অ্যানিমেশন
অ্যানিমেশন ফিল্ম ‘খোকা’ প্রিমিয়ার শো অনুষ্ঠিত
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শৈশব-কৈশোরকে প্রাধান্য দিয়ে নির্মিত ৯৬ মিনিটের অ্যানিমেশন ফিল্ম ‘খোকা’র প্রিমিয়ার শো অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) বঙ্গবন্ধু সামরিক জাদুঘর স্টার সিনেপ্লেক্সে এই প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের ‘মোবাইল গেইম ও অ্যাপ্লিকেশনের দক্ষতা উন্নয়ন’ প্রকল্পের উদ্যোগে ১১ পর্বের এই অ্যানিমেশন সিরিজ নির্মাণ করা হয়। ১১ পর্বের সিরিজটিকে একসঙ্গে করে অ্যানিমেশন ফিল্ম হিসেবে প্রদর্শন করা হয়।
সকালে অ্যানিমেশন ফিল্ম ‘খোকা’র প্রিমিয়ার শো পথ শিশু ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিয়ে উপভোগ করেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
তিনি বলেন, সারা বিশ্বের প্রত্যেকটা সেক্টরকে ডিজার্ভ করছে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স।
প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন, এআই এক্সপার্ট ও টুল ব্যবহার করে ভবিষ্যতে অ্যানিমেশন শিল্পের সম্প্রসারণের জন্য একটি বড় উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। দেশের তরুণ-তরুণীদের মেধাকে কাজে লাগিয়ে ফিউচার ক্রিয়েটিভ ইকোনোমি গড়ে তোলার লক্ষ্যে দেশে আরও ৮টি বিশ্ববিদ্যালয়ে অত্যাধুনিক অ্যানিমেশন ল্যাব স্থাপন করা হবে বলে তিনি জানান।
দিনব্যাপী সিরিজটি মোট ৫টি প্রদর্শনী আয়োজিত হচ্ছে। প্রদর্শনীগুলো যথাক্রমে বেলা পৌনে ১১টা, দুপুর দেড়টা, বিকাল পৌনে ৪টা, বিকাল ৫টা ৪০ মিনিট এবং সন্ধ্যা ৭টা ৪০ মিনিট।
আরও পড়ুন: ইসরোর সঙ্গে যৌথভাবে ছোট স্যাটেলাইট তৈরি করবে বাংলাদেশ: পলক
অ্যানিমেশন সিরিজটি উপভোগ শেষে প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একটি স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ উপহার দিয়েছেন এবং উন্নত আধুনিক সোনার বাংলা গড়ার ভিত্তি রচনা করে গেছেন। বঙ্গবন্ধুর দুরন্ত কৈশোর, সংগ্রামী ছাত্রজীবনকে আমরা শিশু-কিশোরদের প্রিয় মাধ্যম অ্যানিমেশনে তুলে ধরেছি।
শেখ মুজিবুর রহমান প্রত্যন্ত অঞ্চল টুঙ্গিপাড়া গ্রাম থেকে কীভাবে বড় হয়ে আস্তে আস্তে খোকা থেকে মুজিব, মুজিব থেকে মুজিব ভাই, মুজিব ভাই থেকে বঙ্গবন্ধু, বঙ্গবন্ধু থেকে জাতির পিতায় পরিণত হলেন এবং বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক সংগ্রাম, ত্যাগ ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ধারাবাহিক নেতৃত্বকে এই অ্যানিমেশনের মাধ্যমে সহজ-সুন্দরভাবে তুলে ধরা হয়েছে বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী।
