কাজ
উন্নয়নমূলক কোনো কাজ বন্ধ করা হবে না: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
নৌপরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, উন্নয়নমূলক কোনো কাজ বন্ধ করা হবে না। নির্মাণ কাজ ধীরগতিতেও চলবে না। ধীরগতিতে কাজ চললে ব্যয় বেড়ে যাবে।
তিনি বলেন, কোনো কারণে হয়তো অনেকে ভাবছেন কাজ বন্ধ হয়েছে, কিন্তু কাজ বন্ধ হয়নি। এটি অর্থনৈতিক কার্যক্রম এটি কোনো রাজনৈতিক বিষয় নয়।
আরও পড়ুন: বন্যা প্রতিরোধে পরিকল্পিতভাবে বাঁধ নির্মাণ করা হবে: উপদেষ্টা
সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) পায়রা বন্দর পরিদর্শন শেষে এক মতবিনিময় সভায় উপদেষ্টা সাখাওয়াত এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের কোনো কাজ বন্ধ হয়নি। এছাড়া বিআইডব্লিউটিসি অনেক জাহাজ কিনেছে। যা এখন চালাতে পারছেন না তারা। তাই চিন্তা করা হচ্ছে অপারেটরদের দেওয়ার জন্য।
আরও পড়ুন: প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সেনাপ্রধানের সাক্ষাৎ
তিনি আরও বলেন, এক নদীর ওপর ৫টি সেতু। যেই নদীতে সেতুর প্রয়োজন সেখানে তদবির করার মতো কেউ নেই, তাই সেতু হচ্ছে না।
এসময় উপস্থিত ছিলেন পায়রা বন্দর চেয়ারম্যান রিয়াল অ্যাডমিরাল আব্দুল্লাহ আল মামুন চৌধুরীসহ বন্দরের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: দুর্গাপূজা উপলক্ষে ভারতের ‘বিশেষ অনুরোধে’ ইলিশ রপ্তানির অনুমতি: মৎস্য উপদেষ্টা
১ মাস আগে
বাংলাদেশের বর্তমান সরকারের সঙ্গে কাজ করবে দিল্লি
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেছেন, তারা বাংলাদেশের বর্তমান সরকারের সঙ্গে কাজ করবেন।
তিনি বলেন, 'এটা স্বাভাবিক যে আমরা এই সরকারের সঙ্গে কার্যক্রম চালাব।’
তিনি বলেন, তাদের স্বীকার করতে হবে যে রাজনৈতিক পরিবর্তন হয়েছে এবং রাজনৈতিক পরিবর্তনগুলোর কারণে কাজ ব্যাহত হতে পারে।
জয়শঙ্কর বলেন, ‘এখানে স্পষ্টতই আমাদেরকে পারস্পরিক স্বার্থের দিকে নজর দিতে হবে।’
রাজীব সিক্রির লেখা 'স্ট্র্যাটেজিক কনড্রামস: রিশেপিং ইন্ডিয়া'স ফরেন পলিসি' বইয়ের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
জয়শঙ্কর বলেন, সবাই অবগত আছেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর থেকে দুই দেশের সম্পর্ক ঊর্ধ্বমুখী ও নিম্নমুখী হয়েছে।
আরও পড়ুন: ভারতে যাওয়ার সময় পঞ্চগড় সীমান্তে ৯ বাংলাদেশি আটক
২ মাস আগে
ভয় না পেয়ে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধে কাজ করুন: অর্থ উপদেষ্টা
মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ ও পাচারকৃত অর্থ ফিরিয়ে আনতে কর্মকর্তাদের নির্ভীকভাবে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ।
বুধবার (১৪ আগস্ট) সচিবালয়ে অর্থ পাচার প্রতিরোধ সংক্রান্ত জাতীয় সমন্বয় কমিটির সভায় অর্থ উপদেষ্টা এই নির্দেশ দেন।
তিনি বলেন, 'দেশের স্বার্থে কাজ করলে কর্মকর্তাদের ভয় পাওয়ার কিছু নেই।’
আরও পড়ুন: বিএসইসির নতুন চেয়ারম্যান মাসরুর রিয়াজ
প্রায় দুই বছর পর এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুরসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থা ও বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
পরে অর্থ উপদেষ্টা সাংবাদিকদের বলেন, ‘কোথায়, কীভাবে টাকা পাচার হয়েছে তা আমরা খুঁজে বের করব। বিদেশ থেকে টাকা ফিরিয়ে আনতে আমরা কাজ করব।’
