চলচ্চিত্র
ঈদুল আজহায় মুক্তি-প্রাপ্ত চলচ্চিত্র ‘উৎসব’: এক ঝাঁক শক্তিমান অভিনয়শিল্পীর এক অনবদ্য রম্য পরিবেশনা
২০২৫-এর ৭ জুন তথা ঈদুল আযহার এই দিনটিতে ভরপুর বিনোদন নিয়ে একসাথে মুক্তি পেয়েছে দারুণ সব ব্লকবাস্টার। এই কাতারে থেকে চমকপ্রদ ভাবে প্রেক্ষাগৃহে দাঁপিয়ে বেড়াচ্ছে রম্য চলচ্চিত্র ‘উৎসব’। শিরোনামের মতই সিনেমাটি দর্শকদের এক নতুন উৎসবমুখর অভিজ্ঞতার উপহার দিচ্ছে। এর মাঝে রয়েছে পুরনো সব দেশ সেরা নাটক ও সিনেমার নস্টালজিয়া; সাথে গভীর অর্থবহ হাস্যরস। চলুন, সব ধরণের চলচ্চিত্রপ্রেমিদের মন জয় করে নেওয়া এই সিনেমাটির ব্যাপারে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
দেশ সেরা অভিনয়শিল্পীদের সমন্বয়ে অভূতপূর্ব আয়োজন
‘উৎসব’-এর শ্রেষ্ঠাংশে ছিলেন জাহিদ হাসান, আফসানা মিমি, অপি করিম, জয়া আহসান, চঞ্চল চৌধুরী, ইন্তেখাব দিনার, আজাদ আবুল কালাম, তারিক আনাম খান, ও নরেশ ভুঁইয়া। এই কুশীলবদের অধিকাংশই জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পাওয়া।
এ প্রজন্মের তারকাদের মধ্যে অভিনয় করেছেন সাদিয়া আয়মান, সুনেরাহ বিনতে কামাল, ও সৌম্য জ্যোতি।
‘উৎসবের’ চিত্রনাট্য ও সংলাপ করেছেন আয়মান আসিব স্বাধীন ও সামিউল ভূঁইয়া। প্রযোজনা করেছে ডোপ প্রোডাকশন্স, সহ-প্রযোজনায় আছে চরকি। সিনেমার সহযোগী প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান হিসেবে আছে লাফিং এলিফ্যান্ট। দেশের পাশাপাশি বিদেশেও মুক্তি পাবে সিনেমাটি। 'উৎসব' এর আন্তর্জাতিক ডিসট্রিবিউশনে আছে 'স্বপ্ন স্কোয়ারক্রো' ও 'পথ প্রোডাকশনস'।
আরো পড়ুন: শাকিব-সাবিলার ‘লিচুর বাগানে’কে ছাড়িয়ে জোভানের ‘আশিকি’
পর্দার পেছনের চলচ্চিত্রশিল্পীরা
ছবির পরিচালনায় ছিলেন জনপ্রিয় ওয়েব সিরিজ ‘কাইজার’-খ্যাত নির্মাতা তানিম নূর। কিংবদন্তির ঔপন্যাসিক চার্লস ডিকেন্সের বিখ্যাত গল্প ‘এ ক্রিস্টমাস ক্যারল’ অবলম্বনে নির্মিত হয়েছে ছবিটি। লেখনীতে তানিম নূরের সাথে যৌথভাবে ছিলেন আয়মান আসিব স্বাধীন, সামিউল ভূঁইয়া, এবং সুস্ময় সরকার। এদের মধ্যে চিত্রনাট্য ও সংলাপ বানিয়েছেন সামিউল ভূঁইয়া এবং আয়মান আসিব স্বাধীন। চিত্রগ্রহণের দায়িত্বে ছিলেন রাশেদ জামান।
সিনেমার গল্প
জাহাঙ্গীর একজন স্বার্থপর ও কৃপন ব্যবসায়ী। হঠাৎ এক দৈববাণীর সংস্পর্শে তার বোধোদয় হয়। নিমেষেই তিনি পরিণত হন পুরোদস্তুর এক পরোপকারী মানুষে।
ফ্যামিলি ড্রামা ঘরানার এই মুভিটিতে এক অভূতপূর্ব সন্নিবেশ ঘটেছে পুরোনো কিছু সিনেমা ও নাটকের সংলাপের। বিষয়টি দর্শকদের বিশেষ করে মধ্য বয়স্কদের পুরনো সময়ের স্মৃতিকাতরতায় ভাসিয়েছে।
আরো পড়ুন: ঈদুল আযহা ২০২৫ এ চরকিতে মুক্তি পাচ্ছে যে চলচ্চিত্রগুলো
উল্লেখ্য যে, একদম শুরুতে ছবির ঘোষণা হয়েছিলো মজার একটি স্লোগানের মাধ্যমে আর তা হচ্ছে- সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ- পরিবার ছাড়া দেখা নিষেধ।
মুক্তি পরবর্তী ছবির চমকপ্রদ সাফল্য
ঈদের পঞ্চম দিন স্টার সিনেপ্লেক্সে সিনেমাটির ক্যাপাসিটি ছিলো ৭ লক্ষ ৫১ হাজার ৯৫০। ৯টি শো-এর ১ হাজার ৪৮৯ টা টিকেটের সবগুলোই বিক্রি হয়ে গিয়েছিলো। এমনকি অগ্রিম টিকেট বিক্রি হওয়ায় ষষ্ঠ দিনের জন্যও অবশিষ্ট কিছু ছিলো না। শাকিব খানের ‘তান্ডব’ সিনেমার পরে শুধুমাত্রই এই ‘উৎসব’-এর জন্য হলটিতে এই অবস্থা।
এমন একটি ড্রামা জনরার মুভির জন্য বিষয়টি নিতান্তই অপ্রত্যাশিত ছিলো। বলাই বাহুল্য যে, খুব বেশি শো রাখা ছিলো না এর জন্য। এমনকি ১০০ ভাগ অকুপেন্সীর পরেও সিনেমাটি যথেষ্ট শো পায়নি। ফলে অনেকেই টিকেট না পেয়ে বাধ্য হয়ে অন্য সিনেমা দেখেছে।
এই কারণে বিপুল প্রত্যাশা থাকলেও বক্সঅফিস সংগ্রহ আশানুরূপ মাত্রায় পৌঁছতে পারেনি। চার দিনে সিনেমার মাল্টিপ্লেক্স আয় ছিলো সর্বমোট ২৫ দশমিক ৯১ লাখ টাকা।
আরো পড়ুন: ঈদুল আযহা ২০২৫ এ দর্শক মাতাতে আসছে যে নাটকগুলো
পরিশিষ্ট
তানিম নূর পরিচালিত ‘উৎসব’ সিনেমার এই সাফল্য ঢালীউডের চিরাচরিত গতিপথে পরিবর্তন এনেছে। নাট্যজগতের প্রথিতযশা সব মুখগুলো একসাথে থাকায় মন সম্মত অভিনয় পাওয়া গেছে শতভাগ। সেই সাথে বিশ্ববিখ্যাত গল্পের দক্ষ রূপান্তর স্ক্রিণের পুরো সময়টা জুড়ে ছড়িয়েছে মুগ্ধতা। গভীর হাস্যরসের পরিমিতি এবং নাটকীয়তার নির্দেশনাশৈলী ছুঁয়ে গেছে প্রতিটি দর্শকের হৃদয়। এই সাফল্যের নিরিখে অকপটেই স্বীকার করা যায় যে, শিঘ্রই সুদিন ফিরছে বাংলাদেশি চলচ্চিত্রে।
১৭৬ দিন আগে
ঈদুল আযহা ২০২৫ এ চরকিতে মুক্তি পাচ্ছে যে চলচ্চিত্রগুলো
এবারের ঈদুল আযহায় চরকি তার গ্রাহকদের জন্য নিয়ে আসছে স্বয়ংসম্পূর্ণ এক প্যাকেজ। এই এক ওটিটিতেই সিনেপ্রেমিরা পেয়ে যাবেন ভরপুর বিনোদন। সেই মহা আয়োজনের নাম ‘বিরাট গরুর হাট’। গ্রামীণফোন নিবেদিত এই আয়োজনে থাকছে দর্শকনন্দিত সেরা ৪টি চলচ্চিত্র। এগুলোর সব কটিই ইতোমধ্যে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে চলতি বছরের রোজার ঈদে। চলুন, দেখে নেয়া যাক- ঈদ আনন্দকে আরও বাড়িয়ে তুলতে কোন সিনেমাগুলো আসছে চরকির পর্দায়।
এই কুরবানী ঈদে চরকিতে দেখা যাবে যে সিনেমাগুলো
.
