সফর
যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা সফরশেষে দেশে ফিরলেন সেনাপ্রধান
যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা সফরশেষে শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) দেশে ফিরেছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।
সফরকালে তিনি জাতিসংঘ সদর দপ্তরে শান্তিরক্ষা মিশনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি, যুক্তরাষ্ট্রের সেনাপ্রধানসহ উচ্চপদস্থ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তা এবং কানাডার উচ্চপদস্থ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
গত ১৭ অক্টোবর সেনাবাহিনী প্রধান নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে জাতিসংঘের ডিপার্টমেন্ট অব পিস অপারেশনস বিভাগের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল জি পিয়েরে ল্যাক্রইক্স, ডিপার্টমেন্ট অব অপারেশনাল সাপোর্ট বিভাগের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল অতুল খের, জাতিসংঘের মানবাধিকার-সংক্রান্ত হাইকমিশনের অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি জেনারেল ইলজে ব্র্যান্ডস কেহরিস, আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল, ডিপার্টমেন্ট অব পলিটিক্যাল ও পিস বিল্ডিং অ্যাফেয়ার্সের পক্ষে মধ্যপ্রাচ্য, এশিয়া ও প্যাসিফিক বিষয়ক অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি জেনারেল মোহাম্মদ খালেদ খিয়ারি এবং ডাইরেক্টর অব অফিস ফর পিস কিপিং স্ট্রাটেজিক পার্টনারশিপ জেনালের জেই মেননের সঙ্গে দ্বি-পাক্ষিক বৈঠকে মিলিত হন। সেনাপ্রধানের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে তারা বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী, বিশেষ করে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের শান্তিরক্ষা কার্যক্রমের ভূয়সী প্রশংসা করেন। এসব বৈঠকে সেনাপ্রধান জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি এবং নীতি নির্ধারণী/ফোর্স কমান্ড পর্যায়ে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব বাড়াতে গুরুত্বারোপ করেন।
পাশাপাশি, সেনাবাহিনী প্রধান র্যাব ফোর্সেসে প্রেষণে নিয়োজিত থাকাকালীন সেনাবাহিনীর সদস্যদের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাদের শান্তিরক্ষা মিশনে নির্বাচিত না করার বিষয় সবাইকে জানান। এছাড়াও, তিনি বাংলাদেশের চলমান পরিস্থিতিতে অন্তবর্তীকালীন সরকারের দিকনির্দেশনা অনুযায়ী বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর চলমান কর্মকাণ্ডের উপর আলোকপাত করেন। সেনাবাহিনী প্রধান বাংলাদেশ সরকার এবং সেনাবাহিনী পার্বত্য চট্টগ্রামে আর্থ-সামাজিক ও শান্তি শৃঙ্খলার উন্নয়নে গৃহীত নানামুখি ইতিবাচক দিক তুলে ধরেন। তিনি বিভিন্ন শান্তিরক্ষা মিশনে নিয়োজিত বাংলাদেশী শান্তিরক্ষী কন্টিনজেন্টসমূহ কর্তৃক স্থানীয় জনগণের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে হাসপাতাল ও ক্লিনিক পরিচালনার বিষয়ও তাদের জানান। মিশনে অংশগ্রহণকারী দেশসমূহের মধ্যে শান্তিরক্ষাবিষয়ক প্রশিক্ষণ বিনিময়, আভিযানিক সক্ষমতা বৃদ্ধিসহ মিশন সংক্রান্ত অন্যান্য বিষয়াদি গুরুত্বের সঙ্গে আলোচিত হয়। সেনাবাহিনী প্রধান জাতিসংঘের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বিশ্ব শান্তিরক্ষায় বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের জোরালো ভূমিকা ও সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন। এছাড়াও, সেনাপ্রধান নিউইয়র্কে অবস্থিত বাংলাদেশের স্থায়ী মিশন পরিদর্শন করেন এবং স্থায়ী প্রতিনিধির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। গত ২২ অক্টোবর সেনাপ্রধান ওয়াশিংটন ডিসির পেন্টাগনে যুক্তরাষ্ট্রের চিফ অব স্টাফ অব দি আর্মি জেনারেল র্যান্ডি এ জর্জের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও আলোচনায় অংশ নেন। সাক্ষাৎকালে তারা দুই দেশের সেনাবাহিনীর স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়, বিশেষ করে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন, প্রশিক্ষণ সহায়তা, দ্বি-পাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়ন ও পারস্পরিক আস্থা সৃষ্টি, আঞ্চলিক নিরাপত্তা বিষয়ে পারস্পরিক সহযোগিতা, দুর্যোগ পরবর্তী মানবিক সহায়তা, যৌথ প্রশিক্ষণ-সংক্রান্ত বিষয়াদি আলোচনা করেন। এ সময় যুক্তরাষ্ট্র সেনাপ্রধানের বৈদেশিক নীতিবিষয়ক উপদেষ্টা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও, সেনাবাহিনী প্রধান যুক্তরাষ্ট্রের সেক্রেটারি অব ডিফেন্স অফিসের ইন্দো-প্যাসিফিক নিরাপত্তাবিষয়ক সহকারী সামরিক সচিব ড. এলি রাটনারের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
