অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল
অ্যামনেস্টি'র বিবৃতি বাংলাদেশবিরোধী ষড়যন্ত্রমূলক: তথ্যমন্ত্রী
বাংলাদেশ বিষয়ে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের সাম্প্রতিক বিবৃতিকে এ দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
শনিবার (২৪ জুন) সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত 'গৌরব, ঐতিহ্য, সংগ্রাম ও সাফল্যের ৭৪ বছর'- শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন। এতে সভাপতিত্ব করেন উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ সালাম।
মন্ত্রী বলেন, 'আজকে পত্রিকায় দেখলাম অ্যামনেস্টি ইান্টারন্যাশনাল বিবৃতি দিয়েছে- আমাদের দেশে যারা র্যাবে কাজ করবে কিংবা যদি কেউ মানবাধিকার লংঘনের সাথে যুক্ত থাকে তাদেরকে যেন স্ক্রিনিং করা হয় এবং জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনীতে না নেওয়া হয়।'
তিনি বলেন, 'আমরা অ্যামনেস্টিকে চিনি, তারেক রহমানের বেয়াইন আইরিন খান অ্যামনেস্টির জেনারেল সেক্রেটারি ছিলেন। এখনো অ্যামনেস্টির সাথে যুক্ত আছেন। তিনি তারেক রহমানের বউয়ের চাচাতো বোন। এই অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল যুদ্ধাপরাধীদের যখন বিচার শুরু হলো, তখন যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বন্ধ করার জন্য বিবৃতি দিয়েছিল। ২০১৩, ১৪ ও ১৫ সালে যখন বিএনপি-জামাত মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করছিল তখন সেটার বিরুদ্ধে কোনো বিবৃতি দেয়নি।'
হাছান মাহমুদ বলেন, 'অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ও হিউম্যান রাইটস ওয়াচ-এগুলোর বিবৃতি কিভাবে হয়, কোথায় ড্রাফট হয়, আর কিসের বিনিময়ে এদের বিবৃতি আসে সেটা আমরা জানি। যারা যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষা করার জন্য বিবৃতি দেয়, ফিলিস্তিনে পাখি শিকারের মতো যেভাবে মানুষ শিকার করা হয় তখন ইসরাইলের বিপক্ষে কোনো বিবৃতি দেয় না, আমাদের এ সব বিষয় নিয়ে বিবৃতি দেওয়ার নৈতিক কোনো অধিকার তাদের নাই।'
এই দুটি সংগঠন আমাদের দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারীদের সাথে হাত মিলিয়েছে উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, 'তাদের ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। এই বিবৃতির কোনো মূল্য নাই, সুতরাং এগুলোতে বিভ্রান্ত হবার কোনো দরকার নাই। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ যখন বঙ্গবন্ধু ও আমাদের পূর্বসূরি মুক্তিযোদ্ধাদের স্বপ্ন পূরণের পথে অদম্য গতিতে এগিয়ে চলছে তখন আজকে আবার দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক অপশক্তি এক হবার চেষ্ঠা করছে। দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে।'
তিনি বলেন, 'সেই কারণে আজকে বিএনপি-জামাতের পক্ষ থেকে দেশের বিরুদ্ধে লবিস্ট নিয়োগ করা হয়েছে। সেই লবিষ্টের পেছনে মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার খরচ করে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে কয়েকটা বিবৃতি আর কিছু কিছু কংগ্রেসম্যান কিংবা ইউরোপিয়ান পার্লামেন্ট মেম্বারের চিঠি ক্রয় করা হয়।'
আরও পড়ুন: বিএনপির তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি মাঠে মারা গেছে: তথ্যমন্ত্রী
আগামী নির্বাচন ভূমি ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান আওয়ামী লীগের ৭৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এ আয়োজনে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে কথা বলেন।
