রোহিঙ্গা সংকট
রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে পূর্ব তিমুরের প্রেসিডেন্টের সহায়তার আশ্বাস
বাংলাদেশের রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে পূর্ব তিমুরের প্রেসিডেন্ট জোসে রামোস হোর্তা সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
রবিবার (১৫ ডিসেম্বর) দুপুরে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘কিছু দিনের মধ্যে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর জোট অ্যাসোসিয়েশন অব সাউথইস্ট এশিয়ান নেশনসের (আসিয়ান) সদস্য হবে পূর্ব তিমুর। রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে দেশটি আমাদের পাশে থেকে সহযোগিতা করবে বলে প্রেসিডেন্ট রোমেস আশ্বস্ত করেছেন।’
এ সময় ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রশংসা করে জোসে রামোস হোর্তা বলেন, ‘ড. মুহাম্মদ ইউনূসের শতাধিক ডিগ্রি রয়েছে যা বিস্ময়কর। পৃথিবীতে সম্ভবত তিনি একমাত্র নেতা, যিনি এত সম্মানিত এবং এমন শক্তিশালী অ্যাকাডেমিক যোগ্যতা রয়েছে।’
আরও পড়ুন: সংশোধিত ড্যাপ বাতিলের দাবি আবাসন ব্যবসায়ীদের, আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত হবে মনে করছেন পরিকল্পনাবিদরা
পূর্ব তিমুরের প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আমাদের সম্পর্কে সূচনা হয়েছে। সামনের দিনে আমরা বাংলাদেশের সঙ্গে অর্থনীতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও বাড়াতে আগ্রহী।’
এরপর পূর্ব তিমুর ও বাংলাদেশের মধ্যে একটি চুক্তি ও একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে দুদেশের ডিপ্লোম্যাটিক ও অফিশিয়াল পাসপোর্ট হোল্ডারদের মধ্যে ভিসা অব্যাহতি চুক্তি এবং দ্বিপাক্ষিক পরামর্শ-সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক।
এদিন সকালে পূর্ব তিমুরের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। এ সময় পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনা করেন তারা।
রাজধানীর একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে দুই দেশের সম্পর্ক আরও গভীর করার উপায় নিয়ে আলোচনা হয়।
ঢাকায় অবস্থানকালে দুই দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদারের লক্ষ্যে একাধিক সভা ও অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে জোসে রামোস হোর্তার।
আরও পড়ুন: ড্যাপ ও ইমারত নির্মাণ বিধিমালায় সংশোধন চান আবাসন খাতের ব্যবসায়ীরা
৩ দিন আগে
‘রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে আলোচনায় প্রত্যাশিত অগ্রগতি নেই’
রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে ভারত ও চীন কেন প্রত্যাশিত উপায়ে এগিয়ে আসছে না তার ব্যাখ্যা দিয়েছেন পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। এর সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যায় তিনি বলেন, শুধু বাংলাদেশ নয়, এই অঞ্চল এবং এর বাইরেও একটি সম্ভাব্য হুমকি রয়েছে।
তিনি বলেন,'আলোচনার প্রক্রিয়ার শেষে কোনো ফলাফল নেই এবং আমি মনে করি না যে এটি (রোহিঙ্গা ইস্যু) খুব দ্রুত এবং সহজে সমাধান হতে যাচ্ছে।'
তিনি বলেন, প্রতিটি দেশেরই নিজস্ব স্বার্থ রয়েছে এবং বাংলাদেশ পরিস্থিতির শিকার হয়েছে।
শনিবার (১৬ নভেম্বর) ঢাকার একটি হোটেলে বে অব বেঙ্গল কনভারসেশনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তব্য দেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
বাংলাদেশ বর্তমানে কক্সবাজার ও ভাসানচরে ১৩ লাখের বেশি রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিচ্ছে।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে জরুরি আন্তর্জাতিক সম্মেলন চান অধ্যাপক ইউনূস
ভারত ও চীনের ভূমিকা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে হোসেন বলেন, তিনি কাউকে দোষ দিচ্ছেন না, কারণ সবাই নিজের স্বার্থ দেখে।
উপদেষ্টা বলেন, কিন্তু এতে রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশের স্বার্থ এবং যার কারণে বিষয়টি দীর্ঘায়িত হয়েছে এবং প্রক্রিয়ার শেষে কোনো ফলাফল নেই বলে মনে হয় না।
তিনি বলেন, এই সমস্যার সমাধান না হলে এটি বাকি বিশ্বের জন্য একটি সমস্যা হয়ে দাঁড়াবে।
হোসেন বলেন, রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে বাংলাদেশ তার প্রধান প্রতিবেশী দেশগুলোর কাছ থেকে প্রত্যাশিত মাত্রায় সমর্থন পায়নি।
তিনি বলেন, 'গত আট বছরে আমরা প্রতিবেশী ও বড় প্রতিবেশীদের কাছ থেকে যে পরিমাণ সহায়তা আশা করেছিলাম তা পাইনি।’
হোসেন বলেন, প্রশ্ন আসে, চীন কেন এই সমস্যা সমাধানে বাংলাদেশের পাশে থেকে এগিয়ে আসছে না?
