রোহিঙ্গা শরণার্থী
ইন্দোনেশিয়ার মতো দুর্দশাগ্রস্ত রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সহায়তা করুন: জাতিসংঘ বিশেষজ্ঞ
বাংলাদেশের শরণার্থী শিবিরের অবস্থার অবনতি ও খাদ্য সহায়তা উল্লেখযোগ্যভাবে কমানোর কারণে নৌকার ধারণ ক্ষমতার অতিরিক্ত রোহিঙ্গা শরণার্থী নিয়ে ইন্দোনেশিয়ায় আসা অব্যাহত রয়েছে।
এমন পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার(২৩ নভেম্বর) জাতিসংঘের একজন বিশেষজ্ঞ রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য একটি আঞ্চলিক জরুরি প্রতিক্রিয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
মিয়ানমারের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে জাতিসংঘের বিশেষ দূত টম অ্যান্ড্রুজ সতর্ক করে দিয়ে বলেন, 'সংকটের মূল কারণ হলো মিয়ানমারের অবৈধ সামরিক জান্তা- এর সমাধান না করলে পরিস্থিতি আরও জটিল হবে।’
গত সপ্তাহে ইন্দোনেশিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় আচেহ প্রদেশে নৌকায় করে ১ হাজারেরও বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থী পৌঁছেছে।
অ্যান্ড্রুজ রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নিরাপত্তা, আশ্রয় ও সহায়তা প্রদানের জন্য ইন্দোনেশিয়া সরকারের প্রশংসা করেন, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু, যাদের জরুরি ভিত্তিতে পুষ্টি ও চিকিৎসা সহায়তা প্রয়োজন।
আরও পড়ুন: আমরা রোহিঙ্গাদের স্থায়ী প্রত্যাবাসনে মনোনিবেশ করছি: আফরিন আখতার
রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নিরাপদে তাদের উপকূলে নৌকা থেকে নামিয়ে নেওয়ার ইন্দোনেশিয়ার কর্তৃপক্ষের উদাহরণ অনুসরণ করার জন্য এই অঞ্চলের দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানান তিনি। কারণ, আরও রোহিঙ্গা শরণার্থী নৌকায় করে তাদের উপকূলে আসতে পারে।
ইন্দোনেশিয়ায় বিশেষ দূত বলেন, রোহিঙ্গাদের অধিকার সমুন্নত রাখা এবং অভ্যন্তরীণ আইন অনুযায়ী প্রত্যাবাসনের ব্যবস্থা করায় ইন্দোনেশিয়া সরকারকে অভিনন্দন জানানো উচিত। কিন্তু তারা একা এটা করতে পারে না। এটি একটি জরুরি অবস্থা, এবং একটি জরুরি প্রতিক্রিয়া প্রয়োজন। তাদের জীবন বাঁচাতে একটি সমন্বিত অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযান প্রয়োজন রয়েছে যারা সমুদ্রে চলাচলের অনুপযোগী জনাকীর্ণ নৌকায় সমুদ্রে আটকা পড়ে থাকতে পারে।’
অ্যান্ড্রুজ সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, সংকটের মূল কারণটি চূড়ান্তভাবে সমাধান না করা পর্যন্ত সংকট আরও জটিল হতে থাকবে।
তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গা শরণার্থী সংকটের সমাধান ততক্ষণ সম্ভব নয়, যতক্ষণ না জান্তা রোহিঙ্গাদের মানবাধিকার ও নাগরিকত্বের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ সরকার গঠনে বাধা দেয়। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে অবশ্যই মিয়ানমারের জনগণের ওপর নিপীড়ন চালিয়ে যাওয়ার জন্য জান্তাকে অস্ত্র, অর্থ ও বৈধতা না দিয়ে সংকটের মূল কারণগুলো সমাধান করতে হবে।’
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা সংকটে ‘নিজেদের সমর্থন অব্যাহত রাখছে’ ইইউ: রাষ্ট্রদূত হোয়াইটলি
জাতিসংঘের দূত বলেন, যতক্ষণ না রোহিঙ্গারা নিরাপত্তা, মর্যাদা ও অধিকার নিশ্চিত করে স্বেচ্ছায় মিয়ানমারে ফিরে যেতে সক্ষম হচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে অবশ্যই পর্যাপ্ত মানবিক সহায়তা তহবিল প্রদান করতে হবে এবং পুনর্বাসনসহ রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য টেকসই সমাধান নিয়ে ভাবতে হবে।
অ্যান্ড্রুজ এ বছরের শুরুতে আচেহ ইন্দোনেশিয়ায় রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সঙ্গে দেখা করেছিলেন, এর মধ্যে পিডির একটি শরণার্থী শিবিরও ছিল। যেখানে তাকে বলা হয়েছিল যে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা শরণার্থীরা বিপজ্জনক যাত্রার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
বিশেষজ্ঞ বলেন, 'আমি ইন্দোনেশিয়ার কর্তৃপক্ষকে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের চাহিদা মেটাতে মানবিক সংস্থাগুলোর সঙ্গে কাজ চালিয়ে যেতে উৎসাহিত করছি। এর মধ্যে সম্প্রতি আগমনকারীদের জন্য আশ্রয়শিবির নির্মাণও রয়েছে। এছাড়া নারী ও শিশুসহ শোষণ ও মানব পাচারের সবচেয়ে ঝুঁকিতে থাকা ব্যক্তিদের জন্য সেবা প্রদান করা উচিত।’
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গাদের দীর্ঘায়িত উপস্থিতির কোনো সুযোগ নেই: জাতিসংঘে বাংলাদেশ
অ্যান্ড্রুজ গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, এই আগমন বাংলাদেশে খারাপ পরিস্থিতি থেকে পালিয়ে আসা উল্লেখযোগ্য সংখ্যক রোহিঙ্গার আগমনের ইঙ্গিত দেয়।
