এস আলম গ্রুপ
শাস্তিমূলক ব্যবস্থায় ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের ১৯৪ কর্মকর্তা প্রত্যাহার
এস আলম গ্রুপকে অর্থ পাচার ও প্রতারণামূলক ঋণ প্রদানে জড়িত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত ব্যবস্থা নিয়েছে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক (এফএসআইবি)।
অনিয়ম নিরসনে ব্যাংকটির চট্টগ্রাম অঞ্চলের ২৪ শাখা ব্যবস্থাপকসহ ১৯৪ কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
এফএসআইবির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল মান্নান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, নতুন পরিচালনা পর্ষদ ব্যাংকের অনিয়ম উদঘাটন করে তাদের প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
আরও পড়ুন: এডিবি-বিশ্বব্যাংক থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে ১১০ কোটি ডলার পাবে বাংলাদেশ: অর্থসচিব
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এফএসআইবির এক কর্মকর্তা বলেন, বর্তমান ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ এস আলম গ্রুপের মালিক মোহাম্মদ সাইফুল আলমকে চট্টগ্রামের শাখা থেকে উল্লেখযোগ্য ঋণ বিতরণে অনিয়মের সত্যতা পেয়েছে।
তার নামে ও ভুয়া পরিচয়ে প্রতিষ্ঠান তৈরি করে বিপুল পরিমাণ ঋণ উত্তোলন করা হয়। ব্যাংকটির পতন ঠেকাতে দোষী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে শুরু করেছে নতুন পরিচালনা পর্ষদ।
আরও পড়ুন: কোনো ব্যাংক বন্ধ হবে না: অর্থ উপদেষ্টা
ব্যাংকে তারল্য সংকট: টাকা উত্তোলনে ভোগান্তিতে ৬ ব্যাংকের গ্রাহক
৪ দিন আগে
নিলামে উঠছে এস আলম গ্রুপের বন্ধকি সম্পত্তি
এস আলম গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান 'গ্লোবাল ট্রেডিং করপোরেশন লিমিটেডের' খেলাপি ঋণের ১ হাজার ৮৫০ কোটি টাকা আদায়ে প্রতিষ্ঠানটির জামানতের সম্পত্তি নিলামের ঘোষণা দিয়েছে জনতা ব্যাংক।
গ্রুপটির চট্টগ্রাম ও গাজীপুরে জামানত জমি বিক্রি করে পাওনার এক-পঞ্চমাংশ আদায়ের আশা করছে জনতা ব্যাংক।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ১৫ বছরের শাসনামলে এস আলম গ্রুপ বিভিন্ন ব্যাংক থেকে ঋণের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা ঋণ নিয়ে পাচার করেছে বলে অভিযোগ ওঠার মধ্যে ব্যবসায়িক গ্রুপটির বন্ধকি সম্পদ প্রথম নিলামে তুলেছে কোনো ব্যাংক।
ব্যাংকটি ১ নভেম্বর সংবাদপত্রে ২০ নভেম্বর নিলামের ঘোষণা দিয়েছে এবং আগ্রহীদেরকে তাদের দরপত্র জমা দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
ব্যাংক সংশ্লিষ্টরা জানান, চট্টগ্রাম ও গাজীপুরে এক হাজার ৮৬০ শতক জমির বন্ধকি সম্পদের মূল্য সর্বোচ্চ ৩৫৮ কোটি টাকা, যা মোট পাওনা অর্থের এক পঞ্চমাংশেরও কম হবে।
এই মূল্যায়ন বকেয়া পরিমাণের চেয়ে প্রায় পাঁচগুণ কম। এ সম্পত্তি বিক্রি করে খেলাপি ঋণ পুরোপুরি আদায় করা সম্ভব নয়। বকেয়া অর্থ পুনরুদ্ধারের জন্য আরও আইনি পদক্ষেপের প্রয়োজন হতে পারে।
ঋণ আদালত আইনের ১২(৩) ধারা অনুযায়ী, ব্যাংক মামলা দায়েরের আগেই জামানতের সম্পত্তি বিক্রি করে টাকা আদায় করা যেতে পারে।
২০২১ সালে বাংলাদেশের কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেলের (সিএজি) নিরীক্ষা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গ্লোবাল ট্রেডিং করপোরেশন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা লঙ্ঘন ও ঋণসীমা অতিক্রম করে অতিরিক্ত ঋণ নিয়েছে।