এ সময়ে ইন্দো-প্যাসিফিক দেশসমূহ এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মধ্যে সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় করা এবং পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধি ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা হয়।
সাক্ষাৎকালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের বিশেষ সহকারী এবং দক্ষিণ এশিয়া-সংক্রান্ত জ্যেষ্ঠ পরিচালক লিন্ডসি ডব্লিউ ফোর্ডসহ জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের দক্ষিণ এশিয়া-সংক্রান্ত উচ্চপদস্থ সামরিক ও অসামরিক কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও, তিনি যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের সহকারী সচিব ডোনাল্ড লুর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
আরও পড়ুন: সরকারি সফরে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা গেলেন সেনাপ্রধান
সাক্ষাৎকালে সেনাপ্রধান দেশের সামগ্রিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি এবং সরকারের সমর্থনে সেনাবাহিনীর বিবিধ কার্যকলাপ সম্পর্কে জানান। কানাডা সফরকালে সেনাপ্রধান ভাইস চিফ অব কানাডিয়ান ডিফেন্স স্টাফ লেফটেন্যান্ট জেনারেল স্টিফেন আর কেলসির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
সাক্ষাৎকালে তিনি বাংলাদেশী শিক্ষার্থী, কর্মরত ও অবসরপ্রাপ্ত সামরিক বাহিনীর সদস্যদের জন্য ভিসা প্রক্রিয়াকরণ সহজতর করার জন্য কথা বলেন। তিনি প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে সহযোগিতা জোরদার করা বিশেষ করে সামরিক প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে প্রশিক্ষণার্থী বিনিময়ের কথা উল্লেখ করেন। এছাড়াও, কানাডিয়ান পার্লামেন্টের নাগরিকত্ব ও ইমিগ্রেশন বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য সংসদ সালমা জাহিদ সেনাপ্রধানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাৎকালে তারা দুই দেশের পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেন। সেনাপ্রধান বিশেষ করে ছাত্রদের এবং কর্মরত/অবসরপ্রাপ্ত সামরিক অফিসারদের ভিসা প্রক্রিয়া সহজতর করা, শিক্ষা বিনিময়ের জন্য বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর, কৃষি ও অবকাঠামো উন্নয়নসহ পরিচর্যাকারী পাঠানোর মাধ্যমে স্বাস্থ্যখাতে সহযোগিতার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন। এছাড়াও, বাংলাদেশে মনোনীত কানাডার হাইকমিশনার এইচ ই অজিত সিং এবং কানাডায় বাংলাদেশের হাইকমিশনার নাহিদা সোবহান সেনাপ্রধানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
গত ১৫ অক্টোবর সরকারি সফরে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা যান সেনাপ্রধান।আরও পড়ুন: কানাডার সঙ্গে সেনাপ্রধানের বৈঠকে ভিসা সহজীকরণ ও প্রতিরক্ষা সহযোগিতায় গুরুত্ব
১ মাস আগে
জাতিসংঘ সফর শেষে দেশে ফিরেছেন প্রধান উপদেষ্টা ইউনূস
বিশ্ব নেতাদের সঙ্গে একাধিক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকের ফলপ্রসূ সফর শেষে দেশে ফিরেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
অধ্যাপক ইউনূস ও তার প্রতিনিধি দল কাতার এয়ারওয়েজের একটি বাণিজ্যিক ফ্লাইটে শনিবার(২৮ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ৩টা ৩২ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন।
অধ্যাপক ইউনূসের প্রেস সচিব শফিকুল আলম ইউএনবিকে জানান, নিউইয়র্কে চার দিন অবস্থানকালে অধ্যাপক ইউনূস জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে ৪০টিরও বেশি বড় ইভেন্টে অংশ নিয়েছেন।
আলম বলেন, প্রধান উপদেষ্টা ২৬ সেপ্টেম্বর সর্বোচ্চ ১৬টি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনসহ অন্তত ১২ জন বিশ্ব নেতার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।
সবার জন্য স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে 'নতুন বাংলাদেশ' সঙ্গে সম্পৃক্ত হতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) ৭৯তম অধিবেশনে দেওয়া ইউনূসের ভাষণে এই আহ্বান জানানো হয়।
আরও পড়ুন: রবিবার রাতে দেশে ফেরার কথা রয়েছে অধ্যাপক ইউনূসের
