গ্যাস সরবরাহ
বিবিয়ানা রক্ষণাবেক্ষণের কারণে গ্যাস সরবরাহ কমে গেছে
দেশের দুটি এলএনজি টার্মিনালের অন্যতম সামিট গ্রুপের ফ্লোটিং স্টোরেজ অ্যান্ড রিগ্যাসিফিকেশন ইউনিট পুনরায় চালু হলেও সার্বিক গ্যাস সরবরাহের উন্নতি হয়নি। বিবিয়ানা গ্যাসক্ষেত্রের রক্ষণাবেক্ষণ কার্যক্রম শুরু হওয়ায় সরবরাহ আবারও কমে গেছে।
কর্মকর্তারা জানান, দেশের অন্যতম বৃহৎ গ্যাস সরবরাহের উৎস বিবিয়ানা গ্যাসক্ষেত্রে ১৩ এপ্রিল থেকে রুটিন রক্ষণাবেক্ষণের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ১৬ এপ্রিলের মধ্যে পূর্ণ উৎপাদনে ফিরে আসবে।
রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান পেট্রোবাংলা ও বিবিয়ানা গ্যাসক্ষেত্রের অপারেটর শেভরনের কর্মকর্তারা জানান, মঙ্গলবার থেকে পুরোদমে গ্যাস সরবরাহের ব্যাপারে তারা আশাবাদী।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রিতে অনিয়ম, জরিমানা
পেট্রোবাংলার সরকারি তথ্যে দেখা যায়, বিবিয়ানা গ্যাসক্ষেত্রের উৎপাদন সোমবার ৪৫৩ মিলিয়ন ঘনফুটে নেমে এসেছে। যেখানে এর নিয়মিত উৎপাদন ১২০০ মিলিয়ন ঘনফুট।
সামিট গ্রুপ অবশেষে এলএনজি টার্মিনাল চালু করতে সফল হয়েছে বলে সরকারি সূত্র জানায়। ১২ এপ্রিল থেকে আমদানি করা এলএনজির পুনরায় গ্যাসফিকেশন শুরু করেছে।
রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন পেট্রোবাংলার তথ্য দেখায়, সামিট গ্রুপের এলএনজি টার্মিনাল চালু হওয়ার পর আমদানি করা গ্যাসের সরবরাহ দিনে ১৬২ মিলিয়ন ঘনফুট বেড়ে ৬৩০ মিলিয়ন ঘনফুট থেকে ৭৯২ মিলিয়ন ঘনফুটে উন্নীত হয়েছে।
পেট্রোবাংলার একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ইউএনবিকে বলেন, '১৪ এপ্রিল গ্যাস সরবরাহ আরও বেড়ে ৯৩৬.৩০ মিলিয়ন ঘনফুটে দাঁড়িয়েছে।’
মহেশখালীতে বেসরকারি খাতে স্থাপিত দুটি এলএনজি টার্মিনাল রয়েছে, যার মোট গ্যাসফিকেশন ক্ষমতা ১১০০ মিলিয়ন ঘনফুট। একটি ৬০০ মিলিয়ন ঘনফুট ক্ষমতাসম্পন্ন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক এক্সিলারেট এনার্জির মালিকানাধীন ও পরিচালিত এবং অন্যটি ৫০০ মিলিয়ন ঘনফুট ক্ষমতাসম্পন্ন সামিট গ্রুপের মালিকানাধীন ও পরিচালিত।
মার্চের প্রথম সপ্তাহে সামিট গ্রুপের এলএনজি টার্মিনাল রুটিন রক্ষণাবেক্ষণ কর্মসূচিতে গেলে গ্যাস সরবরাহ পরিস্থিতির অবনতি হয়। গত ৩ মার্চ এটি আবার পরিষেবা চালু করার কথা ছিল।
পেট্রোবংলার কর্মকর্তা বলেন, ‘কিন্তু প্রাথমিকভাবে এটি শিডিউল অনুযায়ী উৎপাদনে আসতে ব্যর্থ হয় এবং শেষ পর্যন্ত কয়েকদিন পর আবার উৎপাদন শুরু করে।’
সংশ্লিষ্ট কার্যালয়ের তথ্যে দেখা যায়, ঈদের ছুটির শেষে রবিবার ও সোমবার ৩ হাজার ৬৩২ মিলিয়ন ঘনফুট কম চাহিদার বিপরীতে দেশে গ্যাস সরবরাহ ছিল ২ হাজার ৩৪৫ মিলিয়ন ঘনফুট।
প্রাপ্ত তথ্যে দেখা যায়, বিদ্যুৎ সরবরাহে চাহিদা কম থাকলেও সোমবার সারাদিনের ব্যস্ত সময়ে দেশে ৩০০ মেগাওয়াটের বেশি লোডশেডিং হয়েছে।
পিজিসিবির তথ্য বলছে, সকাল ১০টায় দেশে লোডশেডিং হয় ৩০৫ মেগাওয়াট, যখন চাহিদা ছিল ১১ হাজার ৪০০ মেগাওয়াট।