তিনি বলেন, 'আগামী নির্বাচন হচ্ছে দেশের ভুমি ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার নির্বাচন। দেশ কি পাকিস্তান হবে না কি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়ন অগ্রযাত্রার অভিযাত্রায় আরো দ্রুত বেগে এগিয়ে চলবে, সেটির ফয়সালা হবার নির্বাচন। দেশে কোনো তাঁবেদারি সরকার, যারা দেশের সার্বভৌমত্ব বিকিয়ে দিবে তারা বসবে, না কি স্বাধীনচেতা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার থাকবে সেটি ফয়সালা হবার নির্বাচন।'
তথ্যমন্ত্রী বলেন, 'সমাগত এই নির্বাচন আমাদের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। এই নির্বাচন হচ্ছে দেশের সার্বভৌমত্ব ও ভুমি রক্ষার নির্বাচন। এই নির্বাচনের মাধ্যমে ফয়সালা হবে দেশের সার্বভৌমত্ব থাকবে নাকি সমুদ্রের একটা অংশ কেউ নিয়ে যাবে, আমাদের কোনো দ্বীপ অন্য কোনো দেশের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এই নির্বাচনে ফয়সালা হবে দেশে কি 'হামিদ কারজাই' মার্কা তাঁবেদারি সরকার হবে নাকি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়ন অগ্রগতি অব্যাহত থাকবে।'
আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের আত্মতুষ্ঠিতে না ভোগার অনুরোধ জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, 'বিএনপি-জামাত দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। সুতরাং আগামী নির্বাচন সম্পর্কে আমাদেরকে সজাগ থাকতে হবে। দল আজকে সাড়ে ১৪ বছর ধরে ক্ষমতায়। সাড়ে ১৪ বছর আগের চিত্র আর আজকের চিত্র মানুষের সামনে তুলে ধরুন, সেই উন্নয়নের চিত্রগুলোই ফেসবুকসহ সাধারন মানুষের সামনে তুলে ধরতে হবে। শুধু নিজের ছবি ফেসবুকে দেওয়া কর্মী, উদ্ধত আচরণের কর্মী আমাদের প্রয়োজন নাই, তারা দলের জন্য বোঝা, তাদের দায়-দায়িত্ব দল নেবে না।’
চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ আতাউর রহমান, সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক মঈনুদ্দীন, এ টি এম পেয়ারুল ইসলাম, আবুল কালাম আজাদ, আফতাব উদ্দিন চৌধুরী, সাংগঠনিক সসম্পাদক খাদিজাতুল আনোয়ার সনি প্রমুখ সভায় বক্তব্য রাখেন।
আরও পড়ুন: আমরা চাই বিএনপি পূর্ণশক্তিতে নির্বাচনে অংশ নিক: তথ্যমন্ত্রী
জামায়াতকে দিয়ে আসন্ন জাতীয় নির্বাচন প্রতিহত করার বিষয়ে বলিয়েছে বিএনপি: হাছান মাহমুদ
১ বছর আগে
ফেসবুকে রোহিঙ্গা বিরোধী ঘৃণামূলক বক্তব্য রোধে ব্যর্থ হয়েছে মেটা, অ্যামনেস্টির নিন্দা
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের প্রতি ঘৃণামূলক বক্তব্য রোধে ব্যর্থ হওয়ায় মাধ্যমটির প্রধান কোম্পানি মেটাকে নিন্দা জানিয়েছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।
পাঁচ বছর আগে ফেসবুকের অ্যালগরিদম রোহিঙ্গাবিরোধী বিষয়বস্তু ‘সক্রিয়ভাবে বর্ধিত’ হয়েছে বলে সংস্থাটির প্রতিবেদনে অভিযোগ করা হয়। যেখানে অ্যামনেস্টি মেটার কাছে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ক্ষতিপূরণ চেয়েছে।
বৃহস্পতিবার প্রকাশিত 'দ্য সোশ্যাল অ্যাট্রোসিটি: মেটা অ্যান্ড দ্য রাইট টু রেমেডি ফর দ্য রোহিঙ্গা' শীর্ষক প্রতিবেদনেন বিশ্বব্যাপী সংস্থাটি দাবি করেছে যে ফেসবুকের অ্যালগরিদম সিস্টেম মিয়ানমারে ক্ষতিকারক রোহিঙ্গাবিরোধী কন্টেন্ট প্রসারে ভূমিকা রেখেছে, কিন্তু মাধ্যমটি এখনও এ নিয়ে কাজ করতে ব্যর্থ হয়েছে।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের মহাসচিব অ্যাগনেস ক্যালামার্ড বলেন, ‘২০১৭ সালে মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর জাতিগত নির্মূল অভিযানের অংশ হিসেবে রোহিঙ্গাদের হত্যা, নির্যাতন, ধর্ষণ ও হাজার হাজার রোহিঙ্গাকে বাস্তুচ্যুত করা হয়। নৃশংসতার দিকে অগ্রসর হওয়া মাস ও বছরগুলোতে ফেসবুকের অ্যালগরিদম রোহিঙ্গাদের প্রতি ঘৃণার ঝড়কে তীব্র করে তুলেছিল যা চলমান বিশ্বের সহিংসতায় অবদান রাখে।’
