বিআরটিএ
নতুন চেয়ারম্যান পেল বিআরটিএ ও বিআইডব্লিউটিসি
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ পেলেন মুদ্রণ ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. ইয়াসীন।
গ্রেড-১ পদমর্যাদার এ কর্মকর্তাকে বদলি করে সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
আরও পড়ুন: বিএফআইইউর সাবেক চেয়ারম্যান মাসুদ বিশ্বাসের বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান শুরু
এদিকে বিআরটিএ চেয়ারম্যানের দায়িত্বে থাকা গৌতম চন্দ্র পালকে ওএসডি করা হয়েছে।
অন্যদিকে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্পোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) নতুন চেয়ারম্যান নিয়োগ পেয়েছেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সঞ্জয় কুমার বণিক।
তাকে গ্রেড-১ পদে পদোন্নতি দিয়ে সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এক প্রজ্ঞাপনে এ নিয়োগের কথা জানানো হয়।
অন্যদিকে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশনের (বিসিক) চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সংযুক্ত অতিরিক্ত সচিব আশরাফ উদ্দিন আহাম্মদ খান।
তার চাকরি শিল্প মন্ত্রণালয়ে ন্যস্ত করে আলাদা প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
আরও পড়ুন: শহীদ আবু সাঈদকে 'বীরশ্রেষ্ঠ' বললেন এনবিআর চেয়ারম্যান
ই-রিটার্ন ব্যবস্থার প্রচারের নির্দেশ এনবিআর চেয়ারম্যানের
১ মাস আগে
বিআরটিএ চেয়ারম্যানসহ ৬ অতিরিক্ত সচিবকে ওএসডি
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন অথরিটির (বিআরটিএ) চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত সচিব) গৌতম চন্দ্র পালসহ ৬ অতিরিক্ত সচিবকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ১ সিনিয়র সচিবসহ ২ সচিব ওএসডি, ২ মন্ত্রণালয়ে নতুন সচিব
সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) এ সংক্রান্ত পৃথক প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
ওএসডি হওয়া বাকি কর্মকর্তারা হলেন- বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত সচিব) মো. জিল্লুর রহমান চৌধুরী; পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. মোশাররফ হোসেন; সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগে সংযুক্ত তিন অতিরিক্ত সচিব মো. জাকির হোসেন, এ কে এম শামীম আক্তার ও মো. মাহবুবের রহমান।
আরও পড়ুন: ওএসডি হলেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক
সাবেক প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ৩ ডিজিকে ওএসডি
১ মাস আগে
নীলফামারীতে বিআরটিএ’র অভিযানে ৪৪ হাজার টাকা জরিমানা
নীলফামারীতে বিআরটিএ’র অভিযানে ১২টি যানবাবহন চালককে ৪৪ হাজার টাকা জরিমানা হয়েছে।
শুক্রবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত সৈয়দপুর উপজেলা শহরের রাবেয়া মোড় এলাকায় ওই অভিযান চালানো হয়।
আরও পড়ুন: অসুস্থ গরুর মাংস বিক্রির অভিযোগে ২ ব্যবসায়ীকে জরিমানা
অভিযানকালে ড্রাইভিং লাইসেন্স ও ফিটনেস না থাকা, অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহণ ও অতিরিক্ত গতিতে যানবাহন চালানো, মোটরসাইকেল আরোহীর হেলমেট না থাকা, সিটবেল্ট না বাঁধায় এসব যানবাহনের চালকের কাছ থেকে জরিমানার টাকা আদায় করা হয়।
নীলফামারী বিআরটিএর সহকারী পরিচালক মো. শফিকুল ইসলাম সরকার বলেন, ‘সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে ট্রাফিক আইন মেনে চলার জন্য ওই অভিযান পরিচালনা করা হয়। জেলার বিভিন্ন এলাকায় প্রতিদিনই এমন অভিযান চালানো হবে। এ সময় চলাচলরত যানবাহন চালক ও যাত্রীদের মাঝে সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ করা হয়।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন নীলফামারী বিএরটিএর সহকারী পরিচালক মো. শফিকুল ইসলাম সরকার। এসময় উপস্থিত ছিলেন যানবাহন পরিদর্শক হিমাদ্রী ঘটক, দিনাজপুরের দশমাইল হাইওয়ে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মোস্তাফিজুর রহমান প্রমুখ।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে ডিমের বাজারে অভিযান, ৩ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা
কুমিল্লায় নকল চিপস কারখানায় অভিযান, লাখ টাকা জরিমানা
৫ মাস আগে
মিরপুরে বিআরটিএ কার্যালয়ে দুদকের অভিযান, ২ জনের কারাদণ্ড
রাজধানীর মিরপুরে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) কার্যালয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অভিযানে দুইজনকে দুই মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
