পেঁয়াজ
পেঁয়াজ বীজ চাষে বদলেছে ফরিদপুরের এক দম্পতির জীবন
ফরিদপুর জেলার সদর উপজেলার অম্বিকাপুর ইউনিয়নের গোবিন্দপুর এলাকায় লাভলী আক্তার ও ইমতিয়াজ মোল্লা দম্পতি পেঁয়াজ বীজ চাষে সাফল্যের বাতিঘর হয়ে উঠেছেন। যা স্থানীয়ভাবে ‘কালো সোনা’ হিসাবে খ্যাত।
ফরিদপুরের অম্বিকাপুর ইউনিয়নের গোবিন্দপুর এলাকার লাভলী আক্তার ও ইমতাজ মোল্লা দম্পতি গত একযুগ ধরে পেঁয়াজ বীজ চাষাবাদ করছেন। মাত্র দুই বিঘা জমিতে চাষাবাদ শুরু করে ৪০ বিঘায় প্রসারিত করেছেন এই দম্পতি। যার ফলে যথেষ্ট অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হয়েছে। এতে তাদের নিজস্ব জমিতে বহুতল ভবনে যেমন বেড়েছে জৌলুস, তেমনি জীবনযাপনে এসেছে ঊর্ধ্বমুখী পরিবর্তন।
দশম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক ছেলে আর চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ুয়া একটি মেয়ে নিয়ে এখন তাদের ব্যয়বহুল সংসার। যা এই ‘কালো সোনা’ খ্যাত পেঁয়াজ বীজের বদৌলতে তাদের কাছে ধরা দিয়েছে। প্রতিবছর তারা উপার্জনের টাকায় নিজেদের স্থাবর সম্পত্তিও বাড়াতে পারছেন। নতুন করে কিনছে জায়গা-জমি।
আরও পড়ুন: সর্বোচ্চ সুবিধা পেতে কার্ডে ব্যয়করকে যৌক্তিক করতে চায় সরকার
লাভলী আক্তার বলেন, বিয়ের পর স্বামীর বাড়িতে এসে দেখি শ্বশুর বাড়ির লোকেরা পেঁয়াজ বীজের চাষ করছেন। তিনিও পুরোদস্তর স্বামীকে সহায়তায় নেমে পড়েন। এতে প্রথম বছরেই ভালো আয় হয় তাদের। এরপর আর থেমে থাকেননি তাদের সমৃদ্ধির যাত্রা।
তিনি আরও বলেন, আমি এই বীজের টাকা দিয়ে ৭৫ লাখ টাকা খরচ করে বাড়িতে বিল্ডিং দিয়েছি। প্রতিবছরই নতুন জমি কিনছি। এক সময় যা ছিল অকল্পনীয়, এখন তাই বাস্তব আমাদের কাছে। আবহাওয়া ভালো থাকলে এবার তারা বিঘা প্রতি দুই থেকে আড়াই মণ পেঁয়াজ বীজ পাবেন বলে আশা করছেন। প্রতি বিঘা জমিতে এই বীজের আবাদ করতে এক লাখ টাকারও বেশি খরচ হয়। সেই হিসাবে সবমিলিয়ে তাদের এবার প্রায় কোটি টাকার মতো লাভ থাকবে বলে তারা আশা করছেন।
আরও পড়ুন: অস্বাভাবিক বেশি দাম, ক্রেতা নেই কেরাণীগঞ্জের পাইকারি কাপড় বাজারে
৭ মাস আগে
বাজারে সরবরাহ বৃদ্ধিতে পেঁয়াজের দাম কেজিতে কমেছে ৩০ টাকা
দেশের প্রধান উৎপাদন এলাকা পাবনা ও ফরিদপুর অঞ্চল থেকে ঢাকায় নতুন উৎপাদিত পেঁয়াজের সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় মঙ্গলবার প্রতি কেজিতে পেঁয়াজের দাম ৩০ টাকা কমেছে।
মঙ্গলবার রাজধানীর মালিবাগ, মগবাজার, কারওয়ান বাজার ও শ্যামবাজারের পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, পেঁয়াজের মৌসুম শুরু হওয়ায় পেঁয়াজের সরবরাহ বেড়েছে।
ফলে পাইকারি বাজারে দাম কমেছে এবং ৪৫ থেকে ৫৫ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে। খুচরা বাজারে প্রতি কেজি এই পেঁয়াজের দাম ৬০ থেকে ৭০ টাকা, কোনো কোনো ক্ষেত্রে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫৫ টাকায়।
এক সপ্তাহ আগেও ঢাকার খুচরা বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৯০ থেকে ১০০ টাকায়।
আরও পড়ুন: শিগগিরই ভোজ্যতেল, পেঁয়াজ ও খেজুরের দাম কমবে: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
