ভোট
৬টি উপনির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি ৫% এর বেশি হয়নি: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দাবি করেছেন যে তাদের দলীয় সংসদ সদস্যরা পদত্যাগ করার পর শূন্য হয়ে যাওয়া ছয়টি সংসদীয় আসনের উপনির্বাচনে প্রকৃত গড় ভোটার উপস্থিতি পাঁচ শতাংশের বেশি হয়নি।
তিনি বলেন, ‘তথাকথিত নির্বাচন কমিশন গতকাল (বুধবার) উপ-নির্বাচন করেছে। তাদের (ইসি) হিসাব অনুযায়ী এই উপনির্বাচনে ভোটারদের উপস্থিতি ১৫ থেকে ২৫ শতাংশের বেশি নয়। আমাদের (বিএনপির) হিসাব অনুযায়ী, এটা পাঁচ শতাংশের বেশি নয়।’
বৃহস্পতিবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ফখরুল এসব কথা বলেন।
সংবাদপত্রের প্রতিবেদনের উল্লেখ করে তিনি বলেছিলেন যে উপনির্বাচন ২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচনের মতো ছিল। ‘আমি অনলাইনে (ওয়েব পোর্টাল) দেখেছি যে ভোটারদের অনুপস্থিতিতে কুকুর সেখানে (ভোটকেন্দ্র) শুয়ে আছে। তারা দেশের নির্বাচন ব্যবস্থাকে এই অবস্থায় নিয়ে গেছে।’
বুধবার কিছু বিক্ষিপ্ত ঘটনার মধ্যে ছয়টি সংসদীয় আসনের উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: গাবতলী থেকে মিরপুর পর্যন্ত বিএনপির তৃতীয় পদযাত্রা শুরু
ভোটের পর প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ছয়টি সংসদীয় আসনের উপনির্বাচনে গড় ভোটার শতকরা ১৫ থেকে ২০ ভাগ হতে পারে।
ফখরুল বলেন, ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের ব্যাপক দুর্নীতি ও লুটপাটের কারণে নিত্যপ্রয়োজনীয় সব পণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির কারণে জনগণকে চরম দুর্ভোগের মধ্য দিয়ে যেতে হচ্ছে।
‘যখন দুর্নীতি প্রবল এবং লুণ্ঠনই প্রধান লক্ষ্য, তখন বৈশ্বিক মন্দার কথা বলার কোনও মানে নেই। দুর্নীতির কারণে প্রতিটি পণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় আপনারা (সরকার) জনগণের জীবন দুর্বিষহ করে তুলছেন।
বিএনপি নেতা অভিযোগ করেন, ক্ষমতাসীন দলের নেতারা চাল, লবণ ও তেলের দাম বাড়াচ্ছেন এবং নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণ করছেন।
ফখরুল বলেন, ‘আপনি বারবার বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েছেন। কিন্তু বিদ্যুৎ খাতে চুরি বন্ধ করতে পারলে বিদ্যুতের দাম বাড়াতে হবে না। এমনকি, গ্যাসের চুরি বন্ধ করতে পারলেও এর দাম বাড়াতে হবে না।’
তিনি বলেন, উন্নয়নের নামে জনগণের টাকা লুটপাটের অংশ হিসেবে সরকার এখন রাস্তা খনন শুরু করেছে। ‘এভাবে তারা জনগণের অর্থ লুট করে বিদেশে পাচার করছে কারণ দেশের জনগণের প্রতি তাদের কোনো দায়বদ্ধতা নেই। তারা ব্যাপক দুর্নীতিতে লিপ্ত।’
প্রেস ব্রিফিংয়ের আগে বিভাগীয় পর্যায়ে শনিবারের কর্মসূচি সফল করতে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন ফখরুল।
নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠান এবং বিদ্যুত ও গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে তাদের ১০ দফা দাবি আদায়ে শনিবার সব বিভাগীয় শহরে সমাবেশ করবে বিএনপি।
আরও পড়ুন: বিদ্যুতের বর্ধিত মূল্য জনগণ আর বহন করতে পারবে না: বিএনপি
আমার মতো পাগলকে একবার ভোট দিয়ে দেখেন: হিরো আলম
জাতীয় সংসদের বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) ও বগুড়া-৬ (সদর) আসনের উপ-নির্বাচনে একতারা হাতে গান বাজিয়ে পিকআপভ্যানে ভোটের মাঠ কাঁপাচ্ছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলম।
শনিবার (২১ জানুয়ারি) দুপুর পৌনে ৩টায় শহরের সাতমাথা, জলেশ্বরীতলাসহ গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলোতে একতারা প্রতীকে তিনি ভোটারদের কাছে ভোট প্রার্থনা করেন।
আরও পড়ুন: বগুড়া-৪ ও বগুড়া-৬ আসনে উপনির্বাচন: হিরো আলমসহ ১১ প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল
হিরো আলম এসময় সাংবাদিকদের বলেন, ১ ফেব্রুয়ারি বগুড়া-৬ ও বগুড়া-৪ আসনের উপনির্বাচনে একতারা প্রতীক নিয়ে ভোট করছি। অনেক সংগ্রাম ও লড়াই করে হাইকোর্ট থেকে রায় পেয়ে আমি ভোট করতে পারছি। আমার অনুরোধ, আমাকে শুধু মাত্র ১০ মাসের জন্য সুযোগ দিয়ে দেখুন।
তিনি আরও বলেন, যদি কাজ করতে না পারি তাহলে আমাকে ছুঁড়ে ফেলে দিয়েন। এছাড়া অনেক সুন্দর চেহারা ক্ষমতাবানকে ভোট দিয়েছেন, একবার আমার মতো পাগলকে ভোট দিয়ে দেখেন।
এ সময় পিকআপভ্যানে তার পাঁচ থেকে সাত জন কর্মী-সমর্থক ছিলেন। এছাড়া তার পিকআপ ভ্যানকে বানানো হয়েছে নির্বাচনী প্রচার মঞ্চ। ভ্যানে রাখা হয়েছে মাইক ও দুই পাশে ঝুলছে হিরো আলমের ছবি ও ‘একতারা’ প্রতীকের ব্যানার।
হিরো আলম নিজেই পিকআপ ভ্যানের সামনে দাঁড়িয়ে হাত নেড়ে শুভেচ্ছা জানান সবাইকে। প্রচারণার সময় হিরো আলম ভোটারদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। নির্বাচনে জয়ী হওয়ার সুযোগ চেয়ে পরিবারসহ সবাইকে একতারা মার্কায় ভোট দেয়ার অনুরোধ জানান তিনি।
এসময় হিরো আলমকে দেখতে ভীড় করেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশা ও বয়সের মানুষ। নিজেরাই আগ্রহ করে খোশগল্প ও সেলফি তোলেন হিরো আলমের সঙ্গে। হিরো আলমও বেশ ফুরফুরেভাবেই সেলফি উঠিয়ে একতারা বাজিয়ে গানের সুরে সবাইকে তার পাশে থাকার আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: বগুড়া উপনির্বাচনে হিরো আলমের মনোনয়পত্র বাতিলের সিদ্ধান্ত হাইকোর্টে স্থগিত
উপনির্বাচনে প্রার্থিতা ফিরে পেতে হিরো আলমের রিট
রসিক নির্বাচন: শান্তিপূর্ণভাবে ভোট শেষ, গণনা শুরু
কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই মঙ্গলবার রংপুর সিটি করপোরেশন (রসিক) নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল ৮টায় শুরু হয়ে বিকাল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণ চলে।
ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার পরপরই শুরু হয় ভোট গণনা।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, নির্বাচনে দুপুর ২টা পর্যন্ত ৪৫ শতাংশ ভোটার তাদের ভোট দিয়েছেন।
নির্বাচন কমিশন ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) কারণে ধীরগতির ভোটদানের কিছু অভিযোগ আমরা পেয়েছি তবে প্রয়োজনে কেন্দ্রের সব ভোটারকে রাত পর্যন্ত তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের অনুমতি দেয়া হবে।
আরও পড়ুন: রসিক নির্বাচন: রাত পোহালেই ভোটগ্রহণ
নির্বাচন কমিশন (ইসি) কন্ট্রোল রুম থেকে সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করে।
মেয়র পদে নয়জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন এবং ৩৩টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে ১৮৩ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। সংরক্ষিত ১১টি আসনে ৬৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
মেয়র প্রার্থীরা হলেন- ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমিরুজ্জামান, বাংলাদেশ কংগ্রেসের আবু রায়হান, খেলাফত মজলিশের তৌহিদুর রহমান মণ্ডল, জাতীয় পার্টির মোস্তাফিজুর রহমান, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের শফির রহমান, আওয়ামী লীগের হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া, জাকের পার্টির খোরশেদ আলম, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মেহেদী হাসান ও লতিফুর রহমান।
ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে রবিবার মধ্যরাতে শেষ হয়েছে রসিক নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণা।
ভোট কেন্দ্রে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে মোট ২২৯ জন প্রিজাইডিং অফিসার, এক হাজার ৩৪৯ সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার এবং দুই হাজার ৬৯৮ জন পোলিং অফিসার তাদের দায়িত্ব পালন করেন।