বিআরটিএ মিরপুর ও ঢাকা মেট্রো সার্কেল-১ অফিসে দালালদের দ্বারা গ্রাহক হয়রানি ও দালালদের দৌরাত্ম্যের ক্রমবর্ধমান অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) দুদক এ অভিযান পরিচালনা করে।
সহকারী পরিচালক রণজিৎ কুমার কর্মকারের নেতৃত্বে এবং সহকারী পরিচালক আল-আমিন, মো. জাকিউল আলম ও মো. মেহেদী মুসা জেবিনের সমন্বয়ে চার সদস্যের একটি এনফোর্সমেন্ট টিম এই অভিযান পরিচালনা করে।
গোপন অভিযানের সময় দলটি সাধারণ গ্রাহক সেজে বিআরটিএ কার্যালয়ে দালালদের উপস্থিতি উদঘাটন করে। এরই ধারাবাহিকতায় দুদক দল একজন দালাল, দায়িত্বরত দুই আনসার সদস্য এবং বিআরটিএ-র সঙ্গে যুক্ত একজন সিএনএস কর্মীকে আটক করে।
আরও পড়ুন: চসিক কার্যালয়ে দুদকের অভিযান
অধিকতর যাচাই-বাছাই করে বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে সন্দেহভাজনদের মোবাইল ফোনে সংরক্ষিত বিভিন্ন সেবা গ্রহীতার সঙ্গে অনিয়মিত আর্থিক লেনদেনের প্রমাণ পাওয়া যায়।
আটকদের পরিচালক (প্রকৌশল) মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ’র কাছে হাজির করা হলে দালাল ও সিএনএস কর্মীকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাৎক্ষণিকভাবে দুই মাসের কারাদণ্ড দেন। একই সঙ্গে জড়িত দুই আনসার সদস্যের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়।
বিআরটিএ অফিসে অধিকতর গ্রাহকবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন বিআরটিএ চেয়ারম্যান।
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্য খাতের সিন্ডিকেট প্রধান মিঠুর ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা চেয়েছে দুদক
৯ মাস আগে
গণপরিবহনের ১৪০ চালককে প্রশিক্ষণ দিল আহছানিয়া মিশন
বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটির(বিআরটিএ) উদ্যোগে গণপরিবহনের ১৪০ জন চালককে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন (সংশোধিত-২০১৩) বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে এই প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়।
বুধবার (১ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর জোয়ার সাহারা বিআরটিসি বাস ডিপোতে আহ্ছানিয়া মিশন স্বাস্থ্য সেক্টরের সহযোগিতায় এই প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
‘পেশাজীবী গাড়ি চালকদের পেশাগত দক্ষতা ও সচেতনতা বৃদ্ধিমূলক প্রশিক্ষণ’ শিরোনামে আয়োজিত প্রশিক্ষণ কর্মশালায় তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়ন ও স্বাস্থ্যের ক্ষতিবিষয়ক তথ্যচিত্র উপস্থাপন করেন ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের স্বাস্থ্য সেক্টরের তামাক নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পের প্রোগ্রাম অফিসার অদুত রহমান ইমন।
আরও পড়ুন: বিআরটিএ স্মার্ট কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স যেভাবে করবেন
এসময় ধুমপানের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ কুফল, স্বাস্থ্যঝুঁকি, তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সম্পর্কে গণপরিবহন চালকদের (বাস, সিএনজি, লেগুনা, টেম্পু) জানানো হয়। চালক ও চালকের সহকারীদের ধূমপানের ফলে গণপরিবহনে পরোক্ষভাবে ধূমপানের শিকার হন যাত্রীরা, বিশেষ করে নারী ও শিশুরা।
এ ছাড়া জনবহুল জায়গা- যেমন বাস টার্মিনাল, বিমানবন্দর, রেলস্টেশন, নৌবন্দর, সরকারি বিভিন্ন অফিসসহ উন্মুক্ত স্থানে ধূমপান আইনত শাস্তিযোগ্য অপরাধ। যেসব স্থানে ধূমপানকারীদের কারণে পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হচ্ছেন অনেক শিশু-নারীসহ সব অধূমপায়ীরা।
গণপরিবহন শতভাগ তামাকমুক্ত রাখা ও আইনের বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন ও বিআরটিএ’র যৌথ উদ্যোগে প্রতি সপ্তাহে নিয়মিত এই প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামের বিআরটিএ কার্যালয় থেকে ৩০ দালাল আটক
১ বছর আগে
বিআরটিএ স্মার্ট কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স যেভাবে করবেন
অতি গুরুত্বপূর্ণ নথি হওয়া সত্ত্বেও কাগজের ড্রাইভিং লাইসেন্স তোলা নিয়ে ছিলো হাজারও ঝামেলা। গ্রাহকদের অনেকবার দ্বারস্থ হতে হতো বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ বা বিআরটিএর।দেশের ডিজিটালকরণ কার্যক্রম অন্যান্য রাষ্ট্রীয় পরিষেবাগুলোর মত ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রাপ্তিকেও সহজ করতে শুরু করেছে। জাতীয় পরিচয়পত্র বা স্মার্ট ন্যাশনাল আইডি (এনআইডি) কার্ডের মত ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্যও প্রস্তুত করা হয়েছে স্মার্ট কার্ড। এই বিআরটিএ স্মার্ট কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স সারা দেশ জুড়ে গাড়ি চালনায় বৈধতার স্বীকৃতি দিবে। চলুন, এই স্মার্ট লাইসেন্স কার্ড পাওয়ার উপায় জেনে নেওয়া যাক।