সোমবার সন্ধ্যায় সর্বোচ্চ চাহিদা ১৪ হাজার মেগাওয়াট হওয়ার পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল এবং কর্মকর্তারা আজ রাতে আরও লোডশেডিংয়ের আশঙ্কা করছেন।
আরও পড়ুন: গ্যাস সরবরাহ বাড়াতে ৩ কার্গো এলএনজি আমদানি করবে সরকার
ঢাকার যেসব এলাকায় আজ গ্যাস সরবরাহ বন্ধ
গ্যাস সরবরাহ বাড়াতে ৩ কার্গো এলএনজি আমদানি করবে সরকার
গ্যাসের ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে সরবরাহ বাড়ানোর উদ্যোগের অংশ হিসেবে সরকার তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) ৩টি কার্গো আমদানি করবে।
বুধবার (৩ এপ্রিল) সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির (সিসিজিপি) বৈঠকে রাষ্ট্রায়ত্ত পেট্রোবাংলার ৩টি পৃথক প্রস্তাবে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সভাপতিত্বে সভায় জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ 'দ্রুত বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সরবরাহ আইন, ২০১০' বৃদ্ধি করে কমিশনের অধীনস্থ সংস্থার পক্ষে প্রস্তাবগুলো উত্থাপন করে।
আরও পড়ুন: ‘বাংলাদেশে তেল ও এলএনজি আমদানিতে অর্থায়ন করবে আইটিএফসি’
প্রস্তাব অনুযায়ী, সুইজারল্যান্ডভিত্তিক টোটাল এনার্জি অ্যান্ড পাওয়ার লিমিটেড প্রতিটি ইউনিট ৯ দশমিক ৮৯ ডলারে ৪২৭ কোটি ৭৭ লাখ টাকায় ১টি এলএনজি কার্গো সরবরাহ করবে এবং সিঙ্গাপুরভিত্তিক গানভর গ্রুপ প্রতি ইউনিট ৯ দশমিক ৬৫ ডলারে ৪১০ কোটি ৬৫ লাখ টাকায় এলএনজি কার্গো সরবরাহ করবে।
তৃতীয় এলএনজি কার্গোটি প্রতি ইউনিট এলএনজি ৯ দশমিক ৬৮ ডলারে ৪১৮ কোটি ৫৯ লাখ টাকায় সরবরাহ করবে সিঙ্গাপুরের ভিটল এশিয়া (পিটিই) লিমিটেড।
আরও পড়ুন: এলএনজি, সার, মসুর ডাল ও ভোজ্যতেল কিনবে সরকার
পাইপলাইনে লিকেজ হওয়ায় উত্তর খান-দক্ষিণ খানে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ
ডিএনসিসির এক ঠিকাদারের দ্বারা গ্যাস লাইনে লিকেজ ও ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের উত্তর খান ও দক্ষিণখান এলাকায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।
তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি সূত্রে জানা গেছে, মেরামতের কাজ চলছে।
শিগগিরই গ্যাস সরবরাহ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
গ্রাহকদের সাময়িক অসুবিধার জন্য দুঃখ প্রকাশ করছে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: তীব্র পানি-গ্যাস সংকটে রাজধানীর কয়েকটি এলাকার বাসিন্দারা
সিএনজি স্টেশনের সময়ে পরিবর্তন
গ্যাস সরবরাহে নিম্নচাপের সমস্যা সমাধানের জন্য সিএনজি স্টেশনগুলোর সময়ে পরিবর্তন আনা হয়েছে।
জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের নতুন বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, চলতি বছরের ৬ এপ্রিল পর্যন্ত প্রতিদিন সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ১১টার পরিবর্তে বিকেল ৫টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত সিএনজি স্টেশন বন্ধ থাকবে।
