ফুলতলা
খুলনায় কারগারে বসে এসএসসি পরীক্ষা দিলো রায়হান
কারাগারে বসে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন খুলনার ফুলতলা উপজেলার শিক্ষার্থী রায়হান শেখ। রবিবার (৩০ এপ্রিল) খুলনা জেলা কারাগারে বসে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয় মানবিক বিভাগের এই শিক্ষার্থী।
নারী ও শিশু নির্যাতন মামলার আসামি হিসেবে কারাগারে থাকায় তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এই সুযোগ দেওয়া হয়।
খুলনা জেলা কারাগারের জেলার মো. এনামুল কবির বলেন, নারী ও শিশু নির্যাতন মামলায় এক মাস ধরে কারাগারে রয়েছে রায়হান। তার আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালতের আদেশের প্রেক্ষিতে তাকে বোর্ড কর্তৃপক্ষের নিয়ম ও নীতি মেনে কারাগারের একটি কক্ষে পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, সে ফুলতলা উপজেলার শিক্ষার্থী। কারাগার থেকে পরীক্ষাকেন্দ্র দূরে হওয়ায় খুলনা জিলা স্কুল থেকে তার পরীক্ষার প্রশ্ন ও খাতার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এ বছর খুলনা মহানগরী ও জেলার ৯০টি কেন্দ্রে এসএসসি পরীক্ষার্থী ২৯ হাজার ৬১৭ জন।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে এসএসসি পরীক্ষায় প্রক্সি পরিক্ষার্থী গ্রেপ্তার
২০২৩ সালের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু
সন্ত্রাসীদের ‘গুলিতে’ খুলনার ফুলতলায় ব্যবসায়ী নিহত
খুলনার ফুলতলায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে এক ব্যবসায়ী নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ফুলতলা ও অভয়নগর উপজেলার সংযোগস্থল কপালিয়া ব্রিজের ওপর এই ঘটনা ঘটে।
নিহত মো. রকিবুল ইসলাম ফুলতলা উপজেলা এম এম কলেজ পাড়ার বাসিন্দা মাহবুব মিস্ত্রীর ছেলে ও ফুলতলা বনিক কল্যাণ সোসাইটির ক্রীড়া সম্পাদক।
আরও পড়ুন: রাজবাড়ীতে আ’লীগ নেতাকে বাড়ির সামনে গুলি করে হত্যা
ফুলতলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইলিয়াস তালুকদার জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মো. রকিবুল ইসলাম মোটরসাইকেলযোগে স্ত্রীকে নিয়ে শ্বশুর বাড়ির উদ্দেশে যাচ্ছিলেন। পথে ফুলতলা ও অভয়নগর উপজেলার সংযোগস্থল কপালিয়া ব্রিজের ওপর গেলে দু’জন ব্যক্তি তাদের উদ্দেশ্যে করে ডাকতে থাকে। ওদের কাছে যাওয়া মাত্রই পরপর তাকে লক্ষ্য করে দুটি গুলি করে সন্ত্রাসীরা। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ফুলতলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: কাপ্তাইয়ে যুবলীগ নেতাকে গুলি করে হত্যা
ফুলতলায় অধিকাংশ অগভীর নলকূপে পানি নেই
খুলনা জেলার ফুলতলায় তীব্র তাপদাহে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। দীর্ঘ ৫ থেকে ৬ মাস বৃষ্টি না হওয়ায় ভূগর্ভস্থ পানির স্তর দ্রুত নিম্নগামী হচ্ছে। ফুলতলায় অধিকাংশ অগভীর নলকূপে পানি নেই।