বিআরটিএ স্মার্ট কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স কী
ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়া থেকে শুরু করে রাস্তাঘাটে এর তদারকের প্রক্রিয়াকে আরও সহজ ও গতিশীল করার লক্ষ্যে বিআরটিএর নতুন পরিষেবা স্মার্ট কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স।
এই স্মার্ট কার্ডে একজন গাড়ি চালকের জীবন বৃত্তান্ত সহ গাড়ি চালনার সব তথ্য লিপিবদ্ধ থাকে। এর মাধ্যমে রাস্তাঘাটে চলাচলের সময় চালকের বৈধতা যাচাইয়ে ট্র্যাফিক পুলিশের তদারকের কাজ খুব কম সময়ের মধ্যে সম্পন্ন হবে।
২০১৬ সালে এই কার্যক্রম শুরু হলেও স্মার্ট কার্ড প্রাপ্তি নিয়ে ছিলো সমূহ জটিলতা। পূর্বে বিএসপি (বিআরটিএ সার্ভিস পোর্টাল) পোর্টালে লার্নার ড্রাইভিং লাইসেন্স ও স্মার্ট কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য আলাদা ভাবে আবেদন করতে হতো।
কিন্তু ২০২২ সালের ১৬ নভেম্বর এই দুটিকে একত্রীত করে একটি কম্বাইন্ড অনলাইন ফর্ম চালু করা হয়। শুধু তাই নয়, আবেদন পদ্ধতি এবং স্মার্ট কার্ড প্রদান আরও সহজতর করার জন্য এসময় আরও কিছু বিধিমালা প্রণয়ন করা হয়।
চলুন, এক নজরে দেখে নেয়া যাক সেই বিধিমালা।
বিআরটিএর নতুন স্মার্ট কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স-এর সুবিধাগুলো
১) নতুন নিয়মে আবেদনকারীকে ৩ থেকে ৪ বারের পরিবর্তে শুধুমাত্র একবার পরীক্ষা কেন্দ্রে যেতে হয়। আর এই একদিনেই লিখিত, মৌখিক ও ব্যবহারিক পরীক্ষাসহ বায়োমেট্রিক এনরোলমেন্টও সম্পন্ন করা হয়।
২) বিএসপি পোর্টালে নিবন্ধনকারীগণ ঘরে বসেই অনলাইন ভেরিফিকেশন বেজড কিউআর কোড সম্বলিত লার্নার লাইসেন্স পেয়ে যান। এটি মুলত স্মার্ট কার্ড হাতে পাওয়ার আগ পর্যন্ত সারা দেশে মোটরযান চালনার অস্থায়ী অনুমতিপত্র।
৩) এছাড়াও এই পোর্টালের সেবার মধ্যে আছে লাইসেন্স ফি প্রদান, পরীক্ষার ফল জানা, স্মার্ট কার্ড আবেদন দাখিল, এবং আবেদনপত্র বা স্মার্ট কার্ডের বর্তমান স্ট্যাটাস জানার সুবিধা।
৪) ড্রাইভিং লাইসেন্স-এর এই স্মার্ট কার্ড প্রতিটি গ্রাহকের কাছে ডাকযোগে পাঠানো হয়।
আরও পড়ুন: ঘরে বসে ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা যাবে
বিআরটিএ স্মার্ট কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার পূর্বশর্ত
লার্নার বা শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্সের পূর্বশর্তগুলোই এই আবেদনের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। অর্থাৎ গাড়ি চালনার জন্য আবেদনকারীর মানসিক ও শারীরিক সুস্থতা থাকতে হবে। কমপক্ষে অষ্টম শ্রেণি পাশ হতে হবে। পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স-এর ক্ষেত্রে কমপক্ষে ২১ বছর এবং অপেশাদারের বেলায় ন্যূনতম ১৮ বছর বয়সী হতে হবে।
সবচেয়ে প্রয়োজনীয় বিষয় হলো-
লার্নার ড্রাইভিং লাইসেন্স পরীক্ষায় উত্তীর্ণ না হওয়া পর্যন্ত স্মার্ট কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করা যাবে না।
বিআরটিএ স্মার্ট কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স করার পদ্ধতি
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
লার্নার ড্রাইভিং লাইসেন্স আবেদনের জন্য যে কাগজপত্র প্রয়োজন, তার অধিকাংশই এই আবেদনের ক্ষেত্রেও দরকার। অর্থাৎ-
১) আবেদনকারীর সাম্প্রতিক পাসপোর্ট সাইজের ছবি (৩০০/৩০০ পিক্সেল)
২) রেজিষ্টার্ড ডাক্তারের নিকট থেকে সংগৃহীত মেডিকেল সনদপত্র
৩) আবেদনকারীর এনআইডি
৪) আবেদনকারীর গ্যাস/বিদ্যুৎ/পানি যে কোন ১টি (আবেদনকারীর বর্তমান ঠিকানা তার এনআইডি থেকে ভিন্ন হলে, বর্তমান ঠিকানার ১টি ইউটিলিটি বিল)
৫) শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্র
স্মার্ট কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য অতিরিক্ত নথি হিসেবে লাগবে
১) লার্নার ড্রাইভিং লাইসেন্স পাসের প্রমাণপত্র
প্রযোজ্য ক্ষেত্রে পুলিশি তদন্ত প্রতিবেদনের জন্য এই লিঙ্কগুলো দেখুন-
http://www.brta.gov.bd/site/page/511a7af4-20c8-4450-b4a6-5f92dde1b23f/-
http://www.brta.gov.bd/site/page/4258fc8f-8aec-4895-b11d-a0b33b489af2/-
উল্লেখ্য, এই নথিগুলো অনলাইন আবেদনের পূর্বেই স্ক্যান করে প্রস্তুত রাখতে হবে। পাসপোর্ট সাইজের ছবির স্ক্যান করা ফাইল ১৫০ কেবি(কিলোবাইট), আর বাকি সবগুলো ফাইলের সাইজ ৬০০ কেবির বেশি হওয়া যাবে না।
আরও পড়ুন: ট্রেড লাইসেন্স করার পদ্ধতি: প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, খরচ ও সময়
অনলাইনে বিআরটিএর নতুন স্মার্ট কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স-এর আবেদন পদ্ধতি
