নগদ
নাহিদ ইসলামকে জড়িয়ে নগদের সংবাদ প্রকাশে এনসিপির নিন্দা
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামকে জড়িয়ে মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস নগদের অর্থ লোপাট ও দুর্নীতি নিয়ে বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমের সংবাদ প্রকাশকে ভুল অ্যাখ্যা দিয়ে নিন্দা জানিয়েছে দলটি।
এনসিপি এক জরুরি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে শনিবার (৩১ মে) এ ধরনের সংবাদ প্রকাশের নিন্দা জানিয়ে বলে, আতিক মোর্শেদকে নাহিদ ইসলামের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে, যা সঠিক নয়। নাহিদ উপদেষ্টার দায়িত্ব পালনকালে আতিক তার ব্যক্তিগত কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত ছিলেন। কিন্তু তিনি বর্তমানে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফাইজ তাইয়্যেব আহমেদের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা হিসাবে কর্মরত আছেন।
এছাড়াও, গণমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এনসিপি আহ্বায়ক স্পষ্ট করেছেন, উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে নগদ বাংলাদেশ ব্যাংকের অধীনে ছিল। ফলে নগদ সংক্রান্ত ব্যাপারে তাকে জড়িয়ে এমন প্রতিবেদন রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে উল্লেখ করেছে এনসিপি।
দলটির পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘আমরা উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি – একটি গোয়েন্দা সংস্থা থেকে প্রাপ্ত রেডিমেইড প্রতিবেদনকে তথাকথিত অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা হিসাবে জনগণের সামনে উপস্থাপনের অভিযোগ সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদকের বিরুদ্ধে উঠেছে। এর আগে ওয়ান-ইলেভেন সরকারের আমলে বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তিদের নিয়ে এ ধরণের ফরমায়েসি সংবাদ প্রকাশের নজির আমরা দেখেছি। বর্তমান সময়ে ঠিক একই ধরণের কার্যক্রম ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার প্রতিধ্বনি করছে এবং আরেকটি এক-এগারোর প্রেক্ষাপট তৈরি করছে।’
আরও পড়ুন: সার্বভৌমত্ব রক্ষায় ভারতের সঙ্গে কোনো আপস নয়: সারজিস
এই প্রতিবেদন প্রকাশের পরপর কোনো যাচাই-বাছাই ছাড়া একটি বৃহৎ রাজনৈতিক দলের মিডিয়া সেল থেকে অব্যাহতভাবে এনসিপি এবং নাহিদকে টার্গেট করে ফটোকার্ড প্রকাশ করা হয়েছে, যা গভীর উদ্বেগের ও শঙ্কাজনক বলে দাবি করেছে এনসিপি।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দলটি জানায়, ‘গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশে আমরা এমন এক রাজনৈতিক সংস্কৃতি নির্মাণ করতে চাই, যেখানে পারস্পরিক সমালোচনা হবে গঠনমূলক, যুক্তিনির্ভর ও বস্তুনিষ্ঠ। ভিত্তিহীন প্রোপাগান্ডার মাধ্যমে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার প্রবণতা পারস্পরিক সম্মান ও আস্থা নষ্ট করে রাজনৈতিক অঙ্গনের পরিবেশ আবারও পূর্বের ন্যায় দ্বন্দ্বমুখর ও আক্রোশমূলক করে তুলতে পারে; যা সকল পক্ষেরই পরিহার করা উচিত বলে আমরা মনে করি।’
বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমের নাম উল্লেখ করে এনসিপি অবিলম্বে বিভ্রান্তিকর তথ্যের সংশোধন এবং ভুল স্বীকার করে পেশাদার সাংবাদিকতার ন্যূনতম দায়িত্ব পালন করার আহ্বান জানিয়েছে।
দেশের গণমাধ্যম প্রসঙ্গে এনসিপি জানায়, ‘গণঅভ্যুত্থানের পরও বাংলাদেশের গণমাধ্যমগুলো থেকে প্রত্যাশিত ভূমিকা আমরা দেখছি না। রাষ্ট্রের বিভিন্ন সেক্টরের ন্যায় গণমাধ্যমেও পতিত ফ্যাসিবাদের তল্পিবাহকদের দেখা যাচ্ছে। খোদ অভ্যুত্থান ও শেখ হাসিনার পরিচালিত গণহত্যাকেই নানা মহল বিতর্কিত এবং প্রশ্নসাপেক্ষ করার প্রয়াস চালাচ্ছে।’
আরও পড়ুন: কেবল মার্কা দেখে ভোট দিলে দেশে পরিবর্তন আসবে না: সারজিস
এছাড়াও, গণমাধ্যমে পুরোনো কায়দায় রাজনৈতিক দখলদারিত্ব প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ফ্যাসিবাদী সরকারের পতনের পর থেকেই কিছু রাজনৈতিক পক্ষকে গণমাধ্যমের মালিকানা ও গুরুত্বপূর্ণ পদগুলো দখলে তৎপর হতে দেখা গেছে। যাতে বিভিন্ন অলিগার্ক মাফিয়া মিডিয়া মালিকদের সংশ্লিষ্টতাও স্পষ্ট প্রতীয়মান হচ্ছে বলে দাবি রাজনৈতিক এ দলটির।
এ ধরনের কর্মকাণ্ড গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও নিরপেক্ষতা সংকুচিত করবে উল্লেখ করে এনসিপির পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘আমরা হতাশার সঙ্গে লক্ষ্য করছি- গণমাধ্যমের মালিকানা ও পদের হাতবদল হয়েছে শুধু; গুণগত কোনো পরিবর্তন আসেনি। এই দুরবস্থা নিরসনে অনতিবিলম্বে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের সংস্কার প্রতিবেদন বাস্তবায়ন করার জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছে এনসিপি।’