প্রথম রসিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ২০১৭ সালের ২১ ডিসেম্বর। বর্তমান মেয়রের মেয়াদ ২০২৩ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি শেষ হবে।
নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল অবসরপ্রাপ্ত আহসান হাবীব খান, নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর, নির্বাচন কমিশনার আনিছুর রহমান, স্কোয়াড্রন লিডার মো. শাহরিয়ার আলম কন্ট্রোল রুমে উপস্থিত থেকে এই নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করছেন।
ইসির আইডিইএ প্রকল্পের ডিপিডি কমিউনিকেশন স্কোয়াড্রন লিডার মো. শাহরিয়ার আলম জানিয়েছেন, ২২৯টি কেন্দ্রেই সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে।
চলতি বছরের গত ১২ অক্টোবর অনুষ্ঠিত গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচন সিসি ক্যামেরায় পর্যবেক্ষণে ব্যাপক অনিয়ম পেলে পুরো নির্বাচন বন্ধ করে দিয়েছিল ইসি। সেই নির্বাচনের নতুন তারিখ ঘোষণা করেছে ৪ জানুয়ারি।
নির্বাচন কমিশন বলছেন, রসিকে ২০১৭ সালের নির্বাচনে ভোটার ছিল তিন লাখ ৯৩ হাজার ৯৯৪ জন। এবার নতুন ভোটার যুক্ত হয়েছে ৩২ হাজার ৪৭৬ জন। বর্তমানে সিটির ৩৩টি ওয়ার্ডে মোট ভোটার চার লাখ ২৬ হাজার ৪৭০ জন।
জানা যায়, রসিক নির্বাচনে মোট ভোটার চার লাখ ২৬ হাজার ৪৬৯ জনের মধ্যে পুরুষ ভোটার দুই লাখ ১২ হাজার ৩০২ এবং নারী ভোটার দুই লাখ ১৪ হাজার ১৬৭ জন।
আরও পড়ুন: রসিক নির্বাচন: ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনায় ভোটগ্রহণ শুরু
ইউএনওকে স্টুপিড বললেন বরিশাল সিটি মেয়র সাদিক
বরিশালে জেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোট দিতে কক্ষে প্রবেশের সময় বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহর সঙ্গে বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মনিরুজ্জামানের বাগবিতণ্ডা হয়েছে। এসময় মো. মনিরুজ্জমানকে স্টুপিডও বলেন তিনি।
সোমবার সকাল সোয়া ৯টার দিকে বরিশাল জিলা স্কুল কেন্দ্রে এই ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: বরিশালে ৩টি ডায়াগনস্টিক সেন্টার সীলগালা
মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহর ফেসবুক পেজে করা লাইভে দেখা যায়, সকাল ৯টার দিকে জেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোট দিতে বরিশাল জিলা স্কুলের এক নম্বর ভোট কক্ষে প্রবেশের সময় বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান মেয়র সাদিক আব্দুল্লাহকে দল বেধে ভোট কক্ষে প্রবেশ না করতে অনুরোধ করেন। এসময় ইউএনও এর সাথে বাগবিতণ্ডায় জড়ান মেয়র।
মেয়র সাদিক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার উদ্দেশ্যে বলেন, `আমি কি ঢুকছি এখানে? আমি কি ঢুকছি ? কেন সিন ক্রিয়েট করতেছেন ? আপনি কে? তারপরও আপনি কথা বলতেছেন। আমি কি বাচ্চা শিশু? স্টুপিডের মতো কথা বলেন।
এসময় ইউএনও বলেন, ‘চেয়ারম্যান মহোদয় আমি আপনাদের চিনি। আমি এমন কিছু বলিনি।`
বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন, মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহর সঙ্গে আমার বাগবিতন্ডার খবর সঠিক নয়।
আরও পড়ুন: বরিশালে জেলেদের হামলায় পুলিশসহ আহত ২০বরিশাল সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও জেলা পরিষদ নির্বাচনে সহকারি রিটার্নিং অফিসার নুরুল আলম বলেন, ভোট কক্ষে ফেসবুক লাইভ করার কোনও বিধান নেই।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ১৮ আগস্ট রাতে ব্যানার অপসারণকে কেন্দ্র করে সাবেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুনিবুর রহমানের সঙ্গে বিরোধে জড়ান মেয়র সাদিক আব্দুল্লাহ। এসময় গুলি বর্ষণের ঘটনা ঘটে। এতে পাল্টাপাল্টি তিনটি মামলা হয়।
আরও পড়ুন: বরিশালে পুলিশের ভুয়া কর্মকর্তা গ্রেপ্তার
জাতিসংঘে ইউক্রেন ইস্যুতে বাংলাদেশের ভোটের ব্যাখ্যা দিলেন শাহরিয়ার