অনলাইনে আবেদনের জন্য সরাসরি চলে যেতে হবে বিএসপি পোর্টালে (https://bsp.brta.gov.bd/)।
আবেদনের জন্য প্রথমেই নিবন্ধনের মাধ্যমে এই পোর্টালের অধীনে নিজের একটি অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে।
এই অ্যাকাউন্টে ড্রাইভিং সম্পর্কিত গ্রাহকের যাবতীয় তথ্য জমা থাকবে। চলুন, ধাপে ধাপে এই আবেদন প্রক্রিয়াটি জেনে নেয়া যাক-
নিবন্ধন
প্রথমে বিএসপি পোর্টালের একদম উপরে ডানদিকে ‘নিবন্ধন’ মেনুতে ক্লিক করতে হবে। পুরো নিবন্ধন সম্পন্ন করার জন্য গ্রাহকের জন্ম তারিখ, এনআইডি এবং মোবাইল নাম্বার দিতে হবে।
মোবাইল নাম্বারে আসা ওটিপি (ওয়ান-টাইম-পাসওয়ার্ড)- এর মাধ্যমে মোবাইল নাম্বারটি যাচাই করে নিতে হবে। তারপর পাসওয়ার্ড নির্ধারণের মাধ্যমে শেষ হবে নিবন্ধন প্রক্রিয়া।
এখন প্রদত্ত মোবাইল নাম্বার ও পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করা যাবে বিএসপি পোর্টালে। যারা ইতিপূর্বে নিবন্ধন করেছেন, তারা এই সাইটের ‘প্রবেশ করুন’ মেনুতে যেয়ে লগইন করে সরাসরি নিজেদের অ্যাকাউন্টে চলে যেতে পারবেন।
শিক্ষানবিশ বা লার্নার ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন
লগইনের পরপরই আসবে গ্রাহক ড্যাশবোর্ড। এর বামদিকে প্রদর্শিত মেনুগুলো থেকে ‘ড্রাইভিং লাইসেন্স’- এর সাবমেনু ‘ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন’-এ ক্লিক করতে হবে।
এবার যে নতুন পেজটি আসবে, তাতে আবেদনের পূর্বশর্ত ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের লিস্ট দেখানো হবে। ‘এখানে ক্লিক করুন’ লিঙ্ক থেকে মেডিকেল সার্টিফিকেট ফর্মটি ডাউনলোড করে নিতে হবে। এই ফর্মের ভিত্তিতে রেজিস্টার্ড ডাক্তার বা মেডিকেল অফিসারের নিকট থেকে মেডিকেল সার্টিফিকেট গ্রহণ করতে হবে।
উপরন্তু, পেজে উল্লেখিত শর্তগুলো মেনে ‘আমি সম্মত’ বাটনে ক্লিক করে পরবর্তী ধাপে অগ্রসর হতে হবে।
আরও পড়ুন: ভুয়া এনআইডি-ড্রাইভিং লাইসেন্স তৈরি, আটক ৫
জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য
এই ধাপের মাধ্যমেই শুরু হবে ড্রাইভিং লাইসেন্সের ৫টি ধাপ সমন্বিত আবেদন প্রক্রিয়া। যেহেতু পূর্বে একবার এনআইডি সংখ্যা দেওয়া হয়েছে, তাই এখানে সে অনুসারে প্রাথমিক তথ্যাবলি স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্রদর্শিত হবে। তারপর ২য় ধাপে যাওয়ার জন্য ‘নেক্সট’ বাটনে ক্লিক করতে হবে।
ড্রাইভিং লাইসেন্স-এর তথ্য
এখানে ড্রাইভিং লাইসেন্সের ভাষা, ধরণ, মোটরযানের শ্রেণি, আবেদনকারির ধরণ বাছাই করতে হবে। শিক্ষানবিশ বা লার্নার এবং স্মার্ট ড্রাইভিং লাইসেন্সের বিষয়টি এখানেই নির্ধারণ করতে হবে আবেদনের ধরণ নির্বাচনের মাধ্যমে।
তারপর ‘নেক্সট’ বাটনে ক্লিক করলে তথ্য সফলভাবে সংরক্ষিত হয়েছে- এই মর্মে একটি পপআপ বার্তা আসবে। তাতে ‘ওকে’ করে পরের ধাপে যেতে হবে।
আবেদনকারির প্রাথমিক তথ্য
এখানে কিছু তথ্যাদি এনআইডি অনুসারে আগে থেকে প্রদর্শিত থাকবে। কিছু তথ্য টাইপ করে লিখতে বলা হবে। তন্মধ্যে লাল তারকা চিহ্নিত বক্সগুলো অবশ্যই পূরণ করতে হবে। এনআইডির বাইরে আবশ্যিক তথ্য হিসেবে শিক্ষাগত যোগ্যতা, রক্তের গ্রুপ, পেশা, বৈবাহিক অবস্থা, জাতীয়তা এবং দ্বৈত নাগরিকত্ত আছে কিনা তা উল্লেখ করতে হবে। এরপর ‘নেক্সট’- এ ক্লিক করে পূর্বের ন্যায় পপআপ বার্তায় ‘ওকে’ করতে হবে।
ঠিকানা ও যোগাযোগের তথ্য
এই ধাপে আবেদনকারির সঙ্গে যোগাযোগের জন্য স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানা সহ জরুরি যোগাযোগের তথ্য অন্তর্ভূক্ত করতে হবে। এনআইডিতে থাকা স্থায়ী ঠিকানা বামদিকে বাংলায় প্রদর্শিত থাকবে, আর ডানদিকে সেগুলো ইংরেজিতে লিখতে হবে।
বর্তমান ঠিকানা যদি এখনও অপরিবর্তিত থাকে, তাহলে ডান দিকে একইভাবে ইংরেজিতে লিখতে হবে। তা না হলে ‘না’ বাটনে ক্লিক করে পরিবর্তিত বর্তমান ঠিকানা বাম পাশে বাংলায় আর ডান পাশে ইংরেজিতে টাইপ করে লিখে দিতে হবে। তারপর সেই আগের মত ‘নেক্সট’ এবং ‘ওকে’ বাটনে ক্লিক করে পরের ধাপে অগ্রসর হতে হবে।
সংযুক্তি ও স্মার্ট কার্ড বিতরণ তথ্য
এই শেষ ধাপে আগে থেকে সংগ্রহে রাখা প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের স্ক্যান কপিগুলো সংযুক্ত করতে হবে। ‘চুজ ফাইল’-এ ক্লিক করে সফলভাবে আপলোড করার পর ‘সংরক্ষণ করুন’ বাটনে ক্লিক করলে ফাইলগুলো সংযুক্ত হয়ে যাবে। ‘দেখুন’ বাটনে ক্লিক করে তা একবার দেখে নেয়া যেতে পারে।
ডাকযোগে কার্ড প্রেরণের জন্য ঠিকানা স্বয়ংক্রিয়ভাবেই নির্দিষ্ট করা থাকবে। তবে গ্রাহক কার্ড প্রাপ্তির জন্য নিজের সুবিধা মত স্থায়ী বা বর্তমান যে কোন ঠিকানা বাছাই করতে পারেন। এমনকি এর বাইরে অন্য জায়গাও তিনি ঠিক করতে পারেন। সেক্ষেত্রে ‘আদার্স’ নির্বাচন করে পূর্ণ ঠিকানা উল্লেখ করে দিতে হবে।