এক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও আইন সংক্রান্ত বিষয় রয়েছে। আজকের বৈঠকে এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: আসাদুজ্জামানের ব্যাংক হিসাবের লেনদেন বন্ধের নির্দেশ বিএফআইইউর
৩ মাস আগে
স্টারমারের নেতৃত্বে যুক্তরাজ্যের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার প্রত্যাশা প্রধানমন্ত্রীর
নবনির্বাচিত ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী স্যার কেয়ার স্টারমারকে অভিনন্দন জানিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এক চিঠিতে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, জলবায়ু ও কৌশলগত অংশীদারিত্ব আরও জোরদার করতে স্টারমারের যোগ্য নেতৃত্বে লেবার পার্টির নতুন সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার অপেক্ষায় রয়েছে তার সরকার।
আরও পড়ুন: পরাজয় মেনে প্রধানমন্ত্রীর শেষ ভাষণ দিয়ে ১০ ডাউনিং স্ট্রিট ছেড়েছেন সুনাক
প্রধানমন্ত্রী চিঠিতে বলেন, 'সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, ৭ লাখেরও বেশি প্রাণবন্ত ও উদ্যোগী বাংলাদেশি-ব্রিটিশ প্রবাসীর অমূল্য অবদান আমাদের দুই দেশের কল্যাণে একসঙ্গে কাজ লাগাতে হবে।’
লন্ডনের বাংলাদেশ হাইকমিশন থেকে যুক্তরাজ্যের নবনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রীর কাছে এ চিঠি পাঠানো হয়েছে।
যুক্তরাজ্যে গত ৪ জুলাই অনুষ্ঠিত নির্বাচনে স্টারমারের দলের ঐতিহাসিক বিজয় এবং যুক্তরাজ্য ও উত্তর আয়ারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তার দায়িত্বভার গ্রহণে বাংলাদেশ সরকার ও জনগণের আন্তরিক অভিনন্দন জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আরও পড়ুন: যুক্তরাজ্যের নতুন প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টারমার
শেখ হাসিনা বলেন, 'দেশকে অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে এবং বিশ্বব্যাপী শান্তির প্রচারে আপনার নেতৃত্বের প্রতি ব্রিটিশ জনগণের বিশ্বাস ও বিশ্বাসের স্পষ্ট প্রমাণ এই জয়।’
১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশের স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার দল আওয়ামী লীগের সঙ্গে লেবার পার্টি ও দলের স্যার হ্যারল্ড উইলসন, টমাস উইলিয়ামস কেসি ও লর্ড পিটার শোরের মতো শ্রেষ্ঠ নেতাদের স্থায়ী বন্ধুত্বের কথা স্মরণ করেন প্রধানমন্ত্রী। প্রকৃতপক্ষে গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও প্রগতিশীল আকাঙ্ক্ষার সাধারণ মূল্যবোধের ওপর প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্য সম্পর্ক।
চিঠিতে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, 'আমি আপনার স্বাস্থ্য, সুখ ও সাফল্য কামনা করছি এবং এই মহান দায়িত্ব ও যুক্তরাজ্যের বন্ধুপ্রতীম জনগণের শান্তি, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি কামনা করছি।’
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতু দেশকে বিশ্বে মর্যাদার আসনে প্রতিষ্ঠিত করেছে: প্রধানমন্ত্রী
৪ মাস আগে
‘মুক্তিযুদ্ধের বুনিয়াদ ঠিক রেখে কাজ করতে হবে’
মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশের যে বুনিয়াদ, সেটি ঠিক রেখে রাষ্ট্রের প্রতি সর্বোচ্চ আনুগত্য নিয়ে কাজ করার জন্য সরকারি কর্মকর্তাদের আহ্বান জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।