কারণ, বঙ্গোপসাগরে চীনের প্রবেশাধিকারের জন্য মিয়ানমার খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
উপদেষ্টা বলেন, একইভাবে ভারত মনে করে কালাদান প্রকল্প গুরুত্বপূর্ণ এবং এই প্রকল্পের জন্য মিয়ানমারের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখতে হবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ প্রতিযোগিতামূলক ভূ-রাজনৈতিক স্বার্থের আবর্তে আটকা পড়েছে।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে বেইজিংয়ের আরও সক্রিয় ভূমিকা চায় ঢাকা
রোহিঙ্গা তরুণদের ভবিষ্যৎ নিয়ে ক্রমবর্ধমান উদ্বেগ প্রসঙ্গে হোসেন বলেন, তরুণ প্রজন্ম, যাদের ভবিষ্যতের কোনো আশা নেই, তারা অলস বসে বসে অন্যরা কী করছে তা দেখার সুযোগ নেই।
তিনি বলেন, 'একটা সময় আসবে যখন এটা শুধু বাংলাদেশের জন্য নয়, আমাদের প্রতিবেশী ও দূরের মানুষের জন্যও মারাত্মক সমস্যা হয়ে দাঁড়াবে।’
উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশ ছাড়াও বঙ্গোপসাগরে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পক্ষ রয়েছে- যুক্তরাষ্ট্র, ভারত ও চীন।
তিনি বলেন, বঙ্গোপসাগর বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি বিশ্বের অন্যান্য দেশে এবং এর সম্পদের জন্য সুবিধা দেয়।
বে অব বেঙ্গল কনভারসেশন (বিওবিসি) ২০২৪-এর তৃতীয় সংস্করণ আয়োজন করেছে সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজ (সিজিএস)।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন সিজিএসের চেয়ারম্যান মুনিরা খান ও সিজিএসের নির্বাহী পরিচালক জিল্লুর রহমান।
জিল্লুর বলেন, বঙ্গোপসাগর সম্মেলনের তৃতীয় সংস্করণটি সিজিএস আয়োজিত এ যাবৎকালের সবচেয়ে বড় আয়োজন।
তিনি বলেন, এবারের সম্মেলন 'এ ফ্র্যাকচারড ওয়ার্ল্ড' বিশ্বের ৮০টিরও বেশি দেশ থেকে আসা ২০০ জন বক্তা, ৩০০ প্রতিনিধি এবং ৮০০ অংশগ্রহণকারী শ্রোতাকে একত্রিত করেছে।
আরও পড়ুন: অনির্দিষ্টকালের অপেক্ষা নয়, রোহিঙ্গা সংকটের আন্তর্জাতিক সমাধান চান ড. ইউনূস
১ মাস আগে
অনির্দিষ্টকালের অপেক্ষা নয়, রোহিঙ্গা সংকটের আন্তর্জাতিক সমাধান চান ড. ইউনূস
যৌথ প্রচেষ্টার মাধ্যমে রোহিঙ্গা সংকটের দ্রুত ও আন্তর্জাতিক সমাধানের গুরুত্বের কথা তুলে ধরে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, এই সমস্যার সমাধান আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের হাতে, বাংলাদেশের একার হাতে নয়।
শুক্রবার (৪ অক্টোবর) ঢাকার একটি হোটেলে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ইউএনবির এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'আমরা বিষয়টি উত্থাপন অব্যাহত রাখব। মালয়েশিয়া আমাদের এ কাজে সহযোগিতা করবে। আমরা অনির্দিষ্টকালের জন্য অপেক্ষা করতে পারি না। এটি এমন একটি বিষয় যা আমাদের যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সমাধান করতে হবে।’
ড. ইউনূস বলেন, তারা বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছেন কারণ এটি মালয়েশিয়ার জন্যও একটি সমস্যা, সেখানেও স্বল্প সংখ্যক রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী রয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘আমাদের এই সমস্যার সমাধান খুঁজে বের করতে হবে। আমরা আসিয়ান, মালয়েশিয়ার সরকার এবং বৃহত্তর আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মাধ্যমে একসঙ্গে কাজ করি।’
২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে আসিয়ানের পরবর্তী সভাপতি হতে যাচ্ছে মালয়েশিয়া।
অধ্যাপক ইউনূস রোহিঙ্গা সংকটের দুটি দিক তুলে ধরেন- গত ৭ বছর ধরে ১২ লাখ রোহিঙ্গা বসবাস করছে এবং এর সংঙ্গে যুক্ত হচ্ছে প্রতি বছর গড়ে জন্ম নেওয়া ৩২ হাজার নতুন শিশু।
আরও পড়ুন: ঢাকায় মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী; স্বাগত জানালেন অধ্যাপক ইউনূস
তিনি বলেন, জন্মহার নিয়ে বাংলাদেশ উদ্বিগ্ন নয়, তাদের জীবনে কী ঘটছে সেটাই আসল ব্যাপার। তিনি বলেন, 'তরুণদের একটি সম্পূর্ণ নতুন প্রজন্ম বেড়ে উঠছে। এটা ক্ষুব্ধ তরুণদের একটি প্রজন্ম। তাদের কোনো ভবিষ্যৎ নেই।’
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, পুরো বিশ্বের জন্য উদ্বেগের বিষয় হলো এটি একটি টিকিং টাইম-বোম্ব যা যেকোনো উপায়ে বিস্ফোরিত হতে পারে।
তিনি বলেন, অবিচ্ছিন্ন প্রবাহের সঙ্গে প্রতিদিন নতুন প্রবেশও ঘটছে। ‘এই উদ্বেগ আমি মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর কাছে তুলে ধরেছি। তিনি পুরোপুরি সমর্থন করেন এবং আমাদের অবস্থান বোঝেন।’
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, মালয়েশিয়া এই সমস্যার আন্তর্জাতিক সমাধানের জন্য আসিয়ান ও আন্তর্জাতিক ফোরামের মাধ্যমে বাংলাদেশকে সহায়তা করবে।
