ভোট
ফ্রিল্যান্ডকে হারিয়ে ট্রুডোর স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন মার্ক কার্নি
কানাডার ক্ষমতাসীন দল লেবার পার্টির নেতৃত্বের প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হয়েছেন দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক প্রধান মার্ক কার্নি। স্থানীয় সময় রবিবার (১০ মার্চ) ভোটের ফল প্রকাশ করা হয়েছে।
এতে তিনি দেশটির বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর স্থলাভিষিক্ত হবেন। এক অস্থির সময়ে কানাডার দায়িত্ব নেবেন কার্নি। এমন এক সময় তিনি ক্ষমতাসীন দলের প্রধান হলেন, যখন দেশটি দীর্ঘদিনের মিত্র প্রতিবেশী যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্যযুদ্ধের মধ্যে আছে।
নেতৃত্ব প্রতিযোগিতায় এক লাখ ৫২ হাজার দলীয় সদস্য ভোট দিয়েছেন। এতে ৫৯ বছর বয়সী কার্নি পেয়েছেন ৮৬ শতাংশ ভোট। ফলে সহজেই তার প্রতিদ্বন্দ্বী সাবেক অর্থমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ডকে তিনি পরাজিত করতে পেরেছেন।
এর আগে চলতি বছরের গত ৬ জানুয়ারি এক সংবাদ সম্মেলনে দলীয়প্রধানের পদ ছেড়ে দেওয়ার ঘোষণা দেন জাস্টিন ট্রুডো। দীর্ঘ ৯ বছর ক্ষমতায় থাকার পর তিনি এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। দল নতুন নেতা নির্বাচন করার পর দলীয়প্রধান ও প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেবেন বলে জানিয়েছিলেন তিনি।
কানাডায় খাদ্য ও বাসস্থানের মূল্যবৃদ্ধি, অভিবাসন বেড়ে যাওয়ায় ট্রুডোর ওপর পদত্যাগের চাপ দিতে থাকে বিরোধী কনজারভেটিভ পার্টির নেতারা। নিজ দলের মধ্যেও সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে তাকে। নানামুখী চাপের কারণে আগামী অক্টোবরে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও জানুয়ারিতেই পদত্যাগের ঘোষণা দেন ট্রুডো।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রে দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর কানাডাকে যুক্তরাষ্ট্রের ৫১তম অঙ্গরাজ্য করার কথা জানান ট্রাম্প। এ ছাড়াও কানাডার পণ্যে ৩০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছেন তিনি, যা গত সপ্তাহে কার্যকর হয়েছে।
কানাডার স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে ট্রাম্প মারাত্বক আঘাত হেনেছে বলে মনে করেন কানাডীয়রা। এতে অত্যন্ত ক্ষুব্ধ হয়েছেন উত্তর আমেরিকার দেশটির নাগরিকরা। তারা আমেরিকাতে ভ্রমন, এমনকি প্রতিবেশী দেশটির পণ্য কেনাও বন্ধ করে দিয়েছেন।
এমন পরিস্থিতিতে বহুদিন ধরে চলা কানাডা-যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে এসেছে ব্যাপক পরিবর্তন। কানাডাবাসী বর্তমানে এমন কাউকে ক্ষমতায় দেখতে চান, যিনি আমেরিকার সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার পরিবর্তে ট্রাম্পকে মোকাবিলা করতে সক্ষম হবেন।
তবে এসবের মধ্যেও জনমত জরিপে এগিয়ে রয়েছে লেবার পার্টি। রবিবার লেবার পার্টি কাকে ট্রুডোর উত্তরসূরি হিসেবে বেছে নিবেন; তা নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার মধ্যে সবার ওপরে রয়েছে মার্ক কার্নির নাম।
আরও পড়ুন: ট্রাম্পের মোকাবিলায় কানাডা কাকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বেছে নিচ্ছে?
কে এই মার্ক কার্নি?