বরবাদ
এ পর্যন্ত দেশে মুক্তি পাওয়া চলচ্চিত্রগুলোর মধ্যে দর্শক আগ্রহের শীর্ষে রয়েছে সুপারস্টার শাকিব খানের ‘বরবাদ’। এটি রচনা ও পরিচালনার মধ্য দিয়ে চলচ্চিত্র নির্দেশনায় অভিষেক ঘটে মেহেদী হাসান হৃদয়ের। ছবিতে শাকিব খানের নায়িকা হিসেবে নজর কেড়েছিলেন কলকাতার অভিনেত্রী ইধিকা পাল। ২০২৩-এর ব্যবসা সফল মুভি ‘প্রিয়তমা’র পর শাকিবের সাথে এটি ইধিকার দ্বিতীয় কাজ।
অ্যাকশন ছবিটির আরও এক বিশেষ আকর্ষণ ছিলেন ভারতীয় অভিনেতা যীশু সেনগুপ্ত। কলকাতার নায়িকা নুসরাত জাহান এবং মানব সচদেবের আইটেম গান দর্শকমহলে বেশ আলোচিত হয়।
আরো পড়ুন: ঈদুল আযহা ২০২৫ এ দর্শক মাতাতে আসছে যে নাটকগুলো
এছাড়া নানা চরিত্রে দেখা গেছে মিশা সওদাগর, দিলারা জামান, সাম ভট্টাচার্য, শহীদুজ্জামান সেলিম, মামুনুর রশীদ, ফজলুর রহমান বাবু, ইন্তেখাব দিনার, রিয়া গাঙ্গুলী চক্রবর্তী, নরেশ ভূঁইয়া, নাদের চৌধুরী, এবং কাজী হায়াৎকে।
দাগি
২০২৩ সালে ব্যাপক প্রতিযোগিতা করেছিলো ‘প্রিয়তমা’ ও ‘সুড়ঙ্গ’ ছবি দুটি। তারপর চলতি বছর দ্বিতীয়বারের মত শাকিবের সাথে চলচ্চিত্র যুদ্ধে অবতীর্ণ হন ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেতা আফরান নিশো। ঈদুল ফিতর ২০২৫-এর সেরা ছবির কাতারে অনায়াসে দ্বিতীয় স্থানটি দখল করে নেয় ‘দাগি’।
নিশোর প্রথম ছবি ‘সুড়ঙ্গ’-এর মত এখানেও তার বিপরীতে নায়িকা হিসেবে ছিলেন তমা মির্জা। একটি বিশেষ চরিত্রে ছিলেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরষ্কার জয়ী অভিনেত্রী সুনেরাহ বিনতে কামাল।
নির্দেশনার পাশাপাশি সিনেমার কাহিনী, চিত্রনাট্য, ও সংলাপ লিখেছেন শিহাব শাহীন। ২০১৫ সালের ‘ছুঁয়ে দিলে মন’-এর পর এটি নির্মাতার দ্বিতীয় মুভি।
আরো পড়ুন: ঈদুল আজহা ২০২৫ এ মুক্তির অপেক্ষায় যে বাংলাদেশি চলচ্চিত্রগুলো
ছবির অন্যান্য অভিনয়শিল্পীরা হলেন শহীদুজ্জামান সেলিম, মনোজ কুমার প্রামানিক, গাজী রাকায়েত, মনিরা আক্তার মিঠু, মিলি বাশার, এবং রাশেদ মামুন অপু।
জংলি
রোজার ঈদে মুক্তিপ্রাপ্ত ছবিগুলোর মধ্যে আরও একটি সুপরিচিত শিরোনাম ‘জংলি’। এম রাহিমের পরিচালনায় মুভিটির শ্রেষ্ঠাংশে ছিলেন এ সময়কার জননন্দিত তারকা সিয়াম আহমেদ। ছবিতে তার প্রধান সহশিল্পী হিসেবে মুগ্ধতা ছড়িয়েছেন শবনম বুবলী ও প্রার্থনা ফারদিন দীঘি।
এছাড়াও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় দেখা গেছে দিলারা জামান, শহীদুজ্জামান সেলিম, রাশেদ মামুন অপু, এরফান মৃধা শিবলু, এবং সোহেল খানকে।
চক্কর ৩০২
ঈদুল ফিতরে মোশাররফ করিমের ভক্তদের ঈদ আনন্দটা আরও একধাপ বাড়িয়ে দিয়েছিলো ‘চক্কর ৩০২’। সিনেমাটির গল্প লেখা থেকে শুরু করে, পরিচালনা, ও সহ-প্রযোজনা করেছেন এ সময়ের উদীয়মান অভিনেতা শরাফ আহমেদ জীবন।
আরো পড়ুন: পরিবহন পরিষেবায় অনলাইন টিকেট বুকিং ২০২৫: ঘরে বসে বাস, ট্রেন, ও বিমানের টিকেট কাটার উপায়
ছবিতে মোশাররফ করিমের স্ত্রীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন রিকিতা নন্দিনী শিমু।
অন্যান্য কুশিলবদের মধ্যে ছিলেন ইন্তেখাব দিনার, তারিন জাহান, রওনক হাসান, মৌসুমী নাগ, শাশ্বত দত্ত্ব, সারা আলম, সুমন আনোয়ার, আহমেদ গোলাম দস্তগীর শান, ডিকন নূর, ও ফারজানা বুশরা।
শেষাংশ
ঈদুল আযহা ২০২৫-এ চরকির ‘বিরাট গরুর হাট’ হতে যাচ্ছে মহা আড়ম্বড়পূর্ণ। তা বলা বাহুল্য যে, ৪টি ছবির মধ্যে শাকিবের ‘বরবাদ’ দর্শক আগ্রহে অন্যগুলো থেকে অনেকটা এগিয়ে থাকবে। তারপরেই সিনেপ্রেমিদের দৃষ্টি নিবদ্ধ থাকবে নিশোর ‘দাগি’র উপর। একটি উল্লেখযোগ্য সংখ্যক গ্রাহকদের আকষর্ণের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে সিয়াম-বুবলির ‘জংলি’। আর ‘চক্কর ৩০২’-এর জন্য মোশাররফ করিম ভক্তদের সরব উপস্থিতি থাকবে ওটিটি দর্শকমহলে। সব মিলিয়ে, এ বছরের সেরা চলচ্চিত্রগুলো আরও একবার নতুন উদ্যমে হৈচৈ তুলতে যাচ্ছে বিনোদন জগতে।
আরো পড়ুন: ২০২৫ সালে ভিসা ছাড়াই যেসব দেশে যেতে পারবেন বাংলাদেশি পাসপোর্টধারীরা
১৮১ দিন আগে
ঈদুল আজহা ২০২৫ এ মুক্তির অপেক্ষায় যে বাংলাদেশি চলচ্চিত্রগুলো
ঢালিউড পাড়ায় এখনও কাটেনি ঈদুল ফিতরে মুক্তি প্রাপ্ত সিনেমার রেশ। এরই মধ্যে শুরু হয়ে গেছে ঈদুল আজহার প্রস্তুতি। অবশ্য নির্মাণের সময়সীমার ভিত্তিতে অনেক আগে থেকেই বছরের দ্বিতীয় ঈদ উৎসবের আয়োজনে সারিবদ্ধ হয়েছে ছবিগুলো। তবে অধিকাংশের ক্ষেত্রেই একাধিকবার পেছানোর পর ঠিক হয়েছে মুক্তির দিনক্ষণ। চলুন, আসন্ন ঈদুল আজহায় কোন চলচ্চিত্রগুলোর মুক্তির কথা চলছে তা জেনে নেওয়া যাক।
২০২৫ ঈদুল আজহায় মুক্তির মিছিলে ৭টি বাংলাদেশি সিনেমা
.