কারওয়ান বাজারের পেঁয়াজ ব্যবসায়ী হাজী মোকাররম ইউএনবিকে বলেন, ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ আসার খবর পেয়ে কৃষকরা দ্রুত পেঁয়াজ তুলে বাজারে বিক্রি শুরু করেন। ফলে বাজারে সরবরাহ বেড়েছে এবং পেঁয়াজের দামও কমেছে।
রাজধানীর শ্যামবাজারের আমদানিকারক ও পেঁয়াজ ব্যবসায়ী নারায়ণ সাহা বলেন, ‘বর্তমানে যথাসময়ে বাজারে এসেছে মৌসুমি পেঁয়াজ। এর প্রভাব পড়েছে বাজারের দামে। কৃষকদের রক্ষায় এখন আর পেঁয়াজ আমদানির প্রয়োজন নেই।’
নারায়ণ আরও বলেন, এখন সঠিক উপায়ে পেঁয়াজ সংগ্রহ এবং ভবিষ্যতে বাজারের চাহিদার জন্য সাবধানে সংরক্ষণের উপর জোর দেওয়া দরকার।
বাজারে আসা পেঁয়াজ সঠিকভাবে সংরক্ষণ করলে বছরের বাকি সময়ে দাম স্বাভাবিক থাকবে বলে তিনি মনে করেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশসহ ৬ দেশে পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি ভারতের
তিন সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম কেজিতে বেড়েছে ৫০ টাকা
৭ মাস আগে
শিগগিরই ভোজ্যতেল, পেঁয়াজ ও খেজুরের দাম কমবে: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
খুচরা বাজারে ভোজ্যতেল প্রতি লিটারের দাম ১৬৩ টাকা হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।
শনিবার(২ মার্চ) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে নারী উদ্যোক্তাদের এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, চলতি সপ্তাহে ভারত থেকে ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ আসবে। ফলে বাজারে পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে থাকবে। এ ছাড়া আগামী দুই দিনের মধ্যে খুচরা বাজারে প্রতি লিটার ভোজ্যতেল ১৬৩ টাকা দরে বিক্রি হবে।
তিনি বলেন, সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবিতে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) ত্রয়োদশ মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গয়ালের সঙ্গে তার দ্বিপক্ষীয় আলোচনা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ওএমএস কর্মসূচির জন্য ১.১০ কোটি লিটার সয়াবিন তেল ও ১০ হাজার মেট্রিক টন মসুর ডাল কিনবে টিসিবি
সেখানে ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রী জানান, তিনি ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ বাংলাদেশকে দিতে চিঠি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। গতকাল তারা সেই চিঠি পেয়েছেন। বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, চলতি সপ্তাহ থেকে দেশে পেঁয়াজ আসবে।
শুল্ক ছাড় দিয়ে বাজারে নির্দিষ্ট ধরনের খেজুরের দাম কমানোর উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাজারে অন্তত ১০ ধরনের খেজুর আছে। এর মধ্যে বস্তায় বস্তায় আসা জায়েদি খেজুরের দাম কমানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: রপ্তানিতে নতুন পণ্য বাছাইয়ে কাজ করছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
৮ মাস আগে
বাংলাদেশসহ ৬ দেশে পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি ভারতের