এস আলম গ্রুপের ওয়েবসাইটে বলা হয়, ২০১২ সালে প্রতিষ্ঠিত গ্লোবাল ট্রেডিং করপোরেশন শিল্পের কাঁচামাল, বাণিজ্যিক পণ্য ও নির্মাণ সামগ্রীর ব্যবসা পরিচালনা করে।
আরও পড়ুন: এস আলম গ্রুপের সব স্থাবর সম্পদের তালিকা দাখিলের নির্দেশ
প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১২ সালে গ্লোবাল ট্রেডিং করপোরেশন প্রাথমিকভাবে সাধারণ বীমা ভবনে অবস্থিত জনতা ব্যাংকের চট্টগ্রাম করপোরেট শাখা থেকে ৬৫০ কোটি টাকা ঋণ নেয়।
২০২১ সাল পর্যন্ত এই ঋণ মোট ১ হাজার ৭০ কোটি ৬৫ লাখ টাকায় পৌঁছেছে। এর মধ্যে পিএডি (পেমেন্ট অ্যাগেইনস্ট ডকুমেন্ট) ঋণ ৬১৭ কোটি ৪৭ লাখ, এলটিআর (ট্রাস্ট রিসিট) ঋণ ২২৩ কোটি ১৮ লাখ টাকা এবং সিসি হাইপো লোন ২২৯ কোটি ৯৯ লাখ টাকা। ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে সুদসহ ঋণের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়ায় ১ হাজার ৮৫০ কোটি টাকায়।
আরও পড়ুন: এস আলম গ্রুপের মালিকসহ তার পরিবারের ১৩ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
২ সপ্তাহ আগে
এস আলম গ্রুপের মালিকসহ তার পরিবারের ১৩ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
এস আলম গ্রুপের কর্ণধার সাইফুল আলম, স্ত্রী ফারজানা পারভীনসহ পরিবারের ১৩ সদস্যের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত।
সোমবার(৭ অক্টোবর) ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেনের আদালত দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।
নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্ত অন্যরা হলেন- সাইফুল আলমের পুত্র আশরাফুল আলম, আহসানুল আলম, ভাই মোরশেদুল আলম, সহিদুল আলম, রাশেদুল আলম, আবদুস সামাদ, ওসমান গণি ও মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ হাসান, আবদুস সামাদের স্ত্রী শাহানা ফেরদৌস, ওসমান গণির স্ত্রী ফারজানা বেগম এবং অজ্ঞাত মিশকাত আহমেদ।
এদিন দুদকের মো. নূর ই আলম তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন।
দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর মীর আহমেদ আলী সালাম শুনানি করেন। শুনানি শেষে আদালত এ আদেশ দেন।
১ মাস আগে
এস আলম গ্রুপের সম্পদ কিনবেন না: বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর
আমানতকারীদের অর্থ উদ্ধারের লক্ষ্যে এস আলম গ্রুপের সম্পত্তি বিক্রি করার পরিকল্পনার কথা জানিয়ে জনসাধারণকে এসব সম্পত্তি কেনার বিষয়ে সতর্ক করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বুধবার (২৮ আগস্ট) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, ব্যাংকে আমানতকারীদের অর্থ পরিশোধে লুট হয়ে যাওয়া টাকা উদ্ধারকেই অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: এস আলম গ্রুপ নিয়ন্ত্রিত ইসলামী ব্যাংকের বোর্ড ভেঙে দেবে বাংলাদেশ ব্যাংক
ইতোমধ্যে এস আলম গ্রুপের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের সব লেনদেন স্থগিত করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর পরিপ্রেক্ষিতে গ্রুপটি বিভিন্ন ভূসম্পত্তি বিক্রির চেষ্টা করছে বলে জানা গেছে। এসব সম্পদ বিক্রি ঠেকাতে আইনি প্রক্রিয়া প্রয়োজন। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর ‘রাষ্ট্রের স্বার্থে’ এস আলম গ্রুপের কাছ থেকে জমি ও সম্পত্তি না কেনার পরামর্শ দেন।
ড. মনসুর আরও জানান, সুশাসন নিশ্চিত করতে ছয়টি ব্যাংকের বোর্ড পুনর্গঠন করা হয়েছে, শিগগিরই আরও পরিবর্তন আশা করা হচ্ছে। এই নতুন বোর্ডগুলো রাষ্ট্রের প্রতিনিধি হিসাবে ব্যাংকগুলো পরিচালনা করবে। যদি তারা প্রয়োজন মতো কাজ না করে তবে আরও পরিবর্তন আনা হবে।
