সাগর-রুনি হত্যা
সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্ত ছয় মাসের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ হাইকোর্টের
ছয় মাসের মধ্যে সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্ত শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বুধবার ছয় সদস্যের উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন টাস্কফোর্স গঠনের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করে বিচারপতি ফারাহ মাহবুবের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
১২ বছর ধরে নিষ্পত্তি না হওয়া মামলাটি তদন্তে গত ৩০ সেপ্টেম্বর টাস্কফোর্স গঠনের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
এছাড়াও বারবার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে ব্যর্থ হওয়ায় র্যাবকে তদন্ত থেকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
আরও পড়ুন: সাগর-রুনি হত্যা: মামলা চালাবেন শিশির মনিরসহ ৯ আইনজীবী
এর আগে জোড়া খুনের ঘটনায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ ১১৪তম বারের মতো পিছিয়ে ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত ধার্য করা হয়।
চলতি বছরের ১ অক্টোবর এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষকে সহায়তার জন্য ৯ জন আইনজীবী নিয়োগের অনুমতি চেয়ে নিম্ন আদালতে রিট করেন রুনির ভাই নওশের।
পরে আদালত সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী শিশির মনিরসহ নয়জন আইনজীবী নিয়োগ দেন।
গত ১০ অক্টোবর পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ময়নুল ইসলাম বলেন, পুলিশ মামলাটি পুনঃতদন্ত শুরু করেছে।
আরও পড়ুন: সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্তে উচ্চ পর্যায়ের টাস্কফোর্স গঠনের নির্দেশ
প্রসঙ্গত, ২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাতে রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারে সাংবাদিক দম্পতি মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সরওয়ার ও এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন রুনি তাদের ভাড়া বাসায় খুন হন।
এরপর নিহত রুনির ভাই নওশের আলম রোমান শেরেবাংলা নগর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
মামলায় রুনির বন্ধু তানভীর রহমানসহ মোট আসামি আটজন।
অপর আসামিরা হলেন- বাড়ির নিরাপত্তাকর্মী এনাম আহমেদ ওরফে হুমায়ুন কবির, রফিকুল ইসলাম, বকুল মিয়া, মিন্টু ওরফে বারগিরা মিন্টু ওরফে মাসুম মিন্টু, কামরুল হাসান অরুন, পলাশ রুদ্র পাল, তানভীর ও আবু সাঈদ।
এ মামলায় গ্রেপ্তার আটজনের মধ্যে দুজন জামিন পেয়েছেন, বাকিরা কারাগারে রয়েছেন।
২০১২ সালের ১ অক্টোবর তানভীর রহমানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে ২০১৪ সালে জামিন পান তিনি।
আরও পড়ুন: সাগর-রুনি হত্যা মামলা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে: র্যাব
২ সপ্তাহ আগে
সাগর-রুনি হত্যা: মামলা চালাবেন শিশির মনিরসহ ৯ আইনজীবী
সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারোয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলায় বাদীর ব্যক্তিগত খরচে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী শিশির মনিরসহ ৯ আইনজীবীকে মামলা পরিচালনা করার অনুমতি দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (১ অক্টবর) মামলার বাদী রুনির ভাই নওশের আলী রোমানের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুল হক এ আদেশ দেন।
শিশির মনির ছাড়া অন্য আইনজীবীরা হলেন- মুজাহিদুল ইসলাম, মিজানুল হক, মোস্তফা জামাল, আবু রাসেল, মহিউদ্দিন, আব্দুল্লাহ আল ফারুক, ইকবাল হোসেন ও মোত্তাকিন হোসাইন।
