সামরিক শাসক
সামরিক শাসক ও মৌলবাদীদের কাছ থেকে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করেছে আ. লীগ: জয়
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ বলেছেন, সরকার সামরিক শাসক এবং মৌলবাদী শক্তির মোকাবিলা করে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করেছে আওয়ামী লীগ।
বৃহস্পতিবার জয় তার ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে একটি ভিডিও পেস্ট করে এসব কথা লেখেন। ওই ভিডিওতে বলা হয়, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীনতা অর্জনের পরও বাংলাদেশকে গণতন্ত্রের জন্য অপেক্ষা করতে হয়েছে। ১৯৭৫ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর পাকিস্তানপন্থী স্বৈরশাসনের পথ সুগম হয়।
ভিডিওতে বলা হয়, মোস্তাক, জিয়া ও এরশাদের সরকার আইয়ুব খান ও ইয়াহিয়া খানের পথ অনুসরণ করে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে এবং নিজেদের দুঃশাসনকে বৈধতা দিয়েছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতার তীব্র বিরোধিতাকারী এবং মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর দোসর জামায়াতে ইসলামীকে রাজনৈতিক পটভূমিতে প্রত্যাবর্তনের পথ প্রশস্ত করেছে তারা।
আরও পড়ুন: খোলা মাঠ থাকতেও কেন সড়কে সমাবেশ: বিএনপিকে জয়ের প্রশ্ন
ভিডিওতে আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে আজ পর্যন্ত স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রায় আওয়ামী লীগের ভূমিকা তুলে ধরে বলা হয়েছে, ১৯৫৮ সালে যখন স্বৈরাচারের ভয় সব রাজনৈতিক দলকে দমিয়ে রাখে এবং রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকতে বাধ্য করে, তখন বঙ্গবন্ধুই গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সংগ্রামকে এগিয়ে নিয়ে যান। ১৯৮১ সালে শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পর তাকে তার নিজের বাসভবনে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি কারণ তখন সামরিক স্বৈরশাসকেরা দেশ চালাচ্ছিল।
১৯৮৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে তৎকালীন সামরিক শাসক তাকে গৃহবন্দী করে রাখেন, যা ১৯৮৫, ১৯৮৬, ১৯৮৭, ১৯৮৯ এবং ১৯৯০ সালের পরবর্তী বছরগুলোতে পুনরাবৃত্তি হয়েছিল। ১৯৮৮ সালের ২৪ জানুয়ারি চট্টগ্রাম কোর্ট ভবনের সামনে পুলিশ শেখ হাসিনা ও তার সমর্থকদের লক্ষ্য করে গুলি বর্ষণ করে।
বিএনপির রাজনীতিতে আওয়ামী লীগের গণতন্ত্রপন্থী দৃষ্টিভঙ্গির বিপরীতে ভিডিওতে বলা হয়, খালেদা জিয়া তার ছেলে তারেক রহমানের বিচার বন্ধ করে তাকে বিদেশে পাঠানোর দাবি জানিয়েছেন। অন্যথায় তিনি নির্বাচনে অংশ নেওয়া থেকে বিরত থাকবেন।
ভিডিওটিতে আরও বলা হয়, বিএনপি ও জামায়াত ২০১৩ ও ২০১৪ সালে গণতন্ত্রকে হুমকির মুখে ফেলতে ব্যাপক নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড চালিয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের গণতন্ত্র হত্যার কলঙ্কজনক অধ্যায় জিয়ার হ্যাঁ/না গণভোট: জয়
বিজয় দিবসে আ.লীগের প্রত্যয়: ২০৪১ সাল নাগাদ পরিপূর্ণ উন্নত, স্মার্ট বাংলাদেশ
১ বছর আগে
জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে বিচারহীনতার সংস্কৃতি দূর করতে পেরেছি: প্রধানমন্ত্রী
জনগণের ভোটে ক্ষমতায় আসার পরই সরকার সামরিক বাহিনীর প্রতিষ্ঠিত বিচারহীনতার চলমান সংস্কৃতি দূর করতে পেরেছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের ‘বিজয় ৭১’ এর ১২ তলা ভবনের ভার্চুয়াল উদ্বোধনকালে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিচারহীনতার সংস্কৃতি দূর করে ন্যায়ের সংস্কৃতি ফিরিয়ে আনতে তাকে এবং তার সরকারকে অনেক বাধা-বিপত্তির মুখোমুখি হতে হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতাকে হত্যার পর সামরিক শাসক জিয়াউর রহমান দেশে অন্যায়ের সংস্কৃতি কায়েম করেছিলেন এবং তার স্ত্রী খালেদা জিয়া তা সফলভাবে চালিয়ে গেছেন।
আরও পড়ুন: রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম সহনীয় পর্যায়ে থাকবে: প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘দেশে যে অন্যায়ের সংস্কৃতি চালু হয়েছিল তা জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর পরিবর্তন করতে সক্ষম হয়েছে।’
শেখ হাসিনা উল্লেখ করেন যে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর তৎকালীন সরকার খুনিদের বাঁচাতে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করে। এর মাধ্যমে খুনিদের বিদেশে বিভিন্ন মিশনে চাকরি দেয়ার মাধ্যমে পুরস্কৃত করা হয়েছিল।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সে সময় যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, সাত খুনের মামলার বিচার বন্ধ করা হয়েছে, তাদের মুক্ত করে রাজনীতি করার সুযোগ দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: র্যাবের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠীকে দুষলেন প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, তারা জাতির পিতার খুনি, যুদ্ধাপরাধী, নারী ও শিশু হত্যাকারীদের পুরস্কৃত করেছে। তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও আদর্শকে ধ্বংস করেছে।
সমস্ত সামরিক শাসকের শাসন এবং তাদের রাষ্ট্র ক্ষমতা দখলের পদক্ষেপ অবৈধ ঘোষণা করায় তিনি বিচার বিভাগের প্রশংসা করেন।
শে হাসিনা বলেন, আমি মনে করি এই রায়ের মাধ্যমে বাংলাদেশের জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার সুরক্ষিত হয়েছে।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী, অ্যাটর্নি জেনারেল আবু মোহাম্মদ আমিন উদ্দিন এবং আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার।
আরও পড়ুন: জাতিসংঘে ইউক্রেনের পক্ষে মানবিক কারণে ভোট দিয়েছে বাংলাদেশ: প্রধানমন্ত্রী
২ বছর আগে
সামরিক শাসকদের কর্মীরা যাতে আ’লীগে অনুপ্রবেশ না করে: শেখ হাসিনা
অনুপ্রবেশকারীদের অপকর্মের কারণে দলকে দুর্নামের মুখোমুখি হতে হয় উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দলীয় নেতাদের অনুপ্রবেশকারীদের দলে না নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
৪ বছর আগে