সফর
রাশিয়া-ক্রোয়েশিয়া সফর: দেশে ফিরেছেন সেনাপ্রধান
রাশিয়া ও ক্রোয়েশিয়া সফর শেষে দেশে ফিরেছেন সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। ছয়দিনের সফর শেষে শনিবার (১২ এপ্রিল) দেশের মাটিতে পা রাখেন তিনি।
সফরকালে রাশিয়ার সেনাবাহিনীর প্রধান, ডেপুটি ডিফেন্স মিনিস্টারসহ উচ্চপদস্থ সামরিক-বেসামরিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। ক্রোয়েশিয়ান সশস্ত্র বাহিনীর প্রধানসহ উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গেও বৈঠক হয়েছে তার।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এমন তথ্য জানিয়েছে। এতে বলা হয়, ৭ এপ্রিল রাশিয়ার ডেপুটি ডিফেন্স মিনিস্টার জেনারেল এ ফোমিনের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন সেনাপ্রধান।
এ সময়ে তারা দুই দেশের সেনাবাহিনীর স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়, প্রশিক্ষণ সহায়তা, দ্বি-পাক্ষিক সম্পর্কোন্নয়ন ও পারস্পরিক আস্থা সৃষ্টি, রাশিয়াতে দক্ষ জনশক্তি রপ্তানি, উচ্চশিক্ষা, আঞ্চলিক নিরাপত্তা বিষয়ে সহযোগিতা এবং যৌথ প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত বিষয়াদি নিয়ে আলোচনা করেন।
রাশিয়ান সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওলেগ সালিইউকভের সঙ্গে তিনি দেখা করেন ৮ এপ্রিল। দুদেশের প্রতিরক্ষা সহযোগিতা চুক্তি, প্রশিক্ষণ সহায়তা, বিশেষ করে সামরিক প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে প্রশিক্ষনার্থী বিনিময় এবং যৌথ প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত বিষয়াদিসহ ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করেন তারা।
আরও পড়ুন: সরকারি সফরে রাশিয়া গেলেন সেনাপ্রধান
এছাড়াও রাশিয়ান রাষ্ট্রীয় জ্বালানি সংস্থা রোসাটামের মহাপরিচালকের সাথে রূপপুর নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্লান্টের ভৌত সুরক্ষা ব্যবস্থার কাজ যথাসময়ে সম্পন্ন করে জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সঞ্চালনের ব্যবস্থাকরণের ব্যাপারে আলোচনা করেন তারা।
গত ১০ এপ্রিল ক্রোয়েশিয়া সফরকালে সেনাবাহিনী প্রধান ক্রোয়েশিয়ান সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল তোহিমির কুন্দিদের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন তিনি। এ সময়ে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা এবং সক্ষমতা বৃদ্ধি, প্রতিরক্ষা শিল্প স্থাপনের সম্ভাব্য সুযোগ, যৌথ সামরিক মহড়া এবং পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধি ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করেন তারা।
গত ৬ এপ্রিল সরকারি সফরে রাশিয়া এবং পরবর্তীতে গত ১০ এপ্রিল ক্রোয়েশিয়া গমন করেছিলেন ওয়াকার-উজ-জামান।
৪ দিন আগে
‘অত্যন্ত সফল’ চীন সফর শেষে রাতে দেশে ফিরছেন প্রধান উপদেষ্টা
চীনে চার দিনের সরকারি সফরকে ‘মাইলফলক’ ও ‘অত্যন্ত সফল’ আখ্যায়িত করে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের আজ (শনিবার) রাতে দেশে ফেরার কথা রয়েছে।
শনিবার (২৯ মার্চ) রাত ৮টা ৪০ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানোর কথা রয়েছে তার।
প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার ইউএনবিকে জানান, বেইজিং ক্যাপিটাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ড. ইউনূসকে বিদায় জানান চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের চিফ প্রটোকল অফিসার ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহকারী মন্ত্রী হং লেই।
আরও পড়ুন: বিমসটেক ইয়াং জেন ফোরামে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন ড. ইউনূস
এর আগে, চার দিনের সফরে ২৬ মার্চ চীন পৌঁছান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এরপর বোয়াও ফোরাম ফর এশিয়ার (বিএফএ) মহাসচিবের আমন্ত্রণে ২৬ ও ২৭ মার্চ দেশটির হাইনান প্রদেশে অনুষ্ঠিত বিএফএ বার্ষিক সম্মেলন ২০২৫-এ যোগ দেন তিনি। সম্মেলনের সাইডলাইনে ড. ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন চীনের স্টেট কাউন্সিলের ভাইস প্রিমিয়ার ডিং জুয়েশিয়াং।