কানাডার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পাশাপাশি ইংল্যন্ডের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। দায়িত্ব পালনকালে তিনি সফলতার সঙ্গে অর্থনৈতিক নানা সংকট মোকাবিলা করেছেন।
কানাডাতে ব্যাংক সুদের হার সর্বনিম্ন ১ শতাংশে নামিয়ে এনে ঋণ দেওয়া অব্যাহত রেখে বাজারে অর্থের প্রবাহ ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছিলেন মার্ক কার্নি, এ কারণে বেশ প্রশংসিত হয়েছেন।
তিনি যে কেবল ঋণ সম্পর্কে একটি ভালো নীতি তৈরি করেছিলেন, তাই নয়; জনগণের কাছে এমনভাবে বিষয়টি উপস্থাপন করেছিলেন যা সবার বোধগম্য হয়। তিনিই প্রথম কোনো কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রধান যিনি সুদের হারকে একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য এত কম রাখার অঙ্গীকার করেছিলেন। তার এই পদক্ষেপ পরবর্তীতে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ অনুসরণ করেছে বলে জানা যায়।
জানুয়ারিতে কার্নিকে লেবার পার্টির প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। এর পর থেকেই মন্ত্রিসভার মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের কাছ থেকে একের পর এক সমর্থন পেয়ে চলেছেন তিনি।
নেতৃত্বের প্রতিযোগিতায় কার্নির একক প্রাধান্য প্রতিষ্ঠায় তিনটি বিষয় মুখ্য ভূমিকা রেখেছে বলে মনে করেন টরন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক নেলসন ওয়াইজম্যান। তার ভাষ্যে, প্রথমত, ক্রিষ্টিয়া ফ্রিল্যান্ড (অন্য প্রার্থী) ট্রুডোর ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত।
ট্রুডোর জনপ্রিয়তায় ভাটা পড়ায় ফ্রিল্যান্ডও পিছিয়ে থাকতে পারেন বলে মনে করেন তিনি। দ্বিতীয়ত, সংসদে থাকা লিবারেল সদস্যদের সমর্থন আদায়ে কঠোর পরিশ্রম করেছেন। তৃতীয়ত, ট্রাম্পের শুল্ক নীতি অন্যতম একটি বিষয়, কার্নির পেশাগত অভিজ্ঞতা এক্ষেত্রে ভুমিকা পালন করতে পারে বলে ধারণা দেন ওয়াইজম্যানে।
ম্যাকগিল বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক ড্যানিয়েল বিল্যান্ড মনে করেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যেভাবে কানাডার অর্থনীতি ও সার্বভৌমত্বকে লক্ষ্য করে একের পর এক বিতর্কিত পদক্ষেপ নিয়ে চলেছেন ও বক্তব্য দিচ্ছেন, এরকম সংবেদনশীল একটি মুহূর্তে কার্নির শান্ত স্বভাব ও অসাধারণ পেশাদার জীবনবৃত্তান্ত অনেক কানাডিয়ানকে আশ্বস্ত করেছে।’
আরও পড়ুন: কানাডাকে ‘সত্যিকার অর্থে’ ৫১তম অঙ্গরাজ্য করতে চাচ্ছেন ট্রাম্প: ট্রুডো
কার্নির এই শান্ত স্বভাব কানাডার কনজারভেটিভ পার্টির নেতা পিয়েরে পলিয়েভ্রের সম্পূর্ণ বিপরীত বলে মনে করেন তিনি। বিল্যান্ডের মতে, পলিয়েব্র একদম পুরোদস্তুর একজন রাজনীতিবিদ। তিনিও ট্রাম্পের মতো জনপ্রিয়তাবাদী বক্তব্য দেন।
ট্রাম্পের শুল্কারোপের ফলে কানাডার অর্থনীতির নেতিবাচক প্রভাব রুখে দিয়ে অভ্যন্তরীণ সমস্যাগুলো সমাধান করে দেশের উন্নতিকে ত্বরান্বিত করবে এমন এক সরকারপ্রধান চান কানাডার নাগরিকরা। কানাডার নির্বাচন উত্তর আমেরিকার ভূরাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ একটি ঘটনা হয়ে উঠছে বলে ধারণা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
৫ দিন আগে
এমন জোয়ার সৃষ্টি হবে, যেখানে ভোট ছাড়া কোনো চিন্তা থাকবে না: সিইসি