এর আগে সোমবার একই আদালতে এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষকে সহযোগিতা করার জন্য ৯ আইনজীবীকে নিয়োগের আবেদন করেন নওশের আলী।
আরও পড়ুন: ১০২ বার পেছাল সাগর-রুনি হত্যার প্রতিবেদন
আবেদনে বলা হয়, সাগর ও রুনিকে অজ্ঞাত পরিচয়ের আসামিরা ২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি নিজ বাসায় হত্যা করে। মামলাটি তদন্ত ১২ বছর চলামান থাকলেও কোনো তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়নি। দীর্ঘ দিন অতিবাহিত হওয়ার পরও মামলায় কোনো প্রকার অগ্রগতি নেই। মামলাটি দ্রুত নিষ্পত্তির ও ন্যায় বিচারের স্বার্থে রাষ্ট্র পক্ষের পাবলিক প্রসিকিউটরকে সহায়তার জন্য বাদী পক্ষে নিজ খরচে আইনজীবী নিয়োগ করা আব্যশ্যক।
২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাতে রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারে মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সারওয়ার এবং এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রুনি নিজ ভাড়া বাসায় খুন হন। পরদিন ভোরে তাদের ক্ষত-বিক্ষত লাশ উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্তে উচ্চ পর্যায়ের টাস্কফোর্স গঠনের নির্দেশ
সাগর-রুনি হত্যার বিচার হারিয়ে যাবে না: আইনমন্ত্রী
১ মাস আগে
সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্তে উচ্চ পর্যায়ের টাস্কফোর্স গঠনের নির্দেশ
সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যার ঘটনায় করা মামলার তদন্তে উচ্চ পর্যায়ের টাস্কফোর্স গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। তদন্তের দায়িত্বে থাকা র্যাবকে সরিয়ে টাস্কফোর্স গঠনের এই আদেশ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষে করা এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি মুহাম্মদ মাহবুব উল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
এই বেঞ্চের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার রেদোয়ান আহমদ আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এর আগে রবিবার সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যার ঘটনায় করা মামলায় নতুন আইনজীবী হিসেবে মোহাম্মদ শিশির মনিরকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: সাগর-রুনি হত্যার বিচার হারিয়ে যাবে না: আইনমন্ত্রী
রবিবার সাগর-রুনি হত্যা মামলার বাদী নওশের রোমান বলেন, এখন থেকে আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির সাগর-রুনি হত্যা মামলার রহস্য উন্মোচনে আইনি লড়াই করবেন।
আইনজীবী শিশির মনির বলেন, আমরা সাগর-রুনি হত্যার রহস্য উন্মোচনে কাজ শুরু করব। এর অংশ হিসেবে তদন্ত কর্মকর্তাদের সঙ্গে খুবই দ্রুত মিটিং করব। একইসঙ্গে হত্যার রহস্য উন্মোচনে নিম্ন আদালত ও উচ্চ আদালতে আইনি লড়াই করব।
সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যার ঘটনায় করা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য এ পর্যন্ত ১১৩ বার সময় বাড়ানো হয়েছে। পরবর্তী শুনানির জন্য ১৫ অক্টোবর দিন ধার্য রয়েছে।
২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাতে রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারে সাংবাদিক দম্পতি মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সরওয়ার এবং এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন রুনি তাদের ভাড়া বাসায় খুন হন।
আরও পড়ুন: ১০৩ বার পেছালো সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন
১ মাস আগে
