প্রতিশ্রুতিবদ্ধ
গণতন্ত্রের প্রতি অন্তর্বর্তী সরকার যতদিন প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকবে ততদিন সমর্থন করবে বিএনপি
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, অধ্যাপক ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যতদিন গণতন্ত্রের প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ থাকবে ততদিন তাদের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখবে তার দল।
তিনি বলেন, ‘এই সরকারকে আমাদের সমর্থন করতে হবে। এটা গণঅভ্যুত্থান ও আন্দোলনের ফল। যতদিন এই সরকার গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক উপায়ে ক্ষমতা হস্তান্তরের পক্ষে থাকবে ততদিন আমরা তাদের সমর্থন দিয়ে যাব।’
বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচিতে মির্জা ফখরুল ইসলাম এসব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের ১৬ বছরের শাসনামলের পতনে সাম্প্রতিক ছাত্র নেতৃত্বাধীন গণআন্দোলনের সময় গণহত্যা চালানোর জন্য শেখ হাসিনা ও তার সহযোগীদের বিচারের দাবিতে বুধবার ও বৃহস্পতিবার সারাদেশে দুই দিনব্যাপী অবস্থান কর্মসূচি পালন করে বিএনপি।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জনগণকে স্বস্তি দিয়ে নির্বাচন করবে বলে আশা প্রকাশ করেন ফখরুল। তিনি বলেন, 'আমরা একটি যুক্তিসঙ্গত সময়ও দেব, কারণ আমরা চাই গণতান্ত্রিক নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করা হোক।’
আরও পড়ুন: হত্যার অভিযোগে শেখ হাসিনার বিচারের দাবিতে বিএনপির অবস্থান কর্মসূচি পালন
গণতন্ত্রের জন্য গত ১৬ বছরে বিএনপি যে ত্যাগ স্বীকার করেছে তা ইতিহাসে বিরল উল্লেখ করে তিনি বলেন, দলের অনেক সদস্যকে হত্যা, নিপীড়ন বা জোরপূর্বক গুম করা হয়েছে।
শেখ হাসিনার স্বৈরাচারী শাসনের পতনে গণঅভ্যুত্থান সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখায় ছাত্রদের ধন্যবাদ জানান মির্জা ফখরুল।
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার সারাদেশে প্রায় এক হাজার ছাত্র-জনতাকে গুলি করে হত্যা করেছে। কিন্তু ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার ক্ষেত্রেও আল্লাহ কঠোর, কারণ তাকে (শেখ হাসিনা) চূড়ান্তভাবে দেশ ছেড়ে পালাতে হয়েছে।’
আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বাড়াবাড়ি পরিহার করার আহ্বান জানান ফখরুল। ‘অন্যথায় তারা নিজেদের টিকিয়ে রাখতে পারবে না’ উল্লেখ করে তিনি তাদের অপকর্মের জন্য স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পণ করার পরামর্শ দেন।
গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আওয়ামী লীগ নেতাদের বিচারের দাবি জানান তিনি।
দলের জন্য নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে এমন কোনো অপকর্মে জড়িত না হওয়ার জন্য দলের নেতাকর্মীদের সতর্ক করে দেন বিএনপি মহাসচিব।
তবে দ্বিতীয় স্বাধীনতা রক্ষায় ঐক্যবদ্ধ থাকা এবং আওয়ামী লীগের যেকোনো ষড়যন্ত্র প্রতিহত করার আহ্বান জানান তিনি।
আরও পড়ুন: নতুন উপদেষ্টা পাচ্ছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার, শুক্রবার শপথ
৩ মাস আগে
টেকসই পৃথিবী নির্মাণে জাতিসংঘ কাজ করে চলেছে: স্পিকার
জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, টেকসই পৃথিবী নির্মাণে জাতিসংঘ কাজ করে চলেছে। বাংলাদেশের অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় এসডিজিকে বিবেচনায় নিয়ে দারিদ্র্য বিমোচন, মানবসম্পদ উন্নয়ন এবং টেকসই পরিবেশ নিশ্চিতকরণে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
এ ছাড়া এমডিজি অর্জনে বাংলাদেশের সাফল্য এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের ভিত হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
আরও পড়ুন: শিশুদের দক্ষ ও যোগ্য করে গড়ে তুলতে হবে: স্পিকার
শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গঠনের জন্য নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন, লিঙ্গ সমতা নিশ্চিতকরণ, সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে নারী নেতৃত্ব নিশ্চিতকরণ এবং লিঙ্গ সহায়ক বাজেট প্রণয়নে গুরুত্বারোপ করেছেন।
সোমবার (৩০ অক্টোবর) জাতিসংঘ বাংলাদেশ কর্তৃক বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টারে জাতিসংঘ দিবস ২০২৩ উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত ইউনাইটেড ন্যাশনস নলেজ ফেয়ার শীর্ষক অনুষ্ঠানে স্পিকার এসব কথা বলেন।