তিনি বলেন, ‘সত্যি কথা বলতে কি, কে তাদের দোষ দিতে পারে? বাবা-মায়েরা ভঙ্গুর পর্যায়ে পৌঁছেছেন, কারণ তাদের সন্তানরা ক্ষুধা ও অপুষ্টিতে ভুগছে এবং শিবিরে ক্রমবর্ধমান সহিংসতার হুমকির মুখোমুখি হচ্ছে।’
‘এই পরিবারগুলো অনিচ্ছা সত্ত্বেও ভিড়যুক্ত নৌকায় ঝুঁকি নিয়ে চড়ছে, কারণ তারা বিপদগ্রস্ত এবং কোনও বিকল্প দেখছে না।’
তিনি বলেন, 'অতীতে কেউ কেউ যেমন করেছে- কোনো রাষ্ট্রই রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নামতে বাধা দেবে না। নৌকাগুলোকে সমুদ্রে ঠেলে দেবে না।’আরও পড়ুন: রোহিঙ্গাদের স্বেচ্ছায় প্রত্যাবাসন শুরুর প্রস্তুতি অব্যাহত থাকবে: পররাষ্ট্র সচিব
১১ মাস আগে
ইন্দো-প্যাসিফিক জুড়ে ‘শান্তি ও স্থিতিশীলতা’ চায় যুক্তরাজ্য
বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শরণার্থী এবং স্বাগতিক সম্প্রদায়ের জন্য জরুরি মানবিক সেবা দিতে আরও ৪ দশমিক ৫ মিলিয়ন পাউন্ডের তহবিল ঘোষণা করেছেন যুক্তরাজ্যের ইন্দো-প্যাসিফিক বিষয়কমন্ত্রী অ্যান-মেরি ট্রেভেলিয়ান।
মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে ব্যাংককে জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থার (ইউএনএইচসিআর) আঞ্চলিক সম্মেলনে তিনি এ ঘোষণা দেন।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন এবং জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার ফিলিপ্পো গ্র্যান্ডির সঙ্গে যুক্তরাজ্যের মন্ত্রী সম্মেলনে যোগ দিচ্ছেন।
আরও পড়ুন: ব্যাংককে রোহিঙ্গা শরণার্থীবিষয়ক উচ্চ পর্যায়ের আঞ্চলিক বৈঠক ১৭ অক্টোবর
ট্রেভেলিয়ান বলেন, রোহিঙ্গা সংকটের দীর্ঘমেয়াদী সমাধান খুঁজতে যুক্তরাজ্য অঙ্গীকারবদ্ধ। এর মধ্যে রয়েছে মিয়ানমারে তাদের নিরাপদ, স্বেচ্ছায় ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবর্তন অন্তর্ভুক্ত, যখন সেখানকার পরিস্থিতি উপযুক্ত হবে।
তিনি বলেন, রোহিঙ্গারা নিরাপদে নিজ দেশে ফিরে যেতে না পারা পর্যন্ত আমরা চলমান মানবিক সহায়তা প্রদানে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এজন্য আমরা বাংলাদেশে শরণার্থীদের সুরক্ষা সেবা, স্বাস্থ্যসেবা ও পরিচ্ছন্ন জ্বালানির জন্য যুক্তরাজ্যের আরও ৪ দশমিক ৫ মিলিয়ন পাউন্ড সহায়তা ঘোষণা করছি।
তিনি বলেন, ‘মিয়ানমারে টেকসই সমাধান এবং রোহিঙ্গা ও তাদের স্বাগতিক দেশগুলোর প্রতি সমর্থন নিয়ে আলোচনার জন্য আজকের সম্মেলন একটি গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ।’
৪ দশমিক ৫ মিলিয়ন পাউন্ডের তহবিলের মধ্যে রয়েছে-
রোহিঙ্গা শরণার্থী ও স্থানীয় জনগোষ্ঠীর জন্য স্বাস্থ্যসেবা ও পরিচ্ছন্ন জ্বালানির জন্য আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) মাধ্যমে ২ দশমিক ১ মিলিয়ন পাউন্ড।
শরণার্থী ও স্বাগতিক সম্প্রদায়ের সুরক্ষার জন্য এনজিওগুলোর মাধ্যমে ২ মিলিয়ন পাউন্ড। এনজিওগুলির মধ্যে রয়েছে- নরওয়েজিয়ান রেফিউজি কাউন্সিল, ড্যানিশ রেফিউজি কাউন্সিল, ইন্টারন্যাশনাল রেসকিউ কমিটি এবং হিউম্যানিটি অ্যান্ড ইনক্লুশন।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা শরণার্থী বিষয়ক উচ্চ পর্যায়ের আঞ্চলিক বৈঠকে যোগ দিতে ব্যাংককে মোমেন
লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা প্রতিরোধ ও প্রতিক্রিয়া জানাতে এবং যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের জন্য জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিলের (ইউএনএফপিএ) মাধ্যমে ৪ লাখ ৫০০০০ হাজার পাউন্ড।
সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন ও জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার ফিলিপ্পো গ্র্যান্ডির সঙ্গে বৈঠক করবেন ট্রেভেলিয়ান।
২০১৭ সাল থেকে বাংলাদেশের রোহিঙ্গা শরণার্থী ও স্থানীয় জনগোষ্ঠীকে সহায়তার জন্য ৩৭০ মিলিয়ন পাউন্ড এবং মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা ও অন্যান্য মুসলিম সংখ্যালঘুদের সহায়তার জন্য প্রায় ৩০ মিলিয়ন পাউন্ড দিয়েছে যুক্তরাজ্য।
এর মধ্যে খাদ্য, পানীয়, স্যানিটেশন, স্বাস্থ্যসেবা এবং সুরক্ষা পরিষেবা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। যা ক্যাম্পগুলোর নারী ও মেয়েদের জন্য অত্যাবশ্যক।
যুক্তরাজ্য ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ‘শান্তি ও স্থিতিশীলতা’ সমর্থন করে এবং মিয়ানমারের জনগণের পাশে রয়েছে বলে জানিয়েছে।
যুক্তরাজ্যের মন্ত্রীর উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, ‘আমরা সকল সহিংসতার অবসান এবং বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষার জন্য এবং প্রয়োজনীয় সকলের কাছে নিরাপদ ও বাধাহীন মানবিক অভিগম্যতার জন্য আমাদের আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করছি।’
