ভোট
৩৫ বছরের অচলায়তন ভেঙে আজ চাকসুর ভোট
দীর্ঘ ৩৫ বছরের অচলাবস্থার অবসান ঘটিয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে আজ।
তফসিল অনুযায়ী, আজ বুধবার (১৪ অক্টোবর) সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত সপ্তম চাকসু নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলবে।
ভোটগ্রহণ শেষে হবে গণনা। কেন্দ্রীয় সংসদের ফলাফল ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদ থেকে এবং হল সংসদের ফলাফল নিজ নিজ কেন্দ্র থেকে প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
এবার চাকসুর মোট ভোটার ২৭ হাজার ৫১৬ জন। কেন্দ্রীয় সংসদে ২৬ পদের বিপরীতে ৪১৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন।
ভোটকেন্দ্র
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৪টি আবাসিক হল রয়েছে। এর মধ্যে ৯টি ছাত্রদের ও ৫টি ছাত্রীদের। এছাড়া রয়েছে শিল্পী রশিদ চৌধুরী হোস্টেল।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদ, সমাজবিজ্ঞান অনুষদ, বিজ্ঞান অনুষদ এবং কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের দুটি ভবন মিলিয়ে মোট পাঁচটি ভবনের ১৫টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে ১৪টি কেন্দ্রে হল সংসদ ও একটি কেন্দ্রে হোস্টেল সংসদ নির্বাচন হবে।
আরও পড়ুন: ৩৫ বছর পর চাকসু নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা, ভোট ১২ অক্টোবর
এ ছাড়া প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে চাকসু ভবনে একটি অতিরিক্ত কেন্দ্র স্থাপন করেছে নির্বাচন কমিশন। এসব কেন্দ্রের জন্য ৬০ কক্ষে ৭০০টি বুথ প্রস্তুত করা হয়েছে। প্রতিটি কক্ষে থাকবে পাঁচটি ব্যালট বাক্স এবং পাঁচ জন করে এজেন্ট। একটি কেন্দ্রে সর্বোচ্চ ৫০০ ভোটার ভোট দিতে পারবেন।
চাকসুতে মোট ভোটার রয়েছেন ২৭ হাজার ৫১৮ জন। এর মধ্যে ছাত্র ভোটার আছেন ১৬ হাজার ১৮৯ এবং ছাত্রী ভোটার রয়েছেন ১১ হাজার ৩২৯ জন।
পদ ও প্রার্থীর সংখ্যা
এবারের চাকসুতে অর্থাৎ কেন্দ্রীয় সংসদে মোট পদসংখ্যা ২৬টি। কেন্দ্রীয় সংসদে ১৩টি প্যানেল ও স্বতন্ত্র মিলিয়ে মোট প্রার্থী সংখ্যা ৪১৫ জন।
এর মধ্যে, সহ-সভাপতি (ভিপি) পদে ২৪ জন, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে ২২ জন, সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে ২১ জন, খেলাধুলা ও ক্রীড়া সম্পাদক পদে ১২ জন, সহ-খেলাধুলা ও ক্রীড়া সম্পাদক ১৪ জন, সাহিত্য, সংস্কৃতি ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে ১৭ জন, সহ-সাহিত্য, সংস্কৃতি ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে ১৫ জন, দপ্তর সম্পাদক পদে ১৭ জন, সহ-দপ্তর সম্পাদক পদে ১৪ জন, ছাত্রীকল্যাণবিষয়ক সম্পাদক পদে ১৩ জন, সহ-ছাত্রীকল্যাণবিষয়ক সম্পাদক পদে ১০ জন, বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক ১১ জন, গবেষণা ও উদ্ভাবনবিষয়ক সম্পাদক পদে ১২ জন, সমাজসেবা ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক ২০ জন, স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ১৫ জন, মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলনবিষয়ক সম্পাদক ১৭ জন, ক্যারিয়ার উন্নয়ন ও আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক ১৬ জন, যোগাযোগ ও আবাসনবিষয়ক সম্পাদক ১৭ জন, সহ-যোগাযোগ ও আবাসনবিষয়ক সম্পাদক ১৪ জন, আইন ও মানবাধিকারবিষয়ক সম্পাদক ৯ জন, পাঠাগার ও ক্যাফেটেরিয়াবিষয়ক সম্পাদক ২০ জন। এ ছাড়া নির্বাহী সদস্য পদে লড়ছেন ৮৫ জন।
আরও পড়ুন: চাকসু নির্বাচনের লক্ষ্যে নীতিমালা প্রণয়নে ৫ সদস্যের রিভিউ কমিটি
অন্যদিকে, হল ও হোস্টেল সংসদে পদ সংখ্যা ১৪টি করে যার বিপরীতে মোট প্রার্থী ৯০৮ জন।
ভোটদান
প্রত্যেক ভোটার ৫টি ব্যালটে চাকসু ও হল সংসদে ৪০ জন প্রার্থীকে ভোট দিতে পারবেন। ভোট দিতে একেকজন ভোটার ১০ মিনিট সময় পাবেন। অর্থাৎ, একজন ভোটারকে প্রতি ২০ সেকেন্ডে একটি করে ভোট দিতে হবে।
এ নির্বাচনের ভোট হবে ব্যালট পেপারে। গণনা হবে ওএমআর (অপটিক্যাল মার্ক রিডার) পদ্ধতিতে। এ পদ্ধতিতে ভোটারদের বৃত্ত পূরণ করে ভোট দিতে হবে।
ভোটের সরঞ্জাম এর মধ্যেই কেন্দ্রে কেন্দ্রে পাঠিয়ে দিয়েছে চাকসু নির্বাচন কমিশন।
ভোটের দিন শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের সুবিধার্থে ১১ বার করে চট্টগ্রাম শহর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে আসা–যাওয়া করবে শাটল ট্রেন। এ ছাড়া চলাচল করবে ৩০টি বাস।
নিরাপত্তা ব্যবস্থা
