স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
ডিএমপি কমিশনার শফিকুল অবসরে যাচ্ছেন ৩০ অক্টোবর
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শফিকুল ইসলাম ৩০ অক্টোবর অবসরে যাচ্ছেন। বুধবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
তিনি চলতি বছরের ৩০ অক্টোবর থেকে আগামী বছরের ২৯ অক্টোবর পর্যন্ত অবসর পরবর্তী ছুটিতে (পিআরএল) থাকবেন।
প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, তিনি সরকারি নিয়মানুযায়ী অবসর ও অবসর পরবর্তী ছুটির সুবিধা পাবেন।
২০২১ সালে ডিএমপি কমিশনার শফিকুল ইসলামের মেয়াদ আরও এক বছরের জন্য বাড়ানো হয়। ২০১৯ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর ডিএমপি’র ৩৪ তম কমিশনার হিসাবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
আরও পড়ুন: ঈদকে সামনে রেখে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার নির্দেশ ডিএমপি কমিশনারের
তিনি ১৯৮৯ সালে অষ্টম বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস ক্যাডারে (পুলিশ) সহকারী পুলিশ সুপার হিসেবে তার কর্মজীবন শুরু করেন।
তিনি বাংলাদেশ পুলিশের ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন ব্যুরোতে অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
আরও পড়ুন: দুর্গাপূজায় সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিতের নির্দেশ ডিএমপি কমিশনারের
পুলিশকে পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালনের নির্দেশ ডিএমপি কমিশনারের
র্যাবের বর্তমান ডিজি চৌধুরী আবদুল্লাহ নতুন আইজিপি
র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) বর্তমান মহাপরিচালক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে পুলিশের নতুন মহাপরিদর্শক (আইজিপি) হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে সরকার।
অন্যদিকে, পুলিশ সদর দপ্তরের অতিরিক্ত আইজিপি এম খুরশীদ হোসেনকে র্যাবের ডিজি হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ বৃহস্পতিবার এ সংক্রান্ত একটি গেজেট প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের নিয়োগ ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে কার্যকর হবে এবং একই দিনে বর্তমান আইজিপি বেনজীর আহমেদ অবসরে যাবেন।
২০২২ সালের ৮ এপ্রিল প্রকাশিত গেজেটের মাধ্যমে চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে র্যাবের ডিজি হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: বেনজীর আহমেদ অবসরে যাচ্ছেন ৩০ সেপ্টেম্বর
নতুন আইজিপি বেনজীরকে র্যাঙ্ক ব্যাজ প্রদান
করোনা প্রতিরোধে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুসরণ করুন: বেনজীর
বেনজীর আহমেদ অবসরে যাচ্ছেন ৩০ সেপ্টেম্বর
পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর অবসরে যাচ্ছেন। বৃহস্পতিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর ৫৯ বছর বয়সে বেনজীর আহমেদ অবসরে যাবেন।
আরও পড়ুন: নতুন আইজিপি বেনজীরকে র্যাঙ্ক ব্যাজ প্রদান
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, চলতি বছরের ১ অক্টোবর থেকে আগামী বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর অবসর-পরবর্তী ছুটিতে (পিআরএল) থাকবেন তিনি।