২০২৩ সালের মার্চে প্রকাশিত ইন্টিগ্রেটেড রিভিউ রিফ্রেশের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে রোহিঙ্গাদের প্রতি যুক্তরাজ্যের অব্যাহত সমর্থন ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের প্রতি তার দীর্ঘমেয়াদী অঙ্গীকারকে প্রতিফলিত করে।
আরও পড়ুন: আসন্ন সফরে নির্বাচন ও রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে আলোচনা করবেন মার্কিন কর্মকর্তা আফরিন আখতার: মোমেন
১ বছর আগে
রোহিঙ্গা শরণার্থী বিষয়ক উচ্চ পর্যায়ের আঞ্চলিক বৈঠকে যোগ দিতে ব্যাংককে মোমেন
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন রোহিঙ্গা শরণার্থী বিষয়ক উচ্চ পর্যায়ের আঞ্চলিক বৈঠকে যোগ দিতে বর্তমানে থাইল্যান্ডের ব্যাংককে অবস্থান করছেন। আগামী মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) এই সম্মেলনটি শুরু হবে।
সোমবার (১৬ অক্টোবর) রুদ্ধদ্বার বৈঠকে যোগ দিতে মোমেন ব্যাংককে পৌঁছেছেন বলে ইউএনবিকে জানিয়েছেন এক কর্মকর্তা।
২০২৩ সালের ডিসেম্বরে জেনেভায় অনুষ্ঠিতব্য গ্লোবাল রিফিউজি ফোরামের (জিআরএফ) আগে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া ১০ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য সহায়তা চাওয়া হবে। একই সঙ্গে আশ্রয়দাতা সম্প্রদায়ের জন্য আন্তর্জাতিক সমর্থন চাওয়া হবে।
আরও পড়ুন: মার্কিন মিশনের সুপারিশ নিয়ে আমাদের মন্তব্য করার কিছু নেই: মোমেন
জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার ফিলিপ্পো গ্র্যান্ডিও বৈঠকে যোগ দিতে থাইল্যান্ড সফর করছেন।
সফরের অংশ হিসেবে গ্র্যান্ডি ১৭ অক্টোবর রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের আঞ্চলিক বৈঠকের উদ্বোধন করবেন।
ইউএনএইচসিআর জানিয়েছেন, যুক্তরাজ্যের ইন্দো-প্যাসিফিক বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী এবং জনসংখ্যা, শরণার্থী ও অভিবাসন ব্যুরোর মার্কিন ডেপুটি অ্যাসিসট্যান্ট সেক্রেটারি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে অংশ নিচ্ছেন।
উল্লেখ্য, ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গাকে কক্সবাজার জেলা ও ভাসানচরে আশ্রয় দিয়েছে বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন: চলতি মাসে ব্রাসেলসে গ্লোবাল গেটওয়ে ফোরামে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী: মোমেন
১ বছর আগে
পুনর্বাসন কর্মসূচি: সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ রোহিঙ্গাদের স্থানান্তরে যুক্তরাষ্ট্রের চেষ্টা চলছে
যুক্তরাষ্ট্র একটি পুনর্বাসন কর্মসূচি দাঁড় করানোর পরিকল্পনা করেছে, যা সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ রোহিঙ্গা শরণার্থীদের দেশটিতে স্থানান্তরের জন্য সক্ষম করে তুলবে।
বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বলেন, ‘পুনর্বাসন কর্মসূচি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশ সরকার ও জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনারের (ইউএনএইচসিআর) সঙ্গে সমন্বয় করতে পেরে আমরা আনন্দিত।’
তিনি বলেন, অন্যান্য দেশও একই ধরনের কর্মসূচি বাস্তবায়নে তাদের সঙ্গে কাজ করছে।
মার্কিন এই রাষ্ট্রদূত বলেন, বিষয়টি নজিরবিহীন বাস্তুচ্যুত সংকটের মুখে শরণার্থী পুনর্বাসনে যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘদিনের নেতৃত্বকে প্রতিফলিত করে।
রাষ্ট্রদূত হাস সম্প্রতি ডিফেন্স সার্ভিস কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ কলেজে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতি ও বাংলাদেশের ওপর এর প্রভাব নিয়ে কথা বলেছেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের রোহিঙ্গাদের জন্য ৩ মিলিয়ন ডলার মানবিক সহায়তা দেবে দ.কোরিয়া
তিনি বলেন, বাংলাদেশের অন্যতম লক্ষ্য হলো রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মানবিক সুরক্ষার জন্য আন্তর্জাতিক মানদণ্ড পূরণ করা এবং মিয়ানমারে নিরাপদ, স্বেচ্ছায় ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসন সম্ভব না হওয়া পর্যন্ত তাদের আশ্রয় অব্যাহত রাখা।
রাষ্ট্রদূত হাস বলেন, ‘আমরা রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ এবং বার্মা (মিয়ানমার) থেকে বাংলাদেশে তাদের প্রত্যাবাসনের ৬ বছর পূর্তির দিকে এগিয়ে যাচ্ছি।’
তিনি বলেন, এ সময়ে (৬ বছরে) তাদের দেশে স্বাগত জানানো ও আশ্রয় দেওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ অবিশ্বাস্য উদারতা ও সহানুভূতি দেখিয়েছে।
