রোড সেফটি ফাউন্ডেশন
মার্চে সড়কে নিহত ৬০৪, আহত সহস্রাধিক
গত মার্চ মাসে দেশে সড়কে দুর্ঘটনায় ৬০৪ জন নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে নারী ৮৯ জন ও শিশু ৯৭টি। শনিবার (১২ এপ্রিল) রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের একটি প্রতিবেদেন এমন তথ্য দেওয়া হয়েছে।
এতে বলা হয়, মার্চে দেশে ৫৮৭টি দুর্ঘটনা ঘটেছে। এ সময় আহত হয়েছেন এক হাজার ২৩১ জন।
৯টি জাতীয় দৈনিক, ৭টি অনলাইন নিউজ পোর্টাল, বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া এবং নিজস্ব তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে বলে দাবি করেছে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন।
আরও পড়ুন: গণপরিবহনে শৃঙ্খলায় রাজনৈতিক দলগুলোর হস্তক্ষেপ প্রয়োজন: রোড সেফটি ফাউন্ডেশন
এতে বলা হয়েছে, মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ২৩৩ জন, যা মোট প্রাণহানির ৪১.২২ শতাংশ। পথচারী নিহত হয়েছেন ১০৯ জন (১৮.০৪ শতাংশ) এবং যানবাহনের চালক ও সহকারী ৯৮ জন (১৬.২২ শতাংশ)।
এই সময়ে ৬টি নৌদুর্ঘটনায় ৯ জন নিহত, ১৪ জন আহত হয়েছেন। ১৬টি রেল ট্র্যাক দুর্ঘটনায় ১৯ জন নিহত এবং ৪ জন আহত হয়েছেন।
দুর্ঘটনায় যানবাহনভিত্তিক নিহতের পরিসংখ্যানে দেখা যায়—মোটরসাইকেল চালক ও আরোহী ২৩৩ জন (৩৮.৫৭ শতাংশ), বাসের যাত্রী ৩২ জন (৫.২৯শতাংশ), ট্রাক-পিকআপ-ট্রাক্টর-ট্রলি-ড্রাম ট্রাক-কার্গো ট্রাক আরোহী ৫৬ জন (৯.২৭শতাংশ), প্রাইভেটকার-মাইক্রোবাস-অ্যাম্বুলেন্স-জীপ আরোহী ১৭ জন (২.৮১শতাংশ), থ্রি-হুইলার যাত্রী (ইজিবাইক-সিএনজি-অটোরিকশা-অটোভ্যান) ১১৯ জন (১৯.৭০শতাংশ), স্থানীয়ভাবে তৈরি যানবাহনের যাত্রী (নসিমন-ভটভটি-পাখিভ্যান-মাহিন্দ্র-টমটম) ২৭ জন (৪.৪৭শতাংশ) এবং বাইসাইকেল-রিকশা আরোহী ১১ জন (১.৮২শতাংশ) নিহত হয়েছেন।
রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ বলছে, দুর্ঘটনাগুলোর মধ্যে ২২৮টি (৩৮.৮৪ শতাংশ) জাতীয় মহাসড়কে, ২৫৬টি (৪৩.৬১শতাংশ) আঞ্চলিক সড়কে, ৭২টি (১২.২৬ শতাংশ) গ্রামীণ সড়কে এবং ৩১টি (৫.২৮শতাংশ) শহরের সড়কে সংঘটিত হয়েছে।
এছাড়াও ১৫৩টি (২৬.০৬ শতাংশ) মুখোমুখি সংঘর্ষ, ২৫৮টি (৪৩.৯৫ শতাংশ) গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে, ১১৩টি (১৯.২৫ শতাংশ) পথচারীকে চাপা/ধাক্কা দেওয়ায়, ৪৭টি (৮ শতাংশ) যানবাহনের পেছনে আঘাত এবং ১৬টি (২.৭২ শতাংশ) অন্যান্য কারণে ঘটেছে।
আরও পড়ুন: নভেম্বরে সারাদেশে সড়কে ৪৬৭ জনের প্রাণহানি: রোড সেফটি ফাউন্ডেশন
এদিকে প্রতিবেদনে সড়ক দুর্ঘটনার ১০টি প্রধান কারণ উল্লেখ করে বেশকিছু সুপারিশ করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে— ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন, বেপরোয়া গতি, চালকের অদক্ষতা ও শারীরিক সমস্যা, ট্রাফিক আইনের অজ্ঞতা, দুর্বল ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা এবং চাঁদাবাজি।
এমন অবস্থায় দুর্ঘটনা রোধে ১০ দফা সুপারিশ দিয়েছে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন। এর মধ্যে রয়েছে— দক্ষ চালক তৈরি, চালকের কর্মঘণ্টা নির্ধারণ, বিআরটিএর সক্ষমতা বৃদ্ধি, ট্রাফিক আইনের কঠোর প্রয়োগ, মহাসড়কে স্বল্পগতির যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ এবং রেল ও নৌপথ সংস্কার।
২২ দিন আগে
ফেব্রুয়ারিতে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৫৭৮
এ বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে দেশে মোট ৫৯৬টি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে। এসব দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ৫৭৮ জন এবং কমপক্ষে ১ হাজার ৩২৭ জন আহত হয়েছেন। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে নারী ৭৩ জন ও শিশু ৮৭টি।
