প্রকল্প বাস্তবায়ন
দ্রুত প্রকল্প বাস্তবায়নে গণমাধ্যমের সহযোগিতা চাইলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
প্রকল্প বাস্তবায়নে দেরি হলে ব্যয় বৃদ্ধি পায় উল্লেখ করে দ্রুত প্রকল্প বাস্তবায়নে গণমাধ্যমের সহযোগিতা চেয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
তিনি বলেন, গণমাধ্যম ও স্থানীয় নেতৃত্ব তৎপর হলে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রকল্প বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে।
শনিবার (৪ নভেম্বর) সিলেটের খাদিমপুরে সুরমা গেটে সিলেট-তামাবিল মহাসড়ক পৃথক এসএমভিটি লেনসহ ৪ লেনে উন্নীতকরণ প্রকল্পের দ্বিতীয় ধাপের কাজের উদ্বোধনকালে এই আহ্বান জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: গুরুত্বপূর্ণ সময়ে প্রধানমন্ত্রীর ব্রাসেলস সফর বাংলাদেশ-ইইউ সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
মন্ত্রী বলেন, নির্মাণাধীন মহাসড়কটি বাংলাদেশের সঙ্গে মিয়ানমার, নেপাল, ভুটান ও চীনের সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা সম্প্রসারিত করবে। এতে দেশে বাণিজ্যিক সম্প্রসারণের সঙ্গে সঙ্গে নতুন দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ আসবে বলে আশা প্রকাশ করেন ড. মোমেন।
প্রকল্পের তথ্যমতে, ৪ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ৫৬ দশমিক ১৬ কিলোমিটার দীর্ঘ সিলেট-তামাবিল মহাসড়কটি নির্মাণ করা হচ্ছে। এতে সিলেট-তামাবিল অঞ্চলে একটি নিরাপদ ও টেকসই যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে ওঠবে। প্রকল্পটি ওই এলাকার মানুষের কর্মসংস্থান বৃদ্ধির মাধ্যমে জীবন-জীবিকার মান ও আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
আরও পড়ুন: বিদেশিদের ‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’ চলচ্চিত্রটি দেখা উচিত: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
এ প্রকল্পের আওতায় ৫টি সেতু, ২২টি কালভার্ট, ১১টি ফুটওভার ব্রিজ, ৭টি বাসস্ট্যান্ড, ৬টি ইউলুপ এবং একটি টোলপ্লাজাও নির্মাণ করা হবে। প্রকল্পটি ২০২৫ সালের জুন মাসে শেষ হওয়ায় কথা রয়েছে। এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকের আর্থিক সহযোগিতায় মহাসড়কটি নির্মাণ করা হচ্ছে।
পরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সিলেট সদর উপজেলা পরিষদে উপজেলার ১২টি উন্নয়নমূলক কার্যক্রমের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। সড়ক, স্কুল ভবন, সেতু ও মসজিদ নির্মাণসহ এসব উন্নয়ন কাজের ব্যয় ধরা হয়েছে ২১ কোটি ৪০ হাজার টাকা।
অনুষ্ঠানে ড. মোমেন সদর উপজেলার সাতটি ইউনিয়নের ২ হাজার ৩১৫ জন কৃষকের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের রবি শস্যের বীজ ও সার বিতরণ করেন। এ ছাড়া প্রতিবন্ধীদের মাঝে হুইলচেয়ার বিতরণ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: আগামী নির্বাচনের আগে বড় কোনো বৈশ্বিক উদ্যোগে যোগ দেবে না বাংলাদেশ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
১ বছর আগে
প্রকল্প বাস্তবায়নে বাংলাদেশের প্রশংসায় ইফাদ প্রেসিডেন্ট
আন্তর্জাতিক কৃষি উন্নয়ন তহবিলের (ইফাদ) সর্ববৃহৎ পোর্টফোলিও হিসেবে উল্লেখ করে প্রকল্প বাস্তবায়ন ও সম্পদ ব্যবহারে বাংলাদেশের সক্ষমতার ভূয়সী প্রশংসা করেছেন সংস্থাটির প্রেসিডেন্ট গিলবার্ট এফ হুংবো।
ইতালিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শামীম আহসান ইফাদ প্রেসিডেন্টের কাছে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি হিসেবে পরিচয়পত্র প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
৫ জুলাই (সোমবার) ইফাদের সদর দপ্তরে এ আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়।
রাষ্ট্রদূত আহসান ইফাদের স্থায়ী প্রতিনিধি হিসেবে তাকে আনু্ষ্ঠানিকভাবে গ্রহণ করার জন্য এবং ৪০ বছরেরও বেশি সময় ধরে দারিদ্র ও ক্ষুধা দূরীকরণে বাংলাদেশকে অব্যাহত সহায়তার জন্য ইফাদ প্রেসিডেন্টকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