পাশাপাশি গণমাধ্যমের ওপর নগ্ন হস্তক্ষেপ এবং রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো দলীয়করণের মাধ্যমে যারা এক-এগারোর পুনরাবৃত্তির চেষ্টা করছেন, চব্বিশের অভ্যুত্থানে প্রতিফলিত গণসার্বভৌমত্বের অনুপ্রেরণায় অনুপ্রাণিত হয়ে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে তাদের মোকাবিলা করার হুঁশিয়ারি দিয়েছে এনসিপি।
১৮৭ দিন আগে
নগদে প্রশাসক ও নতুন পরিচালনা পর্ষদ গঠন অবৈধ
মোবাইল আর্থিক সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান নগদের প্রশাসক নিয়োগ ও নতুন পরিচালনা পর্ষদ গঠনের সিদ্ধান্তকে অবৈধ ঘোষণা করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
৭ মে সংশ্লিষ্ট একটি আবেদনের শুনানি শেষে এই রায় দেন আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি মো. রেজাউল হক।
সোমবার (১২ মে) এই আদেশের অনুলিপি হাতে পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন আবেদনকারী পক্ষের আইনজীবী।
আদালতে রায়ে বলা হয়েছে, প্রশাসনিক বা পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠনের মাধ্যমে নগদদের ওপর অস্থায়ী নিয়ন্ত্রণ আরোপের যে কোনো প্রচেষ্টা আইন লঙ্ঘনের শামিল। ফলে, বাংলাদেশ ডাক বিভাগের আওতায় পরিচালিত কোম্পানিটি এখন থেকে শুধুমাত্র তাদের বৈধ মালিকানার অধীনে এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রণীত নীতিমালার আলোকে পরিচালিত হবে। এর কার্যক্রম পরিচালনায় আর কোনো আইনি বাধা নেই।
আরও পড়ুন: সুপ্রিম কোর্টের বিচারক নিয়োগ হবে কাউন্সিলের মাধ্যমে, অধ্যাদেশ জারি
এর আগে, ১৬ ফেব্রুয়ারি প্রশাসক নিয়োগের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা একটি রিট আবেদন খারিজ করে দেন হাইকোর্ট। এই পদক্ষেপকে অবৈধ ও প্রতিষ্ঠানের বিকাশের প্রতি বাধা বলে দাবি করে নগদ। এ কারণে বিষয়টি যথায়থ আইনি প্রক্রিয়ায় নিষ্পত্তি চাইছিল প্রতিষ্ঠানটি।
নগদের মালিকপক্ষের প্রধান আইনজীবী ব্যারিস্টার মুহাম্মদ জামির উদ্দিন সরকার বলেন, ‘এই রায় দেশের অর্থনীতির ভবিষ্যতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ রায়ে প্রমাণ হয়েছে, কোনো কর্তৃপক্ষ জোরপূর্বক বৈধ মালিকদের তাদের প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রণ থেকে বঞ্চিত করতে পারে না।’
সুপ্রিম কোর্ট আইনের শাসন ও সুশাসনের প্রতিচ্ছবি হিসেবে একটি সাহসী ও ন্যায়সঙ্গত অবস্থান নিয়েছের বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
২০৬ দিন আগে
নগদে নতুন প্রশাসক নিয়োগ
মোবাইল আর্থিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান নগদে নতুন প্রশাসক নিয়োগ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের চট্টগ্রাম কার্যালয়ের পরিচালক মো. মোতাছিম বিল্লাহকে নগদের নতুন প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মানবসম্পদ বিভাগ থেকে জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, নগদের বর্তমান প্রশাসক মুহম্মদ বদিউজ্জামান দিদারকে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে পদায়ন করে মোতাছিম বিল্লাহকে (নগদের) প্রশাসক পদে তার স্থলাভিষিক্ত করা হয়েছে।
অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর গত বছরের ২১ আগস্ট নগদের আগের পর্ষদ ভেঙে দিয়ে এক বছরের জন্য প্রতিষ্ঠানটিতে প্রশাসক নিয়োগ দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক।
এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক অভ্যন্তরীণ আদেশে বলা হয়, ডাক বিভাগের ডিজিটাল আর্থিক সেবা ‘নগদ’-এ চট্টগ্রাম অফিসের পরিচালক মুহম্মদ বদিউজ্জামান দিদারকে এক বছরের জন্য প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হলো। পাশাপাশি বাংলাদেশ ব্যাংকের অতিরিক্ত পরিচালক মো. হাবিবুর রহমান, যুগ্ম পরিচালক আনোয়ার উল্লাহ, পলাশ মন্ডল, আবু ছাদাত মোহাম্মদ ইয়াছিন, উপপরিচালক চয়ন বিশ্বাস ও আইয়ুব খানকে সহায়ক কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হলো।
পরে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মেজবাউল হক সাংবাদিকদের জানান, নগদ ডাক বিভাগের সেবা। তাদের পক্ষে বাংলাদেশ ব্যাংক সেবাটি পরিচালনা করবে।
তবে প্রশাসক নিয়োগে বাংলাদেশ ব্যাংকের এই আদেশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে নগদের নির্বাহী পরিচালক সাফায়েত আলম হাইকোর্টে রিট করেন।