আরও পড়ুন: আর সম্ভব নয়, রোহিঙ্গাদের ফিরে যেতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘যখন মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী রোহিঙ্গাদের প্রতি মানবতাবিরোধী অপরাধ করছে, তখন মেটা ঘৃণা আবর্তনমূলক অ্যালগরিদমের কারণে লাভবান হচ্ছিল। এর দায়ভার অবশ্যই মেটাকে নিতে হবে। কোম্পানির এখন দায়িত্ব হচ্ছে, যারা তাদের বেপরোয়া কর্মে সহিংস পরিণতি ভোগ করেছে তাদের ক্ষতিপূরণ প্রদান করা।’
২১ বছর বয়সী রোহিঙ্গা শরণার্থী সাওয়ায়েদুল্লাহ অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালকে বলেন, ‘আমি ফেসবুকে অনেক ভয়ংকর জিনিস দেখেছি। এবং আমি শুধু ভাবতাম যে যারা পোস্ট করেছে শুধু তারাই খারাপ… তখন আমি বুঝতে পারলাম যে শুধু এই লোকগুলোই নয়, ফেসবুকও দায়ী। ফেসবুক তাদের প্ল্যাটফর্মে পদক্ষেপ না নিয়ে বরং তাদের সাহায্য করছে।’
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা সংকটের স্থায়ী সমাধানে জাপানের সমর্থন চায় বাংলাদেশ
২০১৭ সালে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সবচেয়ে জঘন্য জাতিগত নির্মূল অভিযানের মুখোমুখি হয়ে রোহিঙ্গা তাদের দেশ ছেড়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছিল।
সাত লাখ ৩০ হাজারেরও বেশি রোহিঙ্গা নিজ দেশ ছেড়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।
২০১৭ সালের ২৩ নভেম্বর বাংলাদেশ ও মিয়ানমার একটি প্রত্যাবাসন চুক্তি স্বাক্ষর করে।
২০১৮ সালের ১৬ জানুয়ারি বাংলাদেশ ও মিয়ানমার 'ফিজিকাল অ্যারেঞ্জমেন্ট' সংক্রান্ত একটি নথিতে স্বাক্ষর করেছে, যা রোহিঙ্গাদের তাদের স্বদেশে প্রত্যাবর্তনকে সহজ করবে বলে মনে করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: কূটনৈতিকভাবে রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান করতে ব্যর্থ সরকার: জিএম কাদের
২ বছর আগে
বাংলাদেশে অ্যামনেস্টি,আরএসএফ ও টিআইবি বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়েছে: তথ্যমন্ত্রী
বাংলাদেশে মানবাধিকার, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও দুর্নীতি নিয়ে পক্ষপাতমূলক প্রতিবেদনের জন্য অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল, আরএসএফ ও টিআইবির মতো সংস্থাগুলোর তীব্র নিন্দা করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের কারণে এই সংস্থাগুলো তাদের বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়েছে।’
বুধবার ওভারসিজ করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের (ওক্যাব) সদস্যদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের (টিআইবি) বাংলাদেশ শাখা কোনো বিষয়ে গবেষণার পরিবর্তে রাজনৈতিক দলের মতো বিবৃতি দেয়।
আরও পড়ুন: রেদওয়ানের গুলিবর্ষণ বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশে কিনা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন: তথ্যমন্ত্রী
সমালোচনার সমর্থনে মন্ত্রী সাম্প্রতিক কয়েকটি উদাহরণ তুলে ধরেন। যেমন রেলমন্ত্রীর বিরুদ্ধে তার তিনজন আত্মীয়ের টিকিটবিহীন ভ্রমণের বিষয়ে টিআইবির বক্তব্য এবং বাংলাদেশে কোভিড-১৯ রোগীদের চিকিৎসায় দুর্নীতির অভিযোগ।
হাছান বলেন, ‘টিআইবির করোনার টিকায় প্রায় ২৩ হাজার কোটি টাকা লোপাটের অভিযোগ ভিত্তিহীন এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রীর কথার অপব্যাখ্যা।’
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল (এআই) নিয়ে মন্ত্রী বলেন, বিএনপি যখন আন্দোলনের নামে সরকারের বিরুদ্ধে পেট্রোল বোমা হামলা চালায় তখন তারা নীরব ছিল। তবে বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিল।