বাংলায় দেওয়া ভাষণে নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী এই অর্থনীতিবিদ বলেন, বাংলাদেশের তরুণরা দেখিয়েছে যে, ভেদাভেদ ও মর্যাদা নির্বিশেষে মানুষের স্বাধীনতা, মর্যাদা ও অধিকার সমুন্নত রাখা শুধু উচ্চাকাঙ্ক্ষী হতে পারে না। 'এটা সবার প্রাপ্য।'
অধ্যাপক ইউনূস গণতন্ত্র, আইনের শাসন, সমতা ও সমৃদ্ধির লক্ষ্যে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পৃক্ততা গভীর করার জন্য বিশ্বের সকল দেশকে আমন্ত্রণ জানান।
'এটি একটি যুগান্তকারী বক্তব্য' উল্লেখ করে প্রেস সচিব বলেন, ভাষণে বাংলাদেশের সমস্যা ছাড়াও বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক নানা বিষয়ও উঠে এসেছে।
এর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে বৈঠকসহ জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে বেশ কয়েকটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করতে এবং জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৯তম অধিবেশনে যোগ দিতে ২৩ সেপ্টেম্বর সোমবার রাতে নিউইয়র্ক পৌঁছান প্রধান উপদেষ্টা ইউনূস।
আরও পড়ুন: তরুণ নাগরিকদের পেছনে বিনিয়োগ করতে বিশ্ব নেতাদের প্রতি অধ্যাপক ইউনূসের আহ্বান
২ মাস আগে
ভারত ও নেপাল সফরে যাচ্ছেন মার্কিন কর্মকর্তা ভার্মা
যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবস্থাপনা ও সম্পদবিষয়ক ডেপুটি সেক্রেটারি রিচার্ড আর ভার্মার নেতৃত্বে মার্কিন প্রতিনিধি দল ১৬ আগস্ট নেপাল এবং ১৭ থেকে ২২ আগস্ট ভারত সফর করবেন। উভয় দেশের নিরাপদ ও সহনশীল ভবিষ্যতের অগ্রগতিকে সমর্থনের লক্ষ্যে তারা এই সফর করছেন।
নেপালে অর্থনৈতিক উন্নয়ন, নারীর ক্ষমতায়ন, জ্বালানি এবং জনগণের মধ্যে সম্পর্কের ক্ষেত্রে অভিন্ন অগ্রাধিকার নিয়ে আলোচনা করতে ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তা, উন্নয়ন পেশাজীবী এবং ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে প্রতিনিধি দলটি।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে ভারতসহ এ অঞ্চলের অন্যান্য দেশের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে যুক্তরাষ্ট্র
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র জানিয়েছেন, অর্থনৈতিক উন্নয়ন, ক্লিন এনার্জি ও ক্লাইমেট অ্যাকশন এবং স্টেম এডুকেশনসহ বিভিন্ন বিষয়ে মার্কিন-ভারত অংশীদারিত্বকে এগিয়ে নিতে উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী ভার্মা ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তা, জলবায়ু নেতা এবং মহাকাশ শিক্ষাবিদ এবং শিল্প প্রতিনিধিদের সঙ্গে দেখা করতে ভারতের নয়া দিল্লি সফর করবেন।
ভারত সফরকালে তার সঙ্গে থাকবেন আন্তর্জাতিক জলবায়ু নীতিবিষয়ক প্রেসিডেন্টের জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা জন পোডেস্টা এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জ্বালানি দপ্তরের ডেপুটি সেক্রেটারি ডেভিড তুর্ক।
আরও পড়ুন: অন্তর্বর্তী সরকারকে সমর্থন দেবে জাতিসংঘ: মুখপাত্র
৪ মাস আগে
চলতি মাসেই স্পেন-ব্রাজিল সফরে যাওয়ার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর
সহযোগিতার বৃহত্তর ক্ষেত্রে জড়িত দু'দেশের সঙ্গে সম্পর্ক আরও জোরদার করতে আগামী ২১ জুলাই থেকে স্পেন ও ব্রাজিল সফর করার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার।
পৃথক এই দুটি দ্বিপক্ষীয় সফরের জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
আগামী ২১ থেকে ২৩ জুলাই স্পেনের রাজধানী মাদ্রিদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফরের পরিকল্পনা করা হয়েছে বলে এক কর্মকর্তা ইউএনবিকে জানিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, স্পেন সফর শেষে তিনি ২৪ থেকে ২৬ জুলাই ব্রাজিল সফর করবেন এবং লন্ডনে যাত্রাবিরতির সম্ভাবনা রয়েছে।
ব্রাজিলের রাষ্ট্রদূত পাওলো ফার্নান্দো দিয়াস ফেরেস সম্প্রতি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্রাজিল সফর হবে 'দ্বিপক্ষীয়'।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্ভাব্য সফরের মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করতে চায় দক্ষিণ আমেরিকার সবচেয়ে প্রভাবশালী দেশ ব্রাজিল।
আরও পড়ুন: গৃহহীন মুক্ত দেশ হতে চলেছে বাংলাদেশ: প্রধানমন্ত্রী
এর আগে ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা প্রধানমন্ত্রীকে দ্বিপক্ষীয় সফরের জন্য ব্রাজিলে আমন্ত্রণ জানান।
