সজীব ওয়াজেদ জয়
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার বিরুদ্ধে বিক্ষোভের নিন্দা জানালেন জয়
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় অভিযোগ করেছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে তার মায়ের মতো পরিণতি ভোগ করার হুমকি দিচ্ছে সেই ‘একই জনতা’।
মঙ্গলবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজে শেখ হাসিনার সাবেক তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা বলেন, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বাংলাদেশের একটি বড় দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে পুনর্গঠন করতে বলেছেন।
তিনি আরও বলেন, “সেই একই 'জনতা' কোনোভাবেই তার সৎ পরামর্শ মেনে নিতে পারেনি, উল্টো তারা (জনতা) আমার মায়ের মতো একই পরিণতি ভোগ করার জন্য স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে হুমকি দিয়েছে।”
এর আগে সোমবার ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) আহত আনসার সদস্যদের দেখতে গিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, দল হিসেবে আওয়ামী লীগের পুনর্গঠিত হওয়ার পূর্ণ অধিকার রয়েছে, তবে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করলে তার পরিণতি ভয়াবহ হতে পারে।
সাখাওয়াত হোসেন আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগ চাইলেই পুনর্গঠিত হতে পারে, কিন্তু তারা যদি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করে তাহলে এর পরিণতি ভালো হবে না।’
আওয়ামী লীগ-সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা দলকে পুনর্গঠনের দিকে মনোনিবেশ করার এবং আর কোনো জীবন বিপন্ন না করার পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, 'একটি যথাযথ রাজনৈতিক সংগঠনের মতো দলকে পুনর্গঠন করুন। নির্বাচনে অংশ নিন। কিন্তু প্রতিবিপ্লবের স্বপ্ন দেখলে হাজার হাজার মানুষের প্রাণহানি ঘটবে।’
আওয়ামী লীগের ঐতিহাসিক তাৎপর্য তুলে ধরে সাখাওয়াত হোসেন এ দেশে দলটির অবদানের কথা স্বীকার করেন। তিনি বলেন, 'এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ দল এবং আওয়ামী লীগের প্রতি আমার অনেক শ্রদ্ধা রয়েছে। এক সময় এই দলই ছিল বাঙালির আশা। ব্যক্তিগত কারণে '৫২, '৬৯ সালের আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধের ঐতিহ্যকে ধ্বংস করবেন না।’
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার এই মন্তব্যের প্রতিবাদে ও তার পদত্যাগের দাবিতে বিএনপির সহযোগী সংগঠন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দল সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীসহ অন্যত্র বিক্ষোভ করে।
এছাড়াও তার পদত্যাগের দাবিতে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।
৩ মাস আগে
জয়ের সদস্যপদ নবায়নের মধ্য দিয়ে রংপুরে আ.লীগের সদস্য সংগ্রহ কার্যক্রম শুরু
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে ও তার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের সদস্যপদ নবায়নের মধ্য দিয়ে রংপুর বিভাগে আওয়ামী লীগের সদস্যপদ নবায়ন ও নতুন সদস্য সংগ্রহ কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
শনিবার বিকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে দলের রংপুর বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী জয়ের সদস্যপদ নবায়নের ঘোষণা দেন।