স্পিকার বলেন, নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহার বৃদ্ধি, খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ এবং বিশুদ্ধ পানীয় জল ব্যবস্থাপনা এবং শতভাগ স্যানিটেশনে সরকার বিভিন্ন নীতি ও পরিকল্পনা নিয়েছে।
তিনি বলেন, সবার জন্য একটি নিরাপদ ভবিষ্যত নিশ্চিত করতে সরকার কাজ করছে। সবার শক্তিশালী অংশীদারিত্ব এবং সামাজিক সহযোগিতার মাধ্যমেই বাংলাদেশের সাফল্য নিশ্চিত হবে।
এসময় স্পিকার জাতিসংঘের ৭৮তম বর্ষপূর্তি উদযাপন উপলক্ষে এ ধরনের আয়োজনের জন্য ধন্যবাদ জানান। ২০২৬ সালে বাংলাদেশের এলডিসি তালিকা থেকে উত্তরণের জন্য জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছ থেকে আরও সহযোগিতা পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
আরও পড়ুন: সংসদে ৫ সদস্যের প্যানেল অব চেয়ারম্যান মনোনয়ন স্পিকারের
নারীদের এগিয়ে নিতে পি-টুয়েন্টি সম্মেলন ভূমিকা রাখবে: স্পিকার
১ বছর আগে
দ্বীপপুঞ্জ থেকে ভারতীয় সামরিক বাহিনীকে সরাতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ মালদ্বীপের নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মুইজ্জু
দ্বীপপুঞ্জে নিযুক্ত ভারতীয় সামরিক বাহিনীর সদস্যদের অপসারণের বিষয়ে নির্বাচনী প্রচারণার সময় তিনি যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, তা বাস্তবায়নের অটল থাকবেন এবং প্রক্রিয়া শুরু করবেন বলে জানিয়েছেন নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুইজ্জু।
সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) রাতে নির্বাচনী বিজয় উদযাপনে জড়ো হওয়া তার সমর্থকদের উদ্দেশে তিনি এ কথা বলেন।
মুইজ্জু বলেন, তিনি তার নাগরিকদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে মালদ্বীপে থাকা বিদেশি সামরিক বাহিনীর পক্ষে দাঁড়াবেন না।
তিনি বলেন, ‘জনগণ আমাদের বলেছে যে তারা এখানে বিদেশি সেনার উপস্থিতি চায় না।’
আরও পড়ুন: দলীয় প্রার্থী বিজয়ী হওয়ার পর কারাগারের পরিবর্তে গৃহবন্দী হলেন সাবেক প্রেসিডেন্ট ইয়ামিন
ভারত মহাসাগর অঞ্চলে চীনের সঙ্গে ভূ-রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ভারতের জন্য এটি একটি গুরুতর আঘাত। যেখানে শনিবার মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট পদের নির্বাচনকে ভার্চুয়াল গণভোট হিসাবে দেখা হয়েছিল এবং আঞ্চলিক শক্তিগুলোর মধ্যে দ্বীপপুঞ্জে কোনটি সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলবে তাও নির্ধারণের বিষয় ভাবা হয়েছিল।
বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম মোহাম্মদ সোলিহ ২০১৮ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছিলেন। দেশের অভ্যন্তরে ভারতকে একটি অনিয়ন্ত্রিত উপস্থিতির অনুমতি দিয়েছেন মোহাম্মদ মুইজ্জুর এমন অভিযোগের বিরুদ্ধে লড়াই করছিলেন তিনি। মুইজ্জুর দল পিপলস ন্যাশনাল কংগ্রেসকে অধিকহারে চীনপন্থী হিসেবে মনে করা হয়।
মালদ্বীপের একটি দ্বীপে সার্বভৌমত্বের প্রতি ভারতীয় সামরিক বাহিনীর কথিত হুমকি ছিল মুইজ্জুর প্রচারণায় প্রধান বিষয়বস্তু , যা দলটির পক্ষ থেকে বছরের পর বছর ধরে ‘ভারত তাড়ানোর’ কৌশলের অংশ।
অপরদিকে সোলিহ জোর দিয়েছিলেন যে মালদ্বীপে ভারতীয় সেনাবাহিনীর উপস্থিতি শুধুমাত্র দুই সরকারের মধ্যে একটি চুক্তির অধীনে একটি ডকইয়ার্ড তৈরি করার জন্য এবং তার দেশের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন করা নয়।
আরও পড়ুন: মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী বিরোধী দলীয় প্রার্থী মোহামেদ মুইজ্জু: স্থানীয় গণমাধ্যম
পিপলস ন্যাশনাল কংগ্রেসের নেতা সাবেক প্রেসিডেন্ট আবদুল্লাহ ইয়ামিন ২০১৩ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত তাঁর প্রেসিডেন্টের মেয়াদকালে মালদ্বীপকে চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনেশিয়েটিভের একটি অংশ করে তোলেন। এশিয়া, আফ্রিকা এবং ইউরোপ জুড়ে বাণিজ্য এবং চীনের প্রভাব সম্প্রসারণের জন্য রেলপথ, বন্দর এবং মহাসড়ক নির্মাণের উদ্দেশ্যে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
ইয়ামিনকে রবিবার কারাগার থেকে গৃহবন্দীতে স্থানান্তরিত করা হয়েচে। যা আগামী ১৭ নভেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব নেওয়ার আগেই ইতোমধ্যেই মুইজ্জের প্রচারাভিযানের একটি প্রতিশ্রুতি পূরণ করেছে।
মালদ্বীপ ভারত মহাসাগরে এক হাজার ২০০টি প্রবাল দ্বীপ নিয়ে গঠিত, যা পূর্ব এবং পশ্চিমের মধ্যে প্রধান শিপিং রুটে অবস্থিত।
আরও পড়ুন: মালদ্বীপের নির্বাচিত প্রেসিডেন্টকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী
১ বছর আগে
ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ কানাডা: ট্রুডো