তিনি বলেন, ‘এভাবে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এখানে বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়েছে।’
প্যারিস ভিত্তিক আরএসএফের (রিপোর্টার্স উইদআউট বর্ডার) প্রকাশিত সর্বশেষ গণমাধ্যমের স্বাধীনতা সূচক আবারও প্রত্যাখ্যান করেছেন মন্ত্রী। এ সূচকে বিশ্বের ১৮০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ ১০ ধাপ পিছিয়ে ১৬২ তে নেমে এসেছে।
তিনি প্রশ্ন করেন, কীভাবে এমন একটি সংস্থাকে বিশ্বাস করা যায় যেটি বাংলাদেশকে আফগানিস্তানের পেছনে রাখে। আফগানিস্তান গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও সাংবাদিকদের নিরাপত্তার জন্য একেবারেই পরিচিত নয়।
আরেক প্রশ্নের জবাবে হাছান বলেন, বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল ও প্রেস ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশকে (পিআইবি) দেশের সাংবাদিকদের ডেটাবেজ প্রণয়ন করতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: আরএসএফ প্রতিবেদন অগ্রহণযোগ্য: তথ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, এর উদ্দেশ্য হচ্ছে প্রকৃত সাংবাদিকদের চিহ্নিত করা যাতে তারা তাদের কাজ করতে এবং চাকরি বজায় রাখতে নিরাপত্তা পায়।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন (ডিএসএ) ডিজিটাল হয়রানি, জনগণের মর্যাদা ও গোপনীয়তার ওপর হামলা থেকে তাদের সার্বিক নিরাপত্তার জন্য প্রণয়ন করা হয়েছে বলে পুনর্ব্যক্ত করেন হাছান।
কিছু ক্ষেত্রে ডিএসএ’র অপব্যবহার হয়েছে স্বীকার করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এটি একেবারে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে নয়।’
২ বছর আগে
একদিনে ৮১ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করল সৌদি আরব
সৌদি আরবে একদিনে ৮১ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা এসপিএ’র বরাতে ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম বিবিসি রবিবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, শনিবার (১২ মার্চ) ৮১ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়, যা সংখ্যায় পুরো গত এক বছরের তুলনায় বেশি। এর মধ্যে ইয়েমেন এবং সিরিয়ার নাগরিকও রয়েছে।
মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদ থেকে বিপথগামীতা, এরকম নানা 'জঘন্য অপরাধের' অভিযোগ ছিল বলে প্রতিবেদনে বলা হয়।
অভিযুক্ত ব্যক্তিদের মধ্যে ইসলামিক স্টেট গোষ্ঠী, আল কায়েদা, হুতি বিদ্রোহী গোষ্ঠীর সদস্য ছিল।
মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলোর অভিযোগ, সৌদি আরবে প্রায়শই অনেকে ন্যায়সঙ্গত বিচার প্রক্রিয়ার অধিকার পান না।
প্রতিবেদনে বলা হয়, মোট ১৩ জন বিচারক এই ব্যক্তিদের বিচার করেছেন এবং তারা তিন ধাপের বিচার প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে গেছেন।
পড়ুন: সৌদি আরবে ২০২১ সালে গৃহকর্মী নিয়োগ চুক্তি বেড়েছে
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বে যে সব দেশে সবচেয়ে বেশি মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়ে থাকে সৌদি আরব তাদের মধ্যে অন্যতম।
শীর্ষ পাঁচটি দেশের তালিকায় রয়েছে চীন, ইরান, মিশর এবং ইরাক।
সৌদি আরবে জনসম্মুখে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার রীতি প্রচলিত রয়েছে। দেশটিতে গত বছর ৬৯ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে।
পড়ুন: চাচা হত্যার দায়ে ৩ ভাতিজার মৃত্যুদণ্ড, ১ জনের যাবজ্জীবন
২ বছর আগে
হিন্দুসহ সকলের নিরাপত্তা নিশ্চিত জরুরি: অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল
বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা, তাদের নিরাপত্তা এবং ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের দক্ষিণ এশিয়া ক্যাম্পেইনার সাদ হাম্মাদি।