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তার চাদরে মোড়ানো হয়েছে পুরো ক্যাম্পাস। চলছে পুলিশ ও র্যাব সদস্যদের টহল।
নির্বাচনী পরিবেশ স্বাভাবিক রাখতে ক্যাম্পাসের সার্বিক নিরাপত্তার জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাজারখানেক সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। র্যাব, পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকে গোয়েন্দা দলও ক্যাম্পাসে টহল দিচ্ছে।
আরও পড়ুন: রাত পেরোলে ডাকসু নির্বাচন, নতুন ভোরের অপেক্ষায় ক্যাম্পাস
ভোটের দিন নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশ, র্যাব, এপিবিএন, বিজিবি, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা বাহিনী, রোভার স্কাউট ও বিএনসিসি মিলিয়ে প্রায় ১ হাজার ৭০০ জন সদস্য মোতায়েন থাকবেন।
গত ২৮ আগস্ট চাকসু নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। এরপর ১ সেপ্টেম্বর খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশের পর যাচাই-বাছাই শেষে ১১ সেপ্টেম্বর চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হয়।
ওই মাসের ১৪ তারিখ থেকে মনোনয়ন পত্র বিতরণ শুরু হয়ে চলে ১৭ সেপ্টেম্বর। এরপর যাচাই-বাছাই শেষে ২১ সেপ্টেম্বর প্রার্থীদের প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ করা হয়। পরে ২৫ সেপ্টেম্বর প্রার্থীদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হয়।
নির্বাচনের জন্য ১২ অক্টোবর দিন ঠিক করা হলেও পরবর্তীতে শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে সেটি পিছিয়ে ১৫ অক্টোবর করা হয়।
সার্বিক বিষয়ে চাকসুর প্রধান নির্বাচন কমিশনার প্রফেসর ড. মুনির উদ্দিন বলেন, ৫টি ফ্যাকাল্টিতে ভোট গ্রহণ করা হবে। এসব ফ্যাকাল্টির ৬০ কক্ষে ৭০০টি বুথ স্থাপন করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাসে আসা যাওয়ার জন্য বাড়তি শাটল ট্রেন ও বাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে। পুরো ভোটকেন্দ্র থাকবে সিসিটিভির আওতায়।
১৯৬৬ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর প্রথম চাকসু নির্বাচন হয় ১৯৭০ সালে। এরপর থেকে প্রতি শিক্ষাবর্ষে নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত হয়েছে মোটে ছয়বার।
সর্বশেষ চাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল ১৯৯০ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি। ওই নির্বাচনে প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্র শিবিরকে পরাজিত করে চাকসু ও হল সংসদে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্য।
ষষ্ঠ চাকসু নির্বাচনে সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্যের প্রার্থী জাতীয় ছাত্রলীগের নাজিম উদ্দিন ভিপি নির্বাচিত হন। আর জিএস নির্বাচিত হন সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের সভাপতি আজিম উদ্দিন আহমদ।
৫১ দিন আগে
ভোট থেকে জনগণের মনোযোগ সরাতে ‘নাটক’ মঞ্চস্থ করা হচ্ছে: বিএনপির ফারুক
জনগণের ভোটাধিকারের দাবি ও তাদের প্রতিনিধি নির্বাচনের অধিকার থেকে দৃষ্টি অন্যত্র সরাতে বিভিন্ন নাটক মঞ্চস্থ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য জয়নুল আবদিন ফারুক
তিনি বলেন, ‘আপনারা (সরকার) ইশরাকের মতো একজন ব্যক্তিকে শপথ পাঠ করাননি ও আবদুল হামিদের মতো একজন কুখ্যাত ব্যক্তিকে বিদেশে যেতে দিয়েছেন। বাংলাদেশের জনগণকে ভোট দেওয়ার ও তাদের প্রতিনিধি নির্বাচনের ন্যায্য পথ থেকে বিচ্যুত করার প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে আপনারা বিভিন্ন ধরণের নাটক মঞ্চস্থ করছেন।’
বুধবার (২১ মে) জাতীয় নির্বাচনকে ব্যাহত করার ‘ষড়যন্ত্রের’ প্রতিবাদে জাতীয় প্রেস ক্লাবে তৃণমূল নাগরিক আন্দোলনের এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
সংসদে বিরোধী দলের সাবেক প্রধান হুইপ ফারুক বলেন, জাতি সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের বিদেশ গমন, নারায়ণগঞ্জের সাবেক মেয়র সেলিনা হায়াত আইভীর গ্রেপ্তার ও সম্প্রতি অভিনেত্রী নুসরাত ফারিয়ার গ্রেপ্তারের নাটক দেখেছে।
আরও পড়ুন: গণতন্ত্রের জন্য আর কতক্ষণ অপেক্ষা, প্রশ্ন বিএনপির নজরুলের
তিনি বলেন, ‘দেশে আসলে কী ঘটছে? অনেককে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে, কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যেই জামিন দেওয়া হচ্ছে। যদি তাই হয়, তাহলে এভাবে তাদের গ্রেপ্তার করার অর্থ কী? আর জামিন দেওয়ার অর্থ কী?’
নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনের দাবিতে নির্বাচন কমিশন (ইসি) কার্যালয়ের সামনে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) বিক্ষোভের পিছনের উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিএনপির এই নেতা।
তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি বাংলাদেশের জনগণের মৌলিক দাবিগুলোকে ভিন্ন দিকে ঘুরিয়ে দেওয়ার জন্য একের পর এক নাটক মঞ্চস্থ করা হচ্ছে।’
বিএনপি নেতা আরও বলেন, এনসিপি ইসির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করছে। সংস্কারের আগে এর নিরপেক্ষতা ও গঠন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে তারা। আর যখন কমিশন যখন জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে—তখন স্থানীয় সরকার নির্বাচনের দাবি জানাচ্ছে তারা।
তিনি আরও বলেন যে, এখনও পর্যন্ত কেউ নির্বাচন কমিশনের কোনো কর্মকাণ্ডের জন্য সমালোচনা করেনি। ‘তাহলে, আপনারা (এনসিপি) নির্বাচন কমিশনের সামনে কেন প্রতিবাদ করছেন? কার পরামর্শে এবং কোন প্রেত্মার সাহায্যে আপনারা এটা করছেন?... তাহলে আপনারা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে সম্মান করেন না, তার কথা শোনেন না।’
ফারুক বলেন, আদালত ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নির্বাচিত মেয়র ঘোষণা করার পরও সরকার এখনও তার শপথ অনুষ্ঠানের ব্যবস্থার কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।
তিনি বলেন, ‘আদালতের রায়ের পরেও কেন ইশরাক শপথ নিতে পারছেন না? যদি আপনি কারো কথা শুনে তার শপথ বন্ধ করেন—তাহলে এটি খুবই খারাপ কাজ। আমার মনে হয় সরকারের ভেতরে একটি বড় ষড়যন্ত্র চলছে। এনএসআই, ডিজিএফআই ও অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থা কাজ করছে, কিন্তু তারা কোথাও আটকে যাচ্ছে।’
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে ষড়যন্ত্রকারীদের মোকাবিলায় নির্বাচনের তারিখ ও তফসিল ঘোষণা করার আহ্বান জানান বিএনপির এই নেতা। বলেন, ‘আপনি যদি এটি করেন—তাহলে ষড়যন্ত্রকারীরা আপনাকে আর বিভ্রান্ত করার সাহস পাবে না। আপনার ভয় পাওয়ার কোনো কারণ নেই। আমরা আপনার সঙ্গে আছি।’
প্রধান উপদেষ্টাকে শেখ হাসিনার শাসনবিরোধী আন্দোলনে অংশ নেওয়া সকল রাজনৈতিক দলের সঙ্গে অবিলম্বে আলোচনায় বসার ও একটি স্পষ্ট নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণা করার আহ্বান জানান ফারুক। বলেন, ‘অন্যথায়, বাংলাদেশে যদি কোনো খারাপ পরিস্থিতি দেখা দেয়—তাহলে আমরা দায়ী থাকব না—আপনার সরকার এর জন্য দায়ী থাকবে।’
১৯৭ দিন আগে
যে ভোটের জন্য লড়াই-সংগ্রাম, কোথায় সেই ভোট: প্রশ্ন রিজভীর
ভোটের জন্য দেশের মানুষ রক্ত দিয়েছে, লড়াই সংগ্রাম করেছে। সেই ভোটের তফসিল কবে ঘোষণা করা হবে তা—এখনো জানা যায়নি বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।
রিজভী প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘কবে সংস্কার শেষ করবেন, আর কবে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করবেন জনগণ তা জানতে চায়।’
তিনি বলেন, যে ভোটের জন্য এতো রক্তদান হয়েছে, এতো লড়াই সংগ্রাম হয়েছে আজও সেই ভোট আমরা পেলাম না। এই যে ক্ষমতা কেড়ে নেওয়া হয়েছে, কিন্তু সেই ক্ষমতা এখনো ফিরে আসছে না কেন? সেটা নিয়ে এতো গড়িমসি কেন?