এতে আরও বলা হয়, তিনি সরকারি নিয়ম অনুযায়ী অবসর গ্রহণ এবং অবসর-পরবর্তী ছুটির সুবিধা পাবেন।
র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) সাবেক মহাপরিচালক বেনজির আহমেদ ২০২০ সালের ৮ এপ্রিল বাংলাদেশের পুলিশের মহাপরিদর্শক পদে নিযুক্ত হন।
আরও পড়ুন: নতুন আইজিপি বেনজীর
করোনা প্রতিরোধে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুসরণ করুন: বেনজীর
অতিরিক্ত ডিআইজি হলেন ৪৩ কর্মকর্তা
পুলিশ সুপার (এসপি) পদমর্যাদার ৪৩ জন কর্মকর্তাকে উপপুলিশ মহাপরিদর্শক (অতিরিক্ত ডিআইজি) হিসেবে পদোন্নতি দিয়েছে সরকার।
মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ এ সংক্রান্ত উপসচিব ধনঞ্জয় কুমার দাস স্বাক্ষরিত জারিকৃত গেজেট প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানিয়েছে।
তাদের যোগদানের তারিখ থেকে এ আদেশ কার্যকর হবে।
আরও পড়ুন: জনগণের কল্যাণে কাজ করুন: পদোন্নতিপ্রাপ্ত ডিআইজিদের আইজিপি
‘আফগানিস্তান যুদ্ধের অবশিষ্ট অস্ত্রের বিস্ফোরণে ৪ শিশু নিহত’
আফগানিস্তানের দক্ষিণাঞ্চলীয় কান্দাহার প্রদেশে একটি অবিস্ফোরিত অস্ত্র বিস্ফোরণে চার শিশু নিহত হয়েছে। শনিবার দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।
মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, যুদ্ধের অবশিষ্ট বিস্ফোরক বিস্ফোরিত হয়ে শাহ ওয়ালি কোট জেলায় ঘটনাটি ঘটে। নিহত শিশুরা প্রত্যন্ত গ্রামে খেলছিল।
সরকারী সূত্র অনুসারে,যুদ্ধ পরর্তী সময়ে ল্যান্ডমাইন, অ্যান্টি-পার্সোনেল মাইন এবং যুদ্ধের অবশিষ্ট বিস্ফোরক বিস্ফোরিত হয়ে দেশে প্রতি মাসে প্রায় ১২০ জনের মৃত্যু বা পঙ্গুত বরণের ঘটনা ঘটেছে।
এর আগে শুক্রবার,পূর্ব পাকতিয়া প্রদেশে একটি বিস্ফোরণে দুই বেসামরিক ব্যক্তি নিহত ও তিনজন আহত হয়।
আরও পড়ুন: মিয়ানমারের গাড়ি দুর্ঘটনায় ৭ জন নিহত
যুদ্ধের মূল্য রাশিয়াকে প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে দিতে হবে: জেলেনস্কি
খালেদা জিয়াকে বিদেশে নেয়ার বিষয়ে মতামত দিয়েছেন আইনমন্ত্রী
খালেদা জিয়াকে বিদেশে নেয়ার বিষয়ে মতামত দিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেছেন, ‘খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেয়ার বিষয়ে তার ভাইয়ের আবেদনে আইনি মতামত দেয়া হয়েছে। এখন সেটি যাচ্ছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে।’
সোমবার সচিবালয়ে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের মন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি বলেন,‘আগের আবেদনের ধারাবাহিকতায় বেগম খালেদা জিয়ার ভাই আবারও যে আবেদন করেছেন সেই আবেদনের ব্যাপারে আমাদের আইনি মতামত দিয়ে এটি এখন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে দিচ্ছি।’
আরও পড়ুন: নারী নির্যাতন বন্ধে আইনের পাশাপাশি প্রয়োজন সচেতনতা: আইনমন্ত্রী
আইনমন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা জানেন যে এর আগেও যতবারই এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে এটা প্রধানমন্ত্রী পর্যন্ত ফাইলটা গেছে। যেহেতু প্রধানমন্ত্রী পর্যন্ত ফাইলটা যাবে তাই আমার যে মতামত সেটা কিন্তু এখন আপনাদের বলতে পারব না। এটা গোপন রাখতে আমি বাধ্য। আমি মতামত দিয়ে দিয়েছি, এখন এটা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যাবে। প্রধানমন্ত্রীর কাছে ফাইল যাওয়ার পর আপনারা সিদ্ধান্ত জানতে পারবেন।’