বাংলাদেশ ‘ইউক্রেনের আঞ্চলিক অখণ্ডতা: জাতিসংঘ সনদের মূলনীতি রক্ষা’- শিরোনামে জাতিসংঘের প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছে। কারণ বাংলাদেশ কোনো দেশের সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতার প্রতি সম্মানের বিষয়ে জাতিসংঘ সনদের উদ্দেশ্য ও নীতিতে দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে।
বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ১১তম জরুরি বিশেষ অধিবেশনে পাস হওয়া প্রস্তাবের বিষয়ে বাংলাদেশের অবস্থান তুলে ধরেন।
বুধবার রাতে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতায় এই প্রস্তাব পাস হয়।
এই প্রস্তাবের পক্ষে ১৪৩টি সদস্য রাষ্ট্র ভোট দেয়, বিপক্ষে ভোট পাঁচটি রাষ্ট্র এবং ৩৫টি রাষ্ট্র ভোট দেয়া থেকে বিরত থাকে।
বিপক্ষে ভোট দেয়া দেশগুলো হলো-বেলারুশ, উত্তর কোরিয়া, নিকারাগুয়া, রাশিয়া ও সিরিয়া।
চীন ও ভারতের পাশাপাশি এই দেশগুলির বেশিরভাগই আফ্রিকান দেশগুলি থেকে বিরত ছিল।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ জাতিসংঘের সনদের প্রতি সবসময় শ্রদ্ধাশীল।
আরও পড়ুন: কোনো দল নির্বাচনে অংশ না নেয়ার দায় সরকার নেবে না: শাহরিয়ার আলম
বাংলাদেশ বলেছে যে সকল বিরোধের শান্তিপূর্ণ নিষ্পত্তি সর্বজনীনভাবে সকলের জন্য, সর্বত্র সকল পরিস্থিতিতে, কোনো ব্যতিক্রম ছাড়াই মেনে চলতে হবে।
বাংলাদেশ জাতিসংঘে তার ভোটের (ইওভি) ব্যাখ্যায় বলেছে, ‘জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্র হিসেবে আমাদের অবশ্যই শান্তি ও উন্নয়নের জন্য একসঙ্গে কাজ চালিয়ে যেতে হবে।’
বাংলাদেশ আরও বলেছে যে তারা বিশ্বাস করে যে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সীমানার মধ্যে যেকোনো দেশের সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতাকে সম্মান করা উচিত।
ইসরায়েল কর্তৃক ফিলিস্তিন ও অন্যান্য আরব ভূখণ্ডের অধিগ্রহণের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অনুরূপ অভিন্ন অবস্থান নেয়ার প্রয়োজনীয়তার ওপর বাংলাদেশ বিশেষভাবে জোর দিয়েছে।
ইউক্রেনের সংঘাতের ধারাবাহিকতা এবং এর বৈশ্বিক আর্থ-সামাজিক প্রভাব নিয়ে বাংলাদেশ ‘গভীরভাবে উদ্বিগ্ন’ হয়ে আছে।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ বিশ্বাস করে যুদ্ধের মতো বৈরিতা বা অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা, পাল্টা নিষেধাজ্ঞা কোনো জাতির উপকার করতে পারে না। ‘সংলাপ, আলোচনা ও মধ্যস্থতা হল সংকট ও বিরোধ সমাধানের সর্বোত্তম উপায়।’
তিনি আরও জানান, বহুপাক্ষিকতাবাদে দৃঢ় বিশ্বাসী হিসেবে বাংলাদেশ বলেছে যে তারা জাতিসংঘ ও এসজি অফিসের পাশে দাঁড়াবে এবং তাদের সাধ্যমতো সমর্থন করবে।
শাহরিয়ার বলেন, ‘আমরা আহ্বান জানাই যে সর্বস্তরের জনগণের আস্থা ও আস্থা অর্জনের জন্য, জাতিসংঘ ও এসজি অফিসকে অবশ্যই সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে হবে এবং সবার প্রত্যাশা পূরণে কাজ করতে হবে।’
তাই বাংলাদেশ, বিরোধের সব পক্ষকে শান্তিপূর্ণ উপায়ে সব বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য এবং আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তাকে বিপন্ন করতে পারে এমন কোনো পদক্ষেপ নেয়া থেকে বিরত থাকার জন্য তাৎক্ষণিকভাবে কূটনৈতিক সংলাপ পুনরায় শুরু করার জন্য একটি ইতিবাচক ভূমিকা পালন করার জন্য আহ্বান জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: মিয়ানমার আইসিসি ও আইসিজের বিচারের বাইরে নয়: শাহরিয়ার আলম
‘বিজিবি সতর্ক, মিয়ানমার থেকে এখন কেউ ঢুকতে পারবে না’: শাহরিয়ার আলম
ইতালিতে ভোট: ঐতিহাসিক জয়ের পথে কট্টর ডানপন্থী মোলোনি
ইতালিতে ভোটে ঐতিহাসিক জয়ের পথে কট্টর ডানপন্থী জর্জিয়া মোলোনি। ইউরোপের সংকটময় সময়ে ইতালির ডানপন্থী রাজনীতিকে তীব্রভাবে এগিয়ে নিতে রবিবার ভোট দিয়েছে দেশটির নাগরিকরা। যা ইউক্রেন যুদ্ধের সময় রাশিয়ার আকাশচুম্বী জ্বালানি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়ায় পশ্চিমাদের সংকল্পের অনুসরণ করে।