পেঁয়াজ রপ্তানির নিষেধাজ্ঞা থেকে সরে এসেছে ভারত। বাংলাদেশসহ ছয়টি দেশে নির্দিষ্ট পরিমাণ পেঁয়াজ রপ্তানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত সরকার।
দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুপারিশে এই অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশের পাশাপাশি শ্রীলঙ্কা, নেপাল, ভুটান, বাহরাইন ও মরিশাসেও পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে ভারত।
আরও পড়ুন: তিন দিনের ব্যবধানে গাইবান্ধায় পেঁয়াজের দাম দ্বিগুণ
তবে পেঁয়াজ রপ্তানিতে আরোপিত নিষেধাজ্ঞা পুরোপুরি প্রত্যাহারের বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি নয়াদিল্লি।
সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) ভারতীয় সংবাদপত্র ইকোনমিক টাইমস জানিয়েছে, বাংলাদেশসহ আরও কয়েকটি দেশে পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে ভারত।
এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট এক ভারতীয় কর্মকর্তা বলেন, দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের কারণে এসব দেশে সীমিত পরিমাণে পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে ঠিক কত পরিমাণ পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে তা জানাতে পারেননি ওই কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন: সিলেটে ১২ লাখ টাকার ভারতীয় পেঁয়াজ জব্দ, আটক ৪
রোজার আগেই ভারত থেকে আসতে পারে পেঁয়াজ-চিনি: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
৮ মাস আগে
তিন সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম কেজিতে বেড়েছে ৫০ টাকা
বর্তমানে দেশে পেঁয়াজের মৌসুমের মাঝামাঝি পর্যায় হলেও গত তিন সপ্তাহের ব্যবধানে দাম বেড়েছে ৬২ থেকে ৭১ শতাংশ।
জানুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজি, যা জানুয়ারি শেষ দিকে ছিল ১০০ টাকা।
এরপর ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে পেঁয়াজের দাম ছিল ১০৫ থেকে ১১০ টাকা কেজি। গতকাল (শুক্রবার) প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম লাফিয়ে হয়েছে ১২০ টাকা। আজ (শনিবার) খুচরা বাজারে প্রতি কেজি ১৩০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।
ফলে মাত্র ২১ দিনের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম কেজিতে বেড়েছে ৫০ টাকা।
আলামিন হোসেন নামে এক পেঁয়াজ ব্যবসায়ী পাবনা থেকে পাইকারি দরে পেঁয়াজ কিনে ঢাকায় খুচরা বিক্রি করেন। তিনি বলেন, গত সপ্তাহে পাবনায় ৮০ থেকে ৮৫ টাকা কেজি দরে পাইকারিতে এবং রাজধানীতে খুচরা ১০০ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ বিক্রি করেছেন তিনি।
গত সপ্তাহে প্রতি মণ (৪০ কেজি) পেঁয়াজ ৩ হাজার ২০০ থেকে ৩ হাজার ৪০০ টাকায় কেনা হলেও এখন পাবনায় ৩ হাজার ৮০০ থেকে ৩ হাজার ৯০০ টাকায় কিনতে হয়েছে বলে জানান হোসেন।
তিনি আরও বলেন, নতুন মুড়িকাটা পেঁয়াজ তোলা শেষ পর্যায়ে। প্রায় দেড় মাস আগে এসব পেঁয়াজ বাজারে আসতে শুরু করেছে, আর এখন কৃষকের পেঁয়াজ শেষের দিকে।
আরও পড়ুন: সিলেটে ১২ লাখ টাকার ভারতীয় পেঁয়াজ জব্দ, আটক ৪