তান্ডব
আসন্ন ঈদে দর্শক আগ্রহ তুঙ্গে থাকা সিনেমাটি হচ্ছে শাকিব খান অভিনীত ‘তান্ডব’। ‘তুফান’-এর পর আবারও ঢালিউড সুপারস্টারকে নিয়ে ছবি বানালেন পরিচালক রায়হান রাফি।
এবার শাকিবের বিপরীতে প্রধান নায়িকা হিসেবে থাকবেন ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী সাবিলা নূর। আর এর মাধ্যমে বড় পর্দায় অভিষেক হতে যাচ্ছে সাবিলার।
ছবিতে সাংবাদিকের ভূমিকায় দেখা যাবে দুই বাংলায় বহুল সমাদৃত অভিনেত্রী জয়া আহসানকে। এছাড়া ৪০ সেকেন্ডের একটি ক্যামিওতে দেখা দেবেন বর্তমান সময়ের ব্যস্ততম তারকা শরিফুল রাজ।
আরো পড়ুন: সিআইডির এসিপি প্রদ্যুমানের বিদায়: সনি টিভির সেরা গোয়েন্দা সিরিজে আকস্মিক ছন্দপতন
রায়হান রাফী নিজেই চলচ্চিত্রটির মূল গল্প লিখেছেন। চিত্রনাট্যে রাফীর সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করেছেন আদনান আদিব খান।
দেশের একটি টেলিভিশন চ্যানেলে হামলার প্রেক্ষাপট নিয়ে এগিয়ে যাবে সিনেমার কাহিনী।
পিনিক
শবনম বুবলীকে প্রথমবারের মতো খলনায়িকার ভূমিকায় দেখার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন ভক্তরা। কিন্তু তাদের এই প্রতীক্ষা দীর্ঘায়িত করে বারবার পিছিয়ে যাচ্ছে ছবি মুক্তির দিনক্ষণ। তবে এবারের কুরবানীর ঈদে চূড়ান্ত মুক্তির কথা চলছে জাহিদ জুয়েল পরিচালিত এই সিনেমাটির।
সিনেমায় তার প্রধান সহশিল্পী হিসেবে রয়েছেন আদর আজাদ। ২০২২-এর ‘তালাশ’ এবং ২০২৩-এর ‘লোকাল’-এর পর ‘পিনিক’ বুবলী-আদর জুটির তৃতীয় কাজ।
আরো পড়ুন: ঈদুল ফিতর ২০২৫-এ ছোট পর্দার ঈদ আয়োজন: মুক্তির অপেক্ষায় শীর্ষ ১০টি নাটক
থ্রিলার, সাসপেন্স ও অ্যাকশনে ভরপুর ছবিটিতে প্রাধান্য পেয়েছে জিঘাংসা, প্রতিশোধ, এবং পাল্টা প্রতিশোধের গল্প। চিত্রনাট্যে রয়েছেন আখিউজ্জামান মেনন।
বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে রয়েছেন আলী রাজ, ফজলুর রহমান বাবু ও আজাদ আবুল কালাম-এর মতো অভিনেতারা। এছাড়াও আছেন সমু চৌধুরী, মাসুম বাশার, মোমেনা চৌধুরী, এ কে আজাদ সেতু, শরীফ সিরাজ, নাফিস আহমেদ বিন্দু, এবং জয়িতা মহলানবীশ।
ইউরো বাংলা এন্টারটেইনমেন্ট-এর সাথে সিনেমার সহ-প্রযোজনা করেছেন অভিনেতা শিমুল খান।
ইনসাফ
ছোট পর্দার দর্শকনন্দিত অভিনেত্রী তাসনিয়া ফারিণের নতুন সিনেমার নাম ‘ইনসাফ’। ওয়েব চলচ্চিত্রের বাইরে বাংলাদেশে এটি ফারিণের দ্বিতীয় ছবি। এর আগে ২০২৪ সালে তার অভিনীত প্রথম বাংলাদেশি সিনেমা ‘ফাতিমা’ মুক্তি পায়। ‘ইনসাফ’-এর মধ্য দিয়ে প্রথমবারের মতো তিনি ফর্মুলা ছবির নায়িকার ভূমিকায় অবতীর্ণ হচ্ছেন। এখানে তার বিপরীতে রয়েছেন শরিফুল রাজ। আর খলনায়কের ভূমিকায় দেখা যাবে শক্তিমান অভিনেতা মোশাররফ করিমকে।
আরো পড়ুন: ঈদুল ফিতর ২০২৫-এ ঢালিউডে মুক্তির অপেক্ষায় যে সকল বাংলাদেশি সিনেমা
অ্যাকশন ও থ্রিলার গল্প কেন্দ্রীক সিনেমাটির নির্দেশনা দিয়েছেন সঞ্জয় সমাদ্দার।
২২১ দিন আগে
‘কৃশ ৪’-এর বিশাল বাজেটে অনিশ্চিত বিনিয়োগ, কেন সরে দাঁড়ালেন রাকেশ রোশান
‘কৃশ’ ফ্র্যাঞ্চাইজির যাত্রা শুরু হয়েছিল ২০০৩ সালের সায়েন্স-ফিকশন সিনেমা ‘কোই... মিল গয়া’ দিয়ে। এরপর ২০০৬ সালে ‘কৃশ’ এবং ২০১৩ সালে ‘কৃশ ৩’ মুক্তি পায়। হৃত্বিক রোশন প্রতিটি কিস্তিতেই প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন, যেখানে শেষ দুটি সিনেমায় তার বিপরীতে ছিলেন প্রিয়াঙ্কা চোপড়া।
যদিও এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসেনি, তবে ‘বলিউড হাঙ্গামার’ প্রতিবেদন অনুসারে ‘কৃশ ৪’-এর চিত্রনাট্য চূড়ান্ত করা হয়েছে।
রাকেশ রোশন ‘কৃশ ৪’-এর পরিচালক পদ থেকে সরে দাঁড়ালেন, নতুন পরিচালকের ইঙ্গিত
বলিউডের প্রবীণ চলচ্চিত্র নির্মাতা রাকেশ রোশন অদ্যাবধি ‘কৃশ’ ফ্র্যাঞ্চাইজির পরিচালনা করেছেন । সম্প্রতি এই প্রতিভাবান নির্মাতা নিশ্চিত করেছেন যে আসন্ন চতুর্থ কিস্তির পরিচালনা তিনি করছেন না।
রাকেশ রোশন পুত্র জনপ্রিয় নায়ক হৃত্বিক রোশন অভিনীত এই ফ্র্যাঞ্চাইজি বক্স অফিসে ধারাবাহিক সাফল্য অর্জন করেছে। তবে এখন প্রশ্ন হচ্ছে—কে হতে চলেছেন নতুন পরিচালক?
আরো পড়ুন: গৌরী স্প্রাট কে? আমির খানের বান্ধবী, বেঙ্গালুরু-ভিত্তিক উদ্যোক্তা
এক সাম্প্রতিক সাক্ষাৎকারে রাকেশ রোশন পরিচালকের দায়িত্ব থেকে সরে যাওয়ার বিষয়টি ‘বলিউড হাঙ্গামা’ কে জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, "এটি ভালো যে আমি এখনই দায়িত্ব হস্তান্তর করি, যখন আমার বুদ্ধি-বিবেক পুরোপুরি সচল। এতে আমি পুরো প্রক্রিয়াটি তদারকি করতে পারব এবং নিশ্চিত করতে পারব যে এটি সঠিকভাবে হচ্ছে। যদি আমি দেরি করি এবং নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলি, তাহলে আমি জানতেও পারব না তারা কী তৈরি করছে।"
তবে ‘কৃশ ৪’-এর পরিচালক না হওয়া নিয়ে কোনো হতাশা নেই বলে জানিয়েছেন রাকেশ রোশন। তিনি বলেন, "এটি একটি ঝুঁকি, যা আমাদের নিতেই হবে। কোনো নিশ্চয়তা নেই যে আমি যদি ‘কৃশ ৪’ পরিচালনা করি, সেটি সুপারহিট হবে। এটি উল্টো দিকেও যেতে পারে।"
তিনি আসন্ন ‘কৃশ ৪’ সিনেমার নতুন পরিচালকের নাম প্রকাশ করেননি, তবে ইঙ্গিত দিয়েছেন যে তিনি ছবির প্রযোজনায় জড়িত থাকবেন।
আরো পড়ুন: অস্কার ২০২৫: ৯৭তম অ্যাকাডেমি পুরষ্কারের আসর মাতালেন যারা
‘কৃশ ৪’-এর বাজেট ৭০০ কোটি রুপি? স্টুডিওগুলো বিনিয়োগে অনিশ্চিত
বলিউড হাঙ্গামার সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে জানা গেছে, ‘কৃশ ৪’-এর বাজেট ৭০০ কোটি রুপি। এই বিশাল অঙ্কের বাজেট স্টুডিওগুলোর জন্য বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়াকে চ্যালেঞ্জিং করে তুলেছে। ফলে স্টুডিওগুলো প্রতিশ্রুতি দিতে দ্বিধা করছে।
প্রথমদিকে, হৃত্বিক রোশন তার বন্ধু সিদ্ধার্থ আনন্দকে—যিনি এই প্রকল্পের একজন প্রযোজক ছিলেন—উপযুক্ত স্টুডিও খুঁজে বের করার দায়িত্ব দেন। তবে পোস্ট-মার্ভেল যুগে ছবিটির প্রাসঙ্গিকতা নিয়ে সংশয় থাকায় স্টুডিওগুলো বিনিয়োগে আগ্রহী হয়নি। ফলে সিদ্ধার্থ আনন্দ ও তার প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান মারফ্লিক্স প্রকল্পটি থেকে সরে দাঁড়িয়েছে।