সাগর-রুনি হত্যা: ১০ বছর পর হাইকোর্টের জারি করা রুল শুনানিতে উঠছে
সাংবাদিক দম্পতি সাগর -রুনি হত্যার ঘটনায় আসামিদের শনাক্তের বিষয়ে জারি করা রুল শুনানিতে উঠছে। এ হত্যা মামলা সঠিকভাবে তদন্ত এবং আসামিদের আইনের আওতায় আনার দাবিতে ১০ বছর আগে করা রিট আবেদনটি চূড়ান্ত শুনানির উদ্যোগ নিলে সোমবার বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া এবং বিচারপতি আহমেদ সোহেলের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুল শুনানির জন্য নির্ধারণ করেন। আদালতে রিট আবেদেনের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরেসদ।
পরে মনজিল মোরসেদ জানান, সাগর-রুনি মামলার তদন্ত সঠিকভাবে করা এবং আসামিদের আইনের আওতায় আনার জন্য ২০১২ সালে আমরা একটা রিট দায়ের করেছিলাম। সেই রিটের শুনানি নিয়ে আদালত রুল জারি করেছিল। রুলে সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্ত করে আসামিদের আইনের আওতায় আনার জন্য কেন নির্দেশ দেয়া হবে না তা জানতে চেয়েছিল। এরপর আমাদের পৃথক একটি আবেদনের প্রেক্ষিতে মামলার তদন্ত র্যাবের কাছে চলে যায়। সেই থেকে আজ পর্যন্ত এই ১০ বছরে এ মামলার চূড়ান্ত কোনো অগ্রগতি হয়নি। এখনও তদন্ত পর্যায়ে রয়ে গেছে। ১০ বছর আগে জারি করা রুলের শুনানির জন্য আমরা কোর্টে আবেদন করেছিলাম। আদালত রুল শুনানির জন্য তারিখ নির্ধারণ করে দিয়েছেন। আগামীকাল মামলাটি আদালতের কার্য়তালিকায় আসলে শুনানি হবে। তিনি বলেন, আমরা চাচ্ছি তদন্ত যেন তাড়িাতাড়ি শেষ করে প্রকৃত আসামিদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির বিধান নিশ্চিত করা যায়।
২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাতে ঢাকার পশ্চিম রাজাবাজারে সাংবাদিক দম্পতি মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সরওয়ার এবং এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন রুনি তাদের ভাড়া বাসায় নির্মমভাবে খুন হন। পরদিন ভোরে তাদের ক্ষত-বিক্ষত লাশ উদ্ধার করা হয়। ওই বছরের ১২ ফেব্রুয়ারি রুনির ভাই নওশের আলী রোমান বাদী হয়ে শেরেবাংলা নগর থানায় হত্যা মামলা করেন। প্রথমে মামলার তদন্ত করেন শেরেবাংলা নগর থানার এক কর্মকর্তা। ১৬ ফেব্রুয়ারি মামলার তদন্তভার পড়ে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উত্তরের পুলিশ পরিদর্শক মো. রবিউল আলমের ওপর।
আরও পড়ুন: সাংবাদিক সাগর-রুনি হত্যা: তদন্তের অগ্রগতিতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা ডিআরইউ’র
২০১২ সালে হত্যাকাণ্ডের পর তদন্ত ও আসামি গ্রেপ্তার নিয়ে জনস্বার্থে রিট করে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ। সেই রিটের শুনানি নিয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। ২৮ ফেব্রুয়ারি জারি করা রুলে সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের খুনিদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার কেন নির্দেশ দেয়া হবে না তা জানতে চান হাইকোর্ট।
দুই মাস পর হাইকোর্টের আদেশে মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয় র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নকে (র্যাব)।
সেই থেকে প্রায় ১০ বছর পেরিয়ে গেলেও এখনও তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেনি সংস্থাটি। সবশেষে ২৭ মার্চ এ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল। কিন্তু নির্ধারিত দিনে প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেননি র্যাবের তদন্ত কর্মকর্তা। তাই ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবদাস চন্দ্র অধিকারী আগামী ২৬ এপ্রিল প্রতিবেদন দাখিলের নতুন দিন ধার্য করেন। এনিয়ে প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ ৮৭ বার পেছালো।