আরও পড়ুন: অন্তবর্তী সরকারে এনসিপি-বিদেশি ও ফ্যাসিবাদের দোসর রয়েছে: সালাহউদ্দিন আহমেদ
শনিবার (১৭ মে) বিকালে নরসিংদীর মনোহরদী উপজেলার হাতিরদিয়া ছাদতআলী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, রক্ত পিপাসু, হিংস্র এক দানবের হাত থেকে স্কুল—কলেজের শিশুদের নেতৃত্বে দেশের জনগণ ফ্যাসিস্ট মুক্ত হয়েছে। হাজার হাজার নয় ১০ লক্ষ মানুষ খুন করে হলেও রক্ত পিপাসু হাসিনা ক্ষমতায় টিকে থাকতে চাইতেন। বিভিন্নভাবে চেষ্টা করেও ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারেননি তিনি।
বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সহসম্পাদক আব্দুল কাদির ভুইয়া জুয়েলের সভাপতিত্বে ফুটবল খেলার উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন।
এসময় নরসিংদী জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদকসহ বিএনপি নেতা ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
২০১ দিন আগে
দিনের ভোট রাতে হওয়ার সুযোগ নেই: ময়মনসিংহে সিইসি
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেছেন, ‘একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনের জন্য নির্বাচন কমিশন (ইসি) প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। এবার আর দিনের ভোট রাতে হওয়ার কোনো সুযোগ নেই।’
সোমবার (৫ মে) সকালে ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশন মিলনায়তনে ভোটার তালিকা হালনাগাদ ও ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে ময়মনসিংহ অঞ্চলের নির্বাচন কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন সিইসি।
আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা শাহিনুর ইসলাম প্রামাণিকের সভাপতিত্বে সভায় ময়মনসিংহ অঞ্চলের সব অতিরিক্ত আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা, অতিরিক্ত জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা এবং উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তারা অংশ নেন।
নাসির উদ্দিন বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন কোনো রাজনৈতিক বিতর্কে জড়াবে না। কমিশনের সব সিদ্ধান্ত সম্মিলিতভাবে নেওয়া হয়, এককভাবে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় না।’
তিনি জানান, ‘রমজানের প্রথম দিনে সারাদেশের নির্বাচন কর্মকর্তাদের শপথ পড়ানো হয়েছে— তারা নিরপেক্ষ থেকে কোনো প্রকার প্রভাবিত না হয়ে আইন মেনে নির্বাচন পরিচালনা করবেন। অতীতের ভুলের পুনরাবৃত্তি না করাই কমিশনের লক্ষ্য।’
আরও পড়ুন: মেয়র পদের গেজেট সম্পর্কে জানতে সিইসির সঙ্গে দেখা করলেন ইশরাক
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে কিনা— এ বিষয়ে সিইসি বলেন, ‘যা রাজনৈতিক বিতর্কের বিষয়, সে বিষয়ে আমরা কথা বলতে চাই না। আমরা রাজনীতি পরিহার করে সচেতনভাবে এগিয়ে চলছি। এজন্য অনেকের মন খারাপ হলেও আমরা আমাদের দায়িত্ব ও সীমাবদ্ধতার জায়গা বুঝে কাজ করছি।’
তিনি জানান, ‘সংস্কার কমিশনের সুপারিশের মধ্যে যেগুলোর রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা রয়েছে, তা আমরা সতর্কভাবে পরিহার করছি। কোনো রাজনৈতিক দলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত রাজনৈতিকভাবে হলে তবেই কমিশন অবস্থান নেবে।’
দিনের ভোট রাতে হওয়ার আশঙ্কা নাকচ করে দিয়ে সিইসি বলেন, ‘আমি চাই না, কোনো অপবাদ নিয়ে বিদায় নিতে। তাই যতদিন দায়িত্বে আছি, ততদিন সঠিক নিয়তে আইন মেনে ও বিবেকের সায় নিয়ে নিরপেক্ষভাবে কাজ করে যাব।’
২১৩ দিন আগে
জনগণের প্রতি যাদের আস্থা নাই তারাই ভোটে ভয় পায়: আব্দুস সালাম
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম বলেছেন, ‘এদেশে যত সংস্কার হয়েছে, তা বিএনপি করেছে। বিএনপি ক্ষমতায় থেকে তত্বাবধায়ক সরকারের গঠন করে তাদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করেছে। জনগণের প্রতি বিএনপির আস্থা আছে বলেই তারা বারবার সংস্কার করতে পেরেছে। যাদের আস্থা নাই তারাই ভোটে ভয় পায়।’
রবিবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে নাটোর শহরের একটি কনফারেন্স হলে জেলা বিএনপির পর্যালোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
