চলচ্চিত্র
ইউরোপিয়ান চলচ্চিত্র উৎসব ২০২৩-এর পর্দা উঠছে
তরুণ ইউরোপিয়ান ও বাংলাদেশি চলচ্চিত্র নির্মাতাদের প্রতিভা প্রদর্শন করে রবিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় ঢাকায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে শুরু হয়েছে পাঁচ দিনব্যাপী ইউরোপীয় চলচ্চিত্র উৎসব।
‘এ সেলিব্রেশন অব ইউরোপিয়ান অ্যান্ড বাংলাদেশি ইয়ং সিনেমা’- ট্যাগলাইন নিয়ে বাংলাদেশে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) আয়োজিত এই উৎসবের প্রধান সহযোগী হিসেবে দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকা।
রবিবার সন্ধ্যায় ঢাকায় ইইউ রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলির পরিচালনায় একটি চমকপ্রদ আলোচনা পর্বের মাধ্যমে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শুরু হয়।
আরও পড়ুন: আর পারছি না রাষ্ট্র: ওমর সানি
'চলচ্চিত্রে তারুণ্য'- শীর্ষক আলোচনায় অংশ নেন প্রথম আলোর নির্বাহী সম্পাদক ও কবি সাজ্জাদ শরীফ, প্রখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা অমিতাভ রেজা চৌধুরী এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ভিজ্যুয়াল নৃবিজ্ঞান ক্লাবের সাবেক সভাপতি ও চলচ্চিত্র কর্মী সিমিন ইবনাত ধরিত্রী।
প্যানেল আলোচনায় সাজ্জাদ শরীফ বলেন, ‘আমাদের চলচ্চিত্র শিল্পের জন্য এমন একটি আনন্দময় সময়ে এই উৎসবটি অনুষ্ঠিত হচ্ছে এবং আমাদের তরুণ চলচ্চিত্র নির্মাতারা সমাজের অজানা অভিজ্ঞতা উপস্থাপন করে নতুন ভাষার সন্ধান করছেন। তারা আমাদের সিনেমার বাধাগুলো পরিবর্তন করার জন্য উন্মুখ। এই ধরনের উৎসব আমাদের গাইড করতে এবং সাহায্য করতে পারে।’
চলচ্চিত্র নির্মাতা অমিতাভ রেজা চৌধুরী বলেন, ‘আমি যখনই আমাদের নতুন প্রজন্মের লোকদের জিজ্ঞেস করি, তাদের অধিকাংশই বলে যে তারা দেশ ছেড়ে চলে যেতে চায়। আমাদের এমন একটি পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে, যাতে দেশে তারা তাদের প্রতিভা দিয়ে উন্নতি করতে পারে। যদি আমাদের সিনেমা আমাদের গল্প বলতে না পারে বা আমাদের জীবন এবং আমাদের নিজস্ব প্রেক্ষাপটের সঙ্গে অনুরণিত না হতে পারে, তবে এই সমস্যাটি আমাদের মাঝে থেকেই যাবে এবং আমাদের নতুন প্রজন্মের চলচ্চিত্র নির্মাতাদের গাইড করার জন্য আমাদের বিশ্বব্যাপী চলচ্চিত্র প্রশিক্ষক-সহযোগীদের সমর্থন প্রয়োজন।’
সাইমন ইবনাত ধরিত্রী বলেন, তরুণদের জীবনে সিনেমার প্রভাব খুবই প্রবল এবং সিনেমা দর্শকদের বিনোদনের পাশাপাশি বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চা ও সামাজিক সচেতনতার ক্ষেত্রেও কার্যকর হতে পারে।
উদ্বোধনী প্যানেল আলোচনার পর ডাচ চলচ্চিত্র ‘ম্যালি ক্যান ফ্লাই’ প্রদর্শনের মাধ্যমে উৎসবের চলচ্চিত্র প্রদর্শন শুরু হয়।
এরপর প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান এই চলচ্চিত্র উৎসব আয়োজনের জন্য বাংলাদেশে ইইউ দূতাবাসের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি, গোয়েথে-ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ, অ্যালায়েন্স ফ্রাঙ্কেস ডি ঢাকা এবং ব্রিটিশ কাউন্সিল বাংলাদেশসহ সহযোগী আয়োজকদের ধন্যবাদ জানান।
এর আগে উৎসব কর্তৃপক্ষ সৃজনশীল কাজের মাধ্যমে ইউরোপ ও বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যকে সমৃদ্ধ করতে তরুণ চলচ্চিত্র নির্মাতাদের নিয়ে একটি 'মাস্টারক্লাস' আয়োজন করেছিল।
গত শুক্র ও শনিবার পরিচালক সৈয়দা নিগার বানু, চিত্রগ্রাহক অপু রোজারিও এবং চলচ্চিত্র নির্মাতা অমিতাভ রেজা চৌধুরী এবং পিপলু আর খান ঢাকার ব্রিটিশ কাউন্সিলে মাস্টারক্লাস পরিচালনা করেন।
রবিবার উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব প্রশিক্ষককে সম্মাননা দের ঢাকায় ইইউ রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি ও প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান।