বর্তমানে দেশজুড়ে প্রচণ্ড তাপদাহ চলছে। যার ফলে এলাকার শিশু ও বয়বৃদ্ধরা বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। একদিকে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব অন্যদিকে প্রচণ্ড তাপদাহে মানুষের জীবন ওষ্ঠাগত অবস্থা। প্রচন্ড এই রোদে গরমে সবচেয়ে বেশি সমস্যা দেখা দিয়েছে শিশু ও বৃদ্ধদের।
আরও পড়ুন: খুলনায় করোনায় আরও ২ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ৬৮
বর্তমানে বোরোধান কাটা মৌসুম প্রায় শেষ। কৃষকরাও এই গরমে বেশি সময় কাজ করতে করতে পারছে না। আবার যারা অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে তারাও গরমে কষ্ট পাচ্ছে। দীর্ঘ কয়েকমাস বৃষ্টিপাত না হওয়ায় এবং তাপদাহ বেশি হওয়ার ফলে বিভিন্ন পর্যায়ে ক্ষতির সম্মুখিন হচ্ছে। ইতোপূর্বে এত দীর্ঘ সময় ধরে বৃষ্টিপাতের অভাব দেখা যায়নি। প্রচণ্ড তাপদাহসহ অনাবৃষ্টির কারণে নেমেছে পানির স্তর যার ফলে দেখা দিয়েছে সুপেয় পানির অভাব।
আরও পড়ুন: করোনার প্রভাবে খুলনায় চিংড়ি শিল্পে বিপর্যয়
বিভিন্ন এলাকা ঘুরে জানা গেছে, গভীর ও অগভীর নলকূপে পানি কম উঠছে। কোন কোন নলকূপে মোটেও পানি উঠছে না। অনেক সময় মটর দিয়েও পানি উঠানো সম্ভব হচ্ছে না। আবার অনেকের মটর পরিবর্তন করেও কোন কাজ হচ্ছে না।
একজন মটর মেকানিক শহিদুল ইসলাম জানান, এলাকার বেশিরভাগ অগভীর নলকূপে পানি থাকছে না এবং ঘন ঘন মটর মেরামত করতে হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ১৫ বছর ধরে উৎপাদনে নেই খুলনা অক্সিজেন কোম্পানি
ফুলতলা উপজেলা জনস্বাস্থ্য অফিস সূত্র জানায়, উপজেলার ৪টি ইউনিয়নে ২ হাজার ২০০’ গভীর নলকূপ রয়েছে। এর মধ্যে ১ হাজার ২০০ অকেজো। তাছাড়া অধিকাংশ অগভীর নলকূপে পানি কম উঠছে। যে কারণে পানির স্তর নেমে যাওয়ায় সুপেয় পানির অভাব দেখা দিয়েছে।
এদিকে কৃষি অফিস সূত্র জানায়, বর্তমানে আউশ মৌসুমে বীজ বপনের কার্যক্রম চলছে। ১৫ মার্চ থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত এ মৌসুম। এর মধ্যে বীজ বপন ও চারা রোপনের কার্যক্রম শেষ করতে হবে। বর্তমানে বৃষ্টিপাত না হওয়ায় কৃষকরা বীজ বপন করতে পারছে না। উপজেলায় ৩৫০ বিঘা জমিতে আউশ চাষাবাদের আওতায় আনা হলেও পানির অভাবে তা সম্ভব হচ্ছে না।
দ্রুত বৃষ্টি না হলেও আউশ মৌসুমে নির্ধারিত কৃষকরা আউশ চাষে ব্যর্থ হবে বলে কৃষি অফিস জানায়।
হাঁস-মুরগির খামারে স্বাবলম্বী চয়ন
হাঁস মুরগির খামার করে নিজের ও পরিবারের আর্থিক স্বচ্ছলতা ফিরিয়ে এনেছেন খুলনার শরিফ ওবায়দুর রহমান চয়ন।
ড্রাগন চাষ জীবন বদলে দিয়েছে আকরাম গাজীর
বাড়ির আঙিনায় চারদিকে সবুজের সমারোহ। সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে আছে ড্রাগন গাছ। সবুজ গাছে শোভা পাচ্ছে গোলাপি, লাল আর সবুজ ফল। স্বপ্নীল পরিপাটি এ বাগানটি গড়ে তুলেছেন খুলনার ফুলতলার আকরাম গাজী। নিজ ঘরের আঙিনায় বিদেশি ফলের চাষ করে সফলতা দেখিয়েছেন তিনি।