স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স
বরগুনায় ১৪৭ চিকিৎসকের বিপরীতে কর্মরত ১৪, যোগদান করেননি ৯ জন
বরগুনা জেলার ৬টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১৪৭ জন চিকিৎসকের পদ থাকলেও বর্তমানে কর্মরত আছেন মাত্র ১৪ জন। আর ১৪ জন রয়েছেন অনুমোদিত ছুটিতে। চিকিৎসক সংকট নিরসনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে জেলায় ১৩ জন চিকিৎসককে পদায়ন করা হলেও যোগদান করেছেন মাত্র ৪জন। এতে জেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে ভেঙে পড়েছে চিকিৎসা সেবা।
১২ লক্ষাধিক জনসংখ্যার উপকূলীয় এ জেলার চিকিৎসা সেবার ভঙ্গুরতা ও চিকিৎসক সংকট নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে বাসিন্দাদের মধ্যে। স্বাস্থ্য বিভাগের যথাযথ জবাবদিহিতা না থাকায় স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। তবে সচেতন নাগরিকরা মনে করেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ কঠোরতা অবলম্বন করলে পদায়নকৃত চিকিৎসকরা কর্মস্থলে যোগদান করতে বাধ্য হতো।
প্রায় ২ হাজার বর্গ কিলোমিটার আয়তনের উপকূলীয় জেলার সর্বস্তরের মানুষের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে চিকিৎসক ও জনবল পদায়নের দাবিতে বহু আন্দোলন-সংগ্রাম করেছেন বাসিন্দারা। কিন্তু কোনো প্রতিকার ও পদক্ষেপ চোখে পড়েনি।
জেলার ৬টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও সিভিল সার্জন অফিসে মোট ১৪৭ জন চিকিৎসকের পদ রয়েছে। কর্মরত রয়েছেন মাত্র ২৮ জন। এর মধ্যে আবার ১৪ জন অনুমোদিত ছুটিতে থাকায় বর্তমানে কর্মস্থলে আছেন মাত্র ১৪ জন চিকিৎসক। এর উপর আবার রয়েছে অন্যান্য জনবলের সংকট।
বরগুনা সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা গেছে, চিকিৎসক সংকট নিরসনের লক্ষ্যে গত বছরের ১৮ ডিসেম্বর জেলায় ১৩ জন নতুন চিকিৎসককে পদায়ন করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। কিন্তু, তাদের মধ্যে যোগদান করেছেন মাত্র ৪ জন। আর বাকীরা এখনো যোগদান করেননি। এ বিষয়ে একাধিকবার চিঠি চালাচালি করলেও এখন পর্যন্ত কোনো সমাধান হয়নি।
জেলার পাথরঘাটা উপজেলা ৫০ শয্যা বিশিষ্ট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ২৭ জন চিকিৎসক থাকার কথা থাকলেও কাগজে-কলমে কর্মরত মাত্র ৪ জন। তাদের মধ্যে আবার ২ জন আছেন অনুমোদিত ছুটিতে। এছাড়া বাকি দু’জনের মধ্যে একজন এম. এস. রেসিডেন্সি কোর্সে যাবেন। বাকী একজন দিয়ে চলবে ৫০ শয্যা বিশিষ্ট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স।
বামনা উপজেলা ৫০ শয্যা বিশিষ্ট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২৫ জন চিকিৎসকের বিপরীতে কাগজে-কলমে কর্মরত ৫ জন। কিন্তু একজন অনুমোদিত ছুটিতে এবং আরেকজন যাবেন এমডি কোর্সে। বেতাগী ৫০ শয্যা বিশিষ্ট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২৭ জন চিকিৎসকের বিপরীতে কাগজে-কলমে কর্মরত আছে ৫ জন। তার মধ্যে একজন অনুমোদিত ছুটিতে, একজন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে সংযুক্তিতে কর্মরত এবং আরেকজন এমডি কোর্সে যাবেন। আমতলী উপজেলা ৫০ শয্যা বিশিষ্ট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২৯ জন চিকিৎসকের বিপরীতে কাগজে-কলমে কর্মরত ৪ জন। যার মধ্যে একজন মাতৃত্বকালীন ছুটিতে এবং আরেক এমডি কোর্সে যাবেন। তালতলী উপজেলা ৫০ শয্যা বিশিষ্ট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২৪ জনের বিপরীতে কর্মরত আছেন ২ জন। এছাড়া বরগুনা সদর স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার কার্যালয়ে ১৩ জনের বিপরীতে ৭ জন থাকলেও তাদের মধ্য থেকে ৪ জন বরগুনা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে সংযুক্তিতে কর্মরত এবং সিভিল সার্জন অফিসের ২ জন মেডিকেল অফিসারের স্থলে আছেন মাত্র একজন।
গেল বছরের ১৮ ডিসেম্বর বরগুনার বিভিন্ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পদায়ন করার পরও যোগদান না করা চিকিৎসকরা হলেন- ডা. নুর-ই জান্নাতুল ফেরদৌস, ডা. মো. সাজ্জাদ হোসেন, ডা. পথিক বিশ্বাস, ডা. মো. রাকিবুল হাসান, ডা. মানা শায়ন্তা ঘোষ, ডা. রাফসানা রউফ, ডা. মো. ফখরুল ইসলাম চৌধুরী, ডা. মো. সাইফুর রহমান ও ডা. বুশরা নওরীন।
আরও পড়ুন: বাকৃবি: ১০ হাজার মানুষের জন্য চিকিৎসক মাত্র ৮ জন
বরগুনা সচেতন নাগরিক কমিটির (টিআইবি) সভাপতি মনির হোসেন কামাল বলেন, বরগুনায় চিকিৎসক সংকটের কারণে দীর্ঘদিন ধরে মানুষ চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। অথচ চিকিৎসককে পদায়ন করার পরও তারা যোগদান করছেন না। তার দাবি, চিকিৎসকদের যথাযথ জবাবদিহিতার আওতায় আনতে না পারার কারণে এমন সুযোগ নিচ্ছেন তারা।
বরগুনা প্রেসক্লাবের সভাপতি অ্যাডভোকেট সোহেল হাফিজ বলেন, সুদীর্ঘ বছর স্বাস্থ্য বিভাগে চেইন অব কমান্ড বলে কিছু নেই। যার কারণে ইচ্ছেমত নিয়োগ অথবা বদলির রেওয়াজ চলমান।
তিনি আরও বলেন, সরকারি চাকরি করে সরকারের নির্দেশনা মানবেন না এটা হতে পারে না। এখান থেকে বেড়িয়ে না আসা পর্যন্ত স্বাস্থ্য বিভাগের সুফল আসবে না।
বরগুনা সিভিল সার্জন ডা. প্রদীপ চন্দ্র মন্ডল বলেন, ‘বরগুনা জেলায় চিকিৎসক সংকট তীব্র। এ সংকট কিছুটা কাটিয়ে উঠতে ১৮ ডিসেম্বর ১৩ জন চিকিৎসককে পদায়ন করা হয়েছে। কিন্তু তাদের মধ্যে মাত্র ৪জন যোগদান করলেও বাকীরা এখনো যোগদান করেনি। এ বিষয়ে দু’দফায় চিঠির মাধ্যমে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বদলি আদেশে ৩ দিনের মধ্যে যোগদান করার কথা থাকলেও তারা এ বিষয়ে গুরুত্ব দেননি। সরকারি চাকরি বিধি অনুযায়ী এটা তারা করতে পারেন না।’
আরও পড়ুন: চিকিৎসক-নার্সসহ বিএসএমএমইউয়ের ১৫ জন বরখাস্ত
৭৪ দিন আগে
ফেনীর অধিকাংশ সরকারি হাসপাতালের এক্স-রে মেশিন বছরের পর বছর ধরে বাক্সবন্দী
ফেনী জেনারেল হাসপাতাল ও ছাগলনাইয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ছাড়া জেলার আর কোনো সরকারি হাসপাতালে এক্স-রে যন্ত্র চালু নেই।
বাক্সবন্দী হয়ে পড়ে আছে সোনাগাজী, ফুলগাজী, পরশুরাম ও দাগনভূঞা উপজেলায় কোটি টাকার এক্স-রে যন্ত্র।
ফেনীর মহিপালে অবস্থিত ২০ শয্যার ট্রমা সেন্টার ও বক্ষব্যাধি হাসপাতালেও এক্স-রে করা হয় না ১৫ বছর ধরে। হাসপাতালগুলোয় কোটি টাকা দামের নতুন এক্স-রে যন্ত্র সরবরাহ করা হলেও দক্ষ লোকবলের অভাবে সেগুলো স্থাপন (ইনস্টল) করা যাচ্ছে না।
ফেনীর সোনাগাজী, ফুলগাজী, পরশুরাম ও দাগনভূঞা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বছরের পর বছর ধরে রোগীরা এক্স-রে সুবিধা থেকে বঞ্চিত।