আগামী ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাচন হতে হলে অক্টোবরে তফসিল ঘোষণা করতে হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ. এম. এম. নাসির উদ্দিন। তিনি বলেন, ‘সবার সহযোগিতা নিয়ে তারা এমন একটি জোয়ার সৃষ্টি করবেন, যেখানে ভোট ছাড়া মানুষের আর কোনো চিন্তা থাকবে না।’
সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। নির্বাচন কমিশন বিটে কর্মরত সাংবাদিকদের সংগঠন আরএফইডির নতুন কমিটির দায়িত্ব গ্রহণ উপলক্ষে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
সিইসি বলেন, ‘তারা আগেভাগে কোনো মন্তব্য করতে চাচ্ছেন না, তবে প্রধান উপদেষ্টার ঘোষণা অনুযায়ী নির্বাচনের প্রস্তুতি এগিয়ে নিচ্ছেন। আগামী ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাচন হতে হলে অক্টোবরে তফসিল ঘোষণা করতে হবে।’
‘ভোটারতালিকা তৈরি এবং অন্যান্য প্রস্তুতি তারা নিচ্ছেন, সীমানা পুনর্নির্ধারণের অনেকগুলো আবেদন ঝুলে আছে, আইনি জটিলতার কারণে তারা নিষ্পত্তি করতে পারছেন না। ৫০-এর বেশি আসন নিয়ে ৩৫০ বেশি আবেদন ঝুলে আছে। এই আইন সংশোধন করার জন্য তারা এরইমধ্যে সরকারের কাছে প্রস্তাব দিয়েছেন।’
আরও পড়ুন: আমরা কোনো রাজনীতিতে ঢুকতে চাই না: সিইসি
নাসির উদ্দিন বলেন, ‘আরও কিছু বিষয়ে সরকারের কাছে প্রস্তাব দেবে নির্বাচন কমিশন। একটি সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন করতে যতটুকু সংস্কার দরকার, তার জন্য আমরা উদ্যোগ নিচ্ছি, যা সংস্কার দরকার, তার প্রস্তাব আমরা সরকারের কাছে দেব।’
বিদ্যমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিতে জাতীয় নির্বাচন করা সম্ভব কিনা; প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘তারা মনে করছেন, ডিসেম্বর আসতে আসতে এই পরিস্থিতি স্থিতিশীল হবে। থিংক দিজ থিং উইল সেটল ডাউন বা দিজ টাইম। সবার সহযোগিতা নিয়ে তারা এমন একটি জোয়ার সৃষ্টি করবেন, যেখানে ভোট ছাড়া মানুষের আর কোনো চিন্তা থাকবে না।’
১৮ দিন আগে
ক্ষমতায় গেলে আপনাদের কথা মনে রাখব: সরকারি কর্মচারীদের মঈন খান
জনগণের ভোটের মাধ্যমে ফের ক্ষমতায় যেতে পারলে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কথা মনে রাখবেন বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ড. আব্দুল মঈন খান।
শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নরসিংদী ড্রিম হলিডে পার্কে সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের বনভোজন ও পরিচিতি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগের পুনরুত্থান ঠেকাতে শক্ত প্রতিরোধ গড়ে তুলুন: মঈন খান
মঈন খান বলেন, ‘আল্লাহর রহমতে জনগণের ভোটের মাধ্যমে আমরা যদি নির্বাচিত হই, তবে অবশ্যই আপনাদেরকে পুরস্কৃত করব। আপনাদেরকে এ দেশের মানুষ ও সংবিধান অত্যন্ত গুরুদায়িত্ব দিয়েছেন এবং ভবিষ্যতে আপনারা সে দায়িত্ব নিষ্ঠার সাথে পালন করবেন।’
‘যে জুলুম, অত্যাচার, নির্যাতন আপনাদের ও আমাদের ওপর হয়েছে, তা থেকে শিক্ষা নিয়ে ভবিষ্যতে দেশের মানুষকে হয়রানিমুক্ত সেবা দিতে হবে। সংবিধানে রাষ্ট্রের তিনটি স্তম্ভের কথা বলা হয়েছে। চেয়ারের চারটি পা থাকে, কিন্তু রাষ্ট্রের যে ভিত্তি সেটা হচ্ছে তিনটি,’ বলেন সাবেক এই মন্ত্রী।