তারপর চীন সরকারের আমন্ত্রণে ২৭ থেকে ২৯ মার্চ বেইজিং সফর করেন প্রধান উপদেষ্টা। এর মধ্যে গতকাল (শুক্রবার) চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন অধ্যাপক ইউনূস। সেখানে দেশটির ভাইস প্রেসিডেন্ট হান ঝেংয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ হয় বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারপ্রধানের।
বৈঠককালে উষ্ণ ও বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এবং পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক ইস্যুতে মতবিনিময় করে উভয় পক্ষ। আলোচনাগুলোতে দুপক্ষ ব্যাপকভাবে ঐকমত্যেও পৌঁছায়।
আজ (শনিবার) সকালে পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে ড. ইউনূসকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি প্রদান করা হয়। এ সময় সেখানে উপস্থিত ব্যক্তিবর্গের উদ্দেশে বক্তৃতা দেন প্রধান উপদেষ্টা।
আরও পড়ুন: স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকুন: ড. ইউনূস
অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট, বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদের চেয়ারম্যান হে গুয়াংচাইসহ অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
এদিন বিশ্ববিদ্যালয়ে উপস্থিত হওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট, পরিষদ চেয়ারম্যান ও পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের একটি ছোট্ট দল তাকে স্বাগত জানান। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের নেতাদের সঙ্গে সংক্ষিপ্ত বৈঠকও করেন মুহাম্মদ ইউনূস।
১৯ দিন আগে
ড. ইউনূসকে আলজেরিয়া সফরের আমন্ত্রণ
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি পূর্ণ সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছে উত্তর আফ্রিকার দেশ আলজেরিয়া। প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে দেশটি সফরের আমন্ত্রণও জানানো হয়েছে।
সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় ড. ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে বাংলাদেশে নিযুক্ত আলজেরিয়ার রাষ্ট্রদূত আবদেলুয়াহাব সাইদানী এই আমন্ত্রণ জানান।
আলজেরিয়ার প্রধানমন্ত্রীকেও বাংলাদেশ সফরেরও আমন্ত্রণ জানান প্রধান উপদেষ্টা। বাণিজ্য ও বিনিয়োগের সম্পর্ক গভীর করার লক্ষ্যে আলজেরিয়ার ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদল ঢাকায় পাঠানোর অনুরোধ জানান ড. ইউনূস।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানিয়েছে, সাক্ষাৎকালে রাষ্ট্রদূত বলেন, তার দেশ বাংলাদেশকে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সহায়তা অব্যাহত রাখবে এবং আগামী মার্চে তাদের জ্বালানিমন্ত্রী ঢাকা সফর করবেন।
তিনি বলেন, টেক্সটাইল, পাট, ওষুধ, খাদ্য ও ইলেকট্রনিক্স পণ্যসহ বাংলাদেশ থেকে আরও পণ্য আমদানির পরিকল্পনা করছে আলজেরিয়া।
প্রধান উপদেষ্টা কাউন্সিল অব ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম অর্গানাইজেশন (আইএমও), জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিল (ইউএনএইচআরসি) এবং জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের নির্বাচনে বাংলাদেশের পক্ষে আলজেরিয়ার সমর্থন কামনা করেন।
২০২৬-২০২৭ মেয়াদে 'সি' ক্যাটাগরিতে ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম অর্গানাইজেশন (আইএমও) কাউন্সিলের নির্বাচন ২০২৫ সালের ডিসেম্বরে লন্ডনে অনুষ্ঠিত হবে।
আরও পড়ুন: ভিসা নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার ও আরও কর্মী নিতে আমিরাতের প্রতি ড. ইউনূসের আহ্বান
জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলের (ইউএনএইচআরসি) ২০২৮-২০৩০ মেয়াদের জন্য নির্বাচন ২০২৭ সালে নিউ ইয়র্কে অনুষ্ঠিত হবে।
বাংলাদেশ ২০৩১-২০৩২ মেয়াদে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী পদের জন্যও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। নির্বাচনটি নিউ ইয়র্কে অনুষ্ঠিত হবে।
এ সময় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ও এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক বি এম জামাল হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