উৎসবের অংশ হিসেবে একটি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয় এবং চলচ্চিত্র নির্মাতাদের তিনটি বিভাগে সম্মানিত করা হয়। তরুণ পরিচালক মোস্তফা মনোয়ার তার ‘যাত্রী’ ছবির জন্য সেরা গল্পের পুরস্কার পেয়েছেন এবং ‘আশ্লেষা’ ছবির জন্য সেরা পরিচালকের পুরস্কার পেয়েছেন আকিব মাহমুদ।
উৎসবে মেহেদী হাসান জোসেফের স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘পোস্টার’ সেরা চলচ্চিত্রের মর্যাদা পায় এবং চলচ্চিত্র প্রদর্শনীর মাধ্যমে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।
বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন ঢাকায় নিযুক্ত ইইউ রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি, প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান এবং চরকি’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রেদোয়ান রনি।
২৩শে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সারাদেশের বিভিন্ন স্থানে চলচ্চিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হবে। যার মধ্যে রয়েছে অ্যালায়েন্স ফ্রাঙ্কেস ডি ঢাকা, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউট, ডাচ ক্লাব, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহীর বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় এবং ময়মনসিংহের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে।
আরও পড়ুন: নেটফ্লিক্সে বাঁধনের ‘খুফিয়া’ আসছে ৫ অক্টোবর
বিরতির পর ফিরছেন পরীমণি
চলচ্চিত্রে এবার যারা সরকারি অনুদান পেলেন
প্রতিবছরের মতো এবারও দেশের চলচ্চিত্রের উন্নয়নে সরকারের পক্ষ থেকে সহযোগিতায় অনুদানের বাজেট প্রকাশ করা হয়েছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরে সরকারি অনুদান পেতে যাচ্ছে ২২টি পূর্ণদৈর্ঘ্য ও ৬টি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় রবিবার (১৮ জুন) এ নিয়ে একটি প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করেছে। যেখানে অনুদান পেতে যাওয়া সিনেমা তালিকাসহ প্রযোজক-পরিচালকের নাম ও বরাদ্দকৃত অর্থের পরিমাণ উল্লেখ আছে।
২২টি পূর্ণদৈর্ঘ্য সিনেমার মধ্যে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক শাখায় ১টি, মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক শিশুতোষ শাখায় ১টি, সাধারণ শিশুতোষ শাখায় ২টি ও সাধারণ শাখায় ১৮টি সিনেমাকে অনুদান দেওয়া হচ্ছে।
পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র বিভাগে সর্বোচ্চ ৬৫ লাখ টাকা করে পাচ্ছে নূর ইমরান মিঠুর প্রযোজনা ও পরিচালনায় ‘সার্কাস’ এবং প্রযোজক হিসেবে নাট্যকার ও নির্মাতা মাতিয়া বানু শুকু পাচ্ছেন তার সিনেমা ‘লাল মিয়া’র জন্য। এটি পরিচালনা করবেন নুরুল আলম আতিক।
মুক্তিযুদ্ধ শাখায় ‘যুদ্ধ শিশু’ সিনেমার জন্য ৬০ লাখ টাকা অনুদান পেয়েছেন প্রযোজক বদরুন নাহার রক্সি। সিনেমাটি পরিচালনা করবেন মোহাম্মদ উল্লাহ। একই পরিমাণ অনুদান পাবে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক শিশুতোষ শাখায় থাকা ‘ভোর’ সিনেমাটির প্রযোজক মাহিন মাহনুমা। এটি পরিচালনা করবেন আমিনুর রহমান খান।
৬০ লাখ টাকা অনুদান পাওয়ার তালিকায় প্রযোজক হিসেবে অনুদান পেয়েছেন অভিনেত্রী শামীমা ইসলাম তুষ্টি। শিশুতোষ শাখার এই সিনেমার নাম ‘মাটির রাজকুমার’। এর পরিচালক রুবেল শঙ্কর বিশ্বাস। এছাড়াও এই শাখা থেকে একই পরিমাণ অর্থ অনুদান পাচ্ছেন প্রযোজক ও পরিচালক আকা রেজা গালিব। তার সিনেমা ‘মস্ত বড়লোক’।
আরও পড়ুন: এক ডজন চলচ্চিত্র ও ওয়েব সিরিজ নিয়ে আসছে ফিল্ম সিন্ডিকেট
সাধারণ শাখার দিকটা এবার দেখে নেওয়া যাক। এই শাখায় প্রযোজক ও পরিচালক সাদেক সিদ্দিকি পাচ্ছেন ৫৫ লাখ টাকা। তার সিনেমা ‘দেনা পাওনা’। এছাড়া এই শাখায় ৬০ লাখ টাকা করে অনুদান পাচ্ছেন ‘মাস্টার’ ছবির প্রযোজক ও পরিচালক রেজওয়ান শাহরিয়ার সুমিত, ‘দ্য আগস্ট’ ছবির প্রযোজক ও পরিচালক মাসুদ পথিক, ‘রেনুর মুক্তিযুদ্ধ’ ছবির প্রযোজক ও পরিচালক রোকেয়া প্রাচী, ‘লারা’ ছবির প্রযোজক জ্যোতিকা পাল জ্যোতি ও পরিচালক শেখর দাশ।