তিনি আরও বলেন, আধুনিক প্রযুক্তি এবং শিল্পের সমন্বয়ে সৃজনশীল তরুণ প্রজন্ম গড়ে তুলতে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ কাজ করছে। মোবাইল গেইম ও অ্যাপ্লিকেশন প্রকল্পের আওতায় প্রায় ২৮ হাজার মোবাইল অ্যাপ এবং গেইম ডেভেলপার তৈরি করেছি। এছাড়া দেশের ৩২টি বিশ্ববিদ্যালয় ও পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে মোবাইল অ্যাপস এবং গেমিং ল্যাব, ৮টি বিশ্ববিদ্যালয়ে অ্যাপ-গেইম টেস্টিং সেন্টার এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি অত্যাধুনিক শেখ রাসেল অ্যানিমেশন স্টুডিও স্থাপন করা হয়েছে।
পলক বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে সারাবিশ্বে অ্যানিমেশন শিল্পের বাজার দাঁড়াবে প্রায় ৬০০ বিলিয়ন ডলার। সেখানে দেশের মেধাবী তরুণরা যাতে অবদান রাখতে পারে তার জন্য আমরা ফিউচার অ্যানিমেটর্স অ্যান্ড ক্রিয়েটিভ ইকোনমি (ফেস অব স্মার্ট বাংলাদেশ) প্রকল্প গ্রহণ করছি।
তিনি বলেন, এই প্রকল্পের আওতায় ফ্রান্সের সঙ্গে যৌথ সহায়তায় পরিবেশ এবং জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় সচেতনতা তৈরির জন্য ‘সং অব ঝিনুক’ এবং বাংলাদেশ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সংগ্রামী জীবনকে তুলে ধরার জন্য ‘দি স্ট্রাগল’ নামে অ্যানিমেশন মুভি তৈরি করা হবে।
আরও পড়ুন: ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে সমতার বিশ্ব গড়ে তোলা সম্ভব: প্রতিমন্ত্রী পলক
উল্লেখ্য, দেশের জনসাধারণ ও নতুন প্রজন্মকে মানবিক হতে ও দেশপ্রেমের প্রতি উদ্বুদ্ধ করতে অ্যানিমেটেড সিরিজটি বিশেষ অবদান রাখবে। দেশীয় অ্যানিমেটর দ্বারা বানানো অ্যানিমেশনের মাধ্যমে তৈরি হওয়ায় সব বয়সী দর্শকেরা সহজেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শৈশব-কৈশরের জীবনী সম্পর্কে সহজে জানতে পারবেন।
‘মোবাইল গেইম ও অ্যাপ্লিকেশনের দক্ষতা উন্নয়ন’ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেনের তত্ত্বাবধানে নির্মিত এই সিরিজটির পরিচালনায় ছিলেন প্রোল্যান্সার স্টুডিও’র সোহেল মোহাম্মদ রানা। প্রযোজকের দায়িত্বে ছিলেন এম ই চৌধুরী শামীম। নির্বাহী প্রযোজকের দায়িত্বে ছিলেন শেখ অলিদুর রহমান হীরা ও দিলারা আফরোজ খান রুপা।
এই সিরিজে স্ক্রিপ্টের দায়িত্বে ছিলেন বাংলা একাডেমি পুরস্কারপ্রাপ্ত নাট্য রচয়িতা ও নাট্য ব্যক্তিত্ব মাসুম রেজা, রতন সিদ্দিকি, আহমেদ সাদ রিজভী, শেখ সাদি, মিথুন হাসান প্রমুখ।
ভয়েস ডিরেকশনের দায়িত্বে ছিলেন রফিকুল সেলিম। লিড ক্যারেক্টার ডিজাইনার ছিলেন যাওয়াদ মাহমুদ। সিরিজটি তৈরি করেছে টিম অ্যাসোসিয়েট, মার্স সল্যুশন, ম্যাজিক ইমেজ ও প্রোল্যান্সার স্টুডিও।
আরও পড়ুন: ইন্টারনেটের জনপ্রিয় ছোট ছোট প্যাকেজের পক্ষে পলক
৫ মাস আগে
অ্যানিমেশন চলচ্চিত্র ‘মুজিব আমার পিতা’স্পেশাল স্ক্রিনিং অনুষ্ঠিত