শনিবার (৮ মার্চ) দুপুরে এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উপস্থাপন করেছে বেসরকারি সংগঠন রোড সেফটি ফাউন্ডেশন।
৯টি জাতীয় দৈনিক, ৭টি অনলাইন নিউজ পোর্টাল, বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া ও নিজস্ব তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে সংগঠনটি।
রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২৪১টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ২২৭ জন যা মোট নিহতের ৩৯ দশমিক ২৭ শতাংশ। ফেব্রুয়ারিতে মোট সড়ক দুর্ঘটনার মধ্যে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার হার ৪০ দশমিক ৪৩ শতাংশ।
এছাড়া মাসজুড়ে সড়ক দুর্ঘটনায় ১১৪ জন পথচারী নিহত হয়েছেন যা মোট নিহতের ১৯ দশমিক ৭২ শতাংশ। যানবাহনের চালক ও সহকারী নিহত হয়েছেন ৮২ জন (১৪ দশমিক ১৮ শতাংশ)। একই সময়ে দুটি নৌ দুর্ঘটনায় ৪ জন নিহত ও ২ জন আহত হয়েছেন। এছাড়া ১৪টি রেল দুর্ঘটনায় ১৩ প্রাণহানি ও ৬ জন আহত হয়েছেন বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: গণপরিবহনে শৃঙ্খলায় রাজনৈতিক দলগুলোর হস্তক্ষেপ প্রয়োজন: রোড সেফটি ফাউন্ডেশন
দুর্ঘটনায় যানবাহনভিত্তিক নিহতের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, মোটরসাইকেলের চালক ও আরোহী ২২৭ জন, বাসযাত্রী ৩৩ জন, ট্রাক-পিকআপ-ট্রাক্টর-ট্রলি আরোহী ৫৬ জন, প্রাইভেটকার-মাইক্রোবাস আরোহী ২২ জন, থ্রি-হুইলার যাত্রী (ইজিবাইক-সিএনজি-অটোরিকশা-অটোভ্যান-লেগুনা) ৯২ জন, স্থানীয়ভাবে তৈরি যানবাহন (নসিমন-ভটভটি-মাহিন্দ্র-টমটম-এস্কেভেটর) ২০ জন ও বাইসাইকেল-রিকশার আরোহী নিহত হয়েছেন ১৪ জন।
দুর্ঘটনা সংঘটিত সড়কের ধরন
রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ বলছে, দুর্ঘটনাগুলোর মধ্যে ২০৯টি জাতীয় মহাসড়কে, ২৬৮টি আঞ্চলিক সড়কে, ৭৩টি গ্রামীণ সড়কে, ৪৬টি শহরের সড়কে সংঘটিত হয়েছে। এ সময় দুর্ঘটনায় সম্পৃক্ত যানবাহনের সংখ্যা ছিল মোট ৯৩৮টি।
৫৭ দিন আগে
জানুয়ারি মাসে সড়কে ৬০৮ প্রাণহানি
২০২৫ সালের প্রথম মাস জানুয়ারিতে দেশে মোট ৬২১টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৬০৮ জন নিহত ও ১ হাজার ১০০ জন আহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ৭২ জন নারী ছাড়াও রয়েছে ৮৪টি শিশু।
মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সড়ক নিরাপত্তা নিয়ে কাজ করা বেসরকারি প্রতিষ্ঠান রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা গেছে।
৯টি জাতীয় দৈনিক, ৭টি অনলাইন নিউজ পোর্টাল ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার তথ্যের ভিত্তিতে এই প্রতিবেদন তৈরি করেছে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন।
আরও পড়ুন: নভেম্বরে সারাদেশে সড়কে ৪৬৭ জনের প্রাণহানি: রোড সেফটি ফাউন্ডেশন
রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, জানুয়ারিতে সড়ক দুর্ঘটনায় ১৪৩ জন পথচারী নিহত হয়েছেন, যা মোট নিহতের ২৩ দশমিক ৫১ শতাংশ। এছাড়া যানবাহনের চালক ও সহকারী নিহত হয়েছেন ৭৩ জন (১২ শতাংশ)। এ সময় চারটি নৌ-দুর্ঘটনায় ৬ জন নিহত ও ২ জন আহত হয়েছেন। ২২টি রেল দুর্ঘটনায় ২৬ জন নিহত এবং আহত হয়েছেন ৭ জন।
নিজেদের পর্যবেক্ষণে সংস্থাটি জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে রয়েছে— দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেলের চালক ও আরোহী মিলে মোট ২৬৪ জন (৪৩ দশমিক ৪২ শতাংশ), বাসের যাত্রী ২৮ জন (৪ দশমিক ৬০ শতাংশ), ট্রাক-কাভার্ডভ্যান-পিকআপ-ট্রাক্টর-ট্রলি আরোহী ৩৪ জন (৫ দশমিক ৫৯ শতাংশ), প্রাইভেটকার-মাইক্রোবাস-অ্যাম্বুলেন্স আরোহী ১৯ জন (৩ দশমিক ১২ শতাংশ), থ্রি-হুইলার (ইজিবাইক-সিএনজি-অটোরিকশা-অটোভ্যান-লেগুনা) যাত্রী ৯০ জন (১৪ দশমিক ৮০ শতাংশ), নসিমন-ভটভটি-মাহিন্দ্র-টমটম ১৮ জন (২ দশমিক ৯৬ শতাংশ) এবং বাইসাইকেল-রিকশা আরোহী ১২ জন (১ দশমিক ৯৭ শতাংশ)।