৫১ দিন আগে
বিমসটেক মহাসচিবের শ্রীলঙ্কা সফর: আঞ্চলিক সহযোগিতা জোরদারের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত
আঞ্চলিক সংস্থা বিমসটেকের মহাসচিব ও এর প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ইন্দ্র মণি পান্ডে শ্রীলঙ্কায় সরকারি সফর করে আঞ্চলিক উন্নয়ন ও নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আঞ্চলিক সহযোগিতা জোরদারের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
সাম্প্রতিক সফরকালে তিনি শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী ড. হরিনি আমারাসুরিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। এসময় বিমসটেকের প্রতি শ্রীলঙ্কার দৃঢ় প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন ড. হরিনি। একই সঙ্গে বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনের পাশাপাশি স্বাস্থ্য ও মানবসম্পদ উন্নয়নে সহযোগিতা জোরদার করার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার উপর জোর দেন তিনি।
মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিমসটেক ফ্রেমওয়ার্কের আওতায় এসব খাতে আঞ্চলিক সহযোগিতার নেতৃত্ব দিচ্ছে শ্রীলঙ্কা।
আরও পড়ুন: ব্যাংককে বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনের মাধ্যমে বিদেশ সফর শুরু হবে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের
মহাসচিব পান্ডে শ্রীলঙ্কা সরকারের নেতৃত্বের প্রশংসা করে বলেন, শ্রীলঙ্কা কেবল তাদের নেতৃত্বাধীন খাতগুলোতেই নয়, অন্যান্য ক্ষেত্রেও আঞ্চলিক সহযোগিতাকে এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখছে।’
সফরকালে তিনি শ্রীলঙ্কার বেশ কয়েকজন মন্ত্রী ও কর্মকর্তার সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন।
আরও পড়ুন: নয়াদিল্লিতে বিমসটেক রিট্রিটে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান
বঙ্গোপসাগরীয় অঞ্চলের সাতটি দেশ বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, মিয়ানমার, নেপাল, শ্রীলঙ্কা ও থাইল্যান্ড নিয়ে বিমসটেক গঠিত।
এটি সাতটি বিস্তৃত খাতে আঞ্চলিক সহযোগিতা দিয়ে থাকে। খাতগুলো হলো— কৃষি এবং খাদ্য সুরক্ষা, কানেক্টিভিটি, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন, মানুষের পারস্পরিক যোগাযোগ, বিজ্ঞান-প্রযুক্তি এবং উদ্ভাবন, নিরাপত্তা এবং বাণিজ্য-বিনিয়োগ এবং উন্নয়ন।
সুনীল অর্থনীতি, পাহাড় কেন্দ্রিক অর্থনীতি, জ্বালানি, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ, দারিদ্র্য বিমোচন, স্বাস্থ্য ও মানবসম্পদ উন্নয়নসহ আটটি উপখাতে সহযোগিতাকে অন্তর্ভুক্ত করে।
আরও পড়ুন: ১৬-১৯ জুলাই ঢাকায় বিমসটেকের ৫ম বৈঠক
৬৫ দিন আগে
যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা সফরশেষে দেশে ফিরলেন সেনাপ্রধান
যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা সফরশেষে শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) দেশে ফিরেছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।
সফরকালে তিনি জাতিসংঘ সদর দপ্তরে শান্তিরক্ষা মিশনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি, যুক্তরাষ্ট্রের সেনাপ্রধানসহ উচ্চপদস্থ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তা এবং কানাডার উচ্চপদস্থ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
গত ১৭ অক্টোবর সেনাবাহিনী প্রধান নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে জাতিসংঘের ডিপার্টমেন্ট অব পিস অপারেশনস বিভাগের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল জি পিয়েরে ল্যাক্রইক্স, ডিপার্টমেন্ট অব অপারেশনাল সাপোর্ট বিভাগের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল অতুল খের, জাতিসংঘের মানবাধিকার-সংক্রান্ত হাইকমিশনের অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি জেনারেল ইলজে ব্র্যান্ডস কেহরিস, আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল, ডিপার্টমেন্ট অব পলিটিক্যাল ও পিস বিল্ডিং অ্যাফেয়ার্সের পক্ষে মধ্যপ্রাচ্য, এশিয়া ও প্যাসিফিক বিষয়ক অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি জেনারেল মোহাম্মদ খালেদ খিয়ারি এবং ডাইরেক্টর অব অফিস ফর পিস কিপিং স্ট্রাটেজিক পার্টনারশিপ জেনালের জেই মেননের সঙ্গে দ্বি-পাক্ষিক বৈঠকে মিলিত হন। সেনাপ্রধানের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে তারা বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী, বিশেষ করে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের শান্তিরক্ষা কার্যক্রমের ভূয়সী প্রশংসা করেন। এসব বৈঠকে সেনাপ্রধান জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি এবং নীতি নির্ধারণী/ফোর্স কমান্ড পর্যায়ে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব বাড়াতে গুরুত্বারোপ করেন।
পাশাপাশি, সেনাবাহিনী প্রধান র্যাব ফোর্সেসে প্রেষণে নিয়োজিত থাকাকালীন সেনাবাহিনীর সদস্যদের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাদের শান্তিরক্ষা মিশনে নির্বাচিত না করার বিষয় সবাইকে জানান। এছাড়াও, তিনি বাংলাদেশের চলমান পরিস্থিতিতে অন্তবর্তীকালীন সরকারের দিকনির্দেশনা অনুযায়ী বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর চলমান কর্মকাণ্ডের উপর আলোকপাত করেন। সেনাবাহিনী প্রধান বাংলাদেশ সরকার এবং সেনাবাহিনী পার্বত্য চট্টগ্রামে আর্থ-সামাজিক ও শান্তি শৃঙ্খলার উন্নয়নে গৃহীত নানামুখি ইতিবাচক দিক তুলে ধরেন। তিনি বিভিন্ন শান্তিরক্ষা মিশনে নিয়োজিত বাংলাদেশী শান্তিরক্ষী কন্টিনজেন্টসমূহ কর্তৃক স্থানীয় জনগণের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে হাসপাতাল ও ক্লিনিক পরিচালনার বিষয়ও তাদের জানান। মিশনে অংশগ্রহণকারী দেশসমূহের মধ্যে শান্তিরক্ষাবিষয়ক প্রশিক্ষণ বিনিময়, আভিযানিক সক্ষমতা বৃদ্ধিসহ মিশন সংক্রান্ত অন্যান্য বিষয়াদি গুরুত্বের সঙ্গে আলোচিত হয়। সেনাবাহিনী প্রধান জাতিসংঘের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বিশ্ব শান্তিরক্ষায় বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের জোরালো ভূমিকা ও সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন। এছাড়াও, সেনাপ্রধান নিউইয়র্কে অবস্থিত বাংলাদেশের স্থায়ী মিশন পরিদর্শন করেন এবং স্থায়ী প্রতিনিধির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। গত ২২ অক্টোবর সেনাপ্রধান ওয়াশিংটন ডিসির পেন্টাগনে যুক্তরাষ্ট্রের চিফ অব স্টাফ অব দি আর্মি জেনারেল র্যান্ডি এ জর্জের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও আলোচনায় অংশ নেন। সাক্ষাৎকালে তারা দুই দেশের সেনাবাহিনীর স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়, বিশেষ করে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন, প্রশিক্ষণ সহায়তা, দ্বি-পাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়ন ও পারস্পরিক আস্থা সৃষ্টি, আঞ্চলিক নিরাপত্তা বিষয়ে পারস্পরিক সহযোগিতা, দুর্যোগ পরবর্তী মানবিক সহায়তা, যৌথ প্রশিক্ষণ-সংক্রান্ত বিষয়াদি আলোচনা করেন। এ সময় যুক্তরাষ্ট্র সেনাপ্রধানের বৈদেশিক নীতিবিষয়ক উপদেষ্টা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও, সেনাবাহিনী প্রধান যুক্তরাষ্ট্রের সেক্রেটারি অব ডিফেন্স অফিসের ইন্দো-প্যাসিফিক নিরাপত্তাবিষয়ক সহকারী সামরিক সচিব ড. এলি রাটনারের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
এ সময়ে ইন্দো-প্যাসিফিক দেশসমূহ এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মধ্যে সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় করা এবং পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধি ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা হয়।
সাক্ষাৎকালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের বিশেষ সহকারী এবং দক্ষিণ এশিয়া-সংক্রান্ত জ্যেষ্ঠ পরিচালক লিন্ডসি ডব্লিউ ফোর্ডসহ জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের দক্ষিণ এশিয়া-সংক্রান্ত উচ্চপদস্থ সামরিক ও অসামরিক কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও, তিনি যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের সহকারী সচিব ডোনাল্ড লুর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