এতে আরও বলা হয়, ঈদ যাত্রায় পরিবহন চলাচলের সুবিধার্থে ৭ এপ্রিল থেকে ১৮ এপ্রিল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টা সিএনজি স্টেশন খোলা থাকবে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ১৯ এপ্রিল থেকে আবারও সিএনজি স্টেশন সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।
বুধবার ঢাকার যেসব এলাকায় ১৫ ঘণ্টা বন্ধ থাকবে গ্যাস সরবরাহ
ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে লাইন অ্যালাইনমেন্টের কারণে গ্যাস ট্রান্সমিশন লাইনের জরুরি পরিবর্তন ও স্থানান্তরের কাজের জন্য বুধবার সকাল ৯টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন এলাকায় ১৫ ঘণ্টা গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে।
মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড এই তথ্য জানিয়েছে।
আগামীকাল গ্যাস সরবরাহ সাময়িক বন্ধ থাকবে- মগবাজার, মধুবাগ, তেজগাঁও, হাতিরঝিল, মধুবাগ, গাবতলা, গ্রিনওয়ে, পেয়ারাবাগ, ইস্কাটন ও দিলু রোড এলাকায়।
আরও পড়ুন: উন্নতির দাবি তিতাসের, তবে ঢাকা-গাজীপুর-নারায়ণগঞ্জের শিল্প-কারখানায় এখনো তীব্র গ্যাস সংকট
এসব এলাকার সব ধরনের গ্রাহকের জন্য গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে এবং আশপাশের এলাকার ভোক্তাদের গ্যাস সরবরাহে চাপ কম থাকতে পারে বলে জানিয়েছে তিতাস গ্যাস।
গ্যাস সঞ্চালন লাইনের জরুরি মেরামতের জন্য মঙ্গলবার বেলা ১১টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত তিন ঘণ্টা গ্যাস সরবরাহ বন্ধ ছিল।
আরও পড়ুন: ঢাকার কয়েকটি এলাকায় মঙ্গলবার গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে
ঢাকার কয়েকটি এলাকায় মঙ্গলবার গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে
গ্যাস সঞ্চালন লাইনের জরুরি মেরামতের জন্য রাজধানীর কয়েকটি এলাকায় মঙ্গলবার তিন ঘণ্টা গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে।
এদিন বেলা ১১টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন এলাকায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে।
আরও পড়ুন: আগামী ৪ বছরের মধ্যে গ্যাসের শতভাগ প্রিপেইড মিটার স্থাপন করা হবে: প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা ও আশপাশের জেলায় গ্যাস সরবরাহকারী সংস্থা তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড এ তথ্য জানায়।
তিতাস গ্যাস জানান, ঢাকার মগবাজার, নয়াটোলা, মধুবাগ, তেজগাঁও, হাতিরঝিল, মীরেরবাগ, গাবতলী, গ্রিনওয়ে, পেয়ারাবাগ, ইস্কাটন ও দিলু রোড এসব এলাকায় মঙ্গলবার গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে।
তিতাস গ্যাস আরও জানান, সব ধরনের গ্রাহকের জন্য এসব এলাকার গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে এবং আশপাশের এলাকার ভোক্তাদের গ্যাস সরবরাহে চাপ কম থাকতে পারে।
আরও পড়ুন: শেভরনের বিবিয়ানা গ্যাস প্ল্যান্টে উন্নত উৎপাদন প্রযুক্তির উদ্বোধন করলেন নসরুল হামিদ
উন্নতির দাবি তিতাসের, তবে ঢাকা-গাজীপুর-নারায়ণগঞ্জের শিল্প-কারখানায় এখনো তীব্র গ্যাস সংকট
পিজিসিএলের আওতাধীন এলাকায় ৬০ ঘণ্টা গ্যাস সরবরাহ বন্ধের ঘোষণা