সাত বছর আগে ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট প্রায় সাত লাখ রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ ও শিশু মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়।
কক্সবাজার ও ভাসানচরে ১২ লাখের বেশি রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছে বাংলাদেশ।
২০২৪ সালে মানবিক সহায়তা প্রদানকারী সংস্থাগুলো রোহিঙ্গা শরণার্থী ও আশপাশের সম্প্রদায়ে বাংলাদেশিসহ ১৩ লাখ ৫০ হাজার মানুষকে সহায়তার জন্য ৮৫ কোটি ২০ লাখ ডলারের আবেদন করে। ইউএনএইচসিআর-এর মতে, এই আবেদনটির প্রেক্ষিতে অর্থায়ন অপর্যাপ্তই রয়ে গেছে।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস এবং মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের আগে হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে সংক্ষিপ্ত একান্ত বৈঠক করেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ থেকে ১৮ হাজার শ্রমিক প্রবেশের বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর
২ মাস আগে
ঢাকা-রিয়াদ রাজনৈতিক বৈঠক: প্রাধান্য পাবে বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও ক্রাউন প্রিন্সের সফর
বাংলাদেশ ও সৌদি আরব আগামী ১ জুলাই দ্বিতীয় রাজনৈতিক পরামর্শ সভার আয়োজন করতে যাচ্ছে যেখানে দুই দেশের মধ্যকার বাণিজ্য ও বিনিয়োগসহ বাংলাদেশি অভিবাসী, রোহিঙ্গা সংকট ও পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিষয় তুলে ধরা হবে।
রবিবার (৩০ জুন) সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, রিয়াদে সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত হতে যাওয়া এ বৈঠকে বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এবং সৌদি আরবের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান আল সৌদ।
বৈঠকে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন, আইসিটি ও পর্যটন বিষয়ে আলোচনা হতে পারে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ইউএনবিকে জানিয়েছেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান দুই দিনের সরকারি সফরে সোমবার ভোরে রিয়াদ পৌঁছাবেন। আগামী ৩ জুলাই তার দেশে ফেরার কথা রয়েছে।
আরও পড়ুন: হাসিনার ভারত সফর: বাংলাদেশকে উন্নয়নের পথে আরেক ধাপ এগিয়ে নেবে
যেহেতু বিনিয়োগ বিষয়ে নিয়ে বড় পরিসরে আলোচনার কথা রয়েছে তাই প্রতিনিধি দলে থাকবেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান।
এছাড়াও বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের সদস্য হিসেবে রয়েছেন- অতিরিক্ত পররাষ্ট্র সচিব (দ্বিপাক্ষিক পূর্ব ও পশ্চিম) নজরুল ইসলাম, সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী, পশ্চিম এশিয়া উইংয়ের মহাপরিচালক শফিকুর রহমান ও পরিচালক নাফিসা মনসুর ।
এ বছরের শেষের দিকে বাংলাদেশ সফর করতে পারেন সৌদি আরবের প্রধানমন্ত্রী ও সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান বিন আবদুল আজিজ আল সৌদ।
বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ইতিহাসে এটি একটি যুগান্তকারী ঘটনা হবে; যা ব্যবসা-বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা সুসংহত করবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বাংলাদেশের এক কর্মকর্তা ইউএনবিকে বলেন, সৌদি যুবরাজ এ বছর বাংলাদেশ সফরের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন। উভয় পক্ষ এটি চূড়ান্ত করার জন্য বিষয়টি নিয়ে আরও আলোচনা করতে পারে।
১৯৮৫ সালে তৎকালীন সৌদি যুবরাজ আবদুল্লাহ বিন আবদুল আজিজের ঢাকা সফরের পর এটিই হবে কোনো সৌদি যুবরাজের প্রথম বাংলাদেশ সফর।
সৌদি নেতার সফরকালে বেশ কয়েকটি দ্বিপক্ষীয় চুক্তি (এমওইউ ও চুক্তি) সই হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, যা দুই দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে উল্লেখযোগ্যভাবে জোরদার করবে বলে উভয় পক্ষই আশা করছে।
এর আগে ২০২২ সালের ১৬ মার্চ ঢাকায় বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের মধ্যে প্রথম রাজনৈতিক পরামর্শ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে উভয় নেতা দুই ভ্রাতৃপ্রতিম দেশের মধ্যে বিদ্যমান টেকসই সম্পর্ক ও বন্ধুত্বপূর্ণ বন্ধনের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন এবং দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতার অবস্থানে সন্তোষ প্রকাশ করেন।
তারা দুই দেশের মধ্যে রাজনৈতিক পর্যায়ে বিদ্যমান বোঝাপড়া ও সদিচ্ছার কথা উল্লেখ করে এটিকে ফলপ্রসূ করার ওপর জোর দেন।
উভয় পক্ষই দুই দেশের জনগণের পারস্পরিক সুবিধার জন্য নীতিগত সিদ্ধান্ত এগিয়ে নিয়ে যেতে কার্যকরী সমন্বয় ও একসঙ্গে কাজ করার বিষয়ে জোর দিয়েছে।