আরও পড়ুন: সরকারি সফরে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা গেলেন সেনাপ্রধান
সাক্ষাৎকালে সেনাপ্রধান দেশের সামগ্রিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি এবং সরকারের সমর্থনে সেনাবাহিনীর বিবিধ কার্যকলাপ সম্পর্কে জানান। কানাডা সফরকালে সেনাপ্রধান ভাইস চিফ অব কানাডিয়ান ডিফেন্স স্টাফ লেফটেন্যান্ট জেনারেল স্টিফেন আর কেলসির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
সাক্ষাৎকালে তিনি বাংলাদেশী শিক্ষার্থী, কর্মরত ও অবসরপ্রাপ্ত সামরিক বাহিনীর সদস্যদের জন্য ভিসা প্রক্রিয়াকরণ সহজতর করার জন্য কথা বলেন। তিনি প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে সহযোগিতা জোরদার করা বিশেষ করে সামরিক প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে প্রশিক্ষণার্থী বিনিময়ের কথা উল্লেখ করেন। এছাড়াও, কানাডিয়ান পার্লামেন্টের নাগরিকত্ব ও ইমিগ্রেশন বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য সংসদ সালমা জাহিদ সেনাপ্রধানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাৎকালে তারা দুই দেশের পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেন। সেনাপ্রধান বিশেষ করে ছাত্রদের এবং কর্মরত/অবসরপ্রাপ্ত সামরিক অফিসারদের ভিসা প্রক্রিয়া সহজতর করা, শিক্ষা বিনিময়ের জন্য বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর, কৃষি ও অবকাঠামো উন্নয়নসহ পরিচর্যাকারী পাঠানোর মাধ্যমে স্বাস্থ্যখাতে সহযোগিতার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন। এছাড়াও, বাংলাদেশে মনোনীত কানাডার হাইকমিশনার এইচ ই অজিত সিং এবং কানাডায় বাংলাদেশের হাইকমিশনার নাহিদা সোবহান সেনাপ্রধানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
গত ১৫ অক্টোবর সরকারি সফরে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা যান সেনাপ্রধান।আরও পড়ুন: কানাডার সঙ্গে সেনাপ্রধানের বৈঠকে ভিসা সহজীকরণ ও প্রতিরক্ষা সহযোগিতায় গুরুত্ব
১৭৩ দিন আগে
জাতিসংঘ সফর শেষে দেশে ফিরেছেন প্রধান উপদেষ্টা ইউনূস
বিশ্ব নেতাদের সঙ্গে একাধিক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকের ফলপ্রসূ সফর শেষে দেশে ফিরেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
অধ্যাপক ইউনূস ও তার প্রতিনিধি দল কাতার এয়ারওয়েজের একটি বাণিজ্যিক ফ্লাইটে শনিবার(২৮ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ৩টা ৩২ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন।
অধ্যাপক ইউনূসের প্রেস সচিব শফিকুল আলম ইউএনবিকে জানান, নিউইয়র্কে চার দিন অবস্থানকালে অধ্যাপক ইউনূস জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে ৪০টিরও বেশি বড় ইভেন্টে অংশ নিয়েছেন।
আলম বলেন, প্রধান উপদেষ্টা ২৬ সেপ্টেম্বর সর্বোচ্চ ১৬টি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনসহ অন্তত ১২ জন বিশ্ব নেতার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।
সবার জন্য স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে 'নতুন বাংলাদেশ' সঙ্গে সম্পৃক্ত হতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) ৭৯তম অধিবেশনে দেওয়া ইউনূসের ভাষণে এই আহ্বান জানানো হয়।
আরও পড়ুন: রবিবার রাতে দেশে ফেরার কথা রয়েছে অধ্যাপক ইউনূসের
বাংলায় দেওয়া ভাষণে নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী এই অর্থনীতিবিদ বলেন, বাংলাদেশের তরুণরা দেখিয়েছে যে, ভেদাভেদ ও মর্যাদা নির্বিশেষে মানুষের স্বাধীনতা, মর্যাদা ও অধিকার সমুন্নত রাখা শুধু উচ্চাকাঙ্ক্ষী হতে পারে না। 'এটা সবার প্রাপ্য।'
অধ্যাপক ইউনূস গণতন্ত্র, আইনের শাসন, সমতা ও সমৃদ্ধির লক্ষ্যে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পৃক্ততা গভীর করার জন্য বিশ্বের সকল দেশকে আমন্ত্রণ জানান।
'এটি একটি যুগান্তকারী বক্তব্য' উল্লেখ করে প্রেস সচিব বলেন, ভাষণে বাংলাদেশের সমস্যা ছাড়াও বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক নানা বিষয়ও উঠে এসেছে।