ভারতের সঙ্গে চলমান কূটনৈতিক বিরোধ সত্ত্বেও কানাডা সম্পর্ক জোরদার করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো।
বিবিসির খবরে বলা হয়, দুই দেশের সম্পর্ক সর্বকালের সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে আসার পর সম্প্রতি তিনি এ মন্তব্য করেন।
গত ১৯ সেপ্টেম্বর ট্রুডো ঘোষণা করেন, বিচ্ছিন্নতাবাদী এক শিখ নেতার মৃত্যুর ঘটনায় ভারতের জড়িত থাকার সম্ভাব্য অভিযোগ খতিয়ে দেখছে কানাডা।
তবে, এই দাবিকে 'অযৌক্তিক' বলে প্রত্যাখ্যান করেছে দিল্লি।
গত জুনে কানাডার একটি মন্দিরের বাইরে খুন হন হরদীপ সিং নিজ্জার। নিজ্জার খালিস্তান আন্দোলন নিয়ে সোচ্চার ছিলেন।
বৃহস্পতিবার ট্রুডো বলেন, ভারতকে 'গঠনমূলক ও গুরুত্বসহকারে' সম্পৃক্ত করা অপরিহার্য।
ন্যাশনাল পোস্ট তার বরাত দিয়ে জানায়, ‘ভারত একটি ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক শক্তি এবং গুরুত্বপূর্ণ ভূ-রাজনৈতিক দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ দেশ। গত বছর আমরা যখন আমাদের ইন্দো-প্যাসিফিক স্ট্র্যাটেজি উপস্থাপন করেছি, তখন আমরা ভারতের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তোলার ব্যাপারে খুবই আন্তরিক ছিলাম।’
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ৯ সেপ্টেম্বর দিল্লিতে জি-২০ সম্মেলনে ট্রুডো নেতাদের নৈশভোজে যোগ না দেওয়ায় দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা স্পষ্ট হয়ে ওঠে।
এতে বলা হয়, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে ট্রুডোর সংক্ষিপ্ত বৈঠক হলেও তাদের শরীরী ভাষা 'শীতল' ছিল বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
এর কয়েকদিন পর কানাডার পার্লামেন্টে ট্রুডো জানান, নিজ্জার হত্যাকাণ্ডে ভারতীয় এজেন্টদের জড়িত থাকার সম্ভাব্য অভিযোগ খতিয়ে দেখছেন তারা।
এরপর থেকে দুই দেশই একে অপরের কূটনীতিককে বহিষ্কার করেছে। গত সপ্তাহে কানাডার কূটনৈতিক মিশনের নিরাপত্তাজনিত কারণ দেখিয়ে কানাডার নাগরিকদের ভিসা সেবা স্থগিত করে ভারত।
আরও পড়ুন: 'ফাইভ আইজ' দেশগুলোর গোয়েন্দা তথ্য কানাডাকে শিখ হত্যার সঙ্গে ভারতকে যুক্ত করতে সাহায্য করেছে: মার্কিন কূটনীতিক
ট্রুডো বৃহস্পতিবার(২৮ সেপ্টেম্বর) ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের তাৎপর্য নিয়ে কথা বলেন, তবে হত্যার তদন্ত অব্যাহত থাকবে বলেও জোর দেন।
তিনি বলেন, ‘একই সঙ্গে, স্পষ্টতই আইনের শাসনের দেশ হিসেবে আমাদের জোর দিতে হবে যে কানাডার সঙ্গে কাজ করতে হবে ভারতকে, যাতে আমরা এই বিষয়ে সম্পূর্ণ তথ্য পেতে পারি।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ভারত জোর দিয়ে বলেছে এই হত্যাকাণ্ডে তাদের কোনো ভূমিকা নেই এবং ২০২০ সালে দিল্লি নিজ্জারকে সন্ত্রাসবাদী বলে ঘোষণা করেছিল। যদিও তার সমর্থকরা দৃঢ়ভাবে সেটি অস্বীকার করে।
পশ্চিমা দেশগুলোতে শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদীদের খালিস্তান বা একটি পৃথক শিখ রাষ্ট্রের দাবির বিষয়ে ভারত সরকার সবসময়ই কঠোর প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও অস্ট্রেলিয়া দিল্লিকে তদন্তে সহায়তা করার আহ্বান জানিয়েছে। তবে তারা ভারতের সমালোচনা করেনি। যেটিকে তারা এশিয়ায় চীনের উত্থানের বিরুদ্ধে একটি প্রতিরক্ষামূলক হিসেবে বিবেচনা করে।
আরও পড়ুন: ভারতের বিশাল কৌশলগত গুরুত্বের তুলনায় কানাডার স্বার্থ ফিকে: বিশেষজ্ঞদের বরাত দিয়ে বিবিসি
১ বছর আগে
ঢাকা-বেইজিং সম্পর্ক উন্নয়নে কৌশলগত সহযোগিতা বাড়াতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ: রাষ্ট্রদূত ইয়াও
বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেছেন, চীন জাতীয় সার্বভৌমত্ব, স্বাধীনতা ও আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষায় এবং বহিরাগত হস্তক্ষেপের বিরোধিতা করতে বাংলাদেশকে সমর্থন করে, যাতে দেশটি অভ্যন্তরীণ ঐক্য ও স্থিতিশীলতা বজায় রেখে কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন করতে পারে।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ দৃঢ়ভাবে এক-চীন নীতি অনুসরণ করে এবং আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা বৃদ্ধিতে চীন যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে তার প্রশংসা করে। উভয় পক্ষ কৌশলগত সহযোগিতাকে আরও গভীর এবং এর ফলে নতুন যুগে চীন-বাংলাদেশ সম্পর্ককে উচ্চ স্তরে উন্নীত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশ ও চীন যৌথ উন্নয়নের ঘনিষ্ঠ অংশীদার।
আরও পড়ুন: কারো বিরুদ্ধে মার্কিন ভিসা নিষেধাজ্ঞা প্রয়োগের সম্ভাব্য কারণ কী হতে পারে?
