প্রেমের টান
৩২ মাস কারাভোগ শেষে ভারত ফিরলেন আফফান
প্রেমের টানে ভারত থেকে বাংলাদেশে এসে আফফান শেখ নামের এক যুবক বিজিবির হাতে আটক হন।
অবশেষে অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে ৩২ মাস কারাভোগ শেষে নিজ দেশে ফিরেছেন আফফান শেখ নামে ভারতীয় ওই যুবক।
বৃহস্পতিবার (২৫ মে) দুপুরে চুয়াডাঙ্গার দর্শনা জয়নগর চেকপোস্ট দিয়ে তাকে ভারতে পাঠানো হয়।
ফেরত যাওয়া আফফান শেখ ভারতের মুর্শিদাবাদ জেলার জলাঙ্গি সরকারপাড়ার ইসমাইল শেখের ছেলে।
আরও পড়ুন: ভারতে ৩ বছর কারাভোগের পর দেশে ফিরলেন ৪ নারী
চুয়াডাঙ্গা দর্শনা ইমিগ্রেশন ইনচার্জ এসআই আবু নাঈম জানান, ২০২০ সালের ৯ সেপ্টেম্বর অবৈধভাবে আফফান শেখ বাংলাদেশের কুষ্টিয়া জেলার সীমান্তবর্তী এলাকা দৌলতপুর দিয়ে প্রবেশ করে। এসময় বিজিবি তাকে আটক করে। তার বিরুদ্ধে পাসপোর্ট আইনে দৌলতপুর থানায় একটি মামলা হয়।
এ মামলায় কুষ্টিয়ার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম ২য় আদালত আফফান শেখকে তিন মাসের কারাদণ্ড দেন।
কারাভোগের পর দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়া শেষে জয়নগর চেকপোস্ট দিয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে উভয় দেশের পুলিশ ও সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। আইনগত প্রক্রিয়া শেষে ভারতীয় কর্তৃপক্ষের কাছে তাকে হস্তান্তর করা হয়।
হস্তান্তর প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন দর্শনা জয়নগর ইমিগ্রেশন ইনচার্জ এসআই আবু নাঈম, বিজিবি দর্শনা আইসিপির ক্যাম্প কমান্ডার নায়েব সুবেদার আব্দুল জলিল।
ভারতের পক্ষে গেদে ইমিগ্রেশন ইনচার্জ গোপার চন্দ্র দে, ভারতীয় গেদে বিএসএফের এ সি মহেশ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: কারাভোগ শেষে দেশে ফিরলেন ভারতীয় নাগরিক আব্বাস
কারাভোগ শেষে ৩ ভারতীয় নাগরিককে বিএসএফের কাছে হস্তান্তর
১ বছর আগে
প্রেমের টানে জার্মান তরুণী সিলেটের বিশ্বনাথে, বর্ণিল আয়োজনে বিয়ে
জার্মানির স্থানীয় একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মারিয়া। সিলেটের বিশ্বনাথ পৌরসভার ছেলে আব্রাহাম হাসান নাঈম পেশায় একজন কম্পিউটার প্রকৌশলী। ইউরোপের দেশটি থেকে প্রেমের টানে সিলেটে ছুটে এসেছেন মারিয়া। বৃহস্পতিবার রাজকীয় ও বর্ণিল আয়োজনে হয়ে গেলো তাদের বিয়ের মূল আনুষ্ঠানিকতা।
বিয়েকে ঘিরে বিশ্বনাথ পৌরসভার শ্রীধরপুর গ্রামের আরিছ আলীর ছেলে আব্রাহামদের বাড়িতে শুক্রবার (৩০ ডিসেম্বর) থেকেই চলছে আনন্দ-উৎসব ও ভুরিভোজ। জার্মান নাগরিক মারিয়াকে এক নজর দেখতে ভিড় করছেন উৎসুক জনতা।
জানা যায়, বিশ্বনাথের এক ব্যক্তির মাধ্যমে মারিয়ার সঙ্গে পরিচয় হয় আব্রাহাম হাসান নাঈমের। এরপর তাদের মধ্যে গড়ে উঠে ভালবাসার সম্পর্ক। উভয়ের পরিবার সিদ্ধান্ত নেন আত্মীয়তার বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার।
আরও পড়ুন: প্রেমের টানে রাজশাহীতে মালয়েশিয়ান তরুণী
প্রথমে মারিয়া আব্রাহামকে জার্মানিতে যাওয়ার প্রস্তাব দেন। তাতে রাজি হননি আব্রাহাম। একপর্যায়ে ২৩ ডিসেম্বর পছন্দের মানুষ আব্রাহামের কাছে বাংলাদেশে ছুটে আসেন মারিয়া। এরপর, মুসলিম রীতি অনুযায়ী দু’জন বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন।
এদিকে, আব্রাহাম-মারিয়ার বিয়ে উপলক্ষ্যে পারিবারিকভাবে রাজকীয় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বর্ণিল সাজে সাজানো হয় পুরো বাড়ি। আমন্ত্রণ জানানো হয় শ্রীধরপুর গ্রামসহ আশপাশ গ্রামের নারী-পুরুষ সবাইকে।