৫৫ লাখ টাকা করে পেতে যাওয়ার তালিকায় রয়েছে সর্দারবাড়ির খেলা’র প্রযোজক মীর জাহিদুল হাসান ও পরিচালক মো. সজীব আহমেদ, ‘ঠিকানা’র প্রযোজক ও পরিচালক আনোয়ার হোসেন (পিন্টু), ‘জীবন আমার বোন’ ছবির প্রযোজক মোহাম্মদ জাহিদুল করিম ও পরিচালক এনায়েত করিম বাবুল, ‘সূর্য সন্তান’ ছবির প্রযোজক সৈয়দ আশিক রহমান ও পরিচালক কৌশিক শংকর দাস, ‘শিরোনাম’ ছবির প্রযোজক কাজী রুবায়াৎ হায়াৎ ও পরিচালক এস এম তারেক রহমান, ‘শাপলা শালুক’ প্রযোজক ও পরিচালক রাশেদা আক্তার লাজুক এবং ‘আমার মুক্তি আলোয় আলোয়’ ছবির প্রযোজক ইয়াসির আরাফাত ও পরিচালনা জহির রায়হান।
অন্য দিকে ‘দুই পয়সার মানুষ’ ছবির প্রযোজক ও পরিচালক ঝুমুর আসমা জুঁই পাচ্ছেন ৫৮ লাখ। ‘
আরও পড়ুন: ৪৫তম মস্কো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে জয়া ও আতিকের ‘পেয়ারা সুবাস’
আর ‘নীল আকাশে পাখি উড়ে’র প্রযোজক ও পরিচালক এস ডি রুবেল, ‘নীল জোসনার জীবন’ ছবির প্রযোজক ও পরিচালক ফাখরুল আরেফিন খান, ‘রুখসার’র প্রযোজক ও পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান মানিক পাচ্ছেন প্রতি ছবির জন্য ৬০ লাখ করে টাকা।
এদিকে স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রে অনুদান পেয়েছেন ‘নিশিবক’ (মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক শাখা) ছবির প্রযোজক ও পরিচালক সাজ্জাদ জহির, ‘নদাই’ (শিশুতোষ শাখা) ছবির প্রযোজক ও পরিচালক শহিদুল ইসলাম (পথিক শহিদুল), ‘রংগিলা নায়ের মাঝি’ (প্রামাণ্যচিত্র শাখা) প্রযোজক নূরজাহান আলীম ও পরিচালনা মীর শামছুল আলম বাবু, ‘নূর: ছয় শব্দের ইশতেহার’ (প্রামাণ্যচিত্র শাখা) প্রযোজক ও পরিচালক আ. আ. মো. মাহমুদুল হাসান, ‘সোনার নকশীকাঁথা’ (সাধারণ শাখা) প্রযোজক ও পরিচালক সুবর্ণা সেঁজুতি টুসি এবং ‘কফিন’ (সাধারণ শাখা) প্রযোজক ও পরিচালক আছমা আক্তার (লিজা)। তারা প্রতিটি ছবির জন্য পাচ্ছেন ১৫ থেকে ২০ লাখ টাকা।
আরও পড়ুন: ১২ কোটি ১৫ লাখ টাকা সরকারি অনুদান পেল ১৯ চলচ্চিত্র
মমতাজের কণ্ঠে মাতৃত্বের গল্প, ইউটিউবে প্রকাশিত ‘মা’ চলচ্চিত্রের গান
চলচ্চিত্রে মায়ের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন পরীমণি। আবার একই সময়ে বাস্তবেও তিনি মাতৃত্বের অনুভবের সাক্ষী হয়েছেন। ফলে ছবিটি তার মনে বিশেষ জায়গা দখল করে নিয়েছে। সেই চলচ্চিত্রের নাম ‘মা’।
যেটি মুক্তি পাচ্ছে আগামী ১৯ মে। গত ৮ এপ্রিল আনুষ্ঠানিকভাবে এই ঘোষণা দেওয়া হয়।
মুক্তির বার্তা দিয়ে নির্মাতা অরণ্য আনোয়ার শুরু করেছেন প্রচারণার কাজ। ইতোপূর্বে প্রকাশ করেছেন শুটিংয়ের বিহাইন্ড দ্য সিন এবং ট্রেলার।
আরও পড়ুন: রাজকে আমার জীবন থেকে ছুটি দিয়ে দিলাম: পরীমণি
এবার প্রকাশ্যে এলো ছবিটির বিশেষ গান ‘সোনার কাঠি রূপার কাঠি জাদুর কাঠি রে’।
শুক্রবার (১৪ এপ্রিল) পহেলা বৈশাখের দিনে গানটি উন্মুক্ত করা হয়েছে ইউটিউবে। এতে ‘মা’ পরীর মাতৃত্বের গল্পের বিভিন্ন অংশ উঠে এসেছে। গ্রামীণ পরিবেশে বিভিন্ন আচার পালনেও দেখা গেছে অভিনেত্রীকে।
গানটিতে কণ্ঠ দিয়েছেন ফোকসম্রাজ্ঞী মমতাজ। মাহী ফ্লোরার লেখা এ গানের সুর করেছেন মাহাদী ও মুনতাসির, কম্পোজিশনে মুনতাসির।
উল্লেখ্য, ‘মা’ চলচ্চিত্রের গল্পটা মুক্তিযুদ্ধের সময়ের। মৃত ঘোষিত সাত মাস বয়সী এক সন্তানকে নিয়ে তার অসহায় মায়ের আবেগের গল্প। যেখানে যুদ্ধের নির্মমতার পাশাপাশি মা-সন্তানের অকৃত্রিম আবেগের চিত্র ফুটে উঠেছে।
গত বছরের জানুয়ারিতে শুরু হয়েছিল ছবিটির শুটিং।
আরও পড়ুন: এই সিনেমার জার্নিটা আমার সারা জীবনের স্মৃতি হয়ে থাকবে: পরীমণি
পরীমণির বিছানা ও বালিশে রক্তের দাগ
৫ শর্তে বিদেশি ছবি আমদানির অনুমতি দিয়েছে সরকার
বাংলাদেশে নির্মিত চলচ্চিত্র রপ্তানিসহ পাঁচ শর্তে ভারতীয় উপমহাদেশীয় ভাষায় নির্মিত চলচ্চিত্র আমদানির অনুমোদন দিয়েছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়।