ব্রাজিলের রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘এটি একটি দ্বিপক্ষীয় সফর। শুধুই তার। ধারণাটি হলো তিনি প্রেসিডেন্ট লুলার সঙ্গে ক্ষুধার বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী কর্মসূচি শুরু করতে পারেন। তারপরে তিনি পুরো অপেরা সফরের সমস্ত অনুষ্ঠানের জন্য ব্রাসিলিয়ায় যাবেন।’
সম্প্রতি জাতীয় প্রেসক্লাবে কূটনৈতিক প্রতিবেদকদের সঙ্গে 'ডিক্যাব টক'-এ আলাপকালে ব্রাজিলের রাষ্ট্রদূত পাওলো ফার্নান্দো দিয়াস ফেরেস এ কথা বলেন।
এটি ল্যাটিন আমেরিকার কোনও দেশে এটিই হবে প্রধানমন্ত্রীর প্রথম দ্বিপক্ষীয় সফর। যে দেশটিকে একটি উদীয়মান অর্থনৈতিক শক্তি এবং বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম গণতন্ত্র হিসাবে দেখা হয়।
ব্রাজিল বাংলাদেশে একটি ভিসা সেন্টার খোলার পরিকল্পনা করছে, যাতে দুদেশের জনগণের মধ্যে যোগাযোগ আরও সহজতর হয়।
বাংলাদেশ পারস্পরিক সহযোগিতা ও সুবিধা বাড়াতে স্পেনের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করবে।
আরও পড়ুন: একসঙ্গে বাংলাদেশ-চীন উভয় দেশের জন্য সমৃদ্ধি বয়ে আনতে পারে: চীনা ব্যবসায়ীদের প্রধানমন্ত্রী
৫ মাস আগে
ভারত সফরে যা যা আলোচনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী
ভারতে দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে যোগাযোগ, সীমান্ত হত্যা, নদী ব্যবস্থাপনা, বিদ্যুৎখাতে সহযোগিতার বিষয়ে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে আলোচনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শনিবার (২২ জুন) নয়া দিল্লিতে এক ব্রিফিংয়ে সফরসঙ্গী পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা জানান।
তিনি বলেন, চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দর যাতে ভারতের উত্তর-পূর্ব বিশেষ করে পূর্বাঞ্চলের জন্য ব্যবহার করা যায়, সে বিষয়ে তাদের আগ্রহ ও আমাদের অগ্রগতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।
আরও পড়ুন: তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদানের সঙ্গে হাছান মাহমুদের বৈঠক
সীমান্ত হত্যা শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনতে রাজনৈতিকভাবে দু'দেশের ঐকমত্যের অভাব নেই জানিয়ে হাছান বলেন, এরপরও যে ঘটনাগুলো ঘটছে, সেগুলোও যাতে একদম কমানো যায়, সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
এছাড়া, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ৫৪টি অভিন্ন নদী আছে। এগুলোর নাব্যতা রক্ষাসহ সামগ্রিক ব্যবস্থাপনা, তিস্তা নদী ব্যবস্থাপনা, জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত মোকাবিলা, বন্যা ও দুর্যোগ মোকাবিলা এবং পরিবেশ সংরক্ষণ নিয়েও গুরুত্বসহকারে আলোচনার কথা উল্লেখ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
তিনি বলেন, দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী তাদের সঙ্গে বিদ্যুৎখাতে সহযোগিতা প্রসার, ভারতের মধ্য দিয়ে নেপাল ও ভুটান থেকে জলবিদ্যুৎ আমদানিতে সহায়তা এবং ভারত যে ৩ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুতের নতুন সঞ্চালন লাইন করছে সেটি থেকে কীভাবে সহায়তা পাওয়া যেতে পারে সে বিষয়ে আলোকপাত করেন।
হাছান আরও বলেন, পেঁয়াজ, তেল, গম, চিনিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য আমদানিতে বাংলাদেশের জন্য নির্দিষ্ট কোটা সংরক্ষণ ও আমদানি যাতে বন্ধ না হয়, সে বিষয়েও আমরা আলোচনা করেছি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান আরও বলেন, ব্রিকস সদস্য বা অংশীদার যেকোনো পদে আমরা ভারতের সমর্থন চেয়েছি এবং তারা ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে।
পাশাপাশি বিমসটেক, ইন্ডিয়ান ওশান রিম এসোসিয়েশনসহ বহুপাক্ষিক ফোরামগুলোতে অবস্থান শক্তিশালী করা, অর্থনৈতিক সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয়েও আলোচনা ছিল ইতিবাচক।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে আশ্রিত প্রায় ১৩ লাখ রোহিঙ্গাকে মিয়ানমারে প্রত্যাবাসন নিয়ে আলোচনায় চীনের ভূমিকা বৃদ্ধির কথাও এসেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চীন সফরে এটি আলোচনা করবেন বলেছেন।
ভিসা নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে হাছান মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশিদের জন্য ভারত বছরে প্রায় ২০ লাখ ভিসা দেয়। মেডিক্যাল ভিসা ত্বরান্বিত করতে ও অন্যান্য ভিসার অযথা বিলম্বরোধে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাদের মিশনগুলোকে নতুন নির্দেশনা দিয়েছেন।
ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মুস্তাফিজুর রহমান এবং প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব নাঈমুল ইসলাম খান ব্রিফিংকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন।
আরও পড়ুন: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছানের সঙ্গে যুক্তরাজ্যের এফসিডিও'র ইন্দো-প্যাসিফিক প্রতিমন্ত্রীর সাক্ষাৎ
সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও ওআইসি মহাসচিবের সঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাক্ষাৎ
৬ মাস আগে
২ দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে নয়া দিল্লির উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে ২ দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে নয়াদিল্লির উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শুক্রবার (২১ জুন) দুপুর ২টায় প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে।
ফ্লাইটটি নয়াদিল্লি সময় বিকাল ৪টায় নয়াদিল্লির পালাম বিমানবন্দরে অবতরণের কথা রয়েছে।
ভারতের একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল এবং ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. মোস্তাফিজুর রহমান বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাবেন।
বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোট টানা তৃতীয়বারের মতো সরকার গঠনের পর এটাই প্রথম কোনো সরকার প্রধানের ভারতে দ্বিপক্ষীয় সফর।
আরও পড়ুন: ভারত সফরে বিজেপির প্রবীণ নেতা আদভানির সঙ্গে শেখ হাসিনার সাক্ষাৎ
সফরকালে উভয় প্রধানমন্ত্রীর একটি বৈঠক করবেন এবং এরপর প্রতিনিধি পর্যায়ের বৈঠক হবে। পরে ঢাকা ও নয়াদিল্লির মধ্যে বিদ্যমান দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও জোরদার করতে বেশ কয়েকটি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই করবে।
এছাড়া একটি সম্ভাব্য বাণিজ্য চুক্তি সম্পর্কে আলোচনা হবে বলে আশা করা হচ্ছে। গত এক দশক ধরে, একটি শক্তিশালী আঞ্চলিক অংশীদারিত্ব পরিকল্পনার অংশ হিসাবে অসংখ্য আন্তঃসীমান্ত উদ্যোগ চালু করা হয়েছে।
আগামী ১৫ দিনের কম সময়ের মধ্যে ভারতের রাজধানীতে এটি হবে শেখ হাসিনার দ্বিতীয় সফর। এর আগে ৯ জুন মোদির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে তিনিও যোগ দিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র বিষয়ে সতর্ক করেছেন প্রধানমন্ত্রী
শুক্রবার সন্ধ্যায় ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্কর প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার সফরকালীন আবাসস্থলে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন।
শনিবার সকালে রাষ্ট্রপতি ভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বরণ করে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ও ভারতের জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হবে। তিনি সেখানে গার্ড অব অনারও পরিদর্শন করবেন।
এরপর তিনি রাজঘাটে গিয়ে ভারতের জাতির জনক মহাত্মা গান্ধীর সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানাবেন। তিনি সেখানে পরিদর্শক বইয়েও সই করবেন।
একই দিন শেখ হাসিনা ভারতের হায়দরাবাদ হাউজে যাবেন এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে একান্তে বৈঠক করবেন এবং পরে প্রতিনিধি পর্যায়ের বৈঠক হবে।
উভয় প্রধানমন্ত্রী সমঝোতা স্মারক ও চুক্তি সই অনুষ্ঠান প্রত্যক্ষ করবেন। এরপর দুই প্রধানমন্ত্রী প্রেস বিবৃতি দেবেন।
এরপর তারা হায়দরাবাদ হাউজে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সম্মানে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া মধ্যাহ্নভোজে অংশ নেবেন।
বিকেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সচিবালয়ে ভারতের উপ-রাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।
সন্ধ্যায় শেখ হাসিনা রাষ্ট্রপতি ভবনে ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।
দিল্লি সময় সন্ধ্যা ৬টায় প্রধানমন্ত্রী নয়াদিল্লির পালাম বিমানবন্দর ত্যাগ করে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে আনুমানিক রাত ৯টায় ঢাকায় অবতরণ করবেন।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী দিল্লি যাচ্ছেন ২১ জুন
৬ মাস আগে
৫ দেশ সফর নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন
গত ২৪ এপ্রিল থেকে ৬ মে পর্যন্ত পাঁচটি দেশে সরকারি সফরে যান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
বুধবার এই পাঁচ দেশ সফর নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত তুলে ধরেন তিনি।