মতামতের প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন,‘আমি কিন্তু বারবারই একটি কথা বলেছি, ৪০১ ধারায় যে ছয়টি উপধারা আছে, সেখানে পাস্ট অ্যান্ড ক্লোজ ট্রানজেকশনে আবার বিবেচনা করার কিন্তু কোনো সুযোগ নেই।’
আরও পড়ুন: আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে নিষেধাজ্ঞা দুঃখজনক: আইনমন্ত্রী
৪০১ ধারা নিয়ে আপনার আগের মতামতের ওপর স্ট্যান্ড করছেন কিনা এই প্রশ্নে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘স্ট্যান্ড আর সিটিংয়ের কোন ব্যাপার না এটা, আমি আইনের যে ব্যাখ্যা দিয়েছি, সেই ব্যাখ্যার সঙ্গে কোনখানেই আমি দেখিনি তার জাজমেন্টে দ্বিমত আছে। আমার ব্যাখ্যাটাই আমি সঠিক বলে মনে করি।’
বিদেশে যেতে চাইলে খালেদাকে কারাগারে ফিরতে হবে: আইনমন্ত্রী
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক রবিবার বলেছেন, বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে চাইলে প্রথমে কারাগারে যেতে হবে। তারপর সেখান থেকে বিদেশে যাওয়ার জন্য আবেদন করতে হবে।
ইউএনবির সাথে আলাপকালে আনিসুল হক বলেন, ‘পরিবারের করা আবেদনের বিষয়ে ইতোমধ্যে আইন মন্ত্রণালয় বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার সাজার মেয়াদ স্থগিত ও মুক্তির মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়ানোর মতামত দিয়েছে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘ফৌজধারী কার্যবিধির ৪০১ ধারা অনুযায়ী খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠানোর আবেদন পুনর্বিবেচনাক সুযোগ নেই। তাকে কারাগারে গিয়ে আবেদন করতে হবে। তবে আবেদন করলেই তা অনুমোদন হয়ে যাবে এমন নয়। এটি সরকারের ইচ্ছার ওপর নির্ভর করবে।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার মুক্তির আবেদনে মতামত দিয়েছে আইন মন্ত্রণালয়
খালেদা জিয়ার মুক্তির আবেদনে মতামত দিয়েছে আইন মন্ত্রণালয়
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে মুক্তি ও বিদেশে চিকিৎসার জন্য তাঁর পরিবারের করা আবেদনের বিষয়ে মতামত দিয়েছে আইন মন্ত্রণালয়।
মঙ্গলবার আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ইউএনবিকে বলেছেন, ‘স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কিছুদিন আগে আইন মন্ত্রণালয়ে একটি ফাইল পাঠিয়েছে তাঁর আইনি মতামত চেয়ে। আমরা এই বিষয়ে আমাদের মতামত দিয়েছি এবং ফাইলটি আজ সকালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ফেরত পাঠিয়েছি।স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এখন ফাইলটি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুমোদনের জন্য পাঠাবে।’
তবে কী মতামত দিয়েছেন, আইনমন্ত্রী তা বলতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।
