগে ১৩ জুন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সুবীর নন্দি দাস এই সম্পূরক আবেদন করেন।
গত ১১ জুন গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘বাংলাদেশ থেকে মাদকের কারণে প্রতিবছর পাচার হয়ে যায় ৪৮১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বা প্রায় ৫ হাজার ১৪৭ কোটি টাকা। আর মাদক কেনাবেচা করে অর্থ পাচারের দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান বিশ্বে পঞ্চম। এশিয়ার দেশগুলো বিবেচনায় নিলে মাদকের মাধ্যমে অর্থ পাচারের ঘটনায় বাংলাদেশ একেবারে শীর্ষে রয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ৮ জুন আঙ্কটাড (ইউনাইটেড নেশনস কনফারেন্স অন ট্রেড অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট) তাদের ওয়েবসাইটে অবৈধ অর্থপ্রবাহ সংক্রান্ত এক প্রতিবেদনে এই তথ্য প্রকাশ করে। যার বরাত দিয়ে দেশের প্রায় সব জাতীয় দৈনিকসহ গণমাধ্যম খবর-প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
আঙ্কটাডের প্রতিবেদন অনুযায়ী, মাদকের অবৈধ অর্থপ্রবাহের দিক থেকে বিশ্বে প্রথম অবস্থানে রয়েছে মেক্সিকো। এরপর যথাক্রমে রয়েছে কলম্বিয়া, ইকুয়েডর, পেরু ও বাংলাদেশ।
মাদক এবং অপরাধ প্রতিরোধে কাজ করা জাতিসংঘের সংস্থা ইউএনওডিসির সহায়তায় এবং সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মাদকের মাধ্যমে অবৈধ অর্থপ্রবাহের অনুমানভিত্তিক এই হিসাব করেছে আঙ্কটাড।
তালিকায় এশিয়ার যে পাঁচটি দেশের নাম রয়েছে, এর মধ্যে শীর্ষে থাকা বাংলাদেশের পরেই আছে মালদ্বীপ ও নেপাল। চতুর্থ ও পঞ্চম স্থানে আছে আফগানিস্তান ও মিয়ানমার। মূলত ২০১৭ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত পাঁচ বছরের তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে মাদকের মাধ্যমে অবৈধ অর্থপ্রবাহের এই চিত্র প্রথমবারের মতো তুলে ধরে আঙ্কটাড।
আরও পড়ুন: বাফুফে’র দুর্নীতি, অর্থ পাচারের বিষয়ে রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত কোনো মতামত প্রকাশ নয়: হাইকোর্ট
কক্সবাজারে ১৯১ টি চোরাই মোবাইল জব্দ, আটক ৩
কক্সবাজারের চকরিয়ায় ১৯১ টি চোরাই মোবাইল জব্দ করা হয়েছে। এসময় তিনজনকে আটকের দাবি করেছে গোয়েন্দা পুলিশ।
বৃহস্পতিবার জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহমদ নাছির উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
আটককৃতরা হলেন- ফাঁসিয়াখালীর মৃত রাজা মিয়ার ছেলে সাইফুল ইসলাম, শহিদুল ইসলাম এবং বরইতলীর শাহজাহানের ছেলে আবু তাহের।
আরও পড়ুন: ১০ বছর আত্মগোপনের পর মিরপুরে ২২ মামলার আসামি গ্রেপ্তার
ওসি জানান, কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার একটি শপিং কমপ্লেক্সের লাইভ টেলিকম-১, লাইভ টেলিকম-২, লাইভ টেলিকম-৩ নামের তিনটি মোবাইলের দোকানে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গোয়েন্দা পুলিশের অভিযানে ১৯১ টি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের চোরাই মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। যার মূল্য ২৮ লাখ ৬৫ হাজার টাকা।
তিনি আরও জানান, এ সময় জড়িত তিনজনকে আটক করা হয়।
ওসি জানান, গ্রেপ্তার আসামিরা পুলিশের কাছে স্বীকার করেন যে দেশের বিভিন্ন স্থান হতে চোরাই মোবাইল কারবারিদের সঙ্গে যোগসাজশে দীর্ঘদিন ধরে চোরাই মোবাইল কেনা-বেচা করে আসছিলো।
আরও পড়ুন: খুলনায় বিএনপির ৮৩৫ নেতাকর্মীর নামে ১৪ মামলা, ৮৯ জন কারাবন্দী
রাজধানীতে মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেপ্তার ৪২
মানিকগঞ্জে গাঁজাসহ ২ মাদক কারবারি গ্রেপ্তার
মানিকগঞ্জে এক কেজি গাঁজাসহ দুই মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সিলেটে মাদকবিরোধী অভিযানে ৬ পুলিশ আহত, আটক ৩
সিলেট, ১৯ অক্টোবর (ইউএনবি)- জৈন্তাপুর উপজেলায় মাদক কারবারীদের হামলায় ছয় পুলিশ সদস্য আহত হওয়ার কথা জানিয়েছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এ ঘটনায় ইয়াবা ব্যবসায়ীসহ তিনজনকে আটকেরও দাবি করেছে তারা।