বেশ কয়েকটি সৌদি কোম্পানি এরই মধ্যে বাংলাদেশের কিছু খাতে বিনিয়োগ করেছে এবং আরও কয়েকটি কোম্পানি বিভিন্ন ক্ষেত্রে বৃহত্তর সম্পৃক্ততার কথা বিবেচনা করছে।
রাষ্ট্রদূত বলেন, সৌদি আরবে কর্মরত প্রায় ২৮ লাখ বাংলাদেশি সৌদি ও বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছেন।
চলতি বছরের মে মাসে কিংডম অব সৌদি আরব (কেএসএ) বাংলাদেশি পাসপোর্ট নিয়ে ১৯৭৩-৭৪ সালে সৌদি আরবে যাওয়া রোহিঙ্গাদের পাসপোর্ট নবায়নের প্রচেষ্টার অগ্রগতি জানতে চেয়েছিল।
সে সময় এক দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেন সৌদি উপস্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ড. নাসের বিন আবদুল আজিজ আল-দাউদ।
আরও পড়ুন: ভারত সফর সংক্ষিপ্ত, কিন্তু অত্যন্ত ফলপ্রসূ: সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী
৫ মাস আগে
রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে চীনের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান
সফররত চীনের কমিউনিস্ট পার্টির আন্তর্জাতিক বিভাগের মন্ত্রী লিউ জিয়ানচাও বলেছেন, চীন রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন সহজতর করতে মিয়ানমারের পরিস্থিতির উন্নতি করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং কাজ করছে।
সোমবার (২৪ জুন) জাতীয় সংসদ ভবন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে সাক্ষাৎকালে রোহিঙ্গা ইস্যুতে তিনি নিজ দেশের প্রতিশ্রুতির কথা তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, 'চীন প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং পরিস্থিতির উন্নতি কীভাবে করা যায় সে বিষয়ে আমরা তাদের সঙ্গে কাজ করছি।’
সাক্ষাৎ শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব এম নাঈমুল ইসলাম খান সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
তিনি বলেন, লিউ উল্লেখ করেছেন, রোহিঙ্গা ইস্যুটি জটিল এবং এটি অভ্যন্তরীণভাবে সেখানে অব্যাহত রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘এমনকি মিয়ানমার সরকারেরও (এ বিষয়ে কোনো পরিকল্পনা) বাস্তবায়নের মতো অবস্থা নেই। সেখানে সংঘাতপূর্ণ পরিস্থিতির কারণে গৃহযুদ্ধ পরিস্থিতি জটিল আকারে পরিণত হয়েছে।’
আরও পড়ুন: মেধাবী শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি ও টিউশন ফি বিতরণ উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, চীন বুঝতে পেরেছে যে রোহিঙ্গা ইস্যুর কারণে বাংলাদেশ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে এবং মানবিক কারণে রোহিঙ্গাদের সমর্থন করায় তারা বাংলাদেশের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন।
প্রেস সচিব বলেন, রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে প্রধানমন্ত্রী চীনের সমর্থন চেয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকদের বাংলাদেশে প্রবেশের ছয় বছর পেরিয়ে গেছে। সমাধানের অনিশ্চয়তার কারণে বাংলাদেশ এখন রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে খুবই উদ্বিগ্ন।’
শেখ হাসিনা আরও বলেন, এই পরিস্থিতি বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত হতাশাজনক ও উদ্বেগজনক।
তিনি বলেন, 'এটি (আমার পক্ষ থেকে) চীনের প্রেসিডেন্টের কাছে পৌঁছে দেওয়া (রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে) একটি বিশেষ বার্তা।’
তিনি মন্ত্রীকে এ বিষয়ে বিশেষ নজর দেওয়ার অনুরোধ জানান।
আরও পড়ুন: ভারত সফর নিয়ে মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলন করবেন প্রধানমন্ত্রী
৫ মাস আগে
রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে আহ্বান জানিয়েছে দাতা সংস্থাগুলো
বিশ্ব শরণার্থী দিবসে রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ও অন্যান্য দেশসহ দাতা সংস্থাগুলো।
এক বিবৃতিতে তারা বলেছে, ‘আমরা সংঘাত, সহিংসতা ও নিপীড়নের কারণে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত হওয়া ১২ কোটি মানুষ, অর্থাৎ বিশ্বের প্রতি ৬৯ জনের মধ্যে ১ জনের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করছি। এদের মধ্যে রয়েছে ১০ লক্ষাধিক রোহিঙ্গা, যারা মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।’
রোহিঙ্গাদের প্রয়োজনের সময় সমর্থন দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ সরকারকে ধন্যবাদ জানায় দাতাসংস্থাগুলো।
আরও পড়ুন: শরণার্থীদের পুনর্বাসনে পৃষ্ঠপোষক দেশগুলোর সহায়তা প্রয়োজন: জাতিসংঘ মহাসচিব
প্রতিকূল পরিস্থিতিতে রোহিঙ্গা জনগণের অবিশ্বাস্য স্থিতিশীলতা ও আত্মবিশ্বাস সম্মানের সঙ্গে স্মরণ করে দাতা সংস্থাগুলো।