২০১০ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি তাকে রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের প্রাথমিক সদস্যপদ দেওয়া হয়। বর্তমানে তিনি রংপুর মহানগর আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শাজাহান খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন দলের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
আরও পড়ুন: শেখ জামালের হত্যাকারীদের প্রধান পৃষ্ঠপোষক বিএনপি: তথ্যমন্ত্রী
এ সময় তারা রংপুর বিভাগের নেতৃবৃন্দকে সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন ফরম পূরণ করে আগামী ৩১ মে'র মধ্যে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জমা দেওয়ার আহ্বান জানান।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ এইচ এন আশিকুর রহমান এবং সদস্য অ্যাডভোকেট হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘দলের স্বার্থে সদস্য সংগ্রহ ও নবায়নের এই কাজটি সতর্কতার সঙ্গে করতে হবে। তাহলেই আমরা সকল ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে পারব এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আগামী নির্বাচনে আবারও নিরঙ্কুশ বিজয় অর্জন করতে পারব।’
আরও পড়ুন: নির্বাচনে বাধাদানকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর হবে আ.লীগ: কাদের
১ বছর আগে
বিডিআর বিদ্রোহের আগের রাতে খালেদা জিয়াকে ৪৫ বার ফোন করেছিলেন তারেক: সজীব ওয়াজেদ
প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় ফেসবুকে পোস্ট করা একটি ভিডিওতে জানিয়েছেন, ‘বিডিআর বিদ্রোহের আগের দিন রাত ১টা থেকে সকাল ৬টার মধ্যে তারেক রহমান খালেদা জিয়াকে লন্ডন থেকে ৪৫ বার ফোন করেছিলেন এবং তাকে সকাল ৬টার মধ্যে তার বাসভবন ত্যাগ করতে বলেন।’
শনিবার তার ভেরিফাইড ফেসবুক প্রোফাইলে পোস্ট করা ভিডিওটিতে আরও বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরে সংসদে কল রেকর্ড উপস্থাপন করেন। ‘প্রধানমন্ত্রী প্রমাণ ছাড়া জাতীয় স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে তথ্য দেন না। বিএনপি এ বিষয়ে কখনো সাড়া দেয়নি।’
২০০৯ সালের পিলখানা ট্র্যাজেডির ১৪তম বার্ষিকীতে, এই ভিডিওটিতে বিডিআর বিদ্রোহের পটভূমি সম্পর্কে বেশ কয়েকটি প্রশ্ন উত্থাপন করে।
ট্র্যাজেডিতে তাদের নিকটাত্মীয়দের হারিয়েছে এমন পরিবারগুলোর প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করে সজীব ওয়াজেদ লিখেছেন যে বার্ষিকীকে কেন্দ্র করে, ‘একটি রাজনৈতিক দল’ সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভ্রান্তিমূলক গুজব সেল চালু করেছে।
তিনি আরও বলেছেন, তার প্রোফাইলে পোস্ট করা এই ভিডিওটিতে সেই হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে বেশ কিছু তথ্য রয়েছে।
ভিডিওটিতে বিডিআর বিদ্রোহের আগে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্টের তৎকালীন বিশেষ দূত জিয়া ইস্পাহানীর বাংলাদেশ সফরের কথা উল্লেখ রয়েছে। জিয়া ইস্পাহানী বাংলাদেশ সরকারকে অনুরোধ করেন একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু না করার জন্য। ২০০৯ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করেন এবং আনুষ্ঠানিকভাবে পাকিস্তানের পক্ষ থেকে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বন্ধ করার প্রস্তাব দেন, প্রধানমন্ত্রী যা প্রত্যাখ্যান করেন।
২০ ফেব্রুয়ারি জিয়া ইস্পাহানী খালেদা জিয়ার সঙ্গেও বৈঠক করেন। ভিডিওটিতে বৈঠকের উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে এবং বলা হয়েছে, ‘কার বা কাদের আহ্বানে জিয়া ইস্পাহানী বাংলাদেশে এসেছিলেন?’