রিটে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, বাংলাদেশ ব্যাংকের পেমেন্ট সিস্টেমস বিভাগের পরিচালক, ডাক বিভাগের মহাপরিচালক এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের নগদে নিযুক্ত প্রশাসক মুহম্মদ বদিউজ্জামান দিদারকে বিবাদী করা হয়।
আরও পড়ুন: নগদে প্রশাসক নিয়োগ বৈধ: হাইকোর্ট
ওই রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গত ১৭ সেপ্টেম্বর রুল জারি করে হাইকোর্ট। রুলে নগদে প্রশাসক নিয়োগের সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়। ১০ দিনের মধ্যে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরসহ সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়।
রুল শুনানির ধারাবাহিকতায় অপর এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৮ ডিসেম্বর নগদে নিয়োগ করা প্রশাসকের কার্যক্রমের ওপর দুই সপ্তাহের জন্য স্থিতাবস্থা জারি করে হাইকোর্টের একই বেঞ্চ। সেই রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি রায় ঘোষণা হয়। রায়ে নগদে প্রশাসক নিয়োগের বৈধতার প্রশ্নে জারি করা রুল খারিজ করে দেয় হাইকোর্ট।
এ ঘটনার পর আজ (বৃহস্পতিবার) মুহম্মদ বদিউজ্জামান দিদারকে বাংলাদেশ ব্যাংকে সরিয়ে নিয়ে মোতাছিম বিল্লাহকে নগদের নতুন প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হলো।
২৮০ দিন আগে
নগদে প্রশাসক নিয়োগ বৈধ: হাইকোর্ট
মোবাইল আর্থিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান নগদে প্রশাসক নিয়োগের বৈধতার প্রশ্নে জারি করা রুল খারিজ করেছে দিয়েছে হাইকোর্ট। এর ফলে নগদে প্রশাসক নিয়োগে বাংলাদেশ ব্যাংকের সিদ্ধান্ত বৈধ বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
পৃথক দুটি রিটের জারি করা রুল খারিজ করে রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন। নগদ বাংলাদেশ ডাক বিভাগের এজেন্ট উল্লেখ করে রায়ে আদালত বলেন, আইন বাস্তবায়ন করেই বাংলাদেশ ব্যাংক প্রশাসক নিয়োগ দিয়েছে।
আদালতে রিট আবেদনকারীর পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জমির উদ্দিন সরকার, মুহাম্মদ নওশাদ জমির, মোস্তাফিজুর রহমান খান ও আইনজীবী আবুল কালাম খান দাউদ। বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ও অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান, আইনজীবী কামরুজ্জামান কচি ও আইনজীবী সাইফুল ইসলাম।
রায়ের পর আইনজীবী আবুল কালাম খান দাউদ বলেন, নগদে প্রশাসক নিয়োগের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট আবেদনটি খারিজ করে দিয়েছে হাইকোর্ট। রিটকারীদের লুকাস স্ট্যান্ড নাই (আইনগত এখতিয়ার নেই) এই গ্রাউন্ডে রিটটি খারিজ করেছে আদালত।
আরও পড়ুন: অভিযোগ থেকে অব্যাহতি পেল নগদ
রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, রিটকারীর সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
রায়ের পর বাংলাদেশ ব্যাংকের আইনজীবী বি এম ইলিয়াস কচি বলেন, ‘নগদ ডাক বিভাগের এজেন্ট বলে রায়ে উল্লেখ করা হয়েছে। প্রশাসক নিয়োগের আগে কারণ দর্শানোর জন্য ডাক বিভাগকে নোটিশ দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। ডাক বিভাগ নোটিশের জবাব দেয়। এ ছাড়া নগদের কার্যক্রম পরিদর্শন করে বাংলাদেশ ব্যাংক অনিয়ম পায়। এসবের ভিত্তিতে গ্রাহকদের স্বার্থেই প্রশাসক নিয়োগ দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। এ ক্ষেত্রে রিট আবেদনকারীকে কোনো নোটিশ দেওয়া হয়নি বলে দাবি করা হয় রিটে। যেহেতু নগদ ডাক বিভাগের এজেন্ট, তাই রিট আবেদনকারীর সংক্ষুব্ধতা থাকলে তিনি সেখানে আবেদন করতে পারতেন, যা তিনি করেননি। এসব দিক বিবেচনায় রিট গ্রহণযোগ্য না হওয়ায় তা খারিজ করে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। এর ফলে বাংলাদেশ ব্যাংককের নগদে প্রশাসক নিয়োগ বৈধ বলে প্রমাণিত হলো।’
অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর বাংলাদেশ ব্যাংক গত বছরের ২১ আগস্ট এক বছরের জন্য নগদে প্রশাসক নিয়োগ দেয়। এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের এক অভ্যন্তরীণ আদেশে বলা হয়, ডাক বিভাগের ডিজিটাল আর্থিক সেবা ‘নগদ’-এ চট্টগ্রাম অফিসের পরিচালক মুহম্মদ বদিউজ্জামান দিদারকে এক বছরের জন্য প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হলো। পাশাপাশি বাংলাদেশ ব্যাংকের অতিরিক্ত পরিচালক মো. হাবিবুর রহমান, যুগ্ম পরিচালক আনোয়ার উল্লাহ, পলাশ মন্ডল, আবু ছাদাত মোহাম্মদ ইয়াছিন, উপপরিচালক চয়ন বিশ্বাস ও আইয়ুব খানকে সহায়ক কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হলো। তখন নগদের আগের পর্ষদও ভেঙে দেওয়া হয়।