এর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে বৈঠকসহ জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে বেশ কয়েকটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করতে এবং জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৯তম অধিবেশনে যোগ দিতে ২৩ সেপ্টেম্বর সোমবার রাতে নিউইয়র্ক পৌঁছান প্রধান উপদেষ্টা ইউনূস।
আরও পড়ুন: তরুণ নাগরিকদের পেছনে বিনিয়োগ করতে বিশ্ব নেতাদের প্রতি অধ্যাপক ইউনূসের আহ্বান
২০০ দিন আগে
ভারত ও নেপাল সফরে যাচ্ছেন মার্কিন কর্মকর্তা ভার্মা
যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবস্থাপনা ও সম্পদবিষয়ক ডেপুটি সেক্রেটারি রিচার্ড আর ভার্মার নেতৃত্বে মার্কিন প্রতিনিধি দল ১৬ আগস্ট নেপাল এবং ১৭ থেকে ২২ আগস্ট ভারত সফর করবেন। উভয় দেশের নিরাপদ ও সহনশীল ভবিষ্যতের অগ্রগতিকে সমর্থনের লক্ষ্যে তারা এই সফর করছেন।
নেপালে অর্থনৈতিক উন্নয়ন, নারীর ক্ষমতায়ন, জ্বালানি এবং জনগণের মধ্যে সম্পর্কের ক্ষেত্রে অভিন্ন অগ্রাধিকার নিয়ে আলোচনা করতে ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তা, উন্নয়ন পেশাজীবী এবং ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে প্রতিনিধি দলটি।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে ভারতসহ এ অঞ্চলের অন্যান্য দেশের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে যুক্তরাষ্ট্র
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র জানিয়েছেন, অর্থনৈতিক উন্নয়ন, ক্লিন এনার্জি ও ক্লাইমেট অ্যাকশন এবং স্টেম এডুকেশনসহ বিভিন্ন বিষয়ে মার্কিন-ভারত অংশীদারিত্বকে এগিয়ে নিতে উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী ভার্মা ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তা, জলবায়ু নেতা এবং মহাকাশ শিক্ষাবিদ এবং শিল্প প্রতিনিধিদের সঙ্গে দেখা করতে ভারতের নয়া দিল্লি সফর করবেন।
ভারত সফরকালে তার সঙ্গে থাকবেন আন্তর্জাতিক জলবায়ু নীতিবিষয়ক প্রেসিডেন্টের জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা জন পোডেস্টা এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জ্বালানি দপ্তরের ডেপুটি সেক্রেটারি ডেভিড তুর্ক।
আরও পড়ুন: অন্তর্বর্তী সরকারকে সমর্থন দেবে জাতিসংঘ: মুখপাত্র
২৪৪ দিন আগে
চলতি মাসেই স্পেন-ব্রাজিল সফরে যাওয়ার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর
সহযোগিতার বৃহত্তর ক্ষেত্রে জড়িত দু'দেশের সঙ্গে সম্পর্ক আরও জোরদার করতে আগামী ২১ জুলাই থেকে স্পেন ও ব্রাজিল সফর করার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার।
পৃথক এই দুটি দ্বিপক্ষীয় সফরের জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
আগামী ২১ থেকে ২৩ জুলাই স্পেনের রাজধানী মাদ্রিদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফরের পরিকল্পনা করা হয়েছে বলে এক কর্মকর্তা ইউএনবিকে জানিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, স্পেন সফর শেষে তিনি ২৪ থেকে ২৬ জুলাই ব্রাজিল সফর করবেন এবং লন্ডনে যাত্রাবিরতির সম্ভাবনা রয়েছে।
ব্রাজিলের রাষ্ট্রদূত পাওলো ফার্নান্দো দিয়াস ফেরেস সম্প্রতি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্রাজিল সফর হবে 'দ্বিপক্ষীয়'।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্ভাব্য সফরের মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করতে চায় দক্ষিণ আমেরিকার সবচেয়ে প্রভাবশালী দেশ ব্রাজিল।
আরও পড়ুন: গৃহহীন মুক্ত দেশ হতে চলেছে বাংলাদেশ: প্রধানমন্ত্রী
এর আগে ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা প্রধানমন্ত্রীকে দ্বিপক্ষীয় সফরের জন্য ব্রাজিলে আমন্ত্রণ জানান।
ব্রাজিলের রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘এটি একটি দ্বিপক্ষীয় সফর। শুধুই তার। ধারণাটি হলো তিনি প্রেসিডেন্ট লুলার সঙ্গে ক্ষুধার বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী কর্মসূচি শুরু করতে পারেন। তারপরে তিনি পুরো অপেরা সফরের সমস্ত অনুষ্ঠানের জন্য ব্রাসিলিয়ায় যাবেন।’
সম্প্রতি জাতীয় প্রেসক্লাবে কূটনৈতিক প্রতিবেদকদের সঙ্গে 'ডিক্যাব টক'-এ আলাপকালে ব্রাজিলের রাষ্ট্রদূত পাওলো ফার্নান্দো দিয়াস ফেরেস এ কথা বলেন।