আরও পড়ুন: ২০০৯ সালের বিডিআর বিদ্রোহের তদন্ত নিয়ে প্রশ্ন মির্জা ফখরুলের
ভিডিওতে বলা হয়েছে, ‘বিডিআর বিদ্রোহের মাত্র চার দিন আগে জামায়াত নেতা আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ দেশ ত্যাগ করার চেষ্টা করেছিলেন।’ তবে বিমানবন্দর থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তাকে ফিরিয়ে দেন। ‘তার দেশ ছাড়ার উদ্দেশ্য কি ছিল?’- এটাও প্রশ্ন।
ভিডিওতে আরও বলা হয়েছে, বিডিআর বিদ্রোহে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করা আসামিদের অনেকেই বিএনপি সরকারের আমলে নিয়োগ পেয়েছিলেন। ‘২২ জন পলাতক বিডিআর সদস্যকে টাঙ্গাইল থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাদের মধ্যে ১৪ জনের চাকরির সুপারিশ করে ডিও লেটার ইস্যু করেছিলেন ২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলার মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়া বিএনপি নেতা আব্দুস সালাম পিন্টু।’
এতে আরও বলা হয়েছে, ‘বিএনপি-জামায়াত জোট ২০০৬ সালে ক্ষমতায় আঁকড়ে ধরার জন্য একটি মরিয়া চেষ্টা করেছিল। মঈন ইউ আহমেদ এবং সাদিক হাসান রুমিসহ সশস্ত্র বাহিনীর মুষ্টিমেয় উচ্চপদস্থ ব্যক্তিরা বিএনপি-জামায়াত সরকারের অন্ধকার দিকটি প্রকাশ করেছিলেন।’
বিডিআর প্রধান মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদ এবং কর্নেল গুলজার উদ্দিন আহমেদসহ নিহতদের অধিকাংশই ২০০৮ সালের নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেছিলেন।
ভিডিওতে বলা হয়েছে, আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পরপরই পিলখানা গণহত্যা সংঘটিত হয় এবং সশস্ত্র বাহিনীর ৫৭ জন অভিজ্ঞ কর্মকর্তা ও তাদের পরিবারের সদস্যসহ মোট ৭৮ জনকে গুলি করে হত্যা করা হয়। ‘এই অপূরণীয় ক্ষতি শুধু সশস্ত্র বাহিনীরই নয়, সমগ্র জাতিরও হয়েছে। নবগঠিত আওয়ামী লীগ সরকার সবচেয়ে বড় আঘাতের সম্মুখীন হয়েছে।’
আরও পড়ুন: বিডিআর বিদ্রোহে সেনা কর্মকর্তাদের হত্যা ষড়যন্ত্রের ফল: বিএনপি
পিলখানায় নৃশংস হত্যাকাণ্ডের এক যুগ: নানা কর্মসূচিতে শহীদদের স্মরণ
১ বছর আগে
'হত্যার ষড়যন্ত্র': আদালতে সাক্ষ্য দিলেন সজীব ওয়াজেদ জয়
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে এবং তাঁর তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি–বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় অপহরণ ও হত্যাচেষ্টার ষড়যন্ত্রের মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন। রবিবার আদালতে হাজির হয়ে সাক্ষ্য দেন তিনি।
ঢাকার অতিরিক্ত মূখ্য বিচারিক হাকিম মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান নূর তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। মামলার দশম সাক্ষী হলেন সজীব ওয়াজেদ।
আরও পড়ুন: বিএনপি শাসনামলে মির্জা আব্বাসের সন্ত্রাসীদের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল: জয়
২০১৫ সালের ৩ মার্চ পল্টন থানায় সজীব ওয়াজেদকে অপহরণ ও হত্যার চেষ্টার অভিযোগে এ মামলা হয়।
