সিঅ্যান্ডএফ
ভারতের পেট্রাপোলে কাজ বন্ধ থাকায় বেনাপোলে দ্বিতীয় দিনের মতো স্থবির আমদানি-রপ্তানি
বাংলাদেশি রপ্তানি পণ্যবাহী মাছের ট্রাকে স্বর্ণ পাচারের ঘটনায় ভারতীয় ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরোয়ার্ডিং (সিঅ্যান্ডএফ) স্টাফ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলার প্রতিবাদে বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দরে বন্ধ রয়েছে রপ্তানি বাণিজ্য।
শনিবার (১ এপ্রিল) সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে সকাল থেকে ভারতের পেট্রাপোল বন্দর ব্যবহারকারী সংগঠনগুলো কর্মবিরতির ডাক দিলে বন্ধ হয় রপ্তানি বাণিজ্য।
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান জানান, গত ১৮ মার্চ সাতক্ষীরার মোস্তফা অরগানিক নামক একটি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান তিন টন তেলাপিয়া মাছ ট্রাকের মাধ্যমে ভারতে রপ্তানি করে। পণ্য চালানটি রপ্তানির জন্য ‘ব্রাদার্স সেন্ডিগেট’ নামক সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট বেনাপোল কাস্টমসে ডকুমেন্টস দাখিল করে। মাছ আমদানি করে ভারতের উত্তর ২৪ পরগনার ‘বাবা ইন্টারন্যাশনাল’। ওই দিন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বিএসএফ ট্রাক তল্লাশি করে মাছের কার্টুনের মধ্য থেকে চার কেজি ৬৬৬ গ্রাম ওজনের ৪০টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করে।
আরও পড়ুন: বেনাপোল কাস্টমস হাউসে গেট পাস জটিলতা: দুই দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ
তিনি আরও বলেন যে এ ঘটনায় বাংলাদেশি ট্রাক চালক সু শঙ্কর দাস ও ভারতীয় সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ লালটুর বিরুদ্ধে মামলা দেয় বিএসএফ। ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে এই মামলা তুলে নেওয়ার দাবিতে ব্যবসায়ীরা শনিবার কর্মবিরতি ডাক দেয়। এতে বন্ধ হয় দুই দেশের মধ্যে রপ্তানি বাণিজ্য।
বেনাপোল আমদানি-রপ্তানি সমিতির সহ-সভাপতি আমিনুল হক জানান, রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ থাকায় বেনাপোল বন্দরে ভারতে প্রবেশের অপেক্ষায় আটকা পড়েছে প্রায় তিন শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক। এসব পণ্যের মধ্যে পাট ও পাটজাত দ্রব্য, কেমিকেল গার্মেন্টস, মাছসহ জরুরি মালামাল রয়েছে।
দ্রুত সমাধানের মাধ্যমে বাণিজ্য সচলের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
সাধারণ ব্যবসায়ীরা জানান, আগে সীমান্ত পথে পাচার কার্যক্রম হলে এখন বৈধ পথে স্বর্ণ, মাদক পাচার বেড়েছে। এতে বাণিজ্য বিঘ্ন ও সাধারণ ব্যবসায়ী ও ট্রাক চালকেরা হয়রানির শিকার হচ্ছে। এর সঙ্গে জড়িত প্রকৃত অপরাধীদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা গেলে পাচার কার্যক্রম বন্ধ হবে।
বেনাপোল বন্দরের উপপরিচালক আব্দুল জলিল জানান, স্বর্ণ পাচার মামলা নিয়ে সীমান্তরক্ষী বিএসএফ ও ভারতীয় ব্যবসায়ীদের দ্বন্দ্বের জেরে ব্যবসায়ীদের ডাকা কর্মবিরতিতে শনিবার দিনভর রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ ছিল এবং আজও বন্ধ আছে।
আরও পড়ুন: রোজা উপলক্ষে বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে ৩৮০০ মেট্রিক টন টিসিবির মসুরের ডাল আমদানি
১ বছর আগে
চট্টগ্রাম কাস্টমসে কর্মবিরতি, শুল্কায়ন বন্ধ
কাস্টমস বিধিমালা বাতিলের দাবিতে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসে কর্মবিরতি পালন করেছেন কাস্টমস এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের (সিঅ্যান্ডএফ) নেতারা। এ কর্মবিরতি চলবে আগামীকালও। সোমবার সকাল থেকে তারা কাস্টমস হাউসে অবস্থান নিয়ে আন্দোলন শুরু করেন।
একই সঙ্গে তারা শুল্কায়ন কার্যক্রম থেকে বিরত থাকেন। এতে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের কার্যক্রমে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে।
সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের চট্টগ্রামের সাধারণ সম্পাদক কাজী মাহমুদ ইমাম (বিলু) দুপুরে বলেন, শান্তিপূর্ণভাবে সকাল থেকে আমরা কর্মবিরতি পালন করেছি। একজন ব্যবসায়ী হিসেবে কাজ করার অধিকার আছে,না করারও আছে। কাস্টমস হাউসে শুল্কায়ন কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এই কর্মসূচি সারাদেশে চলছে। এটার মূল বিষয় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড প্রণীত কাস্টমস এজেন্টস লাইসেন্সিং বিধিমালা।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম কাস্টমসের শুল্কায়ন কার্যক্রম বন্ধ থাকবে ১২ ঘন্টা
তিনি বলেন, বিধিমালায় কিছু বিষয় আমাদেরকে নিপীড়নের জন্য সন্নিবেশিত করা হয়েছে। আমরা তাদের অনেক দুর্নীতি ও অন্যায়ের প্রতিবাদ করি। এটা যাতে করতে না পারি আমাদেরকে সাইজ করার জন্য এগুলো করা হয়েছে। আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান আমাদের সঙ্গে বসবেন। এখন পর্যন্ত আমাদের কর্মসূচি চলমান আছে। বিকালে ফেডারেশনের সভা হবে। সেখানে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
এ বিষয়ে জানতে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের কমিশনার ফাইজুর রহমানকে ফোন করা হলে মিটিংয়ে আছে জানিয়ে তার ব্যক্তিগত সহকারী ফোন রিসিভ করেন। তিনি বলেন, কাস্টমস হাউস খোলা রয়েছে। সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টরা আন্দোলন করছে। তারা সকাল থেকে কাস্টমস হাউসের চত্বরে অবস্থান নিয়ে কর্মবিরতি পালন করছে।
এর আগে রবিবার (২৯ জানুয়ারি) এক সংবাদ সম্মেলনে কাস্টমস বিধিমালা বাতিলের দাবিতে ৩০ ও ৩১ জানুয়ারি দেশের সকল কাস্টম হাউস ও শুল্ক স্টেশনগুলোতে পূর্ণ দিবস কর্মবিরতি ঘোষণা করে ফেডারেশন অব বাংলাদেশ কাস্টমস ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরওয়ার্ডিং এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্মকর্তার কোটিপতি স্ত্রীরা দুদক আতঙ্কে
১ বছর আগে
বেনাপোল দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধে ভারতীয় ট্রাক চালকদের হুমকি
দীর্ঘদিন ধরে বেনাপোল বন্দরে পণ্য রক্ষণাবেক্ষণে বেহাল দশা, পণ্য খালাস, পরীক্ষণ যন্ত্র নিয়ে জটিলতা ও জায়গা সংকটসহ নানা অব্যবস্থাপনার মধ্যে দিয়ে ভারত-বাংলাদেশের বাণিজ্যক কার্যক্রম চলছে।
৪ বছর আগে