পরে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মেজবাউল হক সাংবাদিকদের জানান, নগদ ডাক বিভাগের সেবা। তাদের পক্ষে বাংলাদেশ ব্যাংক সেবাটি পরিচালনা করবে।
এরপর বাংলাদেশ ব্যাংকের এই আদেশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে নগদের নির্বাহী পরিচালক সাফায়েত আলম হাইকোর্টে রিট করেন।
রিটে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, বাংলাদেশ ব্যাংকের পেমেন্ট সিস্টেমস বিভাগের পরিচালক, ডাক বিভাগের মহাপরিচালক এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের নগদে নিযুক্ত প্রশাসক মুহম্মদ বদিউজ্জামান দিদারকে বিবাদী করা হয়।
ওই রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গত ১৭ সেপ্টেম্বর রুল জারি করে হাইকোর্ট। রুলে নগদে প্রশাসক নিয়োগের সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়। ১০ দিনের মধ্যে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরসহ সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়।
রুল শুনানির ধারাবাহিকতায় অপর এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৮ ডিসেম্বর নগদে নিয়োগ করা প্রশাসকের কার্যক্রমের ওপর দুই সপ্তাহের জন্য স্থিতাবস্থা জারি করে হাইকোর্টের একই বেঞ্চ। সেই রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে রবিবার রায় ঘোষণা করে হাইকোর্ট।
একই বিষয়ে মোহাম্মদ আমিনুল হক নামে নগদের অপর এক পরিচালক আরেকটি রিট করেন। ওই রিটের শুনানি শেষে আদালত একইভাবে রুল জারি করে। আজ সেই রুল খারিজ করে রায় দেয় একই আদালত।
২০১৭ সালের ডিসেম্ববে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় মোবাইলে আর্থিক সেবা পরিচালনার জন্য থার্ড ওয়েভকে কাজ দেয়। এরপর ২০১৯ সালে মোবাইলে আর্থিক সেবাদাতা কোম্পানি হিসেবে যাত্রা শুরু করে নগদ। পরে এই এমএফএস কোম্পানিকে ডিজিটাল ব্যাংকের লাইসেন্স দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: চূড়ান্ত রায় পর্যন্ত নগদ প্রশাসকের কার্যক্রমে স্থিতাবস্থা: হাইকোর্ট
মোবাইলে আর্থিক সেবায় (এমএফএস) বিকাশের পরই এখন নগদের অবস্থান। তবে প্রতিষ্ঠার পর প্রতিষ্ঠানটি বিভিন্ন নিয়মকানুন যথাযথভাবে মেনে চলেনি বলে অভিযোগ রয়েছে। ডাক বিভাগের সেবা বলা হলেও এতে সরকারের অংশীদারত্ব নেই। যথাযথ গ্রাহক তথ্য যাচাই (কেওয়াইসি) ছাড়াই প্রতিষ্ঠানটি মোবাইল গ্রাহকদের নিজস্ব গ্রাহক বানিয়ে ফেলার সুযোগ পায় নগদ।
সরকারের সব ভাতা বিতরণেরও একচ্ছত্র সুবিধা পায় প্রতিষ্ঠানটি। ফলে সরকারি ভাতা পেতে নগদের গ্রাহক হওয়া বাধ্যতামূলক হয়ে যায়। নগদের মালিকানায় বিভিন্ন সময়ে যুক্ত ছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব আশরাফুল আলম খোকনের স্ত্রী রেজওয়ানা নূর, সাবেক সংসদ সদস্য নাহিম রাজ্জাক ও রাজী মোহাম্মদ ফখরুল। নগদে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মধ্যে ছিলেন তানভীর আহমেদ, নিয়াজ মোর্শেদ ও মারুফুল ইসলাম।
২৯১ দিন আগে
চূড়ান্ত রায় পর্যন্ত নগদ প্রশাসকের কার্যক্রমে স্থিতাবস্থা: হাইকোর্ট
মোবাইল আর্থিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান নগদে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়োগ করা প্রশাসকের সব কার্যক্রমের ওপর আবারও স্থিতাবস্থার আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ বুধবার (১৫ জানুয়ারি) এ আদেশ দেন।
শুনানির পর আদালত বলেছে, ৩০ জানুয়ারির মধ্যে তারা এ বিষয়ে চূড়ান্ত রায় দেবেন। নগদ প্রশাসকের সব কার্যক্রমের ওপর স্থিতাবস্থার আদেশ বলবৎ থাকবে।
এর আগে, গত ১৮ ডিসেম্বর হাইকোর্টের এক আদেশে ২ জানুয়ারি পর্যন্ত নগদ প্রশাসকের সব কার্যক্রমের ওপর স্থিতাবস্থার আদেশ দেন হাইকোর্ট। তবে এরপরও প্রশাসক ও তার সহকারীরা নগদে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন, যা কোর্টের নির্দেশনার পরিষ্কার বরখেলাফ।
বুধবার হাইকোর্টের এই আদেশের পর নগদ লিমিটেডের শেয়ার হোল্ডারদের পক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার মুহাম্মদ নওশাদ জমির বলেন, ‘আদালত নগদে প্রশাসকের স্থগিতাবস্থা বলবৎ রেখেছেন। এর ফলে চূড়ান্ত রায় না আসা পর্যন্ত প্রশাসক ও তার দল নগদ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে কোনোরকম কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবেন না। হাইকোর্ট একইসঙ্গে এটিও প্রত্যক্ষ করেছেন যে, বাংলাদেশ ব্যাংক অনেকগুলো অবৈধ কার্যক্রম পরিচালনা করছে। যখন চূড়ান্ত রায় আসবে তখন এগুলো বাতিল হয়ে যাবে এবং তখনই এ বিষয়ে যথাপোযুক্ত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এদিকে অবৈধঘোষিত এই প্রশাসকরা যাতে আদালতের রায় মেনে চলে, সেদিকে খেয়াল রাখতে প্রতিষ্ঠানটির কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন নগদ লিমিটেডের শেয়ার হোল্ডাররা।