‘একটি হলো জাতীয় সংসদ, দ্বিতীয়টি সুপ্রিম কোর্ট এবং তৃতীয়টি হচ্ছে সচিবালয়। সচিবালয় হলো এক্সিকিউটিভ ব্রাঞ্চ (নির্বাহী শাখা)। আর এটিই হচ্ছে রাষ্ট্র পরিচালনার অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। আপনারা সে হিসেবে রাষ্ট্রের অবিচ্ছেদ্য অংশ। অর্থাৎ এক্সিকিউটিভ ব্রাঞ্চ।’
মঈন খান আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী যারা রয়েছেন, তাদের পরিবার বর্গের অনেকেই এক কঠিন সময় পার করে এসেছেন। দীর্ঘ ১৬ বছর আপনারা কিভাবে দিন কাটিয়েছেন, আমার চেয়ে বেশি কেউ জানেন না। সে সময়ও আপনারা আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন, আমি ধৈর্য ধরতে বলেছিলাম। আপনারা ধৈর্য ধরেছেন, এ জন্যই আজকে একটি সুদিনের স্বপ্ন আপনারা দেখতে পারছেন।’
‘কোনো অন্যায় চিরকাল টিকে থাকতে পারে না। অন্যায় ও স্বৈরশাসক বাংলাদেশ থেকে দূর হয়েছে। এ দেশে হয়তো রাজনীতিকরা সরকার ও মন্ত্রিসভা গঠন করবে, সে সময়ে আমি আপনাদের কথা মনে রাখবো,’ বলেন মঈন খান।
আরও পড়ুন: নির্বাচনি সংস্কার নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অবস্থানের সমালোচনা করলেন মঈন খান
তিনি বলেন, ‘মানুষকে আপনারা সেবা দিয়ে থাকেন, রাজধানী থেকে শুরু করে অজপাড়াগাঁ পর্যন্ত আপনাদের সেবার পরিধি। সে কারণেই একটি দেশ পরিচালনায় আপনাদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কাজেই আপনারা দেশের জনগনের কথা মাথায় রেখে হয়রানিমুক্ত সেবা করবেন। দেশের মানুষও আপনাদের সেবা করবে। দেশের মানুষ আপনাদেরকে মাথায় তুলে রাখবে।’
বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের সভাপতি নূরুল ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন, ড্রিম হলিডে পার্কের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রবীর কুমার সাহা। অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন স্থানীয় বাস ট্রাক মালিক সমিতির সভাপতি ও বিএনপি নেতা সারোয়ার মৃধা, বাবুল সরকার, আব্দুর রশিদ, ভিপি মনির ও শাহানশাহ শানু।
৩৪ দিন আগে
দুর্নীতিবাজদের ভোট না দেওয়ার অনুরোধ খালেদার উপদেষ্টা আমিনুলের
আগামী নির্বাচনে দুর্নীতিবাজ-চাঁদাবাজদের ভোট দেওয়া থেকে বিরত থাকতে অনুরোধ করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা এ কে এম আমিনুল হক।
তিনি বলেন, ‘দুর্নীতিবাজ-চাঁদাবাজরা মানুষকে কষ্ট দেয়, তাদের আপনারা পরিহার করুন। তাদের থেকে আপনারা দূরে থাকুন, এটি আমার অনুরোধ। যারা সৎ ও চরিত্রবান, দেশের মঙ্গল এবং মানুষের জন্য চিন্তা করবে, তাদেরই আপনারা ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবেন।’
শনিবার রাতে শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার হালগড়া এলাকার মৌলভীবাড়ি প্রাঙ্গণে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় এ অনুরোধ জানান তিনি।
আমিনুল হক বলেন, ১৬ বছরের স্বৈরশাসনের নিপীড়নের শিকার হয়ে দেশের মানুষ আজ দিশেহারা। মানুষের বাক স্বাধীনতা ছিল না। মানুষ নানা রকমের হয়রানির শিকার হয়ে দুর্বিষহ কষ্টের মধ্য দিয়ে দিনাতিপাত করেছে। তিনি বলেন, অনেকেই হামলা ও মামলার শিকার হয়ে পালিয়ে বেড়িয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনায় আমরা দেশকে ভালোর দিকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধ চেষ্টা চালিয়ে যাব।
মো. জাকির হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় গ্রামের নানা শ্রেণি পেশার লোক উপস্থিত ছিলেন।