পশ্চিমাঞ্চল গ্যাস কোম্পানি লিমিটেড (পিজিসিএল) গ্যাস সঞ্চালন পাইপলাইনের সংস্কার কাজের জন্য ১৫ ফেব্রুয়ারি রাত ৮টা থেকে ১৮ ফেব্রুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত মোট ৬০ ঘণ্টা বগুড়াসহ ৪ জেলায় গ্যাস সরবরাহ সাময়িক বন্ধ রাখার ঘোষনা দিয়েছ।
পিজিসিএল কর্তৃপক্ষের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সিরাজগঞ্জের হাটিকুমরুল ইন্টারচেইঞ্জ এলাকায় অবস্থিত জিটিসিএল এর ৩০ ইঞ্চি ব্যাসের গ্যাস সঞ্চালন পাইপলাইনের ১ দশমিক ৩২ কিলোমিটার অংশ প্রতিস্থাপন কাজের টাই-ইন/হুক-আপের জন্য ১৫ ফেব্রুয়ারি রাত ৮টা থেকে ১৮ ফেব্রুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত পিজিসিএল অধিক্ষেত্রাধীন এলাকা বগুড়া, রাজশাহী, সিরাজগঞ্জ ও পাবনা জেলার সকল শ্রেণির গ্রাহকের গ্যাস সরবরাহ সাময়িকভাবে বন্ধ থাকবে।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে গ্যাস সংকট পুঁজি করে সিলিন্ডার ও বৈদ্যুতিক চুলার দাম বাড়াচ্ছে ব্যবসায়ীরা
তবে এই সময়ের আগে কাজ সম্পন্ন হলে গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
পিজিসিএলের আওতাধীন এলাকা হলো- রাজশাহী জেলার রাজশাহী সিটি করপোরেশন, সিরাজগঞ্জ জেলার সিরাজগঞ্জ সদর, উল্লাপাড়া ও শাহজাদপুর উপজেলা, পাবনা জেলার পাবনা সদর, বেড়া, সাঁথিয়া ও ঈশ্বরদী উপজেলা, বগুড়া জেলার বগুড়া সদর ও শাজাহানপুর উপজেলা।
এদিকে, ৩দিন গ্যাস বন্ধের খবরে গ্রাহকদের মাঝে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে। বিশেষ করে শিল্প, বাণিজ্যিকসহ আবাসিক গ্রাহকরা বেশি আতঙ্কিত। এতে কল-কারখানায় যেমন উৎপাদন ব্যাহত হবে তেমনি আবাসিক গ্রাহকরা ৩ দিন রান্না নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন।
আরও পড়ুন: তীব্র গ্যাস সংকটে চট্টগ্রাম নগরবাসী
এলএনজি টার্মিনাল থেকে উৎপাদন শুরু, চট্টগ্রামসহ অন্য স্থানে গ্যাস সরবরাহে উন্নতি
এলএনজি টার্মিনাল থেকে উৎপাদন শুরু, চট্টগ্রামসহ অন্য স্থানে গ্যাস সরবরাহে উন্নতি
মহেশখালীতে ভাসমান এলএনজি টার্মিনালের ৪৫ দিনের রক্ষণাবেক্ষণ কর্মসূচি শেষে উৎপাদন শুরু হওয়ার পর চট্টগ্রামসহ অন্যান্য স্থানে গ্যাস সরবরাহ শুরু হয়েছে।
এক্সিলারেট এনার্জির এফএসআরইউ শনিবার (২০ জানুয়ারি) নির্ধারিত রক্ষণাবেক্ষণের পরে উৎপাদন শুরু করেছে।
রূপান্তরিত প্রাকৃতিক গ্যাস কোম্পানি লিমিটেডের (আরপিজিসিএল) এক শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, এখন এটি প্রতিদিন ২৩০ মিলিয়ন ঘনফুট (এমএমসিএফডি) গ্যাস সরবরাহ করবে এবং আশা করছি শিগগিরই সরবরাহ ৫০০ এমএমসিএফডিতে পৌঁছাবে।
আরও পড়ুন: ফতুল্লায় গ্যাস বিস্ফোরণে একই পরিবারের ৪ জন দগ্ধ
রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন পেট্রোবাংলার সহযোগী প্রতিষ্ঠান আরপিজিসিএল বিদেশ থেকে এলএনজি আমদানি এবং মহেশখালীতে বিদ্যমান দুটি এলএনজি টার্মিনাল থেকে রি-গ্যাসিফিকেশন সেবা গ্রহণ করেছে। একটি সামিট গ্রুপ ও অন্যটি যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক এক্সেলারেট এনার্জি দ্বারা প্রতিষ্ঠিত।