এই অবিশ্বাস্য আতিথেয়তার সমর্থনে রাষ্ট্রদূত বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশ, মিয়ানমার ও এ অঞ্চলের রোহিঙ্গা শরণার্থী এবং স্থানীয় জনগোষ্ঠীকে সহায়তার জন্য ২ দশমিক ১ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি মানবিক সহায়তা দিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করি, রোহিঙ্গারা শিগগিরই নিরাপদ ও মর্যাদার সঙ্গে নিজ ভূমিতে ফিরে যেতে পারবে।’
রাষ্ট্রদূত হাস বলেন, মিয়ানমারের পরিস্থিতি এখনও নিরাপদ, স্বেচ্ছায়, মর্যাদাপূর্ণ ও টেকসই প্রত্যাবাসনের অনুমতি দেয় না।
আরও পড়ুন: বিশ্বজুড়ে সংকট সত্ত্বেও রোহিঙ্গাদের ভুলে যায়নি ইইউ: ইউএনবিকে গিলমোর
বুধবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের নিতে ইচ্ছুক, কিন্তু কিছু বিদেশি সরকার ও আন্তর্জাতিক সংস্থা এই মুহূর্তে তাদের প্রত্যাবাসনের সমর্থন করছে না।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘তারা (আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়) মনে করে, মিয়ানমারে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত রোহিঙ্গাদের সেখানে ফেরত পাঠানো বুদ্ধিমানের কাজ হবে না।’
মোমেন বলেন, প্রত্যাবাসন শুরু করতে রোহিঙ্গা ইস্যুতে যারা কাজ করছেন তাদের সবার ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির প্রয়োজন রয়েছে বলে তারা মনে করেন।
তিনি বলেন, ‘বিদেশি সরকার ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো আমাদের প্রত্যাবাসনের জন্য না যাওয়ার পরামর্শ দেয়।’
তিনি বলেন, রোহিঙ্গারা ফিরে যেতে ইচ্ছুক এবং মিয়ানমার সরকারও তাদের ফিরিয়ে নিতে ইচ্ছুক।
মোমেন বলেন, ‘আমাদের অগ্রাধিকার হচ্ছে প্রত্যাবাসন। আমি সবসময় আশাবাদী যে মিয়ানমারে ফিরে যাওয়ার পর তারা আরও উন্নত জীবন পাবে।’
আরও পড়ুন: অনেক বৈশ্বিক নেতৃত্ব এই মুহূর্তে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন চান না: মোমেন
১ বছর আগে
রোহিঙ্গা শরণার্থীদের খাদ্য সাহায্য আবারও কমলো, বাংলাদেশে জরুরি অর্থায়নে জাতিসংঘের আহ্বান
জাতিসংঘ অবিলম্বে বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের খাদ্য সহায়তায় নতুন করে ঘাটতির সম্মুখীন হওয়ায় অবিলম্বে তহবিল বিষয়ে আন্তর্জাতিক সমর্থনের জন্য আবেদন করেছে।
বৃহস্পতিবার (১ জুন) থেকে বাংলাদেশের কক্সবাজারে আশ্রিত রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মাসিক খাদ্য ভাউচার তিন মাসের মধ্যে দ্বিতীয়বার কমানো হচ্ছে, যা হবে দৈনিক রেশনের ৩৩ শতাংশ হ্রাস।
শরণার্থীদের প্রত্যেককে মাত্র ৮ মার্কিন ডলার (৮৪০ টাকা) সমমূল্যের ফুড ভাউচার দেওয়া হবে প্রতি মাসে। এটুকুই শরণার্থীদের জীবনধারণের উপায়, অন্য কোনো বিকল্প তাদের নেই।
মা-বাবারা ইতোমধ্যে কম খাচ্ছেন, যাতে তাদের সন্তানেরা খেতে পায়। রেশনের কাটছাঁট যারা খাদ্য সাহায্যের ওপরেই নির্ভরশীল, যাদের জীবনধারণের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ-সম্ভাবনা নেই এমন প্রায় ১০ লাখ শরণার্থীর জীবনে প্রভাব ফেলবে।
চলতি বছরের শুরুতে শরণার্থীরা বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) থেকে মাথাপিছু মাসিক ১২ মার্কিন ডলার মূল্যমানের রেশন পাচ্ছিলেন, যা দিয়ে কেবল তাদের দৈনিক চাহিদাটুকু মিটত। কিন্তু অর্থায়নের অভাবে ১ মার্চ থেকে তাদের মাথাপিছু মাসিক রেশন কমিয়ে ১০ মার্কিন ডলার করা হয়। এখন থেকে তা হবে মাত্র ৮ মার্কিন ডলার মূল্যমানের।
আরও পড়ুন: আইসিজেতে রোহিঙ্গা মামলায় অপর্যাপ্ত তহবিল নিয়ে ওআইসি মহাসচিবের উদ্বেগ
রোহিঙ্গা শরণার্থীদের খাদ্য সাহায্য হ্রাস করা প্রসঙ্গে মন্তব্য করতে গিয়ে বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গোয়েন লুইস বলেন, ‘আমরা অত্যন্ত উদ্বিগ্ন যে বিশ্ব খাদ্য সংস্থা বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের খাদ্য সাহায্য কমাতে বাধ্য হচ্ছে। শরণার্থীদের স্বাস্থ্য ও পুষ্টির ক্ষেত্রে এর ফল হবে ভয়াবহ। নারী, শিশু ও সবচেয়ে নাজুক মানুষেরা বিশেষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা জরুরি ভিত্তিতে আন্তর্জাতিক সহযোগিতার আবেদন জানাচ্ছি। রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মানবিক সহায়তায়, তাদের প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা, পুষ্টি, খাদ্য ও শিক্ষার জন্য মোট যে পরিমাণ অর্থ দরকার তার মাত্র ২৪ দশমিক ৬ শতাংশের অর্থায়ন মিলেছে । এই শরণার্থীদের সাহায্য-সহযোগিতার আর কোনো উৎস নেই। রোহিঙ্গা শিবিরগুলোতে বসবাসরত মানুষের কাজ করার কোনো সুযোগ নেই। তারা সম্পূর্ণভাবে নির্ভরশীল আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অর্থায়নের ওপর।’
রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জীবন-রক্ষাকারী সহায়তায় এই নতুন কাটছাঁটের উদ্যোগ নেওয়া হলো এমন এক সময় যখন তারা বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড় মোখার তাণ্ডব আর সেই সঙ্গে তাদের শিবিরগুলোতে এই বছরের বিরাট এক অগ্নিকাণ্ডের ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছেন; যার ফলে হাজার হাজার শরণার্থীর সাহায্য ভীষণ প্রয়োজন।
চলতি বছরে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের অবস্থা বিশেষভাবে নাজুক, কারণ ৮৭৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সাহায্যের যে আবেদন ২০২৩ সালে করা হয়েছে, ১ জুন নাগাদ তার মাত্র ২৪ দশমিক ৬ শতাংশ অর্থায়ন মিলেছে; এর ফলে অন্যান্য জরুরি কর্মসূচি ও কর্মকাণ্ডেও কাটছাঁট করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা মামলা: সদস্য দেশগুলোর সমর্থন চেয়েছেন ওআইসি মহাসচিব
১ বছর আগে
ঘূর্ণিঝড় মোখা’র প্রভাবে জরুরি সহায়তা হিসেবে ৪.২১ কোটি মার্কিন ডলারের আবেদন জাতিসংঘের
ঘূর্ণিঝড় মোখা'র প্রভাবে কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শরণার্থী ও বাংলাদেশি জনগোষ্ঠীর জন্য জাতিসংঘ ও এর অংশীদাররা মঙ্গলবার চার কোটি ২১ লাখ মার্কিন ডলারের আবেদন করেছে।
ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশের ৩৩টি শরণার্থী শিবির ও আশেপাশের গ্রামগুলোকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।
রোহিঙ্গা শরণার্থী সাড়াদানের আওতায় জরুরি আবেদনের মধ্যে রয়েছে শরণার্থী ও বাংলাদেশি জনগোষ্ঠীর কল্যাণে তিন কোটি ৬৫ লাখ মার্কিন ডলার। এছাড়া টেকনাফের বাংলাদেশি পরিবারের জন্য ৫৬ লাখ মার্কিন ডলার চেয়েছে জাতিসংঘ এবং এর অংশীদার সংস্থাগুলো।
এই আবেদনে জরুরি চাহিদা পূরণ, বর্ষার আগে প্রস্তুতি এবং জীবন বাঁচানোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ আশ্রয়ণ ও সেবাকেন্দ্রগুলোর জন্য বৈরী আবহাওয়া এবং আগুন প্রতিরোধক উপকরণ ব্যবহারের বিষয়গুলো প্রধান্য পেয়েছে।
গত ১৪ মে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড় 'মোখা'। ঘূর্ণিঝড়ে লাখ লাখ বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। বাঁশ ও ত্রিপল দিয়ে নির্মিত আশ্রয়কেন্দ্রগুলো ক্ষতিগ্রস্ত ও সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে যায়।
আরও অনেকে বিশুদ্ধ পানি এবং অন্যান্য স্যানিটেশন সুবিধার সুযোগ হারিয়েছেন। এছাড়াও শিক্ষা, পুষ্টি, সুরক্ষা এবং অন্যান্য সুবিধাকেন্দ্রগুলোও আংশিক ক্ষতিগ্রস্থ বা সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়েছে।
বাংলাদেশে নিযুক্ত জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গোয়েন লুইস বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশি ও শরণার্থী জনগোষ্ঠীর ওপর ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে। আমাদের যা করতে হবে তা হলো- স্থাপনাগুলো বৈরী আবহাওয়া এবং অগ্নি-প্রতিরোধক উপকরণ দিয়ে আরও ভালোভাবে তৈরি করা।’
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় 'মোখা'র জরুরি ত্রাণ সহায়তায় আড়াই লাখ ডলার দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র: পিটার হাস
১ বছর আগে
রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ৭.৬ মিলিয়ন ডলার সহায়তা দেবে সুইডেন
কক্সবাজারের শরণার্থী শিবিরে দু’দিনের সফর শেষে বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইডেনের রাষ্ট্রদূত আলেকজান্দ্রা বার্গ ভন লিন্ডে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মানবিক কর্মকাণ্ডের জন্য দেশটির পক্ষ থেকে ৭৯ মিলিয়ন ক্রোনা বা ৭ দশমিক ৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার অনুদানের ঘোষণা দিয়েছেন।
এই অনুদানের মাধ্যমে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের রান্নার জন্য পরিচ্ছন্ন জ্বালানি, কক্সবাজারের পরিবেশ ও বাস্তুতন্ত্রের উন্নয়ন এবং শরণার্থী ও স্থানীয় বাংলাদেশিদের দক্ষতায় উন্নয়নমূলক কাজ করা হবে।
নিরাপদ জ্বালানি ও শক্তির জন্য এ সকল কর্মকাণ্ড জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও), জাতিসংঘের অভিবাসন সংস্থা (আইওএম), জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা (ইউএনএইচসিআর) এবং বিশ্ব খাদ্য সংস্থা (ডব্লিউএফপি)-এর যৌথ কার্যক্রম ‘সেফ এক্সেস টু ফুয়েল এন্ড এনার্জি প্লাস, ফেইজ ২’ (সেফ+২) এর আওতাধীন।