স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ফুলগাজী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তিনটি এক্স-রে যন্ত্র থাকলেও ১০ বছর ধরে সেবা পাচ্ছে না মানুষ।
এ উপজেলায় ২০১৬ সালে ৩০০ এমএ ক্ষমতাসম্পন্ন একটি ডিজিটাল এক্স-রে যন্ত্র দেয়া হয়। সেটি স্থাপন করা হলেও চালানোর জন্য দক্ষ লোক নেই। এরপর ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে ৫০০ এমএ ক্ষমতাসম্পন্ন সিমেন্স কোম্পানির আরেকটি ডিজিটাল এক্স-রে যন্ত্র সেখানে পাঠানো হয়, তা এখনো স্থাপন করা হয়নি।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গাদের যক্ষ্মা শনাক্তে ভ্রাম্যমাণ এক্স-রে ভ্যান চালু
একই অবস্থা পরশুরাম স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেরও এ স্বাস্থ্যকেন্দ্রের এক্স-রে যন্ত্র নষ্ট হয় ২০১৬ সালে। সেটি মেরামত না করেই ২০১৯ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ৫০০ এমএ ক্ষমতাসম্পন্ন একটি ডিজিটাল এক্স-রে যন্ত্র দেয়া হয়। কিন্তু যন্ত্রটি স্থাপন করার মতো দক্ষ লোক না থাকায় সেটিও বাক্সবন্দী পড়ে আছে।
দাগনভূঞা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা তৌহিদুল ইসলাম জানান, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২০১৩ সাল থেকে এক্স-রে করা হয় না। ২০২১ সালের ২ মার্চ ৫০০ এমএ ক্ষমতাসম্পন্ন ফিলিপস কোম্পানির একটি ডিজিটাল এক্স-রে যন্ত্র দেয়া হয়। কিন্তু স্থাপন না হওয়ায় তা অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে আছে।
২০১৮ সালে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় প্রায় দুই কোটি টাকা ব্যয়ে সোনাগাজী উপজেলায় নতুন ডিজিটাল এক্স-রে যন্ত্র বরাদ্দ দেয়। তবে তা চালু করার জন্য আজও কোন প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হয়নি।
সোনাগাজী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ল্যাব টেকনালেজিস্ট মাহবুব আলম বলেন, ২০০৭ সালে জানে আলম ও ২০১৩ সালে মাহবুব আলম নামের দুজন এক্স-রে টেকনালজিস্ট হাসপাতালে যোগ দেন। কিন্তু এক্স-রে যন্ত্র বিকল হওয়ায় দু-এক মাস পর তারা বদলি হয়ে অন্যত্র চলে যান।
একই অবস্থা ফুলগাজী উপজেলায়ও।
প্রায় ১০ বছর ধরে সেখানে কোনো মেডিকেল টেকনালেজিস্ট নেই। দাগনভূঞা উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেও এক্স-রে করার মতো লোক নেই ২০০৮ সাল থেকে।
সরকারি চিকিৎসাসেবা প্রতিষ্ঠান ফেনীর মহিপাল এলাকার ২০ শয্যার ট্রমা সেন্টারে ১৫ বছর ও ফেনীর বক্ষব্যাধি হাসপাতালে ১০ বছর ধরে টেকনালেজিস্ট নেই। এ কারণে এসব হাসপাতালেও এক্স-রে হয় না।
ফেনীর সিভিল সার্জন রফিক-উস ছালেহীন বলেন, ডিজিটাল এক্স-রে যন্ত্র স্থাপন ও পরিচালনার প্রশিক্ষণ নেই স্বাস্থ্যকর্মীদের। জনবল নিয়োগ ছাড়া এক্স-রে সেবা দেয়া সম্ভব নয়। নিয়োগের ব্যাপারটি প্রক্রিয়াধীন। যদি অনুমোদন পাই, তাহলে নিয়োগের মাধ্যমে সেবা আরও ভালোভাবে দেয়া যাবে।
থ্রি আই মার্চেন্ডাইজ নামের একটি প্রতিষ্ঠান ফেনীতে নতুন ডিজিটাল এক্স-রে যন্ত্রগুলো সরবরাহ করেছে। সেগুলো ইনস্টল করতে ওই প্রতিষ্ঠানকে অনেকবার চিঠি দেয়া হয়েছে। কিন্তু তারা আসেনি।
আরও পড়ুন: নবীগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক্সরে মেশিনটি ১১ বছর ধরে কক্ষবন্দী
৮৮৬ দিন আগে
