এস আলম গ্রুপ
রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি করবে এস আলম গ্রুপ
রমজান মাসে নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ নিশ্চিত করতে এবং মূল্য সাশ্রয়ী রাখতে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি করবে এস আলম গ্রুপ।
প্রতিষ্ঠানটি ইতোমধ্যে কয়েক শত মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগে প্রায় ১২ লাখ টনের বেশি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি করছে। এটি দেশের রমজানের মোট ভোজ্যপণ্য চাহিদার প্রায় ৫০ শতাংশ। এসব পণ্যের মধ্যে চিনি, ভোজ্যতেল, গম, ডাল ও ছোলা ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।
দেশের তেল, গম ও চিনির বর্তমান দেশীয় বাজার চাহিদার যথাক্রমে ৩০, ২০ ও ৩৫ শতাংশ পূরণ করে থাকে এস আলম গ্রুপ। এ বছর এ পরিমাণ ৫০ শতাংশে উন্নীত করতে প্রতিষ্ঠানটি কাজ করছে। প্রতি বছরের মতো এবারও এস. আলম গ্রুপ দেশের সাধারণ মানুষের কথা ভেবে রমজানে বিপুল নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রী আমদানির পদক্ষেপ নিয়েছে।
আরও পড়ুন: নেত্রকোণায় ধর্ষণ মামলার বাদীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে গ্রেপ্তার ২
দেশে চিনির বার্ষিক চাহিদা ২৪ লাখ টন প্রায়। এরমধ্যে রমজানে চাহিদা থাকে প্রায় ২ লাখ ৭২ হাজার টনের মতো। এস আলম গ্রুপ রমজানে বাজার স্থিতিশীল রাখতে আমদানি করছে প্রায় ৬ লাখ ৪১ হাজার ৩০০ টন চিনি। যা রমজানের চাহিদার দ্বিগুণের চেয়ে বেশি।
দেশে বছরে ভোজ্যতেলের চাহিদার প্রায় ২২ লাখ টনের মধ্যে রমজানে সারাদেশে ভোজ্যতেলের চাহিদা প্রায় ৩ লাখ টনের মতো। এস আলম গ্রুপ রমজানে বাজার স্থিতিশীল রাখতে আমদানি করছে ২ লাখ ৫৮ হাজার টন। যা রমজানের চাহিদার ৮৬ শতাংশ।
দেশের বাজারে বছরে প্রায় ৬৩ লাখ টন (দেশীয় উৎপাদন ব্যতীত) গমের চাহিদা রয়েছে। প্রতি মাসে ভোক্তাদের প্রয়োজন পড়ে প্রায় ৫ লাখ ২৮ হাজার টন গম। এস আলম গ্রুপ রমজানে বাজার স্থিতিশীল রাখতে আমদানি করছে ১ লাখ ৭৮ হাজার টন। যা রমজানের চাহিদার ৩৪ শতাংশ।
দেশে মসুর ডালের চাহিদা রয়েছে প্রায় ছয় লাখ টন, যার মাসিক চাহিদা প্রায় ৫০ হাজার টন। রমজানে মসুর ডালের চাহিদা থাকে প্রায় এক লাখ টন। এস আলম গ্রুপ রমজানে ৫০ হাজার ডাল আমদানি করছে। যা রমজানের চাহিদার ৫০ শতাংশ।
একইভাবে বছরে ভোক্তাদের ছোলার প্রয়োজন আছে ১ লাখ ৩৬ হাজার টন। এর মধ্যে রমজানেই ছোলার চাহিদা থাকে প্রায় ৯১ হাজার টনের মতো। এস আলম গ্রুপ রমজানে ৫০ হাজার টন ছোলা আমদানি করছে। যা রমজানের চাহিদার ৫৫ শতাংশ।
এসব উদ্যোগ রমজানে দেশের বাজারে দ্রব্যমূল্যের দাম সাধারণ মানুষের সামর্থ্যের নাগালে রাখতে ভূমিকা রাখবে বলে আশা প্রকাশ করেছে কোম্পানিটি।
এ প্রসঙ্গে এস. আলম গ্রুপ এর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘বরাবরের মতো এবারও আমরা রমজানের মোট চাহিদার সিংহভাগ পণ্য আমদানির উদ্যোগ নিয়েছি। এসব পণ্যের কিছু বর্তমানে মজুদ এবং বেশ কিছু চালান খালাসের অপেক্ষায় রয়েছে। রমজানে দ্রব্যমূল্য মানুষের ক্রয় সক্ষমতার নাগালে রাখতে সরকারের লক্ষ্যপূরণে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। চাহিদার বিপরীতে রমজানে ঘাটতি হলে আরো পণ্য আমদানির পদক্ষেপ নেব আমরা।’
আরও পড়ুন: নাম্বার ওয়ান কোম্পানির সঙ্গে যুক্ত হলাম: শাকিব খান
মহেশখালী ভ্রমণ গাইড: বাংলাদেশের একমাত্র পাহাড়ি দ্বীপে যাওয়ার উপায়, আনুষঙ্গিক খরচ
বাঁশখালীতে নিহতদের পরিবারকে ৫ লাখ টাকা করে দিতে হাইকোর্টের নির্দেশ
চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলায় কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনায় নিহত পাঁচ জনের প্রত্যেকের পরিবারকে আপাতত পাঁচ লাখ টাকা করে দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এছাড়া ওই ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্তের কেন নির্দেশ দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়েছে।