রাষ্ট্রদূত লিন্ডে বলেন, ‘কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শরণার্থী ও তাদের আশ্রয়দানকারী স্থানীয় বাংলাদেশিদের জীবনে সেফ+২ প্রোগ্রামের ইতিবাচক প্রভাব দেখে আমি মুগ্ধ। ২০১৭ সালে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আগমনের একটি প্রভাব পড়েছিল কক্সবাজারের বনভূমির একটি বড় অংশের ওপর। সেফ+২ এর মাধ্যমে বিস্ময়করভাবে শরণার্থী শিবিরগুলোর আশেপাশের জায়গাগুলোতে সবুজায়ন ও বনায়ন পুনরায় হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই যে শরণার্থীরা এখন পরিচ্ছন্ন জ্বালানির মাধ্যমে রান্না করছে, এর মাধ্যমে বনভূমি এবং তাদের স্বাস্থ্যের উন্নতি হচ্ছে। পরিবেশ রক্ষার মাধ্যমে শরণার্থী ও স্থানীয় বাংলাদেশিরা দক্ষতা উন্নয়ন ও জীবিকার কাজে জড়িত হচ্ছে। যা অসাধারণ একটি অর্জন। এখানে অবদান রাখতে পেরে আমরা আনন্দিত।’
আরও পড়ুন: কক্সবাজার রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে এসডিজি অ্যাডভোকেট বেলজিয়ামের রানী ম্যাথিল্ডে
প্রকল্পের আহ্বায়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর-এর বাংলাদেশে নিযুক্ত প্রতিনিধি ইয়োহানেস ভন ডার ক্লাও বলেন, ‘সুইডেনের সরকার ও এর জনগণের এই অনুদানের মাধ্যমে আমরা এক লাখ ৯০ হাজার শরণার্থী পরিবারকে তরল পেট্রোলিয়াম গ্যাস (এলপিজি) দিতে পারব। এই পরিচ্ছন্ন জ্বালানি শরণার্থীদের সুস্থতা ও জীবনমান উন্নয়নে কাজ করে। কেননা, এর মাধ্যমে নিশ্বাসের সঙ্গে কম ধোঁয়া ঢুকে এবং এটি বনে গিয়ে জ্বালানি কাঠ সংগ্রহ করতে গিয়ে লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা ও অন্যান্য সুরক্ষা ঝুঁকি রোধ করে। এই কার্যক্রমের মাধ্যমে পরিবেশ ও বাস্তুতন্ত্রের একটি সফল পুনর্বাসন হবে এবং টেকসইভাবে কার্বন-ডাই-অক্সাইডের নিঃসরণ কমবে।’
এলপিজি ও উন্নত জ্বালানিবান্ধব রান্নার সরঞ্জাম বিতরণের মাধ্যমে লাকড়ির ব্যবহার ও এর সঙ্গে গাছ কাটার পরিমাণ কমানো যায়। এই কার্যক্রমের প্রথম ধাপের মাধ্যমে এখন পর্যন্ত চার লাখ টন কার্বন-ডাই-অক্সাইড নিঃসরণ রোধ করা সম্ভব হয়েছে।
পুরো প্রক্রিয়াটি আরও কার্যকরী হয় একই সময়ে গাছ লাগানো, পুনরায় বনায়ন এবং ঝিরি ও পানি নিষ্কাশনের বিভিন্ন প্রাকৃতিক ব্যবস্থার উন্নতির মাধ্যমে। এই যৌথ কার্যক্রমে পরিবেশের উন্নয়ন ও কৃষি বিষয়ক দক্ষতা উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে ঝুঁকিতে থাকা শরণার্থী ও স্থানীয় জনগণকে সাহায্য করবে।
২০১৯ সালে জাতিসংঘের অভিবাসন সংস্থা আইওএম-এর নেতৃত্বে শুরু হওয়া সেফ+ কার্যক্রমটিকে প্রথম থেকেই সুইডেন সহায়তা দিয়ে এসেছে। প্রথম ধাপের সফলতা ও অভিজ্ঞতাকে পুঁজি করে ২০২২ সালের জুলাইতে এর দ্বিতীয় ধাপ সেফ+২ শুরু হয়। এই কার্যক্রমের দ্বিতীয় ধাপকে বর্তমানে সহায়তা দিচ্ছে সুইডেন ও কানাডা সরকার।
প্রায় ছয় বছর আগে মিয়ানমারে সহিংসতা ও নিপীড়নের কারণে সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থী হতে বাধ্য হয়েছিল। বর্তমানে প্রায় ৯ লাখ ২০ হাজার রোহিঙ্গা শরণার্থী কক্সবাজার এলাকায় ঘনবসতিপূর্ণ শিবিরে আশ্রয় নিয়েছে এবং আরও ৩০ হাজার শরণার্থী বাস করছে ভাসান চরে।
আরও পড়ুন: থাই সরকারের প্রতি রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সাহায্য করার আহ্বান এপিএইচআর’র
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গোলাগুলি, অস্ত্রসহ ২ জঙ্গি গ্রেপ্তার: র্যাব
১ বছর আগে
অবিলম্বে ২০০ রোহিঙ্গা শরণার্থীদের বহনকারী নৌকা উদ্ধার করুন: দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় সংসদ সদস্যদের আহ্বান
দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় সংসদ সদস্যরা আসিয়ানের সদস্য রাষ্ট্র ও এই অঞ্চলের অন্যান্য দেশগুলোকে নারী ও শিশুসহ ২০০ জন রোহিঙ্গা শরণার্থী বহনকারী একটি নৌকাকে জরুরি ভিত্তিতে উদ্ধার করার আহ্বান জানিয়েছেন। যেটি প্রায় সপ্তাহখানেক ধরে থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া ও ভারতের উপকূলে ভেসে বেড়াচ্ছে বলে জানা গেছে।
জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার (ইউএনএইচসিআর) অনুযায়ী, নভেম্বরের শেষের দিক থেকে নৌকাটি গভীর সাগরে পাড়ি জমায় এবং যাত্রার পর থেকে জাহাজে থাকা কয়েক ডজন লোক ইতোমধ্যেই মারা গেছে। অন্যদিকে বেঁচে থাকা ব্যক্তিদের খাবার, পানীয় জল বা ওষুধ নেই।
আসিয়ান পার্লামেন্টারিয়ানস ফর হিউম্যান রাইটসের (এপিএইচআর) বোর্ড সদস্য ইভা সুন্দরী বলেন, আমরা জরুরি ভিত্তিতে আসিয়ান সদস্য দেশ ও এই অঞ্চলের অন্যান্য দেশগুলোকে তাদের মানবিক বাধ্যবাধকতা পূরণ করতে এবং তাদের যথাযথভাবে অবতরণ করার অনুমতি দিয়ে নৌকাটি তাদের জল সীমায় প্রবেশ করলে অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযান শুরু করার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।
তারা আরও বলেন, এটা লজ্জাজনক যে গুরুতর বিপদে পুরুষ, নারী ও শিশুদের নিয়ে নৌকাটিকে ভেসে থাকতে হচ্ছে। ওই মানুষগুলোকে অবহেলা করা মানবতার অবমাননার কম কিছু নয়।