তাদের পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ বলছে, দুর্ঘটনাগুলোর মধ্যে জাতীয় মহাসড়কে ২১৪টি (৩৪ দশমিক ৪৬ শতাংশ), আঞ্চলিক সড়কে ২৬৫টি (৪২ দশমিক ৬৭ শতাংশ), গ্রামীণ সড়কে ৯৬টি (১৫ দশমিক ৪৫ শতাংশ), শহরের সড়কে ৪২টি (৬ দশমিক ৭৬ শতাংশ) ও অন্যান্য স্থানে ৪টি (শূন্য দশমিক ৬৪ শতাংশ) সংঘটিত হয়েছে। এ ছাড়াও সংঘর্ষে ১৩৩টি (২১ দশমিক ৪১ শতাংশ), নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ২৫৮টি (৪১ দশমিক ৫৪ শতাংশ), পথচারীকে চাপা/ধাক্কা ১৪১টি (২২ দশমিক ৭০ শতাংশ), যানবাহনের পেছনে আঘাত ৭৫টি (১২ দশমিক ৭ শতাংশ) ও অন্যান্য কারণে ১৪টি (২ দশমিক ২৫ শতাংশ) ঘটেছে।
৮৯ দিন আগে
ডিসেম্বরে সারা দেশে সড়কে ঝরেছে ৫৩৯ প্রাণ
বিদায়ী বছরের ডিসেম্বর মাসে সারা দেশে মোট ৫০৪টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৫৩৯ জন মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। এসব দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৭৬৪ জন।
শনিবার (৪ জানুয়ারি) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন।
৯টি জাতীয় দৈনিক, ৭টি অনলাইন নিউজ পোর্টাল ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার তথ্যের ভিত্তিতে এই প্রতিবেদন তৈরি করেছে সংগঠনটি।
ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, এসব দুর্ঘটনার মধ্যে ৩টি নৌ-দুর্ঘটনায় ৩ জন নিহত ও ৪ জন আহত হয়েছেন; ১৯টি রেল দুর্ঘটনায় ১৪ জন নিহত ও ৫ জন আহত হয়েছেন।
মোট নিহতের মধ্যে ৭৯ জন নারী ও ৭৭টি শিশু রয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা গেছে।
এছাড়া, সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতদের মধ্যে ২০৬ জন (৩৮.২১ শতাংশ) মোটরসাইকেল আরোহী; ১১৪ জন (২১.১৫ শতাংশ) পথচারী ছিলেন, আর ৭২ জন (১৩.৩৫ শতাংশ) ছিলেন যানবাহনের চালক ও সহকারী।
রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের বিশ্লেষণ অনুযায়ী, জাতীয় মহাসড়কে ১৯৩টি (৩৮.২৯ শতাংশ); আঞ্চলিক সড়কে ২১৪টি (৪২.৪৬ শতাংশ); গ্রামীণ সড়কে ৫৫টি (১০.৯১ শতাংশ); শহুরে সড়কে ৩৮টি (৭.৫৩ শতাংশ) এবং অন্যান্য স্থানে ৪টি (০.৭৯ শতাংশ) দুর্ঘটনা ঘটেছে।
আরও পড়ুন: নভেম্বরে সারাদেশে সড়কে ৪৬৭ জনের প্রাণহানি: রোড সেফটি ফাউন্ডেশন
এসব দুর্ঘটনার মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষ ৯৮টি (১৯.৪৪ শতাংশ); নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুর্ঘটনা ঘটেছে ২৪৭টি (৪৯ শতাংশ); পথচারীকে চাপা বা ধাক্কা দেওয়ায় ১১৬টি (২৩ শতাংশ); যানবাহনের পেছনে ধাক্কার ঘটনা ৩৫টি (৬.৯৪ শতাংশ) এবং ৮টি (১.৫৮ শতাংশ) দুর্ঘটনা অন্যান্য কারণে ঘটেছে।
বেপরোয়া গাড়ি চালানো, মহাসড়কে ধীরগতির যানবাহন, চালকদের জন্য নির্ধারিত বেতন ও কর্মঘণ্টা না থাকা, অপর্যাপ্ত ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) সীমিত সক্ষমতা এবং গণপরিবহন খাতে চাঁদাবাজির প্রকোপসহ দেশের সড়কে হতাহতের সংখ্যা বেশি হওয়ার বেশ কয়েকটি কারণ চিহ্নিত করেছে সংস্থাটি।
গত নভেম্বর মাসে সারা দেশে ৫৪১টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৪৬৭ জন নিহত ও ৬৭২ জন আহত হয় বলে জানিয়েছিল রোডর সেফটি ফাউন্ডেশন।
১২০ দিন আগে
সেপ্টেম্বরে সারাদেশে সড়কে ৩৯৪ জন প্রাণ হারিয়েছে: রোড সেফটি ফাউন্ডেশন
রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের (আরএসএফ) সংকলিত তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে সারাদেশে ৩৯৮টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৩৯৪ জন নিহত হয়েছে।
নিহতদের মধ্যে ৪৮ জন নারী ও ৫৩ জন শিশু।
বেসরকারি সংস্থা আরএসএফ শনিবার (৮ অক্টোবর) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, ৯টি জাতীয় দৈনিক, ৭টি অনলাইন নিউজ পোর্টাল এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়ার তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে।
সারাদেশে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতদের মধ্যে ১৫১ জন (৩৮ দশমিক ৩২ শতাংশ) মোটরসাইকেল চালক; ১৬ (৪ দশমিক ০৬ শতাংশ) বাস যাত্রী; ১৫ (৩ দশমিক ৮০ শতাংশ) ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান, পিকআপের আরোহী এবং ৬৮ (১৭ দশমিক ২৫ শতাংশ) সিএনজি, ইজিবাইক ও অটোরিকশার মতো থ্রি-হুইলারের আরোহী ছিলেন।
রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের বিশ্লেষণ অনুযায়ী, জাতীয় মহাসড়কে ১৩৯ (৩৪ দশমিক ৯২ শতাংশ); আঞ্চলিক সড়কে ১৮৩ (৪৫ দশমিক ৯৭ শতাংশ); গ্রামীণ সড়কে ৪৯ (১২ দশমিক ৩১ শতাংশ); শহুরে সড়কে ২২ (৫ দশমিক ৫২ শতাংশ) এবং ৫ (১ দশমিক ২৫ শতাংশ) দুর্ঘটনা অন্যান্য জায়গায় ঘটেছে।
প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে যে সেপ্টেম্বর মাসে ঢাকা বিভাগে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক দুর্ঘটনা ঘটেছে। যেখানে ১২১টি দুর্ঘটনা ঘটেছে, যার ফলে ১১৬ জন নিহত হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঈদ যাত্রায় সড়ক দুর্ঘটনায় ২৮৫ জন নিহত, আহত ৪৫৪: আরএসএফ
সিলেট বিভাগে সর্বনিম্ন ২০টি দুর্ঘটনা হয়েছে, যেখানে ময়মনসিংহ বিভাগে সবচেয়ে কম ২৩ জনের প্রাণহানি ঘটেছে।
আরএসএফ’এর তথ্য অনুযায়ী, রাজধানী ঢাকায় ২৩টি দুর্ঘটনায় অন্তত ১৭ জন নিহত এবং ২১ জন আহত হয়েছেন।
সংস্থাটি দেশের সড়কে উচ্চ সংখ্যক হতাহতের জন্য দায়ী বেশ কয়েকটি কারণ চিহ্নিত করেছে।
যার মধ্যে রয়েছে- ১.ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন; ২.বেপরোয়া গতি; ৩.চালকদের বেপরোয়া মানসিকতা, অদক্ষতা ও শারীরিক-মানসিক অসুস্থতা; ৪.বেতন-কর্মঘন্টা নির্দিষ্ট না থাকা; ৫.মহাসড়কে স্বল্পগতির যানবাহন চলাচল; ৬.তরুণ-যুবদের বেপরোয়া মোটরসাইকেল চালানো; ৭.জনসাধারণের মধ্যে ট্রাফিক আইন না জানা ও না মানার প্রবণতা; ৮.দুর্বল ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা; ৯.বিআরটিএ’র সক্ষমতার ঘাটতি; ১০.গণপরিবহন খাতে চাঁদাবাজি।
আরএসএফ’এর তথ্য অনুযায়ী, আগস্ট মাসে সারা দেশে ৪০৩টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৩৭৮ জন প্রাণ হারিয়েছেন।
আরও পড়ুন: সেপ্টেম্বরে ৪০৭ সড়ক দুর্ঘটনায় ৪৭৬ জনের প্রাণহানি: আরএসএফ
ঈদের ছুটিতে সড়কে ৩৭৬ জনের প্রাণহানি: আরএসএফ
৫৭৪ দিন আগে
মে মাসে ৪৯১ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৪০৮: রোড সেফটি ফাউন্ডেশন
চলতি বছরের মে মাসে দেশে ৪৯১টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৪০৮ জন নিহত এবং আহত হয়েছেন ৬৩১ জন। নিহতের মধ্যে ৬৭ জন নারী এবং ৭৮ জন শিশু।
এই সময়ে ১৫৬টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ১৪১ জন নিহত হয়েছেন, যা মোট নিহতের ৩৪ দশমিক ৫৫ শতাংশ। দুর্ঘটনায় ১০৪ জন পথচারী নিহত হয়েছেন। যা মোট নিহতের ২৫ দশমিক ৪৯ শতাংশ।
এছাড়া যানবাহনের চালক ও সহকারী নিহত হয়েছেন ৭২ জন। যা মোট নিহতের ১৭ দশমিক ৬৪ শতাংশ।
এছাড়া মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার হার ৩১ দশমকি ৭৭ শতাংশ।