১০৯ দিন আগে
অন্য ইস্যু নয় ভোটের দিকে নজর দিন: সরকারকে ফখরুল
অন্যান্য ইস্যু থেকে সরে এসে অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য জাতীয় নির্বাচনের দিকে নজর দিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
এক আলোচনা সভায় তিনি প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান, যাতে তার প্রতি মানুষের ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা ক্ষুণ্ন না হয়।
সরকারের উদ্দেশে বিএনপির এই নেতা বলেন, 'অন্য ইস্যুতে মনোযোগ না দিয়ে নির্বাচনের দিকে নজর দিন।’
তিনি আরও বলেন, দেশের অস্তিত্ব রক্ষা ও অগ্রগতি নিশ্চিত করতে সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিকল্প নেই।
আরও পড়ুন: সাংবিধানিক বিষয়ে তাড়াহুড়ো করা উচিৎ নয়: অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে তারেক
বুধবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) ১৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে দলটি।
ফখরুল বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য একটি সার্চ কমিটি গঠন করেছে।
তিনি বলেন, 'আমরা আশা করেছিলাম যে তারা (সরকার) এটি গঠনের আগে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে পরামর্শ করবে। যদিও আমরা এটিকে বড় ইস্যু মনে করি না। আমরা আশা করি কমিটি তার দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করবে।’
এই সরকারের রাজনৈতিক সদিচ্ছার অভাব রয়েছে উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, সরকারের প্রধান পরিষ্কারভাবে বলেছেন যে তার কোনো রাজনৈতিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা নেই।
তিনি বলেন, 'আমি ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে বলতে চাই, আপনি বিশ্বব্যাপী অত্যন্ত সম্মানিত এবং বাংলাদেশের জনগণ আপনাকে গভীরভাবে ভালোবাসে ও শ্রদ্ধা করে। তারা চায় এটা অব্যাহত থাকুক। আমার অনুরোধ, আপনারা সজাগ থাকুন, যাতে আপনার অবস্থান ক্ষুণ্ন না হয়।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের রাজনীতিতে আওয়ামী লীগ ফিরতে পারবে না: বিএনপি
১৩৫ দিন আগে
ভোট দিতে হেলিকপ্টারে চড়ে কলাপাড়ায় দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী
চতুর্থ ধাপে পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে হেলিকপ্টারে চড়ে নিজ এলাকায় গিয়ে ভোট দিয়েছেন দুর্যোগ ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মহিববুর রহমান মুহিব।
বুধবার (৫ জুন) সকাল ১০টার দিকে উপজেলার ৫৭ নম্বর ধুলাশার প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে তিনি লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দেন।
ভোট শেষে প্রতিমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘আশা করছি, আমার এই দুটি উপজেলায় সুন্দর ও সুষ্ঠু পরিবেশে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হবে। সময় স্বল্পতার কারণে হেলিকপ্টারে চড়ে ভোট দিতে আসা। আমি মনে করি, প্রতিটি ভোটই মূল্যবান।’
উল্লেখ্য, কলাপাড়া ও রাঙ্গাবালী এ দুই উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ৯২ হাজার ৩৩৮ জন। দুই উপজেলার ১১১টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ হচ্ছে। সুষ্ঠভাবে ভোট গ্রহনের লক্ষ্যে প্রতিটি কেন্দ্রে ৫ জন পুলিশ সদস্য ও ১৭ জন আনসার সদস্য সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করছেন।