দাতাসংস্থাগুলোর বিবৃতিতে বলা হয়েছে, রোহিঙ্গা শরণার্থী ও বাংলাদেশের স্থানীয় সম্প্রদায়ের জন্য প্রয়োজনীয় সেবা দিতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে তারা। উদীয়মান নতুন সংকট এবং ক্রমবর্ধমান বৈশ্বিক মানবিক চাহিদার মাঝে এই দীর্ঘস্থায়ী সংকটের জন্য বিশ্বের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা চালাচ্ছে তারা।
শরণার্থী শিবিরগুলোতে শিক্ষা ও জীবিকার সুযোগ বাড়ানো, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য দারিদ্র্য এবং সেই চক্র কাটিয়ে ওঠার জন্য প্রয়োজনীয় আত্মনির্ভরশীলতা তৈরি করতে পারে।
রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য তাদের স্বেচ্ছায় নিরাপদ, মর্যাদাপূর্ণ ও টেকসই প্রত্যাবাসনের ব্যাপারে আশা প্রকাশ করে তারা।
দাতা দেশগুলোর পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘মিয়ানমারে ক্রমবর্ধমান সংঘাত এবং মানবিক অবস্থার অবনতির অর্থ হলো, এটি নিকট ভবিষ্যতে অসম্ভব। আমরা রাখাইন রাজ্যের ক্রমবর্ধমান পরিস্থিতি এবং সীমান্তের ক্রসবর্ডারে এর প্রভাব নিয়ে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। আমরা সব নাগরিকের সুরক্ষার গুরুত্ব পুনর্ব্যক্ত করছি।’
এর আগে ২০২৩ সালে ডিসেম্বরে গ্লোবাল রিফিউজি ফোরামে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতির জটিলতা মোকাবিলার জন্য বৈশ্বিক দায়িত্ব এবং অংশীদারিত্ব বাড়াতে একটি যৌথ প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সহায়তায় সবসময় বাংলাদেশের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি যুক্তরাষ্ট্রের
দাতাসংস্থাগুলো জানায়, বাংলাদেশে অবস্থানকালে রোহিঙ্গাদের জন্য একটি উন্নত এবং মর্যাদাপূর্ণ জীবন নিশ্চিত করতে তারা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে অংশীদারিত্বের মাধ্যমে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য টেকসই সমাধানের দিকে আঞ্চলিক সমন্বয় এবং যৌথ প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে চান তারা।
এই গণমাধ্যম বিবৃতিটি ইউরোপীয় ইউনিয়নও তাদের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে শেয়ার করেছে। অন্যান্য দাতা দেশগুলো হলো- যুক্তরাজ্য, জাপান, জার্মানি, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, ডেনমার্ক, স্পেন, সুইডেন, ফ্রান্স, সুইজারল্যান্ড, নরওয়ে ও ইতালি।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশিদের সহায়তা অব্যাহত রাখতে অংশীদার ও বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ: রাষ্ট্রদূত প্রেসকট
৫ মাস আগে
রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে সমন্বিত প্রচেষ্টা নিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আহ্বান
বাংলাদেশে আশ্রিত প্রায় ১৩ লাখ রোহিঙ্গার নিজ দেশ মিয়ানমারে প্রত্যাবাসন, সে দেশের রাখাইন রাজ্যে চলমান সংঘাত নিরসন ও রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে জাতিসংঘের সংস্থাগুলো এবং অন্যান্য অংশীদারদের সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে জোর আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
নিউইয়র্কে স্থানীয় সময় শুক্রবার (৩১ মে) বিকালে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে সাধারণ পরিষদের সভাপতি, মিয়ানমার বিষয়ে মহাসচিবের বিশেষ দূত, জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনার এবং জাতিসংঘের ৬ উন্নয়ন সংস্থার প্রধানদের সঙ্গে পৃথক চার বৈঠকে এ আহ্বান জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা সংকট: বাংলাদেশের বন্ধ সীমান্ত নীতি প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ বিশেষজ্ঞ
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সভাপতি ডেনিস ফ্রান্সিসের সঙ্গে বৈঠককালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘২০১৭ সালে মিয়ানমারে সহিংসতা থেকে বাঁচতে প্রায় ১০ লাখ বাংলাদেশে পালিয়ে এলে কক্সবাজার ও চট্টগ্রামের মানুষ তাদের মমতা দিয়ে গ্রহণ করেছিল। কিন্তু ক্রমেই রোহিঙ্গারা ক্যাম্প থেকে বেরিয়ে বিভিন্ন স্থানে কর্মসংস্থানে যুক্ত হচ্ছে আর ক্যাম্পগুলো মানব পাচার, মাদক চোরাচালান, জঙ্গি কার্যক্রমে যুক্ত হওয়াসহ নানা অপরাধের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে। ফলে স্থানীয়দের জীবন অতিষ্ঠপ্রায়।’
আরেকটি বৈঠকে জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনার ফিলিপ্পো গ্রান্ডির সঙ্গে আলাপকালে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, রোহিঙ্গা উদ্বাস্তুদের পাশাপাশি গত ফেব্রুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত মিয়ানমার বর্ডার গার্ড পুলিশ ও সেনাবাহিনীর প্রায় ৭৫০ সদস্য বিভিন্ন সময়ে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। তাদের বেশিরভাগকেই ফেরত পাঠানো হয়েছে এবং বাকিদেরও ফেরত পাঠানো হবে। মিয়ানমারে বিবদমান গোষ্ঠির ছোঁড়া শেল বাংলাদেশে পড়ে হতাহতের ঘটনাও ঘটেছে। এসবের পুনরাবৃত্তি রোধ একান্ত প্রয়োজন বেলে উল্লেখ করেন তিনি।