খালেদা জিয়ার পরিবার তাঁর শর্তসাপেক্ষে মুক্তির মেয়াদ আরও বাড়ানোর এবং উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার অনুমতি চেয়ে সরকারের কাছে আবেদন জমা দিয়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকে খালেদার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার সম্প্রতি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন জমা দিয়েছেন বলে মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা মঙ্গলবার জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: খালেদাকে অপরাধ স্বীকার করে, ক্ষমা চেয়ে বিদেশে যেতে হবে: আইনমন্ত্রী
এব্যাপারে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, ‘যেহেতু খালেদা জিয়ার কারাদণ্ডের স্থগিতাদেশ ২৪ সেপ্টেম্বর শেষ হতে চলছে, তাই তাঁর পরিবার এর মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন করেছে। বিএনপি প্রধানের পরিবার দাবি করেছে যে কোভিড-পরবর্তী জটিলতার কারণে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে এবং তাঁরা আবার তাকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর বিষয়ে সরকারের অনুমতি চেয়েছে।’
করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের মধ্যে সরকার গত বছরের ২৫ মার্চ এক নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে খালেদা জিয়াকে ছয় মাসের জন্য কারাগার থেকে মুক্তি দেয়। সরকার গত বছরের ২৭ আগস্ট তাঁর মুক্তি আরও ছয় মাসের জন্য বাড়িয়েছিল এবং গত ১৫ মার্চ এটি আরও ছয় মাসের জন্য বাড়ানো হয়েছিল।
১০ এপ্রিল পরীক্ষায় খালেদা জিয়ার করোনা শনাক্ত হয় এবং ২৭ এপ্রিল তাকে এভার কেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। করোনা-পরবর্তী জটিলতা এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যার জন্য তিনি সেখানে ১৯ জুন পর্যন্ত চিকিৎসা নেন। ৫ মে তাঁর পরিবার তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নিয়ে যাওয়ার অনুমতি চেয়ে সরকারের কাছে আবেদন করেছিল, কিন্তু সরকার তা প্রত্যাখ্যান করে বলেছিল যে একজন দণ্ডিত ব্যক্তি এ ধরনের সুযোগ পেতে পারে না।
আরও পড়ুন: চিকিৎসার জন্য বিদেশ যেতে পারবেন না খালেদা জিয়া: আইনমন্ত্রী
খালেদা জিয়া: বিদেশ নেবার অনুমতি দেয়নি সরকার
ব্যাটারিচালিত রিকশা-ভ্যান বন্ধ করা হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
ব্যাটারিচালিত রিকশা-ভ্যান বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।
রবিবার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সড়ক পরিবহন টাস্কফোর্সের সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ তথ্য জানান।
মন্ত্রী বলেন, আমরা লক্ষ্য করেছি সারাদেশে রিকশা-ভ্যানের মধ্যে মোটর লাগিয়ে রাস্তায় চলছে। শুধু সামনের চাকায় ব্রেক, পিছনের চাকায় কোন ব্রেক নেই বা ব্যবস্থা থাকলেও তা অপ্রতুল। সেগুলো যখন ব্রেক করে যাত্রীসহ গাড়ি উল্টে যায়। এই ধরনের দৃশ্য আমরা দেখেছি। আমরা দেখেছি হাইওয়েগুলোতেও এই রিকশা চলে আসছে। এজন্য সারাদেশে এই ধরনের রিকশা, প্যাডেল চালিত রিকশার বিষয়ে আমরা বলছি না। প্যাডেল চালিত রিকশাকে যারা ইঞ্জিন দিয়ে রূপান্তর করেছেন সেই সব রিকশা-ভ্যান বন্ধ করার সিদ্ধান্ত আজকের সভায় হয়েছে।
আরও পড়ুন: সরকার নমনীয় নয়, ধৈর্যের পরিচয় দিচ্ছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