মুদ্রাস্ফীতির বিষয় তুলে ধরে গভর্নর বলেন, দেশে সাম্প্রতিক বড় বন্যার কারণে আগামী দুই থেকে তিন মাসে মুদ্রাস্ফীতি কমার সম্ভাবনা নেই।
তিনি বলেন, ‘তবে আমি আশাবাদী আগামী ৬ থেকে ৮ মাসের মধ্যে মূল্যস্ফীতি কমে আসবে। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে উভয় পক্ষের প্রচেষ্টা প্রয়োজন। বাংলাদেশ ব্যাংকের যথাযথ নীতিগত ব্যবস্থা এবং একটি স্থিতিশীল সরবরাহ চেইন বজায় রাখা। আমরা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নিয়েছি। সরবরাহ স্বাভাবিক হলে মূল্যস্ফীতি কমতে শুরু করবে।’
আরও পড়ুন: এস আলম গ্রুপের তিন ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক
বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ প্রসঙ্গে ড. মনসুর বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে এক ডলারও বিক্রি হবে না। তবে আমরা বাজার থেকে ডলার সংগ্রহ করে সরকারি ব্যয় মেটাতে সোনালীর ব্যাংকের মতো ব্যাংকে সরবরাহ করছি।’
তিনি আরও বলেন, লেটার অব ক্রেডিট (এলসি), বিদ্যুতের ঋণ এবং সার আমদানিসহ গুরুত্বপূর্ণ ব্যয় মেটাতে ডলারের চাহিদা ব্যবস্থাপনার দিকে মনোনিবেশ করা হচ্ছে।
আমানতকারীদের উদ্বেগের কথা উল্লেখ করে গভর্নর ধৈর্য ধরার আহ্বান জানান এবং গণপ্রত্যাহারের বিরুদ্ধে সতর্ক করেন। সবাই একযোগে টাকা উত্তোলন করলে পৃথিবীর কোনো ব্যাংক তা পরিচালনা করতে পারবে না। শুধু যেটুকু প্রয়োজন তা তুলে নিন।’
ধুঁকতে থাকা ব্যাংকগুলোর আমানতকারীদের আশ্বস্ত করে ড. মনসুর বলেন, সংস্কার চলছে এবং সময় লাগবে।
তিনি বলেন, আপনারা উচ্চ সুদের হার বা অন্য কোনো কারণে এসব ব্যাংকে টাকা রেখেছেন। এখন, আপনার টাকা তুলে নেওয়ার জন্য তাড়াহুড়ো করার দরকার নেই। স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে টাকা তুলে নেওয়ার ক্ষেত্রে তাড়াহুড়ো না করার ওপর জোর দিয়ে যতটুকু প্রয়োজন কেবল ততটুকুই তুলে নেওয়ার পরামর্শ দেন গভর্নর।
আরও পড়ুন: এস আলম গ্রুপের ১৩ জনের ব্যাংক হিসাব খতিয়ে দেখবে বিএফআইইউ
২ মাস আগে
এস আলম গ্রুপের তিন ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক
এস আলম গ্রুপের সহযোগী তিন ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠন করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) ব্যাংকগুলোর বোর্ড পুনর্গঠন করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
ব্যাংকগুলো হলো- ইউনিয়ন ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক ও ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক।
ইউসিবির বিষয়ে আরেকটি নোটিশও প্রস্তুত করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
২ মাস আগে
রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি করবে এস আলম গ্রুপ
রমজান মাসে নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ নিশ্চিত করতে এবং মূল্য সাশ্রয়ী রাখতে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি করবে এস আলম গ্রুপ।
প্রতিষ্ঠানটি ইতোমধ্যে কয়েক শত মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগে প্রায় ১২ লাখ টনের বেশি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি করছে। এটি দেশের রমজানের মোট ভোজ্যপণ্য চাহিদার প্রায় ৫০ শতাংশ। এসব পণ্যের মধ্যে চিনি, ভোজ্যতেল, গম, ডাল ও ছোলা ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।
