আশাশুনি
সাতক্ষীরায় পুকুরে ডুবে ৫ বছরের ২ শিশুর মৃত্যু
সাতক্ষীরার আশাশুনিতে পুকুরে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলার কুড়িকাহুনিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
মৃত শিশুরা হলো- কুড়িকাহুনিয়া গ্রামের আলম হাওলাদারের মেয়ে আনিকা সুলতানা (৫) ও ওহিদুল মোড়লের মেয়ে জান্নাতুল নাইম (৫)। তারা দু’জনই তালতলা বাজারের করিমুন্নেসা কিন্ডারগার্টেন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিশু শ্রেণির শিক্ষার্থী।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে পানিতে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু
প্রতাপনগর ইউপি চেয়ারম্যান হাজী আবু দাউদ পরিবারের সদস্যদের উদ্ধৃতি দিয়ে জানান, মঙ্গলবার সকালে বিদ্যালয়ে যায় আনিকা ও জান্নাত। স্কুল থেকে ফিরে বাড়ির পাশের পুকুর পাড়ে খেলা করছিল তারা। এরই মধ্যে সবার অগোচরে পুকুরের পানিতে পড়ে যায় তারা।
দীর্ঘসময় তাদের না পেয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করে পরিবারের সদস্যরা। এক পর্যায়ে স্থানীয় ওহিদুল নামে এক কিশোর পুকুরে গোসল করতে যেয়ে আনিকাকে ভাসতে দেখে। তার চিৎকারে অন্যরা এগিয়ে এসে আনিকাকে উদ্ধার করতে গিয়ে জান্নাতের লাশেরও সন্ধান পায়।
তাৎক্ষণিক উদ্ধার করে শ্যামনগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
আশাশুনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিশ্বজিৎ অধিকারী জানান, ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক।
এসব বিষয়ে অভিভাবকদের আরও বেশি সচেতন হওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।
আরও পড়ুন: মাদারীপুরে পানিতে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু
গাইবান্ধায় পুকুরে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু
১ বছর আগে
ঘূর্ণিঝড় ইয়াস: বেড়িবাঁধ ভেঙে পানি ঢুকছে সাতক্ষীরার বিভিন্ন এলাকায়
ঘূর্ণিঝড় ইয়াস এর প্রভাবে নদীর পানি প্রায় তিন ফুট বৃদ্ধি পেয়ে সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা, কৈখালী, মুন্সিগঞ্জ ও পদ্মপুকুর ইউনিয়নের কয়েকটি স্থানে মঙ্গলবার বিকাল থেকে বেড়িবাঁধ ভেঙে এবং বাঁধ উপচে লোকালয়ে পানি ঢুকে পড়েছে। স্থানীয় লোকজন ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধ সংস্কারের আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের নিরাপদে সরিয়ে আনার আগাম ব্যবস্থা করা হয়েছে। তারা বহনযোগ্য সম্পদ নিয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে চলে যাবার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছে বলে জানা গেছে।
এছাড়া উপকূল এলাকা আশাশুনির প্রতাপনগর, শ্রীউলা, আনুলিয়া, খাজরা এবং শ্যামনগরের পদ্মপুকুর, গাবুরা, বুড়িগোয়ালিনী, আটুলিয়া, কৈখালি , ঈশ্বরীপুর ,রমজাননগর, কাশিমারিসহ সুন্দরবন লাগোয়া মুন্সিগঞ্জ হরিনগর এলাকায় মাইকিং করে জনগনকে সতর্ক করা হয়েছে।
সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, ১৪৫টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রয়েছে। দেড় হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে প্রস্তুত করা হয়েছে মানুষের আশ্রয়ের জন্য। এর মধ্যে শ্যামনগর উপজেলার ১০৩টি আশ্রয়কেন্দ্রের ধারণ ক্ষমতা ৭৫ হাজার বলে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আ ন ম আবু জার গিফারি।
আরও পড়ুন: 'ইয়াস' মোকাবিলায় জনপ্রতিনিধিদের প্রস্তুত থাকার নির্দেশ স্থানীয় সরকারমন্ত্রীর
পটুয়াখালীতে ইয়াসের প্রভাবে ১৬ গ্রাম প্লাবিত
এছাড়াও জেলায় দেড় হাজার স্কুল কলেজ মাদরাসা ও আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা যাবে। কোভিড চলাকালীন নিরাপত্তা বজায় রেখে তাদের খাদ্য ও স্বাস্থ্যসেবা দেয়া হবে বলেও জানিয়েছেন ইউএনও।