এদিন রিট আবেদনকারীর পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যরিস্টার জমির উদ্দিন সরকারের নেতৃত্বে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আবুল কালাম খান দাউদ, জিয়াউর রহমান এবং জামিলুর রহমান প্রমুখ।
অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা বদলে দেওয়ার ধারাবাহিকতায় গত ২১ আগস্ট থেকে এক বছরের জন্য ডিজিটাল লেনদেন সেবা নগদে প্রশাসক নিয়োগ দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। যে আইনের ক্ষমতাবলে প্রশাসক নিয়োগ করা হয় বলে তখন বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে জানানো হয়, তখন পর্যন্ত সে আইনের গেজেট প্রকাশিত হয়নি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালক মুহম্মদ বদিউজ্জামান দিদারকে প্রশাসক করার পাশাপাশি বিভিন্ন পদমর্যাদার আরও কয়েকজনকে সহকারী প্রশাসক করে নগদে পাঠায় তারা। একইসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংক নগদের পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী কোম্পানির সহযোগিতাকারীদের সমন্বয়ে নতুন করে পরিচালনা পর্ষদ গঠন করে। এসব প্রক্রিয়া চ্যালেঞ্জ করে নগদের নির্বাহী পরিচালক সাফায়েত আলম হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন।
গত ১৭ সেপ্টেম্বর রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। রুলে নগদে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রশাসক নিয়োগ কেন অবৈধ ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়। এরই ধারাবাহিকতায় বুধবারের শুনানির পর দ্বিতীয় দফায় প্রশাসকের কার্যক্রমের ওপর স্থিতাবস্থার আদেশ দেন হাইকোর্ট।
২০১৯ সালে মোবাইলে আর্থিক সেবাদাতা কোম্পানি হিসেবে যাত্রা শুরু করে নগদ। গত বছর নগদ ডিজিটাল ব্যাংকের লাইসেন্সও পায়। সে অনুসারে সেবা চালুর দ্বারপ্রান্তে ছিল প্রতিষ্ঠানটি। কিন্তু কোনোরকম কারণ দর্শানো ছাড়াই শেষ মুহূর্তে নগদের ডিজিটাল ব্যাংকের লাইসেন্স স্থগিত করে বাংলাদেশ ব্যাংক। একইসঙ্গে মোবাইল আর্থিক সেবা হিসেবে প্রতিষ্ঠানটিতে প্রশাসক ও তার সহযোগীরা অনুসন্ধান চালাচ্ছেন।
আরও পড়ুন: অভিযোগ থেকে অব্যাহতি পেল নগদ
৩২২ দিন আগে
বন্যার্তদের সহায়তায় নগদ ২০ কোটি টাকা ও ত্রাণ সংগ্রহ বিএনপির
দেশের পূর্বাঞ্চলের জেলাগুলোতে বন্যার্তদের জন্য প্রায় ২০ কোটি টাকার নগদ অর্থ ও ত্রাণসামগ্রী সংগ্রহ করেছে বিএনপি।
শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন এই তথ্য তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, বন্যাদুর্গতদের দুর্ভোগ লাঘবে বন্যা পরবর্তী পুনর্বাসন প্রচেষ্টায় প্রয়োজনীয় সামগ্রী সরবরাহ এবং সহায়তার জন্য বিএনপি এই তহবিল ও ত্রাণ সামগ্রী ব্যবহার করছে।
এছাড়া দলের নেতাকর্মীরা নিজ উদ্যোগেও বন্যাকবলিত এলাকায় ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করেছেন।
বিএনপির ত্রাণ সংগ্রহ কমিটির সভাপতি জাহিদ বলেন, 'আমরা বিএনপি ও আমাদের অন্যান্য সংগঠন গত ২৫ আগস্ট থেকে বন্যাদুর্গত এলাকার জন্য ২০ কোটি টাকার বেশি নগদ অর্থ ও ত্রাণসামগ্রী সংগ্রহ করেছি।’
তিনি জানান, সংগৃহীত অর্থের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ এরই মধ্যে ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, কুমিল্লা, খাগড়াছড়ি, হবিগঞ্জ এবং চট্টগ্রাম ও চাঁদপুরের বন্যাকবলিত এলাকায় ত্রাণ প্রদান এবং পুনর্বাসন কার্যক্রম পরিচালনায় ব্যয় করেছেন।
নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে বিএনপির ত্রাণ সংগ্রহ কমিটি।
জাহিদ বলেন, তাদের প্রাথমিক ত্রাণ তৎপরতা ছিল বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের উদ্ধারের লক্ষ্য। ‘পরে, আমরা অভাবীদের খাবার দিয়েছি। দলের জেলা, উপজেলা ও পৌর ইউনিটের স্থানীয় নেতারা এসব প্রচেষ্টা পরিচালনা করেন।’
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্যজনিত কারণে বিমানে ভ্রমণ করতে পারবেন না খালেদা জিয়া: ডা. জাহিদ
তিনি বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় না থাকলেও রাজনৈতিক দলের দায়িত্বের অংশ হিসেবে দলটির নেতাকর্মীরা জনগণের পাশে দাঁড়াতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
জাহিদ বলেন, 'আমাদের ত্রাণ সংগ্রহে আমরা শুধু বিএনপির সদস্যই নয়, সাধারণ মানুষ, গৃহবধূ, রিকশাচালক ও সাধারণ শ্রমিকদের সহযোগিতা পেয়েছি। আমরা প্রতিটি অনুদানের রেকর্ড রেখেছি এবং যারা অনুদান দিয়েছেন, তাদের রশিদ সরবরাহ করেছি।’