প্রতিবেদনে এক সূত্রকে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, "পোস্ট-মার্ভেল যুগে এই বাজেটে ‘কৃশ’-এর সম্ভাবনা নিয়ে স্টুডিওগুলো আত্মবিশ্বাসী ছিল না, কারণ ‘কৃশ ৩’ মুক্তির পর থেকে এক দশকের বেশি সময় পেরিয়ে গেছে।"
আরো পড়ুন: ২০২৫ সালের রূপালি পর্দায় সুপারহিরোদের রোমাঞ্চকর অভিযান
তবে ইন্ডিয়া টুডে ডিজিটাল-এর কাছে এক সূত্র নিশ্চিত করেছে যে, ‘কৃশ ৪’-এর বাজেট ৭০০ কোটি রুপি নয়। তিনি বলেন, "এই বিপুল বাজেট নিয়ে যে গুজব ছড়িয়েছে, তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।"
২৬২ দিন আগে
বাংলাদেশি চলচ্চিত্র ২০২৫: দর্শক মাতাতে মুক্তির মিছিলে যেসব ঢালিউড সিনেমা
শুরু হয়ে গেছে পুরোনো বছর পেরিয়ে নতুন বছরের আগমনের লগ্ন। এই উৎসবমুখর লগ্নকে কেন্দ্র করে রকমারি চলচ্চিত্র জগতেও চলছে সাজসাজ রব। পরিবর্তনের জোয়ারের সঙ্গে তাল মিলিয়ে নতুন আঙ্গিকে প্রস্তুতি চলছে নতুন বছরের সিনেমার। এরই ধারাবাহিকতায় ২০২৫ সালে মুক্তির অপেক্ষায় থাকা বাংলাদেশি চলচ্চিত্রগুলো ঢেলে সাজাতে পারে ঢালিউডকে। কেননা প্রেক্ষাগৃহের ছবির পাশাপাশি যুগপৎভাবে ওয়েব ফিল্ম মুক্তিও দর্শকদের প্রত্যাশার খোরাপ যোগাচ্ছে। চলুন, সেগুলোর মধ্যে থেকে ১০টি সম্ভাবনাময় ঢালিউড সিনেমার ব্যাপারে জেনে নেওয়া যাক।
২০২৫ সালে মুক্তির অপেক্ষায় শীর্ষ ১০ বাংলাদেশি সিনেমা
বরবাদ
‘প্রিয়তমা’ (২০২৩)-এর পর শাকিব খান ও ইধিকা পালের দ্বিতীয় চলচ্চিত্র ‘বরবাদ’। সিনেমাটির নির্দেশনার মধ্য দিয়ে পূর্ণদৈর্ঘ্য পর্দায় অভিষেক হতে যাচ্ছে নাট্য নির্মাতা মেহেদী হাসান হৃদয়ের।
রিয়েল এনার্জি প্রোডাকশন প্রযোজিত ছবিটির বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে আছেন ভারতের অভিনেতা যীশু সেনগুপ্ত। আইটেম গানে থাকছেন ভারতীয় বাংলা সিনেমার অভিনেত্রী নুসরাত জাহান। এছাড়া অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন মানব সাচদেব ও মিশা সওদাগর।
আরো পড়ুন: ‘ব্ল্যাক মানি’: পূজা চেরী ও রুবেলকে নিয়ে রায়হান রাফীর প্রথম ওয়েব সিরিজ
অ্যাকশন ঘরানার ছবিটির দৃশ্য পরিচালনা করেছেন টলিউড ও বলিউডের অ্যাকশন ডিরেক্টর রবি বর্মা। ছবির কণ্ঠশিল্পী হিসেবে রয়েছেন প্রীতমসহ বলিউডের কিছু শিল্পী।
প্রায় ১৫ কোটি টাকা বাজেটে নির্মিত হচ্ছে চলচ্চিত্রটি, যা মুক্তির লগ্নে বাংলাদেশি সিনেমার জন্য রেকর্ড সৃষ্টি করবে! এখন পর্যন্ত ২০২৫-এর ঈদুল ফিতরে এই চলচ্চিত্রের মুক্তির দিনক্ষণ নির্ধারিত হয়ে আছে।
দাগি
‘সুড়ঙ্গ’ (২০২৩)-এ ব্যাপক জনপ্রিয়তার রেশ ধরে আফরান নিশো ও তমা মির্জাকে নিয়ে নির্মিত হচ্ছে ‘দাগি’। এর প্রযোজনায় রয়েছে যৌথ ভাবে ওটিটি প্ল্যাটফর্ম চরকি ও এসভিএফ আলফা আই এন্টারটেইনমেন্ট লিমিটেড। পরিচালনায় রয়েছেন শিহাব শাহীন এবং ‘ছুঁয়ে দিলে মন’ (২০১৫)-এর পর বড় পর্দায় এটি নির্মাতার দ্বিতীয় কাজ।
নিশো-তমা জুটির পাশাপাশি একটি বিশেষ চরিত্রে দেখা যাবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত তারকা সুনেরাহ বিনতে কামাল।
আরো পড়ুন: মাস্তি ৪: আসছে বলিউডের জনপ্রিয় কমেডি মুভির চতুর্থ সংস্করণ
রোমান্স, ড্রামা ও অ্যাকশনের মিশেলে গড়া চিত্রনাট্যে ছবিতে পরিবেশন করা হবে মূল চরিত্রের প্রায়শ্চিত্য ও মুক্তির গল্প। আসছে বছর রোযার ঈদে শাকিবের ‘বরবাদ’-এর সঙ্গে প্রতিযোগিতা করবে চলচ্চিত্রটি।
৩৪৩ দিন আগে
২০২৬-এর ঈদ চলচ্চিত্রে মুখোমুখি শাহরুখ ও রণবীর
মহা ধুন্ধুমার হতে চলেছে ২০২৬-এ বলিউডের ঈদ আয়োজন। এই একই মৌসুমকে ঘিরে ঠিক হলো শাহরুখ খানের ‘কিং’ এবং রণবীর কাপুরের ‘লাভ অ্যান্ড ওয়ার’ চলচ্চিত্রের মুক্তির দিনক্ষণ। উপমহাদেশ জুড়ে ভক্তদের প্রত্যাশার সয়লাবে যেন জোয়ার তুলেছে এই ঘোষণা। সেই সঙ্গে পুরোনো ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি করতে চলেছে ছবি দুটি। চলুন, এখনও নির্মাণের মঞ্চে না ওঠা সিনেমা দুটি নিয়ে আকর্ষণীয় কিছু তথ্য জেনে নেওয়া যাক।
ঐতিহাসিক পূণর্মিলনী
শাহরুখ অভিনীত ফারাহ খানের পুনর্জন্ম কাহিনী ‘ওম শান্তি ওম’ ছিল ২০০৭-এর দীপাবলির ব্লকবাস্টার। একই সময়ে সঞ্জয় লীলা বনসালির ‘সাওয়ারিয়া’ দিয়ে বড় পর্দায় অভিষেক ঘটে রণবীর কাপুরের। তারপর থেকে দীর্ঘ ১৯ বছর পর বক্সঅফিসে বলিউড বাদশার মুখোমুখি হতে চলেছেন রণবীর। বলাই বাহুল্য যে, এখন তিনি আর সেই ‘সাওয়ারিয়া’র রণবীর নেই।
নির্মাতা বনসালির সঙ্গে চলচ্চিত্র যুদ্ধে এসআরকে সেবার জিতে গিয়েছিলেন ঠিকই। কিন্তু ২০১৫’তে শাহরুখের ‘দিলওয়ালে’ খুব একটা সুবিধা করে উঠতে পারেনি বনসালির ‘বাজিরাও মাস্তানি’র কাছে। এবার তৃতীয়বারের মতো কিং খানের সঙ্গে বক্সঅফিস প্রতিযোগিতায় অবতীর্ণ হতে যাচ্ছেন ১৫ বার ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ড জয়ী এই চলচ্চিত্র নির্মাতা।
আরও পড়ুন: ‘কাঁটা’ আসছে বঙ্গতে
শাহরুখের ‘কিং’
পরপর ‘পাঠান’, ‘জওয়ান’ এবং ‘ডানকি’র মতো হিট মুভি দেওয়ার পর শাহরুখের এবারের চমকের নাম ‘কিং’। বহুল প্রত্যাশিত এই ক্রাইম ড্রামার মধ্য দিয়ে পূর্ণদৈর্ঘ্য পর্দায় প্রকাশিত চলচ্চিত্রে অভিষেক ঘটতে যাচ্ছে শাহরুখ-কন্যা সুহানা খানের। ছবিটির পরিচালনায় থাকবেন সুজয় ঘোষ।
এসআরকে’র রেড চিলিস এন্টারটেইনমেন্টের সঙ্গে সিনেমার সহ-প্রযোজনায় অংশ নেবে সিদ্ধার্থ আনন্দের মারফ্লিক্স পিকচার্স।
২০১৩-এর ‘চেন্নাই এক্সপ্রেস’-এর দুর্দান্ত সফলতার পর থেকে দীর্ঘ বিরতির এই প্রথম ঈদের মৌসুমে ছবি প্রকাশ করছেন কিং খান।
ছবিতে প্রধান খলনায়কের ভূমিকায় দেখা যাবে অভিষেক বচ্চনকে। তারকাশিল্পীদের মধ্যে আরও থাকবেন সম্প্রতি সাড়া জাগানো হরর-কমেডি মুঞ্জিয়া-খ্যাত অভিনেতা অভয় ভার্মা।
আরও পড়ুন: মেহজাবীন অভিনীত ভিকি জাহেদের ‘তিথিডোর’ নিয়ে কেন এত আলোচনা
ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়াসহ অভূতপূর্ব কিছু অ্যাকশন সিকোয়েন্স এবং নজরকাড়া কিছু ভিজুয়াল ইফেক্ট দিয়ে সাজানো হবে মুভিটিকে। সঙ্গত কারণে বেশ সময় নিয়ে পরিকল্পনা চলছে ছবি নির্মাণে। সবকিছু ঠিকঠাক এগোলে ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে শুরু হয়ে আগস্ট বা সেপ্টেম্বর নাগাদ শেষ হবে নির্মাণের যাবতীয় কাজ।