সবশেষে ‘সাবমিট’ বাটনে ক্লিক করার পর শেষ বারের মত তথ্য যাচাই করতে বলা হবে। এখানে কোনও পরিবর্তন প্রয়োজন হলে আবেদনকারি প্রয়োজনীয় পরিবর্তনগুলো করে নিতে পারবেন। আর সব কিছু ঠিক থাকলে ‘ফি জমা’ বাটনে ক্লিক করতে হবে।
ফি জমা
এখানে মনে রাখা জরুরি যে, এখানে শুধুমাত্র লার্নার ড্রাইভিং লাইসেন্সের আবেদন ফি জমা দিতে হবে।
পুরো আবেদনটি প্রথমে এক নজরে দেখানো হবে। সব ঠিক থাকলে ‘ফি জমা দিন’ বাটনে ক্লিক করে ‘পেমেন্ট কনফারমেশন’ পেজে যেতে হবে। এখানে মোবাইল নাম্বার সহ ফি জমা দেয়ার মাধ্যম উল্লেখ করার পর পেমেন্ট শর্তাবলির পাশের বক্সটিতে টিক মার্ক দিতে হবে। তারপর ‘নিশ্চিত’ বাটনে ক্লিক করলে ফি সফলভাবে জমা হওয়ার একটি পেজ প্রদর্শিত হবে।
এখানে ‘প্রিন্ট লার্নার’ বাটনে ক্লিক করলে শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স এবং ‘হেয়ার’ বাটনে ক্লিক করলে মানি রিসিপ্ট প্রিন্ট হবে।
আরও পড়ুন: ২০২৩ সালে বিশ্বের শীর্ষ ১০ বিলাসবহুল গাড়ি
স্মার্ট কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স- এর জন্য আবেদন
অনলাইন আবেদনের এই অংশে আসার পূর্বে অবশ্যই ড্রাইভিং- এ দক্ষতা যাচাই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। বিএসপি পোর্টালে গ্রাহক ড্যাশবোর্ডে ‘ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন’ মেনুতে ক্লিক করলে দেখা যাবে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ বা অনুত্তীর্ণ হওয়ার বার্তাটি। এছাড়া আবেদনের সময় প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারেও জানানো হবে পরীক্ষার ফলাফল।
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংযুক্তি
‘দেখুন ও পরবর্তী ধাপ’ বাটনে ক্লিক করলে সংযুক্তির পেজটি প্রদর্শিত হবে। লার্নার ড্রাইভিং লাইসেন্সের আবেদনের সময় সংযুক্ত নথিগুলো এখানে আগে থেকেই সংযুক্ত দেখাবে।
আলাদা ভাবে আপলোড করতে হবে পাস লার্নার; তথা ড্রাইভিং দক্ষতা যাচাই পরীক্ষা উত্তীর্ণের প্রমাণপত্র। এছাড়া প্রযোজ্য ক্ষেত্রে অতিরিক্ত নথির সংযুক্ত করা যেতে পারে।
ফি পরিশোধ
ব্যাংকের মাধ্যমে ফি দিতে হলে ‘ব্যাংকের মাধ্যমে ফি জমা’ আর অনলাইনে দিতে হলে ‘অনলাইনে ড্রাইভিং লাইসেন্স-এর ফি জমা’ বাটনে ক্লিক করতে হবে।
অনলাইনের ক্ষেত্রে অনলাইন পেমেন্ট পেজে ‘পে নাউ’ বাটনে ক্লিক করে পরিশোধ সম্পন্ন করতে হবে।
আর ব্যাংকের ক্ষেত্রে ব্যাংক থেকে প্রদত্ত মানি রিসিপ্টে উল্লেখিত ই-ট্র্যাকিং নাম্বারটি সংগ্রহ করতে হবে। অতঃপর তা ‘ই-ট্র্যাকিং নম্বর প্রবেশ করুন’ ঘরে লিখে ‘ই-ট্র্যাকিং নম্বর যাচাই’ বাটনে ক্লিক করতে হবে।
সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে পরিশোধের যাবতীয় তথ্য এক নজরে প্রদর্শন করা হবে। তারপর ‘সাবমিট’ বাটনে ক্লিক করলেই চূড়ান্ত ভাবে সম্পন্ন হবে ফি পরিশোধ।
আরও পড়ুন: রাতে হাইওয়েতে গাড়ি চালানোর সময় প্রয়োজনীয় কিছু সতর্কতা
ই-পেপার ড্রাইভিং লাইসেন্স সংগ্রহ
স্মার্ট কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্সের আবেদন দাখিল করা শেষ। এখন এটি বিআরটিএ কর্তৃক অনুমোদিত হলে ড্যাশবোর্ডে ই-পেপার লাইসেন্স ফর্ম প্রদর্শন করা হবে। এটি ডাউনলোড এবং প্রিন্ট করে স্মার্ট কার্ড প্রাপ্তির আগ পর্যন্ত বৈধ ড্রাইভিং লাইসেন্স হিসেবে ব্যবহার করা যাবে। এছাড়াও স্মার্ট কার্ড আসার আগ পর্যন্ত লাইসেন্সের সর্বশেষ অবস্থা দেখানো হবে ড্যাশবোর্ডে।
ড্রাইভিং লাইসেন্স- এর স্মার্ট কার্ড প্রাপ্তি
ড্রাইভিং লাইসেন্সের স্মার্ট কার্ড প্রস্তুতির সার্বিক কার্যক্রম শেষ হয়ে গেলে ড্যাশবোর্ডে তা প্রদর্শন করা হবে। পরিশেষে আবেদনে উল্লেখিত ঠিকানায় ডাকযোগে প্রেরণ করা হবে ড্রাইভিং লাইসেন্সের স্মার্ট কার্ডটি।
বিআরটিএ স্মার্ট কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স- এর জন্য প্রয়োজনীয় খরচ
শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য শুধুমাত্র বিএসপি পোর্টালের মাধ্যমে ফি পরিশোধ করতে হবে। যে কোনও একটি মোটরযানের জন্য ফি ৫১৮ টাকা, আর দুইটি মোটরযানের জন্য ফি ৭৪৮ টাকা।
স্মার্ট কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্সের আবেদনের সময় ১০ বছর মেয়াদী অপেশাদার লাইসেন্সের জন্য দিতে হবে ৪ হাজার ৫৫৭ টাকা। আর ৫ বছর মেয়াদের পেশাদার লাইসেন্সের জন্য খরচ হচ্ছে ২ হাজার ৮৩২ টাকা।
শেষাংশ
বিআরটিএ স্মার্ট কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স করার সময় প্রথম সতর্কতা হলো প্রতিটি তথ্য সঠিকভাবে দেওয়া। কোনও ভুয়া তথ্য দেওয়া হলে লার্নার এবং স্মার্ট কার্ড উভয় ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন বাতিল করা হবে। শুধু তাই নয়, প্রযোজ্য ক্ষেত্রে ভুয়া তথ্যদানকারীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