প্রতিটি এলএনজি টার্মিনালে জাতীয় গ্যাস নেটওয়ার্কে ৫০০ এমএমসিএফডি গ্যাস সরবরাহ করার ক্ষমতা রয়েছে। এর বড় অংশ চট্টগ্রামে সরবরাহ করা হয়।
এক্সেলারেট এনার্জির এফএসআরইউ ৪৫ দিনের রক্ষণাবেক্ষণ কর্মসূচিতে জাতীয় গ্যাস গ্রিডে গ্যাস সরবরাহ স্থগিত করে এবং সামিটের এফএসআরইউ কারিগরি ত্রুটির কারণে জাতীয় গ্যাস নেটওয়ার্কে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দেয়। যার ফলে চট্টগ্রাম ও অন্য স্থানে গ্যাস সংকট দেখা দেয়।
আরও পড়ুন: তীব্র গ্যাস সংকটে চট্টগ্রাম নগরবাসী
ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুরের অনেক এলাকায় চরম গ্যাস সংকট বা গ্যাসের নিম্নচাপের সমস্যা দেখা দিয়েছে।
আরপিজিসিএল কর্মকর্তা জানান, সামিটের এফএসআরইউ খুব স্বল্প পরিসরে উৎপাদন শুরু করেছে এবং ৫০০ এমএমসিএফডি ক্ষমতার বিপরীতে ১৩০ এমএমসিএফডি সরবরাহ করছে।
তিনি উল্লেখ করেন, গ্যাস সংকটের সমস্যা পুরোপুরি সমাধান হওয়ার সম্ভাবনা নেই কারণ সামিটের এফএসআরইউতেও তিন থেকে চার দিনের মধ্যে রক্ষণাবেক্ষণ কর্মসূচি শুরু করার সময়সূচি রয়েছে।
তিনি ইউএনবিকে বলেন, আমরা মনে করি পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হবে, তবে পুরোপুরি নয়।
এদিকে জ্বালানি বিভাগ মহেশখালীতে কারিগরি ত্রুটির কারণে এলএনজি সরবরাহ বন্ধ থাকায় চট্টগ্রামসহ দেশের অন্যান্য স্থানে গ্যাস সংকট নিয়ে গ্রাহকদের অসুবিধার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে।
আরও পড়ুন: ঢাকা ও আশপাশের শিল্পকারখানায় সিএনজি হিসেবে আসছে ভোলার গ্যাস
জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মহেশখালী এলএনজি এফএসআরইউতে কারিগরি ত্রুটির কারণে শুক্রবার ভোর থেকে চট্টগ্রামসহ দেশের অন্যান্য এলাকায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।
২০২৬ সালের মধ্যে নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে: নসরুল হামিদ
২০২৬ সালের মধ্যে নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) সচিবালয়ে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের অগ্রগতি, সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মত বিনিময়কালে প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহের একটা টাইমলাইন ঠিক করে ফেলেছি। ২০২৬ সালের মধ্যে বাংলাদেশে নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সাপ্লাই থাকবে। আমরা যেভাবে বিদ্যুতে করেছি- এত তারিখের মধ্যে শতভাগ বিদ্যুতায়ন হবে, গ্যাসের ক্ষেত্রেও সেরকম পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছি।’
আরও পড়ুন: সার কারখানা স্থাপন করে ভোলার গ্যাস ব্যবহার করা যায় কি না মূল্যায়ন করুন: প্রধানমন্ত্রী
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এখন আমরা মাত্র ২০ শতাংশ গ্যাস বিদেশ থেকে আমদানি করি। আমরা ৮০ শতাংশ নিজস্ব গ্যাস ব্যবহার করছি। আমরা আমদানির গ্যাসের পরিমাণটা খুব বেশি বড় করতে চাই না। আমাদের আমদানির গ্যাস থাকবে। মাঝখানে যে গ্যাপটা থাকবে সেই গ্যাপটা আমদানির গ্যাস দিয়ে আমরা পূরণ করতে চাই।’
