রাশিয়া
এশিয়ায় মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন প্রসঙ্গে রাশিয়ার পাল্টা হুমকি
এশিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেপণাস্ত্র দেখা গেলে, মাঝারি পাল্লার ও স্বল্পপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করতে পারে রাশিয়াও।
সোমবার রাশিয়ার পররাষ্ট্র উপমন্ত্রী সের্গেই রিয়াবকভের বরাত দিয়ে স্থানীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
রাশিয়া এশিয়ায় মধ্যমপাল্লার ও স্বল্পপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েনের কথা বিবেচনা করছে কি না-সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: রাশিয়ার নতুন ক্ষেপণাস্ত্র পশ্চিমা দেশগুলো ঠেকাতে পারবে না: পুতিন
রিয়াকভ বলেন, ‘বিশ্বের যেকোনো অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের সিস্টেমের উপস্থিতি আমাদের পরবর্তী পদক্ষেপ নির্ধারণ করবে। এর মধ্যে সামরিক ও সামরিক-প্রযুক্তিগত প্রতিক্রিয়া সংগঠিত করার বিষয়ও থাকবে।’
তিনি আরও জানান, যুক্তরাষ্ট্রের যেসব ইউরোপীয় ঘাঁটিগুলোতে পারমাণবিক অস্ত্রও মোতায়েন করা হয়েছে, সেগুলোও রাশিয়ার জন্য সম্ভাব্য লক্ষ্য হতে পারে।
ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনীর জেনারেল স্টাফ সোমবার ঘোষণা করেছে, ইউক্রেনীয় বাহিনী পশ্চিম রাশিয়ার তিনটি অঞ্চলে ‘গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায়’ রাতভর ধারাবাহিক আক্রমণ চালিয়েছে।
জেনারেল স্টাফ এক ফেসবুক বিবৃতিতে জানান, কালুগা অঞ্চলের একটি তেলের ডিপোতে আক্রমণ করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, ব্রায়ানস্ক ও কুরস্ক অঞ্চলের অন্যান্য লক্ষ্যবস্তুতে আক্রমণের ক্ষতির পরিমাণ এখনও ক্ষতিয়ে দেখা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি ৬টি দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার দাবি মস্কোর
৩ সপ্তাহ আগে
জাহাজ নির্মাণ শিল্পে দক্ষ জনবল নিতে চায় রাশিয়া: প্রবাসীকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী
জাহাজ নির্মাণ শিল্পে দক্ষ জনবল নিতে চায় রাশিয়া বলে জানিয়েছেন প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী।
রবিবার (২৪ মার্চ) প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরীর সঙ্গে বৈঠক করে রাশিয়ার লেভাডিয়া শিপইয়ার্ডের প্রতিনিধি দল।
পরে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান প্রতিমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: বাণিজ্য সম্প্রসারণে নেপালের বাণিজ্যমন্ত্রীর সঙ্গে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রীর বৈঠক অনুষ্ঠিত
তিনি বলেন, রাশিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের সম্পর্ক। রাশিয়ায় জনবল পাঠানোর মধ্য দিয়ে দুই দেশের সম্পর্ক আরও শক্তিশালী হবে।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, রাশিয়া তাদের জাহাজ শিল্প, কৃষিসহ নানা ক্ষেত্রে দক্ষ জনবল নিতে চায়। প্রথম ধাপে ৬০ জন শ্রমিক নিতে চায় দেশটি।
তিনি বরেন, এরপর পর্যায়ক্রমে তারা আরও দক্ষ শ্রমিক নেবে। এছাড়া শ্রমিকদের থাকা-খাওয়া, ভাষা শেখার বিষয়গুলো কোম্পানি দেখবে বলে নিশ্চিত করেছে।
এসময় প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. রুহুল আমিনসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিতে প্রতিষ্ঠানের আধুনিকায়ন গুরুত্বপূর্ণ: সমবায় প্রতিমন্ত্রী
অবৈধ ভিওআইপির সঙ্গে জড়িতদের ছাড় দেওয়া হবে না: তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী
৮ মাস আগে
রাশিয়ার পূর্ণ মাত্রায় আক্রমণ শুরুর পর ৩১ হাজার ইউক্রেনীয় সেনা নিহত হয়েছে: জেলেনস্কি
রাশিয়া পূর্ণ মাত্রায় আক্রমণ শুরু করার পর থেকে গত দুই বছরে ৩১ হাজার ইউক্রেনীয় সেনা নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।
রবিবার(২৬ ফেব্রুয়ারি) কিয়েভ ফোরামে ‘ইউক্রেন ইয়ার-২০২৪’ -এ এই তথ্য জানান প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।
জেলেনস্কি বলেন, এই সংখ্যা রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সরকারের দেওয়া অনুমানের চেয়ে অনেক কম।
তিনি বলেন, ‘এই যুদ্ধে ৩১ হাজার ইউক্রেনীয় সেনা নিহত হয়েছে। তিন লাখ বা দেড় লাখ নয়, বরং পুতিন ও তার প্রতারক চক্র যা বলছে তা মিথ্যা। কিন্তু তা সত্ত্বেও আমাদের এই প্রতিটি ক্ষতি একটি মহান ত্যাগ।’আরও পড়ুন: রুশ অধিকৃত ইউক্রেনের বাজারে গোলাবর্ষণে নিহত ১৩
ইউক্রেনের এই নেতা বলেন, কতজন সেনা আহত বা নিখোঁজ হয়েছেন তা তিনি প্রকাশ করবেন না। তিনি আরও বলেছিলেন যে ইউক্রেনের অধিকৃত অঞ্চলগুলোতে ‘কয়েক হাজার বেসামরিক নাগরিক’ নিহত হয়েছে, তবে যুদ্ধ শেষ না হওয়া পর্যন্ত সঠিক কোনও পরিসংখ্যান পাওয়া যাবে না।
তিনি বলেন, ‘আমরা জানি না তারা আমাদের কতজন বেসামরিক নাগরিককে হত্যা করেছে। আমরা জানি না।’
আরও পড়ুন: রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সমর্থন দিতে ইউক্রেনে ৮০০টিরও বেশি ড্রোন পাঠাবে কানাডা