ফলে সরবরাহ কমতে শুরু করে এবং চাহিদার তুলনায় সরবরাহ না থাকায় হঠাৎ করে পেঁয়াজের দাম বেড়ে যায় বলে জানান আলামিন।
এখন কৃষকের প্রধান পেঁয়াজ বা হালি পেঁয়াজ যা সারা বছর পাওয়া যায় সেই ফসল তুরতে আরও কিছুটা সময় লাগবে। ততদিন পর্যন্ত বাজারে এ ধরনের বাড়তি দাম থাকতে পারে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) সহকারী পরিচালক (বাজার তথ্য) নাসির উদ্দিন তালুকদার ইউএনবিকে বলেন, শুক্রবার বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ১২০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।
গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ৯০ টাকা কেজি, যা এক মাস আগে ছিল ৮৫ থেকে ১০০ টাকায়। কিন্তু গত বছর এই সময়ে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৩০ থেকে ৪০ টাকায়।
আরও পড়ুন: তিন দিনের ব্যবধানে গাইবান্ধায় পেঁয়াজের দাম দ্বিগুণ
৮ মাস আগে
পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে মাঠ পর্যায়ে মনিটরিং জোরদারের নির্দেশ সরকারের
পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে মাঠ পর্যায়ে মনিটরিং জোরদার করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছে সরকার। একই সঙ্গে যারা অতিরিক্ত মুনাফা অর্জনের চেষ্টা করছে তাদের আইনের আওতায় আনতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (১১ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এ তথ্য জানান।
আরও পড়ুন: ভারতের রপ্তানি নিষেধাজ্ঞায় রাতারাতি পেঁয়াজের দাম কেজি প্রতি ২০০ টাকা ছাড়াল
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মন্ত্রিপরিষদের বৈঠক থেকে এই নির্দেশনা আসেনি, এটি পৃথকভাবে জারি করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে তার কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
তিনি বলেন, 'আপনারা দেখতে পাচ্ছেন, মাঠ পর্যায়ে এখন নিবিড় পর্যবেক্ষণ চলছে। আজ কিছুটা হলেও বাজারে এর প্রভাব পড়েছে। গতকাল যে প্রবণতা (পেঁয়াজের মূল্যবৃদ্ধি) ছিল, আজ তা নেই।’
শুক্রবার ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা বাড়ানোর প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশে পেঁয়াজের দাম বেড়ে যায়।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, 'সরকারের নির্দেশনা হচ্ছে মাঠ পর্যায়ে মনিটরিং জোরদার করা। যারা এসব কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত (মজুদ করে অতিরিক্ত মুনাফা অর্জন) তাদের উপর নজরদারি বাড়ানো এবং যারা অতিরিক্ত মুনাফা অর্জনের চেষ্টা করছে তাদের আইনের আওতায় আনার চেষ্টা করা। নির্দেশনা পাওয়ার পর আমাদের টিম মাঠে কাজ করছে।’
আরও পড়ুন: পেঁয়াজ মজুদকারীদের চিহ্নিত করে শাস্তি দেওয়া হবে: ভোক্তার মহাপরিচালক
বিনা কর্তনে চলছে ‘অ্যানিমেল’, আটকে আছে ‘কাঠগোলাপ’
১০ মাস আগে
পেঁয়াজ মজুদকারীদের চিহ্নিত করে শাস্তি দেওয়া হবে: ভোক্তার মহাপরিচালক
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম শফিকুজ্জামান বলেছেন, আগামী সপ্তাহের মধ্যে পেঁয়াজের বাজার স্থিতিশীল হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