হাম্মাদি বলেন, ‘কর্তৃপক্ষকে অবিলম্বে, পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে, নিরপেক্ষভাবে ও স্বচ্ছভাবে ঘটনার তদন্ত করতে হবে এবং সহিংসতা ও ভাঙচুরের জন্য সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের বিচারের মাধ্যমে বিচারের আওতায় আনতে হবে।’
১৩ অক্টোবর কুমিল্লায় একটি পূজামণ্ডপে কোরআন অবমাননার অভিযোগের পর বাংলাদেশে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে পূজামণ্ডপে হামলা: ৫০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা
দেশের সবচেয়ে বড় হিন্দু উৎসব দুর্গাপূজার সময় এবং পরে হিন্দু সংখ্যালঘু পরিবার এবং মন্দিরগুলোতে ‘সহিংস হামলার’ বিষয়ে হাম্মাদি বলেন, ‘দেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের সদস্য, তাদের বাড়ি, পূজামণ্ডপ, মন্দিরে বিক্ষুব্ধ জনতার হামলার খবর পাওয়া গেছে যেটা ‘ক্রমবর্ধমান সংখ্যালঘু বিরোধী মনোভাবের লক্ষণ।’
তিনি বলেন, সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা ঠেকাতে ধর্মীয় সংবেদনশীলতাকে লক্ষ্য করা একটি গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং দেশে সংখ্যালঘুদের পরিস্থিতি মোকাবিলায় অবিলম্বে সরকারের পদক্ষেপ প্রয়োজন।
আরও পড়ুন: রংপুরে হিন্দুপল্লীতে আগুন: আটক ৪২
৩ বছর আগে
রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহ হত্যার দ্রুত তদন্তের দাবি অ্যামনেস্টির
শীর্ষ রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহ হত্যাকাণ্ডের অপরাধীদের সুষ্ঠু বিচারের আওতায় আনতে দ্রুত তদন্তের দাবি করেছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।
আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটসের নেতৃত্বদানকারী মুহিবুল্লাহ (৪৬),গতকাল রাতে কক্সবাজারের কুতুপালং ক্যাম্পে তার কার্যালয়ে অজ্ঞাত বন্দুকধারীদের গুলিতে নিহত হন।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের দক্ষিণ এশিয়া ক্যাম্পেইনার সাদ হাম্মাদি বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে বলেন,শীর্ষস্থানীয় রোহিঙ্গা কর্মীর হত্যাকাণ্ড বিশ্বের সমগ্র সম্প্রদায়ের মাঝে নাড়া দিয়েছে।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা নেতার মৃত্যুতে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের রাষ্ট্রদূতের গভীর শোক
হাম্মাদি বলেন,আমরা বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষ এবং জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি যে শরণার্থী,নাগরিক সমাজকর্মী,রোহিঙ্গা এবং স্থানীয় সম্প্রদায় উভয়ের মানবাধিকার কর্মীসহ শিবিরগুলোতে মানুষের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে একসঙ্গে কাজ করুন,যাদের মধ্যে অনেকেই তাদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
কক্সবাজারের শরণার্থী শিবিরে সহিংসতা একটি ক্রমবর্ধমান সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
আরও পড়ুন: উখিয়ায় শীর্ষ রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহকে গুলি করে হত্যা
তিনি বলেন,মাদকের কার্টেল পরিচালনাকারী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো মানুষকে হত্যা করেছে এবং জিম্মি করেছে। আরও রক্তপাত রোধে কর্তৃপক্ষকে অবিলম্বে ব্যবস্থা নিতে হবে।
মুহিবুল্লাহ ২০১৯ সালে জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন।
হাম্মাদি বলেন, মহিব উল্লাহ রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের একজন প্রধান প্রতিনিধি ছিলেন, যিনি ক্যাম্পে সহিংসতার বিরুদ্ধে এবং মানবাধিকার ও শরণার্থীদের সুরক্ষার পক্ষে কথা বলেছিলেন।