মঙ্গলবার তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপসচিব (চলচ্চিত্র) সাইফুল ইসলাম সাক্ষরিত এক অফিস আদেশ জারি করা হয়।
প্রথম বছরে ১০টি সিনেমা রপ্তানির বিপরীতে সর্বোচ্চ ১০টি সিনেমা আমদানির অনুমতি দেওয়া হবে বলে আদেশে বলা হয়েছে।
আদেশে বলা হয়, ভারতীয় উপমহাদেশীয় ভাষায় নির্মিত চলচ্চিত্র আমদানির বিষয়ে সম্মিলিত চলচিত্র পরিষদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মতামত চাওয়া হয়েছে।
এতে বলা হয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ইতিবাচক প্রতিক্রিয়ার কারণে পরীক্ষামূলক ভিত্তিতে নিম্নোক্ত শর্তে বাংলাদেশি চলচ্চিত্র রপ্তানির বিপরীতে সাফটা দেশগুলো থেকে চলচ্চিত্র আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: শিবলী-নিপা ও দেড় শতাধিক নৃত্যশিল্পী নিয়ে ইত্যাদি’র ত্রিমাত্রিক নৃত্য
১. শুধুমাত্র বৈধ চলচ্চিত্র প্রযোজক এবং পরিবেশকদের চলচ্চিত্র আমদানি করার অনুমতি দেওয়া হবে।
২. বাংলাদেশি চলচ্চিত্র রপ্তানির বিপরীতে উপ-মহাদেশীয় ভাষায় সাবটাইটেল সহ নির্মিত চলচ্চিত্রগুলো পরীক্ষামূলক ভিত্তিতে দুই বছরের জন্য আমদানি করার অনুমতি দেওয়া হবে।
৩. প্রথম বছরে রপ্তানির বিপরীতে ১০টি চলচ্চিত্র আমদানির অনুমতি দেওয়া হবে।
৪.আমদানিকৃত চলচ্চিত্র প্রদর্শনের আগে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডের সার্টিফিকেট নিতে হবে।
৫. বাংলাদেশে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর, ঈদ-উল-আযহা এবং দুর্গাপূজা সপ্তাহে এই ধরনের কোনো চলচ্চিত্র প্রদর্শনের অনুমতি দেওয়া হবে না।
আরও পড়ুন: মামুনুর রশীদকে নিয়ে সমালোচনার জবাব ডিরেক্টর গিল্ড ও অভিনয় শিল্পী সংঘের
এক ডজন চলচ্চিত্র ও ওয়েব সিরিজ নিয়ে আসছে ফিল্ম সিন্ডিকেট
এক ডজন চলচ্চিত্র ও ওয়েব সিরিজ নিয়ে আসছে ফিল্ম সিন্ডিকেট
‘৩০ কোটি বাঙালির সাংস্কৃতিক রাজধানী হবে ঢাকা। সেখান থেকেই বাংলার গল্প ছড়িয়ে যাবে গোটা দুনিয়ায়।’ - এই স্বপ্ন নিয়েই ঢাকার সাত নির্মাতার প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ‘ফিল্ম সিন্ডিকেট’ এর আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হলো।
২০২০ সালে কোভিডের দিনগুলোতে প্রতিষ্ঠানটি যাত্রা শুরু করে। ইতোমধ্যে তাকদীর, ঊনলৌকিক, কারাগার ও কাইজারের মতো আলোচিত ও দর্শক সমাদৃত ওয়েব সিরিজ নির্মাণ করেছে।
সোমবার (২০ মার্চ) রাজধানীর গুলশান ক্লাবে তরুণ ও সৃজনশীল পেশাদারদের নিয়ে গড়া প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ‘ফিল্ম সিন্ডিকেট’ সাতটি নতুন ওয়েব সিরিজ ও পাঁচটি পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রসহ মোট ১২টি নতুন নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছে।
আরও পড়ুন: বছরের আলোচিত ৫ বাংলা ওয়েব সিরিজ
অনুষ্ঠানের স্বাগত বক্তব্যে ফিল্ম সিন্ডিকেটের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সিইও মীর মোকাররম হোসেন এই উদ্যোগের লক্ষ্য ও ভবিষ্যত পরিকল্পনা তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা প্রযোজনায় একটি সাসটেইনেবল ইকোসিস্টেম তৈরির লক্ষ্যে এগোচ্ছি। যাতে পরিচালক, লেখক, প্রযোজক, অভিনয়শিল্পী ও প্রযুক্তিবিদরা তো থাকবেনই, এর পাশাপাশি ব্র্যান্ড, বিজ্ঞাপনী সংস্থা, প্রযোজনা সংস্থা, পরিবেশক, প্রদর্শক, সম্প্রচারক ও স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মকে এক ছাদের নিচে নিয়ে এসে আমরা একটি সুদূরপ্রসারী অংশীদারিত্বের সংস্কৃতি তৈরি করতে চাই।’
২০২০ সালে মীর মোকাররম হোসেনের উদ্যোগে চলচ্চিত্র নির্মাতা তানিম নূর, কৃষ্ণেন্দু চট্টোপাধ্যায়, সালেহ সোবহান অনীম, সৈয়দ আহমেদ শাওকী, রুমেল চৌধুরী এবং রেহমান সোবহান সনেটকে নিয়ে গঠিত হয় ‘ফিল্ম সিন্ডিকেট’।