সোমবার (১১ ডিসেম্বর) ভোক্তা অধিকারবিষয়ক সচেতনতামূলক বিতর্ক প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন ও রানার আপ দলকে দেওয়া সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ. এইচ. এম সফিকুজ্জামান একথা বলেন।
আরও পড়ুন: ২০৩০ সালের জন্য কার্বন নিঃসরণ কমানোর অঙ্গীকার আরও জোরদার করতে হবে: পরিবেশমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘নতুন পেঁয়াজ ইতোমধ্যে বাজারে আসতে শুরু করেছে। এছাড়া পেঁয়াজ মজুদকারীদের আইনের আওতায় এনে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধির পেছনে কিছু মজুদদারকে ইতোমধ্যে চিহ্নিত করা হয়েছে এবং বাকি মজুদদারদের চিহ্নিত করার প্রক্রিয়া চলছে।’
তিনি বলেন, খাতুনগঞ্জ ও শ্যামবাজারে কে পেঁয়াজ লুকিয়ে রেখেছিল এবং কীভাবে গুদামে সাজানো পেঁয়াজ উধাও হয়ে গেল তা খুঁজে বের করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, ইতোমধ্যে দেশের ৫৪টি জেলায় অভিযান চালিয়ে ১১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
মাংস ও আলুর বাজারে অস্থিতিশীলতা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হলেও সরকার এখন পেঁয়াজের বাজার স্থিতিশীল করতে কাজ করছে বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ভোক্তাদের অধিকার রক্ষায় আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।’
রাজধানীর কারওয়ান বাজারে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সম্মেলনকক্ষে ভোক্তা অধিকারবিষয়ক এক বিতর্কে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন- ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ।
প্রতিযোগিতায় কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ ও রানার্সআপ হয়েছে ইডেন মহিলা কলেজ।
চৌধুরী কিরণ বলেন, বাংলাদেশে দ্রব্যমূল্যের বর্তমান পরিস্থিতি দেখায় যে কালোবাজার সরকারের চেয়ে বেশি শক্তিশালী।
তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, যারা বিভিন্ন স্থানে পেঁয়াজ লুকিয়ে রেখেছেন তারা লোকসান এড়াতে চাইলে দ্রুত বাজারে পণ্য সরবরাহ করবেন।’
আরও পড়ুন: কপ-২৮ উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক: সীমিত সম্পদ সত্ত্বেও কম কার্বনের পথে বাংলাদেশ
রবিবার কৃষি মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, নতুন মুড়িকাটা ও গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ বাজারে আসতে শুরু করেছে এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়ানোর কোনো কারণ নেই।
১০ মাস আগে
এক সপ্তাহের মধ্যেই পেঁয়াজের দাম কমবে: তথ্যমন্ত্রী
আগামী এক সপ্তাহের মধ্যেই পেঁয়াজের দাম কমবে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
সোমবার (১১ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা জানান।
তিনি বলেন, ভোক্তাদের একটা প্রবণতা আছে, কোনো পণ্যের সংকট হচ্ছে এমন গুজব রটালেই আমরা সবাই গিয়ে এক কেজির জায়গায় পাঁচ কেজি কেনা শুরু করি। এতে করে ব্যসায়ীরা আরও সুযোগ পায়। এক্ষেত্রেও আমাদের সতর্ক হওয়া প্রয়োজন বলে মনে করি। তবে পেঁয়াজের দাম শিগগিরই কমে যাবে। ভারত থেকেও পেঁয়াজ আসবে। সবমিলে পেঁয়াজের দাম কমে যাবে। তবে বেশির ভাগ পণ্যের দাম গত দুই সপ্তাহে কমেছে।