আরও পড়ুন: মিয়ানমার বিষয়ক আসিয়ানের বিশেষ দূতকে সু চির সঙ্গে দেখা করার আহ্বান
গণমাধ্যমের প্রতিবেদন ও মানবাধিকার সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, গত সপ্তাহ থেকে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের বহনকারী আরও দুটি নৌকা ভেসে বেড়াচ্ছে।
এদিকে, ১৫৪ শরণার্থী বহনকারী একটি নৌকাকে ৮ ডিসেম্বর ভিয়েতনামের একটি তেলবাহী জাহাজ উদ্ধার করে। তাদের মিয়ানমার নৌবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হয়। ১০৪ শরণার্থী বহনকারী আরেকটি নৌকাকে ১৮ ডিসেম্বর শ্রীলঙ্কার নৌবাহিনী উদ্ধার করে এবং তাদেরকে কানকেসান্তুরাই হারবারে অবতরণ করা হয়।
রোহিঙ্গারা তাদের স্বদেশ মিয়ানমারে কয়েক দশক ধরে নিপীড়নের শিকার হচ্ছে।
১৯৯০ এর দশকের গোড়ার দিকে কর্তৃপক্ষ তাদের অধিকাংশকে রাষ্ট্রহীন করে দেয় এবং সত্তরের দশকের শেষের দিক থেকে সবচেয়ে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের শিকার হয় তারা।
২০১৬ ও ২০১৭ সালে নৃশংস সামরিক অভিযানের শিকার হয়ে প্রতিবেশি বাংলাদেশে সাত লাখ ৩০ হাজার রোহিঙ্গা বাস্তুচ্যুত হয়। এজন্য মিয়ানমার সেনাবাহিনীকে গণহত্যার জন্য অভিযুক্ত করা হয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে তাদের অনেকেই উন্নত জীবন খোঁজার জন্য অসাধু মানব পাচারকারীদের হাতে আত্মসমর্পণ করে আন্দামান সাগরের মধ্য দিয়ে অত্যন্ত বিপজ্জনক পথে মালয়েশিয়ার মতো দেশে পাড়ি জমায়।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে মিয়ানমারের মোবাইল নেটওয়ার্ক ব্যবহার করা হচ্ছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
এপিএইচআর-এর চেয়ারপারসন ও মালয়েশিয়ার সাবেক সংসদ সদস্য চার্লস সান্টিয়াগো বলেন, ‘সব সম্ভাবনা বিচারে এসব নৌকা উদ্ধারে বিলম্বের কারণে ইতোমধ্যেই অবর্ণনীয় দুর্ভোগ ও প্রাণহানি ঘটেছে। আর কোনো বিলম্ব অযৌক্তিক। সাগরে আটকে থাকা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের প্রতি এই অবহেলা নতুন কিছু নয়। যেমনটি বছরের পর বছর ধরে চলছে এবং এর ফলে শত শত, এমনকি হাজার হাজার মৃত্যু হয়েছে। যা সহজেই প্রতিহত করা যেত যদি এই অঞ্চলের দেশগুলো প্রাথমিক মানবিক নীতিগুলি পূরণ করত।’
এপিএইচআর আসিয়ানকে সমুদ্রে আটকা পড়া শরণার্থীদের ইস্যুতে একটি বিস্তৃত ও সমন্বিত আঞ্চলিক প্রতিক্রিয়া তৈরি করার লক্ষ্যে কার্যকরভাবে কাজ করা ও মানবিক নীতি অনুসারে এই ধরনের পরিস্থিতিতে সমুদ্রে জীবন বাঁচানোর সম্মিলিত প্রচেষ্টার আহ্বান জানিয়েছে।
মঙ্গলবার এপিএইচআর জানায় যে আসিয়ানের উচিত রোহিঙ্গাদের এত বছর ধরে এই ট্র্যাজেডির মূল কারণগুলোরও সমাধান করা। যার মধ্যে রয়েছে- মিয়ানমার কর্তৃপক্ষকে তাদের নাগরিকত্ব ফিরিয়ে আনার জন্য চাপ সৃষ্টি করা এবং বর্তমানে বাংলাদেশের ক্যাম্পে বসবাসকারী শরণার্থীদের ফিরিয়ে নেয়া।
রোহিঙ্গা জনগণের বিরুদ্ধে নৃশংসতার অপরাধীদের জবাবদিহি করতেও আসিয়ানকে সহায়তা করা উচিত, বিশেষ করে এখন যে সেনাবাহিনী তাদের বিরুদ্ধে ২০১৬ ও ২০১৭ সালে গণহত্যামূলক সামরিক অভিযান শুরু করে,তারাই ২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি একটি অবৈধ অভ্যুত্থান ঘটিয়ে মিয়ানমারে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছে।
এপিএইচআর বোর্ডের সদস্য ও প্রাক্তন থাই পররাষ্ট্রমন্ত্রী কাসিত পিরোম্যা বলেন, ‘বহু বছর ধরে আসিয়ান ও বৃহত্তরভাবে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় দীর্ঘ সময় ধরে নির্বিকার রয়েছে, কারণ রোহিঙ্গা ট্রাজেডি বছরের পর বছর ধরে চলে আসছে। যেসব দেশ মানবাধিকার রক্ষার দাবি করে, তাদের রোহিঙ্গাদের মানবাধিকার সংকটের মূল কারণগুলো মোকাবিলা করার নৈতিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে; নতুবা এই মানবিক ট্রাজেডিগুলো বারবার পুনরাবৃত্তি হবে। সেইসঙ্গে আসিয়ান সদস্য দেশগুলো এই অঞ্চলে ও এর বাইরেও তাদের অংশীদারদের অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে যে মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের অধিকার পুনরুদ্ধার করবে, সমস্ত বৈষম্যমূলক আচরণের অবসান ঘটাবে এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিচারের আওতায় আনবে।’
আরও পড়ুন: আন্তরিকতার অভাবে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন বিলম্বিত: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
১ বছর আগে
‘গ্লোবাল গেটওয়ে’ বাংলাদেশ-ইইউ সম্পর্কে নতুন সুযোগ সৃষ্টি করবে