নসরুল হামিদ বলেন, ‘ভোলায় যে পরিমাণ গ্যাস পাওয়া যাচ্ছে, নতুন এরিয়ায় যে পরিমাণ গ্যাস পাওয়া যাচ্ছে, ভবিষ্যতে যদি গভীর সমুদ্রে গ্যাস পাওয়া যায়-তাহলে জ্বালানি বিভাগ একটা ভালো অবস্থায় থাকবে বলে আমরা মনে করি। মনে হচ্ছে আমরা সুখবর পাচ্ছি, এটা হচ্ছে বড় বিষয়।’
গ্যাসের সমস্যা কাটতে পারে মার্চে
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের অনেক চ্যালেঞ্জ রয়ে গেছে। গ্যাস একটি বড় চ্যালেঞ্জ। বেশ কিছুদিন ধরে গ্যাসের স্বল্পতা দেখা দিয়েছে। কারণ, একটি এফএসআরইউ (ফ্লোয়েটিং স্টোরেজ অ্যান্ড রিগ্যাসিফিকেশন ইউনিট) নিয়ে আমরা কাজ করছি। এই অসুবিধা খুবই সাময়িক বলে আমি মনে করি। প্রচণ্ড শীতের কারণেও গ্যাসের চাপ কিছুটা কমে যায়। এফএসআরইউ (সংস্কারে নেওয়া) চলে আসছে। আমরা আশাবাদী আগামী দুয়েক দিনের মধ্যে এফএসআরইউ চালু হয়ে যাবে। তার মানে সিস্টেমে আরও ৪০০ এমএমসিএফ গ্যাস যুক্ত হবে।’
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় সদ্য বসানো নলকূপ দিয়ে বের হচ্ছে গ্যাস
আগামী ১৭ থেকে ১৮ তারিখে আরেকটি এফএসআরইউ সংস্কারে পাঠানো হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের একটি বড় পরিকল্পনা (প্ল্যান) হলো আগামী মার্চ থেকে আমরা যাতে (গ্যাস) নিরবচ্ছিন্ন রাখতে পারি। সামনে রোজার মাস আসছে। সেটাকে সামনে রেখে আমরা পরিকল্পনা নিয়েছি।’
তিনি বলেন, ‘আমরা আরও দুটি এফএসআরইউ আনার পরিকল্পনা নিয়েছি। কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ২০২৬ ও ২০২৭ সালের দিকে দুটি এফএসআরইউ যুক্ত হবে। আমরা মনে করছি ২০২৭ সালে আমাদের গ্যাসের চাহিদা প্রায় ৬ হাজার এমএমসিএফ গিয়ে দাঁড়াবে।’
গ্যাস অনুসন্ধানে মিলতে পারে সুখবর
নসরুল হামিদ বলেন, ‘আমাদের অগ্রাধিকার হলো, আমাদের নিজস্ব গ্যাস আবিষ্কার করা। খনন করা কূপগুলোর অধিকাংশে গ্যাস আবিষ্কার করেছি। ছোট হলেও ভালো অবস্থা। ভোলা থেকে বরিশালের পাইপলাইনটা হচ্ছে সবচেয়ে বড় প্রাইয়োরিটি। এটার কার্যক্রম আমরা এ বছরই শুরু করব। ভোলা থেকে সিএনজি গ্যাস আনা শুরু হয়েছে। এটা আস্তে আস্তে বাড়তে থাকবে। মার্চের মধ্যে এটা পুরোদমে চালু হবে।’
তিনি বলেন, ‘বিবিয়ানা এরিয়ার বিষয়ে আমরা খুবই আশাবাদী সেখানে প্রচুর গ্যাসের সন্ধান আমরা পেতে যাচ্ছি। এ বছরের সবচেয়ে বড় অগ্রাধিকার হচ্ছে নিজেদের গ্যাস আহরণ করা। প্রায় ৪৬টি কূপ এবং পরবর্তী ধাপে আরও ১০০টি কূপ খননের পরিকল্পনা আমরা নিয়েছি। আমরা চাচ্ছি আগামী ২০২৫ সালের মধ্যে ৪৬টি কূপ খনন শেষ করব। পরবর্তী সময়ে এটার সমান্তরালে আরও ১০০ কূপ খনন করা। আমরা আশাবাদী আগামী ২০২৪ ও ২০২৫ সালের মধ্যে আরও ৫০০ এমএমসিএফ গ্যাস নিজস্ব দেশ থেকে যোগান দিতে পারব।’
আরও পড়ুন: ভোলা থেকে ঢাকার শিল্পকারখানায় সিএনজি আকারে গ্যাস সরবরাহ শুরু
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘একটা সুখবর আমরা পেতে যাচ্ছি, তবে এখনও সেটা সম্ভাবনার মধ্যে। নতুন করে ১ দশমিক ৬ টিসিএফ গ্যাসের সম্ভাবনা দেখা গেছে বিবিয়ানার ফ্ল্যাঙ্ক এরিয়ায়। সেখানে শেভরন কাজ করছে। সেখানে আমরা যদি শুরু করি, তাহলে এ বছরের শেষের দিকে কমফার্ম করতে পারব।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আগামী তিন-চার মাসের মধ্যে আমাদের তেলের ব্যাপারে নিশ্চিত হব। কী পরিমাণ তেল আমরা পাব।’