মামলায় পাঁচজনকে আসামি করা হয়। তারা হলেন- যায়যায়দিনের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক শফিক রহমান, দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমান, বিএনপির সাংস্কৃতিক শাখা জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থার (জাসাস) সহ-সভাপতি মোহাম্মদ উল্লাহ মামুন, তার ছেলে রিজভী আহমেদ সিজার এবং যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত বাংলাদেশি ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান ভূঁইয়া। তারা সবাই পলাতক রয়ে গেছে।
পুলিশ ২০১৮ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে শফিক রহমান ও মাহমুদুর রহমানসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে।
২০১৮ সালের ৬ মার্চ মামলায় সাংবাদিক শফিক রহমানসহ চারজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।
আরও পড়ুন: ২০০৭ সালের নির্বাচনের আগে ‘৩০০ দলীয় ক্যাডার’ নিয়োগ দিয়েছিল বিএনপি-জামায়াত: জয়
২ বছর আগে
রাজনীতিতে যোগ দেয়ার সিদ্ধান্ত জয় ও দেশের জনগণের ওপর নির্ভর করছে: প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় তার সরকারের অনেক ডিজিটাল উদ্যোগের পিছনে মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে ছিলেন, তবে রাজনীতিতে যোগ দেয়ার সিদ্ধান্ত তার (জয়ের) এবং দেশের জনগণের ওপর ছেড়ে দেয়া উচিত।
ভারতীয় বার্তা সংস্থা এএনআই-এর সঙ্গে একটি সাক্ষাত্কারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার ছেলে সম্পর্কে এসব কথা বলেন। বর্তমানে জয় প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দেখুন... সে একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষ। এটা তার ব্যাপার, তবে সে দেশের জন্য কাজ করছে… আমরা যে ডিজিটাল বাংলাদেশ (উদ্যোগ) বাস্তবায়ন করেছি, এসব স্যাটেলাইট বা সাবমেরিন ক্যাবল বা কম্পিউটার প্রশিক্ষণ-এই সবই তার আইডিয়া এবং সে আমাকে সহায়তা করছে…কিন্তু দলে বা মন্ত্রিসভায় কখনই সে কোনো পদ নেয়ার কথা ভাবেনি।’
শেখ হাসিনা বলেন, দলীয় একটি অনুষ্ঠানে জয়ের পদ নেয়ার জন্য নেতাকর্মীদের কাছ থেকে জোরালো দাবি ছিল।
তিনি বলেন, ‘এমনকি আমাদের দলীয় সম্মেলনেও তাকে একটি পদ দেয়ার জোরালো দাবি উঠেছিল। তখন আমি তাকে জিজ্ঞেস করলাম, তুমি কি চাও মাইক্রোফোনে তা বলো, এবং সে তা করেছে।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ একটি আধুনিক পরিবহন ব্যবস্থা গড়ে তুলছে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী আরও জানান, সেসময় জয় বলল, ‘আমি এই মুহূর্তে দলে কোনো পদ চাই না। বরং যারা এখানে কাজ করছেন, তারা যেন এই পদটি পান। আমি কেন একটি পদ দখল করে থাকবো? আমি আমার মায়ের সঙ্গে আছি, আমি দেশের জন্য কাজ করছি এবং আমি তাকে সহায়তা করছি... আমি এটি করে যাব।’
সাক্ষাৎকারে তিনি তার জাতির পররাষ্ট্রনীতি গঠনে তার পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভূমিকার কথাও স্মরণ করেন।
তিনি বলেন, ‘সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারো সঙ্গে বৈরিতা নয়’- যা আমার পিতা, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতিসংঘে তার ভাষণে বলেছিলেন। এবং আমরা তার আদর্শ অনুসরণ করি। আমার বক্তব্য হল আমাদের জনগণের ওপর ফোকাস করা উচিত... কিভাবে তাদের একটি ভালো জীবন দেয়া যায়... আমাদের একটি শত্রু আছে। সেটা হলো দারিদ্র্য। সুতরাং, আসুন আমরা একসঙ্গে কাজ করি।’