আসাদুজ্জামান বলেন, সড়ক পরিবহন সেক্টরে শৃঙ্খলা জোরদারকরণ এবং দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছিল। যেই কমিটির ১১১টি সুপারিশ ছিল। পরে এ বিষয়ে টাস্কফোর্স গঠন করা হয়। বেশ কিছু সুপারিশ বাস্তবায়নের পথে, অল্প কিছু বাস্তবায়িত হয়েছে। বাকিগুলো কীভাবে বাস্তবায়ন করব আমরা সেই বিষয়ে কর্মপন্থা নির্ধারণ করেছি।
আরও পড়ুন: আবু ত্ব-হা আদনানের ক্লু বের করবো: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
ব্যাটারি চালিত রিকশার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিলেন। কিন্তু অটোরিকশা যানজটের কারণ এবং দুর্ঘটনাও ঘটছে। এ বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত আসছে কী না-সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, নসিমন, করিমন, ভটভটি এবং ঢাকা শহরে বিভিন্ন রকমের অটোরিকশা চলছে। আমরা এখনও যানবাহনের সঠিক ব্যবস্থা করতে পারিনি। গ্রামাঞ্চলে সুন্দর রাস্তা হয়ে গেছে। সেখানে রিকশা, সাইকেল কিংবা মোটর সাইকেল ছাড়া পর্যাপ্ত যানবাহন নেই। সেজন্য নসিমন, করিমন-এগুলো যানবাহনের বিকল্প হিসেবে কাজ করছে। এটা নিয়ে আমাদের আলোচনা হবে, যাতে করে খুব শিগগিরই এটাকে পরিমিত এবং ফাইনালি বন্ধ করা যায়। আমরা সেটা নিয়েও কাজ করবো।
আরও পড়ুন: হেফাজতের অর্থাদাতাদের শনাক্তে তৎপর গোয়েন্দা সংস্থা: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
মন্ত্রী আরও বলেন, 'ইজিবাইক যথেষ্ট পরিমাণে এসে গেছে। ছোট-ছোট গলিতে এগুলো চলার কথা ছিল। কিন্তু এখন এগুলো সর্বত্র বিচরণ করছে। আমাদের ঢাকা শহরে এ পর্যন্ত ১৩ হাজার মোটরচালিত রিকশা এবং ভ্যান ডেস্ট্রোয় (ধ্বংস) করে দিয়েছি। ইজিবাইকগুলো নিয়ন্ত্রণ করে দেওয়া হচ্ছে। তারা যেন তাদের নির্দিষ্ট স্থান থেকে বের হতে না পারে। হাইওয়ে বা বড় রাস্তায় না আসতে পারে। এটাও ক্রমান্নয়ে বন্ধ করা হবে।’
আসাদুজ্জামান খান বলেন, ‘আমরা হাইওয়েতে এখন ক্যামেরা ফিট করছি। ক্যামেরার টেন্ডারও হয়ে গেছে। ঢাকা থেকে চট্রগ্রামের রাস্তাটি পুরোপুরি ক্যামেরার নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে। তাহলে কিভাবে এক্সসিডেন্ট হল, কে গাড়ি নামালো, সবগুলোই আমাদের নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে। আমাদের পুলিশ বাহিনী ওখানে বসে বসে দেখতে পারবে কে কি করছে।’
তিনি জানান, ইজারাকৃত জায়গায়, স্থানীয় সরকার পরিচালিত নির্ধারিত ফি, টোল, পরিবহনের টার্মিনাল ছাড়া অন্য কোনো জায়গা থেকে চাঁদা আদায় করতে পারবে না। নির্ধারিত স্থান থেকে টোল বা রাজস্ব আদায় করতে হবে। সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
যারা বাস চালায় তারা সবসময় বলে বিভিন্ন ধাপে-ধাপে চাঁদা দিতে হয়। এটার সঙ্গে বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠনও জড়িত। সেক্ষেত্রে কিভাবে পুরোপুরি আশা প্রকাশ করছেন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হবে। এটিতো দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে, কোটি-কোটি টাকা চাঁদা বাণিজ্য চলে-একজন সাংবাদিক এমন প্রসঙ্গ তুললে মন্ত্রী বলেন, 'চাঁদা বাণিজ্যের কথা আমি বলব না, আমি বলবো একটা টোল আছে, সেটা দিতে হবে। সেটা কোথা থেকে নেবে, কীভাবে এবং কত টাকা নেবে সেটা নির্ধারিত হবে। সেই জায়গা ছাড়া এই টোল কেউ নিতে পারবে না। পরিবহনের যে চাঁদা, যেটা মালিক বা শ্রমিকরা নিয়ে থাকে সমিতি চালানোর জন্য, সেটাও নির্ধারিত রয়েছে, সেটাও বাস টার্মিনাল বা যেখান থেকে বাস ছাড়েন এর বাইরে কেউ নিতে পারবে না।’