এটি ল্যাটিন আমেরিকার কোনও দেশে এটিই হবে প্রধানমন্ত্রীর প্রথম দ্বিপক্ষীয় সফর। যে দেশটিকে একটি উদীয়মান অর্থনৈতিক শক্তি এবং বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম গণতন্ত্র হিসাবে দেখা হয়।
ব্রাজিল বাংলাদেশে একটি ভিসা সেন্টার খোলার পরিকল্পনা করছে, যাতে দুদেশের জনগণের মধ্যে যোগাযোগ আরও সহজতর হয়।
বাংলাদেশ পারস্পরিক সহযোগিতা ও সুবিধা বাড়াতে স্পেনের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করবে।
আরও পড়ুন: একসঙ্গে বাংলাদেশ-চীন উভয় দেশের জন্য সমৃদ্ধি বয়ে আনতে পারে: চীনা ব্যবসায়ীদের প্রধানমন্ত্রী
২৮২ দিন আগে
ভারত সফরে যা যা আলোচনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী
ভারতে দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে যোগাযোগ, সীমান্ত হত্যা, নদী ব্যবস্থাপনা, বিদ্যুৎখাতে সহযোগিতার বিষয়ে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে আলোচনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শনিবার (২২ জুন) নয়া দিল্লিতে এক ব্রিফিংয়ে সফরসঙ্গী পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা জানান।
তিনি বলেন, চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দর যাতে ভারতের উত্তর-পূর্ব বিশেষ করে পূর্বাঞ্চলের জন্য ব্যবহার করা যায়, সে বিষয়ে তাদের আগ্রহ ও আমাদের অগ্রগতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।
আরও পড়ুন: তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদানের সঙ্গে হাছান মাহমুদের বৈঠক
সীমান্ত হত্যা শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনতে রাজনৈতিকভাবে দু'দেশের ঐকমত্যের অভাব নেই জানিয়ে হাছান বলেন, এরপরও যে ঘটনাগুলো ঘটছে, সেগুলোও যাতে একদম কমানো যায়, সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
এছাড়া, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ৫৪টি অভিন্ন নদী আছে। এগুলোর নাব্যতা রক্ষাসহ সামগ্রিক ব্যবস্থাপনা, তিস্তা নদী ব্যবস্থাপনা, জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত মোকাবিলা, বন্যা ও দুর্যোগ মোকাবিলা এবং পরিবেশ সংরক্ষণ নিয়েও গুরুত্বসহকারে আলোচনার কথা উল্লেখ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
তিনি বলেন, দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী তাদের সঙ্গে বিদ্যুৎখাতে সহযোগিতা প্রসার, ভারতের মধ্য দিয়ে নেপাল ও ভুটান থেকে জলবিদ্যুৎ আমদানিতে সহায়তা এবং ভারত যে ৩ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুতের নতুন সঞ্চালন লাইন করছে সেটি থেকে কীভাবে সহায়তা পাওয়া যেতে পারে সে বিষয়ে আলোকপাত করেন।
হাছান আরও বলেন, পেঁয়াজ, তেল, গম, চিনিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য আমদানিতে বাংলাদেশের জন্য নির্দিষ্ট কোটা সংরক্ষণ ও আমদানি যাতে বন্ধ না হয়, সে বিষয়েও আমরা আলোচনা করেছি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান আরও বলেন, ব্রিকস সদস্য বা অংশীদার যেকোনো পদে আমরা ভারতের সমর্থন চেয়েছি এবং তারা ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে।
পাশাপাশি বিমসটেক, ইন্ডিয়ান ওশান রিম এসোসিয়েশনসহ বহুপাক্ষিক ফোরামগুলোতে অবস্থান শক্তিশালী করা, অর্থনৈতিক সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয়েও আলোচনা ছিল ইতিবাচক।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে আশ্রিত প্রায় ১৩ লাখ রোহিঙ্গাকে মিয়ানমারে প্রত্যাবাসন নিয়ে আলোচনায় চীনের ভূমিকা বৃদ্ধির কথাও এসেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চীন সফরে এটি আলোচনা করবেন বলেছেন।
ভিসা নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে হাছান মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশিদের জন্য ভারত বছরে প্রায় ২০ লাখ ভিসা দেয়। মেডিক্যাল ভিসা ত্বরান্বিত করতে ও অন্যান্য ভিসার অযথা বিলম্বরোধে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাদের মিশনগুলোকে নতুন নির্দেশনা দিয়েছেন।
ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মুস্তাফিজুর রহমান এবং প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব নাঈমুল ইসলাম খান ব্রিফিংকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন।