ঢাকা, ০৮ অক্টোবর (ইউএনবি)- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রচনা ‘শেখ মুজিব আমার পিতা’ অবলম্বনে মুজিব শতবর্ষ ও স্বাধীনতার সুর্বণজয়ন্তী উপলক্ষে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ নির্মিত দেশের প্রথম ফিচার-লেংথ অ্যানিমেশন চলচ্চিত্র ‘মুজিব আমার পিতা’র স্পেশাল স্ক্রিনিং অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে বসুন্ধরা সিটির স্টার সিনেপ্লেক্সে চলচ্চিত্রটি শো হয়। চলচ্চিত্রটি নির্মাণে বিএমআইটি সল্যুশনস লিমিটেড ও প্রোলেন্সার স্টুডিও সহযোগিতা করেছে এবং চলচ্চিত্রটি পরিচালনা করেছেন সোহেল মোহাম্মদ রানা।
স্ক্রিনিং অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চলচ্চিত্রটির পৃষ্ঠপোষক তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ ও সাধারণ সম্পাদক মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল ও চলচ্চিত্রটির পরিচালক সোহেল মোহাম্মদ রানা ।
আরও পড়ুন: প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ-ইইউ চলচ্চিত্র উৎসব
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক জানান, শিশু-কিশোরদের কাছে বঙ্গবন্ধুর জীবনের গল্প পৌঁছে দেয়া প্রয়োজন। শিশুসহ সকলের কাছেই অ্যানিমেশন একটি ভালো মাধ্যম বলে তিনি মনে করেন।
চলচ্চিত্রটির পরিচালক সোহেল মোহাম্মদ রানা বলেন, ‘আমরা যখন কাজ শুরু করেছিলাম অনেকে বিশ্বাসই করতে পারেননি বাংলাদেশে বসে ফিচার-লেংথ অ্যানিমেশন চলচ্চিত্র নির্মাণ করা সম্ভব। কিন্তু আমরা বিশ্বাস হারাইনি। এই সিনেমাটি নির্মাণ করতে গিয়ে আমাদের অভিজ্ঞতা হলো, এখনই হয়তো বিশ্বমানের অ্যানিমেশন বানানো সম্ভব নয়। তবে আমরা যাত্রাটা শুরু করেছি। শত সীমাবদ্ধতার মধ্যেও সেরা কাজ করার চেষ্টা করেছি। চলচ্চিত্রটি নির্মাণ করতে গিয়ে আমরা ওয়ার্কশপ করে অ্যানিমেটর তৈরি করেছি। আমি বিশ্বাস করি, সামনে এরাই দেশের অ্যানিমেশন শিল্পের দৃশ্যপট বদলে দেবে। এবং সেই নতুন দিনের সূচনাটা হচ্ছে ‘মুজিব আমার পিতা’ বড় পর্দায় মুক্তি পাওয়ার মধ্যে দিয়ে।’
আরও পড়ুন: জয়িতা ফাউন্ডেশন চলচ্চিত্র উৎসব ২০২১ এর পর্দা নামল
গত ১৬ সেপ্টেম্বর চলচ্চিত্রটি সেন্সর ছাড়পত্র পাওয়ার পর ২৮ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিনে প্রিমিয়ার শো আয়োজন করা হয়। ১ অক্টোবর চলচ্চিত্রটি সারা দেশের বিভিন্ন হলে সাধারণ দর্শকদের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয়। এখন চলছে ঢাকার বসুন্ধরা সিটি, সীমান্ত সম্ভার, মহাখালী ও মিরপুরের স্টার সিনেপ্লেক্সে, যমুনা ফিউচার পার্কের ব্লকবাস্টার সিনেমাস ও চট্টগ্রামের সিলভার স্ক্রিনে। এরই আলোকে বৃহস্পতিবার বসুন্ধরা সিটির স্টার সিনেপ্লেক্সে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের নেতাকর্মীদের নিয়ে এই বিশেষ আয়োজন অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: শুরু হলো ১৪তম আর্ন্তজাতিক শিশু চলচ্চিত্র উৎসব
৩ বছর আগে
পড়াশোনা সবসময় পরীক্ষাকেন্দ্রিক হওয়া উচিত নয়: শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, ডিজিটাল শিক্ষার যুগে বাচ্চাদের শেখার উপকরণগুলো সহজেই বোধগম্য এবং উপভোগ্য করে তৈরি করা দরকার।
৪ বছর আগে