আরও পড়ুন: মানবাধিকার লঙ্ঘনকারীরাই মানবাধিকারের কথা বলে, প্রেসক্রিপশন দেয়: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, গত দুই সপ্তাহে বেশির ভাগ দ্রব্যের মূল্য কমেছে। গরুর মাংস আমার এলাকায় ৫৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে মাইকিং করে। যেখানে কয়দিন আগেও সাড়ে ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা ছিল। শাক-সবজি ও অন্যান্য পণ্যের দামও কমেছে। পেঁয়াজের দামটা হঠাৎ করে বেড়েছে। পেঁয়াজের দাম যে লাফিয়ে বেড়েছে সে বিষয়ে আমি একমত। এটি বাড়ার কোনো কারণ ছিল না। ভারত পেঁয়াজ মার্চ পর্যন্ত রপ্তানি করা বন্ধের ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে বেড়ে যাওয়া আমাদের সব পর্যায়ের ব্যবসায়ীর অসৎ মানসিকতার বহিঃপ্রকাশ ছাড়া কিছু নয়।
মন্ত্রী বলেন, হঠাৎ করে প্রতি কেজিতে ৫০ টাকা থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে যাওয়া কোনোভাবেই সমীচীন নয়। ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তর ইতোমধ্যে অভিযান শুরু করেছে। তারা জরিমানা করেছে। এতে বাজারে কিছুটা শৃঙ্খলা ফিরে এলেও পুরোপুরি আসেনি। যেকোনো কিছু হলেই দাম বাড়িয়ে দেওয়ার যে মানসিকতা এটির বিরুদ্ধে গণমাধ্যমেও যদি নিবন্ধ লেখা বা রিপোর্ট করা হয় তাহলে সেটি নিয়ন্ত্রণে সহায়ক হবে। তবে পেঁয়াজের দাম দ্রুত কমে যাবে। কারণ এক সপ্তাহের মধ্যে দেশি পেঁয়াজ বাজারে আসা শুরু করবে।
আরও পড়ুন: বিএনপি বিশৃঙ্খলা করলে দাঁতভাঙা জবাব দেবে মানুষ: তথ্যমন্ত্রী
১০ মাস আগে
ফরিদপুরের বাজারে কমতে শুরু করেছে পেঁয়াজের দাম
সবচেয়ে বেশি পেঁয়াজ উৎপাদনকারী জেলা ফরিদপুরে নতুন ফসল আসার সঙ্গে সঙ্গে বাজারে পেঁয়াজের দাম কমতে শুরু করেছে।ফরিদপুর শহর ও আশপাশের বিভিন্ন বাজার ঘুরে ইউএনবির প্রতিবেদক জানান, নতুন পেঁয়াজের দাম কেজিতে ১২০ থেকে ১৩০ টাকা, যা পুরনো ১৬০ থেকে ১৭০ টাকা।
খুচরা বিক্রেতারা জানান, নতুন পেঁয়াজের দাম কেজিতে ৩০ থেকে ৪০ টাকা এবং পুরাতন পেঁয়াজের দাম ২০ থেকে ৩০ টাকা কমেছে। কয়েকদিন আগে নতুন পেঁয়াজ ১৪৫ থেকে ১৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও পুরনো পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা কেজি দরে।
আরও পড়ুন: নতুন পেঁয়াজ অস্থিতিশীল বাজার নিয়ন্ত্রণে আনতে পারে: কৃষি মন্ত্রণালয়
সদর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন জানান, ঘূর্ণিঝড় মিগজাউমের প্রভাব ও সৃষ্ট জলাবদ্ধতার কারণে প্রাথমিকভাবে পেঁয়াজ কাটা বিলম্বিত হয়। তবে পানি কমে যাওয়ায় কৃষকরা আংশিক ফসল তুলতে শুরু করেছেন।
প্রতিবেশী দেশ ভারত থেকে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের পর অসাধু ব্যবসায়ীরা পেঁয়াজের দাম নিয়ে কারসাজি করছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক রফিকুল ইসলাম জানান, ফরিদপুরে প্রাথমিকভাবে তিনটি জাতের পেঁয়াজ উৎপাদন হয়। শীতকালীন মুড়িকাটা এবং গ্রীষ্মকালীন হালি ও ডানা।