তিনি উল্লেখ করেন তারা নৈতিক কারণে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে বড় অঙ্কের অর্থ গ্রহণ করতেও অস্বীকার করেছিলেন। ‘আমরা আমাদের ত্রাণ সংগ্রহের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা বজায় রেখেছি এবং আমরা আমাদের ত্রাণ বিতরণের ক্ষেত্রেও সমানভাবে স্বচ্ছ রয়েছি।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, পুনর্বাসন কার্যক্রমে সহায়তার জন্য বর্তমানে বিএনপির দীর্ঘদিনের কেন্দ্রীয় ত্রাণ ও পুনর্বাসন তহবিলে সাত কোটি টাকারও বেশি জমা রয়েছে।
তিনি বলেন, পানি নেমে যাওয়ায় বন্যাকবলিত এলাকায় কিছু সংক্রামক রোগসহ নানারকম রোগের প্রাদুর্ভাব শুরু হয়েছে। ‘দুর্গত এলাকায় মেডিকেল ক্যাম্প স্থাপন করা হয়েছে। আমাদের চিকিৎসকরা শুধু রোগী দেখছেন না, বিনামূল্যে পর্যাপ্ত ওষুধও দিচ্ছেন। জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন, ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশসহ দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা এই কাজে সহযোগিতা করছেন।’
জাহিদ মালেক বলেন, বন্যায় সবকিছু ভেসে যাওয়ায় কৃষকরা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ‘কৃষকরা বীজ পাবেন কোথা থেকে? আমরা জামালপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও টাঙ্গাইল থেকে দুর্গত এলাকায় প্রচুর পরিমাণে ধানের বীজ বা চারা পরিবহন করেছি এবং কৃষকরা এখন তাদের জমিতে এই বীজ রোপণ করছেন।’
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে তারা বন্যা পরবর্তী পুনর্বাসন কার্যক্রম শুরু করেছেন, যার মধ্যে শিশুদের মধ্যে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ এবং ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ঘরবাড়ি নির্মাণে সহায়তা করাও রয়েছে।
দেশের পূর্বাঞ্চলে শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বাধীন আন্দোলনে নিহত ১৩৭ জন শহীদের পরিবারকে তারা সহায়তা দেবেন বলেও উল্লেখ করেন বিএনপি নেতা।
আরও পড়ুন: সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেওয়া মানে নতুন সমস্যা তৈরি করা: ফখরুল
৪৪০ দিন আগে
ডিজিটাল ব্যাংক পিএলসির লাইসেন্স পেল নগদ
দেশের প্রথম পূর্ণাঙ্গ ডিজিটাল ব্যাংক হিসেবে যাত্রা শুরু করতে নগদ ডিজিটাল ব্যাংক পিএলসিকে চূড়ান্ত লাইসেন্স দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
সোমবার (৩ জুন) বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদারের কার্যালয়ে নগদ লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা তানভীর এ মিশুকের হাতে ডিজিটাল ব্যাংকের লাইসেন্স তুলে দেন বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালক (বিআরপিডি) মোহাম্মদ শাহরিয়ার সিদ্দিকী।
এ সময় বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদার নতুন এই আর্থিক সেবার সাফল্য কামনা করে জানান, এখন থেকে অন্য সব তফসিলি ব্যাংকের মতোই কাজ করবে নগদ ডিজিটাল ব্যাংক পিএলসি।
দেশের প্রথম ডিজিটাল ব্যাংক হিসেবে লাইসেন্স পাওয়া একটি ঐতিহাসিক ব্যাপার উল্লেখ করে নগদ লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা তানভীর এ মিশুক বলেন, ‘ক্যাশলেস লেনদেন নিশ্চিত করার মাধ্যমে বাংলাদেশকে একটি স্মার্ট অর্থনীতির দেশে পরিণত করতে ডিজিটাল ব্যাংকের বিকল্প নেই। দেশের সিংহভাগ মানুষ এখনো আর্থিক অন্তর্ভুক্তির বাইরে রয়েছে। তাদের নিয়ে কাজ করবে নগদ ডিজিটাল ব্যাংক।’
ডিজিটাল ব্যাংকের প্রস্তুতির বিষয়ে তানভীর এ মিশুক বলেন, ‘গ্রাহকদের আর ব্যাংকে আসতে হবে না, বরং ব্যাংকই মানুষের হাতে হাতে ঘুরবে। কোনো রকম জামানত ছাড়াই সিঙ্গেল ডিজিট সুদে ঋণ দেওয়া হবে। পাশাপাশি ক্ষুদ্র সঞ্চয় স্কিম চালুসহ সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন লেনদেনসংক্রান্ত সব সমস্যার সমাধান দেবে ডিজিটাল ব্যাংক। শিগগিরই এই ব্যাংকিং সেবা দিতে শুরু করব বলে আশা করি।’
লাইসেন্স হস্তান্তরের সময় আরও ছিলেন- বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর নুরুন নাহার, নির্বাহী পরিচালক (বিআরপিডি) সাইফুল ইসলাম, অতিরিক্ত পরিচালক (বিআরপিডি) মনিরুল ইসলাম এবং নগদ লিমিটেডের অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. আমিনুল হক, ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন ও চিফ এক্সটার্নাল অ্যাফেয়ার্স অফিসার শেখ শাবাব আহমেদ।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা এখন থেকে কেবল নগদে
৫৪৯ দিন আগে
প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা এখন থেকে কেবল নগদে