চিকিৎসা না পেয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের খোলা মাঠেই সন্তান প্রসব!
চিকিৎসা না পেয়ে রংপুরের কাউনিয়ায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের খোলা মাঠে সন্তানের জন্ম দিয়েছেন এক নারী। শুক্রবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বিকালে এ ঘটনা ঘটে।
পরে মা ও নবজাতক শিশুকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে চিকিৎসা দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: রংপুরে বাস-অ্যাম্বুলেন্স সংঘর্ষে নবজাতকসহ নিহত ৩
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. সাহেদ সাব্বির আহমেদ জানান, পীরগাছার অন্নদানগর চালনিরপাড় গ্রামের রিতু আক্তারের (২০) প্রসব ব্যথা উঠলে বাড়িতে সন্তান জন্মের জন্য চেষ্টা করেন পরিবারের লোকজন।
কিন্ত বাড়িতে না হওয়ায় শুক্রবার বেলা ১২ টার দিকে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন তারা।
চিকিৎসক ও নার্সরা ওই নারীকে পরীক্ষা নিরীক্ষা করেন। ওই নারীর গর্ভে সন্তানের অবস্থান উল্টো থাকার বিষয়টি স্বজনদের জানান তারা।
পরে রোগীর স্বজনরা তাকে রংপুরে মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু রোগীর স্বজনরা হাসপাতালের মাঠে গাড়ির জন্য অপেক্ষা করার এক পর্যায়ে বেলা দেড়টার দিকে ওই নারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের খোলা মাঠেই ছেলে সন্তান জন্ম দেন।
পরে নার্সরা ওয়ার্ড থেকে নেমে এসে মা ও সদ্য জন্ম হওয়া শিশুকে ওয়ার্ডে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন।
তবে রোগীর স্বজনরা জানান, হাসপাতালের চিকিৎসক ও নার্স তাদের বলেন যে এই রোগীর ডেলিভারি এখানে হবে না। রংপুরে নিয়ে যেতে হবে। বাধ্য হয়ে রোগীকে রংপুর নিয়ে যেতে অ্যাম্বুলেন্স খুঁজতে থাকেন। কিন্তু হাসপাতালের খোলা মাঠে সন্তান প্রসব হয়।
হাসপাতালে আসা অনেকেই চিকিৎসক ও নার্সের অবহেলাকে দায়ী করে বলেন, চিকিৎসক ও নার্সরা চেষ্টা করলে খোলা মাঠে সন্তান জন্মের ঘটনা ঘটতো না।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কর্মকর্তা ডা. মীর হোসেন বলেন, আমি বিষয়টি শোনার পরপরই ব্যবস্থা গ্রহন করেছি। মা ও শিশু হাসপাতালের মহিলা ওয়ার্ডে ভর্তি আছেন এবং তারা দুইজনেই সুস্থ্য আছেন।
এ ঘটনায় কর্তব্যে অবহেলা নয়, অদক্ষতাকে দায়ী করে নার্সদের কোনো গাফিলতি থাকলে সে বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে জানান ডা. মীর হোসেন।
আরও পড়ুন: রংপুরে পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষ: ২ হাজার জনের বিরুদ্ধে মামলা
রংপুরে দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ৯, আহত ৫০
৯৩৭ দিন আগে
পানিতে ডুবে দুই ভাইয়ের মৃত্যু
কুমিল্লার দেবিদ্বারে পানিতে ডুবে জুনায়েদ (৮) ও রিহান (৮) নামে দুই ভাইয়ের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার উপজেলার সুলতানপুর ইউনিয়নের নূর মানিকচর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত জুনায়েদ ওই গ্রামের আবু কালামের ছেলে এবং রিহান একই বাড়ির মুমিন মিয়ার ছেলে। তারা সম্পর্কে চাচাতো ভাই। উভয়ই নূরমানিকচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়তো।