হাসিনা বলেন, তিনি সবসময় মনে করেন নেতৃস্থানীয় দেশগুলোর উচিত আলোচনার মাধ্যমে বিরোধ ও মতভেদ দূর করা। ‘...চীন ও ভারতের মধ্যে যদি কোনো সমস্যা হয়, আমি তাতে নাক গলাতে চাই না। আমি আমার দেশের উন্নয়ন চাই এবং ভারত যেহেতু আমাদের পাশের প্রতিবেশি, তাই আমাদের সম্পর্ক খুব ভালো। আমাদের অনেক দ্বিপক্ষীয় সমস্যা ছিল, এটা সত্য, কিন্তু আমরা অনেক সমস্যার সমাধানও করেছি।’
ভারতীয় সংবাদ সংস্থা এশিয়ান নিউজ ইন্টারন্যাশনাল (এএনআই) এর সঙ্গে তার সাক্ষাত্কারের সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরও বলেন, বাংলাদেশের জন্য অগ্রাধিকার ছিল উন্নয়ন এবং তার জনগণের জন্য উন্নতি করতে পারে এমন যে কোনও দেশের সাহায্য নিতে তারা ইচ্ছুক।
আরও পড়ুন: ‘শুধু বাংলাদেশে নয়, ভারতেও সংখ্যালঘুরা অনেক সময় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে’
‘আলোচনার মাধ্যমে মতপার্থক্য দূর করা যায়, বাংলাদেশ-ভারত সেটাই করছে’: এএনআইকে প্রধানমন্ত্রী
২ বছর আগে
পদ্মা সেতুতে জয়-পুতুলের সঙ্গে উচ্ছ্বসিত প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভাইরাল
পদ্মা সেতুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ও সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের হাসিমুখের একটি ছবি সোমবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
সেলফিটি তুলেছেন প্রধানমন্ত্রীর মেয়ে পুতুল।
মামুন আল মাহতাব তার ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে ছবিটি শেয়ার করে লিখেছেন, পদ্মা সেতুতে বঙ্গবন্ধু পরিবার।
এক ফেসবুক ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘এর চেয়ে ভালো ছবি আর কী হতে পারে! সজীব ওয়াজেদ জয় তার মা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বোন সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের সঙ্গে স্বপ্নের পদ্মা সেতুতে।’
সিলভিয়া পারভেন লেনি তার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে ছবিটি শেয়ার করে লিখেছেন, ‘কী সুন্দর ছবি?’
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতু হয়ে টুঙ্গিপাড়ায় প্রধানমন্ত্রী, বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা
ছবিটি শেয়ার করে আদনান শরীফ লিখেছেন, ‘এই মুহূর্তে বাংলাদেশের সবচেয়ে প্রিয় ছবি।’
ছবিটি শেয়ার করে এক ফেসবুক ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘সুখী ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশের প্রতিচ্ছবি। বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ এই সুখের মায়ায় ভরে উঠুক।’
প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় ‘পদ্মা সেতু’ লিখে তার ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে ছবিটি শেয়ার করেছেন।
তিনি এর আগে বলেন, ‘পদ্মা সেতু বাংলাদেশের গৌরব ও মর্যাদার প্রতীক। পদ্মা সেতু শুধু একটি প্রকৌশলগত মাস্টারপিস নয়, বরং এটি বাংলাদেশের গৌরব ও মর্যাদার প্রতীক। এ দেশের সব মানুষ সমানভাবে এই গৌরবের অংশীদার।’