ঢাকাতেও আমরা দেখি বিভিন্ন ঠিকাদারের নামে বিভিন্ন সিগন্যালে রানিং গাড়ি থেকে চাঁদা নেয়া হয়, এটা সবাই জানে-আরেকজন সাংবাদিক এমন প্রসঙ্গ তুললে মন্ত্রী বলেন, ‘এটা আমরা জানিয়ে দিচ্ছি, যে-যে সিদ্ধান্ত হয়েছে, স্ব স্ব মন্ত্রণালয় বসে তাদেরকে জানিয়ে দেবে, এ সকল চাঁদাবাজি কিংবা যত্রতত্র কালেকশন যাতে না করে।’
পরিবহন শ্রমিকদের মালিকপক্ষ থেকে নিয়োগপত্র দিতে হবে। সেটা দেওয়ার জন্য মালিক ও শ্রমিক পক্ষ আজ উপস্থিত ছিলেন। তারা দুই পক্ষ নিজেরা বসে এ বিষয়ে শিগগিরই সিদ্ধান্ত নেবেন বলেও জানান মন্ত্রী।
গত ২৩ ডিসেম্বর যে মিটিং হয়েছিল সেখানে আজকের নেওয়া কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। ৬ মাসে কেন বাস্তবায়ন হয়নি-জানতে চাইলে আসাদুজ্জামান খান বলেন, ‘সড়ক আইনের মধ্যে সুস্পষ্টভাবে আছে, মালিকদেরকে অবশ্যই নিয়োগপত্র দিতে হবে। সেই আইনটি পাস হয়েছিল। সেটি পরিশুদ্ধ করে আবার পার্লামেন্টে আসছে। এটা নিয়ে অনেক জটিলতা আছে। আমরা দীর্ঘ আলাপ করেছি। চালক এবং শ্রমিকরা বিভিন্ন সময় জায়গা পাল্টায়। এক মালিক থেকে আরেক মালিকের কাছে চলে যায়। নানান ধরণের কথাবার্তা আসছে। সেজন্য বলে দিয়েছি, দুই পক্ষই বসে খুব শিগগিরই এর ব্যবস্থা করে দিতে।''
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘এই ব্যবস্থা না করলে সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এখানে আছেন, বিআরটিও ব্যবস্থা নেবে। যাতে করে তারা রেজিস্ট্রেশন করার সময় সেগুলো চায়, না দেখাতে পারলে রেজিস্ট্রেশন দেবেন না, সে ধরনের একটা কথাবার্তা চলছে।’
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে এনআইডির কার্যক্রম চালু হবে: মন্ত্রী
আগামী দুই মাসের মধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) কার্যক্রম চালু হবে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ. ক. ম মোজাম্মেল হক।
বুধবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত মন্ত্রিপরিষদ কমিটির সভা শেষে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত মন্ত্রিপরিষদ কমিটির সভাপতি মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ. ক. মোজাম্মেল হকের সভাপতিত্বে এ সভা হয়।
আরও পড়ুন: অর্থনৈতিক মুক্তি ছাড়া স্বাধীনতা পরিপূর্ণ হয় না: মোজাম্মেল হক
মোজাম্মেল হক বলেন, এনআইডি বিষয়ে অনেকে অনেক কিছু কথা বলছেন, এনআইডির কার্যক্রম স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকছে। এনআইডি আবেদনের ৩০ কার্য দিবসের মধ্যে সিদ্ধান্ত দিতে হবে। না হলে কেন দেয়া যাচ্ছে না এর ব্যাখ্যা দিতে হবে। অনেকেই ভুগছেন এ ব্যপারে।
মন্ত্রী বলেন, নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কাজ ভোটার তালিকা ও নির্বাচন করা। কোন দেশে ইসি এনআইডি করে না।