আব্দুস সালাম বলেন, ‘গত ১৭ বছর বিএনপি ভোটের অধিকারের জন্য লড়াই করেছে। এখন অনেকেই বলছে, শুধু ভোটের জন্যই কি (দেশের রাজনৈতিক পট) পরিবর্তন হয়েছে? আমি জানতে চাই, ভোটের জন্য না হলে কিসের জন্য পরিবর্তন হয়েছে? তাই কালক্ষেপণ না করে দ্রুত নির্বাচন দিন।’
তিনি বলেন, ‘অনির্বাচিত সরকার বেশিদিন ক্ষমতায় থাকলে ফ্যাসিবাদের জন্ম হয়। ফ্যাসিবাদ সীমান্তের ওপারেই অপেক্ষা করছে। আমরা ফ্যাসিবাদের মাথা অপসারণ করেছি, কিন্ত তাদের দোসররা এখনও রয়ে গেছে।’
আরও পড়ুন: নির্বাচন হলে ক্ষমতায় আসবে বিএনপি: আব্দুস সালাম
‘শেখ হাসিনা নির্বাচনকে জাদুঘরে পাঠিয়ে দেশটিকে হাইজ্যাক করে ফেলেছিল। ৫ আগস্টের পর দেশের মানুষের প্রত্যাশা জেগেছ, তারা আবার স্বাধীনভাবে ভোট দিতে পারবে। সেজন্যই বিএনপি নির্বাচনের জন্য বারবার বলে যাচ্ছে।’
সভায় নাটোর জেলা বিএনপির আহবায়ক রহিম নেওয়াজের সভাপতিত্বে জেলা বিএনপির সদস্যসচিব আসাদুজ্জামান আসাদ, যুগ্ম আহ্বায়ক ফারজানা শারমিন পুতুল, সাইফুল ইসলাম আফতাব, দাউদার মাহমুদসহ দলটির সহযোগী সংগঠনের নেতারাও অংশ নেন।
২২৮ দিন আগে
ফ্রিল্যান্ডকে হারিয়ে ট্রুডোর স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন মার্ক কার্নি
কানাডার ক্ষমতাসীন দল লেবার পার্টির নেতৃত্বের প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হয়েছেন দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক প্রধান মার্ক কার্নি। স্থানীয় সময় রবিবার (১০ মার্চ) ভোটের ফল প্রকাশ করা হয়েছে।
এতে তিনি দেশটির বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর স্থলাভিষিক্ত হবেন। এক অস্থির সময়ে কানাডার দায়িত্ব নেবেন কার্নি। এমন এক সময় তিনি ক্ষমতাসীন দলের প্রধান হলেন, যখন দেশটি দীর্ঘদিনের মিত্র প্রতিবেশী যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্যযুদ্ধের মধ্যে আছে।
নেতৃত্ব প্রতিযোগিতায় এক লাখ ৫২ হাজার দলীয় সদস্য ভোট দিয়েছেন। এতে ৫৯ বছর বয়সী কার্নি পেয়েছেন ৮৬ শতাংশ ভোট। ফলে সহজেই তার প্রতিদ্বন্দ্বী সাবেক অর্থমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ডকে তিনি পরাজিত করতে পেরেছেন।
এর আগে চলতি বছরের গত ৬ জানুয়ারি এক সংবাদ সম্মেলনে দলীয়প্রধানের পদ ছেড়ে দেওয়ার ঘোষণা দেন জাস্টিন ট্রুডো। দীর্ঘ ৯ বছর ক্ষমতায় থাকার পর তিনি এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। দল নতুন নেতা নির্বাচন করার পর দলীয়প্রধান ও প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেবেন বলে জানিয়েছিলেন তিনি।
কানাডায় খাদ্য ও বাসস্থানের মূল্যবৃদ্ধি, অভিবাসন বেড়ে যাওয়ায় ট্রুডোর ওপর পদত্যাগের চাপ দিতে থাকে বিরোধী কনজারভেটিভ পার্টির নেতারা। নিজ দলের মধ্যেও সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে তাকে। নানামুখী চাপের কারণে আগামী অক্টোবরে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও জানুয়ারিতেই পদত্যাগের ঘোষণা দেন ট্রুডো।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রে দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর কানাডাকে যুক্তরাষ্ট্রের ৫১তম অঙ্গরাজ্য করার কথা জানান ট্রাম্প। এ ছাড়াও কানাডার পণ্যে ৩০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছেন তিনি, যা গত সপ্তাহে কার্যকর হয়েছে।
কানাডার স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে ট্রাম্প মারাত্বক আঘাত হেনেছে বলে মনে করেন কানাডীয়রা। এতে অত্যন্ত ক্ষুব্ধ হয়েছেন উত্তর আমেরিকার দেশটির নাগরিকরা। তারা আমেরিকাতে ভ্রমন, এমনকি প্রতিবেশী দেশটির পণ্য কেনাও বন্ধ করে দিয়েছেন।
এমন পরিস্থিতিতে বহুদিন ধরে চলা কানাডা-যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে এসেছে ব্যাপক পরিবর্তন। কানাডাবাসী বর্তমানে এমন কাউকে ক্ষমতায় দেখতে চান, যিনি আমেরিকার সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার পরিবর্তে ট্রাম্পকে মোকাবিলা করতে সক্ষম হবেন।
তবে এসবের মধ্যেও জনমত জরিপে এগিয়ে রয়েছে লেবার পার্টি। রবিবার লেবার পার্টি কাকে ট্রুডোর উত্তরসূরি হিসেবে বেছে নিবেন; তা নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার মধ্যে সবার ওপরে রয়েছে মার্ক কার্নির নাম।
আরও পড়ুন: ট্রাম্পের মোকাবিলায় কানাডা কাকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বেছে নিচ্ছে?
