ব্যয়
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহতদের চিকিৎসার ব্যয় বহন করবে সরকার: স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যেসকল ছাত্র-জনতা আহত হয়েছেন সরকারি হাসপাতালে তাদের বিনামূল্যে চিকিৎসাসহ যাবতীয় চিকিৎসা ব্যয় বহন করবে সরকার।
শনিবার (১৭ আগস্ট) এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ।
এতে বলা হয়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হতাহতদের ব্যাপারে অনুসন্ধান করতে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে একটি কমিটি গঠন করেছে। কমিটি কর্মপন্থা নির্ধারণে রবিবার(১৮ আগস্ট) বৈঠকে বসবে।
আরও পড়ুন: চার দফা দাবিতে 'প্রতিরোধ সপ্তাহ' ঘোষণা করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন
বিজ্ঞপ্তিতে বেসরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলোকেও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত ছাত্র-জনতার চিকিৎসা বিল গ্রহণ না করার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
প্রয়োজনে এ সকল বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছাত্র-জনতার সকল বিল সরকার বহন করবে বলেও জানানো হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।
আরও পড়ুন: মানুষের জন্য কল্যাণকর প্রকল্প নিয়ে কাজ করবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়
৪ মাস আগে
ডেঙ্গুরোগীর জন্য সরকারের ব্যয় ৫০ হাজার টাকা: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানিয়েছেন, ডেঙ্গু আক্রান্ত একজন রোগীর জন্য সরকারের গড়ে ৫০ হাজার টাকা ব্যয় হচ্ছে।
তিনি বলেন, সরকারি হাসপাতালে ডেঙ্গুর চিকিৎসা বিনামূল্যে দেওয়া হচ্ছে। চলতি মৌসুমে প্রায় ৪০০ কোটি টাকা ডেঙ্গু চিকিৎসায় ব্যয় করেছে সরকার।
আরও পড়ুন: প্রয়োজনে দেশের বাইরে থেকে স্যালাইন আনা হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
রবিবার (২৭ আগস্ট) বিকালে রাজধানীর শেরাটন হোটেলে ‘ডেঙ্গু মোকাবিলায় করণীয়’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় এ তথ্য জানান তিনি।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের সরকারি হাসপাতালে ৭০ শতাংশ রোগী চিকিৎসা নিয়েছে। আর বাকি ৩০ শতাংশ রোগী বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা নিয়েছে।
তিনি বলেন, সাধারণত দুই ধরনের ডেঙ্গুরোগী হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়। অনেকের প্লাটিলেট ও আইসিইউ প্রয়োজন হয়। আবার অনেকে শুধু ওষুধেই সুস্থ হয়ে যায়।
তিনি বলেন, চলতি মৌসুমে এখন পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ১২ হাজার ১৮৪ জন। তাদের মধ্যে চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১ লাখ ৩ হাজার ৪১১ জন। আর মৃত্যু হয়েছে ৫৩৭ জনের। এ ছাড়া এখনো হাসপাতালে ভর্তি ৮ হাজার ২৩৬ জন।
নারীদের ঝুঁকি প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এ বছর নারীরা আক্রান্ত কম হলেও মারা যাচ্ছেন বেশি। পুরুষের প্রায় দ্বিগুণ নারী মারা গেছেন। তারা চিকিৎসা নিতে দেরি করছেন বলেই তাদের মৃত্যু বেশি হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, দেশের মোট হাসপাতালে ভর্তি রোগীর মধ্যে পুরুষ রোগী ৬৫ শতাংশ। ডেঙ্গুতে মৃত্যু রোগীর ৬৫ শতাংশ নারী আর ৩৫ শতাংশ পুরুষ।
মন্ত্রী বলেন, ঢাকায় অর্ধেক বাইরে বাকি রোগী। ঢাকায় রোগী নিয়ন্ত্রণ করতে পারলে অর্ধেক রোগ কমাতে পারব।
আরও পড়ুন: করোনাভাইরাসের টিকা তৈরিতে বাংলাদেশকে সহায়তা করবে বিশ্বব্যাংক: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্যালাইন উৎপাদনে হিমশিম খাচ্ছে ওষুধ কোম্পানিগুলো: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
১ বছর আগে
একনেকে চতুর্থ এইচপিএনএসপি প্রকল্পের ব্যয় বাড়ল ৩০ হাজার ৪৪৯ কোটি টাকা
জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটিতে (একনেক) চতুর্থ স্বাস্থ্য, জনসংখ্যা ও পুষ্টি সেক্টর প্রোগ্রামের (চতুর্থ এইচপিএনএসপি) প্রথম সংশোধনীতে এর ব্যয় ৩০ হাজার ৪৪৮ কোটি ৬২ লাখ টাকা বেড়েছে এবং প্রকল্পের সময়সীমা এক বছর বাড়িয়ে ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত অনুমোদন করেছে।
একনেক সভায় মোট ১১টি উন্নয়ন প্রকল্প অনুমোদন করা হয়েছে যার সামগ্রিক প্রাক্কলন ব্যয় ৩৭ হাজার ৫০৭ কোটি টাকা (শুধুমাত্র চারটি সংশোধিত প্রকল্পের অতিরিক্ত ব্যয় গণনা)।