একইসাথে নিহত প্রত্যেক পরিবারকে তিন কোটি টাকা ও আহত প্রত্যেকের পরিবারকে দুই কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ কেন দেয়া হবে না, ১৭ এপ্রিলের ওই সংঘর্ষে বিদ্যুৎকেন্দ্রে ৭ শ্রমিক নিহত এবং প্রায় ৩০ জন আহত হওয়ার ঘটনায় যথাযথ পদক্ষেপ নিতে এবং হতাহত ব্যক্তিদের পরিবারের পরবর্তী নিরাপত্তা সুরক্ষা নিশ্চিতে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা-ব্যর্থতা কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তা–ও জানতে চাওয়া হয়েছে।
পাশাপাশি ডিসি ও এসপির নেতৃত্বে গঠন করা দুটি তদন্ত কমিটির রিপোর্ট ৪৫ দিনের মধ্যে দাখিল করতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া ওই ঘটনায় ভুক্তভোগী ও আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসা ও চিকিৎসার খরচের বিষয়ে এস আলম গ্রুপ কী পদক্ষেপ নিয়েছে, সে বিষয়ে ৪৫ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এছাড়া ওখানকার শ্রমিক ও এলাকবাসীকে যাতে কোনো ধরনের হয়রানি না করা হয়, তা নিশ্চিত করতেও নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন: বাঁশখালীতে পুলিশের গুলিতে শ্রমিক নিহত: আরও ৫ সংগঠনের রিট
জনস্বার্থে দায়ের করা পৃথক দুটি রিটের শুনানি করে মঙ্গলবার (৪ মে) বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সরদার মো. রাশেদ জাহাঙ্গীরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার গন্ডামারায় নির্মাণাধীন কয়লাবিদ্যুৎকেন্দ্রের শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনায় ভুক্তভোগী ব্যক্তিদের তালিকা তৈরিসহ প্রকৃত ঘটনা উদ্ঘাটনে বিচারিক অনুসন্ধান কমিটি গঠনের নির্দেশনা চেয়ে গত ২২ এপ্রিল আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) একটি রিট করে। অন্যদিকে একই ঘটনায় ২৮ এপ্রিল অপর রিটটি করে পাঁচ সংগঠন। সংগঠনগুলো হচ্ছে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা), বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট) নিজেরা করি, সেফটি অ্যান্ড রাইটস ও অ্যাসোসিয়েশন ফর ল্যান্ড রিফর্ম অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (এএলআরডি)।
আদালতে এই দুটি রিটের পক্ষে আইনজীবী জেড আই খান পান্না, সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান ও সৈয়দা নাসরিন শুনানি করেন। এস আলম গ্রুপের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আরশাদুর রউফ। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অরবিন্দু কুমার রায় ও বিপুল বাগমার।
গত ১৭ এপ্রিল সকালে বাঁশখালীর গন্ডামারায় সংঘর্ষে পুলিশের গুলিতে পাঁচজন নিহত হন। পরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও দুজন মারা যান। আহত হন ৩ পুলিশসহ অন্তত ৩০ জন। ৫ তারিখের মধ্যে বেতন পরিশোধ, পবিত্র রমজান মাসে কর্মঘণ্টা ১০ ঘণ্টা থেকে কমিয়ে ৮ ঘণ্টা, শুক্রবার ৮ ঘণ্টা থেকে কমিয়ে ৪ ঘণ্টা করাসহ নানা দাবিতে বিক্ষোভ করেন বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণকাজের শ্রমিকেরা। বিক্ষোভের একপর্যায়ে পুলিশের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন কিছু শ্রমিক। তখনই পুলিশ গুলি ছুড়তে থাকে।
বাঁশখালী সদর থেকে ১০ কিলোমিটার পশ্চিমে এস আলম গ্রুপের মালিকানায় এসএস পাওয়ার প্ল্যান্ট নামে এই বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মিত হচ্ছে। চীনা প্রতিষ্ঠান সেফকো থ্রি পাওয়ার কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেড এখানে অর্থায়ন করেছে।
চট্টগ্রাম নিট কারখানায় আগুন
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের কদমরসুল এলাকায় অবস্থিত ইনফিনিয়া ফ্যাক্টরি নামে একটি নিট বায়িং এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। কারখানাটি এস আলম গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান বলে জানা গেছে।