আরও পড়ুন: ভোলায় সড়ক দুর্ঘটনায় শ্বশুর-জামাইসহ নিহত ৩
শুক্রবার (৯ জুন) রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
নয়টি জাতীয় দৈনিক, সাতটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়ার তথ্যের ভিত্তিতে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে।
এই সময়ে ৬টি নৌ-দুর্ঘটনায় চার জন নিহত ও দুই জন নিখোঁজ রয়েছেন। ২৫টি রেলপথ দুর্ঘটনায় ২৩ জন নিহত এবং ছয় জন আহত হয়েছেন।
দুর্ঘটনায় যানবাহন ভিত্তিক নিহতের পরিসংখ্যান অনুসারে, মোটরসাইকেল চালক ও আরোহী ১৪১ জন (৩৪ দশমিক ৫৫ শতাংশ), বাসযাত্রী ছয় জন (১ দশমিক ৪৭ শতাংশ), ট্রাক-কাভার্ডভ্যান-পিকআপ-ট্রাক্টর-ট্রলি-লরি-ট্যাঙ্কার আরোহী ৩৬ জন (৮ দশমিক ৮২ শতাংশ), প্রাইভেটকার-মাইক্রোবাস-অ্যাম্বুলেন্স আরোহী ১৮ জন (৪ দশমিক ৪১ শতাং), থ্রি-হুইলার যাত্রী (ইজিবাইক-সিএনজি-অটোরিকশা-অটোভ্যান-মিশুক) ৬৮ জন (১৬ দশমিক ৬৬ শতাংশ), স্থানীয়ভাবে তৈরি যানবাহনের যাত্রী (নসিমন-করিমন-মাহিন্দ্র-ইটভাঙ্গা মেশিন গাড়ি) ১৫ জন (৩ দশমিক ৬৭ শতাংশ) এবং বাইসাইকেল-প্যাডেল রিকশা-রিকশাভ্যান আরোহী ২০ জন (৪ দশমিক ৯০ শতাংশ) নিহত হয়েছে।
রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ বলছে, দুর্ঘটনাগুলোর মধ্যে ১৬৫টি (৩৩ দশমিক ৬০ শতাংশ) জাতীয় মহাসড়কে, ২০১টি (৪০ দশমিক ৯৩ শতাংশ) আঞ্চলিক সড়কে, ৭৩টি (১৪ দশমিক ৮৬ শতাংশ) গ্রামীণ সড়কে, ৪৮টি (৯ দশমিক ৭৭ শর্তাংশ) শহরের সড়কে এবং অন্যান্য স্থানে চারটি (শূন্য দশমিক ৮১ শতাংশ) সংঘটিত হয়েছে।
আরও পড়ুন: নাটোরে সড়ক দুর্ঘটনায় অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য নিহত
বনানীতে ট্রাকের ধাক্কায় শ্রমিক নিহত, আহত ১
৬৯৫ দিন আগে
ঈদ যাত্রায় সড়ক দুর্ঘটনায় ২৮৫ জন নিহত, আহত ৪৫৪: আরএসএফ
রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের (আরএসএফ) প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ বছর ঈদুল ফিতরের ১৪ দিনে ২৪০টি সড়ক দুর্ঘটনায় অন্তত ২৮৫ জন নিহত ও ৪৫৪ জন আহত হয়েছেন।
৯টি জাতীয় দৈনিক, সাতটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়ার তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে।
প্রতিবেদনটিতে জানানো হয়েছে, মোট মৃত্যুর ৪৬ দশমিক ৬৬ শতাংশ মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার কারণে ঘটেছে, যা সমস্ত দুর্ঘটনার ৫২ দশমিক ৯১ শতাংশ।
মোট মৃতদের মধ্যে, ৫২ জন পথচারী ছিলেন; যা মোট মৃত্যুর ১৮ দশমিক ২৪ শতাংশ এবং ২৭ জন চালক ও হেলপার ছিলেন; যা মোট মৃত্যুর ৯ দশমিক ৪৭ শতাংশ।
প্রতিবেদনে দেখা যায় যে দুর্ঘটনায় জড়িত যানবাহনের মধ্যে মোটরসাইকেল ৩২ দশমিক ১১ শতাংশ, বাস ১৪ দশমিক ১২ শতাংশ এবং থ্রি-হুইলার ১৬ দশমিক ৮৫ শতাংশ।
১৮ দশমিক ৩৩ শতাংশ দুর্ঘটনা মুখোমুখি সংঘর্ষ, ৪৬ দশমিক ৬৬ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে, ২২ দশমিক ০৮ শতাংশ দুর্ঘটনা পথচারীদের ধাক্কা দিয়ে, ৯ দশমিক ১৬ শতাংশ যানবাহনের পেছনের অংশে আঘাত করে এবং ৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ অন্যান্য কারণের কারণে ঘটেছে।
আরও পড়ুন: ফেব্রুয়ারি মাসে সড়ক দুর্ঘটনায় ৪৮৭ জন মারা গেছে: রোড সেফটি ফাউন্ডেশন
পরিসংখ্যান দেখায় যে ঢাকা বিভাগে সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে, যথাক্রমে ২৮ দশমিক ৩৩ শতাংশ এবং ২৬ দশমিক ৩১ শতাংশ।
সবচেয়ে কম দুর্ঘটনা ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে চাঁদপুর, কক্সবাজার, রাঙামাটি, মাগুরা ও বরগুনা জেলায়।
প্রতিবেদনে সুপারিশ করা হয়েছে যে দক্ষ চালক তৈরির প্রচেষ্টা নেওয়া উচিত এবং চালকদের বেতন এবং কাজের সময় নির্দিষ্ট করতে হবে।
এতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ) এর সক্ষমতা বাড়াতে হবে এবং পরিবহন অপারেটর, যাত্রী এবং পথচারীদের জন্য ট্রাফিক আইনের প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে।
প্রতিবেদনে হাইওয়েতে কম গতির যানবাহনের জন্য সার্ভিস রোড তৈরি এবং পর্যায়ক্রমে সমস্ত হাইওয়েতে রোড ডিভাইডার নির্মাণের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
অন্যান্য সুপারিশের মধ্যে রয়েছে গাড়ির গতি নিয়ন্ত্রণে প্রযুক্তি ব্যবহার করা, গণপরিবহনে চাঁদাবাজি বন্ধ করা, সড়কে চাপ কমাতে রেলপথ ও নৌপথ সংস্কার করা, মোটরসাইকেল ব্যবহার নিরুৎসাহিত করা এবং টেকসই পরিবহন কৌশল বাস্তবায়ন করা।
আরএসএফ সরকারকে ‘রোড ট্রান্সপোর্ট অ্যাক্ট- ২০১৮’- এর সুষ্ঠু প্রয়োগ নিশ্চিত করতে এবং ঈদের আগে এবং পরে সড়ক, সমুদ্র ও রেলপথে আরও প্রাণহানি রোধ করার জন্য একটি কঠোর মনিটরিং ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করার আহ্বান জানায়।
আরও পড়ুন: সেপ্টেম্বরে ৪০৭ সড়ক দুর্ঘটনায় ৪৭৬ জনের প্রাণহানি: আরএসএফ
ঈদের ছুটিতে সড়কে ৩৭৬ জনের প্রাণহানি: আরএসএফ
৭৩৩ দিন আগে
ফেব্রুয়ারি মাসে সড়ক দুর্ঘটনায় ৪৮৭ জন মারা গেছে: রোড সেফটি ফাউন্ডেশন
নিরাপদ সড়কের জন্য প্রচারণা চালানো সংস্থা রোড সেফটি ফাউন্ডেশন (আরএসএফ)-এর সর্বশেষ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে সারাদেশে ৪৩৯টি সড়ক দুর্ঘটনায় অন্তত ৪৮৭ জন নিহত এবং ৭১২ জন আহত হয়েছেন।
বুধবার প্রকাশিত এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সারাদেশে ১৮৩টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ৯৬ জন নিহত হয়েছে; যা মোট মৃত্যুর ৪০ দশমিক ২৪ শতাংশ।
নিহতদের মধ্যে ৫৪ জন নারী এবং ৬৮ জন শিশু।
৯টি নৌপথ দুর্ঘটনায় ১৬ জন নিহত ও সাতজন আহত হয়েছেন এবং একই সময়ে ১৭টি রেল দুর্ঘটনায় অন্তত ১৪ জন নিহত ও পাঁচজন আহত হয়েছেন।
আরএসএফ ৯টি জাতীয় দৈনিক, সাতটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়ার তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে।
আরও পড়ুন: সেপ্টেম্বরে ৪০৭ সড়ক দুর্ঘটনায় ৪৭৬ জনের প্রাণহানি: আরএসএফ
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সড়ক দুর্ঘটনায় অন্তত ১০৮ জন পথচারী নিহত হয়েছেন, যা মোট মৃত্যুর ২২ দশমিক ১৭ শতাংশ। প্রায় ৭২ জন চালক ও তাদের সহকারী নিহত হয়েছেন; যা মোট মৃত্যুর ১৪ দশমিক ৭৮ শতাংশ।
আরএসএফ-এর পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ অনুসারে, জাতীয় সড়কে সর্বোচ্চ ১৬৮টি (৩৮ দশমিক ২৬ শতাংশ) দুর্ঘটনা ঘটেছে, ১৭৭টি (৪০ দশমিক ৩১ শতাংশ) আঞ্চলিক সড়কে, ৬১টি (১৩ দশমিক ৮৯ শতাংশ) গ্রামীণ সড়কে এবং ২৯টি (৬ দশমিক ৬০ শতাংশ) শহরের সড়কে।
অন্যদিকে, মোট দুর্ঘটনার মধ্যে সর্বোচ্চ ২০১টি (৪৫ দশমিক ৭৮ শতাংশ) নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে, ৬৮টি (১৫ দশমিক ৪৮ শতাংশ) সংঘর্ষের কারণে, ১১২টি দুর্ঘটনা (২৫ দশমিক ৫১ শতাংশ) ঘটেছে পথচারীদের চাপা/ ধাক্কা দিয়ে, ৪৭টি দুর্ঘটনা (১০ দশমিক ৭০ শতাংশ) গাড়ির পিছনের দিকে আঘাত করায় এবং ১১টি (২ দশমিক ৫০ শতাংশ) অন্যান্য কারণে ঘটেছে।
ঢাকা বিভাগে সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা ও মৃত্যু ঘটেছে, যার পরিমাণ ২৪ দশমিক ৮৪ শতাংশ; রাজশাহী বিভাগে ১৯ দশমিক ৭১ শতাংশ মৃত্যু; চট্টগ্রাম বিভাগে ১৮ দশমিক ৮৯ শতাংশ এবং খুলনা বিভাগে ৯ দশমিক ৮৫ শতাংশ মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঈদের ছুটিতে সড়কে ৩৭৬ জনের প্রাণহানি: আরএসএফ
এপ্রিলে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৫৪৩: আরএসএফ
৭৮৮ দিন আগে
মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় এ বছর ২০৯৭ জনের প্রাণহানি
বাংলাদেশে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় হতাহতের সংখ্যা গত বছরের তুলনায় ১৯.২৮% বৃদ্ধি পেয়েছে। এ বছরের অক্টোবর পর্যন্ত দুই হাজার তিনটি দুর্ঘটনায় দুই হাজার ৯৭ জনের প্রাণহানি হয়েছে।
আরও পড়ুন: শেরপুরে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত ১
রবিবার রোড সেফটি ফাউন্ডেশন ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত বাংলাদেশে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার একটি নতুন প্রতিবেদনে এই তথ্য প্রকাশ করেছে।
গত বছর প্রথম ১০ মাসে এক হাজার ৬৫৩টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় এক হাজার ৭৫৮ জন নিহত হয়েছে।
এটি বলেছে যে এই বছরের তুলনায় এই সময়ের মধ্যে দুর্ঘটনার সংখ্যা ২১ দশমিক ১৭ শতাংশ বেড়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিহতদের মধ্যে ৭৬৪ জন ছাত্র, যা মোট মৃত্যুর ৩৬ দশমিক ৪৩ শতাংশ এবং চার দশমিক ৩৮ শতাংশ মোটরসাইকেলের দ্বারা আঘাতপ্রাপ্ত পথচারী।
আরও পড়ুন: বরগুনায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ৩ কিশোরের মৃত্যু
৯টি জাতীয় দৈনিক, সাতটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়ার প্রতিবেদনের ভিত্তিতে সড়ক নিরাপত্তা ফাউন্ডেশন এ প্রতিবেদন তৈরি করেছে।
মোট দুর্ঘটনার মধ্যে ৩৭৪টি অন্য যানবাহনের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। ৬২৯টি ঘটনায় মোটরসাইকেল চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে। ৯৫৮টি দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল অন্য যানবাহনের সঙ্গে ধাক্কা লেগেছে এবং ৪২টি অন্যান্যভাবে ঘটেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই দুই হাজার তিনটি দুর্ঘটনার মধ্যে ৮৩৭টির ক্ষেত্রে মোটরসাইকেল চালকরা ঘটনার জন্য দায়ী ছিল।
গ্রুপের পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ বলছে, আঞ্চলিক সড়কে ৮৭৯টি, জাতীয় সড়কে ৬৯৫টি এবং গ্রামের সড়কে ১০২টি দুর্ঘটনা ঘটেছে।
আরএসএফ বিশ্লেষণ অনুসারে, দুর্ঘটনার ২৬ দশমিক ৮০ সকালে এবং ২৩ দশমিক ৩৬ শতাংশ রাতে ঘটেছে।
আরও পড়ুন: সাভারে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ১৬ বছরের কিশোর নিহত
কারণ
আরএসএফ যুবক, কিশোরদের বেপরোয়া গাড়ি চালানো, দ্রুতগতির মোটরসাইকেলের সহজলভ্যতা, শিথিল ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা, নজরদারিতে অসঙ্গতি, সব যানের বেপরোয়া গতি, অদক্ষ চালক, মোটরসাইকেল চালকদের ট্রাফিক নিয়ম না মানার প্রবণতা, যুবকদের অতিরিক্তগতিতে গাড়ি চালানোর উৎসাহমূলক ভাষা বিজ্ঞাপনে ব্যবহারা করা। সড়ক ও মহাসড়কে ডিভাইডারের অভাব এবং বেপরোয়া মোটরসাইকেল চালানোর সংস্কৃতি তৈরিতে রাজনৈতিক মদদই দুর্ঘটনা বৃদ্ধির প্রধান কারণ।
আরও পড়ুন: ঝিকরগাছায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় যুবক নিহত
সুপারিশ
গ্রুপটি তাদের প্রতিবেদনে যুবকদের বেপরোয়া গাড়ি চালানো বন্ধ করতে এবং দ্রুতগতির যানবাহনের বিক্রি নিয়ন্ত্রণে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করেছে।
এতে ট্রাফিক আইনের কঠোর প্রয়োগ, মোটরসাইকেল ও কম গতির যানবাহনের জন্য মহাসড়কে সার্ভিস রোড নির্মাণ, পর্যায়ক্রমে সব মহাসড়কে রোড ডিভাইডার স্থাপন, গতি নিরীক্ষণ ও নিয়ন্ত্রণে প্রযুক্তি ব্যবহারের পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
আরএসএফ সুপারিশ করে যে রাস্তাগুলোতে এই ধরনের দুর্ভাগ্যজনক মৃত্যু বন্ধ করতে গণপরিবহনের উন্নতি এবং আরও সহজলভ্য করে মোটরসাইকেল চালানোকে নিরুৎসাহিত করা উচিত।