এছাড়া ভোটের মাঠে ২৮ জন ম্যাজিস্ট্রেট, র্যাবের ৪টি টিম, বিজিবির ৭টি টিম ও কোষ্টগার্ডের ৮টি টিম মোতায়ানে করা হয়েছে। পাশাপাশি পুলিশের মোবাইল টিম, স্টাইকিং ফোর্স ও স্টান্ডবাই টিম কাজ করছে।
এবারের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কলাপাড়ায় চেয়ারম্যান পদে ৩ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। অন্যদিকে, রাঙ্গাবালী উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৩ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
২৮২ দিন আগে
ভোট গ্রহণের সময় অসুস্থ হয়ে সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তার মৃত্যু
হবিগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোট গ্রহণের সময় অসুস্থ হয়ে এমদাদুল হক নামে এক সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তার মৃত্যু হয়েছে।
বুধবার (২৯ মে) হবিগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের উমেদনগর কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: নরসিংদীতে আওয়ামী লীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা, আহত ২
এমদাদুল হক এলজিইডি হবিগঞ্জ নির্বাহী প্রকৌশলী অফিসের উপসহকারী প্রকৌশলী। তার বাড়ি পাবনায়।
জানা গেছে, ভোট গ্রহণের সময় এমদাদুল সকাল ৯টার দিকে হঠাৎ বুকে ব্যথা অনুভব করেন। তাকে দ্রুত হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে আনা হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এলজিইডির হবিগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী ফরিদুল ইসলাম বলেন, বুধবার বেলা সাড়ে ১২টায় অফিস চত্বরে নামাজে জানাজা শেষে লাশ পাবনায় পাঠানো হয়।
আরও পড়ুন: সিলেটে পুকুরের পানিতে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু
সিলেটে পাহাড়ি ঢলে সড়ক তলিয়ে যান চলাচল বন্ধ
২৮৯ দিন আগে
অন্যের কাঁধে ভর দিয়ে ভোট দিতে এলেন ৮৭ বছর বয়সী বিবিজান
ননদ আইছন নেছার কাঁধে ভর করে ভোট দিতে কেন্দ্রে গিয়েছেন ৮৭ বছর বয়সী বিবিজান নেছা।
মঙ্গলবার (২১ মে) গাংনী উপজেলার নওপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে ভোট দেন তিনি।
আরও পড়ুন: উপজেলা নির্বাচন: দ্বিতীয় ধাপে কয়েকটি জেলায় ভোট গ্রহণ চলছে
বিবিজান নেছা নওপাড়া গ্রামের হাজি কছিম উদ্দিনের স্ত্রী।
ভোট দিয়ে কেন্দ্রের বাইরে এসে বিবিজান নেছা বলেন, এটাই হয়তো জীবনের শেষ ভোট আমার। আগে পাড়ার লোকজনের সঙ্গে আনন্দ করতে করতে ভোট দিতে আসতাম। এখন অন্যের কাঁধে ভর করে ভোট কেন্দ্রে আসতে হয়।
তিনি আরও বলেন, নিজের শরীরের ক্ষমতা না থাকায় এবার ননদের কাঁধে ভর করে ভোট দিতে এসেছি। বাড়ির বেটা ছেইলি (স্বামী হাজি সাহেবকে) নাতি-নাতনিরা ভ্যানে করে নিয়ে এসে ভোট দিয়ে নিয়ে গেছে। আমি এসেছি ননদের সঙ্গে।
আরও পড়ুন: জাল ভোট দিতে গিয়ে রিকশাচালকের ১৫ দিনের কারাদণ্ড
সোনারগাঁয়ে জাল ভোট দেওয়ায় যুবককে ৬ মাসের জেল
২৯৭ দিন আগে
বিজিএমইএ নির্বাচন-২০২৪: ভোট পড়েছে ৮৯ শতাংশ, গণনা চলছে
তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) ২০২৪-২৬ মেয়াদের নির্বাচনে ভোট দিয়েছে ৮৯ শতাংশ ভোটার। নির্ধারিত সময়ে ভোটগ্রহণ শেষ করার পর চলছে গণনার কার্যক্রম।