কে এই মার্ক কার্নি?
কানাডার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পাশাপাশি ইংল্যন্ডের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। দায়িত্ব পালনকালে তিনি সফলতার সঙ্গে অর্থনৈতিক নানা সংকট মোকাবিলা করেছেন।
কানাডাতে ব্যাংক সুদের হার সর্বনিম্ন ১ শতাংশে নামিয়ে এনে ঋণ দেওয়া অব্যাহত রেখে বাজারে অর্থের প্রবাহ ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছিলেন মার্ক কার্নি, এ কারণে বেশ প্রশংসিত হয়েছেন।
তিনি যে কেবল ঋণ সম্পর্কে একটি ভালো নীতি তৈরি করেছিলেন, তাই নয়; জনগণের কাছে এমনভাবে বিষয়টি উপস্থাপন করেছিলেন যা সবার বোধগম্য হয়। তিনিই প্রথম কোনো কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রধান যিনি সুদের হারকে একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য এত কম রাখার অঙ্গীকার করেছিলেন। তার এই পদক্ষেপ পরবর্তীতে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ অনুসরণ করেছে বলে জানা যায়।
জানুয়ারিতে কার্নিকে লেবার পার্টির প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। এর পর থেকেই মন্ত্রিসভার মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের কাছ থেকে একের পর এক সমর্থন পেয়ে চলেছেন তিনি।
নেতৃত্বের প্রতিযোগিতায় কার্নির একক প্রাধান্য প্রতিষ্ঠায় তিনটি বিষয় মুখ্য ভূমিকা রেখেছে বলে মনে করেন টরন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক নেলসন ওয়াইজম্যান। তার ভাষ্যে, প্রথমত, ক্রিষ্টিয়া ফ্রিল্যান্ড (অন্য প্রার্থী) ট্রুডোর ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত।
ট্রুডোর জনপ্রিয়তায় ভাটা পড়ায় ফ্রিল্যান্ডও পিছিয়ে থাকতে পারেন বলে মনে করেন তিনি। দ্বিতীয়ত, সংসদে থাকা লিবারেল সদস্যদের সমর্থন আদায়ে কঠোর পরিশ্রম করেছেন। তৃতীয়ত, ট্রাম্পের শুল্ক নীতি অন্যতম একটি বিষয়, কার্নির পেশাগত অভিজ্ঞতা এক্ষেত্রে ভুমিকা পালন করতে পারে বলে ধারণা দেন ওয়াইজম্যানে।
ম্যাকগিল বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক ড্যানিয়েল বিল্যান্ড মনে করেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যেভাবে কানাডার অর্থনীতি ও সার্বভৌমত্বকে লক্ষ্য করে একের পর এক বিতর্কিত পদক্ষেপ নিয়ে চলেছেন ও বক্তব্য দিচ্ছেন, এরকম সংবেদনশীল একটি মুহূর্তে কার্নির শান্ত স্বভাব ও অসাধারণ পেশাদার জীবনবৃত্তান্ত অনেক কানাডিয়ানকে আশ্বস্ত করেছে।’
আরও পড়ুন: কানাডাকে ‘সত্যিকার অর্থে’ ৫১তম অঙ্গরাজ্য করতে চাচ্ছেন ট্রাম্প: ট্রুডো
কার্নির এই শান্ত স্বভাব কানাডার কনজারভেটিভ পার্টির নেতা পিয়েরে পলিয়েভ্রের সম্পূর্ণ বিপরীত বলে মনে করেন তিনি। বিল্যান্ডের মতে, পলিয়েব্র একদম পুরোদস্তুর একজন রাজনীতিবিদ। তিনিও ট্রাম্পের মতো জনপ্রিয়তাবাদী বক্তব্য দেন।
ট্রাম্পের শুল্কারোপের ফলে কানাডার অর্থনীতির নেতিবাচক প্রভাব রুখে দিয়ে অভ্যন্তরীণ সমস্যাগুলো সমাধান করে দেশের উন্নতিকে ত্বরান্বিত করবে এমন এক সরকারপ্রধান চান কানাডার নাগরিকরা। কানাডার নির্বাচন উত্তর আমেরিকার ভূরাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ একটি ঘটনা হয়ে উঠছে বলে ধারণা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
২৭০ দিন আগে
এমন জোয়ার সৃষ্টি হবে, যেখানে ভোট ছাড়া কোনো চিন্তা থাকবে না: সিইসি
আগামী ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাচন হতে হলে অক্টোবরে তফসিল ঘোষণা করতে হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ. এম. এম. নাসির উদ্দিন। তিনি বলেন, ‘সবার সহযোগিতা নিয়ে তারা এমন একটি জোয়ার সৃষ্টি করবেন, যেখানে ভোট ছাড়া মানুষের আর কোনো চিন্তা থাকবে না।’
সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। নির্বাচন কমিশন বিটে কর্মরত সাংবাদিকদের সংগঠন আরএফইডির নতুন কমিটির দায়িত্ব গ্রহণ উপলক্ষে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
সিইসি বলেন, ‘তারা আগেভাগে কোনো মন্তব্য করতে চাচ্ছেন না, তবে প্রধান উপদেষ্টার ঘোষণা অনুযায়ী নির্বাচনের প্রস্তুতি এগিয়ে নিচ্ছেন। আগামী ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাচন হতে হলে অক্টোবরে তফসিল ঘোষণা করতে হবে।’