মঙ্গলবার বিকালে সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ৪১ তম বিসিএস (তথ্য) ক্যাডারে যোগদান করা কর্মকর্তাদের পরিচিতি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: নারীর জন্য বিনিয়োগ বাড়াতে হবে: ডিক্যাব আয়জনে রুমানা আলী
তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, যে চিন্তা-চেতনা ও আদর্শ সামনে রেখে বাংলাদেশের জন্ম, সেটার প্রতি আমাদের সবার আনুগত্য থাকা বাঞ্ছনীয়। বাংলাদেশের সংজ্ঞা তৈরি হয়ে গেছে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে। এ স্বাধীন দেশে ৩০ লাখ শহিদ ও দুই লাখ নির্যাতিতা মা-বোনের সম্ভ্রমের উপর দাঁড়িয়ে যে সংজ্ঞা নির্ধারণ হয়েছে, সেই সংজ্ঞার উপর আমাদের অটল থাকতে হবে। এই মূল জায়গায় অর্থাৎ বাংলাদেশ প্রশ্নে, বাংলাদেশের জন্মের প্রশ্নে কোনো আপস করা যাবে না। এটিকে দলীয় রাজনীতির ঊর্ধ্বে চিন্তা করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, রাষ্ট্র, দেশ সবার আগে। রাষ্ট্রের স্বার্থ সংরক্ষণ সরকারি কর্মকর্তাদের মূল দায়িত্ব। তবে গণতান্ত্রিক একটি রাষ্ট্র কাঠামোতে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন দল ভিন্ন ভিন্ন রাজনৈতিক দর্শন নিয়ে সরকার গঠন করে। সে দলের যে ভিশন বা ইশতেহার থাকবে সেটা বাস্তবায়নের একটা দায়বদ্ধতা অবশ্যই থাকতে হবে। তবে আইন-কানুন, বিধি ও পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করা সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সরকারের যেকোনো পর্যায়ে স্বজনপ্রীতির ঊর্ধ্বে উঠে পেশাদারিত্বের সঙ্গে ন্যায্যতার সঙ্গে সিদ্ধান্ত নেওয়া জরুরি। একইসঙ্গে দেশের স্বার্থে আপসহীন দৃষ্টিভঙ্গি থাকা দরকার। নতুন করে যোগ দেওয়া্ কর্মকর্তাদের এ বিষয়গুলো অনুশীলনের মাধ্যম শিখতে হবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, যারা সরকারি চাকরিতে নিয়োগ পেয়েছে তারা প্রজাতন্ত্রের সেবক হয়ে গেছে। রাষ্ট্রের মালিকপক্ষ অর্থাৎ জনগণের সেবক হয়ে গেছে। সে চিন্তা ধারা নিয়ে নবীন কর্মকর্তাদের কাজ করতে হবে। যেকোনো প্রতিষ্ঠানে শৃঙ্খলা খুবই জরুরি। নবীন কর্মকর্তাদের প্রাতিষ্ঠানিক শৃঙ্খলা ও পদক্রমিক শৃঙ্খলা বজায় রাখতে হবে।
তিনি আরও বলেন, যেকোনো প্রতিষ্ঠানে শৃঙ্খলা খুবই জরুরি। নবীন কর্মকর্তাদের প্রাতিষ্ঠানিক শৃঙ্খলা ও পদক্রমিক শৃঙ্খলা বজায় রাখতে হবে।
তিনি বলেন, প্রশাসনিক কাজের মধ্যে দলীয় দৃষ্টিভঙ্গি থাকা যাবে না কিন্তু সরকারের ভিশন বাস্তবায়নে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ থাকতে হবে।
এই সুন্দর সমন্বয় করাটা সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য খুবই জরুরি।
পরিচিতি অনুষ্ঠান শেষে ৪১তম বিসিএস (তথ্য) ক্যাডারে নবযোগদানকৃত ৪০ জন কর্মকর্তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: জুনের মধ্যে তৃতীয় ধাপে ১০ হাজার প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ সম্পন্ন হবে: রুমানা আলী
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তৃতীয় ওয়ানডে: লিটন বাদ, ডাক পেলেন জাকের আলী
৬ মাস আগে
যারা জনকল্যাণে নীরবে কাজ করে তাদের সম্মান জানাই: প্রধানমন্ত্রী