মিয়ানমার বিষয়ে জাতিসংঘ মহাসচিবের বিশেষ দূত অস্ট্রেলিয়ার সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী জুলি বিশপের সঙ্গে বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মিয়ানমারে চলমান সংঘাতময় পরিস্থিতি কোনো নতুন ঘটনা নয় এবং এটিকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের বিপক্ষে ব্যবহারের অজুহাত তৈরির সুযোগ দেওয়া অনুচিত।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা বিষয়ে ওআইসি দেশগুলোর রাষ্ট্রদূতদের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ব্রিফিং
এর আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাতিসংঘ সদর দপ্তরে ‘ক্রাইসিস, কনফ্লিক্টস অ্যান্ড ইন্টার-এজেন্সি কোলাবরেশন: নেক্সাস অ্যাপ্রোচ' শীর্ষক অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন। জাতিসংঘের ৬ সংস্থা- ইউএনডিপি, ইউএনএফপিএ, ইউএনওপিএস, ইউএন উইমেন প্রধান ও ইউনিসেফ এবং ডব্লিউএফপির উপপ্রধান এতে অংশ নেন।
এ সময় বিশ্বে সংঘাত প্রভাবিত অঞ্চলগুলোতে জাতিসংঘের সংস্থাগুলোর সম্মিলিত উদ্যোগের সুবিধাগুলো তুলে ধরেন ড. হাছান মাহমুদ।
রাখাইন ও কক্সবাজারের পরিস্থিতির কথা তুলে ধরে উদ্বাস্তু সংকট নিরসন ও রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর উন্নতির লক্ষ্যে জাতিসংঘের সব সংস্থা, তহবিল এবং কর্মসূচিকে সুসংহতভাবে কাজ করতে আহ্বান জানান তিনি।
বৈঠকগুলোতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আরও ছিলেন- জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ এ মুহিত, মন্ত্রণালয় ও মিশনের অন্যান্য সদস্যরা।
আরও পড়ুন: শনিবার থেকে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর জন্য ডব্লিউএফপি’র রেশন আংশিক বাড়ছে
৬ মাস আগে
ডোনাল্ড লুর আসন্ন সফরে রোহিঙ্গা সংকট প্রাধান্য পাবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক ব্যুরোর সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লুর আসন্ন সফরে রোহিঙ্গা সংকটের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
বুধবার (৮ মে) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'ডোনাল্ড লু মূলত রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে আলোচনা করতে আসছেন।’
অন্যান্য বিষয়ও অবশ্যই আলোচনায় আসবে বলে জানান হাছান মাহমুদ।
তবে ডোনাল্ড লু কবে ঢাকায় আসছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী তা স্পষ্ট করেননি।
আরও পড়ুন: দ্বিপক্ষীয় সর্ম্পকের ভিত্তি স্থাপনে বাংলাদেশি আমেরিকানদের প্রশংসা ডোনাল্ড লু’র
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে 'চমৎকার' সম্পর্ক রয়েছে এবং দুই দেশ এই সম্পর্কের আরও উন্নয়নে নিবিড়ভাবে কাজ করছে।
তিনি আরও বলেন, ‘ভবিষ্যতে আমরা ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করব এবং সম্পর্ক আরও গভীর হবে।’
গত সপ্তাহে একটি কূটনৈতিক সূত্র ইঙ্গিত দিয়েছে যে, আগামী ১৪ মে দুই দিনের সফরে লু ঢাকায় আসতে পারেন। এ সফরে ভবিষ্যৎ সহযোগিতার বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনার সুযোগের সৃষ্টি হবে।
একেটি সূত্র ইউএনবিকে জানিয়েছে, এ সফরে ডোনাল্ড লু পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ ও প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ ছাড়াও পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বিষয়ে আলোচনা করতে পারেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এই সফরের মাধ্যমে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার সম্পর্ক আরও জোরদার হবে।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ও বৈশ্বিক অভিবাসন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আইওএমের কার্যকর ভূমিকার আশা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
৭ জানুয়ারির জাতীয় নির্বাচনের পর দেওয়া এক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্র জানায়, ‘অবাধ ও উন্মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের বিষয়ে আমাদের অভিন্ন লক্ষ্যে বাংলাদেশে মানবাধিকার ও নাগরিক সমাজকে সমর্থন এবং আমাদের জনগণের সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্ক গভীর করতে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারিত্ব করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে মার্কিন প্রেসিডেন্টের বিশেষ সহকারী ও যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের (এনএসসি) দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক জ্যেষ্ঠ পরিচালক এইলিন লুবাখার, ইউএসএআইডির ব্যুরো ফর এশিয়ার সহকারী কর্মকর্তা মাইকেল শিফার এবং যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক উপসহকারী মন্ত্রী আফরিন আখতার তিন দিনের সফরে বাংলাদেশে এসেছিলেন।