সোমবার(২৫ সেপ্টেম্বর) রাতে গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের প্রতিষ্ঠার ৭৪তম বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।
চলতি বছর চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের দশম বার্ষিকী পালন করেছে।
চীনা রাষ্ট্রদূত বলেন,‘বিআরআই-এর অধীনে চীন ও বাংলাদেশের মধ্যে সহযোগিতাও সুফল পাওয়ার সময়ে প্রবেশ করেছে।’
বাংলাদেশই প্রথম দক্ষিণ এশিয়ার দেশ যারা বিআরআইতে যোগ দিয়েছে।
গত সাত বছরে, বিআরআই সোনালী বঙ্গোপসাগরে শিকড় গেড়েছে এবং প্রস্ফুটিত হয়েছে।
রাষ্ট্রদূত বলেন, পদ্মা বহুমুখী সেতু ও এর রেল সংযোগ, দশেরকান্দি স্যুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট, কর্ণফুলী নদীর তলদেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল এবং আরও অনেক মেগা প্রকল্প একের পর এক সম্পন্ন হয়েছে,যা বাংলাদেশে অবকাঠামোগত অবস্থার উন্নয়ন এবং জনগণের জীবনযাত্রার উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে।
আরও পড়ুন: ই-কোয়ালিটি সেন্টার ফর ইনক্লুসিভ ইনোভেশনের উদ্বোধন করলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিআরআই সম্পর্কে দৃঢ়ভাবে বলেছেন যে এটি বাংলাদেশের জন্য উন্নয়নের একটি নতুন দ্বার উন্মোচন করেছে।
রাষ্ট্রদূত ইয়াও বলেন, ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে দুই দেশের উচিত উন্নয়নের নতুন ঐতিহাসিক সুযোগগুলো কাজে লাগানো। উন্নয়ন কৌশলকে আরও সংহত করা, উচ্চমানের উন্নয়নের লক্ষ্যে বেল্ট অ্যান্ড রোড সহযোগিতা করা। এবং একে অপরের পূরক ও পরিপূরক হিসেবে আমাদের নিজ নিজ অর্থনৈতিক সুবিধাকাজে লাগানো।
তিনি বলেন, 'আমরা অবকাঠামো উন্নয়ন, তথ্য প্রযুক্তি, নতুন জ্বালানি, কৃষি ইত্যাদি ক্ষেত্রে সহযোগিতা আরও গভীর করতে পারি। যৌথ প্রচেষ্টায় আমরা অবশ্যই চীনা জাতির মহান পুনরুজ্জীবনের স্বপ্ন এবং বাংলাদেশের রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়ন করতে পারব।
আরও পড়ুন: মার্কিন ভিসা নিষেধাজ্ঞা: গণমাধ্যমের কথা উল্লেখ করেননি স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র
রাষ্ট্রদূত বলেন, দেশগুলোর মধ্যে সুসম্পর্ক ঘন ঘন যোগাযোগের মাধ্যমে জনগণের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক থেকে উদ্ভূত হয়। জনগণের মধ্যে মিথস্ক্রিয়া এবং সাংস্কৃতিক আদান-প্রদানকে আরও জোরদার করার জন্য এটি চীন ও বাংলাদেশের নেতারা একটি গুরুত্বপূর্ণ ঐকমত্যে পৌঁছেছে।
তিনি বলেন, ‘চীন আন্তর্জাতিক ভ্রমণ এবং কর্মী বিনিময়ের বিশাল চাহিদা মেটাতে একাধিক সুবিধামূলক ব্যবস্থা চালু করেছে।’
তিনি বলেন, আপাতত দুই দেশের মধ্যে প্রতি সপ্তাহে ৫০টি সরাসরি ফ্লাইট চলমান রয়েছে। এতে ১০ হাজার মানুষ যাতায়াত করছে।
আরও পড়ুন: জাতীয় সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বেইজিং ঢাকাকে সমর্থন করে: চীনা রাষ্ট্রদূত
১ বছর আগে
ইইউ ও বাংলাদেশ সুশাসনের মাধ্যমে পুষ্টি বৃদ্ধিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ
বাংলাদেশে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) প্রতিনিধিদল বাংলাদেশের জন্য খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা কর্মসূচির অংশীদারদের সহযোগিতায় একটি উচ্চ-পর্যায়ের অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
রবিবার ঢাকার একটি হোটেলে সরকারি-বেসরকারি সংস্থার অংশগ্রহণে ‘ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন অ্যান্ড দ্য গভর্নমেন্ট ইন পার্টনারশিপ ফর গুড নিউট্রিশন থ্রু গুড গভর্নেন্স’ শীর্ষক এ অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয়।
সকালের সেশনে প্রধান অতিথি ছিলেন কৃষিমন্ত্রী ড. মুহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক।
তিনি উল্লেখ করেন যে কৃষি মন্ত্রণালয় একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ এবং টেকসই কৃষি ব্যবস্থা গড়ে তোলাকে অগ্রাধিকার দিয়েছে এবং কৃষি উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি, কৃষি বিপণনের আধুনিকীকরণ এবং নতুন প্রযুক্তি গ্রহণের মাধ্যমে এটি অর্জনের লক্ষ্য রাখে।
বিকালের অধিবেশনে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব এম তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া।