দেশটিতে স্থানীয় সময় রবিবার সকাল ৭টায় ভোট শুরু হয় এবং দুপুর নাগাদ শেষ হবে। যা ২০১৮ সালে ইতালির শেষ সাধারণ নির্বাচনের একই সময়ের তুলনায় ভোটের পরিমাণ ছিল সমান বা সামান্য কম। ভোট গ্রহন বন্ধ হওয়ার পরপরই স্থানীয় সময় রাত ১১টায় কাগজের ব্যালট গণনা শুরু হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
সোমবার সকালে আংশিক ফলাফল প্রকাশ হতে পারে।
আরও পড়ুন: রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের শেষকৃত্য ১৯ সেপ্টেম্বর
দেশটিতে নির্বাচনের আগে দুই সপ্তাহের মধ্যে জনমত জরিপ ও প্রকাশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কিন্তু তার আগে জরিপগুলো দেখিয়েছে নব্য-ফ্যাসিস্ট কট্টর-ডানপন্থী নেতা জর্জিয়া মেলোনি এবং তার ব্রাদার্স অব ইতালি পার্টি সবচেয়ে জনপ্রিয়। ইতালীয়রা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর প্রথমবার ডানপন্থী সরকারকে ক্ষমতায় আনতে ভোট দেয়ার জন্য প্রস্তুত ছিল। পিছনে ছিলেন সেন্ট্রাল লেফট ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এনরিকো লেটা।
রবিবার সকালে এক টুইট বার্তায় মেলোনি বলেন, ‘আজ আপনারা ইতিহাস লিখতে সাহায্য করতে পারেন’।
তিনি ব্যালটবক্সের সঙ্গে নিজের ছবি জুড়ে দিয়ে একটি পোস্ট করেছেন। আর লিখেছেন ‘ভালো, ভোট দিন’
আরও পড়ুন: আর্মেনিয়া ও আজারবাইজান সীমান্তে সংঘর্ষে ৯৯ সেনা নিহত
মেলোনি অভিবাসী বিরোধী লীগ নেতা মাত্তেও সালভিনি এবং সিলভিও বারলুসকোনির সঙ্গে একটি ডানপন্থী জোটে রয়েছেন। বারলুসকোনি ইতালির তিনবারের প্রধানমন্ত্রী এবং তিন দশক আগে ফোরজা ইতালিয়া দলের প্রধান ছিলেন। ইতালির জটিল নির্বাচনী আইন ডেমোক্র্যাটদের সুবিধাবঞ্চিত করে। কারণ তারা জনপ্রিয় বামপন্থী এবং সেন্ট্রাল লেফট ডেমোক্রেটদের সঙ্গে একইভাবে বড় জোট নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়েছে।
মেলোনি প্রধানমন্ত্রী হলে তিনিই হবেন ইতালির প্রথম নারী যিনি এই পদে অধিষ্ঠিত হবেন। তবে একটি কার্যকর ক্ষমতাসীন জোট হতে কয়েক সপ্তাহ সময় লাগতে পারে।
প্রায় পাঁচ কোটি এক লাখ ভোটার ছিল। যদিও জরিপকারীরা ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন যে ২০১৮ সালের সাধারণ নির্বাচনে রেকর্ড-সেটিং সর্বনিম্ন ৭৩ শতাংশের চেয়েও কম ভোটার হতে পারে। তারা বলে যে ইউরোপের অনেক সংকট সত্ত্বেও, অনেক ভোটার রাজনীতি থেকে বিচ্ছিন্ন বোধ করেন। যেহেতু ইতালিতে তিনটি জোট সরকার ছিল, তাই গত নির্বাচনে প্রত্যেকটি জোট এমন একজনের নেতৃত্বে ছিল, যিনি প্রধানমন্ত্রীর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেননি।
আরও পড়ুন: রাশিয়ার ৩টি তেল শোধনাগারের নিয়ন্ত্রণ নিল জার্মানি
উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে আ.লীগকে ভোট দিবে জনগণ: শেখ হাসিনা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশের চলমান উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আগামী জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে নিশ্চয়ই ভোট দিবে জনগণ।
তিনি বলেন, ‘আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি দেশের চলমান উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে জনগণ আওয়ামী লীগকে ভোট দিবে। এবং যদি তারা তা না চায় তাহলে কিছু করার নেই। এটি তাদের ওপর নির্ভর করছে।’
আরও পড়ুন : শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের উন্নয়নের প্রশংসা বিশ্বব্যাংকের
বুধবার বিকালে সরকারি বাসভবন গণভবনে সম্প্রতি ভারত সফর পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে ব্রিফকালে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যেহেতু নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণ চায় তার দল আওয়ামী লীগ, সেহেতু পরবর্তী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে নতুন রাজনৈতিক জোট গঠনে দোষের কিছু নেই।