প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানটির সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও ‘কাইজার’- এর নির্মাতা তানিম নূর জানান, ফিল্ম সিন্ডিকেট নিজেদের কাজের মাধ্যমেই সৃজনশীল সহযোগিতার পথ তৈরি করতে চায়। স্টুডিওতে চলচ্চিত্র নির্মাতা এবং লেখকদের প্রযোজনা তত্ত্বাবধানেরও ওপর জোর দেন তিনি।
অনুষ্ঠানে ফিল্ম সিন্ডিকেটের আসন্ন ১২টি প্রযোজনার ঘোষণা দেন নির্মাতা ও প্রতিষ্ঠানটির আরেক সহ-প্রতিষ্ঠাতা সৈয়দ আহমেদ শাওকী। এগুলোর মধ্যে রয়েছে সাতটি ওয়েব সিরিজ- ‘ঊনলৌকিক ২’, ‘পেন্ডুলাম’, ‘গুলমোহর’, ‘ডেল্টা ২০৫১’, ‘দ্বৈত’, ‘অদানব’ এবং ‘ফ্রেন্ডস উইদাউট বেনিফিটস’।
আর ফিল্ম সিন্ডিকেট ঘোষিত পাঁচটি পূর্ণদৈর্ঘ্যে চলচ্চিত্র হচ্ছে ‘লোহানী’, ‘বাইপাস’, ‘খোঁয়ারি’, ‘পুলসিরাত’ এবং ‘হেল ব্রোক লুজ’।
নিজ নিজ পেশাদার জীবনে ফিল্ম সিন্ডিকেটের প্রতিষ্ঠাতারা স্বল্প ও ফিচার-দৈর্ঘ্যের চলচ্চিত্র, তথ্যচিত্র এবং ফিকশন তৈরি করেছেন। যেমন, পায়ের তলায় মাটি নেই, পাতালঘর, ফিরে এসো বেহুলা, ইতি তোমারই ঢাকা, লাইট ক্যামেরা অবজেকশন ইত্যাদি।
এগুলো প্রদর্শিত হয়েছে বুসান, মস্কো, কলকাতা, গোয়া, লোকার্নো, ভেনিস, এশিয়ান ডক ল্যাব-এর মতো বিভিন্ন বিখ্যাত চলচ্চিত্র উৎসবে। ভূষিত হয়েছে নানা আন্তর্জাতিক পুরস্কারে।
আরও পড়ুন: ওয়েব সিরিজ-২০২২: কনটেন্টের ‘নায়ক’ নির্মাতা
দিল্লিতে ৪র্থ বাংলা-ভারত আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব শুরু
দিল্লির সিরি ফোর্ট মিলনায়তনে শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছে চতুর্থ বাংলা-ভারত আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব।
ভারতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের প্রেস মিনিস্টার শাবান মাহমুদ প্রধান অতিথি হিসাবে এ উৎসবের উদ্বোধন করেন।
আরও পড়ুন: প্রীতিলতাকে ধারণ করা চ্যালেঞ্জের ছিল: তিশা
জনপ্রিয় চলচ্চিত্র নির্মাতা আশীষ রঞ্জন দাসের সঞ্চালনায় ও আলোচনায় শাবান মাহমুদ বক্তব্য দেন এবং বলেন, এই ধরনের অনুষ্ঠান মানুষের সঙ্গে মানুষের যোগাযোগ বাড়ায় এবং একে অপরের সঙ্গে আরও ভালো বোঝাপড়ার সূচনা করে।
২০১৭ সালে শুরু হওয়া চলচ্চিত্র উৎসবটি কয়েক বছর ধরে মহামারি দ্বারা বাধাগ্রস্ত হয়েছে।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, তিন দিনব্যাপী চলচ্চিত্র উৎসবে বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হবে।
সম্প্রতি মুক্তি পাওয়া বাংলাদেশের জনপ্রিয় সিনেমা ‘হাওয়া’ প্রদর্শিত হবে ৫ ফেব্রুয়ারি।
এছাড়াও প্রশংসিত পরিচালক গৌতম ঘোষের দুটি ফিচার ফিল্মও উৎসবে প্রদর্শিত হবে।
আরও পড়ুন: রটারড্যাম ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে প্রশংসিত নুহাশের ‘পেট কাটা ষ’
তিন বছর পর শুরু হতে যাচ্ছে ঢাকা আর্ট সামিট
হোলি আর্টিজান ট্র্যাজেডি নিয়ে ছবি মুক্তির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের প্রতিশ্রুতি অবিন্তার মায়ের
হানসাল মেহতার বহুল আলোচিত বলিউড চলচ্চিত্র ‘ফারাজ’-এর ট্রেলার মুক্তি পেয়েছে চার দিন আগে।
২০১৬ সালের ১ জুলাই ফারাজ আইয়াজ হোসেন, তারিশি জৈন ও ইশরাত আখন্দের পাশাপাশি হোলি আর্টিজানে জঙ্গিদের হাতে নিহত অবিন্তা কবিরের মা রুবা আহমেদ বলেছেন, তিনিও চলচ্চিত্রটির মুক্তির বিপক্ষে এবং বাংলাদেশে এর প্রদর্শন বন্ধ করার চেষ্টা করবেন।
ফারাজ, চলচ্চিত্রটি ভারতের প্রেক্ষাগৃহগুলোতে মুক্তি পাবে আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি। এর মুক্তি স্থগিত করতে ইতোমধ্যে তারিশি জৈনের মায়ের পক্ষে ফারাজের মা আইনি লড়াই করছেন।
বৃহস্পতিবার অবিন্তা কবির ফাউন্ডেশনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, গোপনীয়তা লঙ্ঘন করে যথাযথ সম্মতি ছাড়াই চলচ্চিত্রটির নির্মাতারা এটি নির্মাণ করেছেন।
আরও পড়ুন: ২০২৩ এর মিস ইউনিভার্স যুক্তরাষ্ট্রের আর’বনি গাব্রিয়েল