২৪ থেকে ২৭ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে থাইল্যান্ড সফরে যান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
এ সফরে অফিসিয়াল পাসপোর্টধারীদের জন্য ভিসা অব্যাহতি চুক্তি, জ্বালানি, পর্যটন ও শুল্ক সহযোগিতাবিষয়ক তিনটি সমঝোতা স্মারক এবং মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির আলোচনা শুরুর লেটার অব ইন্টেন্ট সই করেন।
আরও পড়ুন: গাম্বিয়ায় ওআইসি সম্মেলনে যোগ দেবেন হাছান মাহমুদ
এরপর ২৮ থেকে ২৯ এপ্রিল অস্ট্রিয়ার ভিয়েনায় 'হিউম্যানিটি অ্যাট দ্য ক্রসরোডস : অটোনোমাস উইপনস সিস্টেমস অ্যান্ড দ্য চ্যালেঞ্জ অব রেগুলেশন' শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যোগ দেন ড. হাছান মাহমুদ।
সম্মেলনে যোগদানের পাশাপাশি অস্ট্রিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলেকজান্ডার শ্যালেনবার্গের সঙ্গে বৈঠকে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও অস্ট্রিয়ার বিনিয়োগ বৃদ্ধি এবং দ্বৈত কর এড়ানোর প্রস্তাবিত চুক্তি, পারমাণবিক শক্তির অ-প্রসারণ ও শান্তিপূর্ণ ব্যবহার নিয়ে ইন্টারন্যাশনাল এটমিক এনার্জি এজেন্সির (আইএইএ) মহাপরিচালক রাফায়েল মারিয়ানো গ্রোসির সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি।
এছাড়াও অস্ট্রিয়া আওয়ামী লীগের নিজস্ব কার্যালয় উদ্বোধন করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
ভিয়েনা সফর শেষে ৩০ এপ্রিল ও ১ মে যথাক্রমে বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে ও যুক্তরাজ্যের লন্ডনে বাংলাদেশ দূতাবাসের আয়োজিত স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
ব্রাসেলসের অনুষ্ঠানে বেলজিয়ামের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দ্বিপক্ষীয় বিষয় সম্পর্কিত মহাপরিচালক রাষ্ট্রদূত জেরোএন কুরম্যান, ইউরোপীয় ইউনিয়নের এক্সটার্নাল অ্যাকশন সার্ভিসের এশীয় প্রশান্ত অঞ্চল ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিকলাস কাভার্নস্টর্মসহ বিশিষ্ট অতিথিরা ছিলেন। অন্যদিকে লন্ডনের আয়োজনে যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টের স্পিকার স্যার লিন্ডসে হোয়েল, হাউস অব কমন্সের নেতা পেনি মর্ডান্ট, মন্ত্রী লর্ড তারিক আহমেদ, পরিবেশবিষয়ক ছায়াসচিব স্টিভ রিড, বাংলাদেশবিষয়ক সর্বদলীয় সংসদীয় গ্রুপের চেয়ারম্যান রুশনারা আলী ছিলেন।
এরপর ৩ থেকে ৫ মে পশ্চিম আফ্রিকার গাম্বিয়ার রাজধানী বানজুলে ১৫তম ওআইসি শীর্ষ সম্মেলনে দেশের প্রতিনিধিত্ব করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
সম্মেলনে ফিলিস্তিনে যুদ্ধাপরাধের জন্য দায়ীদের জবাবদিহির আওতায় আনার আহ্বান জানান তিনি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গাম্বিয়া মিয়ানমারের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগে মামলা দায়ের করেছে, আমরা তাদের সহায়তা দিচ্ছি। ওআইসি সম্মেলন সমাপনীতে আমরা রোহিঙ্গা গণহত্যা মামলায় সহযোগিতার জন্য ওআইসি সদস্যদেরকে আহ্বান করেছি।’
সংবাদ সম্মেলনে বিভিন্ন দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থার ১০ জন মন্ত্রী ও সংস্থাপ্রধানের সঙ্গে বৈঠকের বিষয়েও তুলে ধরেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
গাম্বিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মামাদোউ তাংগারা, বিচারমন্ত্রী ও অ্যাটর্নি জেনারেল দাওদা এ জালও, মিশরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সামেহ হাসান শুকরি, মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী দাতো সেরি উতামা হাজি, ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেত্নো এল পি মারসুদি, আজারবাইজানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেইহুন বাইরামভ, বাহরাইনের বিচারমন্ত্রী নওয়াফ বিন মোহামেদ আল-মাওয়াদেহ, ব্রুনাই দারুস-সালামের সেকেন্ড মিনিস্টার ফর ফরেন অ্যাফেয়ার্স দাতো সেরি সেইতা হাজি এরউইন, জাতিসংঘে ফিলিস্তিনের স্থায়ী পর্যবেক্ষক হিসেবে নিযুক্ত রিয়াদ মনসুর, ডিজিটাল কো-অপারেশন অর্গাইনাইজেশনের (ডিসিও) মহাসচিব দিমা আল ইয়াহিয়ার সঙ্গে পৃথক বৈঠকগুলোতে পারস্পরিক সহযোগিতার পাশাপাশি রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ও গাজায় যুদ্ধ বন্ধে ঐক্যবদ্ধ উদ্যোগ নিয়ে আলোচনার কথা জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: থাইল্যান্ড সফর নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন প্রধানমন্ত্রী