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতু মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের মাইলফলক: প্রধানমন্ত্রী
গত মাসে উদ্বোধনের পর প্রথমবারের মতো পদ্মা সেতু হয়ে সোমবার সড়কপথে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সেখানে পৌঁছে তিনি পরিবারের সদস্যদের নিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে দোয়া করেন।
ছেলে সজিব ওয়াজেদ জয় এবং কন্যা সায়মা ওয়াজেদকে সঙ্গে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী সমাধিতে ফাতেহা পাঠ করেন এবং জাতির পিতা এবং ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট হত্যায় অন্যান্য শহীদদের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করে মোনাজাতে অংশ নেন।
শেখ হাসিনা ও তাদের পরিবারের সদস্যদের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু এবং দেশের অব্যাহত শান্তি, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি কামনা করেও দোয়া করা হয়।
প্রধানমন্ত্রীর সহকারী প্রেস সচিব এম এম ইমরুল কায়েস বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: ৬ষ্ঠ দিনে পদ্মা সেতু থেকে রেকর্ড ৩.১৬ কোটি টাকা টোল আদায়
২ বছর আগে
পদ্মা সেতু মর্যাদার প্রতীক, এর ওপর অনেকটাই বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে: জয়
পদ্মা সেতু মর্যাদার প্রতীক, এর ওপর অনেকটাই বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।
তিনি তার ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে এই মেগা প্রজেক্টের ওপর একটি ভিডিও শেয়ার দিয়ে লিখেছেন, ‘পদ্মা সেতু শুধু একটি স্থাপনা নয়; এটি এখন বাঙালি জাতি তথা বাংলাদেশের গর্ব, আত্মমর্যাদা ও অহংকারের প্রতীক। এই সেতু নির্মাণের কৃতিত্ব প্রতিটি বাঙালির, আপনার-আমার-আমাদের সবার।’
জয় লিখেছেন, ‘এই সেতু নির্মাণের ফলে দেশের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ নদীবেষ্টিত ভূখণ্ড সরাসরি রাজধানীর সঙ্গে সংযুক্ত হয়েছে। পদ্মাসেতু যেমন দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের প্রায় পাঁচ কোটি মানুষের জীবনে অর্থনৈতিক সুবাতাস বয়ে আনবে, তেমনি কমপক্ষে এক দশমিক পাঁচ শতাংশ জাতীয় আয় বৃদ্ধিও নিশ্চিত করবে। ফলে লাভবান হবে পুরো দেশের মানুষ। প্রসার হবে ব্যবসা-বাণিজ্য ও পর্যটনের। ভবিষ্যতের বাংলাদেশ নির্মাণে এই সেতুর প্রভাব অনেক।’
আরও পড়ুন: ৪১৫ ল্যাম্পপোস্টের আলোয় আলোকিত পদ্মা সেতু
তিনি লিখেছেন, ‘বিশ্বের অন্যতম খরস্রোতা পদ্মা নদীর ওপর নির্মিত হয়েছে নান্দনিক একটি সেতু- পদ্মা সেতু। বহুমাত্রিক রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র ও জটিল রকমের প্রাকৃতিক প্রতিকূলতা মোকাবিলা করে আপনার-আমার-আমাদের নিজেদের অর্থেই নির্মিত হয়েছে এই সেতুটি।’
প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা লিখেছেন, ‘দক্ষিণ এশিয়ার কোনো উন্নয়নশীল দেশের মানুষ যে নিজেদের উদ্যোগে এরকম দৃষ্টিনন্দন ও টেকসই স্থাপনা নির্মাণ করতে পারবে, তা এক সময় ভাবতেও পারতো না বিশ্ব। কিন্তু মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অদম্য আত্মবিশ্বাস ও দূরদর্শী পরিকল্পনায় এবং বাঙালি জাতির অদম্য প্রচেষ্টায় তা আজ বাস্তবে পরিণত হয়েছে। এখন বাংলাদেশকে স্যালুট দিচ্ছে সবাই। ২৫ জুন উদ্বোধনের অপেক্ষায় থাকা পদ্মাসেতু এখন আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের মর্যাদার প্রতীকে পরিণত হয়েছে। ’