দ্বিতীয়ত, দক্ষতা যাচাইয়ের পরীক্ষায় কৃতকার্য হওয়ার বিষয়টি আমলে নিতে হবে। কেননা অকৃতকার্য হলে আবার নতুন করে পরীক্ষার জন্য তারিখ চেয়ে আবেদন করতে হবে। তাই নিরবচ্ছিন্ন ভাবে ড্রাইভিং লাইসেন্স কার্ড হাতে পেতে হলে এই বিষয়গুলোতে সতর্কতা অবলম্বন বাঞ্ছনীয়।
আরও পড়ুন: মোটর ড্রাইভিং লাইসেন্স করার পদ্ধতি: প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও খরচ
১ বছর আগে
৭১ শতাংশ পরিবার দুর্নীতির শিকার: টিআইবি
দেশের প্রায় ৭১ শতাংশ পরিবারকে ঘুষ দিয়ে সরকারের বিভিন্ন খাত থেকে সেবা নিতে হয়। বুধবার ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) পরিবার জরিপ করে এ তথ্য তুলে ধরে।
‘সেবাখাতে দুর্নীতি: জাতীয় পরিবার জরিপ-২০২১’ শিরোনামে চালানো জরিপে উঠে আসে যে সেবাখাতের আইন-শৃঙ্খলা প্রয়োগকারী সংস্থার বর্হিগমন ও পাসপোর্ট বিভাগ(ডিআইপি) সবচেয়ে বেশি চুয়াত্তর দশমিক ৪ শতাংশ এবং বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ(বিআরটিএ)আটষট্টি দশমিক ৩ শতাংশ দুর্নীতিগ্রস্ত।
অন্যান্য খাতগুলোর মধ্যে বিচার বিভাগ ৫৬ দশমিক ৮ শতাংশ, স্বাস্থ্য ৪৮ দশমিক ৭ শতাংশ, স্থানীয় সরকারি প্রতিষ্ঠান ৪৬ দশমিক ৬ শতাংশ এবং ভূমি সেবায় ৪৬ দশমিক ৩ শতাংশ দুর্নীতিগ্রস্ত।
জরিপ প্রতিবেদন বলছে, পাসপোর্ট, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও বিআরটিএ- এই শীর্ষ তিনটি খাতে দেশের সার্বিক ঘুষের প্রচলন ৪০ দশমিক ১ শতাংশ।
ঘুষ দিতে বাধ্য হওয়া ৭২ দশমিক ১ শতাংশ ভুক্তভোগী উল্লেখ করেন, ‘ঘুষ ছাড়া সেবা নাই’ ফলে তারা ঘুষ দেয়। নিয়মিত ঘুষ দেয়ায় তা প্রাতিষ্ঠানিক রূপ লাভ করেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রতিটি পরিবার বীমা, বিচার ও গ্যাস এই তিনটি খাতের সেবা নিতে গড়ে বার্ষিক ছয় হাজার ৬৩৬ টাকা ঘুষ দিয়ে থাকে।
জরিপকালীন ২০২০-২০২১ সালের এই সময়ে ১০ হাজার ৮৩০ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে বলে প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। যা দেশের ২০২০-২১ অর্থবছরের জিডিপির শূন্য দশমিক ৪ শতাংশ এবং একই অর্থ বছরের সংশোধিত বাজেটের পাঁচ দশমিক ৯ শতাংশ।
টিআইবি ১৯৯৭ সাল থেকে নয়টি জাতীয় খানা জরিপ করেছে।
জরিপ মতে, দুর্নীতির হার ২০১৭ সালের তুলনামূলক বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০২১ সালে একই খাতে দুর্নীতির হার ছিল সত্তর দশমিক ৮ শতাংশ যখন ২০১৭ সালে একই খাতে দুর্নীতির হার ছিল ৬৬ দশমিক ৫ শতাংশ। তুলনামূলক ২০১৭ সালের তুলনায় ২০২১ সালে ঘুষ বা বেনামী লেনদেনের হার কমলেও বৃদ্ধি পেয়েছে ঘুষের পরিমাণ।
সরকারের ডিজিটালাইজেশন প্রক্রিয়ার মধ্যেও অনেকগুলো খাতে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, পাসপোর্ট, বিআরটিএ ইত্যাদি) দুর্নীতির হার একই রকম রয়েছে। কিছু খাতে(স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান, বেসরকারি সংস্থা ও বীমা ইত্যাদি) দুর্নীতি বেড়েছে। উপরন্তু ২০১৭ সালের তুলনায় ঘুষের হার বেড়েছে কিছু খাতে(স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান সমূহ) এবং ২০২১ সালে কিছু খাতে (কৃষি, শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য) দুর্নীতি কমেছে ।
পড়ুন: নির্বাচনকালীন সহিংসতা প্রসঙ্গে সিইসির বক্তব্য আত্মঘাতী ও অপরিণামদর্শী: টিআইবি
২০২১ সালের জরিপে দেখা যায়, সেবাখাতের দুর্নীতির ঘনটনাগুলো শহরাঞ্চলের তুলনায় প্রত্যন্ত অঞ্চলে বেশি হয়েছে যার হার ৩৬ দশমিক ৬ শতাংশ ও ৪৬ দশমিক ৫ শতাংশ। বেশি
উপার্জনক্ষম মানুষের চেয়ে নিম্ন আয়ের মানুষের মধ্যে দুর্নীতির ঊর্ধ্বগতি বেশি। বিভিন্ন সেবা গ্রহীতা নিম্ন আয়ের মানুষদের তাদের বার্ষিক আয়ের বড় একটি অংশ ঘুষ দিতে বাধ্য করা হয়।
জরিপের ফলাফলে দেখা যায় স্বাস্থ্য, স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান ও অন্যান্য সেবা খাত থেকে সেবা গ্রহীতা নারীরা পুরুষ সেবা গ্রহীতাদের চেয়ে বেশি দুর্নীতির শিকার হন। এবং পুরুষ সেবাগ্রহীতারা শিক্ষা, সরকারি সেবা খাতে
নারীদের চেয়ে বেশি দুর্নীতির শিকার হন। এছাড়া ৩৫ বছরের কম বয়সী সেবাগ্রহীতাদের তুলনায় ৩৬ বছরের ঊর্ধ্বের সেবাগ্রহীতারা বেশি দুর্নীতির শিকার হন।
জরিপে অংশ নেয়া পরিবারগুলোর মতামতের ভিত্তিতে দুর্নীতি দমন কমিশন দশ দফা সুপারিশ করেছে। এরমধ্যে দুর্নীতির সঙ্গে জড়িতদের জবাবদিহির আওতায় নিয়ে আসা, সরকারি সকল সেবা ডিজিটালাইজেশন, সেবা প্রদানকারীদের বিধির আওতায় পরিচালনা এবং সরকারের বিভিন্ন
অভিযোগের পদ্ধতি ও প্রতিকার পাওয়ার বিষয়ে অধিক প্রচারণা চালানো।
আরও পড়ুন: টিসিবির পণ্য বিক্রি নিয়ে টিআইবির প্রতিবেদন সঠিক নয়: বাণিজ্যমন্ত্রী