রণবীরের ‘লাভ অ্যান্ড ওয়ার’
প্রথম দিকে ২০২৫-এর ক্রিসমাসে মুক্তি পাওয়া কথা থাকলেও সময় পিছিয়ে নতুন তারিখ ঠিক করা ২০২৬-এর ২০ মার্চ। সেই থেকেই ‘কিং’-এর সঙ্গে প্রতিযোগিতার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে ‘লাভ অ্যান্ড ওয়ার’-এর।
সঞ্জয় লীলা বনসালি পরিচালিত এই এপিক রোমান্টিক মুভিতে অভিনয় করবেন রণবীর কাপুর, আলিয়া ভাট এবং ভিকি কৌশল। ব্রহ্মাস্ত্র: পার্ট ওয়ান (২০২২)-এর পর এটি দম্পতি রণবীর-আলিয়ার প্রথম চলচ্চিত্র।
আরও পড়ুন: দীর্ঘ বিরতির পর ‘নীল জোছনা’ নিয়ে বড় পর্দায় ফিরছেন শাওন
বলিউডের ঈদ আয়োজনে এই পরিবর্তনের পটভূমি
ঘটনার সূত্রপাত ঘটে ঈদে ছবি মুক্তি থেকে বলিউডের ভাইজান-খ্যাত সুপারস্টার সালমান খানের সরে দাঁড়ানো থেকে। বছরের পর বছর ধরে অনেকটা একচেটিয়া ভাবেই ঈদ মৌসুমকে নেতৃত্ব দিয়ে আসছে সালমান খানের মুভিগুলো। কিন্তু এই ধারাবাহিকতা ভেঙে ২০২৬ সাল থেকে যাচ্ছে একটু ভিন্ন রকমের।
২০২৫ সালের ঈদের জন্য নির্ধারিত ‘সিকান্দার’ মুভির কাজ শেষ করেই পরিচালক অ্যাটলির সঙ্গে পরবর্তী মেগা-বাজেটের ছবি নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন সালমান। ব্যাপক শুটিং ও ভিএফএক্স নিয়ে এই নতুন প্রজেক্টে রয়েছে বেশ ভারী কাজের চাপ। স্বভাবতই অতিরিক্ত সময়ের প্রয়োজনীয়তা ছবি মুক্তির দিনক্ষণকে ঠেলে দিয়েছে ২০২৬ সালের দ্বিতীয়ার্ধে। এতে ২০২৬-এর ঈদ মৌসুমে সৃষ্টি হয় বিগ বাজেটের চলচ্চিত্র-শূন্যতা। আর এই শূন্যস্থান পূরণেই মুক্তির তারিখ নির্ধারিত হয়েছে ‘কিং’ এবং ‘লাভ অ্যান্ড ওয়ার’-এর।
শেষাংশ
২০২৬-এ বলিউডের ঈদ আয়োজনে শাহরুখ ও রণবীরের মুখোমুখি হওয়াটা জন্ম দিয়েছে নতুন মাত্রার ব্লকবাস্টার প্রতিযোগিতার সম্ভাবনা। একদিকে ‘কিং’-এর আবেগপূর্ণ পিতা-কন্যার আবেগঘন চিত্রনাট্য, অন্যদিকে ‘লাভ অ্যান্ড ওয়ার’-এ প্রেম ও সংঘর্ষের চিরনবীন পটভূমি। সব মিলিয়ে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ২০২৬-এর ঈদুল ফিতর হতে চলছে বলিউডের সবচেয়ে প্রত্যাশিত আয়োজনগুলোর মধ্যে একটি। কার মাথায় মুকুট উঠবে তা নিয়ে রুদ্ধঃশ্বাস প্রতীক্ষার পাশাপাশি মুভিপ্রেমীরা পাচ্ছে এক স্মরণীয় উৎসবমুখর সপ্তাহের হাতছানি।
আরও পড়ুন: আসছে নিশো-তমা জুটির নতুন সিনেমা ‘অসিয়ত’
৪৪৫ দিন আগে
দীর্ঘ বিরতির পর ‘নীল জোছনা’ নিয়ে বড় পর্দায় ফিরছেন শাওন
২০০৮ সালে মুক্তি পেয়েছিল বাংলাদেশের কিংবদন্তি ঔপন্যাসিক ও চলচ্চিত্রকার হুমায়ুন আহমেদের ‘আমার আছে জল’ সিনেমা। সেখানে ‘নিশাদ’ চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন অভিনেত্রী মেহের আফরোজ শাওন। তারপর থেকে গান ও নাটকের মাধ্যমে বেশ কিছুবার দর্শকদের সামনে এলেও বড় পর্দা থেকে তিনি নিজেকে গুটিয়ে রেখেছিলেন। অবশেষে ১৭ বছরের দীর্ঘ বিরতি ভেঙে ‘নীল জোছনা’ শিরোনামের চলচ্চিত্র দিয়ে পূর্ণদৈর্ঘ্য পর্দায় ফিরছেন শাওন।
কেমন হতে যাচ্ছে সিনেমার গল্প, আর এই নির্মাণে শাওনের সঙ্গী হচ্ছেন কারা- চলুন জেনে নেয়া যাক।
বিনোদন জগতে শাওনের পদচারণা
বিনোদন জগতে শাওনের শুরুটা ছিল ১৯৮৯ সালে ইবনে মিজান পরিচালিত চলচ্চিত্র ‘আলাল দুলাল’-এ শিশু শিল্পী হিসেবে অভিনয়ের মাধ্যমে। সেখানে তিনি অভিনয় করেছিলেন তৎকালীন খ্যাতিমান নায়িকা সুচরিতার ছোটবেলার চরিত্রে। তবে তিনি আলোচনায় আসেন শিশু শিল্পীদের জাতীয় সাংস্কৃতিক প্রতিভা অন্বেষণ প্রতিযোগিতা ‘নতুন কুঁড়ি’তে বিজয়ী হওয়ার পর। তার নামের সঙ্গে একাধারে জুড়ে ছিল নৃত্যশিল্পী, সঙ্গীতশিল্পী ও অভিনয়শিল্পী।
আরো পড়ুন: ইতালির ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে পুরস্কৃত হলো 'ময়না'
ছোটপর্দায় শাওনের অভিষেক হয় ১৯৯৬ সালের ধারাবাহিক নাটক ‘নক্ষত্রের রাত’-এর মাধ্যমে। ধারাবাহিকটি নির্মাণ করেছিলেন প্রথিতযশা নাট্যকার হুমায়ুন আহমেদ। ১৯৯৯ সালে তার কালজয়ী ধারাবাহিক ‘আজ রবিবার’-এ শাওনের ‘তিতলি’ চরিত্রটি আজও স্মরণীয় হয়ে আছে। এরপর থেকে হুমায়ুন আহমেদের নাট্যদলের নিয়মিত একজন হয়ে যান শাওন। সে বছরই রম্য নাটক ‘সমুদ্র বিলাস প্রাইভেট লিমিটেড’-এ মিতু চরিত্রে অভিনয় করেন তিনি।
শুধু নাটকেই নয়, প্রখ্যাত নির্মাতার চলচ্চিত্রগুলোতেও সমান বিচরণ ছিল এই মেধাবী তারকার। ২০০০ সালে ‘শ্রাবণ মেঘের দিন’ সিনেমায় প্রধান নায়িকা ‘কুসুম’-এর ভূমিকায় দেখা যায় শাওনকে। এরপর থেকে ‘দুই দুয়ারী’ (২০০১)-তে ‘তরু’, ‘চন্দ্রকথা’ (২০০৩)-য় ‘চন্দ্র’, এবং ‘শ্যামল ছায়া’ (২০০৪) সিনেমার ‘আশালতা’ চরিত্রগুলো দর্শক ও সমালোচক মহলে বেশ সমাদৃত হয়।
২০০৪ সালের দর্শকনন্দিত ধারাবাহিক নাটক ‘উড়ে যায় বকপক্ষী’তে তিনি ‘পুষ্প’ চরিত্রে অভিনয় করেন।
হুমায়ুন আহমেদের নির্দেশনায় শাওনের সর্বশেষ চলচ্চিত্র ছিল ২০০৮ সালের ‘আমার আছে জল’, আর সর্বশেষ নাটক ছিল ২০১১ সালের ‘স্বর্ণকলস’।
আরো পড়ুন: কিরণ রাওয়ের ‘লাপাতা লেডিস’ নিয়ে যে কারণে এত আলোচনা
২০১২ সালে হুমায়ুন আহমেদের মৃত্যুর পর থেকে তার বেশ কিছু রচনা পরিচালনা করেন শাওন।
এগুলোর মধ্যে রয়েছে- ২০১১ সালের নাটক ‘স্বপ্ন ও স্বপ্নভঙ্গ’, ২০১৪ সালের ‘বিভ্রম’, এবং ২০১৬ সালের চলচ্চিত্র ‘কৃষ্ণপক্ষ’। ‘কৃষ্ণপক্ষ’ সিনেমায় ‘যদি মন কাঁদে তুমি চলে এসো’ শিরোনামের গানে কণ্ঠ দেওয়ার সুবাদে তিনি শ্রেষ্ঠ কণ্ঠশিল্পী হিসেবে জাতীয় পুরস্কার অর্জন করেন।
‘নীল জোছনা’ সিনেমার কথকতা
সিনেমার গল্প
চলচ্চিত্রটির চিত্রনাট্য নির্মিত হয়েছে মোশতাক আহমেদের ‘নীল জোছনার জীবন’ উপন্যাস অবলম্বনে, যেটি মুলত একটি প্যারাসাইকোলজি বিষয়ক কাহিনী নিয়ে রচিত।
গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র লায়লা, যে অতীত ও ভবিষ্যত দেখতে পারে। আর এই বিষয়টি আতঙ্কিত করে তুলেছে তার স্বামী আমিনকে। কেননা সে জানতে পেরেছে খুব শিগগিরই লায়লার ফাঁসি হতে যাচ্ছে, আর কথাটি বলেছে স্বয়ং লায়লা নিজে। আমিন কিছুতেই বুঝে উঠতে পারে না, কেন তার স্ত্রীর ফাঁসি হবে; সে তো কোনো অপরাধ করেনি!