দেশের তেল, গম ও চিনির বর্তমান দেশীয় বাজার চাহিদার যথাক্রমে ৩০, ২০ ও ৩৫ শতাংশ পূরণ করে থাকে এস আলম গ্রুপ। এ বছর এ পরিমাণ ৫০ শতাংশে উন্নীত করতে প্রতিষ্ঠানটি কাজ করছে। প্রতি বছরের মতো এবারও এস. আলম গ্রুপ দেশের সাধারণ মানুষের কথা ভেবে রমজানে বিপুল নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রী আমদানির পদক্ষেপ নিয়েছে।
আরও পড়ুন: নেত্রকোণায় ধর্ষণ মামলার বাদীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে গ্রেপ্তার ২
দেশে চিনির বার্ষিক চাহিদা ২৪ লাখ টন প্রায়। এরমধ্যে রমজানে চাহিদা থাকে প্রায় ২ লাখ ৭২ হাজার টনের মতো। এস আলম গ্রুপ রমজানে বাজার স্থিতিশীল রাখতে আমদানি করছে প্রায় ৬ লাখ ৪১ হাজার ৩০০ টন চিনি। যা রমজানের চাহিদার দ্বিগুণের চেয়ে বেশি।
দেশে বছরে ভোজ্যতেলের চাহিদার প্রায় ২২ লাখ টনের মধ্যে রমজানে সারাদেশে ভোজ্যতেলের চাহিদা প্রায় ৩ লাখ টনের মতো। এস আলম গ্রুপ রমজানে বাজার স্থিতিশীল রাখতে আমদানি করছে ২ লাখ ৫৮ হাজার টন। যা রমজানের চাহিদার ৮৬ শতাংশ।
দেশের বাজারে বছরে প্রায় ৬৩ লাখ টন (দেশীয় উৎপাদন ব্যতীত) গমের চাহিদা রয়েছে। প্রতি মাসে ভোক্তাদের প্রয়োজন পড়ে প্রায় ৫ লাখ ২৮ হাজার টন গম। এস আলম গ্রুপ রমজানে বাজার স্থিতিশীল রাখতে আমদানি করছে ১ লাখ ৭৮ হাজার টন। যা রমজানের চাহিদার ৩৪ শতাংশ।
দেশে মসুর ডালের চাহিদা রয়েছে প্রায় ছয় লাখ টন, যার মাসিক চাহিদা প্রায় ৫০ হাজার টন। রমজানে মসুর ডালের চাহিদা থাকে প্রায় এক লাখ টন। এস আলম গ্রুপ রমজানে ৫০ হাজার ডাল আমদানি করছে। যা রমজানের চাহিদার ৫০ শতাংশ।
একইভাবে বছরে ভোক্তাদের ছোলার প্রয়োজন আছে ১ লাখ ৩৬ হাজার টন। এর মধ্যে রমজানেই ছোলার চাহিদা থাকে প্রায় ৯১ হাজার টনের মতো। এস আলম গ্রুপ রমজানে ৫০ হাজার টন ছোলা আমদানি করছে। যা রমজানের চাহিদার ৫৫ শতাংশ।
এসব উদ্যোগ রমজানে দেশের বাজারে দ্রব্যমূল্যের দাম সাধারণ মানুষের সামর্থ্যের নাগালে রাখতে ভূমিকা রাখবে বলে আশা প্রকাশ করেছে কোম্পানিটি।
এ প্রসঙ্গে এস. আলম গ্রুপ এর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘বরাবরের মতো এবারও আমরা রমজানের মোট চাহিদার সিংহভাগ পণ্য আমদানির উদ্যোগ নিয়েছি। এসব পণ্যের কিছু বর্তমানে মজুদ এবং বেশ কিছু চালান খালাসের অপেক্ষায় রয়েছে। রমজানে দ্রব্যমূল্য মানুষের ক্রয় সক্ষমতার নাগালে রাখতে সরকারের লক্ষ্যপূরণে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। চাহিদার বিপরীতে রমজানে ঘাটতি হলে আরো পণ্য আমদানির পদক্ষেপ নেব আমরা।’
আরও পড়ুন: নাম্বার ওয়ান কোম্পানির সঙ্গে যুক্ত হলাম: শাকিব খান
মহেশখালী ভ্রমণ গাইড: বাংলাদেশের একমাত্র পাহাড়ি দ্বীপে যাওয়ার উপায়, আনুষঙ্গিক খরচ
১০ মাস আগে
বাঁশখালীতে নিহতদের পরিবারকে ৫ লাখ টাকা করে দিতে হাইকোর্টের নির্দেশ
চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলায় কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনায় নিহত পাঁচ জনের প্রত্যেকের পরিবারকে আপাতত পাঁচ লাখ টাকা করে দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এছাড়া ওই ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্তের কেন নির্দেশ দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়েছে।
একইসাথে নিহত প্রত্যেক পরিবারকে তিন কোটি টাকা ও আহত প্রত্যেকের পরিবারকে দুই কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ কেন দেয়া হবে না, ১৭ এপ্রিলের ওই সংঘর্ষে বিদ্যুৎকেন্দ্রে ৭ শ্রমিক নিহত এবং প্রায় ৩০ জন আহত হওয়ার ঘটনায় যথাযথ পদক্ষেপ নিতে এবং হতাহত ব্যক্তিদের পরিবারের পরবর্তী নিরাপত্তা সুরক্ষা নিশ্চিতে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা-ব্যর্থতা কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তা–ও জানতে চাওয়া হয়েছে।