সবশেষে তিনি লিখেছেন, ‘আমার টাকায় আমার সেতু, দেশের জন্য পদ্মা সেতু’।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতু: উদ্বোধনকে ঘিরে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি
২ বছর আগে
১৯৬৬ সালে ৬ দফা দাবির মাধ্যমে চূড়ান্ত স্বাধীনতার বীজ বোনা হয়: জয়
প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, ১৯৬৬ সালের ৬ দফা দাবির মধ্য দিয়ে বাঙালির চূড়ান্ত স্বাধীনতার বীজ বপন করা হয়েছিল, যা জাতির মুক্তির দীর্ঘ সংগ্রামের একটি মাইলফলক।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের উত্থাপিত ছয় দফা সনদ বাঙালি জাতির অধিকার আদায়ের আন্দোলনের ভিত্তি স্তম্ভ স্বরূপ।
মঙ্গলবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে তার ভেরিফায়েড অ্যাকাউন্ট থেকে এক পোস্টে এসব কথা লেখেন জয়।
আরও পড়ুন: বিএনপির বিরুদ্ধে মোটা অঙ্কের অর্থ পাচারের অভিযোগ জয়ের
তিনি ফেসবুক পোস্টে লেখেন, ‘এটি ছিল বাঙালির স্বাধীনতার হাতিয়ার। দীর্ঘ নিপীড়ন, অবিচার ও বৈষম্যের শিকার বাঙালি জাতি ছয় দফা আন্দোলনের মাধ্যমে একটি নতুন দিকনির্দেশনা পায়।’
জয় লেখেন, ১৯৬৬ সালের ১৮ মার্চ আওয়ামী লীগের কাউন্সিল অধিবেশনে শেখ মুজিবর রহমানের নামে ‘আমাদের বাঁচার দাবি: ছয় দফা কর্মসূচি’ শীর্ষক একটি পুস্তিকা প্রচার করা হয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান ‘৬ দফা কর্মসূচির’ প্রচারণায় পূর্ব পাকিস্তানের বিভিন্ন জেলা পরিদর্শন করেন।
১৯৬৬ সালের ৭ জুন বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে ছয় দফা বাস্তবায়নের দাবিতে সারাদেশে হরতাল পালিত হয়। হরতালে নির্বিচারে গুলি চালায় ও লাঠিপেটা করে পুলিশ ও ইপিআর। টঙ্গী, ঢাকা, নারায়ণগঞ্জে মনু মিয়া, শফিক, শামসুল হকসহ ১১ জন বাঙালি শহীদ হন। এরপর থেকেই ৭ জুন ‘ছয় দফা দিবস’ হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।
আরও পড়ুন: বিএনপি-জামায়াতের ‘বাংলাদেশ বিরোধী কার্যকলাপ’ নিয়ে ভিডিও শেয়ার জয়ের
৭ জুনের সফল হরতালে আতঙ্কিত হয়ে স্বৈরশাসক আইয়ুব খান বঙ্গবন্ধুকে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় জড়িয়ে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করার চেষ্টা করে। কিন্তু ঊনসত্তরের ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থান এ চক্রান্ত ব্যর্থ করে দেয় বলেও লেখেন জয়।
২ বছর আগে
রক্ত দিয়ে অর্জিত বর্ণমালা, ভাষা শহীদদের স্মরণে সজীব ওয়াজেদ জয়
ঐতিহাসিক ভাষা আন্দোলনের ৭০তম বার্ষিকীতে ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি মাতৃভাষার জন্য জীবন উৎসর্গকারী বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।
নিজের ভেরিফায়েড অ্যাকাউন্ট থেকে একটি ফেসবুক পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘২১ তারিখ মানে মাথা নত করা নয়। ভাষার মাস ফেব্রুয়ারিতে সকল শহীদদের প্রতি আন্তরিক শ্রদ্ধাঞ্জলি।’