দেশের বিভিন্ন স্থানে যারা নীরবে মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছেন তাদের খুঁজে বের করে ও সম্মান জানাতে সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘দেশের গ্রাম ও শহরাঞ্চলে অনেক নিবেদিতপ্রাণ মানুষ রয়েছেন। আমি আপনাদের কাছে আহ্বান জানাব, আপনারা এমন নিবেদিতপ্রাণ মানুষদের খুঁজে বের করুন, যারা নিজেদের জন্য নয়, মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছেন। তারা কখনও প্রচারে আসতে পারে না বা প্রচারে আসতে চায় না।’
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে শেখ হাসিনার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন ভুটানের রাজা
দেশের জন্য গৌরবোজ্জ্বল ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ১০ জন বিশিষ্ট ব্যক্তিকে স্বাধীনতা পুরস্কার-২০২৪ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এই আহ্বান জানান।
সোমবার (২৫ মার্চ) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তি বা তাদের পরিবারের সদস্যদের হাতে সর্বোচ্চ বেসামরিক পদক তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটা খুবই ভালো বিষয় হবে যদি সবাই নিজস্ব উদ্যোগে জনগণের কল্যাণে কাজ করে যাওয়া ব্যক্তিদের খুঁজে বের করে পুরস্কৃত করার চেষ্টা করে এবং তাদেরকে পুরস্কৃত করা যায়। তিনি বলেন, 'এক্ষেত্রে আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করে যাচ্ছি।’
বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের জন্য স্বাধীনতা পুরস্কার-২০২৪ প্রাপ্ত সকলকে অভিনন্দন জানান তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, 'আমি বিশ্বাস করি, এই পুরস্কার প্রদানের মাধ্যমে (ভালো কাজের স্বীকৃতি দেখে) অনেক মানুষ দেশ ও জনগণের কল্যাণে কাজ করতে অনুপ্রাণিত হবে।’
স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য মুক্তিযোদ্ধা কাজী আবদুস সাত্তার বীর প্রতীক, মুক্তিযোদ্ধা ফ্লাইট সার্জেন্ট মো. ফজলুল হক (মরণোত্তর) এবং মুক্তিযোদ্ধা শহীদ আবু নাঈম মো. নজিব উদ্দিন খান (খুররম) (মরণোত্তর) স্বাধীনতা পদক পেয়েছেন।
আরও পড়ুন: স্বাধীনতা পদক-২০২৪ প্রদান করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে অবদানের জন্য ড. মোবারক আহমদ খান এবং চিকিৎসায় অবদানের জন্য ডা. হরিশঙ্কর দাস পদকে ভূষিত হয়েছেন।
সংস্কৃতি ও ক্রীড়ায় অবদানের জন্য মোহাম্মদ রফিকুজ্জামান ও ফিরোজা খাতুনকে এ সম্মাননা দেওয়া হয়।
সমাজসেবা ক্যাটাগরিতে অরণ্য চিরণ, মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ড. মোল্লা ওবায়দুল বাকী ও এস এম আব্রাহাম লিংকনকে স্বাধীনতা পদক দেওয়া হয়।
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে পুরস্কারপ্রাপ্তদের পক্ষ থেকে রফিকুজ্জামান তার অনুভূতি ব্যক্ত করেন।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে পুরস্কারপ্রাপ্তদের সংক্ষিপ্ত জীবনীসহ গুরুত্বপূর্ণ উদ্বৃতি পাঠ করা হয়।
১৯৭৭ সাল থেকে ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ প্রতিবছর ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে এই সম্মাননা পদক দিয়ে আসছে।
আরও পড়ুন: আজ সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী
৭ মাস আগে
ঢাকা বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনালের কাজ শেষ হবে ৫ এপ্রিলের মধ্যে
বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন প্রকল্প হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনালের কাজ চলতি বছরের ৫ এপ্রিলের মধ্যে শতভাগ সম্পন্ন হবে। আশা করা হচ্ছে আগামী অক্টোবর থেকে পুরোদমে এই টার্মিনালের কার্যক্রম শুরু হবে। এটি দেশের বিমান অবকাঠামোর সম্প্রসারণ ও আধুনিকীকরণের একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত।
তৃতীয় টার্মিনালের কাজ শেষ হলে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের কাছে থেকে টার্মিনালের দায়িত্ব বুঝে নেবে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)। এরপর শুরু হবে পুরোনো টার্মিনাল থেকে নতুন টার্মিনালে স্থানান্তরে অপারেশন রেডিনেন্স অ্যান্ড এয়ারপোর্ট ট্রান্সফার (ওআরএটি) প্রকল্পের কাজ।
আরও পড়ুন: থার্ড টার্মিনালের ৬০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন: বিমান প্রতিমন্ত্রী
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের প্রকল্প পরিচালক এ কে এম মাকসুদুল ইসলাম ইউএনবিকে বলেন, তৃতীয় টার্মিনালের সিভিলসহ সব ধরনের কাজ প্রায় শেষ। অল্প কিছু যা বাকী রয়েছে তা নির্ধারিত সময় অর্থাৎ আগামী এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহেই শেষ হবে। এরপর টার্মিনালটি বুঝে নিবে বেবিচক।
তিনি বলেন, সিডিউল অনুযায়ী আগামী ৫ এপ্রিল তৃতীয় টার্মিনালের সব কাজ শেষ হওয়ার সময় নির্ধারিত। ৬ এপ্রিল থেকে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান থেকে টার্মিনালটি বুঝে নেবে বেবিচক। বেবিচকের ব্যবস্থাপনায় আগামী অক্টোবর থেকে টার্মিনালটি পুরোদমে চালু করতে কাজ চলছে। এজন্য অপারেশন রেডিনেন্স অ্যান্ড এয়ারপোর্ট ট্রান্সপার (ওআরএটি) বিষয়ক একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে। এরই মধ্যে সিস্টেম ইন্টিগ্রেশন ও ক্যালিবেরেশনের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। যা একাধিক যাচাই বাছাইয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে।
আরও পড়ুন: হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনাল: ৭ অক্টোবর উদ্বোধনের প্রস্তুতি প্রায় শেষ
৮ মাস আগে
কর্মকর্তাদের কাজের গতি বাড়ানোর তাগিদ আইনমন্ত্রীর
নিজ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের কাজের গতি বাড়িয়ে দ্রুত সেবা দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন আইন, বিচারক ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক।
এছাড়া আইনমন্ত্রী মামলা জট কমাতে উচ্চ আদালত ও অধঃস্তন আদালতের সঙ্গে সমন্বয় বাড়ানোসহ জেলা লিগ্যাল এইড অফিসের বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি কার্যক্রমকে জোরদার করতে বলেছেন।
মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) সচিবালয়ে টানা তৃতীয়বারের মতো আইন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পাওয়ার পর চলমান কাজের অগ্রগতি জানতে ও নতুন কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণ করতে আইন ও বিচার বিভাগের সর্বস্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে একটি সভা করেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
আরও পড়ুন: সংশোধিত শ্রম আইন আগামী অধিবেশনে পাস হবে: আইনমন্ত্রী
আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ারের সঞ্চালনায় সভায় মন্ত্রণালয়ের অধীন প্রত্যেক দপ্তর ও সংস্থার প্রধানরা নিজ নিজ দপ্তর বা সংস্থার কাজের অগ্রগতি, সমস্যা, সাফল্য ও সম্ভাবনার কথা তুলে ধরেন।