তিনি আরও জানান, চলতি মৌসুমে প্রায় সাড়ে ৫ হাজার হেক্টর জমিতে এক লাখ টন পেঁয়াজ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: পেঁয়াজ মজুদকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি ডিবি প্রধানের
১০ মাস আগে
ভারতের রপ্তানি নিষেধাজ্ঞায় রাতারাতি পেঁয়াজের দাম কেজি প্রতি ২০০ টাকা ছাড়াল
ভারতীয় কর্তৃপক্ষ দক্ষিণ এশিয়ায় খাবারের জন্য প্রয়োজনীয় মশলা রপ্তানির ওপর ২০২৪ সালের মার্চ পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার পর শনিবার ঢাকায় প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম ২০০ টাকা ছাড়িয়েছে।
শনিবার (৯ ডিসেম্বর) ঢাকা ও ঢাকার বাইরে ২০০-২২০ টাকা বা তার বেশি দামে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে, যা বৃহস্পতিবার ছিল ১৩০ টাকা।
এটি ভোক্তাদের উচ্চ ব্যয়ের জীবনযাত্রার মধ্যে আরেকটি কষ্টকর পরিস্থিতি।
আরও পড়ুন: ভারতের পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের পর খুলনায় দাম বেড়েছে ৬০ টাকা
৩১ ডিসেম্বর নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষ হওয়ার তিন সপ্তাহ আগে ২০২৪ সালের মার্চ পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা বাড়িয়েছে ভারত।
বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, ভারতে পেঁয়াজ রপ্তানি নিষিদ্ধ করা নতুন কিছু না হলেও বাংলাদেশের পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতারা হঠাৎ দাম বাড়ার জন্য ভারতের নিষেধাজ্ঞা বাড়ানোকে দায়ী করছেন।
তারা বলেন, নিষেধাজ্ঞাটি ইতোমধ্যে কার্যকর হয়েছে এবং এটি কেবল বাড়ানো হয়েছে এবং এটি বর্তমান পর্যায়ের মেয়াদ শেষ হওয়ার অনেক আগে। কিন্তু হঠাৎ করে দাম বাড়ানোর পেছনে বাজারের একদল নিয়ন্ত্রণকারী বা সিন্ডিকেট কাজ করেছে।
খুচরা বিক্রেতারা আজ কারওয়ান বাজারে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি করছেন ২০৪ টাকায়, যা বৃহস্পতিবার ছিল ১৩০ টাকা কেজি। ভারতীয় পেঁয়াজের দাম কেজিতে ৭০ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ১১০ টাকা।
আরও পড়ুন: হিলি স্থলবন্দরের মোকামে ঘণ্টায় ঘণ্টায় বাড়ছে পেঁয়াজের দাম
রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্য অনুযায়ী, এক সপ্তাহ আগে দেশি পেঁয়াজের দাম ছিল কেজিপ্রতি ১০৫ থেকে ১২৫ টাকা এবং আজ তা বেড়ে হয়েছে ১৮০ থেকে ১৯০ টাকা। আমদানি করা পেঁয়াজের দাম ৯০-১১০ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ১৬০-১৭০ টাকা।
শ্যামবাজার পেঁয়াজ পাইকার সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আবদুল মাজেদ বলেন, ভারতের রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা দেশের বাজারে বড় ধরনের প্রভাব ফেলেছে। গত কয়েক দিন ধরে আকস্মিক বৃষ্টিও দামে প্রভাব ফেলেছে।
শুধু ঢাকায় নয়, দেশের অন্যান্য স্থানেও পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। পাবনায় আজ সকালে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ১৮০ থেকে ২০০ টাকায়।
পাইকাররা জানান, ঘূর্ণিঝড় মিগজাউমের প্রভাবে বৃষ্টির কারণে জেলার পাইকারি বাজারে হঠাৎ করে দাম বেড়ে যায়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে আড়তে ঝুলছে ‘পেঁয়াজ নাই’ লেখা বোর্ড
১০ মাস আগে