গ্যাস নিয়ে হবে মাস্টরপ্ল্যান
নসরুল হামিদ বলেন, ‘আগামী ৫০ বছরে জন্য গ্যাস ব্যবস্থাপনা ও বিতরণের মাস্টারপ্ল্যান আমরা পরিকল্পনার মধ্যে আনব। এ মাস্টারপ্ল্যান ৫ বছর অন্তর রিভিউ হবে। এ পরিকল্পনা আছে। আমরা পরামর্শক হায়ার করার চেষ্টা করছি।’
‘বিপিসির ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার হলো চট্টগ্রাম থেকে পাইপলাইনের মাধ্যমে থার্ড টার্মিনালে নিয়ে আসা। এটা দ্রুততার সঙ্গে শেষ করতে হবে।’
গরমে বিদ্যুতের চাহিদা হতে পারে ১৭ হাজার মোগাওয়াট
এবার গরমের পরিমাণ বাড়তে পারে জানিয়ে তিনি বলেন, এবার গরমে বিদ্যুতের চাহিদা সাড়ে ১৭ হাজার মেগাওয়াটের উপরে হতে পারে। সেটার প্রস্তুতি আমরা নিচ্ছি। সময় মতো কয়লা, গ্যাস ও তেল যোগান দেওয়ার বিষয়টি যদি আমাদের হাতে থাকে, তবে অবশ্যই আমরা নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ দিতে পারব। কারণ আমাদের সেই পরিমাণ বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রস্তুত আছে।
আরও পড়ুন: এলপিজি সিলিন্ডার হোম ডেলিভারি দিচ্ছে ‘গ্যাস মাঙ্কি’ অ্যাপস
মধ্যপ্রাচ্যে গোলযোগ সৃষ্টির সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে। সেটি আগামী দিনগুলোতে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জ হতে পারে বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, গ্যাস ও তেলের দাম বাড়ার কারণে বিদ্যুৎ-জ্বালানির ক্ষেত্রে বছরে ১৩ বিলিয়নের বেশি ব্যয় করতে হয়েছে।
কৃষি জমি নষ্ট না করে, পরিবেশের ক্ষতি না করে যতটুকু পারা যায় কয়লা উত্তোলনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে নির্দেশনা চাওয়া হবে বলেও জানান নসরুল হামিদ।
আগামী মাসের মধ্যে প্রায় ৪০ মেগাওয়াট হাইড্রো বিদ্যুৎ আমদানির জন্য নেপালের সঙ্গে চুক্তি হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ৫০০ মেগাওয়াট নিয়ে কাজ করছি। সেটাও প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে। আমাদের অঙ্গীকার অনুযায়ী ২০৪১ সালের মধ্যে ৪০ শতাংশ ক্লিন এনার্জি নিশ্চিত করব।
মূল্য সমন্বয়ের নতুন পদ্ধতি কবে নাগাদ কার্যকর হবে তা জানতে চাইলে তিনি বলেন, মার্চের পরবর্তী সময়ে এপ্রিল, মে, জুনের দিকে প্রথমে শুরু হবে তেলেরটা। তারপর আস্তে আস্তে...। পার্শ্ববর্তী দেশ যেটা করে, তারা প্রতিদিন করে। আমরা প্রতি মাসে করব।
বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘যতদ্রুত আমরা প্রযুক্তি নিয়ে আসতে পারি। বিদ্যুতের আবেদন, বিল অনলাইন করতে পারলে সেটি দুর্নীতি বা কারচুপি প্রতিরোধের বিষয়ে বড় জায়গা তৈরি করবে।
আরও পড়ুন: ১৫ জানুয়ারির মধ্যে নতুন মন্ত্রিসভা গঠন হতে পারে: নসরুল হামিদ
বিয়ানীবাজার-১ গ্যাসক্ষেত্র থেকে জাতীয় গ্রিডে গ্যাস সরবরাহ শুরু