এরপর আইনমন্ত্রী তার দিক-নির্দেশনামূলক বক্তব্যে কর্মকর্তাদের দাপ্তরিক সমস্যাগুলো দ্রুত সমাধানের আশ্বাস দিয়ে নিজ নিজ দপ্তরের কাজের গতি বাড়াতে বলেন। চলমান কাজগুলো দ্রুত শেষ করার পরামর্শ দেন তিনি।
এসময় মামলাজট কমাতে বিচার বিভাগের সক্ষমতা বাড়ানোর বেশ কিছু কর্মপরিকল্পনার কথা তুলে ধরেন আইনমন্ত্রী।
নতুন আদালত ভবন নির্মাণ, পুরাতন আদালতভবন ঊর্ধমুখী সম্প্রসারণ, দক্ষতা উন্নয়নে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম জোরদারকরণ ও ন্যাশনাল জুডিশিয়াল একাডেমি প্রতিষ্ঠার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: দেশের আদালতে দণ্ডিত সবাইকে ফিরিয়ে আনা হবে: আইনমন্ত্রী
তিনি বলেন, ই- জুডিশিয়ারি প্রকল্প বাস্তবায়ন করা গেলে বিচারকার্যের গতি বাড়বে। ফলে মামলা জট কমবে। তাই অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে।
ফৌজদারি কার্যবিধি ও দেওয়ানি কার্যবিধির সংশোধন ও বাংলা অনুবাদের খসড়া তৈরির জন্য গঠিত কমিটিকে আগামী তিন মাসের মধ্যে খসড়া তৈরির নির্দেশ দেন তিনি।
প্রতি দুই মাসে একবার সমন্বয় সভা করে দপ্তর/সংস্থার কাজের অগ্রগতি মূল্যায়ন করার কথাও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: সৌদি রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে আইনমন্ত্রীর বৈঠক
৯ মাস আগে
চট্টগ্রামে স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে কাজ করায় ২ পুলিশ কর্মকর্তা প্রত্যাহার
চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়ায়) সংসদীয় আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার অভিযোগে পটিয়া থানার দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
সোমবার (১ জানুয়ারি) তাদের প্রত্যাহার করে জেলা পুলিশ লাইনে যুক্ত করা হয়েছে।
প্রত্যাহারকৃত কর্মকর্তারা হলেন- উপপরিদর্শক সঞ্জয় ঘোষ ও সহকারী উপপরিদর্শক মো. জিয়াউল হক জিয়া।
এর আগে পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নেজাম উদ্দিনকে একই অভিযোগে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
পটিয়া থানার বর্তমান ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জসীম উদ্দিন দুই কর্মকর্তাকে প্রত্যাহারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, গত ২৯ ডিসেম্বর নৌকা প্রতীকের প্রার্থী দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী প্রধান নির্বাচন কমিশনার বরাবরে পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) মো. সোলাইমান, এসআই সঞ্জয় ঘোষ, মো. আসাদুর রহমান, রতন কান্তি দে, আকরাম হোসেন সুমন, শিমুল চন্দ্র দাস, জিয়া উদ্দিন, এএসআই মো. ফয়েজ আহমদ, এএসআই অনুপ কুমারের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন।আরও পড়ুন: কুমারখালীতে পাঁচটি নির্বাচনী কার্যালয় অপসারণ, জরিমানা
তারা স্বতন্ত্র প্রার্থী সামশুল হক চৌধুরীর পক্ষ নিয়ে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের নেতাকর্মী ও জনপ্রতিনিধিদের ঘরে ঘরে গিয়ে বিভিন্নভাবে হয়রানি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন বলে অভিযোগ ওঠে।
