বাতি
এসি, বাতি বন্ধ রেখে সংসদীয় কমিটির বৈঠক
বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের জন্য শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র (এসি), এমনকি বৈদ্যুতিক বাতি ব্যবহার না করেই বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় কমিটি বৈঠক করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।
মঙ্গলবার সংসদ ভবনের মন্ত্রিপরিষদ কক্ষে সভা পরিচালনার জন্য বাইরে থেকে দিনের আলো যথেষ্ট ছিল বলে জানিয়েছেন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির চেয়ারপার্সন আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ওয়াসেকা আয়শা খান।
ওয়াসেকা দাবি করেছেন যে সভায় আইন প্রণেতারা এবং অন্যান্য অংশগ্রহণকারীরা এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন।
সংসদ সচিবালয় সূত্র বলেছে, কোনও লোডশেডিং না থাকা সত্ত্বেও গরমের মধ্যে এসি ও বাতি ছাড়া কোন কমিটির এটিই প্রথম বৈঠক।
তিনি বলেন, সভা পরিচালনার জন্য বাইরের দিনের আলোই যথেষ্ট ছিল।
কমিটি বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়কে বিভিন্ন সরকারি ভবনে এনার্জি অডিট করতে বলেছে।
আরও পড়ুন: বিদ্যুৎ সাশ্রয়: মঙ্গলবার থেকে দেশে দৈনিক এক ঘণ্টা লোডশেডিং
সভায় প্রধান বৈদ্যুতিক পরিদর্শন (সিইআই) দপ্তরের কার্যক্রম এবং দেশের সার্বিক বিদ্যুৎ ব্যবস্থাপনায় এর ভূমিকা নিয়ে আলোচনা হয়।
সংরক্ষিত মহিলা আসনের আওয়ামী লীগের সাংসদ ওয়াসেকা বলেন, প্রাথমিকভাবে সংসদীয় কমিটি একটি সরকারি ভবনে এনার্জি অডিট করতে বলেছে যেখানে এসি ব্যবহারের কারণে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বিদ্যুৎ খরচ হয়।
‘টেকসই এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সহায়তায় বিদ্যুৎ বিভাগকে অডিট পরিচালনা করতে বলা হয়েছে’, তিনি বলেন।
অডিট রিপোর্ট পাওয়ার পর এ বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নির্ধারণ করা হবে বলেও ওয়াসেকা উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, সংসদীয় কমিটি চায় বিদ্যুৎ সাশ্রয় ও পরিবেশ রক্ষার জন্য সব সরকারি ভবনগুলোকে জ্বালানি সাশ্রয়ী কাঠামোতে পরিণত করা হোক।
বৈঠকে দেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রকল্পের বিপরীতে গৃহীত বৈদেশিক ঋণ পরিশোধের পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা হয়। ক্যাপাসিটি চার্জ পরিশোধ সংক্রান্ত প্রতিবেদন কমিটিতে উপস্থাপন করা হয়।
কমিটি বিদ্যুৎকেন্দ্রের ঋণ ও ঋণের সুদ পরিশোধের জন্য প্রবিধান প্রণয়নের সুপারিশ করেছে।
আরও পড়ুন: বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের লক্ষ্যে আলোকসজ্জা না করার নির্দেশনা
গ্যাস ও বিদ্যুৎ ব্যবহারে মিতব্যয়ী হওয়ার আহ্বান নসরুল হামিদের
২ বছর আগে
পরীক্ষামূলক বাতি জ্বললো পদ্মা সেতুতে
পদ্মা সেতুতে পরীক্ষামূলক বাতি জ্বালানো হয়েছে। শনিবার বিকাল ৬টায় সেতুর ১৪ নম্বর পিলার থেকে ১৯ নম্বর পিলার পর্যন্ত মুন্সীগঞ্জ প্রান্তে কয়েকটি ল্যাম্পপোস্টে আলো জ্বলে ওঠে।
পদ্মা সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী দেওয়ান মো. আব্দুল কাদের বলেন, ‘পদ্মা সেতুর ল্যাম্পপোস্টের বাতি পরীক্ষা শুরু হয়েছে। মাত্র ১০-১২টি পরীক্ষা করা গেছে। সেতুর সব ল্যাম্পপোস্টের বাতি পরীক্ষা করতে ৫-৬ দিন সময় লাগবে।’
সূত্র জানায়, সেতুজুড়ে ৪১৫টি ল্যাম্পপোস্টে বাতি স্থাপন করা হয়েছে। এতে ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতু আলোকিত হবে। বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য মাওয়া প্রান্তে সেতুর প্রথম পিলার থেকে ৩ দশমিক সাড়ে ৭ কিলোমিটার বিদ্যুতের লাইন সংযুক্তের কাজ শেষ করেছে মুন্সীগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির লৌহজং জোনাল অফিস।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতুর উদ্বোধন: হাতিরঝিলে লেজার শো, ৬৪ জেলায় উদযাপন
অপরদিকে জাজিরা নাওডোবা প্রান্ত থেকে ৩ দশমিক সাড়ে ৭ কিলোমিটার সেতুতে বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়েছে শরীয়তপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি। সেতু কর্তৃপক্ষের অনুরোধে গত ৩০ মে পদ্মা সেতুতে বিদুৎ সংযোগের কাজ সমাপ্ত করেছে পদ্মার দুই পাশের জেলার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি।
৪১৫টি ল্যাম্পপোস্টের মধ্যে মূল সেতুতে রয়েছে ৩২৮টি, জাজিরা প্রান্তের উড়ালপথে (ভায়াডাক্ট) ৪৬টি এবং মাওয়া প্রান্তের ভায়াডাক্টে বসানো হয়েছে ৪১টি ল্যাম্পপোস্ট। গত ১৮ এপ্রিল এসব ল্যাম্পপোস্ট ও এর মধ্যে বাতি লাগানোর কাজ শেষ হয়। এরপর পুরো সেতুতে ক্যাবল টানা হয়েছে। গত বছর ২৫ নভেম্বর মুন্সীগঞ্জের মাওয়া প্রান্তে প্রথম ল্যাম্পপোস্ট বসানোর কাজ শুরু হয়েছিল।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতুর নাম চূড়ান্ত করে প্রজ্ঞাপন
২৫ জুন পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী
২ বছর আগে
বিদ্যুৎ সংযোগ আছে, তবু অন্ধকারে ধরলা সেতু
কুড়িগ্রাম, ২০ অক্টোবর (ইউএনবি)- লাইট আছে। সেতুর দু’দিকে সারিবদ্ধ পিলারও আছে। সেই পিলারে বিদ্যুৎ সংযোগ রয়েছে। তবু রাতের অন্ধকারে ঠায় দাঁড়িয়ে থাকে কুড়িগ্রাম জেলার ফুলবাড়ি উপজেলায় শেখ হাসিনা কুলাঘাট ধরলা সেতু।
৫ বছর আগে