ওই বাড়ির বাসিন্দা মনির হোসেন জানান, শিশু দুটি বিদ্যালয় থেকে ফিরে বাড়ির সংলগ্ন পুকুরে গোসল করতে যায়। শিশু জুনায়েদ পানিতে ডুবে যায়। এসময় তাকে উদ্ধার করতে গিয়ে রিহানও ডুবে যায়।
তাদেরকে উদ্ধার করে চান্দিনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এ ব্যাপারে দেবিদ্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কমল কৃষ্ণ ধর জানান, শুনেছি চান্দিনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে শিশু দুটিকে পাঠানো হয়েছে। খবর নিয়ে বিস্তারিত বলতে পারবো।
আরও পড়ুন: খুলনায় পানিতে ডুবে মাদ্রাসারছাত্রের মৃত্যু
ওসমানীনগরে পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু
১০০৫ দিন আগে
দামুড়হুদায় ট্রাকচাপায় শিশু নিহত, ড্রাইভারসহ ট্রাক আটক
চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদায় জান্নাতু্ল (৩) নামের এক শিশু ট্রাকের নিচে পিষ্ট হয়ে মারা গেছে। উপজেলার দৈউলীতে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
দামুড়হুদা মডেল থানা পুলিশ ট্রাক ড্রাইভারসহ ঘাতক ট্রাকটি আটক করেছে।
পুলিশ ও স্থানীয়দের থেকে জানা যায়, দৈউলী গ্রামের নবীর মিয়ার নাতনী জান্নাতুল তার নানির দোকানে কেনাকাটা করতে যায়। এ সময় জান্নাতুল সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে ছিল। তখন হঠাৎ করে কার্পাসডাঙ্গা থেকে আসা একটি গরু বোঝায় ট্রাক শিশুটিকে চাপা দিলে সে গুরুতর আহত হয়। তখন স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে দামুড়হুদা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে দামুড়হুদা থানা পুলিশ ড্রাইভারসহ ঘাতক ট্রাকটি আটক করে।
এ বিষয়ে দামুড়হুদা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদৌস ওয়াহিদ সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, আমরা ঘাতক ট্রাকের চালককে আটক করেছি এবং ট্রাকটি জব্দ করে থানায় নিয়েছি।
আরও পড়ুন: নীলফামারীতে মাইক্রোবাসচাপায় শিশু নিহত
শাহরাস্তিতে অটোরিকশা উল্টে শিশু নিহত
১০১৯ দিন আগে
নড়াইলে ভাতিজার হাতে চাচা খুন
নড়াইলের লোহাগড়ায় জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে ভাতিজার হাতে চাচা খুন হয়েছেন বলে জানা গেছে। সোমবার উপজেলার দিঘলিয়া ইউনিয়নের তালবাড়িয়া গ্রামে ওই ঘটনা ঘটে।
নিহত রেজাউল মোল্লা (৫০) ওই গ্রামের বকু মোল্লার ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও এলাকবাসী সূত্রে জানা গেছে, রেজাউল মোল্লাদের সঙ্গে একই বংশের ভাতিজা অভিযুক্ত ইজাজুল মোল্লাদের জমিজমা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এ নিয়ে আদালতে মামলা ছিল। মামলার রায় ইজাজুল মোল্লাদের বিপক্ষে গেলে আদালত চত্বরেই দুপক্ষের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়।পরে রেজাউলের বাড়ির সামনে বিকালে দুপক্ষের মধ্যে তর্ক হয়। এক পর্যায়ে প্রতিপক্ষরা রেজাউলকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে। স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।
লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ আবু হেনা বলেন, ‘জমি নিয়ে বিরোধের জেরে ওই হত্যাকাণ্ড ঘটছে। এ ব্যাপারে আইনি পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ঝগড়া থামাতে গিয়ে ছেলের দায়ের কোপে বাবা খুন!