মামলায় রুনির বন্ধু তানভীর রহমানসহ মোট আসামি ৮ জন।
অপর আসামিরা হলেন- বাড়ির নিরাপত্তাকর্মী এনাম আহমেদ ওরফে হুমায়ুন কবির, রফিকুল ইসলাম, বকুল মিয়া, মিন্টু ওরফে বারগিরা মিন্টু ওরফে মাসুম মিন্টু, কামরুল হাসান অরুন, পলাশ রুদ্র পাল, তানভীর ও আবু সাঈদ।
আরও পড়ুন: সাংবাদিক সাগর-রুনি হত্যা: জড়িতদের বিচারের আওতায় আনার আহ্বান আর্টিকেল ১৯’র
২ বছর আগে
সাংবাদিক সাগর-রুনি হত্যা: তদন্তের অগ্রগতিতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা ডিআরইউ’র
সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যার তদন্তের অগ্রগতিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করেছে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ)।
শুক্রবার ডিআরইউ সদস্য সাংবাদিক দম্পতি মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সরওয়ার ও এটিএন বাংলার সিনিয়র রিপোর্টার মেহেরুন রুনি হত্যার প্রতিবাদে আয়োজিত সমাবেশে এ দাবি জানানো হয়।
সাগর-রুনি হত্যার বিচারের দাবিতে আগামী রবিবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি দেয়া হবে বলে জানান সংগঠনের নেতারা।
আরও পড়ুন: সাংবাদিক সাগর-রুনি হত্যা: জড়িতদের বিচারের আওতায় আনার আহ্বান আর্টিকেল ১৯’র
ডিআরইউ সভাপতি নজরুল ইসলাম মিঠু বলেন, আমরা একই দাবিতে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও প্রধান বিচারপতির কাছে স্মারকলিপি দেব।
গত ১০ বছরে ৮৫ বার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ পরিবর্তন করায় হতাশা প্রকাশ করে সাংবাদিক নেতারা বলেন, ‘তদন্ত প্রক্রিয়ায় পুলিশের ওপর আমাদের আস্থা নেই।’
তারা বলেন, ‘তদন্তকারী কর্মকর্তারা বারবার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে ব্যর্থ হচ্ছেন। সেজন্য প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ প্রয়োজন।’
এছাড়া অবিলম্বে হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের বিচারের দাবি জানিয়ে সাংবাদিকদের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের আহ্বান জানান নেতৃবৃন্দ।
বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) যুগ্ম মহাসচিব শেখ মামুনুর রশীদ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদ, ডিইউজে সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম খান তপু, ডিআরইউর সাবেক সাধারণ সম্পাদক রাজু আহমেদ, ডিআরইউর সাবেক সহ-সভাপতি আজমল হক প্রমুখ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন।
আরও পড়ুন: সাগর-রুনি হত্যা: ৮৫ বার পেছালো মামলার তদন্ত প্রতিবেদন
সাংবাদিক সাগর-রুনি হত্যার বিচারের দাবিতে তিন দিনব্যাপী কর্মসূচির আয়োজনে বৃহস্পতিবার রাতে ডিআরইউ চত্বরে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক দম্পতির একমাত্র সন্তান মাহির সরওয়ার মেঘ ও রুনির ভাই নওশের রোমান।
মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সরওয়ার ও তার স্ত্রী এটিএন বাংলার সিনিয়র রিপোর্টার মেহেরুন রুনিকে ২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি পশ্চিম রাজাবাজার এলাকায় তাদের নিজ অ্যাপার্টমেন্টে হত্যা করা হয়।
২ বছর আগে
সাংবাদিক সাগর-রুনি হত্যা: জড়িতদের বিচারের আওতায় আনার আহ্বান আর্টিকেল ১৯’র
সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনির ‘অমীমাংসিত হত্যা মামলা’ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা আর্টিকেল ১৯।
২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর রাজাবাজার এলাকায় নিজ অ্যাপার্টমেন্টে তাদের পাঁচ বছরের শিশু সন্তান মেঘের সামনে নির্মমভাবে হত্যা করা হয় এই সাংবাদিক দম্পতিকে।