আরো পড়ুন: ঈদুল আজহা ২০২৪ এর বাংলাদেশি সিনেমা
চরম উদ্বিগ্নতার মুহুর্তে তারা শরণাপন্ন হয় মনস্তাত্ত্বিক ড. তরফদারের। গভীর পর্যবেক্ষণে তিনি খেয়াল করেন যে, লায়লা প্রায়ই একটি গান গুনগুন করে। আর এই গানের উৎসটি ডাক্তারকে সন্ধান দেয় এক অদ্ভূত বিমূর্ত জীবনের, যার নাম নীল জোছনা।
লায়লার অতিপ্রাকৃত ক্ষমতার পেছনে এই নীল জোছনাই দায়ী। আবার এই নীল জোছনাই তাকে ফাঁসির দিকে ধাবিত করছে।
ডাক্তার টের পান, লায়লার জীবন প্রবাহ পৃথিবীর আর দশটা মানুষের মত স্বাভাবিক নয়। এরপরও তিনি আপ্রাণ চেষ্টা চালাতে থাকেন মেয়েটির ভয়াবহ পরিণতির গতিপথ পাল্টানোর জন্য।
আরো পড়ুন: ঈদুল আজহা ২০২৪ এর কিছু চমকপ্রদ বাংলা নাটক
চলচ্চিত্রের নির্মাণ ও কলাকুশলি
৬ বছর আগে ২০১৮ সালের শেষ দিকে সরকারি অনুদানে চলচ্চিত্রটির নির্মাণ কাজ শুরু হয় ফাখরুল আরেফিন খানের পরিচালনায়। মহামারী করোনাসহ নানা কারণে শুটিংয়ের কাজ বারবার পিছিয়ে যায়। অতঃপর চলতি বছরের মে মাস থেকে সফলভাবে সিনেমাটির শুটিং চলছে।
‘ভুবন মাঝি’, ‘গণ্ডি’ এবং ‘জেকে ১৯৭১’-এর পর ফাখরুল আরেফিন খানের চতুর্থ সিনেমা ‘নীল জোছনা’। এর আগে ’৭১-এর মুক্তিযুদ্ধের ওপর নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র ‘আল বদর’ (২০১১)-এর জন্য তিনি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন।
চলচ্চিত্রে শাওনকে দেখা যাবে শহুরে এক নারীর চরিত্রে। সিনেমার আলাদা চমক হিসেবে থাকছেন পশ্চিমবঙ্গের অভিনেত্রী পাওলি দাম। এছাড়া অন্যান্য অভিনয়শিল্পীরা হলেন- ইন্তেখাব দিনার, তারিক আনাম খান, এস এম নাঈম ও পার্থ বড়ুয়া।
আরো পড়ুন: আসছে তাহসান-মিথিলার ওয়েব সিরিজ ‘বাজি’
ছবির ক্যামেরাম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন রানা দাশগুপ্ত। সাকি ব্যানার্জির সংগীত পরিচালনায় ছবিতে গান থাকবে মোট তিনটি। এগুলোর মধ্যে মৌলিক গান দুটি, যেগুলোর গীতিকার লয়দীপ ও মাহমুদ শাওন।
পরিশেষ
মনস্তাত্ত্বিক গল্পের চলচ্চিত্র দিয়ে শাওনের প্রত্যাবর্তন হুমায়ুন-ভক্তদের জন্য নতুন করে থ্রিলার নির্ভর কাজ দেখার ইন্ধন যোগাচ্ছে। ২১ শতকের প্রথম দশকে বিনোদন জগতের বিভিন্ন অঙ্গনে প্রতিষ্ঠা পাওয়ার মাধ্যমে ঢালিউড ইন্ডাস্ট্রিতে নিজের একটি আলাদা জায়গা তৈরি করেছিলেন শাওন। তবে ‘নীল জোছনা’র মাধ্যমে সেই জনপ্রিয়তার পুনরুত্থান ঘটবে কি না, তা জানার জন্য অপেক্ষা করতে হবে চলচ্চিত্রটির মুক্তির দিন পর্যন্ত।
তবে ফাখরুল আরেফিন খানের বিগত ভিন্ন ধারার কাজের সুবাদে বাংলাদেশি সিনেমা জগতে নতুন কিছু সংযোজনের সম্ভাবনা তৈরি করছে চলচ্চিত্রটি।
মেহজাবীন অভিনীত ভিকি জাহেদের ‘তিথিডোর’ নিয়ে কেন এত আলোচনা
৫১৮ দিন আগে
শাকিব খানের 'তুফান' চলচ্চিত্রের চমকপ্রদ কিছু তথ্য
২০২৩ সালের ১১ ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিক ঘোষণার মধ্যে দিয়ে কাজ শুরু হয় ‘তুফান’ চলচ্চিত্রের। সেই থেকে হৈচৈ-এর শুরু ঢালিউড সুপার স্টার শাকিব খান অভিনীত এই নতুন মুভি নিয়ে। ২৮ মার্চ প্রথম পোস্টার প্রকাশিত হওয়ার পর থেকে দর্শক ও গণমাধ্যমজুড়ে জল্পনা-কল্পনা যেন আরও বেড়ে গেছে। শাকিব ভক্ত ছাড়াও ছবিটি এবার বাংলা মুভিপ্রেমিদের আরও বড় অংশকে আকৃষ্ট করছে। কেননা বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত সিনেমাটিতে অংশ নিচ্ছেন দুই বাংলার জনপ্রিয় সব তারকারা। চলুন, অ্যাকশন ঘরানার চলচ্চিত্র ‘তুফান’ নিয়ে চমকপ্রদ কিছু তথ্য জেনে নেওয়া যাক।
‘তুফান’ এর পর্দার পেছনের শিল্পীরা
ছবিটির নির্দেশনায় রয়েছেন এ সময়ের ভিন্ন ধারার চলচ্চিত্র নির্মাতা রায়হান রাফি। প্রথম ছবি ‘পোড়ামন ২’ (২০১৮) দিয়ে বাজিমাত করার পর থেকে তিনি একের পর এক দুর্দান্ত ছবি উপহার দিয়ে চলেছেন। ‘পরান’ (২০২২), ‘খাঁচার ভেতর অচিন পাখি’ (২০২১) এবং ‘সুড়ঙ্গ’ (২০২৩) এ অনবদ্য নির্মাণশৈলী রাফিকে এনে দিয়েছে স্বতন্ত্র ভক্তশ্রেণী।
বাংলাদেশের আলফা-আই স্টুডিওস ও ওটিটি প্ল্যাটফর্ম চরকি এবং ভারতের এসভিএফ- এই ৩টি প্রোডাকশন হাউজ যৌথভাবে প্রযোজনা করছে ছবিটি। স্বভাবতই নির্মাণ খরচের প্রতিযোগিতায় সমসাময়িক সব সিনেমাকে পেছনে ফেলতে যাচ্ছে ‘তুফান’।
আরও পড়ুন: শাকিব-সোনাল জুটি: কতটা বরাবর হলো!
‘তুফান’ চলচ্চিত্রের গল্প
কাহিনী ও চিত্রনাট্য নিয়ে পরিচালক ও অভিনয়শিল্পীরা এখনও গোপনীয়তা বজায় রেখে চলেছেন। এরই মধ্যে ফার্স্ট লুক প্রকাশিত হওয়ার পর থেকে ভক্তদের মাঝে ছবি নিয়ে কৌতুহলটা দ্বিগুণ বেড়ে গেছে।
সোফায় হেলান দেওয়া শাকিব খানের বৈমানিক সানগ্লাসের সঙ্গে কালো জ্যাকেট, লম্বা ও ঢেউ খেলানো চুল মারদাঙ্গা কাহিনীর আভাস দিচ্ছে।
বুকের কাছে বোতাম খোলা শার্টের মাঝে গলার কালো লকেট, হাতের অনামিকা ও কনিষ্ঠায় কালো আংটি। এর সঙ্গে পায়ের কাছে কালো বন্দুকটি হলিউডের গডফাদার মুভির কথা মনে করিয়ে দেয়। সর্বপরি, দর্শক এবার পূর্ণদৈর্ঘ্য পর্দায় দেখতে চলেছে গ্যাংস্টার শাকিবকে। সেই সূত্রে বলা যেতে পারে যে, আদ্যোপান্ত হাই-ভোল্টেজ অ্যাকশন ঘরানার ছবি হতে যাচ্ছে ‘তুফান’।
আরও পড়ুন: ভারতের ৩ রাজ্যে শাকিব খানের ‘প্রিয়তমা’
‘তুফান’ এ দুই বাংলার সেরা তারকারা
সিনেমাটির সবচেয়ে চিত্তাকর্ষক বিষয়টি হলো এর কাস্টিং। বাংলাদেশ ও ভারতের জনপ্রিয় সব তারকাদের বড় পর্দায় একসঙ্গে দেখা যাবে এখানে। ফলে প্রত্যেক তারকার স্বতন্ত্র ভক্তদের সংযোজনে দুই বাংলা জুড়ে বিশাল এক দর্শক শ্রেণী তৈরি হয়েছে ‘তুফান’ এর জন্য।
শাকিব খানের বিপরীতে প্রধান সহশিল্পী হিসেবে রয়েছেন কলকাতার তারকা মিমি চক্রবর্তী।
এটি কেবল মিমি-শাকিব জুটির প্রথম ছবিই নয়, সেই সঙ্গে এটি মিমির অভিনয় ক্যারিয়ারেও প্রথম বাংলাদেশি চলচ্চিত্র। ২০১২ সালের ‘বাপি বাড়ি যা’ এবং ‘বোঝেনা সে বোঝেনা’ দিয়ে লাইমলাইটে আসেন মিমি। এরপর থেকে বিভিন্ন আর্ট ফিল্মসহ অনেক ব্যবসায়িক ছবিতে অভিনয় করেছেন তিনি। বিগত বছরগুলোতে তার সেরা কাজগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘এসওএস কলকাতা’ (২০২০) এবং ‘বাজি’ (২০২১)।