এখন থেকে একমাত্র মোবাইল আর্থিক সেবা হিসেবে নগদ লিমিটেড প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের ভাতা বিতরণ করবে।
রবিবার (২ জুন) বাংলাদেশ সচিবালয়ে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট, বাংলাদেশ ডাক বিভাগ ও নগদ লিমিটেডের মধ্যে একটি বহুপক্ষীয় চুক্তি সম্পাদিত হয়।
চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশ ডাক বিভাগের ডিজিটাল সেবা নগদ একমাত্র মোবাইল আর্থিক সেবা হিসেবে এই ভাতা বিতরণ করবে।
২০১০ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিভিন্ন স্তরের শিক্ষার্থীদের সহায়তা করার জন্য এই ট্রাস্ট গঠনের উদ্যোগ নেন। যাত্রার শুরু থেকে বিভিন্ন শিক্ষা ক্ষেত্রে সহায়তার পাশাপাশি মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ভাতা বিতরণ করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: নরসিংদীতে নগদের ২ কর্মীকে গুলি করে ৬০ লাখ টাকা ছিনতাই
২০১৬ সাল থেকে এই ভাতা বিতরণ করা হয় ডিজিটাল মাধ্যমেও। সে সময় থেকে গত বছর পর্যন্ত এই ভাতার উল্লেখযোগ্য একটা অংশ বিতরণ হতো নগদের মাধ্যমে। তবে এখানে অন্য মোবাইল আর্থিক সেবাও দায়িত্ব পালন করত। এবারের চুক্তির ফলে এমএফএসগুলোর মধ্যে নগদ এককভাবে এই ভাতা বিতরণ করবে।
প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সামাজিক নিরাপত্তা ভাতা, প্রাথমিক শিক্ষা উপবৃত্তিসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের ভাতা স্বচ্ছভাবে বিতরণ করায় নগদের সাফল্যের কারণেই ডাক বিভাগের এই ডিজিটাল সেবাকে একক দায়িত্ব দিয়েছেন তারা। এছাড়া একাধিক মোবাইল আর্থিক সেবাকে দায়িত্ব দিলে হিসাব রাখা জটিল হয় এবং জবাবদিহি নিশ্চিত করা যায় না বলে এককভাবে এই প্রতিষ্ঠানকে তারা বেছে নিয়েছে।
নগদের সঙ্গে এই চুক্তি করায় সন্তোষ প্রকাশ করে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সদিচ্ছায় এই শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট গড়ে উঠেছে। আমরা চাই, এই ট্রাস্ট যেভাবে অসহায় ছাত্রছাত্রীদের বৃত্তি দেয়, তা যেন স্বচ্ছভাবে বিতরণ করা হয়। বাংলাদেশ এখন সফলভাবে ডিজিটাল হয়েছে। সেজন্য আমরা সব সেবাই ডিজিটাল মাধ্যমে দিতে চাই। নগদ বাংলাদেশ ডাক বিভাগের সেবা হিসেবে সরকারের সঙ্গে মিলে ডিজিটালাইজেশনের কাজ করছে। তারা শিক্ষা মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের ভাতা সফলতা ও স্বচ্ছতার সঙ্গে বিতরণ করছে। সেজন্যই নগদের উপর আস্থা রেখেছে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট।
অনুষ্ঠানে নগদের পক্ষে নির্বাহী পরিচালক মো. সাফায়েত আলম বলেন, নগদ শুধু ব্যবসা করার জন্য কাজ করে না। সরকারের অংশীদার হিসেবে দেশের প্রান্তিক মানুষের কাছে ডিজিটাল সেবা পৌঁছে দেওয়ার কাজ করছি আমরা। তার অংশ হিসেবে ২৭টি মন্ত্রণালয়ের ভাতা সাফল্যের সঙ্গে বিতরণ করছে নগদ। এবার প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের ভাতা বিতরণের জন্য একমাত্র এমএফএস হিসেবে আমাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আমরা এই আস্থার প্রতিদান দিতে চাই।
করোনার সময় প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহায়তা বিতরণের মাধ্যমে নগদ ভাতা বিতরণের কাজ শুরু করে। এরপর সামাজিক নিরাপত্তা ভাতা ও প্রাথমিক শিক্ষা উপবৃত্তি বিতরণে তাদের দারুণ স্বচ্ছতা ও সাফল্য বিভিন্ন মন্ত্রণালয়কে উৎসাহিত করেছে।
চুক্তি সই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী।
আরও উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বেগম শামসুন নাহার এবং মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খান।
এছাড়া উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের স্কিম পরিচালক (যুগ্মসচিব) মোহাম্মদ আসাদুল হক এবং ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) তরুণ কান্তি শিকদার।
চুক্তিতে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের পক্ষে সই করেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) স্মৃতি কর্মকার।
বাংলাদেশ ডাক বিভাগের পক্ষে সই করেন ডাক অধিদপ্তরের পরিচালক (পরিকল্পনা) মো. আবু তালেব।
নগদ লিমিটেডের পক্ষে চুক্তিতে সই করেন নগদের নির্বাহী পরিচালক মো. সাফায়েত আলম।
আরও পড়ুন: ৩ বছরেই সফল ইউনিকর্ন স্টার্টআপ নগদ: প্রতিমন্ত্রী পলক
বিনিয়োগ ছাড়াই নগদের কাছ থেকে ১৪ কোটি টাকা রাজস্ব পেয়েছে সরকার: পলক
৫৫০ দিন আগে
৩ বছরেই সফল ইউনিকর্ন স্টার্টআপ নগদ: প্রতিমন্ত্রী পলক