আরও পড়ুন: ক্যাম্পাসে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় চবির শিক্ষক নিহত
৮৯৬ দিন আগে
আগস্টে ৪৫৮ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৫১৯
গেল আগস্ট মাসে দেশে ৪৫৮টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৫১৯ জন নিহত এবং ৯৬১ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন।
শনিবার (৩ সেপ্টেম্বর) রোড সেফটি ফাউন্ডেশন এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে।
জাতীয় দৈনিক, অনলাইন নিউজ পোর্টাল এবং ইলেক্ট্রনিক গণমাধ্যমের তথ্যের ভিত্তিতে সংগঠনটি এই প্রতিবেদন তৈরি করেছে।
এ সময়ে ১১টি নৌ-দুর্ঘটনায় ৮ জন নিহত এবং ৬ জন নিখোঁজ রয়েছে। ২৩টি রেলপথ দুর্ঘটনায় ২৪ জন নিহত এবং ৯ জন আহত হয়েছে।
নিহতের মধ্যে নারী ৬৪, শিশু ৬৯। ১৮৩টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত ১৭২ জন, যা মোট নিহতের ৩৩.১৪ শতাংশ। মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার হার ৩৯.৯৫ শতাংশ। দুর্ঘটনায় ১০৯ জন পথচারী নিহত হয়েছে, যা মোট নিহতের ২১ শতাংশ। যানবাহনের চালক ও সহকারী নিহত হয়েছেন ৯৪ জন, অর্থাৎ ১৮.১১ শতাংশ।
রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ বলছে, আগস্ট মাসে সড়ক দুর্ঘটনায় হতাহতদের মধ্যে ১৭২ জন চালক ও আরোহী, ২১ জন বাস যাত্রী, ট্রাক, কাভার্ডভ্যান, পিকআপ, ট্রলি, লরি আরোহী ৪৫ জন, মাইক্রোবাস, প্রাইভেট কার, জিপ যাত্রী ২৯ জন, থ্রি-হুইলার যাত্রী (ইজিবাইক, সিএনজি, অটোরিকশা, অটোভ্যান, লেগুনা, হিউম্যান হলার) ১০১ জন, স্থানীয়ভাবে তৈরি যানবাহনের যাত্রী (নসিমন, ভটভটি, মাহিন্দ্র, টমটম, ইটভাঙ্গার মেশিন গাড়ি) ২৩ জন এবং বাইসাইকেল, প্যাডেল রিকশা, প্যাডেল ভ্যান আরোহী ১৯ জন রয়েছে।
পড়ুন: চট্টগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় স্কুলশিক্ষকসহ নিহত ২
এতে বলা হয়, আগস্ট মাসে মোট দুর্ঘটনাগুলোর মধ্যে ১৮৭টি (৪০ দশমিক ৮২ শতাংশ ) জাতীয় মহাসড়কে, ১৫২টি (৩৩ দশমিক ১৮ শতাংশ) আঞ্চলিক সড়কে, ৭৯টি (১৭ দশমিক ২৪ শতাংশ) গ্রামীণ সড়কে এবং ৩১টি (৭ দশমিক ৭৬ শতাংশ) শহরের সড়কে এবং অন্যান্য স্থানে ৯টি অর্থাৎ এক দশমিক ৯৬ শতাংশ সংঘটিত হয়েছে।
দুর্ঘটনার বিভাগের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ঢাকা বিভাগে দুর্ঘটনা ২৭ দশমিক ৭২ শতাংশ, রাজশাহী বিভাগে ১৫ দশমিক ২৮ শতাংশ, চট্টগ্রাম বিভাগে দুর্ঘটনা ২১ দশমিক ৬১ শতাংশ, খুলনা বিভাগে ১০ দশমিক চার শতাংশ, বরিশাল বিভাগে চার দশমিক ৮০ শতাংশ, সিলেট বিভাগে চার দশমিক ১৪ শতাংশ, রংপুর বিভাগে আট দশমিক ৯৫ শতাংশ এবং ময়মনসিংহ বিভাগে সাত দশমিক ৪২ শতাংশ দুর্ঘটনা ঘটেছে।
আরএসএফ সড়ক দুর্ঘটনার ক্রমবর্ধমান প্রবণতার পিছনে বেশ কয়েকটি প্রধান কারণ চিহ্নিত করেছে।
সেগুলোর মধ্যে রয়েছে ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন, বেপরোয়া গতি, চালকদের বেপরোয়া মানসিকতা, অদক্ষতা ও শারীরিক-মানসিক অসুস্থতা, বেতন ও কর্মঘন্টা নির্দিষ্ট না থাকা, মহাসড়কে স্বল্পগতির যানবাহন চলাচল, তরুণ ও যুবদের বেপরোয়া মোটরসাইকেল চালানো, জনসাধারণের মধ্যে ট্রাফিক আইন না জানা ও না মানার প্রবণতা, দুর্বল ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা, বিআরটিএ’র সক্ষমতার ঘাটতি ও গণপরিবহন খাতে চাঁদাবাজি।
আরএসএফ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে সমস্যার সমাধানের জন্য এবং সেগুলো ঠিক করার জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
পড়ুন: বগুড়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় পুলিশ সদস্য নিহত
রাজধানীতে সড়ক দুর্ঘটনায় ট্রাফিক পুলিশ নিহত
৯৭৫ দিন আগে