পোস্টটিতে ভাষার জন্যে জীবন দেয়া বীরদের সর্বোচ্চ আত্মত্যাগের স্মরণে জাতীয় শহীদ মিনারের একটি ছবি দিয়ে তিনি লেখেন ‘রক্ত দিয়ে অর্জিত আমার বর্ণমালা’।
আরও পড়ুন: বিএনপি-জামায়াতের ‘বাংলাদেশ বিরোধী কার্যকলাপ’ নিয়ে ভিডিও শেয়ার জয়ের
পাকিস্তানের কারাগারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যাচেষ্টার ইতিহাস জানতে জয়ের আহ্বান
২ বছর আগে
মুক্তিযুদ্ধকালীন বর্বরতা ও পাকিস্তানের সঙ্গে যোগসাজশের জন্য জামায়াতের কড়া সমালোচনা জয়ের
বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র সজীব ওয়াজেদ জয় মুক্তিযুদ্ধের সময় বর্বরতা ও বাংলাদেশিদের স্বাধীনতার স্বপ্নকে বানচাল করতে পাকিস্তানের সঙ্গে যোগসাজশ করে ষড়যন্ত্রের জন্য জামায়াতে ইসলামীর কড়া সমালোচনা করেছেন। বুধবার তিনি তার ভেরিফাইড ফেসবুক পেইজ থেকে এক পোস্ট করে জামায়াতের বিভিন্ন স্বাধীনতা বিরোধী কার্যক্রম তুলে ধরেন।
তিনি লেখেন, ‘মুক্তিযুদ্ধ যখন শেষের দিকে, বাঙালি জাতির বিজয় যখন শুধু সময়ের ব্যাপার মাত্র। পাকিস্তানিদের বর্বরতার বিরুদ্ধে এবং মুক্তিকামী বাঙালি জাতির পক্ষে যখন বিশ্বজুড়ে জনমত তুঙ্গে, ঠিক তখনই নতুন ষড়যন্ত্রে মেতে ওঠে পাকিস্তানিরা। তারা তখন জামায়াতের কয়েকজন নেতাকে বাঙালি জাতির প্রতিনিধি হিসেবে জাতিসংঘের অধিবেশনে নিয়ে যাওয়ার উদ্যোগ নেয়। উদ্দেশ্য, বাঙালির চূড়ান্ত বিজয় বানচাল করে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পথ রুদ্ধ করা।’
জয় লেখেন, ‘১৯৭১ সালের নভেম্বরে যখন মুক্তিযোদ্ধাদের আক্রমণে কোণঠাসা হয়ে পড়ে পাকিস্তানি জান্তারা ঠিক তখনই পাকিস্তানি জান্তার সমর্থনে ও বাঙালির জাতির বিরুদ্ধে জাতিসংঘে কথা বলতে যায় জামায়াতের মুখপাত্র ও মুসলিম লীগ নেতা শাহ আজিজুর রহমান। সরাসরি মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধ বিষোদগার করে সে।’
তিনি লেখেন, ‘পাকিস্তান কূটনৈতিক দলের বাঙালি নেতা হিসেবে নিজেকে পরিচয় দিয়ে বাংলাদেশে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর গণহত্যার কথা অস্বীকার করে এই শাহ আজিজ। এমনকি অন্যান্য মুসলিম দেশকে যেনে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি না দেয় এজন্য আহ্বান জানায় সে। পরবর্তীতে জিয়াউর রহমান রাষ্ট্রক্ষমতা দখলের পর এই ব্যক্তিকে প্রধানমন্ত্রীর পদে বসায়।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় যুদ্ধাপরাধীদের মন্ত্রীর দায়িত্ব দেয়ায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার তীব্র সমালোচনা করেন।
তিনি লেখেন, ‘এমনকি যুদ্ধকালে নিয়াজীর তৈরি সশস্ত্র আল-বদর ও আল-শামস বাহিনীও দারুণ সহযোগিতা করেছে পাকিস্তানি সেনাদের। এসব বাহিনীর প্রধান ছিল গোলাম আযম, শাহ আজিজ, নিজামী, মুজাহিদসহ শীর্ষ জামায়াত ও শিবিরের নেতারা। খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর ৭১-এর ধর্ষক-খুনিদের এই কমান্ডারদের মন্ত্রী বানিয়েছিল।’
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর খুনিকে মরণোত্তর চাকরি ফিরিয়ে দেয় খালেদা জিয়া: জয়
বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার আহ্বান জয়ের
২ বছর আগে