রাজকীয় এমন আয়োজনে অংশ নিতে পেরে আনন্দিত এলাকাবাসী। তাদের অনেকেই জানান, বিশ্বনাথে এ ধরনের রাজকীয় বিয়ের অনুষ্ঠান খুব কমই দেখা যায়। সকল আয়োজনই ছিল ব্যতিক্রম।
আব্রাহামের চাচাতো ভাই আবদুল বাতিন জানান, ‘মারিয়া জার্মানির একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতার পাশাপাশি পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনের লক্ষ্যে গবেষণা করছেন। খুব শিগগিরই দেশটি থেকে মারিয়ার মা-বাবা বাংলাদেশে আসবেন।’
বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হওয়ায় খুবই খুশি আব্রাহাম-মারিয়া দম্পতি। এক প্রতিক্রিয়ায় তারা বলেন, ‘সারা জীবন যেন আমরা একসঙ্গে থাকতে পারি, সে জন্যে সকলের দোয়া চাই।
আরও পড়ুন: প্রেমের টানে বাংলাদেশে আসা ভারতীয় কিশোরীকে ফেরত
প্রেমের টানে ভারতীয় নারী বাংলাদেশে
১ বছর আগে
প্রেমের টানে রাজশাহীতে মালয়েশিয়ান তরুণী
প্রেমের টানে রাজশাহীতে ছুটে এসেছেন মালয়েশিয়ান এক তরুণী। ২০ বছর বয়সি স্যান্ডি নামের ওই তরুণী মন দেয়া-নেয়ার পর প্রেমিক জুলফিকারের সাথে বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন।
জুলফিকার রাজশাহী মহানগরীর বিনোদপুর এলাকার মৃত আব্দুস সাত্তারের ছেলে। তার বাড়িতেই এখন বিদেশি বধূ।
স্যান্ডি বিয়ের আগে খ্রিস্টান ধর্ম থেকে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। ধর্মান্তরিত হওয়ার পর তার নাম রাখা হয় আলিশা অ্যানি। তিনি মালয়েশিয়ার পাসপোর্ট দপ্তরে কর্মরত।
জুলফিকার বলেন, প্রায় ৮ বছর আগে পড়ালেখার জন্য তিনি মালয়েশিয়ায় যান। ওই সময় পড়াশোনার পাশাপাশি খণ্ডকালীন চাকরি করতেন। সেখানেই স্যান্ডির সঙ্গে তার পরিচয় হয়। এক সময় তারা প্রেমের সম্পর্কে জড়ান ।
তিনি বলেন, মালয়েশিয়া থেকে উড়ে আসেন স্যান্ডি। ঈদের তিন দিন পর গত ১৪ জুলাই ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়। এই বিয়ে নিয়ে আমার ভাই-বোন ও মা আত্মীয়-স্বজন সবাই খুশি।
সত্যিকারের ভালোবাসা কোনো বাধা, ধর্ম ও ভাষা মানে না বলে উল্লেখ করে জুলফিকার বলেন, ‘স্যান্ডি খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বী ছিলেন। প্রেমের জন্য ধর্মান্তরিত হয়ে পরিবার ছেড়েছেন। ধর্মান্তরিত হওয়ার পর তার নাম রাখা হয়েছে আলিশা অ্যানি। তার ভালোবাসা অবশ্যই আমার কাছে অনেক বড় প্রাপ্তি।’
আলিশা অ্যানি জানান, বাংলাদেশ এবং রাজশাহী তার ভীষণ ভালো লেগেছে। তার শাশুড়ি তাকে পছন্দ করায় এবং পুত্রবধূ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ায় তিনি অনেক খুশি এবং আনন্দিত। শাশুড়ির সঙ্গে সংসারে কাজ করতে চান। কিন্তু তার শাশুড়ি ভালোবেসে কিছুই করতে দেন না বলেও জানান মালয়েশিয়ান নববধূ।
আগামী সপ্তাহেই স্বামী জুলফিকারকে নিয়ে তিনি নিজ দেশ মালয়েশিয়ায় ফিরতে চান। সেখানে দুজনই নতুনভাবে নিজ ক্যারিয়ার প্রতিষ্ঠায় কাজ করতে চান।
স্যান্ডি বাংলা ভাষা জানেন না। তিনি সবার সাথে কথোপকথনে দোভাষী হিসেবে সাহায্য নিচ্ছেন তাঁর স্বামী জুলফিকারের।
পড়ুন: বিয়ের দাবিতে বাড়িতে প্রেমিকা, যুবকের বিষপানে আত্মহত্যা!
প্রেমের টানে বাংলাদেশে আসা ভারতীয় কিশোরীকে ফেরত
২ বছর আগে
প্রেমের টানে ভারতীয় নারী বাংলাদেশে
প্রেমের টানে সাড়া দিয়ে ঘর বাঁধার স্বপ্ন নিয়ে ভারতীয় এক নারী বাংলাদেশি স্বামীর বাড়িতে অবস্থান করছেন। তাদের তিন বছরের এক ছেলে সন্তান রয়েছে।
৪ বছর আগে