সে সময় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মার্কিন প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকের পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ সাংবাদিকদের বলেন, 'দু পক্ষেরই সদিচ্ছা আছে। আমরা একসঙ্গে আমাদের সম্পর্কের নতুন অধ্যায়ের সূচনা করতে চাই।’
এইলিন লুবাখার তার সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাদের অভিন্ন অগ্রাধিকার এবং ভবিষ্যতে আমাদের একসঙ্গে সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা করতে পেরে আমরা আনন্দিত।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে মানবাধিকারে উল্লেখযোগ্য কোনো পরিবর্তন নেই: মার্কিন প্রতিবেদন
৭ মাস আগে
মানব পাচার ও রোহিঙ্গা সংকটের স্থায়ী সমাধানে সহযোগিতার আহ্বান পররাষ্ট্র সচিবের
মানব পাচার সমস্যার টেকসই সমাধানে পারস্পরিক সহযোগিতার ওপর জোর দিয়েছেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন। একই সঙ্গে রোহিঙ্গা সংকটের স্থায়ী সমাধানে সক্রিয়ভাবে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।
মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) ‘বালি প্রসেস’-এর কো-চেয়ার রাষ্ট্রদূত লিন বেল (অস্ট্রেলিয়া) ও রাষ্ট্রদূত ত্রি থারিয়াতের (ইন্দোনেশিয়া) নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্র সচিব ও প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. রুহুল আমিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
বৈঠকে পররাষ্ট্র সচিব মানব পাচারের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ় প্রতিশ্রুতি এবং ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি তুলে ধরেন। পাশাপাশি মানব পাচারের কারণগুলো তুলে ধরে সেগুলো রোধ করার ক্ষেত্রে অসুবিধা ও বাধার ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: ভূ-রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতার সুযোগ নিচ্ছে বিবদমান পক্ষগুলো: মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে পররাষ্ট্র সচিব
পাচারের শিকার ব্যক্তিদের সমাজে পুনঃএকত্রীকরণের জন্য উন্নয়ন সহযোগী ও বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে গৃহীত কর্মসূচি ও কার্যক্রম সম্পর্কে প্রতিনিধিদলকে অবহিত করেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. রুহুল আমিন।
মানব পাচার রোধকে জটিল ও চ্যালেঞ্জিং কাজ হিসেবে উল্লেখ করে এই সমস্যার সমাধানে পারস্পরিক সহযোগিতা আরও দৃঢ় করার ওপর গুরুত্ব দেন বালি প্রসেস কো-চেয়াররা।
আরও পড়ুন: মানব পাচার প্রতিরোধে লক্ষ্যভিত্তিক সচেতনতা ও বিস্তৃত প্রচেষ্টা 'অত্যাবশ্যক': ব্লিঙ্কেন
এছাড়াও আইন প্রয়োগকারী সংস্থাসমূহের দক্ষতা ও সক্ষমতার উন্নয়ন এবং ‘বালি প্রসেস’ এর সদস্য রাষ্ট্রগুলোর পারস্পরিক সহযোগিতা আরও সম্প্রসারণের মাধ্যমে মানব পাচার নিয়ে সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি জোরদার করার বিষয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়।
এছাড়াও বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকদের মধ্যে অসহায়ত্ব ও হতাশার কারণে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তাদের অনিয়মিত স্থানান্তর বেড়ে যাওয়ায় কো-চেয়াররা উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় বিশ্বব্যাংক-এডিবির ঋণ নয়, অনুদান চাই: টিআইবি
এ সময় রোহিঙ্গা সংকটের স্থায়ী সমাধানে সক্রিয়ভাবে কাজ করতে ‘বালি প্রসেস’-এর সদস্য দেশগুলোকে আহ্বান জানান পররাষ্ট্র সচিব।
তিনি আরও বলেন, এই দীর্ঘায়িত সংকট বাংলাদেশের জন্য একটি সম্ভাব্য অর্থনৈতিক, সামাজিক, পরিবেশগত এবং নিরাপত্তা হুমকি তৈরি করছে এবং এটি সামগ্রিকভাবে এই অঞ্চলের নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা সংকটের দীর্ঘমেয়াদী সমাধানের জন্য চাপ অব্যাহত রাখছে যুক্তরাজ্য
৮ মাস আগে
রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় বিশ্বব্যাংক-এডিবির ঋণ নয়, অনুদান চাই: টিআইবি
রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলা করতে ঋণের পরিবর্তে অনুদান দিতে বিশ্বব্যাংক ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) সঙ্গে আলোচনা করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।
সোমবার টিআইবির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ আহ্বান জানানো হয়েছে।
বিশ্বব্যাংক ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) কাছ থেকে চাওয়া এক বিলিয়ন ডলারের বিপরীতে ৫৩৫ মিলিয়ন ডলার ঋণ এবং ৪৬৫ মিলিয়ন অনুদানের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