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, যাত্রা শুরুর মাত্র তিন বছরের মধ্যেই দেশের সফলতম স্টার্টআপ ইউনিকর্নপ্রতিষ্ঠান হিসেবে নগদ নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করেছে।
তিনি বলেন, ডাক বিভাগের নীতিগত সমর্থন নিয়ে গত চার বছরে তারা সরকারকে সাড়ে ১৪ কোটি টাকা রেভিনিউ শেয়ার করেছে।
আরও পড়ুন: মে দিবস উপলক্ষে হিলিতে পণ্য আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
সোমবার (২১ মে) বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস)- এর নবনির্বাচিত পরিচালক বোর্ডের অভিষেক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, নগদ আমাদের ডাক বিভাগের একটি অংশীদার। ডাক বিভাগের ইনফাস্ট্রাকচার, ওয়ার্ক ফোর্স, পলিসি সাপোর্ট নিয়ে তারা নিজেরা যেমন মাত্র তিন বছরের মধ্যে একটা সফল স্টার্টআপ ইউনিকর্নে (ব্যক্তিগত শত কোটি ডলারের ব্যবসা উদ্যোগে) পরিণত হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, সরকার পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ নিয়ে উৎসাহিত করার কারণে ডাক বিভাগের সঙ্গে নগদের অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে গ্রাহকদের যেমন সুলভ মূল্যে সেবা দেওয়া গেছে, ক্যাশলেস সমাজ ও ক্যাশলেস অর্থনীতি গড়ার দিকে এগিয়ে গেছে। অপরদিকে ডাক বিভাগেরও আয় হচ্ছে।
তিনি বলেন, শেষ বছরেও নগদ অংশীদারিত্বের চুক্তি অনুসারে ডাক বিভাগকে সাড়ে পাঁচ কোটি টাকার উপরে আয় করে।
ডাক বিভাগের সঙ্গে নগদের চুক্তি অনুসারে, আয়ের ৫১ শতাংশ পায় ডাক বিভাগ। সে অনুসারে ২০২০ সালে নগদ ডাক বিভাগকে দিয়েছিল এক কোটি ১২ লাখ টাকা। নগদের সেবার যতো প্রসার হচ্ছে, সেবার কলেবর এবং গ্রাহক যত বাড়ছে ততোই আয় যোগ হচ্ছে ডাক বিভাগের ঘরেও।
৫৬২ দিন আগে
নগদকে ডিজিটাল ব্যাংকের অনুমোদনপত্র হস্তান্তর করল বাংলাদেশ ব্যাংক
দেশের প্রথম পূর্ণাঙ্গ ডিজিটাল ব্যাংক হিসেবে কাজ করার অনুমোদন পেল নগদ ডিজিটাল ব্যাংক লিমিটেড।
বুধবার (২৫ অক্টোবর) নগদ ডিজিটাল ব্যাংক লিমিটেডকে কাজ শুরুর অনুমোদনের কপি হস্তান্তর করে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার তার কার্যালয়ে নগদ লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর এ মিশুকের হাতে ডিজিটাল ব্যাংকের অনুমোদনের কপি ‘লেটার অব ইনটেন্ট’ (এলওআই) হস্তান্তর করেন।
এসময় নগদ ডিজিটাল ব্যাংক লিমিটেডকে শুভেচ্ছা জানান ও সফলতা কামনা করেন গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার।
গত তিন বছর ধরে দেশে ডিজিটাল ব্যাংকের সেবা চালু করার জন্যে নীতিনির্ধারকদের কাছে অনুরোধ জানিয়ে আসছিল নগদ। বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন পাওয়ার ফলে সামনের দিনে ডিজিটাল ব্যাংকের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের দোড়গোড়ায় আধুনিক ডিজিটাল ব্যাংকিং সেবা নিয়ে যেতে ইতোমধ্যে প্রস্তুতি শুরু করেছে নগদ ডিজিটাল ব্যাংক।
আরও পড়ুন: জুলাই-সেপ্টেম্বরে ২০৯,৬২৬ মিলিয়ন টাকার বিনিয়োগ প্রস্তাব পেয়েছে বিডা
এ বিষয়ে নগদ লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর এ মিশুক বলেন, আমরা দেশের প্রথম পূর্ণাঙ্গ ডিজিটাল ব্যাংক প্রতিষ্ঠার জন্য বুধবার (২৫ অক্টোবর) বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছ থেকে অনুমোদন পেলাম। সাধারণ মানুষ যারা নানা কারণে ব্যাংকে আসতে পারে না, তাদের কাছেই সেবা নিয়ে হাজির হবে নগদ ডিজিটাল ব্যাংক। এই পদ্ধতিতে গ্রাহককে আর ব্যাংকে আসতে হবে না, বরং ব্যাংকই মানুষের হাতে হাতে ঘুরবে।
তিনি আরও বলেন, আমরা চাই প্রথাগত ব্যবসায়ীর বাইরে যারা আছেন, তাদের কোনো রকম জামানত ছাড়াই এক অংকের ঋণ দেব। পাশাপাশি ক্ষুদ্র সঞ্চয় স্কিম চালুসহ সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন কাজের সবকিছুর সমাধান দেবে আমাদের ডিজিটাল ব্যাংক। এর মাধ্যমে স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনের পথ আরও সুগম হবে।
সব আনুষ্ঠানিকতা ও প্রস্তুতি শেষে স্বল্প সময়ের মধ্যে নগদ ডিজিটাল ব্যাংকের সেবা কার্যক্রম চালু হবে বলে জানান তিনি।
অনুমোদনের কপি হস্তান্তরের সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর আবু ফরাহ মোহাম্মদ নাসের, বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালক (বিআরপিডি) মোহাম্মদ শাহরিয়ার সিদ্দিকী, বাংলাদেশ ব্যাংকের অতিরিক্ত পরিচালক (বিআরপিডি) মো. মনিরুল ইসলাম ও নগদের নির্বাহী পরিচালক নিয়াজ মোর্শেদ এলিট।
আরও পড়ুন: গার্মেন্টস শ্রমিকদের ন্যূনতম বেতন ২০,৪০০ টাকা দাবি, মালিকদের ১০,৪০০ টাকা প্রস্তাব
জানুয়ারি-আগস্টে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি কমেছে ২১ দশমিক ৭৭ শতাংশ: ওটেক্সা
৭৭১ দিন আগে