এক সংবাদ সম্মেলনটিতে রুবা আহমেদ বলেন, ‘সেই ভয়াবহ ঘটনায় আমার একমাত্র কন্যা অবিন্তা কবিরকে হারানোর বেদনার সঙ্গে গত ছয় বছর ধরে মোকাবিলা করছি। ২০১৯ সালে যখন আমরা প্রথম জানতে পারি যে বলিউড চলচ্চিত্র নির্মাতা মহেশ ভাট এই ঘটনার ওপর একটি চলচ্চিত্র নির্মাণের পরিকল্পনা করছেন, তখন আমরা তাকে একটি চিঠি পাঠিয়েছিলাম। যার উত্তরে তিনি বলেছিলেন যে তিনি আমার সিদ্ধান্তকে সম্মান করেন এবং চলচ্চিত্রটি নির্মাণ করবেন না।’
নির্মাতারা যে নির্মাণ কাজ বন্ধ করেননি, ‘ফারাজ’-এর পোস্টার দেখে তা বুঝতে পেরে তিনি হতবাক হয়ে গিয়েছিলেন।
এরপর তিনি হানসাল মেহতার সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং প্রোজেক্ট সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেন।
তিনি জানান, ‘আমি তাকে জিজ্ঞাসা করলাম যে এই ঘটনাটি বাংলাদেশে ঘটেছে এবং এখন এটি বলিউডে নির্মিত হচ্ছে। এর অধিকার তিনি কীভাবে পেয়েছেন। এর উত্তরে তিনি বলেন যে চলচ্চিত্রটির মাধ্যমে তিনি সহিংসতার বিরুদ্ধে দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চান। আমার প্রশ্ন হল,২০১৬ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে ভারতে বেশ কয়েকটি সন্ত্রাসী ঘটনা ঘটেছে, কেন তারা ঘটে যাওয়া ওই ঘটনার ভিত্তিতে চলচ্চিত্র তৈরি করছেন না?’
চলচ্চিত্রটি নিয়ে উদ্বেগের কথা তুলে ধরে রুবা আহমেদ বলেন, ‘সেই ঘটনায় আমরা ২২ জনকে হারিয়েছি যার মধ্যে অবিন্তা কবির, তারিশি জৈন ও ফারাজ হোসেনের নাম রয়েছে। তবে, নাম থেকে বোঝা যাচ্ছে যে নিঃসন্দেহে চলচ্চিত্রটিতে একটি চরিত্রের ওপর বেশি জোর দেয়া হয়েছে। চলচ্চিত্র নির্মাতারা ব্যক্তিগতভাবে ঘটনাটি পর্যবেক্ষণ না করেই তাদের একজনকে নায়ক হিসেবে কীভাবে চিত্রিত করতে পারে?’
তিনি আরও বলেন, ‘এই চলচ্চিত্রে তারা অবিন্তার নাম পরিবর্তন করে আয়েশা, তারিশির নাম তরী, এমনকি আমাকেও রাবেয়া নামের চরিত্রে উপস্থাপন করেছে। ট্রেলারে তারা একটি দাঙ্গার দৃশ্য দেখিয়েছে, যেখানে আমার মেয়ের ছবিও দৃশ্যমান ছিল। সম্মতি ছাড়া তারা কীভাবে আমাদের গোপনীয়তা লঙ্ঘন করার অধিকার পেলো?’
সংবাদ সম্মেলনে তাকে মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর বহুল আলোচিত চলচ্চিত্র 'শনিবার বিকেল' সম্পর্কেও জিজ্ঞাসা করা হয়।
এটিও একই ঘটনায় নির্মিত এবং ২০১৯ সাল থেকে মুক্তির জন্য বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডের সঙ্গে লড়াই করছে।
রুবা আহমেদ বলেন, ‘ফারুকী আমার লিগ্যাল নোটিশ পেয়ে আমার জবাব দেন। চলচ্চিত্রটি নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত এখন সম্পূর্ণভাবে বাংলাদেশ সরকার এবং সেন্সর বোর্ডের ওপর নির্ভর করছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি চাই না কেউ রূপালি পর্দায় আমার মেয়ে শেষ মুহূর্তে যা সহ্য করেছে তা কল্পনা করুক। এই চলচ্চিত্রটি বাংলাদেশে আসা উচিত নয়। এই ধরনের ব্যক্তিগত ট্র্যাজেডি নেটফ্লিক্স বা অ্যামাজন অথবা অন্য কোনো ওটিটি প্ল্যাটফর্মে দেখানো উচিত নয়।’
টি-সিরিজ ও বেনারস মিডিয়া ওয়ার্কস প্রযোজিত 'ফারাজ'-এ কিংবদন্তি ভারতীয় অভিনেতা শশী কাপুরের নাতি জাহান কাপুর শিরোনামের চরিত্রে বলিউডে অভিষেকসহ ছয়জন নবাগত অভিনেতাকে দেখা যাবে। গত বছরের ১৫ অক্টোবর বিএফআই লন্ডন ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে চলচ্চিত্রটির প্রিমিয়ার হয়।
দিল্লি হাইকোর্ট সম্প্রতি অবিন্তা কবির ও তারিশি জৈনের মায়েদের দায়ের করা মামলায় মুক্তির জন্য স্থগিতাদেশ দিতে অস্বীকার করার পরে চলচ্চিত্রটির মুক্তির তারিখ চূড়ান্ত করা হয়।
রুবা আহমেদ বলেন, ‘চলচ্চিত্রটি যাতে বাংলাদেশে না আসে তা নিশ্চিত করতে আমি ভারতের সুপ্রিম কোর্টে যাবো।’
আরও পড়ুন: মিস ইউনিভার্স ২০২২ এর মুকুট বিজয়ী আর’বনি গ্যাব্রিয়েলের আদ্যোপান্ত
ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের প্রতিটি মুহূর্ত উপভোগ করছি: শ্রীলেখা মিত্র
ঢাকা লিট ফেস্টে শনিবার সন্ধ্যায় প্রদর্শিত হবে ‘রিকশা গার্ল’
বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে ৫ জানুয়ারি শুরু হয়েছে ঢাকা লিট ফেস্ট। এবারের আয়োজনে সাহিত্য, বিজ্ঞান, স্বাস্থ্যসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা ছাড়াও থাকছে চলচ্চিত্র, স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র, ওয়েব শো ও প্রামাণ্যচিত্রের প্রদর্শনী। এর অংশ হিসেবে শনিবার (৭ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টা ৪৫ মিনিটে আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে প্রদর্শিত হবে ‘রিকশা গার্ল’।
আরও পড়ুন: চরিত্রটি আমি আড়াই বছর বহন করেছি: ‘গুটি’-তে অভিনয় প্রসঙ্গে বাঁধন
অমিতাভ রেজা চৌধুরী পরিচালিত সিনেমাটি এরই মধ্যে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন উৎসবে প্রদর্শিত হয়েছে। তবে এবারই প্রথম বাংলাদেশের দর্শকদের জন্য দেখানো হবে ‘রিকশা গার্ল’। আর দেশের প্রেক্ষাগৃহেও শিগগিরই সিনেমাটি মুক্তি পাবে বলেও ইউএনবিকে জানান অমিতাভ রেজা চৌধুরী।
‘রিকশা গার্ল’ নির্মিত হয়েছে ভারতীয় বংশোদ্ভূত যুক্তরাষ্ট্রের লেখক মিতালি পারকিন্সের কিশোর সাহিত্য অবলম্বনে। নাইমা নামের এক কিশোরীর জীবনযুদ্ধ ঘিরে আবর্তিত হয়েছে এ ছবির গল্প।
শিল্পী নভেরা রহমান সিনেমাটিতে নাইমা চরিত্রে অভিনয় করেছেন। আরও অভিনয় করেছেন চম্পা, মোমেনা চৌধুরী, নরেশ ভূঁইয়া, অ্যালেন শুভ্র প্রমুখ।
আরও পড়ুন: ২৭ বিভাগে ৩৪ জন পাচ্ছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার
বিশ্বব্যাপী বক্স অফিসে ঝড় তুলেছে ‘অবতার: দ্য ওয়ে অব ওয়াটার'
২০০৯ সালে মুক্তি পাওয়া 'অবতার' চলচ্চিত্রের সিক্যুয়েল ‘অবতার: দ্য ওয়ে অব ওয়াটার' বিশ্বব্যাপী বক্স অফিসে ঝড় তুলেছে।
শুক্রবার ভারতীয় গণমাধ্যম এএনআইয়ের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বিনোদন পোর্টাল ভ্যারাইটির প্রতিবেদন অনুসারে মুক্তির মাত্র ১৪ দিনের মধ্যেই 'অবতার: দ্য ওয়ে অব ওয়াটার' বিশ্বব্যাপী এক বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি আয় করেছে।
এরমধ্যে দিয়ে টাইটানিকখ্যাত পরিচালক জেমস ক্যামেরন পরিচালিত এই চলচ্চিত্রটি ২০২২ সালে মুক্তি পাওয়া সকল চলচ্চিত্রের চেয়ে দ্রুত বিলিয়ন আয় করার রেকর্ড করেছে।
ভ্যারাইটি অনুসারে, এই বছর মাত্র তিনটি চলচ্চিত্র এক বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি আয় করেছে।
'অবতার' এর সিক্যুয়েল ছাড়া তালিকার অন্য দুটি ছবি হলো- 'টপ গান: ম্যাভেরিক' ও 'জুরাসিক ওয়ার্ল্ড ডোমিনিয়ন'। চলচ্চিত্র দুটি যথাক্রমে ৩১ দিন এবং চার মাসেরও বেশি সময়ে বিলিয়নের মাইলফলক ছিুঁয়েছে।
২০২১ সালে মুক্তি পাওয়া 'স্পাইডার-ম্যান: নো ওয়ে হোম'-এর পর 'অবতার: দ্য ওয়ে অব ওয়াটার' দ্রুততম সময়ে বিলিয়ন আয়ের রেকর্ড করে।
আরও পড়ুন: ২০২২ সালে ১০০ কোটির ক্লাবের ভারতীয় সিনেমা কোনগুলো
চলচ্চিত্রটি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির ১০ দিনের মধ্যেই বিশ্বব্যাপী টিকিট বিক্রিতে ৮৫৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলারসহ (আইএনআর ৭ হাজার কোটির সমতুল্য) বছরের পঞ্চম-সর্বোচ্চ আয়কারী হয়ে উঠেছে।
ভ্যারাইটি অনুসারে, উত্তর আমেরিকার বাইরে 'অবতার ২'-এর জন্য সবচেয়ে বেশি আয়কারী দেশ চীন (১০০.৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার), তারপরে কোরিয়া (৫৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার), ফ্রান্স ( ৫২.৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার), ভারত (৩৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার) এবং জার্মানিতে (৩৫.৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার)।
ভ্যারাইটির তথ্য অনুসারে, তবে অবতার প্রথম সিনেমার সাফল্যের সঙ্গে সিক্যুয়েলটি এখনও অনেক পিছিয়ে আছে। অবতার চলচ্চিত্রটি বিশ্বব্যাপী ২ দশমিক ৯৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করে ইতিহাসের সর্বোচ্চ আয়কারী ছবি হওয়ার রেকর্ড করে।
তবে, অবতার চলচ্চিত্রের সিক্যুয়ালটি রাশিয়াতে দেখা যাবে না, যেখানে প্রথম সিনেমাটি ১১৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করে।