কপ২৯ সম্মেলনে জলবায়ু সহনশীলতা অ্যাডভোকেসি জোরদার করবে বাংলাদেশ: পরিবেশমন্ত্রী
৭ মাস আগে
৩ দিনের সফরে চট্টগ্রাম বন্দরে তুরস্ক নৌবাহিনীর জাহাজ
বাংলাদেশ ও তুরস্কের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে বন্ধুত্বপূর্ণ শুভেচ্ছা সফরে বাংলাদেশে এসে পৌঁছেছে তুরস্ক নৌবাহিনীর জাহাজ ‘টিসিজি কিনালিয়াদা’।
মঙ্গলবার (৭ মে) দুপুরে জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দর জেটিতে এসে পৌঁছালে জাহাজটিকে স্বাগত জানান ঢাকায় নিযুক্ত তুরস্কের রাষ্ট্রদূত রামিস সেন ও কমান্ডার চট্টগ্রাম নৌ অঞ্চলের চিফ স্টাফ অফিসার ক্যাপ্টেন এম আসাদুজ্জামান। এসময় নৌবাহিনীর সুসজ্জিত বাদকদল ঐতিহ্যবাহী রীতিতে ব্যান্ড পরিবেশন করেন।
আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগরে ১২ নাবিকসহ কার্গো জাহাজডুবি
তুরস্ক নৌবাহিনীর জাহাজটিকে স্বাগত জানাতে বাংলাদেশে নিযুক্ত তুরস্ক হাইকমিশনের প্রতিনিধিসহ নৌবাহিনীর পদস্থ কর্মকর্তা ও নাবিকরা উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকায় তুরস্কের দূতাবাস এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, তুর্কি নৌ-বাহিনীর জাহাজ টিসিজি কিনালিয়াদা (এফ-৫১৪) আগামী ৭ থেকে ৯ মে বাংলাদেশ সফর করবে। টিসিজি কিনালিয়াদা (এফ-৫১৪) সাড়ে চার বছরে ২০টি দেশের ২৪টি বন্দর পরিদর্শন করেছে। সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর বন্দর সফরের উদ্দেশ্য হচ্ছে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও বাড়ানো।
বাংলাদেশে সফররত জাহাজটিতে কর্মকর্তা ও নাবিকসহ মোট ১৫২ জন সদস্য রয়েছেন। সফরকালে জাহাজটির অধিনায়ক এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত তুরস্ক হাইকমিশনের প্রতিনিধি কমান্ডার চট্টগ্রাম নৌ অঞ্চল, কমান্ডার বিএন ফ্লিট, চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যানসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন সামরিক ও অসামরিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন।
এছাড়া চট্টগ্রাম নৌ অঞ্চলে অবস্থানকালীন সফরকারী জাহাজের কর্মকর্তা ও নাবিকরা চট্টগ্রামে অবস্থিত নৌবাহিনীর ঘাঁটি ও স্থাপনাসহ অন্যান্য দর্শনীয় স্থানগুলো পরিদর্শন করবেন।
তুরস্ক নৌবাহিনী জাহাজের চট্টগ্রাম সফরের ফলে বাংলাদেশের সঙ্গে তুরস্কের বিদ্যমান সৌহার্দপূর্ণ সম্পর্ক আরও জোরদার হবে।
শুভেচ্ছা সফর শেষে জাহাজটি আগামী ৯ মে বাংলাদেশ ত্যাগ করবে।
আরও পড়ুন: কালুরঘাট সেতুতে লাইটারেজ জাহাজের ধাক্কা
কালুরঘাট সেতুতে জাহাজের ধাক্কার ঘটনায় ৩ জন গ্রেপ্তার
৭ মাস আগে
৬ দিনে সফর শেষে ঢাকায় ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা থাইল্যান্ডে ছয় দিনের সরকারি সফর শেষে দেশে ফিরেছেন।
প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বিশেষ ফ্লাইট স্থানীয় সময় সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় ব্যাংককের ডন মুয়াং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে সকাল সাড়ে ১১টায় ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
দু'দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদারে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী শ্রেথা থাভিসিনের আমন্ত্রণে দ্বিপক্ষীয় ও বহুপক্ষীয় সফরে গত ২৪ এপ্রিল ব্যাংককে যান শেখ হাসিনা।
আরও পড়ুন: থাইল্যান্ড সফরকে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে মাইলফলক বললেন শেখ হাসিনা
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ২৬ এপ্রিল গভর্নমেন্ট হাউসে থাই প্রধানমন্ত্রী থাভিসিনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন এবং দুই নেতার উপস্থিতিতে ভিসা অব্যাহতি, জ্বালানি, পর্যটন ও কাস্টমস বিষয়ক সহযোগিতা এবং বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মধ্যে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) নিয়ে আলোচনার বিষয়ে পাঁচটি দ্বিপক্ষীয় নথি সই হয়।
সেখানে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী থাভিসিন আয়োজিত মধ্যাহ্নভোজে অংশ নিয়ে শেখ হাসিনা তার এই সফরকে দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি মাইলফলক হিসেবে অভিহিত করেন।
তিনি বলেন, ‘এই সরকারি সফর আমাদের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে। এটি আমাদের দুই দেশের মধ্যে ফলপ্রসূ অংশীদারিত্বের নতুন যুগের সূচনা করেছে।’
আরও পড়ুন: ৬ দিনের থাইল্যান্ড সফর শেষে সোমবার দেশে ফিরবেন প্রধানমন্ত্রী