তিনি বলেন, আজকের বৈঠবে এ সন্তোষ প্রকাশ করা হয়েছে, দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী বলেন, হেফাজতে ইসলাম নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তাদের খুবই নগন্য সংখ্যক নেতা দেশকে অস্থিতিশীল করতে চেয়েছে। সুনির্দিষ্ট অপরাধের ভিত্তিতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আলেম-ওলামাদের বিরুদ্ধে নয় অপরাধের ভিত্তিতে কিছু নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কেউ যেন হয়রানি না হয় সেজন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
মোজাম্মেল হক বলেন, আমি মন্ত্রী, এমপি যেই হই অপরাধ করলে বিচার হবে। কোনো দল বা সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে বিচার করা হচ্ছে না।
মন্ত্রী বলেন, কিছু বিদেশি নাগরিক আছে যাদের ভিসার মেয়াদ শেষ তারা দেশে অবস্থান করছে। গোয়েন্দা তথ্যে দেখা যায় এদের অনেকে অপরাধের সাথে জড়িত। তাদেরকে নিজ নিজ দেশে পাঠিয়ে দেয়া হবে। প্রয়োজনে সরকার টিকেটের ব্যবস্থা করবে।
রোহিঙ্গা প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সুবিধা ও ৫ হাজার টাকা দাবি করে গত কয়েকদিনে কিছু বিক্ষোভ হয়েছে। পৃথিবীর কোন দেশেই শরণার্থীরা এই সুবিধা পায় না। কারো প্ররোচনায় তারা এটা করছে। ভাসানচরে কেউ পর্যটনের জন্য বা অনুমতি ছাড়া যেতে পারবে না। ক্যাম্পে যারা মাদকের সাথে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, গুগল ও আমাজন করের আওতায় এসেছে। এর বাইরে যারা আছে তাদেরকেও করের আওতায় আনা হবে। অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকেও এভাবে জবাবদিহিতার আওতায় আসতে হবে। রেজিস্ট্রেশন ব্যবস্থা থাকলে, কেউ অপরাধ করলে তাকে ধরা যাবে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যেম যে লেনদেন হয়, তা বৈধভাবে হয় নাকি অবৈধভাবে হয় এর জন্য প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। ইউটিউব, ফেসবুকের অফিস বাংলাদেশে থাকতে হবে। এ বিষয়ে কঠোর অবস্থানে বাংলাদেশ।
মাদক নিরাময় কেন্দ্রে অত্যাচার করা হয় অভিযোগ এসেছে জানিয়ে তিনি বলেন, এমন কেন্দ্র কয়টি রয়েছে, নিয়মমাফিক চলছে কিনা সে বিষয়ে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে আইনশৃঙ্খলাবাহীনিকে।
এলএসডি নিয়ে তিনি বলেন, এলএসডিসহ নতুন মাদক নিয়ে ১৫টি গ্রুপ এই ব্যবসায় জড়িত। এর মধ্যে দুটি গ্রুপকে আইনের আওতায় আনা হয়েছে। বাকিদেরও ধরা হবে।
কোরবানীর চামড়ার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কোরবানীর চামড়ার দাম নির্ধারণ ও পাচার যেন না হয় সেজন্য সীমান্তে আরও কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
তিনি উল্লেখ করেন, বঙ্গবন্ধুর চার খুনীর খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্ত হয়েছে। গেজেট দ্রুত হবে।
জিয়াউর রহমানের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, জিয়ার খেতাব নিয়ে একটা উপকমিটি করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর খুনের সাথে সে জড়িত কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তার বিরুদ্ধে আদালতে প্রমাণ সাপেক্ষে তথ্য উপাত্তের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেয়া হবে। অনেকের মন্তব্য পেয়েছি। আমরা কোন প্রতিবেদন এখনও উপকিমিটির কাছ থেকে পাইনি।