তিনি বলেন, ‘আমরা চাই সকলে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক। যদি কেউ অংশগ্রহণ না করে তাহলে তার দায় সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক দলের। কিন্তু আমরা সংবিধানের ধারা লঙ্ঘন করতে পারি না। সংবিধান অনুযায়ী, গণতন্ত্রের ধারা অব্যাহত থাকবে।’
আরও পড়ুন : শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছে যাবে: দোরাইস্বামী
আল্লাহ হয়তো আমাকে সাহায্য করছেন: হামলায় বেঁচে যাওয়া প্রসঙ্গে এএনআইকে শেখ হাসিনা
সরকারের পতনই এখন বিএনপির একমাত্র লক্ষ্য: ফখরুল
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সুস্পষ্টভাবে বলেছেন, আওয়ামী লীগের পতনই এখন বিরোধী দলের প্রধান লক্ষ্য।
তিনি বলেন, ‘সত্যিকার বাস্তবতা হলো ফ্যাসিস্ট একনায়কতান্ত্রিক শাসক আওয়ামী লীগ আমাদের যা ছিল তা সব ধ্বংস করে ফেলেছে। এখন আমাদের একমাত্র লক্ষ্যই হলো সরকারের পতন ঘটানো।’
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৪৬তম মৃত্যুবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে বিএনপির এই নেতা বিদ্রোহী কবির চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে জনগণকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘আসুন আমরা নজরুলকে নতুনভাবে স্মরণ করি এবং তার চেতনাকে ধারণ করে সামনে অগ্রসর হই। তার মৃত্যুর এই দিনে এটিই আমাদের অঙ্গীকার হওয়া উচিৎ।’
শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘নজরুলের রাজনীতি-বাংলাদেশের রাজনীতি’ শিরোনামে জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক ফাউন্ডেশন আয়োজিত সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
নজরুলকে ‘বিশ্বমানবতার কবি’ উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, তার সকল কবিতা নিপীড়িত মানুষকে জেগে উঠার অনুপ্রেরণা দিত।
পড়ুন: রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে এশিয়া ও পশ্চিমা দেশগুলোর সক্রিয় ভূমিকার আহ্বান বিএনপির
তিনি বলেন, ‘আজকের এই সময়ে অবিচার, স্বৈরাচার, নির্যাতন ও নিষ্পেষনের বিরুদ্ধে লড়াই করতে মানুষকে উজ্জীবিত করতে কাজী নজরুল ইসলাম প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে। যখন ভোলায় আমার ভাই নূর-এ- আলম গুলিতে নিহত হন, যখন আমার ভাই ইলিয়াস আলী গুম হন এবং আমাদের অন্যান্য নেতা-কর্মীরা নির্যাতনের শিকার হন, যখন দেখি আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে অন্যায়ভাবে কারাগারে আটকে রাখা হয়েছে তখন আমি নজরুলকে আরও বেশি অনুভব করি।’
আজকে বাংলাদেশে বিভিন্নভাবে নজরুলকে উপেক্ষা করা দেখে ফখরুল মর্মাহত হওয়ার কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘তার কবিতা ও রচনাসমূহ বাংলা সাহিত্যর শিক্ষাক্রমে অন্তভুর্ক্ত নাই। আমি নজরুলের গানগুলোকে খুব বেশি বেশি ইলেকট্রনিক চ্যানেলগুলোতে সম্প্রচারের আহ্বান জানাচ্ছি।’
বিএনপি নেতা আরও বলেন, পত্রিকাগুলো আর নজরুলের মতো গুরুত্বপূর্ণ মৃত্যুবার্ষিকী বা জন্মদিনে বিশেষ সংখ্যা ছাপায় না। ‘আমি এরকম সংকীর্ণতা। এটি বাংলাদেশের মানুষের জন্য ভুলপথে চালিত করার নির্দেশনা।’
আগামী শনিবার কাজী নজরুল ইসলামের ৪৬তম মৃত্যুবার্ষিকী বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যদিয়ে পালিত হবে।
এরমধ্যে বিদ্রোহী কবির রাজনৈতিক সামাজিক কাজকে মূল্যায়নে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ। তিনি বাংলা ১৩৮৩ সনের ১২ ভাদ্র (২৯ আগস্ট ১৯৭৬ সালে) ঢাকায় মারা যান। রাষ্ট্রীয় সম্মানের সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে তাকে সমাহিত করা হয়।
নজরুল প্রেম, মানবতা, নাস্তিকতা, ধর্মীয় নীতি এবং সকল প্রকার জুলুমের বিরুদ্ধে আধ্যাত্মিক বিদ্রোহের বিষয়বস্তু নিয়ে অনেকগুলো কবিতা লিখেছেন।