এছাড়া প্রধানমন্ত্রী ২৫ এপ্রিল দুসিথ প্রাসাদের অ্যামফর্ন সাথার্ন হলে থাইল্যান্ডের রাজা ও রানী মহা ভাজিরালংকর্ন ফ্রা ভাজিরা ক্লাওচা উয়ুয়া এবং সুথিদা বজ্রসুধা বিমলা লক্ষণের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
বহুপক্ষীয় উদ্যোগের অংশ হিসেবে শেখ হাসিনা ২৫ এপ্রিল থাইল্যান্ডের ব্যাংককে জাতিসংঘ সম্মেলন কেন্দ্রের ইউএন এসকাপ হলে (২য় তলায়) জাতিসংঘের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের (ইউএনএসকাপ) ৮০তম অধিবেশনে বক্তব্য দেন।
ঢাকা ও ব্যাংককের মধ্যে সই হওয়া পাঁচটি নথি হলো- একটি চুক্তি, তিনটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) এবং একটি লেটার অব ইনটেন্ট (এলওআই), জ্বালানি সহযোগিতা বিষয়ক সমঝোতা স্মারক, কাস্টমস সম্পর্কিত বিষয়ে সহযোগিতা ও পারস্পরিক সহায়তা সম্পর্কিত সমঝোতাপত্র, পর্যটন ক্ষেত্রে সহযোগিতা সংক্রান্ত সমঝোতাপত্র এবং এলওআই ২০২৪ সালের মধ্যে একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) নিয়ে আলোচনা শুরু করবে।
গত ২৪ এপ্রিল বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে ডন মুয়াং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানো হয়।
আরও পড়ুন: ৬ দিনের সফর শেষে দেশের উদ্দেশে ব্যাংকক ছেড়েছেন প্রধানমন্ত্রী
৭ মাস আগে
৬ দিনের সফর শেষে দেশের উদ্দেশে ব্যাংকক ছেড়েছেন প্রধানমন্ত্রী
থাইল্যান্ডে ছয় দিনের সরকারি সফর শেষে দেশের উদ্দেশে ব্যাংকক ত্যাগ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বিশেষ ফ্লাইট স্থানীয় সময় সোমবার (২৯ এপ্রিল) সকাল ১০টায় ডন মুয়াং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে।
ফ্লাইটটি বেলা সাড়ে ১১টায় ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের কথা রয়েছে।
দু'দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদারে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী শ্রেথা থাভিসিনের আমন্ত্রণে দ্বিপক্ষীয় ও বহুপক্ষীয় সফরে গত ২৪ এপ্রিল ব্যাংককে যান শেখ হাসিনা।
আরও পড়ুন: থাইল্যান্ড সফরকে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে মাইলফলক বললেন শেখ হাসিনা
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ২৬ এপ্রিল গভর্নমেন্ট হাউসে থাই প্রধানমন্ত্রী থাভিসিনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন এবং দুই নেতার উপস্থিতিতে ভিসা অব্যাহতি, জ্বালানি, পর্যটন ও কাস্টমস বিষয়ক সহযোগিতা এবং বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মধ্যে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) নিয়ে আলোচনার বিষয়ে পাঁচটি দ্বিপক্ষীয় নথি সই হয়।
সেখানে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী থাভিসিন আয়োজিত মধ্যাহ্নভোজে অংশ নিয়ে শেখ হাসিনা তার এই সফরকে দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি মাইলফলক হিসেবে অভিহিত করেন।
তিনি বলেন, ‘এই সরকারি সফর আমাদের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে। এটি আমাদের দুই দেশের মধ্যে ফলপ্রসূ অংশীদারিত্বের নতুন যুগের সূচনা করেছে।’
আরও পড়ুন: ৫টি দ্বিপক্ষীয় নথিতে সই করেছে ঢাকা-ব্যাংকক
এছাড়া প্রধানমন্ত্রী ২৫ এপ্রিল দুসিথ প্রাসাদের অ্যামফর্ন সাথার্ন হলে থাইল্যান্ডের রাজা ও রানী মহা ভাজিরালংকর্ন ফ্রা ভাজিরা ক্লাওচা উয়ুয়া এবং সুথিদা বজ্রসুধা বিমলা লক্ষণের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
বহুপক্ষীয় উদ্যোগের অংশ হিসেবে শেখ হাসিনা ২৫ এপ্রিল থাইল্যান্ডের ব্যাংককে জাতিসংঘ সম্মেলন কেন্দ্রের ইউএন এসকাপ হলে (২য় তলায়) জাতিসংঘের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের (ইউএনএসকাপ) ৮০তম অধিবেশনে বক্তব্য দেন।
ঢাকা ও ব্যাংককের মধ্যে সই হওয়া পাঁচটি নথি হলো- একটি চুক্তি, তিনটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) এবং একটি লেটার অব ইনটেন্ট (এলওআই), জ্বালানি সহযোগিতা বিষয়ক সমঝোতা স্মারক; কাস্টমস সম্পর্কিত বিষয়ে সহযোগিতা ও পারস্পরিক সহায়তা সম্পর্কিত সমঝোতাপত্র; পর্যটন ক্ষেত্রে সহযোগিতা সংক্রান্ত সমঝোতাপত্র; এবং এলওআই ২০২৪ সালের মধ্যে একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) নিয়ে আলোচনা শুরু করবে।
২৪ এপ্রিল বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে ডন মুয়াং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানো হয়।
আরও পড়ুন: ৬ দিনের থাইল্যান্ড সফর শেষে সোমবার দেশে ফিরবেন প্রধানমন্ত্রী
৭ মাস আগে