আরও পড়ুন: রাফির পরিচালনায় শাকিব খানের ‘তুফান’
‘তুফান’-এ প্রধান সহশিল্পী হিসেবে আরও থাকছেন বাংলাদেশের ছোট পর্দার তারকা মাসুমা রহমান নাবিলা। বড় পর্দায় আনাগোণাটা খুব একটা না থাকলেও ‘আয়নাবাজি’ (২০১৬)-এর মাধ্যমে দর্শকদের মনে এক বিশাল জায়গা করে নিয়েছেন এই অভিনেত্রী।
ছবিতে খলনায়কের ভূমিকায় দেখা যাবে টলিউড অভিনেতা যীশু সেনগুপ্তকে। বিনোদন জগতে তার পদার্পণ বেশ আগে হলেও ‘সব চরিত্র কাল্পনিক’ (২০০৮), ‘আবহমান’ (২০১০), ‘নৌকাডুবি’ (২০১১), ‘চিত্রাঙ্গদা’ (২০১২) চলচ্চিত্রগুলো তাকে ব্যাপক সুখ্যাতি এনে দিয়েছে। বিগত দশকে তার সেরা কাজগুলো ছিলো ২০১৪-এর ‘জাতিস্মর’, ২০১৫-এর ‘রাজকাহিনী’ ও ‘আরশিনগর’, ২০১৬-এর ‘জুলফিকার’।
অতিথি চরিত্র হলেও ‘তুফান’-এর সঙ্গে চঞ্চল চৌধুরীর যুক্ত হওয়াটা দারুণ চমক দিয়েছে মুভিপ্রেমীদের।
আরও পড়ুন: একই প্ল্যাটফর্মে দুই তারকা শাকিব-সাকিব
চলতি বছরের ‘রুমি’ এবং ‘মনোগামী’ এর জনপ্রিয়তার রেশ কাটতে না কাটতেই নতুন সিনেমার খবরটি নেটিজেনদের মধ্যে রীতিমতো প্রত্যাশার ঝর বইয়ে দিয়েছে। বিশেষ চরিত্রটি কেমন হবে তা এখনও খোলাসা করা হয়নি। ফলে রায়হান রাফি ও চঞ্চল চৌধুরীর এই কাজ নিয়ে কৌতুহল বেড়েই চলেছে সিনেমাপ্রেমীদের।
এখানেই শেষ নয়; ‘তুফান’ টিমের সঙ্গে আরও রয়েছেন ৬ বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরষ্কার বিজয়ী বর্ষিয়ান অভিনেতা ফজলুর রহমান বাবু। তার এই সেরা কাজগুলো হচ্ছে ‘শঙ্খনাদ’ (২০০৪), ‘মেয়েটি এখন কোথায় যাবে’ (২০১৬), ‘ফাগুন হাওয়ায়’ (২০১৯), ‘গহীন বালুচর’ (২০১৭) এবং ‘বিশ্বসুন্দরী’ (২০২০), এবং ‘নোনা জলের কাব্য’ (২০২১)। দীর্ঘ অভিনয় জীবনে বহু সিনেমায় কাজ করলেও শাকিব খানের সঙ্গে এই প্রথম কাজ করছেন ফজলুর রহমান বাবু।
এছাড়া রায়হান রাফির ২০২১ সালের সিনেমা ‘খাচার ভিতর অচিন পাখি’তেও তার কাজ ব্যাপক ভাবে সমাদৃত হয়। যে কোনো চরিত্রে অবলীলায় মিশে যাওয়ার মতো এক অদ্ভূত স্বতঃস্ফূর্ততা রয়েছে এই শক্তিমান অভিনেতার মাঝে।
আরও পড়ুন: না ফেরার দেশে অভিনেতা রুমি
‘তুফান’ সিনেমায় আরও দেখা যাবে শহীদুজ্জামান সেলিম, একে আজাদ সেতু, গাজী রাকায়েত এবং হাসনাত রিপনকে।
কবে মুক্তি পাচ্ছে ‘তুফান’
সিনেমার শুটিং শুরু হয় চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে। এ পর্যন্ত ভারতের হায়দারাবাদের রামুজি ফিল্ম সিটিতে শুটিংয়ের কাজ শেষ হয়েছে। ৯০ দশকের গাড়ি, বাড়িঘর ও অন্যান্য স্থাপনায় সাজানো সেটটি দারুণ ভাবে নজর কেঁড়েছিল দর্শকদের।
বর্তমানে কলকাতা শহরে দৃশ্য ধারণের কাজ চলছে, যেটি শুরু হয়েছিল গত ১৫ এপ্রিল থেকে। চলবে প্রায় এক মাস ধরে। পরিকল্পনা অনুসারে একটি ট্রেইলারও প্রকাশ করা হবে শিগগিরই। বাকি সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে যাবতীয় চমক নিয়ে ‘তুফান’ এর পর্দা উঠবে আগামী ঈদুল আজহায়।
আরও পড়ুন: খালিদকে স্মরণ করে শুরু হচ্ছে টিএমএম বাংলা সংগীত প্রতিযোগিতা ২০২৪
শেষাংশ
দুই বাংলার বড় বড় ৩টি প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের সমর্থনে শাকিব খানের ‘তুফান’ মুভি বাংলাদেশি ছবির জন্য এক মাইলফলক হতে যাচ্ছে। বিশেষ করে ওটিটি (ওভার-দ্য-টপ) এর বদৌলতে রায়হান রাফির ভিন্ন ধারার নির্মাণশৈলী বাংলাদেশি ছবির নতুনত্বের ব্যাপারে অবহিত করবে গোটা বিশ্বকে।
অন্যদিকে, শাকিব খানসহ মিমি চক্রবর্তী, যীশু সেনগুপ্ত, চঞ্চল চৌধুরী, মাসুমা রহমান নাবিলা, ও ফজলুর রহমান বাবুর ভক্তরা সব মিলে বিশাল এক দর্শক শ্রেণী তৈরি করছে ‘তুফান’-এর জন্য। এই ধারাবাহিকতায় সর্বাঙ্গীনভাবে এই সিনেমার জন্য শৈল্পিক গুনগত মানের পাশাপাশি থাকছে ব্যবসায়িক ভাবেও সফল হওয়ার অপার সম্ভাবনা।
আরও পড়ুন: কারিনা-টাবু ও কৃতির ক্রু: তিন প্রজন্মের তিন নায়িকার রম্য সিনেমা
৫৮৫ দিন আগে
কারিনা-টাবু ও কৃতির ক্রু: তিন প্রজন্মের তিন নায়িকার রম্য সিনেমা
গত ২৯ মার্চ মুক্তির পর থেকেই দর্শক সহ সমালোচকদের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে বলিউড মুভি ক্রু। প্রথমবারের মতো একসঙ্গে অভিনয় করা তিন প্রজন্মের তিন নায়িকা টাবু, কারিনা ও কৃতি চলচ্চিত্রের মূল আকর্ষণ। শুধু তাই নয়, হৈচৈ-এর ব্যপ্তি সম্প্রসারিত হয়েছে নারীপ্রধান হিন্দি ছবির জগতে এর যুগান্তকারী ভূমিকা পর্যন্ত। তবে অভিনয়, চিত্রনাট্য, ও নির্মাণের বিচারে ছবিটি কতটুকু উতড়ে যেতে পেরেছে চলুন জেনে নেওয়া যাক।
ক্রু মুভির কলাকুশলীরা
নিধি মেহরা ও মেহুল সুরির চিত্রনাট্যে রম্য চলচ্চিত্রটির পরিচালনায় ছিলেন রাজেশ এ কৃষ্ণান। টাবু, কারিনা কাপুর খান, ও কৃতি স্যানন ছাড়াও ছবিতে বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন দিলজিৎ দোসাঞ্জ, রাজেশ শর্মা, কুলভূষণ খারবান্দা, এবং কলকাতার অভিনেতা শাশ্বত চ্যাটার্জি। এছাড়া একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় দেখা গেছে জনপ্রিয় স্ট্যান্ড-আপ কমেডিয়ান ও টিভি উপস্থাপক কপিল শর্মাকে।
সঙ্গীত আয়োজনে ছিলেন দিলজিৎ দোসাঞ্জ, বাদশা, রাজ রঞ্জোধ, বিশাল মিশ্র, অক্ষয়-আইপি, ভার্গ-রোহিত। ব্যাকগ্রাউন্ড স্কোর কম্পজিশনের দায়িত্বে ছিলেন জন স্টুয়ার্ট এদুরি।
আরও পড়ুন: এবারের ঈদে মুক্তির অপেক্ষায় ১০টি নাটক
সিনেমাটোগ্রাফিতে কাজ করেছেন অনুজ রাকেশ ধাওয়ান। চলচ্চিত্রের সার্বিক সম্পাদনার দায়িত্ব পালন করেছেন মনন সাগর।
ক্রু-এর নির্মাণ প্রতিষ্ঠান বালাজি মোশন পিকচার্স এবং অনিল কাপুর ফিল্মস অ্যান্ড কমিউনিকেশন নেটওয়ার্ক। প্রযোজনা কমিটিতে ছিলেন একতা কাপুর, রিয়া কাপুর, অনিল কাপুর এবং দিগ্বিজয় পুরোহিত।
ক্রু চলচ্চিত্রের কাহিনী
গল্পটি গীতা শেঠি, জেসমিন কোহলি, এবং দিব্যা রানা নামের তিন বিমানবালাকে নিয়ে। দেউলিয়াপ্রায় কোহিনূর এয়ারলাইন্সে তাদের ছয় মাসের বেতন বাকি।
গীতাকে তার নিজের সংসারসহ তার ছোট ভাইয়ের পরিবারেও আর্থিক সাহায্য দিতে হয়।
আরও পড়ুন: ঈদের কেনাকাটায় জনপ্রিয় ১০টি বাংলাদেশি পোশাক ব্র্যান্ড