তিনি বলেন, ‘পুষ্টি নিরাপত্তার জন্য বাংলাদেশ সরকারের দৃঢ় রাজনৈতিক সদিচ্ছা এবং নেতাদের সুস্পষ্ট প্রতিশ্রুতি দিয়ে সব ধরনের অপুষ্টির অবসান ঘটানো অপরিহার্য। এটি টেকসই, সহনশীল এবং পুষ্টি-সংবেদনশীল খাদ্য ব্যবস্থা ছাড়া অর্জন করা যাবে না।’
স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলাদেশে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি দলের কাউন্সেলর, টিম লিডার জুরেট স্মালস্কাইট মারভিল এবং সমাপনী বক্তব্য দেন বাংলাদেশে ইইউ রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ এফএও কাউন্সিলের সদস্য নির্বাচিত
উভয় ইইউ প্রতিনিধি ইভেন্ট চলাকালীন ভাগ করা অর্জনের ভিত্তিতে সারা বাংলাদেশে খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তার গুরুত্ব তুলে ধরেন।
তারা গো-এনজিও, প্রাইভেট সেক্টর, জাতিসংঘের এজেন্সি এবং সিএসও-এর মাধ্যমে এফএনএস এর হস্তক্ষেপে সমর্থন এবং বিনিয়োগ অব্যাহত রাখার গুরুত্বের ওপর জোর দিয়েছে।
এছাড়াও, খাদ্য পরিকল্পনা ও মনিটরিং ইউনিটের মহাপরিচালক, মমতাজ উদ্দিন এবং বাংলাদেশ জাতীয় পুষ্টি কাউন্সিলের মহাপরিচালক, ড. শাহরিয়ার কবির বিভিন্নখাতে অংশীদারিত্বের গুরুত্ব এবং উপজাতীয় শাসন কাঠামোর সক্ষমতা বৃদ্ধির গুরুত্ব তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক এবং মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সমন্বয় ও সংস্কার সচিব মো. মাহমুদুল হোসেন খান।
তিনটি প্যানেল সেশন নিয়ে ইভেন্টটি সাজানো হয়।
প্রথম প্যানেল অধিবেশন ছিল উৎপাদন থেকে পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণের ওপর। প্যানেলিস্টদের মধ্যে ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব (ওয়াহিদা আক্তার), খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব (মো. ইসমাইল হোসেন এনডিসি), এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (মো. আমিনুল ইসলাম)।
এটি পরিচালনা করেন পরিকল্পনা কমিশনের প্রাক্তন সদস্য ও বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি প্রফেসর ডক্টর সাত্তার মন্ডল।
দ্বিতীয় প্যানেল সেশনটি ছিল কীভাবে সামাজিক সুরক্ষা এবং শিক্ষার মাধ্যমে পুষ্টির ফলাফলকে সর্বাধিক করতে পারে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের নির্বাচন মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট ও ইইউ’র সঙ্গে সংযুক্ত নয়: রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
প্যানেলের সদস্যদের মধ্যে ছিলেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মিসেস নাজমা মোবারেক, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. বেলায়েত হোসেন তালুকদার এবং স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের সচিবরা মুস্তাকিম বিল্লাহ ফারুকী।
দ্বিতীয় অধিবেশনটি সঞ্চালনা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক কাজী মারুফুল ইসলাম।
তৃতীয় প্যানেল অধিবেশনের বিষয় ছিল পরিকল্পনা, বাজেট এবং বাস্তবায়ন জুড়ে পুষ্টির মূলধারা। প্যানেলিস্টদের মধ্যে রয়েছেন পরিকল্পনা কমিশনের সচিব আব্দুল বাকী, স্বাস্থ্য পরিষেবা বিভাগ ড. মো. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. নাহিদ রশীদ এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মিসেস দিলরুবা শাহীনা এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. আসরাফি আহমেদ এনডিসি।
অধিবেশনটি পরিচালনা করেন আইসিডিডিআর,বি -এর নির্বাহী পরিচালক ড. তাহমিদ আহমেদ।
বর্তমান খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা (এফএনএস) কর্মসূচি এফএনএস সেক্টরে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) এবং বাংলাদেশ সরকারের (জিওবি) মধ্যে দীর্ঘস্থায়ী সহযোগিতার অংশ।
আরও পড়ুন: উজরা জেয়ার সফর: রোহিঙ্গা, শ্রম, মানবাধিকার ও নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হবে
১ বছর আগে
বাংলাদেশ এসডিজি-৩ বাস্তবায়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কোভিড মহামারি, ইউক্রেন যুদ্ধ এবং বৈশ্বিক সংকটের কারণে সৃষ্ট চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও বাংলাদেশ এসডিজি-৩ সহ জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