বিশ্বব্যাপী মত প্রকাশের স্বাধীনতা ও তথ্য অধিকার (আরটিআই) নিয়ে কাজ করা আর্টিকেল ১৯ শুক্রবার এই মামলার তদন্ত কাজ বিলম্ব না করে সম্পন্ন করতে পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানায়।
আরও পড়ুন: সাগর-রুনি হত্যা: ৮৫ বার পেছালো মামলার তদন্ত প্রতিবেদন
আর্টিকেল ১৯ এর আঞ্চলিক পরিচালক ফারুক ফয়সাল বলেন, ‘এই অমীমাংসিত মামলাটি বিচারহীনতার সংস্কৃতির শক্তিশালী অস্তিত্বের একটি লজ্জাজনক উদাহরণ যা দেশের বিচার ব্যবস্থাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। যেখানে খুনিরা মুক্তভাবে থাকতে পারে। যেটা কিনা ইঙ্গিত করে সাংবাদিকদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং যে কোনো বিশৃঙ্খলার বিচার করতে রাষ্ট্র ব্যর্থ।’
তিনি বলেন, ‘এই হত্যা মামলার তদন্তের কোনো অগ্রগতি না হওয়াটা স্পষ্টতই সাংবাদিকদের নিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ।’
২ বছর আগে
সাগর-রুনি হত্যা: ৮৫ বার পেছালো মামলার তদন্ত প্রতিবেদন
৮৫ বারের মতো সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ পিছিয়েছে। আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি প্রতিবেদন দাখিলের পরবর্তী তারিখ ধার্য করেছেন আদালত।
সোমবার এ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ধার্য ছিল। কিন্তু এদিন মামলার তদন্ত সংস্থা র্যাব প্রতিবেদন দাখিল করেনি। এজন্য ঢাকার মহনগর হাকিম তরিকুল ইসলাম প্রতিবেদন দাখিলের নতুন এ তারিখ ঠিক করেন।
শেরেবাংলা নগর থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা সাব-ইন্সপেক্টর জালাল উদ্দিন এ তথ্য জানান।
আরও পড়ুন: সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ড: সন্দেহভাজন তানভীরের আবেদন কার্যতালিকা থেকে বাদ
মামলায় রুনির বন্ধু তানভীর রহমানসহ মোট আসামি আটজন। অন্য আসামিরা হলেন- বাড়ির নিরাপত্তাকর্মী এনাম আহমেদ ওরফে হুমায়ুন কবির, রফিকুল ইসলাম, বকুল মিয়া, মিন্টু ওরফে বারগিরা মিন্টু ওরফে মাসুম মিন্টু, কামরুল হাসান অরুন, পলাশ রুদ্র পাল, তানভীর ও আবু সাঈদ।
২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাতে রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারে সাংবাদিক দম্পতি মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সরওয়ার এবং এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রুনি নিজ ভাড়া বাসায় খুন হন। পরদিন ভোরে তাদের ক্ষত-বিক্ষত লাশ উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: সাগর-রুনি হত্যা মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি হবে বলে আশাবাদী আইজিপি
২ বছর আগে
সাগর-রুনি হত্যা: ৭৯ বারের মতো মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল পেছাল
আলোচিত সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ২১ এপ্রিল দিন ধার্য করেছে আদালত।
৩ বছর আগে
সাগর-রুনি হত্যা মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি হবে বলে আশাবাদী আইজিপি
সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলাটি দ্রুত নিষ্পত্তি হবে বলে মঙ্গলবার আশা প্রকাশ করেছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী।
৪ বছর আগে
সাগর-রুনি হত্যার রহস্য উদঘাটন না হলে র্যাবের সফলতা ম্লান হবে: হাইকোর্ট
সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যা মামলার প্রকৃত রহস্য উদঘাটন, দোষীদের চিহ্নিত ও গ্রেপ্তার করে বিচারের সম্মুখীন করতে না পারলে র্যাবের সফলতা ম্লান হবে বলে পর্যবেক্ষণ দিয়েছে হাইকোর্ট।
৪ বছর আগে