পটিয়ায় নৌকার নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান আ.ক.ম. শামসুজ্জামান চৌধুরী জানিয়েছেন, দলীয় নেতা-কর্মীদের মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করার কারণে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী নিজেই ওসি (তদন্ত)সহ আটজনের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ করেন।
এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে এসআই ও এএসআইকে প্রত্যাহার করা হয়েছে বলে জানান তিনি। সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে পটিয়া থেকে ওসি (তদন্ত) মো. সোলাইমানসহ যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে। তাদেরকেও দ্রুত প্রত্যাহার করার দাবি জানান আওয়ামী লীগের এই নেতা।
আরও পড়ুন: নির্বাচন সুষ্ঠু না হলে সরকার আন্তর্জাতিক সংকটে পড়বে: তৈমুর
১০ মাস আগে
সিলেটবাসীর উন্নয়নে কাজ করেছি, আবারও তারা আমাকে ভোট দেবেন: মোমেন
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, সিলেটবাসীর উন্নয়নের লক্ষ্যে আমি কাজ করেছি। জনগণের জন্য কাজ করেছি। তাই আবারও তারা আমাকে ভোট দিয়ে তাদের প্রতিনিধি হিসেবে সংসদে পাঠাবেন।
তিনি বলেন, আরও অনেক প্রকল্প বাস্তবায়নের পরিকল্পনা আছে। আগামীতে সেগুলো বাস্তবায়ন করতে চাই।
বুধবার (২৯ নভেম্বর) সিলেট-১ আসনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
বুধবার দুপুর ১২টায় সিলেট জেলা প্রশাসন কার্যালয়ে রিটানিং কর্মকর্তার কাছে তিনি মনোনয়নপত্র জমা দেন।
মনোনয়নপত্র গ্রহণ করেন জেলা রিটানিং অফিসার ও সিলেটের জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান।
পরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সিলেট সদর উপজেলা কার্যালয়ে সহকারী রিটানিং অফিসে যান।
আরও পড়ুন: নির্বাচনের পর যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে সমর্থন করবে: মোমেন
এসময় উপস্থিত ছিলেন সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন খান, সিটি করপোরেশনের মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আজাদুর রহমান আজাদ ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তিগত কর্মকর্তা শফিউল আলম জুয়েল।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সারাদেশে এখন নির্বাচনী জোয়ার বইছে। নির্বাচন কমিশন ও সরকার একটি সুষ্ঠু ও সুন্দর নির্বাচনের জন্য অঙ্গীকারাবদ্ধ। উৎসবমুখর পরিবেশেই আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। জনগণ ভোটকেন্দ্রে যাবে এবং স্বাধীনভাবে নিজেদের প্রতিনিধি নির্বাচন করবে।
আরও পড়ুন: পারস্পরিক সহমর্মিতা-বিশ্বাসের উপর ভিত্তি করে দেশকে এগিয়ে নিতে হবে: মোমেন
ড. মোমেন বলেন, আমি বিরোধী দলকে আহ্বান জানাব জ্বালাও-পোড়াও না করে, সম্পদ ধ্বংস না করে নির্বাচনে আসুন, জনসমর্থন প্রমাণ করুন।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা ও আমার দলীয় নেতা-কর্মীদের কাছে আমি কৃতজ্ঞ যে তারা আমার ওপর আস্থা রেখেছেন। দেশের মানুষ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের রাজনীতি অব্যাহত রাখতে বদ্ধপরিকর। তাই অবরোধ-হরতালের মতো ধ্বংসাত্মক রাজনীতি তারা পরিহার করেছেন।
এ সময় নিজের জয়ের ব্যাপারেও দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেন ড. মোমেন।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগ আবারও বিজয়ী হবে আশাবাদ পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেনের
১১ মাস আগে