ঢাকায় অবস্থানরত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) অন্তর্ভুক্ত দেশগুলোর রাষ্ট্রদূতরা বলেছেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের নতুন ‘গ্লোবাল গেটওয়ে’ কৌশল উচ্চ মানের অবকাঠামো প্রকল্পে টেকসই সংযোগ বিনিয়োগ প্রদানের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে যা বাংলাদেশ-ইইউ সম্পর্কের ক্ষেত্রে নতুন সুযোগ সৃষ্টি করবে।
ইউরোপ দিবস উপলক্ষে এবং তৎকালীন ফরাসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী রবার্ট শুম্যানের দৃষ্টিভঙ্গি স্মরণে দূতদের লেখা একটি যৌথ নিবন্ধ অনুসারে, যদি ব্যবসায়ীক পরিবেশ আরও উন্নত করা যায় তবে ইউরোপীয় ব্যবসার দ্বারা বিনিয়োগ বৃদ্ধির অনেক সম্ভাবনা রয়েছে।
বর্তমানে, ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) ২৭টি সদস্য রাষ্ট্র এবং ৪৫০ মিলিয়ন নাগরিক রয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৫০তম বার্ষিকীতে কংগ্রেসে প্রস্তাব উত্থাপন
বাংলাদেশে নিযুক্ত ইইউ’র রাষ্ট্রদূত ও প্রতিনিধিদলের প্রধান চার্লস হোয়াইটলি, ড্যানিশ রাষ্ট্রদূত উইনি ইস্ট্রুপ পিটারসেন, ফরাসি দূতাবাসের চার্জ ডি অ্যাফেয়ার্স গুইলাম অড্রেন ডি কেরড্রেল, জার্মান রাষ্ট্রদূত আচিম ট্রস্টার, ইতালির রাষ্ট্রদূত এনরিকো নুনজিয়াটা, ডাচ রাষ্ট্রদূত অ্যান ভ্যান লিউয়েন, স্প্যানিশ রাষ্ট্রদূত ফ্রান্সিসকো দে আসিস বেনিতেজ সালাস এবং সুইডিশ রাষ্ট্রদূত আলেকজান্দ্রা বার্গ ফন লিন্ডে যৌথভাবে নিবন্ধটি লিখেছেন।
বাণিজ্য ফ্রন্টে তারা বলেছেন, বাংলাদেশের রপ্তানির সবচেয়ে বড় গন্তব্য ইইউ, যা বার্ষিক প্রায় ২০ বিলিয়ন ইউরোতে পৌঁছেছে।
নিবন্ধে বলা হয়েছে, তাদের টিম ইইউ এবং ইইউ সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে একত্রিত করে বাংলাদেশের সঙ্গে গুরত্বপূর্ণ কিছু কাজ এবং সবুজ পরিবর্তনসহ নতুন ক্ষেত্রে সহযোগিতা প্রদান করছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে খাদ্যশস্য সরবরাহের আশ্বাস কানাডার
এটা শিক্ষা, খাদ্য নিরাপত্তা, সুশাসন এবং সুশীল সমাজের সহায়তার মতো ক্ষেত্রে তাদের দীর্ঘস্থায়ী উন্নয়ন সহায়তার পরিপূরক।
নিবন্ধে আরও বলা হয়েছে, মানবিক সহায়তার অন্যতম অংশীদার হিসাবে তারা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের একটি অস্থায়ী আবাসন প্রদান এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব মিয়ানমারে তাদের স্বেচ্ছায় ও নিরাপদ প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের প্রচেষ্টার পাশে থাকবেন।
বাংলাদেশের সঙ্গে ইইউ’র এই সম্পৃক্ততা এখন বাণিজ্য ও উন্নয়ন সহায়তা ছাড়াও জলবায়ু পরিবর্তন, নবায়নযোগ্য শক্তি, মানবাধিকার, নিরাপত্তা ও ডিজিটালাইজেশনের মতো বিষয়গুলোকেও অন্তর্ভুক্ত করে।
আরও পড়ুন: ইয়েমেনে সর্বশেষ শান্তি পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছে ঢাকা
২ বছর আগে
বাংলাদেশের পক্ষে একা রোহিঙ্গাদের দায়িত্ব নেয়া উচিত না: জাতিসংঘ
জাতিসংঘের মিয়ানমার বিষয়ক বিশেষ র্যাপোর্টিয়ার টম অ্যান্ড্রুস বলেছেন,আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অংশ হিসেবে বাংলাদেশের উচিত রোহিঙ্গাদের সাহায্য করা। তবে একক দেশ হিসেবে রোহিঙ্গাদের সম্পূর্ণ দায়িত্ব নেয়াটা বাংলাদেশের একার পক্ষে উচিত না এবং সম্ভবও না।
রবিবার বাংলাদেশে নিজের পরিদর্শন শেষে দেয়া বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
এসময় টম বলেন, রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য সম্পদের একটি সমৃদ্ধ উৎস প্রয়োজন। এই সঙ্কট সমাধানে বাংলাদেশ সরকারের প্রয়োজন ও প্রাপ্য একটি শক্তিশালী আন্তর্জাতিক অংশীদারিত্ব। কারণ এই সঙ্কটের কারণ ও সমাধান বাংলাদেশ না, এটা সম্পূর্ণই মিয়ানমারের হাতে।
অ্যান্ড্রুস বলেন, তিনি বাংলাদেশের সঙ্গে বন্ধু হিসাবে কাজ করতে, তার রিপোর্টিং চালিয়ে যেতে এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে যোগাযোগ ও সহযোগিতা অব্যাহত রাখতে এখানে ফিরে আসার জন্য উন্মুখ।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গারা নিরাপদে ফিরে যাওয়া ছাড়া আর কিছুই চায় না: জাতিসংঘ
তিনি আরও বলেন, সবচেয়ে বড় বিষয় হলো আমি এমন একটি মিয়ানমারকে দেখার অপেক্ষায় আছি যেখানে ন্যায়বিচার, মানবাধিকার ও মানবিকতা প্রাধান্য পাবে। এবং আমি রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর সঙ্গে শরণার্থী হিসেবে নয়; তাদের নিজ দেশে, মিয়ানমারের নাগরিক হিসাবে দেখা করতে পারব।
জাতিসংঘের বিশেষ এই র্যাপোর্টিয়ার মিয়ানমারের নৃশংস ও অপরাধমূলক গণহত্যা থেকে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয় দেয়ার জন্য বাংলাদেশ সরকারের প্রশংসা করেন ও ধন্যবাদ জানান।
এর আগে তিনি ভাসান চর পরিদর্শন করেন, যেখানে সরকার এ পর্যন্ত প্রায় ১৯ হাজার রোহিঙ্গা শরণার্থীকে স্থানান্তরিত করেছে।
২ বছর আগে