নিউজিল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও চ্যাথাম হাউস কমিশনের কো-চেয়ার হেলেন ক্লার্ক আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
আরও পড়ুন: এসডিজি-১৬ নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী বাংলাদেশ: শাহরিয়ার আলম
শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকার লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের লক্ষ্যে জাতীয় স্বাস্থ্য কৌশলগত পরিকল্পনা ২০১১-২০৩০ বাস্তবায়নে কাজ করছে।
সাক্ষাতের সময় প্রধানমন্ত্রী ক্লার্ককে ফার্মাসিউটিক্যালস শিল্পের আরও উন্নয়নে তার সরকারের পদক্ষেপ সম্পর্কে অবহিত করেন।
তিনি ফার্মাসিউটিক্যালস সেক্টরে বাংলাদেশের সাফল্যের কথা উল্লেখ করে বলেন, এটি এখন ১০০টি দেশে ফার্মাসিউটিক্যাল পণ্য রপ্তানি করছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার দেশে কোভিড ও অন্যান্য ভ্যাকসিন তৈরির ওপর গবেষণার ওপর জোর দিয়েছে এবং যুক্তরাষ্ট্রের কারিগরি সহায়তায় গোপালগঞ্জে একটি ভ্যাকসিন উৎপাদন কেন্দ্র স্থাপন করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: এসডিজি অর্জনে দক্ষ জনবল গড়ে তোলার আহ্বান এফবিসিসিআই’র
জবাবে ক্লার্ক বলেন, বাংলাদেশ কোভিড ভ্যাকসিনের মতো বিশেষ ওষুধ রপ্তানিকারক হতে পারে।
আগামী সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে তার আসন্ন অংশগ্রহণের কথা উল্লেখ করে হাসিনা বলেন, তিনি নিউইয়র্কে ইউনিভার্সাল হেলথ কভারেজ এবং অন্যান্য পাবলিক ইস্যুতে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে যোগ দেওয়ার জন্য উন্মুখ।
বৈঠকে হেলেন ক্লার্ক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
ডব্লিউএইচওর মানসিক স্বাস্থ্য ও অটিজম বিষয়ক মহাপরিচালকের উপদেষ্টা সায়মা ওয়াজেদ, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন, স্বাস্থ্য সচিব ডা. মো. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন এবং ইউনিভার্সাল হেলথ সেন্টারের নির্বাহী পরিচালক রবার্ট ইয়েটস উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: এসডিজি বাস্তবায়নে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে: প্রধানমন্ত্রী
১ বছর আগে
প্রযুক্তিভিত্তিক পুলিশ সেবা সম্প্রসারণে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সোমবার বাংলাদেশের পুলিশকে সততা ও মানবতার সঙ্গে অক্লান্ত পরিশ্রমের মধ্যদিয়ে ‘জনগণের পুলিশ’ হিসেবে গড়ে তুলতে বলেছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি বাংলাদেশ পুলিশের প্রতিটি সদস্য মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও দেশপ্রেমের সঙ্গে তাদের দায়িত্ব পালন করবেন। আমি বিশ্বাস করি আপনারা সততা, নিষ্ঠা ও মানবতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের প্রত্যাশা অনুযায়ী বাংলাদেশ পুলিশকে 'জনগণের পুলিশ' হিসেবে গড়ে তুলতে অক্লান্ত পরিশ্রম করবেন।
আরও পড়ুন: যেকোনো সংকট এড়াতে খাদ্য উৎপাদন বাড়ান: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
মঙ্গলবার থেকে শুরু হতে যাওয়া পুলিশ সপ্তাহ-২০২৩ উপলক্ষে দেয়া এক বার্তায় প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ পুলিশের সাফল্যের কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে অভিযানে পুলিশ সাফল্য পেয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘তারা নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত করতে, মাদক, সাইবার অপরাধ, গুজব, মানি লন্ডারিং এবং মানব পাচার নির্মূলসহ রাষ্ট্রীয় সম্পদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে কার্যকর ভূমিকা পালন করে চলেছে।’
শেখ হাসিনা বলেন, পুলিশ, প্রশাসন ও অন্যান্য বাহিনীর সহযোগিতায় বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে সক্ষম হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমাদের পুলিশ সদস্যরা দেশের সীমানার বাইরে গিয়ে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে অনেক সম্মান ও মর্যাদা অর্জন করেছে।
তিনি কোভিড-১৯ মহামারি মোকাবেলায় পুলিশের অবদানের কথা স্মরণ করে বলেন, করোনাভাইরাস মোকাবিলায় পুলিশ সদস্যরা তাদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে জনগণের সেবায় অভূতপূর্ব ভূমিকা রেখেছেন।