পাশাপাশি ডিসি ও এসপির নেতৃত্বে গঠন করা দুটি তদন্ত কমিটির রিপোর্ট ৪৫ দিনের মধ্যে দাখিল করতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া ওই ঘটনায় ভুক্তভোগী ও আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসা ও চিকিৎসার খরচের বিষয়ে এস আলম গ্রুপ কী পদক্ষেপ নিয়েছে, সে বিষয়ে ৪৫ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এছাড়া ওখানকার শ্রমিক ও এলাকবাসীকে যাতে কোনো ধরনের হয়রানি না করা হয়, তা নিশ্চিত করতেও নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন: বাঁশখালীতে পুলিশের গুলিতে শ্রমিক নিহত: আরও ৫ সংগঠনের রিট
জনস্বার্থে দায়ের করা পৃথক দুটি রিটের শুনানি করে মঙ্গলবার (৪ মে) বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সরদার মো. রাশেদ জাহাঙ্গীরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার গন্ডামারায় নির্মাণাধীন কয়লাবিদ্যুৎকেন্দ্রের শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনায় ভুক্তভোগী ব্যক্তিদের তালিকা তৈরিসহ প্রকৃত ঘটনা উদ্ঘাটনে বিচারিক অনুসন্ধান কমিটি গঠনের নির্দেশনা চেয়ে গত ২২ এপ্রিল আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) একটি রিট করে। অন্যদিকে একই ঘটনায় ২৮ এপ্রিল অপর রিটটি করে পাঁচ সংগঠন। সংগঠনগুলো হচ্ছে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা), বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট) নিজেরা করি, সেফটি অ্যান্ড রাইটস ও অ্যাসোসিয়েশন ফর ল্যান্ড রিফর্ম অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (এএলআরডি)।
আদালতে এই দুটি রিটের পক্ষে আইনজীবী জেড আই খান পান্না, সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান ও সৈয়দা নাসরিন শুনানি করেন। এস আলম গ্রুপের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আরশাদুর রউফ। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অরবিন্দু কুমার রায় ও বিপুল বাগমার।
গত ১৭ এপ্রিল সকালে বাঁশখালীর গন্ডামারায় সংঘর্ষে পুলিশের গুলিতে পাঁচজন নিহত হন। পরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও দুজন মারা যান। আহত হন ৩ পুলিশসহ অন্তত ৩০ জন। ৫ তারিখের মধ্যে বেতন পরিশোধ, পবিত্র রমজান মাসে কর্মঘণ্টা ১০ ঘণ্টা থেকে কমিয়ে ৮ ঘণ্টা, শুক্রবার ৮ ঘণ্টা থেকে কমিয়ে ৪ ঘণ্টা করাসহ নানা দাবিতে বিক্ষোভ করেন বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণকাজের শ্রমিকেরা। বিক্ষোভের একপর্যায়ে পুলিশের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন কিছু শ্রমিক। তখনই পুলিশ গুলি ছুড়তে থাকে।
বাঁশখালী সদর থেকে ১০ কিলোমিটার পশ্চিমে এস আলম গ্রুপের মালিকানায় এসএস পাওয়ার প্ল্যান্ট নামে এই বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মিত হচ্ছে। চীনা প্রতিষ্ঠান সেফকো থ্রি পাওয়ার কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেড এখানে অর্থায়ন করেছে।
৩ বছর আগে
চট্টগ্রাম নিট কারখানায় আগুন
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের কদমরসুল এলাকায় অবস্থিত ইনফিনিয়া ফ্যাক্টরি নামে একটি নিট বায়িং এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। কারখানাটি এস আলম গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান বলে জানা গেছে।
৪ বছর আগে