মঙ্গলবার রাজধানীর শেরে বাংলানগরের এনইসি সম্মেলনকক্ষে একনেক চেয়ারপার্সন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় এই অনুমোদন দেয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি সভায় যুক্ত হন।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।
মন্ত্রী বলেন, ‘আজকের বৈঠকে সাতটি নতুন ও চারটি সংশোধিত— মোট এগারটি প্রকল্প অনুমোদন করা হয়েছে এবং মোট আনুমানিক ব্যয় ৩৭ হাজার ৫০৭ কোটি ২২ লাখ টাকা।
আরও পড়ুন: জনগণ আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়ে আবারও ক্ষমতায় আনবে: শেখ হাসিনা
তিনি বলেন, ব্যয়ের মধ্যে ৩৬ হাজার ২৩ কোটি ৯১ লাখ টাকা সরকারি তহবিল থেকে, আর ৩৩ কোটি ৩৩ লাখ টাকা ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের তহবিল থেকে এবং বাকি এক হাজার ৪৪৯ কোটি ৯৮ লাখ টাকা প্রকল্প ঋণ হিসাবে বৈদেশিক উৎস থেকে আসবে।
পরিকল্পনা কমিশনের মতে, ৪র্থ এইচপিএনএসপি -এর খরচ মূল লেআউট থেকে ১৫ হাজার ৪৮৬ কোটি ৩৬ লাখ টাকা থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক লাখ ৪৫ হাজার ৯৩৪ কোটি ৯৯ লাখ টাকা।
নতুন সাতটি প্রকল্পের মধ্যে সবচেয়ে বড়টি হচ্ছে ‘শেখ হাসিনা ইনস্টিটিউট অব ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজির জন্য প্রাথমিক অবকাঠামো নির্মাণ’ প্রকল্প, যা মাদারীপুরের শিবচরে বাস্তবায়িত হবে।
আইসিটি বিভাগের অধীনে বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ দেশের প্রথম সীমান্ত প্রযুক্তি-ভিত্তিক বিশেষায়িত ইনস্টিটিউট গড়ে তোলার লক্ষ্যে ২০২৬ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার প্রত্যাশা প্রধানমন্ত্রীর
প্রধান প্রকল্প কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে ৭০ দশমিক ৩৪ একর জমি অধিগ্রহণ ও উন্নয়ন, আইওটি, বিগ ডেটা বা ডেটা সায়েন্স, ফরেনসিক বা সাইবার সিকিউরিটি, মেশিন লার্নিং, ব্লক চেইন এবং চিপ ডিজাইন, সাত হাজার ৭৪২-বর্গ মিটার নির্মাণসহ বিভিন্ন প্রয়োজনীয় বিষয়ে উচ্চতর প্রশিক্ষণ প্রদান। প্রশাসনিক ভবন, ৪৩ হাজার ২৮৭-বর্গ মিটার গবেষণা উন্নয়ন ভবন এবং এছাড়াও বিজনেস সেন্টার এবং ৯ হাজার ৭৬০-বর্গ মিটার ডরমিটরি এবং আট হাজার ৮০০-বর্গ মিটার গ্যালারিসহ ফুটবল মাঠ।
অন্য ছয়টি নতুন প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে -মোংলা কমান্ডার ফ্রোটিলা ওয়েস্ট (কমফ্লোট ওয়েস্ট)-এর অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা এবং ময়মনসিংহ (ত্রিশাল) মিলিটারি ফার্ম আধুনিকায়ন প্রকল্প, বাংলাদেশের ১০টি অগ্রাধিকার ভিত্তিক শহরে সমন্বিত স্যানিটেশন ও হাইজিন প্রকল্প, ঢাকা পানি সরবরাহ নেটওয়ার্ক উন্নয়ন প্রকল্প, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের অধিভুক্ত এলাকায় বর্জ্য অপসারণ ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্প, সড়ক মেরামতে ব্যবহৃত আধুনিক যান-যন্ত্রপাতি সংগ্রহ এবং ম্যাকানাইজড পার্কিং স্থাপনের মাধ্যমে যানজট নিরসন প্রকল্প; ঢাকার আজিমপুরস্থ মাতৃসদন ও শিশু স্বাস্থ্য প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানে কর্মরত চিকিৎসক, কর্মকর্তা, সিনিয়র স্টাফ নার্স ও প্রশিক্ষণার্থীদের জন্য হোস্টেল বা ডরমিটরি নির্মাণ প্রকল্প।
সভায় অনুমোদিত অন্য তিনটি সংশোধিত প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে আশুগঞ্জ নদীবন্দর-সরাইল-ধরখার-আখাউড়া স্থলবন্দর মহাসড়ককে চার লেনে উন্নীতকরণ, গোপালগঞ্জ জেলার গুরুত্বপূর্ণ গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন এবং ঢাকা ওয়াটার সাপ্লাই নেটওয়ার্ক আপগ্রেড করা।
ব্রিফিংয়ের সময় পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম,পরিকল্পনা সচিব প্রদীপ রঞ্জন চক্রবর্তী, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য মামুন-আল-রশীদ, মোসাম্মৎ নাসিমা বেগম উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: হতাশাবাদীদের পেছনে ফেলে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী
২ বছর আগে
মংলা-খুলনা রেললাইন প্রকল্প: ১০ বছরেও কাজ শেষ হয়নি, ব্যয় বেড়েছে ১২১ শতাংশ
মংলা বন্দর থেকে সড়কপথে যোগাযোগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে খুলনা পর্যন্ত ৬৫ কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণ প্রকল্প নেয়া হয় ২০১০ সালে। শুরুতে তিন বছরের মধ্যে ওই প্রকল্পের সকল কাজ শেষ করার সময় নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু চলতি বছরের জুলাই পর্যন্ত তিন দফা সময় বাড়িয়ে ১০ বছরেও শেষ হয়নি চলমান রেলপথ নির্মাণ প্রকল্পটি।
৪ বছর আগে