১৯৯৬-২০০১ ও ২০০৯-এ পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কল্যাণে তার সরকারের গৃহীত পদক্ষেপের প্রতি আলোকপাত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার পুলিশের কল্যাণে প্রয়োজনীয় সবকিছু করেছে।
তিনি বলেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশে আমরা প্রযুক্তিভিত্তিক পুলিশিং সেবা সম্প্রসারণে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ২০০৯ সালে সরকার গঠনের পর থেকে গত ১৪ বছরে পুলিশ অর্গানোগ্রামে প্রয়োজনীয় সংখ্যক নতুন পদ সৃষ্টি করে জনবল নিয়োগ দিয়েছে।
এছাড়াও, তার সরকার শিল্প পুলিশ, ট্যুরিস্ট পুলিশ, নৌ পুলিশ, পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন অ্যান্ড অ্যান্টি-টেরোরিজম ও কাউন্টার-টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট ও মেট্রোপলিটন ইউনিট, সাইবার পুলিশ সেন্টার, ব্যাটালিয়ন, ইন-সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টার, পুলিশ স্টেশন, ইনভেস্টিগেশন সেন্টার, পুলিশ ফাঁড়ি এবং জাতীয় জরুরি পরিষেবা প্রদানের জন্য ৯৯৯ সহ বেশ কয়েকটি রেঞ্জ গঠন করেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা আইজিপির র্যাঙ্ক ব্যাজ পুনরায় চালু করেছেন এবং নারী, শিশু, বয়স্ক ও প্রতিবন্ধীদের জন্য সার্ভিস ডেস্ক চালু করেছেন।
তিনি আরও বলেন, আমরা বিট পুলিশিংয়ের মাধ্যমে জনগণের দোরগোড়ায় পুলিশি সেবা পৌঁছে দিচ্ছি।
পুলিশ সপ্তাহ উপলক্ষে তিনি বাংলাদেশ পুলিশের সকল সদস্যদের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।
শেখ হাসিনা ‘পুলিশ সপ্তাহ ২০২৩'-এর সকল কর্মসূচির সফলতা কামনা করেন।
আরও পড়ুন: দেশের প্রথম মেট্রোরেল উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
ছেলে-মেয়েকে নিয়ে সুন্দরবন ঘুরলেন প্রধানমন্ত্রী কন্যা
১ বছর আগে
বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ রাশিয়া: দূতাবাসের বিবৃতি
রাশিয়া বলেছে যে তারা বাংলাদেশ সহ অন্যান্য দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করার নীতিতে ‘সর্বদা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ’।
মঙ্গলবার ঢাকায় রাশিয়ান দূতাবাস এক বিবৃতিতে এ কথা জানিয়েছে।
এতে বলা হয়েছে,‘বাংলাদেশের মতো যে সকল রাষ্ট্র বাইরের শক্তির নেতৃত্ব অনুসরণ না করে তাদের নিজস্ব জাতীয় স্বার্থে তাদের পররাষ্ট্র ও অভ্যন্তরীণ নীতি গঠন করে, তারাও একই পন্থা অবলম্বন করে।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে ৩ লাখ মেট্রিক টন গম রপ্তানি করতে চায় রাশিয়া
দূতাবাস বলেছে যে রাশিয়া তাদের আরও উন্নয়নের উপায় স্বাধীনভাবে নির্ধারণ করতে এবং নব্য-ঔপনিবেশিক পদ্ধতির অধীন নয় এমন একটি ব্যবস্থা গঠনে দেশগুলোর আকাঙ্ক্ষাকে সম্পূর্ণ সমর্থন করে।
১৯৬৫ সালের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের অগ্রহণযোগ্যতা এবং তাদের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের সুরক্ষা সম্পর্কিত জাতিসংঘের ঘোষণা অনুসারে: ‘যে কোনো কারণে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে কোনও রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ বা বহিরাগত বিষয় অন্য কোনো রাষ্ট্রের হস্তক্ষেপ করার অধিকার নেই।’
দুর্ভাগ্যবশত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে (বিশেষ করে, স্নায়ুযুদ্ধ শেষ হওয়ার পরে)হস্তক্ষেপ না করার নীতি লঙ্ঘনের বিষয়টি বিশেষভাবে প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে। কারণ অনেকে বিশ্বাস করে যে তারা তাদের নিজস্ব স্বার্থে উক্ত নীতি লঙ্ঘন করতে পারে।
রাশিয়ান দূতাবাস বলেছে, ‘যারা নিজেদেরকে উন্নত গণতান্ত্রিক দেশ হিসাবে নিজেদের তুলে ধরে সেদেশগুলোর আধিপত্যবাদী উচ্চাকাঙ্ক্ষাগুলো সবচেয়ে স্পষ্টভাবে ফুটে উঠে।’
বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়,তারা শুধু সার্বভৌম জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রগুলোর অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপই করে না, বরং ব্ল্যাকমেইলিং, অবৈধ বিধিনিষেধ ইত্যাদির অবলম্বনও করে।’