টিআইবি’র নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, এই পারিবারিক সমীক্ষার সঙ্গে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের দুর্নীতি উপলব্ধি সূচকের (সিপিআই) কোন সম্পর্ক নেই।
তিনি বলেন, বৈশ্বিক সংস্থাটি সিপিআই তৈরি করার সময় এই জরিপ এবং টিআইবি দ্বারা পরিচালিত অন্যান্য গবেষণার ফলাফলগুলো ব্যবহার করে না।
২ বছর আগে
সিলেটে রবিবারের পরিবহন ধর্মঘট স্থগিত
সিলেটে রবিবার সকাল থেকে আহুত অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘট স্থগিত করেছেন জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ঐক্য পরিষদের নেতারা।
শনিবার (৯) বিকেল ৪টার দিকে সিলেট জেলা শ্রমিক ঐক্য পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলী আকবর রাজন ধর্মঘট স্থগিতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, শনিবার (৯ এপ্রিল) দুপুর ১২টা থেকে বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটির (বিআরটিএ) সিলেট কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সানাউল হকের সঙ্গে বৈঠক করে শ্রমিক ফেডারেশন ও সড়ক পরিবহন শ্রমিক ঐক্য পরিষদের একটি প্রতিনিধি দল। বৈঠকে সিলেট বিআরটিএতে সৃষ্ট ড্রাইভিং লাইসেন্স সংক্রান্ত জটিলতা নিরসনে বেশ কয়েকটি কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া হয় এবং পরিবহন শ্রমিকদের বেশ কয়েকটি দাবি মেনে নেয়া হয়। বিআরটিএ সিলেট অফিসের সংশ্লিষ্টরা পরিবহন শ্রমিকদের পাশে থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় নেতা সজীব আলী উপস্থিত সকলের সর্বসম্মতিক্রমে আগামীকাল রবিবারের ধর্মঘট স্থগিতের ঘোষণা দেন।
আরও পড়ুন: ধর্মঘট প্রত্যাহার: ৩ দিন পর রংপুর থেকে ঢাকাগামী বাস চলাচল শুরু
এর আগে বিআরটিএ’র দুই কর্মকর্তার অপসারণের দাবিতে রবিবার (১০ এপ্রিল) সকাল থেকে সিলেটে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটের ডাক দেন জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ঐক্য পরিষদের নেতারা।
সড়ক পরিবহন শ্রমিক ঐক্য পরিষদের কার্যকরী কমিটির সভাপতি হাজী ময়নুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, সিলেট বিআরটিএ’র সহকারী পরিচালক সানাউল হক ও রেকর্ড রুমের কর্মচারী দেলোয়ার সঠিক প্রক্রিয়ায় কোনো গাড়ির কাগজপত্র বা চালকের ড্রাইভিং লাইসেন্স নির্দিষ্ট সময়ে দেন না।
আরও পড়ুন: খুলনায় ট্যাংকলরি শ্রমিকদের ধর্মঘট স্থগিত
২ বছর আগে
গণপরিবহনে অতিরিক্ত ভাড়া বন্ধে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ হাইকোর্টের
সারাদেশের গণপরিবহনে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বন্ধে কার্যকর ও যথাযথ ব্যবস্থা নিতে বিআরটিএ'র প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
সোমবার (২৪ জানুয়ারি) জনস্বার্থে করা এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে হাইকোর্টের বিচারপতি মামুনুর রহমান ও খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।
রুলে সড়ক পরিবহন আইন, ২০১৮ এর ১২২ ধারা অনুযায়ী বাস, মিনিবাস তথা গণপরিবহনের ভাড়া বৃদ্ধি সংক্রান্ত বিধিমালা প্রনয়ণ না করতে পারার ব্যর্থতা, আইন অনুযায়ী ভাড়ার তালিকা প্রকাশ্য স্থান ও সহজে দৃশ্যমান স্থানে না টানিয়ে ভাড়া আদায় করার বিষয়টি নিয়ন্ত্রণ করতে না পারার ব্যর্থতা এবং আইন অনুযায়ী যাত্রীদের থেকে বাস মালিক, কন্টাক্টরদের বেশি ভাড়া আদায় বন্ধ করার ব্যর্থতা কেন বেআইনি ও আইন পরিপন্থী ঘোষণ করা হবে না তা জানতে চাওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: গণপরিবহনে অর্ধেক যাত্রী, কমছে দোকান-পাট খোলার সময়ও
এছাড়া রুল পেন্ডিং অবস্থায় আগামী এক মাসের মধ্যে বাস থামার প্রতিটি নির্দিষ্ট জায়গায় প্রকাশ্য ও যাত্রীদের নিকট সহজে দৃশ্যমান স্থানে ভাড়ার তালিকা প্রকাশ ও সেগুলো ইলেকট্রনিক বিলবোর্ডের মাধ্যমে উক্ত তালিকা প্রদর্শনের জন্য ও অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বন্ধ করতে প্রয়োজনীয় ও কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বিআরটিএ'র প্রতি নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
মামলা পরিচালনা করেন রিটের বাদী ও আইনজীবী জনাব মো. আবু তালেব। সাথে ছিলেন আইনজীবী মোখলেসুর রহমান ও ব্যারিস্টার মুসতাসীম তানজীর।
এর আগে গত ৪ জানুয়ারি রিটটি করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. আবু তালেব।
তিনি জানান, মূলত সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ এর কয়েকটি ধারা বাস্তবায়নের দাবিতে রিটটি করেছি। রিটে সড়ক পরিবহন সচিব, বিআরটিএ চেয়ারম্যান সহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ১১ ডিসেম্বর থেকে গণপরিবহনে হাফ ভাড়া কার্যকর
শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের মধ্যে রাজধানীর গণপরিবহনকে ‘শৃঙ্খলাবদ্ধ’ করার উদ্যোগ
২ বছর আগে
শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের মধ্যে রাজধানীর গণপরিবহনকে ‘শৃঙ্খলাবদ্ধ’ করার উদ্যোগ
বাসে হাফ ভাড়ার দাবিতে রাস্তা অবরোধ বিক্ষোভ করছে শিক্ষার্থীরা। যদিও শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে শুধু ঢাকা মহানগরীতে হাফ ভাড়া কার্যকরের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাস মালিক সমিতি। তবে সারাদেশে সব গণপরিবহনে হাফ ভাড়ার দাবি মানা না পর্যন্ত আন্দোলন করে যাচ্ছে শিক্ষার্থীরা।
এই অচলাবস্থা শহরের গণপরিবহন ব্যবস্থায় আরও বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি করেছে যার ফলে যাত্রীদের ব্যাপক ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
সরকার ৩ নভেম্বর ডিজেল ও কেরোসিনের দাম লিটার প্রতি ১৫ টাকা বাড়িয়েছে। অন্যদিকে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটের পর ৭ নভেম্বর বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ) আন্তনগর ও আন্তজেলা বাসের ভাড়া যথাক্রমে ২৬.৫ শতাংশ ও ২৭ শতাংশ বৃদ্ধি করেছে।
আরও পড়ুন: শিক্ষার্থীদের হাফ ভাড়া কার্যকরের সিদ্ধান্ত: ওবায়দুল কাদের
তবে পরিবহন শ্রমিকরা এই নির্ধারিত হারের বাইরে যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
এছাড়া এই অনিয়মের প্রতিবাদকারী যাত্রীরা পরিবহন শ্রমিকদের দ্বারা হয়রানির শিকার হয়েছেন, এমনকি একজন ছাত্রীকে ধর্ষণের হুমকিও দেয়া হয়েছে।
২০ নভেম্বর বদরুন্নেসা কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের এক ছাত্রী অর্ধেক বাস ভাড়া দিতে চাইলে ঠিকানা পরিবহনের বাসের চালকের এক সহকারী তাকে ধর্ষণের হুমকি দেয়।
মনিটরিং ব্যবস্থায় সমন্বয়ের অভাব থাকায় এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
এছাড়া পরিবহন শ্রমিকরা নির্ধারিত বাস স্টপেজের পরিবর্তে যেকোনো স্থানে যাত্রী উঠাচ্ছে বা নামিয়ে দিচ্ছে। রাজধানীর গণপরিবহনের এরূপ বিশৃঙ্খল চলাচলের কারণে যাত্রীদের প্রচুর অর্থ ও সময় ব্যয় হচ্ছে।
আরও পড়ুন: শুধু ঢাকায় শিক্ষার্থীদের হাফ ভাড়া
পরিবহন বিশৃঙ্খলার পেছনের কারণ
উত্তরা-কুড়িল-বাড্ডা-মালিবাগ-গুলিস্তান রুটে রাইদা, আলিফ, ইকবাল, ইউনিক, ভিক্টর, আকাশসহ বিভিন্ন পরিবহন কোম্পানির বাস চলাচল করে। মিরপুর-ফার্মগেট-গুলিস্তান সড়কে মিরপুর পরিবহনসহ বিভিন্ন যানবাহন রয়েছে।
গাবতলী থেকে যাত্রাবাড়ী, মোহাম্মদপুর থেকে রামপুরা, বিমানবন্দর সড়ক থেকে মহাখালী-মগবাজার-মৌচাক পর্যন্ত প্রায় ২৯১টি রুটেই এসব পরিবহন চলতে দেখা যায়।
বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী ইউএনবিকে বলেন, রাজধানীর গণপরিবহনে চরম বিশৃঙ্খলাবিরাজ করছে। তাতে যাত্রীদের প্রতিনিয়ত হয়রানির স্বীকার হতে হচ্ছে। রাজধানীতে চলাচলকারী ৮৭ শতাংশ মিনিবাসে এই অবস্থা বিদ্যমান। এ বিষয়ে আসলে কার্যকরী কোনো ব্যবস্থা নেই, ফলে শৃঙ্খলা ফিরে আসছে না।
তিনি আরও বলেন, সড়কে শৃঙ্খলা আনার দায়িত্ব ট্রাফিক পুলিশ, বিআরটিএ, সিটি করপোরেশনগুলোর।
বিআরটিএর তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে সারা দেশে নিবন্ধিত যানবাহনের সংখ্যা ৩১ লাখ।
বাংলাদেশ বাস মালিক সমিতির তথ্য বলছে, রাজধানীতে চলাচল করছে আড়াই হাজারকোম্পানির প্রায় ৩০ হাজার বাস। রাজধানী ছাড়া সারা দেশে এক লাখের বেশি বাস চলাচল করে।
সারা দেশে ৭০ লাখ চালকের মধ্যে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটির (বিআরটিএ) লাইসেন্স আছে মাত্র ১৬ লাখের। বাকি সব চালক অবৈধ।
বাংলাদেশ বাস মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্যাহ ইউএনবিকে বলেন, গণপরিবহন বিশৃঙ্খলার জন্য অন্যতম দায়ী পরিবহন শ্রমিকরা। গণপরিবহন শ্রমিকদের আমরা বিভিন্নভাবে সচেতন করার চেষ্টা করছি। তবে আরও সময় লাগবে।
আরও পড়ুন: নিরাপদ সড়ক ও হাফ ভাড়ার দাবিতে শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ
গণপরিবহন সেবা শৃঙ্খলাবদ্ধ করতে পদক্ষেপ
খন্দকার এনায়েত উল্লাহ বলেন, নির্দেশের চেয়েও বেশি বাস ভাড়া নেয়ার অভিযোগ রয়েছে। এ ধরনের অনিয়ম ঠেকাতে মালিক, শ্রমিক ও ম্যাজিস্ট্রেটের সমন্বয়ে নয়টি টিম বিভিন্ন রুটে কাজ করছে।
কোনটি সিএনজিচালিত চলাচলকারী বাস ও কোনটি ডিজেলচালিত বাস সেটা বাসের গায়ে লিখা থাকতে হবে।
এছাড়া রাজধানীর অধিকাংশ চালকই দক্ষ নন। বাংলাদেশ বাস মালিক সমিতির পক্ষ থেকে বিআরটিএ তাদের জন্য এককালীন প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছে। এটি পুনরায় চালু করার জন্য এ ধরনের উদ্যোগ নেয়া হবে।
২ বছর আগে