বিয়ানীবাজার-১ গ্যাসক্ষেত্রের একটি কূপ ওয়ার্কওভার (পুনঃখনন) কাজের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর মধ্যদিয়ে উৎপাদনে যায় দীর্ঘদিন পরিত্যক্ত থাকা গ্যাস কূপটি।
মঙ্গলবার(১৪ নভেম্বর) সকালে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রনালয়ের আওতায় পরিচালিত এই প্রকল্প গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশকে দেখে এখন আর কেউ বলতে পারবে না এদেশ দরিদ্র দেশ, প্রাকৃতিক দুর্যোগের দেশ, হাত পেতে চলার দেশ। আমরা এখন একটা মর্যাদাসম্পন্ন দেশে পরিণত হয়েছি। বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল।
আরও পড়ুন: রাজধানীর বনানী এলাকায় ২ ঘণ্টা গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে
পেট্রোবাংলার হিসাব অনুযায়ী, কূপটি উৎপাদন শুরু করায় জাতীয় গ্রিডে বিয়ানীবাজার গ্যাস ফিল্ড থেকে দৈনিক ৮-৯ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হচ্ছে।
সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেডের মহা ব্যবস্থাপক (কোম্পানি সচিব) প্রকৌশলী মো. ফারুক হোসেন জানান, সিলেট-৮, বিয়ানীবাজার-১ ও কৈলাশটিলা ৭নং কূপ ওয়ার্কওভার করে গ্যাস সরবরাহ করা হচ্ছে। এই তিনটি কূপ থেকে জাতীয় গ্রীডে প্রায় ২৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করতে পারছি।
তিনি আরও বলেন, দেশে গ্যাস সরবরাহ সংকট কাটাতে নতুন কূপ খনন, উৎপাদনে থাকা কূপের সংস্কার এবং পরিত্যক্ত কূপ পুনঃখননের উদ্যোগ নেয় পেট্রোবাংলা। এরই আওতায় বিয়ানীবাজার-১ কূপটির ওয়ার্কওভারের কাজ শুরু হয়। পরে বাপেক্সের ওই কূপে অনুসন্ধান কাজ চালিয়ে গ্যাসের মজুদ পায়।
আরও পড়ুন: রাজধানীর যেসব এলাকায় বৃহস্পতিবার গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে
এসজিএফসিএল সূত্রে জানা গেছে, বিয়ানীবাজার গ্যাস ফিল্ডের ১ নম্বর কূপটি চার দশক আগের। ১৯৮১ সালে এ গ্যাস ফিল্ডে কূপ খনন শুরু হয়। এরপর গ্যাস ফিল্ডটি থেকে গ্যাস তোলা শুরু হয় ১৯৯১ সালে। ২০১৪ সালে কূপটির সরবরাহ কমলে একপর্যায়ে গ্যাস উত্তোলনও বন্ধ হয়ে যায়। ২০১৬ সালে কূপটি পুনরায় উৎপাদনে এলেও ওই বছরের শেষ নাগাদ তা আবারো বন্ধ হয়ে যায়। এরপর ২০১৭ সাল থেকে কূপটি পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে ছিল।
পেট্রোবাংলার গ্যাস মজুদের তথ্য অনুযায়ী, বিয়ানীবাজার গ্যাস ফিল্ডে ৯২ বিসিএফ (ডিসেম্বর-২০২১ পর্যন্ত) গ্যাস মজুদ রয়েছে। গ্যাসক্ষেত্রটিতে ২০৩ বিসিএফ গ্যাসের মজুদ আবিষ্কার হলেও এখন পর্যন্ত কূপটি থেকে ১১১ বিসিএফ গ্যাস উত্তোলন করা হয়েছে।
পেট্রোবাংলা ২০২২-২৩ অর্থবছরের মধ্যে মোট ১৬টি কূপ খনন, উন্নয়ন ও সংস্কারের পরিকল্পনা নিয়েছিল। এর মধ্যে বিয়ানীবাজার-১ কূপটিও ছিল।
এ কূপ থেকে দৈনিক পাঁচ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পাওয়ার আশা করা হয়েছিল যদিও এখন তা বেড়ে প্রায় ৯ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করতে পারছে বলে জানান পেট্রোবাংলা ও বাপেক্সর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: বনানীতে বুধবার ফের গ্যাস সরবরাহ বন্ধ