বাবা-মায়ের বিচ্ছেদের পর জেসমিন বড় হয়েছেন নানা-নানীর কাছে। তাই পারিবারিক সম্পর্কের প্রতি তার ভীষণ বিতৃষ্ণা। তবে বিলাস জীবন-যাপনের প্রতি তার প্রচণ্ড আকর্ষণ।
আর দিব্যার পাইলট হওয়ার প্রশিক্ষণ নিতে যেয়ে অনেক ঋণ জমে যায়। কিন্তু যথেষ্ট সুযোগের অভাবে তার ভাগ্যে শেষমেষ বিমানবালার চাকরি মেলে। অবশ্য বাড়ি ফেরার সময় বিমানবালার পোশাক বদলে পাইলটের পোশাক পরে পরিবারের সামনে হাজির হন। এভাবে একদিকে পরিবারকে ফাঁকি দেন, আর অন্যদিকে টেনে চলেন সেই ঋণের বোঝা।
এমন আর্থিক সংকটে তিন জনেরই টালমাটাল অবস্থা। এরই মধ্যে কোহিনূর এয়ারলাইন্সের মালিক বিজয় ওয়ালিয়া সবাইকে ফাঁকি দিয়ে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যায়। ফলে এতদিন ধরে সব ঠিক হয়ে যাবে ভেবে যে স্বপ্ন তারা বুকে লালন করে আসছিল, তার সব গুড়েবালি হয়ে যায়।
ঠিক এমনি সময় তাদের কাছে সুযোগ আসে স্বর্ণ চোরাচালানের। এই সুযোগের সদ্ব্যবহারের মধ্য দিয়ে তাদের জীবনে ঘটতে থাকে নানা ঘটনা, আর সিনেমার কাহিনীতে যুক্ত হতে থাকে বিচিত্র স্তর।
আরও পড়ুন: ঈদে ঘরে ফিরতে অনলাইনে প্লেন, বাস ও ট্রেনের টিকেট কাটার উপায়
৬০৫ দিন আগে
এবারের ঈদ আয়োজনে বড় পর্দার ১০টি চলচ্চিত্র
নতুন সিনেমার মাধ্যমে ঈদ বিনোদনটা বেশ পুরনো। বিগত কয়েক দশকে ঢালিউড চলচ্চিত্রের অনেক চড়াই- উৎরাই হলেও ঈদের সময় বাংলা ছবির শোরগোলটা ছিল স্বাভাবিক। এবারও তার ব্যতিক্রম হচ্ছে না। এমনকি ব্যবসায়িক সিনেমাগুলোর পাশাপাশি মূলধারার কাতারে শামিল হচ্ছে শৈল্পিক ও নিরীক্ষাধর্মী ছবিগুলোও। তাই ভিন্ন স্বাদে বাড়ছে দর্শকদের প্রত্যাশা। চলুন, ঈদুল ফিতর ২০২৪-এ মুক্তির অপেক্ষায় থাকা তেমনি কিছু বাংলাদেশি চলচ্চিত্রের ব্যাপারে জেনে নেওয়া যাক।
আসন্ন ঈদুল ফিতর ২০২৪ এ যে ১০টি বাংলাদেশী সিনেমা দর্শক মাতানোর অপেক্ষায়
রাজকুমার
২০২২ সালের ২৯ মার্চ সিনেমার ফার্স্ট লুক প্রকাশের পর থেকেই হৈচৈ শুরু হয়েছে ‘রাজকুমার’ নিয়ে। রোমান্টিক-অ্যাকশন ঘরানার এই মুভিতে ঢালিউড সুপারস্টার শাকিব খানের নায়িকা হয়েছেন মার্কিন অভিনেত্রী কোর্টনি কফি। আর এ নিয়ে মোট ৩টি চলচ্চিত্র পরিচালনা করলেন পরিচালক হিমেল আশরাফ।
এখানে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় অভিনয় করেছেন সুবর্ণা মোস্তফা, আফজাল হোসেন, ফারুক আহমেদ এবং ডা. এজাজ।
‘রাজকুমার’ বাংলাদেশের একটি গ্রাম্য যুবকের আমেরিকার যান্ত্রিক শহরে তার মাকে খোঁজার গল্প। এই অক্লান্ত যাত্রায় একে একে যুবকটি সম্মুখীন হয় অভিবাসন বাধা, ভিন্ন সংস্কৃতি, এমনকি প্রেম-ভালবাসার।
আরও পড়ুন: অ্যামাজন প্রাইমের পর এবার টফির পর্দায় আসছে ‘ওরা ৭ জন’
কাজলরেখা
দেশের সাড়া জাগানো চলচ্চিত্রকার গিয়াস উদ্দিন সেলিমের দীর্ঘ ১২ বছরের গবেষণার ফসল এই চলচ্চিত্র। মৈমনসিংহ গীতিকার ‘কাজলরেখা’ অবলম্বনে নির্মিত সিনেমাটির গল্প, পরিচালনা এবং প্রযোজনা করেছেন সেলিম নিজেই। সিনেমার পটভূমিক আজ থেকে প্রায় ৪০০ বছর আগের।
মুভির নাম ভূমিকায় দেখা যাবে মন্দিরা চক্রবর্তীকে। সুচ কুমারের ভূমিকায় থাকছেন শরিফুল রাজ। আর খলচরিত্র কঙ্কণ দাসী হিসেবে রয়েছেন রাফিয়াথ রশিদ মিথিলা।
চলচ্চিত্রটিতে আরও আছেন ছোট পর্দার তারকা খায়রুল বাশার, সাদিয়া আয়মান, ইরেশ যাকের, আজাদ আবুল কালাম, ও শাহানা সুমি।
লাস্ট ডিফেন্ডারস অব মনোগামী
ওটিটি (ওভার-দ্যা-টপ) প্ল্যাটফর্ম চরকি’র ‘মিনিস্ট্রি অব লাভ’ প্রজেক্টের ১২টি ওয়েব ফিল্মের একটি ‘মনোগামী’। পরিচালনায় আছেন স্বয়ং প্রজেক্ট তত্বাবধায়ক প্রখ্যাত চলচ্চিত্রকার মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। প্রজেক্টের অধীনে ইতোমধ্যে তার পরিচালিত ও অভিনীত ‘অটোবায়োগ্রাফি’ ফিল্মটি বেশ প্রশংসা কুড়িয়েছে। এবারের ঈদুল ফিতরে ‘মনোগামী’র মাধ্যমে তিনি তুলে ধরতে যাচ্ছেন নারী-পুরুষের সম্পর্কের তীক্ত সত্য কিছু দিক। এর আগে তার এই প্রচেষ্টা দেখা গিয়েছিলো ‘ব্যাচেলার’ (২০০৪) ছবিতে। এবারে আলোকপাত করা হয়েছে বিবাহিত জীবনের দিকে।
আরও পড়ুন: সর্বোচ্চ আয়কারী ১০ বাংলাদেশি চলচ্চিত্র
সিনেমার শ্রেষ্ঠাংশে রয়েছেন এ সময়ের বিনোদন পাড়ার সবচেয়ে পরিচিত মুখ চঞ্চল চৌধুরী। তার সঙ্গে সহশিল্পী হিসেবে আছেন সঙ্গীতশিল্পী ও ইউটিউবার জেফার রহমান এবং নৃত্যশিল্পী সামিনা হোসেন প্রেমাকে।
দেয়ালের দেশ
বাংলাদেশ সরকারের অনুদানে নির্মিত এই রোমান্টিক ছবির মাধ্যমে প্রথমবারের মতো চিত্র-পরিচালনা করলেন মিশুক মনি। ছবির কাহিনি, সংলাপ ও চিত্রনাট্যও সবই তার লেখা। চলচ্চিত্রের গল্প এগিয়েছে দুটি ভিন্ন সময়কে কেন্দ্র করে।
‘দেয়ালের দেশ’-এর মাধ্যমে প্রথমবারের মতো জুটিবদ্ধ হয়েছেন শরিফুল রাজ ও শবনম বুবলী। ব্যবসায়িক ছবির নায়িকা হিসেবে সুপরিচিত বুবলীকে এবার দেখা যাবে অকৃত্রিম বাস্তবধর্মী চরিত্রে।
চলচ্চিত্রের অন্যান্য সহশিল্পীরা হলেন জিনাত শানু স্বাগতা, আজিজুল হাকিম, সাবেরী আলম, শাহাদাত হোসেন, এ কে আজাদ সেতু, সমাপ্তি মাশুক, এবং দীপক সুমন।
আরও পড়ুন: ঈদের কেনাকাটায় জনপ্রিয় ১০টি বাংলাদেশি পোশাক ব্র্যান্ড
মেট্রো সিনেমার ব্যানারে যৌথ ভাবে ছবির প্রযোজনা করেছেন মাহফুজুর রহমান ও মিশুক মনি।
ওমর
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার জয়ী চলচ্চিত্রকার মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজ দীর্ঘদিন পর বিনোদন পাড়ায় ফিরছেন ‘ওমর’-এর মাধ্যমে। মুভির শিরোনামটি ঠিক করেছেন ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরী। ছবির গল্প নিয়ে এখনও ‘ওমর’ টিমের কেউই তেমন কিছু প্রকাশ করেননি। তবে চিত্রনাট্য লিখেছেন সিদ্দিক আহমেদ।
চলচ্চিত্রের নাম চরিত্রে রয়েছেন শরীফুল রাজ। বিশেষ একটি চরিত্রে আবির্ভূত হবেন কলকাতার অভিনেত্রী দর্শনা বণিক। এছাড়া আরও থাকছেন ফজলুর রমান বাবু, নাসির উদ্দিন খান, শহীদুজ্জামান সেলিম, রোজী সিদ্দিকী, এরফান মৃধা শিবলু, ও আয়মান সিমলাকে। মাস্টার কমিউনিকেশন্সের ব্যানারে মুভির প্রযোজনায় ছিলেন খোরশেদ আলম।
আরও পড়ুন: টুয়েলভথ ফেইলের মতো অনুপ্রেরণা সৃষ্টিকারী ১০ সিনেমা
৬১৭ দিন আগে