রোহিঙ্গা শরণার্থী সংকট মোকাবিলায় এমন সিদ্ধান্ত নিতে বাংলাদেশের বাধ্য হওয়ার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে টিআইবি।
আরও পড়ুন: আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থা সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত খাত: টিআইবি জরিপ
একই সঙ্গে রোহিঙ্গা সংকটের মতো বৈশ্বিক মানবিক সংকট মোকাবিলার জন্য অনুদান হিসেবে দিতে বিশ্বব্যাংক ও এডিবির সঙ্গে আলোচনার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।
পাশাপাশি, এই নীপিড়নমূলক মানবিক সংকট মোকাবিলায় নিজ নিজ অবস্থান থেকে ন্যায্য ও যথাযথভাবে এগিয়ে আসতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রোহিঙ্গা সংকটের মতো এমন একটি মানবিক সংকট মোকাবিলার সব ভার শুধু বাংলাদেশের উপর চাপিয়ে দেওয়া পুরোপুরি অন্যায্য এবং তা মোটেই কার্যকর ও টেকসই সমাধান নয়।
এই সংকট সমাধানের জন্য প্রয়োজন সম্মিলিত পদক্ষেপ ও বৈশ্বিক সংহতি। মিয়ানমারে নিপীড়নের শিকার হয়ে পালিয়ে আসা ১০ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থীকে আশ্রয় প্রদান ও বছরের পর বছর ভরণপোষণের দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে নিজেদের সামর্থ্যের সর্বোচ্চ করেছে বাংলাদেশ।
এই বাড়তি অর্থনৈতিক বোঝা সম্মিলিতভাবেই বহন করার দায়িত্ব আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের। নির্যাতনে দেশ ছাড়তে বাধ্য হওয়া রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছে বলে, এই অর্থনৈতিক বোঝার পুরোটাই অনন্তকাল ধরে বাংলাদেশের কাঁধে চাপিয়ে দেওয়ার সুযোগ নেই।
বিশেষত, যখন বাংলাদেশ নিজস্ব অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে সেই মুহূর্তে এই ঋণ চাওয়ার সিদ্ধান্ত দ্বিগুণ উদ্বেগজনক।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান এ বিষয়ে বলেন, ‘রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় বিশ্বব্যাংক ও এডিবি থেকে ঋণ গ্রহণের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা এবং রোহিঙ্গা সংকটসংশ্লিষ্ট সব খরচের সুষ্ঠু ও ন্যায়সঙ্গত বণ্টন নিশ্চিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে সংলাপের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানাই।’
তিনি আরও বলেন, ‘ঋণ নয় অনুদান হিসেবে সহায়তা প্রদানের জন্য বিশ্বব্যাংক ও এডিবির প্রতি আমরা আহ্বান জানাই।’
বাস্তুহীন রোহিঙ্গাদের জন্য আন্তর্জাতিক অনুদান হ্রাসের প্রবণতায় টিআইবি বিশেষভাবে উদ্বিগ্ন।
এর মাধ্যমেই প্রমাণ হয়- আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় যে কাপুরুষের মতো তাদের দায় এড়িয়ে যাচ্ছে এবং এই বোঝা বহনের দায়িত্ব শুধু বাংলাদেশের উপর চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। অনুদান কমে যাওয়ার কারণে মাথাপিছু খাদ্য সহযোগিতায় বরাদ্দ প্রতি মাসে ১২ ডলার থেকে ৮ ডলারে নেমে এসেছে।
ড. জামান বলেন, ‘বৈশ্বিক সম্প্রদায়, বিশেষ করে মিয়ানমারের বহুমাত্রিক অংশীদারত্ব, স্বার্থসংশ্লিষ্ট দেশসমূহের দায়িত্ব হলো রোহিঙ্গা মানবিক সহায়তা বৃদ্ধি, বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও স্বেচ্ছায় প্রত্যাবর্তনের টেকসই সমাধান এবং মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের জন্য মায়ানমারকে জবাবদিহির মুখোমুখি করার মাধ্যমে বাংলাদেশের প্রতি সহায়তার হাত বাড়ানো।’
রোহিঙ্গা শরণার্থী সংকটের আন্তর্জাতিক উদ্যোগ সমন্বয়ে আরও সক্রিয় ভূমিকা পালনের জন্য জাতিসংঘ এবং তার সংস্থাগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে টিআইবি।
সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক বলেন, ‘রোহিঙ্গা শরণার্থীরা যাতে প্রয়োজনীয় সহায়তা পায়, তা নিশ্চিত করা জাতিসংঘের নৈতিক দায়িত্ব। মিয়ানমারে রোহিঙ্গা জনগণের উপর চলমান নিপীড়নসহ এই সংকটের মূল কারণসমূহ মোকাবিলায় জাতিসংঘকেও কাজ করতে হবে।’
পরিচালক আরও বলেন, ‘রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী যথেষ্ট ভোগান্তির শিকার হয়েছে এবং মর্যাদাপূর্ণ ও নিরাপদ জীবনের অধিকার তাদের আছে। রোহিঙ্গা নিপীড়ন-গণহত্যা থেকে সৃষ্ট অর্থনৈতিক, সামাজিক, পরিবেশগত ও নিরাপত্তাসংক্রান্ত চ্যালেঞ্জ বইতে গিয়ে বাংলাদেশ অনেক বেশি চাপে রয়েছে। এখন সেই চাপ মোকাবিলার জন্য বাংলাদেশকে ঋণ নিতে বাধ্য করার মতো নিন্দনীয় ও ঘৃণ্য কাজ আর কী হতে পারে!’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে অ্যামনেস্টি,আরএসএফ ও টিআইবি বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়েছে: তথ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্য খাত নিয়ে টিআইবি মিথ্যাচার করেছে: মন্ত্রী
১ বছর আগে