চট্টগ্রামে ছুরিকাঘাতে যুবক খুন
১০৩৯ দিন আগে
কুষ্টিয়ায় ছোট ভাইয়ের বাঁশের আঘাতে বড় ভাইয়ের মৃত্যু
কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলায় পারিবারিক বিরোধের জের ধরে ছোট ভাইয়ের হাতে বড় ভাইয়ের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। বুধবার রাতে উপজেলার মথুরাপুর এলাকার হিসনাপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মুক্তার আলী (৫০) ও তার ছোটভাই আনোয়ারুল ইসলাম মথুরাপুর এলাকার হিসনাপাড়ায় এলাকার বাসিন্দা।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কয়েকদিন ধরে পারিবারিক বিষয় নিয়ে দুই ভাইয়ের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। তারই জেরে বুধবার রাত ১০টার দিকে মুক্তারের সঙ্গে ছোট ভাই আনোয়ারুলের স্ত্রীর ঝগড়া বাঁধে। এ সময় দুই ভাইয়ের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়। একপর্যায়ে আনোয়ারুল বাঁশ দিয়ে মুক্তারের মাথায় ও ঘাড়ে আঘাত করেন। এতে মুক্তার আহত হয়ে পড়ে। আশংকাজনক অবস্থায় তাকে দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাবীদ হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এখন পর্যন্ত থানায় মামলা হয়নি। ঘটনার পর থেকে ঘাতক ছোট ভাই পলাতক আছে।
আরও পড়ুন: বোনের জানাজায় অংশ নিতে গিয়ে ভাইয়ের মৃত্যু
নওগাঁয় বোনকে আনতে গিয়ে প্রাণ গেল ভাইয়ের
১০৫১ দিন আগে
রাঙামাটিতে ডায়রিয়ার প্রকোপ
রাঙামাটি জেলার জুরাছড়ি উপজেলায় গত দুই দিনে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে এবং আরও প্রায় ৭০ জন ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা।
রবিবার জুরাছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা অনন্যা চাকমা জানান, শুক্রবার আমতলা গ্রামের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী রাঙাবী চাকমার ডায়রিয়ায় মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে।
তিনি জানান, জুরাছড়ি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তৃপক্ষ ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামে ডায়রিয়া রোগীদের চিকিৎসা দিতে পাঁচটি মেডিকেল টিম পাঠিয়েছে।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে ২৩ লাখ মানুষ পাবেন ডায়রিয়ার টিকা
শুক্রবার উপজেলার মৈদং ইউনিয়নের পাহাড়ি আমতলা গ্রামের ডায়রিয়া আক্রান্ত ১০ রোগীকে রাঙামাটি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আমতলা বাদলহাটছড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক মঙ্গল চাকমা জানান, কয়েকদিনের বৃষ্টির পর পানিবাহিত রোগের খবর পাওয়া গেছে।
সরজমিনে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিদর্শনকালে দেখা গেছে, ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে।
দুই বছরের শিশু অমর শান্তি চাকমার মা সঞ্জারিকা চাকমা জানান, গত দুই দিন ধরে তার ছেলে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। অমর সুস্থ হয়ে উঠছে তবে তার শ্বশুর-শাশুড়ি ও আক্রান্ত হয়েছেন।
জুরাছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. অনন্যা চাকমা জানান, পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত মেডিকেল টিম ওই এলাকায় থাকবে।
আরও পড়ুন: ডায়রিয়া বা উদরাময়: কারণ, লক্ষণ, প্রতিরোধ ও প্রতিকারের উপায়
১০৫৫ দিন আগে
বোনের জানাজায় অংশ নিতে গিয়ে ভাইয়ের মৃত্যু
বরিশালে বোনের জানাজায় অংশ নিতে যাওয়ার সময় সড়ক দুর্ঘটনায় রমজান হাওলাদার (৩৮) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে।
রবিবার উজিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে লাশ শনাক্তকালে নিহতের মেয়ের জামাই মেহেদী হাসান সজল এ তথ্য জানিয়েছেন। নিহত রমজান বাকেরগঞ্জ উপজেলার সুন্দরকাঠি গ্রামের মৃত আবুল কাশেম হাওলাদারের ছেলে।
মেহেদী জানান, শনিবার দিবাগত রাতে বাকেরগঞ্জের দুধল মৌ ইউনিয়নের সুন্দরকাঠি গ্রামের নিজবাড়িতে মারা যান সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত রমজানের বোন ময়না বেগম। রবিবার সকাল ১০টায় বোনের জানাজায় অংশ নিতে রমজান শনিবার রাতে ঢাকা থেকে যমুনা পরিবহণে বাকেরগঞ্জের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। গাড়িটি রবিবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে উজিরপুর উপজেলার বামরাইল এলাকায় পৌঁছালে সড়ক দুর্ঘটনায় তার মৃত্যু হয়।
উজিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী আরশাদ জানিয়েছেন, এ সড়ক দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১০ জন নিহত ও ২০ জন আহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: উজিরপুরে বাস দুর্ঘটনায় শিশুসহ নিহত ৮, আহত ২০
১০৫৫ দিন আগে
হাজীগঞ্জে সেফটি ট্যাংকের সেন্টারিং খুলতে গিয়ে ২ ভাইয়ের মৃত্যু
চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে নির্মাণাধীন ভবনের সেফটি ট্যাংক থেকে সেন্টারিং খুলতে গিয়ে দুই ভাইয়ের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে হাজীগঞ্জ বাজারের হকার্স মার্কেটে বারেক হাজীর নির্মাণাধীন ভবনে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন-চাপাইনবাবগঞ্জ জেলার নাছোল উপজেলার সুখানদিঘি গ্রামের মো. সাজেমান আলীর ছেলে রাব্বানি (৩৮) ও তার ছোট ভাই মোহন (২২)।
স্থানীয় বাসিন্দা আরাফাত হোসেন বলেন, সকাল সাড়ে ৯টার সময় মোহন নির্মাণাধীন ভবনের সেফটি ট্যাংকের ভেতরে সেন্টারিং খোলার জন্য নামে। এরপর তার কোন সাড়া না পেয়ে তার ভাই রাব্বানি ট্যাংকের ভেতরে নামে। তারও কোন সাড়া না পেয়ে ফায়ার সার্ভিসকে ফোন করা হয়। ফায়ার সার্ভিস এসে দুই ভাইকে সেফটি ট্যাংক থেকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।পরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক তাদেরকে মৃত ঘোষণা করেন।
হাজীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ জোবাইর সৈয়দ বলেন, দুই ভাইয়ের লাশ থানায় নেয়া হয়েছে। পরিবার থেকে সিদ্ধান্ত দিলে বাকি আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জলাশয়ে ডুবে ২ ভাইয়ের মৃত্যু
নওগাঁয় বোনকে আনতে গিয়ে প্রাণ গেল ভাইয়ের
১০৬৭ দিন আগে