তিনি মিয়ানমারের সামরিক শাসকের হাতে হত্যা, ধর্ষণ ও অগ্নিসংযোগ থেকে বাঁচতে ২০১৭ সালে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা ১২ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও টেকসই প্রত্যাবাসনের জন্যও প্রচারণা চালিয়েছিলেন।
৩ বছর আগে
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে অ্যামনেস্টির বক্তব্য উদ্দেশ্যপ্রণোদিত: তথ্যমন্ত্রী
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের বক্তব্য উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে উল্লেখ করে তা প্রত্যাখ্যান করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। মঙ্গলবার দুপুরে মন্ত্রী ঢাকায় তার সরকারি বাসভবনে বাংলাদেশে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের প্রয়োগ নিয়ে সংস্থাটির সাম্প্রতিক প্রতিবেদনের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ধারাবাহিকভাবে বাংলাদেশ এবং এদেশের সরকারের বিরুদ্ধে নানা বক্তব্য-বিবৃতি দিয়ে আসছে উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল সময়ে সময়ে সরব আবার অনেক সময় প্রচন্ড নিরব থাকে৷
সংস্থাটির গ্রহণযোগ্যতা হারানোর বিষয়ে ড. হাছান বলেন, 'এদেশে শত শত মানুষকে পেট্রোলবোমায় পুড়িয়ে হত্যা-দগ্ধ করার সময় যখন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল কোনো বিবৃতি দেয় না, ফিলিস্তিনে পাখি শিকারের মতো মানুষ হত্যার সময় যখন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এক সপ্তাহ চুপ থাকে, আবার যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষে বিবৃতি দেয়, তখন এই সংগঠনের গ্রহণযোগ্যতা আসলে হারিয়ে গেছে।'
আর পড়ুন: ক্ষমতাহীনদের ক্ষমতাবান করতে পারে সাংবাদিকরা: তথ্যমন্ত্রী
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বিষয় ব্যাখ্যা করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের সব মানুষকে ডিজিটাল নিরাপত্তা দেয়ার জন্যই এ আইন। একজন গৃহিণী, সাংবাদিক, রিকশাচালক বা কর্মকর্তা, সবার ডিজিটাল নিরাপত্তার জন্যই এই আইন। আগে যখন ডিজিটাল বিষয়টি ছিল না, তখন আইনেরও প্রয়োজন ছিল না। এখন যখন বিষয়টি এসে গেছে, মানুষের ডিজিটাল নিরাপত্তা দেয়ার জন্য আইনেরও প্রয়োজন আছে। ডিজিটাল মাধ্যমে কারো চরিত্রহনন করা হলে, অসত্য অপপ্রচার হলে, তাকে সুরক্ষা দেয়ার জন্য এ আইন এবং সাধারণ মানুষই এ আইনের আশ্রয় নেয়।
বিশ্বব্যাপী এ ধরনের আইনের উদাহরণ তুলে ধরে ড. হাছান বলেন, শুধু বাংলাদেশে নয় পার্শ্ববর্তী ভারত, পাকিস্তান, সিঙ্গাপুরসহ অস্ট্রেলিয়া, ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলো বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এ আইন করা হয়েছে এবং হচ্ছে। সুতরাং এনিয়ে বারংবার কথা বলা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
এসময় বিএনপি নেতা রিজভী আহমেদের করোনার টিকা গ্রহণ নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে রিজভী আহমেদ আগে টিকা নিয়ে সমালোচনা করলেও এখন টিকা নেয়ায় তাকে অভিনন্দন জানান আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান। মন্ত্রী বলেন, এটা শুভবুদ্ধির উদয় এবং এতে তিনি স্বীকার করে নিলেন যে, টিকা নিয়ে তার পূর্বের অপপ্রচার মিথ্যা ছিল।
আরও পড়ুন: কিছু সংস্থা বিবৃতি বিক্রি করে: তথ্যমন্ত্রী
টিভি সাংবাদিকদের স্বাস্থ্যসুরক্ষা ও বকেয়া বেতন নিশ্চিতের আহ্বান তথ্যমন্ত্রীর
৩ বছর আগে
করোনায় ৭ হাজার স্বাস্থ্যকর্মীর মৃত্যু: অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল
করোনায় বিশ্বজুড়ে কমপক্ষে সাত হাজার স্বাস্থ্যকর্মী মারা গেছেন বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।
৪ বছর আগে