আরও পড়ুন: ৩৪৫ শিশুর মুক্তিতে বাংলাদেশের প্রশংসা ইউনিসেফ’র
ইফাদের ষষ্ঠ প্রেসিডেন্ট হিসেবে পুন:নির্বাচিত হওয়ার জন্য গিলবার্ট হুংবোকে রাষ্ট্রদূত অভিনন্দন জানান।
গ্রামীণ অঞ্চল ও প্রান্তিক মানুষের জীবনমান উন্নয়নের জন্য প্রেসিডেন্ট হুংবো যেসব প্রশংসনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন তা অব্যাহত রাখার জন্য তার এ পুন:নিয়োগ খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে রাষ্ট্রদূত উল্লেখ করেন।
তিনি কোভিড সৃষ্ট পরিস্থিতির মধ্যেও রেকর্ড পরিমান ১.৫৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার তহবিল গঠনে ইফাদ প্রেসিডেন্টের গতিশীল নেতৃত্বের প্রশংসা করেন। এর মাধ্যমে ২০২২-২০২৪ মেয়াদে উন্নয়নশীল দেশগুলো ইফাদ থেকে প্রায় ৩.৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অনুদান ও ঋণ সহায়তা গ্রহণে সক্ষম হবে।
আরও পড়ুন: মিয়ানমারের ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের দৃষ্টি; বাংলাদেশের অসাধারণ উদারতার প্রশংসা
বাংলাদেশ আগামী দিনগুলোতে ঋণ ব্যবহারের সামর্থ্য ও সক্ষমতার বিবেচনায় ইফাদের মূল তহবিল থেকে ঋণ সহায়তা গ্রহণের পাশাপাশি অন্যান্য তহবিল যেমন: ধারকৃত সম্পদ, ক্লাইমেট ফান্ড, বেসরকারি তহবিল থেকেও প্রয়োজনীতার নিরিখে নমনীয় শর্তে না হলেও সহজ শর্তে ঋণ নিতে পারে। বাংলাদেশের এ সক্ষমতা অর্জন বিশ্বের অনেক উন্নয়নশীল দেশের জন্য অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হিসেবে ইফাদ প্রেসিডেন্ট উল্লেখ করেন।
এছাড়া, তিনি ইফাদ থেকে সর্বোচ্চ উন্নয়ন সহায়তা গ্রহণ ও প্রকল্প বাস্তবায়নে প্রথম সারির দেশ হওয়ার পাশাপাশি ইফাদের নির্বাহী পর্ষদে সক্রিয় অংশগ্রহণকারী গুটি কয়েক দেশের মধ্যে বাংলাদেশকে অন্যতম বলে অভিহিত করেন।
বৈঠকে রাষ্ট্রদূত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ‘উন্নয়ন অভিযাত্রা’র কথা বলতে গিয়ে কৃষি ও দারিদ্র্য বিমোচনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অনুকরণীয় সাফল্য তুলে ধরেন যা বৈশ্বিক স্বীকৃতি পেয়েছে।
তিনি বলেন, স্বাধীনতার পরপরই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে প্রান্তিক মানুষের ভিত্তি স্থাপন করেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ‘সোনার বাংলা’ গড়ার প্রত্যয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশ খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে বলে রাষ্ট্রদূত ইফাদ প্রেসিডেন্টকে অবহিত করেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের প্রশংসা বিমসটেক মহাপরিচালকের
রাষ্ট্রদূত ও স্থায়ী প্রতিনিধি ইফাদের বিভিন্ন তহবিল থেকে ঋণ গ্রহণের বিভিন্ন আনুষঙ্গিক ও প্রায়োগিক বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/অংশীজনের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন। ইফাদ আগামী দিনগুলোতে বাংলাদেশকে এর অষ্টম পঞ্চ-বার্ষিক পরিকল্পনা এবং জলবায়ু পরিবর্তনজনিত অভিঘাত মোকাবিলার মতো সেক্টরাল চাহিদার নিরিখে উন্নয়ন সহায়তা প্রদান করতে পারে মর্মে রাষ্ট্রদূত অভিমত ব্যক্ত করেন।
এছাড়া, স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণ-পরবর্তী কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় সক্ষমতা অর্জনের জন্য বাংলাদেশকে সহায়তার জন্য অনুরোধ জানান।
অনুষ্ঠানে দূতাবাসের ইকনমিক কাউন্সেলর ও রোমভিত্তিক জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক সংস্থাসমূহের বিকল্প স্থায়ী প্রতিনিধি মানস মিত্র এবং ইফাদের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
৩ বছর আগে
পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ ২০২১ সালে শেষ হচ্ছে না
করোনাভাইরাস মহামারি ও বন্যার কারণে সরকারের মেগা প্রকল্প পদ্মা সেতু নির্মাণের মেয়াদ ২০২২ সাল পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
৪ বছর আগে