‘ভোটারতালিকা তৈরি এবং অন্যান্য প্রস্তুতি তারা নিচ্ছেন, সীমানা পুনর্নির্ধারণের অনেকগুলো আবেদন ঝুলে আছে, আইনি জটিলতার কারণে তারা নিষ্পত্তি করতে পারছেন না। ৫০-এর বেশি আসন নিয়ে ৩৫০ বেশি আবেদন ঝুলে আছে। এই আইন সংশোধন করার জন্য তারা এরইমধ্যে সরকারের কাছে প্রস্তাব দিয়েছেন।’
আরও পড়ুন: আমরা কোনো রাজনীতিতে ঢুকতে চাই না: সিইসি
নাসির উদ্দিন বলেন, ‘আরও কিছু বিষয়ে সরকারের কাছে প্রস্তাব দেবে নির্বাচন কমিশন। একটি সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন করতে যতটুকু সংস্কার দরকার, তার জন্য আমরা উদ্যোগ নিচ্ছি, যা সংস্কার দরকার, তার প্রস্তাব আমরা সরকারের কাছে দেব।’
বিদ্যমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিতে জাতীয় নির্বাচন করা সম্ভব কিনা; প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘তারা মনে করছেন, ডিসেম্বর আসতে আসতে এই পরিস্থিতি স্থিতিশীল হবে। থিংক দিজ থিং উইল সেটল ডাউন বা দিজ টাইম। সবার সহযোগিতা নিয়ে তারা এমন একটি জোয়ার সৃষ্টি করবেন, যেখানে ভোট ছাড়া মানুষের আর কোনো চিন্তা থাকবে না।’
২৮৩ দিন আগে
ক্ষমতায় গেলে আপনাদের কথা মনে রাখব: সরকারি কর্মচারীদের মঈন খান
জনগণের ভোটের মাধ্যমে ফের ক্ষমতায় যেতে পারলে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কথা মনে রাখবেন বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ড. আব্দুল মঈন খান।
শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নরসিংদী ড্রিম হলিডে পার্কে সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের বনভোজন ও পরিচিতি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগের পুনরুত্থান ঠেকাতে শক্ত প্রতিরোধ গড়ে তুলুন: মঈন খান
মঈন খান বলেন, ‘আল্লাহর রহমতে জনগণের ভোটের মাধ্যমে আমরা যদি নির্বাচিত হই, তবে অবশ্যই আপনাদেরকে পুরস্কৃত করব। আপনাদেরকে এ দেশের মানুষ ও সংবিধান অত্যন্ত গুরুদায়িত্ব দিয়েছেন এবং ভবিষ্যতে আপনারা সে দায়িত্ব নিষ্ঠার সাথে পালন করবেন।’
‘যে জুলুম, অত্যাচার, নির্যাতন আপনাদের ও আমাদের ওপর হয়েছে, তা থেকে শিক্ষা নিয়ে ভবিষ্যতে দেশের মানুষকে হয়রানিমুক্ত সেবা দিতে হবে। সংবিধানে রাষ্ট্রের তিনটি স্তম্ভের কথা বলা হয়েছে। চেয়ারের চারটি পা থাকে, কিন্তু রাষ্ট্রের যে ভিত্তি সেটা হচ্ছে তিনটি,’ বলেন সাবেক এই মন্ত্রী।
‘একটি হলো জাতীয় সংসদ, দ্বিতীয়টি সুপ্রিম কোর্ট এবং তৃতীয়টি হচ্ছে সচিবালয়। সচিবালয় হলো এক্সিকিউটিভ ব্রাঞ্চ (নির্বাহী শাখা)। আর এটিই হচ্ছে রাষ্ট্র পরিচালনার অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। আপনারা সে হিসেবে রাষ্ট্রের অবিচ্ছেদ্য অংশ। অর্থাৎ এক্সিকিউটিভ ব্রাঞ্চ।’
মঈন খান আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী যারা রয়েছেন, তাদের পরিবার বর্গের অনেকেই এক কঠিন সময় পার করে এসেছেন। দীর্ঘ ১৬ বছর আপনারা কিভাবে দিন কাটিয়েছেন, আমার চেয়ে বেশি কেউ জানেন না। সে সময়ও আপনারা আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন, আমি ধৈর্য ধরতে বলেছিলাম। আপনারা ধৈর্য ধরেছেন, এ জন্যই আজকে একটি সুদিনের স্বপ্ন আপনারা দেখতে পারছেন।’
‘কোনো অন্যায় চিরকাল টিকে থাকতে পারে না। অন্যায় ও স্বৈরশাসক বাংলাদেশ থেকে দূর হয়েছে। এ দেশে হয়তো রাজনীতিকরা সরকার ও মন্ত্রিসভা গঠন করবে, সে সময়ে আমি আপনাদের কথা মনে রাখবো,’ বলেন মঈন খান।
আরও পড়ুন: নির্বাচনি সংস্কার নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অবস্থানের সমালোচনা করলেন মঈন খান
তিনি বলেন, ‘মানুষকে আপনারা সেবা দিয়ে থাকেন, রাজধানী থেকে শুরু করে অজপাড়াগাঁ পর্যন্ত আপনাদের সেবার পরিধি। সে কারণেই একটি দেশ পরিচালনায় আপনাদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কাজেই আপনারা দেশের জনগনের কথা মাথায় রেখে হয়রানিমুক্ত সেবা করবেন। দেশের মানুষও আপনাদের সেবা করবে। দেশের মানুষ আপনাদেরকে মাথায় তুলে রাখবে।’
বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের সভাপতি নূরুল ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন, ড্রিম হলিডে পার্কের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রবীর কুমার সাহা। অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন স্থানীয় বাস ট্রাক মালিক সমিতির সভাপতি ও বিএনপি নেতা সারোয়ার মৃধা, বাবুল সরকার, আব্দুর রশিদ, ভিপি মনির ও শাহানশাহ শানু।
২৯৯ দিন আগে
দুর্নীতিবাজদের ভোট না দেওয়ার অনুরোধ খালেদার উপদেষ্টা আমিনুলের
আগামী নির্বাচনে দুর্নীতিবাজ-চাঁদাবাজদের ভোট দেওয়া থেকে বিরত থাকতে অনুরোধ করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা এ কে এম আমিনুল হক।
তিনি বলেন, ‘দুর্নীতিবাজ-চাঁদাবাজরা মানুষকে কষ্ট দেয়, তাদের আপনারা পরিহার করুন। তাদের থেকে আপনারা দূরে থাকুন, এটি আমার অনুরোধ। যারা সৎ ও চরিত্রবান, দেশের মঙ্গল এবং মানুষের জন্য চিন্তা করবে, তাদেরই আপনারা ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবেন।’
শনিবার রাতে শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার হালগড়া এলাকার মৌলভীবাড়ি প্রাঙ্গণে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় এ অনুরোধ জানান তিনি।
আমিনুল হক বলেন, ১৬ বছরের স্বৈরশাসনের নিপীড়নের শিকার হয়ে দেশের মানুষ আজ দিশেহারা। মানুষের বাক স্বাধীনতা ছিল না। মানুষ নানা রকমের হয়রানির শিকার হয়ে দুর্বিষহ কষ্টের মধ্য দিয়ে দিনাতিপাত করেছে। তিনি বলেন, অনেকেই হামলা ও মামলার শিকার হয়ে পালিয়ে বেড়িয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনায় আমরা দেশকে ভালোর দিকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধ চেষ্টা চালিয়ে যাব।
মো. জাকির হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় গ্রামের নানা শ্রেণি পেশার লোক উপস্থিত ছিলেন।
৩৭৪ দিন আগে
অন্য ইস্যু নয় ভোটের দিকে নজর দিন: সরকারকে ফখরুল
অন্যান্য ইস্যু থেকে সরে এসে অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য জাতীয় নির্বাচনের দিকে নজর দিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
এক আলোচনা সভায় তিনি প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান, যাতে তার প্রতি মানুষের ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা ক্ষুণ্ন না হয়।
সরকারের উদ্দেশে বিএনপির এই নেতা বলেন, 'অন্য ইস্যুতে মনোযোগ না দিয়ে নির্বাচনের দিকে নজর দিন।’
তিনি আরও বলেন, দেশের অস্তিত্ব রক্ষা ও অগ্রগতি নিশ্চিত করতে সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিকল্প নেই।
আরও পড়ুন: সাংবিধানিক বিষয়ে তাড়াহুড়ো করা উচিৎ নয়: অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে তারেক
বুধবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) ১৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে দলটি।
ফখরুল বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য একটি সার্চ কমিটি গঠন করেছে।
তিনি বলেন, 'আমরা আশা করেছিলাম যে তারা (সরকার) এটি গঠনের আগে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে পরামর্শ করবে। যদিও আমরা এটিকে বড় ইস্যু মনে করি না। আমরা আশা করি কমিটি তার দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করবে।’
এই সরকারের রাজনৈতিক সদিচ্ছার অভাব রয়েছে উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, সরকারের প্রধান পরিষ্কারভাবে বলেছেন যে তার কোনো রাজনৈতিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা নেই।
তিনি বলেন, 'আমি ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে বলতে চাই, আপনি বিশ্বব্যাপী অত্যন্ত সম্মানিত এবং বাংলাদেশের জনগণ আপনাকে গভীরভাবে ভালোবাসে ও শ্রদ্ধা করে। তারা চায় এটা অব্যাহত থাকুক। আমার অনুরোধ, আপনারা সজাগ থাকুন, যাতে আপনার অবস্থান ক্ষুণ্ন না হয়।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের রাজনীতিতে আওয়ামী লীগ ফিরতে পারবে না: বিএনপি
৪০০ দিন আগে