আরও পড়ুন: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছানের সঙ্গে যুক্তরাজ্যের এফসিডিও'র ইন্দো-প্যাসিফিক প্রতিমন্ত্রীর সাক্ষাৎ
সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও ওআইসি মহাসচিবের সঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাক্ষাৎ
২৯৮ দিন আগে
২ দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে নয়া দিল্লির উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে ২ দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে নয়াদিল্লির উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শুক্রবার (২১ জুন) দুপুর ২টায় প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে।
ফ্লাইটটি নয়াদিল্লি সময় বিকাল ৪টায় নয়াদিল্লির পালাম বিমানবন্দরে অবতরণের কথা রয়েছে।
ভারতের একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল এবং ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. মোস্তাফিজুর রহমান বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাবেন।
বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোট টানা তৃতীয়বারের মতো সরকার গঠনের পর এটাই প্রথম কোনো সরকার প্রধানের ভারতে দ্বিপক্ষীয় সফর।
আরও পড়ুন: ভারত সফরে বিজেপির প্রবীণ নেতা আদভানির সঙ্গে শেখ হাসিনার সাক্ষাৎ
সফরকালে উভয় প্রধানমন্ত্রীর একটি বৈঠক করবেন এবং এরপর প্রতিনিধি পর্যায়ের বৈঠক হবে। পরে ঢাকা ও নয়াদিল্লির মধ্যে বিদ্যমান দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও জোরদার করতে বেশ কয়েকটি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই করবে।
এছাড়া একটি সম্ভাব্য বাণিজ্য চুক্তি সম্পর্কে আলোচনা হবে বলে আশা করা হচ্ছে। গত এক দশক ধরে, একটি শক্তিশালী আঞ্চলিক অংশীদারিত্ব পরিকল্পনার অংশ হিসাবে অসংখ্য আন্তঃসীমান্ত উদ্যোগ চালু করা হয়েছে।
আগামী ১৫ দিনের কম সময়ের মধ্যে ভারতের রাজধানীতে এটি হবে শেখ হাসিনার দ্বিতীয় সফর। এর আগে ৯ জুন মোদির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে তিনিও যোগ দিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র বিষয়ে সতর্ক করেছেন প্রধানমন্ত্রী
শুক্রবার সন্ধ্যায় ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্কর প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার সফরকালীন আবাসস্থলে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন।
শনিবার সকালে রাষ্ট্রপতি ভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বরণ করে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ও ভারতের জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হবে। তিনি সেখানে গার্ড অব অনারও পরিদর্শন করবেন।
এরপর তিনি রাজঘাটে গিয়ে ভারতের জাতির জনক মহাত্মা গান্ধীর সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানাবেন। তিনি সেখানে পরিদর্শক বইয়েও সই করবেন।
একই দিন শেখ হাসিনা ভারতের হায়দরাবাদ হাউজে যাবেন এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে একান্তে বৈঠক করবেন এবং পরে প্রতিনিধি পর্যায়ের বৈঠক হবে।
উভয় প্রধানমন্ত্রী সমঝোতা স্মারক ও চুক্তি সই অনুষ্ঠান প্রত্যক্ষ করবেন। এরপর দুই প্রধানমন্ত্রী প্রেস বিবৃতি দেবেন।
এরপর তারা হায়দরাবাদ হাউজে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সম্মানে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া মধ্যাহ্নভোজে অংশ নেবেন।
বিকেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সচিবালয়ে ভারতের উপ-রাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।
সন্ধ্যায় শেখ হাসিনা রাষ্ট্রপতি ভবনে ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।
দিল্লি সময় সন্ধ্যা ৬টায় প্রধানমন্ত্রী নয়াদিল্লির পালাম বিমানবন্দর ত্যাগ করে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে আনুমানিক রাত ৯টায় ঢাকায় অবতরণ করবেন।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী দিল্লি যাচ্ছেন ২১ জুন
৩০০ দিন আগে