অনেক দেশের সার্বভৌমত্ব অভূতপূর্ব ঝুঁকির সম্মুখীন হয়েছে উল্লেখ করে রাশিয়ান দূতাবাস বলেছে: ‘অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার বিভিন্ন উপায় রয়েছে। যেমনটি রাশিয়ান ফেডারেশনের ২০১৭ সালের প্রতিবেদন অনুযায়ী ফেডারেশন কাউন্সিলের রাষ্ট্রীয় সার্বভৌমত্ব রক্ষার অ্যাডহক কমিশন দ্বারা প্রমাণিত।
বিবৃতিতে বলা হয়, এই ধরনের পদক্ষেপগুলো বহুবিধ এবং এর মধ্যে রয়েছে নিয়ন্ত্রিত অ-বাণিজ্যিক একাধিক সংস্থা প্রতিষ্ঠা বা সমর্থন করা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কাজ করা, জনমত গঠনের জন্য গণমাধ্যম এবং সামাজিক নেটওয়ার্কগুলোর ব্যবহার, প্রতিবাদকে উস্কে দেয়া এবং ফেডারেল বা আঞ্চলিক নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করা।
এতে আরও উল্লেখ করা হয় যে কৌশলগত স্বাধীনতা এবং একটি ন্যায্য বিশ্বব্যবস্থার সার্বভৌম দৃষ্টিভঙ্গি বজায় রাখা দেশগুলোর বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য অন্যান্য সরঞ্জাম রয়েছে।
রাশিয়ার দূতাবাস বলছে, ‘গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ’ রক্ষার অজুহাতে যারা নিজেদেরকে ‘বিশ্বের শাসক’ বলে মনে করে তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার কাজ চলছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘এই ধরনের নীতি স্পষ্টতই বিশ্বব্যবস্থার স্থায়িত্বকে হ্রাস করে, বিশৃঙ্খলা ও বিপর্যয় ডেকে আনে। অসম্পূর্ণ তালিকায় যুগোস্লাভিয়া, ইরাক, লিবিয়া, ইয়েমেন, সিরিয়া এবং আফগানিস্তান অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।’
আরও পড়ুন: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সৃষ্ট খাদ্য ও জ্বালানি সংকটে উদ্বেগ প্রকাশ প্রধানমন্ত্রীর
রাশিয়া-ইউক্রেনসহ কোন দেশ থেকে খাদ্য আমদানিতে বাধা নেই: বাণিজ্যমন্ত্রী
১ বছর আগে
শ্রমিকের অধিকার ও কর্ম পরিবেশ নিশ্চিত করতে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ: আইনমন্ত্রী
শ্রমিকের অধিকার, ন্যায্য পাওনা ও কর্ম পরিবেশ নিশ্চিত করতে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
তিনি বলেন, ‘শ্রমিকের অধিকার, ন্যায্য পাওনা ও যথাযথ কাজের পরিবেশ নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে এবং সরকার এ কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
সোমবার (২১ মার্চ) রাতে সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) গভর্নিং বডির ৩৪৪তম অধিবেশনে বাংলাদেশের অবস্থান তুলে ধরতে গিয়ে এ কথা বলেন আইনমন্ত্রী।
পড়ুন: মানব পাচার প্রতিরোধে সমন্বিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন: আইনমন্ত্রী
১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাংলাদেশ কর্তৃক আইএলও'র ২৯টি দলিলে অনুসমর্থনের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে আনিসুল হক বলেন, বাংলাদেশ ইতোমধ্যে জোরপূর্বক বা জবরদস্তিমূলক শ্রম সংক্রান্ত আইএলও কনভেনশন, ১৯৩০ এর প্রটোকল-২০১৪ অনুসমর্থন করেছে যা দেশে শ্রম অধিকার নিশ্চিত করার পথে একটি কাযর্করী পদক্ষেপ। এছাড়া বাংলাদেশ গত মাসে কর্মে যোগদানের ন্যূনতম বয়স সম্পর্কিত আইএলও কনভেনশন ১৩৮ অনুসমর্থন করেছে।
তিনি বলেন, এ দুটি দলিলে অনুসমর্থন দানের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ আইএলও'র ৮টি মৌলিক দলিলে অনুসমর্থনদানকারী দেশের কাতারে যোগ দিতে যাচ্ছে।
কোভিড-১৯ অতিমারিকালে সরকারের গৃহীত বহুমুখী পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে আইনমন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনার সরকার উন্নত বিশ্বের সাথে সামঞ্জস্য রেখে শ্রমিকদের জন্য উন্নততর কাজের পরিবেশ তৈরির চলমান প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখবে। ট্রেড ইউনিয়ন নিবন্ধনকরণ, শ্রম সংক্রান্ত সরকারের সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানসমূহ শক্তিশালীকরণ ও শ্রমিকদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগসমূহ দ্রুততার সাথে নিষ্পত্তিকরণে গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপ কার্যকর করতে সরকার মালিক ও শ্রমিক পক্ষের সাথে নিবিড়ভাবে কাজ করে যাবে।
পড়ুন: কেবল আইন প্রয়োগের মাধ্যমে বৈষম্য নিরসন সম্ভব নয়: আইনমন্ত্রী
২ বছর আগে