আরও পড়ুন: নন্দীগ্রামে বিএনপির সমাবেশস্থলে আ.লীগের সমাবেশ, ১৪৪ ধারা জারি
১৫০ আসনে ইভিএম ব্যবহারে ইসির সিদ্ধান্ত প্রত্যাখান বিএনপির
দুই দশক ভোটবঞ্চিত নারায়ণপুরের অর্ধলাখ মানুষ
একটি ঝু্লে থাকা মামলার কারণে দুই দশক যাবত ভোট দিতে পারছেন না মতলব দক্ষিণ উপজেলার ছয় ইউনিয়নের মধ্যে সমৃদ্ধ ‘নারায়ণপুর’ইউনিয়নের অর্ধলাখ বাসিন্দা। এ ব্যাপারে সকলের মনে দীর্ঘদিনের চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। স্থবির হয়ে আছে এলাকার সব ধরনের উন্নয়ন।
প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা, ‘গ্রাম হবে শহর’ তা আর বাস্তবায়িতই হচ্ছে না অন্তত এই নারায়ণপুরে।
সংশ্লিষ্ট অফিস সুত্র জানায়, চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলার নারায়ণপুর ইউনিয়নকে সরকার, পৌরসভা ঘোষণা করেছিল ২০১০ সালে। এ ব্যাপারে সরকারি গ্যাজেটও প্রকাশ করা হয়েছিল। সেই সময়ের স্থানীয় সংসদ সদস্য সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মহিউদ্দীন খান আলমগীর এ পৌরসভার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনও করেন। তিনমাস একজন পৌর প্রশাসকও দায়িত্ব পালন করেছেন। পরে এর সীমানা নির্ধারণ ( ল্যান্ড ডিমারকেশন) সংক্রান্ত জটিলতা নিয়ে উচ্চ আদালতে দায়ের করা হয় একটি মামলা। এর সমাধান হয়নি দীঘর্কাল যাবত। মামলাটি এখনও চলমান। মামলার এ জটিলতায় ইতোমধ্যে প্রায় ১২ বছর চলে গেলো। এর আগে এ ইউনিয়নে সাত বছরে কোন নির্বাচনও হয়নি। কেবল জাতীয়/সংসদীয় নির্বাচন হয়েছে কয়েকবার। মামলার কারণে গত দুই দশক এ ইউনিয়নের/এলাকার ৫০ হাজার লোক ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে নি। এর মধ্যে অন্যান্য ইউনিয়নে মহা আনন্দমুখর পরিবেশে ৩ বার ইউনিয়ন পরিষদ ভোট হয়েছে । দু বার জাতীয় নির্বাচন হয়েছে।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে দেয়াল ধসে নিহত ১, আহত ৩
সবর্শেষ এ ইউনিয়নে ভোট হয়েছিল ২০০৩ সালে-জানান, উপজেলা নির্বাচন অফিসার আবু জাহের ভুইয়া।
ফলে দুই দশক ধরে ভোটবঞ্চিত ওই এলাকার ৫০ হাজার নারী- পুরুষ। স্থবির হয়ে আছে সকল উন্নয়ন কাজ ।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ৯ দশমিক ২ বর্গ কিলোমিটারের এ ইউনিয়নে ৫০ হাজার বাসিন্দা রয়েছেন। আছে ৯টি ওয়ার্ড। ৩০ টির মতো মহল্লা। নারায়ণপুর বাজার মতলব দক্ষিণ উপজেলার একটি বিখ্যাত ও জমজমাট বাজার- যা দিনরাত ব্যস্ত থাকে। এখানে আছে ডিগ্রি কলেজ, হাই স্কুল ও অনেক প্রতিষ্ঠান।
উপজেলা নির্বাচন অফিসার আবু জাহের ভুইয়া ইউএনবি কে জানান, ২০০৩ সালে সবশেষ ভোট হয়েছিল। ২০১০ সালে নারায়ণপুর ইউনিয়নকে পৌরসভা ঘোষণা করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। একই বছরের ১৫ জুলাই স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় নারায়ণপুর পৌরসভা গেজেট প্রকাশ করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে প্রশাসক নিয়োগ দেয়। অথচ পৌরসভার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে উচ্চ আদালতে রিট আবেদন করেন নারায়ণপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জহিরুল মোস্তফা তালুকদার। এরপর থেকেই ঝুলে আছে এ ইউনিয়ন এলাকার নির্বাচন। যদিও সাধারণ মানুষ চায় সব সমস্যার সমাধান করে দ্রুত নির্বাচন দেয়া হোক। আমরা ভোট নিতে প্রস্তুত ।
তিনি জানান, এ ইউনিয়নে ভোটার সংখ্যা ৩২০১৭। এর মধ্যে নারী ভোটার ১৫১৯৬ । এটা পুরনো ভোটার তালিকা। মামলা নিষ্পত্তি হলে ভোটার সংখ্যা অনেক বাড়বে।
কারণ গত ২০ বছরে অনেক ভোটার বেড়েছে। জেলা নির্বাচন অফিসার তোফায়েল হোসেন জানান, মামলা উঠে গেলে আপডেট ভোটার তালিকা হবে। ভোটার বাড়বে।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে ২ মাদরাসা শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা!
চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে পুকুর থেকে যুবকের লাশ উদ্বার
ভোট চুরি করে আবারও ক্ষমতায় যেতে দেয়া হবে না: আবদুল আউয়াল
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু বলেছেন, ‘সরকার ভোট চুরি করে ক্ষমতায় আছে। আবার যদি ভোট চুরি করে তারা ক্ষমতায় যেতে চায়, সেটা সম্ভব নয়। সেটা হতে দেয়া হবে না’।
বৃহস্পতিবার বিকালে রাজধানীর কাওরান বাজারে একটি কমিউনিটি সেন্টারে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির তেজগাঁও, শিল্পাঞ্চল ও হাতিরঝিল থানার ছয়টি ওয়ার্ডের সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আবদুল আউয়াল মিন্টু বলেন, ‘কিছুদিন আগে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন সবাই আমাকে ক্ষমতা থেকে সরাতে চায়, আমার অপরাধ কী? আমার প্রশ্ন আপনি যে বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা, হামলা করছেন এটা কী অপরাধ নয়? আপনি যে হেলমেট বাহিনী, এ বাহিনী, সেই বাহিনী দিয়ে অত্যাচার-নির্যাতন করছেন এগুলো কী জনগণের বিরুদ্ধে অপরাধ নয়? যে দর্শনের ওপর ভিত্তি করে এখন থেকে তিনশ’ বছর আগে যে নির্বাচন পদ্ধতি আবিষ্কার করা হয়, সেই পদ্ধতিকে আপনি ধুলায় নিপতিত করে ভোট ডাকাতির মাধ্যমে মানুষের অধিকার খর্ব করার মাধ্যমে জোর করে ক্ষমতায় বসে আছেন এটা কী জনগণ, রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে কোনো অপরাধ নয়? আপনাকে মনে রাখতে হবে, সব মিথ্যা নাটক বানিয়ে যখন মানুষকে বন্দি করে রাখেন তাহলে আসল অপরাধের জন্য একদিন না একদিন সবাইকে সাজা খাটতে হবে।’
আরও পড়ুন: বন্যার্তদের পুনর্বাসনে সরকারের কোনো পরিকল্পনা নেই: বিএনপি
বিএনপির এ নেতা বলেন, ‘আপনারা কি পত্রিকায় পড়েন না দেশের সম্পদ কীভাবে লুটপাট হচ্ছে? দেশের সম্পদ বিদেশে পাচার হচ্ছে। আর যদি টিভি দেখেন দেখবেন মুদ্রা পাচারের নাম উঠলেই প্রথম আমার নাম, (পাশে বসে থাকা তার ছেলে তাবিথ আউয়ালের দিকে ইশারা করে) তাবিথের নামও আসে। আমার বউ এদের নাম আসে। আরে ভাই আমরাতো এখানে থাকি। তো মুদ্রাটা কার কাছে পাঠাবো? যাদের ছেলে-মেয়ে বিদেশে থাকে মুদ্রা পাচার করলে তারাই করতেছে।’
তিনি বলেন, ‘আজকে এ দেশের একটা অংশ বন্যাকবিলত। মানুষের হাহাকার, না খেয়ে মরে যাচ্ছে। আর আপনি আলোকসজ্জায় ব্যস্ত। এটা কী দেশের বিরুদ্ধে একটা অপরাধ নয়? আমিতো বলি এটা অপরাধ। এ অপরাধেরও বিচার করা হবে।’
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহবায়ক আমান উল্লাহ আমান, সদস্য সচিব আমিনুল হক, তাবিথ আওয়াল, আনোয়ারুজ্জামান আনোয়ার, মোস্তাফিজুর রহমান সেগুন, ফেরদৌসি আহমেদ মিষ্টি প্রমুখ।
আরও পড়ুন: আ’ লীগ সরকার জনগণের শত্রু হয়ে উঠেছে: ফখরুল
বন্যার্ত মানুষকে অভুক্ত রেখে উৎসব করছে সরকার: অভিযোগ ফখরুলের