আরও পড়ুন: বলিউডে আত্মপ্রকাশের অপেক্ষায় যেসব ‘স্টার কিডস’
বলিউড সিনেমায় পঙ্কজ ত্রিপাঠীর বিপরীতে জয়া আহসান
শত দেশের হাজার চলচ্চিত্র নিয়ে ৩য় সিনেমাকিং চলচ্চিত্র উৎসব ফেব্রুয়ারিতে
দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম মর্যাদাবান সিনেমাকিং আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের (সিআইএফএফ) ৩য় অধিবেশন ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে অনুষ্ঠিত হবে। বৃহস্পতিবার সিআইএফএফ প্রতিষ্ঠাতা ও উৎসব পরিচালক মনজুরুল ইসলাম মেঘ এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, উৎসবটি হওয়ার কথা ছিলো ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে, পরবর্তীতে সময় পরিবর্তন করা হয়।
মনজুরুল ইসলাম মেঘ বলেন, ৩য় সিনেমাকিং আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে শতদেশের হাজার চলচ্চিত্র প্রতিযোগিতা করছে, ১০০০ চলচ্চিত্রের প্রযোজক ও পরিচালককে ইতোমধ্যেই আমরা ইমেইলের মাধ্যমে সিলেকশনের বিষয়ে নিশ্চিত করেছি।
মেঘ আরও জানান, বিভিন্ন দেশের ডেলিগেটরা এইবার অংশগ্রহণ করবে, সেইভাবেই আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি। পৃথিবীর বড় বড় উৎসবের পুরস্কারপ্রাপ্ত সিনেমাগুলো আমাদের উৎসবে জমা পড়েছে, আমরা সে সব চলচ্চিত্র সেন্সর করে বাংলাদেশের দর্শকদের দেখাতে চাই। এই অধিবেশনের আয়োজনটা বড়, এর আগে এশিয়া মহাদেশের কোন চলচ্চিত্র উৎসবে হাজার চলচ্চিত্র সিলেকশন হয়নি। আমরা এই রেকর্ড গড়তে চাই। তাই সুন্দর আয়োজনের জন্য আমাদের কিছু বাড়তি সময় প্রয়োজন।
উল্লেখ্য, ২য় সিনেমাকিং আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে ১২১টি দেশ অংশগ্রহণ করেছিলো। সিআইএফএফ অধিবেশন দক্ষিণ এশিয়ায় অনুষ্ঠিত উৎসগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি দেশ অংশগ্রহণ করা চলচ্চিত্র উৎসবের রেকর্ড গড়ে এবং বাংলাদেশে সর্বকালে সবচেয়ে বেশি দেশের অংশগ্রহণে আন্তর্জাতিক উৎসবের খেতাবপ্রাপ্ত হয়।
আরও পড়ুন: কসমস ফাউন্ডেশনের প্রদর্শনীতে আলেকজান্দ্রু পোটেকা ও নিপার শিল্পকর্ম
উৎসব পরিচালক মনজুরুল ইসলাম মেঘ জানিয়েছেন, দেশের সবচেয়ে বড় মেগাপ্রজেক্ট বাস্তবায়ন করায় ৩য় সিনেমাকিং আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব উৎসর্গ করা হবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে। এই উৎসবের মাধ্যমে শতাধিক দেশের চলচ্চিত্র নির্মাতা, প্রযোজক, অভিনেতা-অভিনেত্রী, কলাকুশলীদের কাছে পদ্মা সেতু তুলে ধরা হবে। এইবার উৎসবের থিম সাজানো হয়েছে পদ্মা সেতু।
উৎসব পরিচালক জানান, ২য় সিনেমাকিং আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে চারটি আন্তর্জাতিক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছিলো। এইবারের উৎসবে আন্তর্জাতিক সেমিনারের পাশাপাশি, মাস্টারক্লাস, ওপেন ফোরাম অনুষ্ঠিত হবে।
এছাড়াও আগামী মার্চ মাস থেকে নিয়মিত প্রত্যেক মাসে আট বিভাগে আটটি বিভাগীয় চলচ্চিত্র উৎসব অনুষ্ঠিত হবে। সংশ্লিষ্ট বিভাগের নির্মাতাদের চলচ্চিত্র নিয়ে স্পেশাল উৎসব।
উল্লেখ্য, বাংলা চলচ্চিত্র সারাবিশ্বে পরিচিত করতে এবং বিভিন্নি দেশের সংস্কৃতির সঙ্গে বাংলাদেশের দর্শকদের পরিচয় করিয়ে দিতে ২০১৮ সালে যাত্রা শুরু করে ২০২০ সালে থেকে নিয়মিতো এই উৎসবের আয়োজন করে আসছে ঢাকা ফেস্টিভাল।
১ম সিনেমাকিং আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব ২০২০ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কে উৎসর্গ করা হয়েছিলো।
২য় সিনেমাকিং আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব ২০২১ এ বিশ্বের ১২১ টি দেশ অংশগ্রহণ করেছিলো, উৎসর্গ করা হয়েছে ‘বীর মুক্তিযোদ্ধাদের’।
আরও পড়ুন: আলোকচিত্র প্রদর্শনী 'প্রত্যাশা: অভিবাসীদের আশা' শুরু মঙ্গলবার
ঢাকায় ১৯তম এশিয়ান আর্ট বিয়েনালের উদ্বোধন প্রধানমন্ত্রীর