শনিবার(৯ মার্চ) সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত উত্তরার বিজিএমইএ ভবনে শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
ভোটগ্রহণ শেষে নির্বাচন পরিচালনা বোর্ডের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলামিন সাংবাদিকদের বলেন, অবাধ ও সুষ্ঠু পরিবেশে অনুষ্ঠিত এবারের নির্বাচনে ৮৯ শতাংশ ভোট পড়েছে। বড় ধরনের কোনো অভিযোগ আসেনি।
এবারের নির্বাচনে মোট ২ হাজার ৪৯৬ জন ভোটারের মধ্যে প্রায় ২ হাজার ২২৬ জন ভোট দিয়েছেন, যা ৮৯ শতাংশের বেশি।
এর মধ্যে ঢাকার ২ হাজার ৩২ জন ভোটারের মধ্যে ১ হাজার ৮৩৯ জন বা ৯০ শতাংশের বেশি (৯০.৫০ শতাংশ) ভোট দিয়েছেন। চট্টগ্রামে ৪৬৪ জন ভোটারের মধ্যে ভোট দিয়েছেন ৩৮৭ জন, যা প্রায় ৮৩ দশমিক ৪০ শতাংশ।
এবারের নির্বাচনে ঢাকা ও চট্টগ্রামে ৩৫টি পরিচালক পদের বিপরীতে লড়ছেন ৭০ জন প্রার্থী। বিজিএমইএর পরিচালনা পর্ষদের এবারের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে ফোরাম ও সম্মিলিত পরিষদ নামে দুটি প্যানেল।
সম্মিলিত পরিষদের নেতৃত্ব দেন সেবা ডিজাইনের চেয়ারম্যান এস এম মান্নান কচি, যিনি বিজিএমইএ'র বর্তমান জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি। আরেকটি প্যানেল ফোরামের নেতৃত্বে রয়েছেন সুরমা গার্মেন্টসের পরিচালক ফয়সাল সামাদ। তিনি কমিটির বর্তমান পরিচালক। এছাড়া ফয়সাল একসময় সহ-সভাপতির দায়িত্বও পালন করেছেন।
৩৭০ দিন আগে
দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র এখনও চলছে: খাদ্যমন্ত্রী
এখনো দেশি-বিদেশি নানা ধরনের ষড়যন্ত্র চলছে বলে দাবি করেছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।
তিনি বলেন, জনগণ উন্নয়নের পক্ষে ভোট দিয়েছে। তবে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র এখনো চলছে। এছাড়া দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র নির্বাচনের আগে থেকেই ছিল।
শনিবার (২৭ জানুয়ারি) দুপুরে নিয়ামতপুর উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। চতুর্থবারের মতো সংসদ সদস্য এবং দ্বিতীয় মেয়াদে খাদ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পাওয়ায় নিয়ামতপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ এ সংবর্ধনার আয়োজন করে।
আরও পড়ুন: দ্রব্যমূল্য সহনশীল রেখে মানুষের সেবা করার আহ্বান খাদ্যমন্ত্রীর
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জনগণ সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ নির্বাচন ছিল উন্নয়নকে বেছে নেওয়ার এবং আগুন সন্ত্রাসকে প্রত্যাখ্যান করার নির্বাচন।
দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র এখনো চলছে উল্লেখ জনগণকে সতর্ক থাকারি আহ্বান জানান তিনি।
এ সময় তিনি নেতা-কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে বিএনপির দেশবিরোধী সব অপচেষ্টা রুখে দেওয়ার আহ্বান জানান।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, বিগত সময়ে নির্বাচিত হয়ে মানুষের পাশে থেকে কাজ করেছি। মানুষকে ভালোবেসেছি, ভালোবাসাও পেয়েছি। সামনের দিনগুলোতেও মানুষের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রাখতে চাই।
আরও পড়ুন: প্রতিযোগিতা করে ধান কেনা থেকে বিরত থাকতে হবে: খাদ্যমন্ত্রী
৪১২ দিন আগে