এলাকার পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেড়িবাঁধগুলি ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। শ্যামনগর ও আশাশুনি উপজেলার বেড়িবাঁধের ৫৫টি পয়েন্ট অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। পূর্নিমার ভরাকাটাল ও পূর্নচন্দ্র গ্রহণের সময় ইয়াস এর দাপটে জলোচ্ছাসের আশঙ্কা করছেন উপকূলবাসী।
এদিকে, পশ্চিম সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জের বন বিভাগের ৮টি টহল ফাঁড়ির সব সদস্যকে নিরাপদে সরে যাবার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
সহকারি বন সংরক্ষক এম এ হাসান বলেন, ইয়াস আঘাত করলে এবং অস্বাভাবিক জলোচ্ছাস হলে তাদেরকে উদ্ধার করে আনার জন্য নৌযানের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
৩ বছর আগে
আশাশুনিতে রিংবাঁধ ভেঙে কয়েক গ্রামের মানুষ পানিবন্দি
সাতক্ষীরা উপকূলীয় এলাকায় ঘুর্ণিঝড় আম্পানে ক্ষগ্রিগ্রস্ত বেড়িবাঁধ গত ১১ মাসেও সংস্কার করা সম্ভব হয়নি। অসংখ্য জায়গায় ঝুকিপূর্ণ অবস্থা বিরাজ করছে। নদীতে একটু জোয়ার বাড়লেই বেড়িবাঁধ উপচে নদীর পানি লোকালয়ের দিকে ধেয়ে আসছে।
এদিকে ‘সুপার মুন’ পূর্ণিমার প্রবল আকর্ষণে সৃষ্ট জলোচ্ছ্বাসে আশাশুনির খেলপেটোয়া নদীর দয়ারঘাট-জেলেখালি এলাকায় বিকল্প রিংবাঁধ ভেঙে চারটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে আশাশুনি উপজেলা সদরের দয়ারঘাট, দক্ষিণপাড়া, আশাশুনি সদর, জেলেখালি, গাছতলা গ্রামের ঘরবাড়ি, ফসলি জমি ও মাছের ঘেরে নদীর নোনাপানি ঢুকে পড়ে। স্থানীয়রা স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে রাতভর ধসেপড়া বেড়িবাঁধ রক্ষার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছেন।
বুধবার একই এলাকা দিয়ে নদীর প্রবল জোয়ারের পানি লোকালয়ের দিকে ছুটে আসছে। একইভাবে আশাশুনির প্রতাপনগর ইউনিয়নে কুড়িকাউনিয়া, হরিসখালি ও সুভদ্রকাটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ওইসব এলাকার ওপর দিয়ে নদীর উত্তল স্রোত প্রবাহিত হচ্ছে।
আশাশুনি উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান অসীম বরণ চক্রবর্তী জানান, খোলপেটুয়া নদীর প্রবল জোয়ারের পানিতে জেলেখালি-দয়ারঘাট রিংবাঁধ ভেঙে লোকালয়ে হু হু করে পানি ঢুকছে। গ্রামবাসী স্বেচ্ছাশ্রমে শত চেষ্টা করেও ভাঙন ঠেকাতে পারেনি। এতে এলাকার মৎস্য ঘের, ঘর-বাড়ি নতুন করে প্লাবিত হতে শুরু করেছে। মাত্র কয়েকমাস আগে রিংবাঁধের নির্মাণ কাজ শেষ হয়। গত বছর ২০ মে সুপার সাইক্লোন আম্পানে আশাশুনির দশটি পয়েন্ট ভেঙে যায়। যার মধ্যে দয়ারঘাটও ছিল। তখন ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছিল। সেই ক্ষয়ক্ষতি ঠেকাতে বিকল্প রিংবাঁধ দেয়া হয়। স্থানীয় মানুষের দাবি ছিল ত্রাণ নয়, তারা চায় স্থায়ী বেড়িবাঁধ। তার রেশ কাটতে না কাটতেই বাঁধটি ভেঙে যাওয়ায় ফের নতুন করে এলাকার মানুষ দুর্দশায় পড়ল।
৩ বছর আগে
আম্পান: সাতক্ষীরায় ৬ মাসেও দুর্গত এলাকার মানুষ বাড়ি ফিরতে পারেনি
‘আম্পান ছয় মাস হয়ি (হয়ে) গেল। এহনো (এখনো) আমরা বাঁধের ওপর বাস করতিছি (করছি)। আমাগির (আমাদের) দিখার (দেখার) কেউনি (কেউ নেই)। কনে (কোথায়) যাবো আমরা। ছয় মাস আগেও আমার সব ছেল (ছিল)। ইটির (ইটের) বাড়ি, রান্নার ঘর, গরু-ছাগল, হাঁস-মুরগি। কি ছেল না আমার। এখন আমি রাস্তার ফকির। ভিটে বাড়ির ওপর দিয়ে বয়ে যাতিছে (যাইতেছে) নদীর পানি। ছয় মাস ধরে বাঁধের ওপর থাকতিছি। খুব কষ্ট হতিছে (হচ্ছে)। বাচা-গাচা (বাচ্চা-কাচ্চা) নিয়ে আর কদ্দিন (কতদিন) এমনে থাকতি হবে আমাগির (আমাদের)?
৩ বছর আগে
সাতক্ষীরায় সাংবাদিক পরিচয়ে চাঁদাবাজি, গ্রেপ্তার ৪
সাতক্ষীরার আশাশুনিতে এক নিকাহ রেজিস্ট্রারের কাছে ১০ হাজার টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগে বৃহস্পতিবার সাংবাদিক পরিচয় দেয়া চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
৪ বছর আগে