২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়ার পূর্ণ মাত্রার যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর এই প্রথম কিয়েভ ইউক্রেনের ক্ষয়ক্ষতির সংখ্যা নিশ্চিত করল।
তবে হতাহতের আনুষ্ঠানিক কয়েকটি পরিসংখ্যান জানিয়েছে রাশিয়া। ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে প্রকাশিত প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সাম্প্রতিকতম তথ্যে ৬ হাজারের বেশি মৃত্যুর কথা উল্লেখ করা হয়েছে, যদিও যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের কর্মকর্তাদের প্রতিবেদনে এই সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
২০২৩ সালের ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে প্রকাশিত মার্কিন গোয়েন্দা প্রতিবেদনে ধারণা করা হয়েছিল যে ইউক্রেনে ৩ লাখ ১৫ হাজার রুশ সেনা নিহত বা আহত হয়েছে। যদি এই সংখ্যা সঠিক হয়, তাহলে যুদ্ধের আগে রাশিয়ার কাছে থাকা ৩ লাখ ৬০ হাজার সেনার ৮৭ শতাংশই হবে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
রাশিয়ার স্বাধীন সংবাদমাধ্যম মিডিয়াজোনা শনিবার জানিয়েছে, ২০২২ ও ২০২৩ সালে যুদ্ধে প্রায় ৭৫ হাজার রুশ পুরুষ নিহত হয়েছেন।
রাশিয়ার আরেক স্বাধীন সংবাদ মাধ্যম মিডিয়াজোনা ও মেদুজা প্রকাশিত এক যৌথ তদন্তে দেখা গেছে, ইউক্রেনে রাশিয়ার ক্ষয়ক্ষতির হার কমছে না এবং মস্কো দৈনিক প্রায় ১২০ জন করে সেনাকে হারাচ্ছে।
আরও পড়ুন: ইউক্রেনের প্রধানমন্ত্রী আজ রাতে ঢাকায় যাত্রাবিরতি করবেন
৯ মাস আগে
বাংলাদেশে গম রপ্তানি করতে চায় রাশিয়া, দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সম্প্রসারণে আলোচনা
বাংলাদেশে গম রপ্তানির আগ্রহ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেক্সান্ডার ভিকেনতেভিচ মান্টিটস্কি।
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদারের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে এসে এ আগ্রহের কথা জানান রাষ্ট্রদূত।
আজ বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) সকালে সচিবালয়ে খাদ্যমন্ত্রীর অফিসে এ সৌজন্য সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় তারা বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন, দ্বিপক্ষীয় ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ও গম রপ্তানিসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন।
সাক্ষাৎকালে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্ক অত্যন্ত চমৎকার। এ সম্পর্ক বাণিজ্য-বিনিয়োগসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ক্রমান্বয়ে সম্প্রসারিত হচ্ছে।’
রাশিয়াকে বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন সহযোগী বন্ধু বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: রাশিয়া-বাংলাদেশের সম্পর্ক বন্ধুত্বের দৃঢ় ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত: হাছান মাহমুদকে ল্যাভরভ
রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘বাংলাদেশ ও রাশিয়ার মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের অপার সম্ভাবনা রয়েছে। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশের খাদ্য নিরাপত্তা অর্জনে রাশিয়া ভূমিকা রাখতে আগ্রহী।’
এ সময় দ্বিতীয় মেয়াদে মন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ায় খাদ্য মন্ত্রীকে অভিনন্দন জানান তিনি।
খাদ্যমন্ত্রী রাশিয়ার রাষ্ট্রদূতকে গম রপ্তানির আগ্রহের জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক উন্নয়নে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
এ সময় খাদ্য সচিব মো. ইসমাইল হোসেন, খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. শাখাওয়াত হোসেনসহ খাদ্য মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: প্রেসিডেন্ট নির্বাচন পর্যবেক্ষণে সিইসিসহ অন্যদের আমন্ত্রণ জানাল রাশিয়ার নির্বাচন কমিশন
নির্বাচনকে 'অবাধ, সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও সফল' বললেন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও রাশিয়ার পর্যবেক্ষকরা
১১ মাস আগে
বাংলাদেশের নির্বাচনের ফলাফলকে প্রভাবিত করতে ‘বহিরাগত প্রচেষ্টা’ ছিল: রাশিয়া
নির্বাচনের ফলাফলকে প্রভাবিত করার ‘বহিরাগত প্রচেষ্টা’ সত্ত্বেও ভোটারদের মত প্রকাশের ইচ্ছার জন্য অনুকূল পরিবেশ তৈরি করার জন্য বাংলাদেশের নেতৃত্বকে স্বীকৃতি দেওয়া উচিৎ বলে মন্তব্য করেছে রাশিয়া।
বাংলাদেশে সংসদ নির্বাচন ও নতুন সরকার প্রসঙ্গে রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা বলেন, ‘নির্বাচনের ফলাফলকে প্রভাবিত করতে বহিরাগতদের প্রচেষ্টা লক্ষ্য করা গেছে। এর আগেও আমরা গত বছরের ২২ নভেম্বর ও ১৫ ডিসেম্বরে উল্লেখ করেছি।’
আরও পড়ুন: রাশিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক উপদেষ্টা বোর্ডের সভাপতি হলেন ড. ইউনূস
তিনি বলেন, স্থানীয় পর্যবেক্ষক ও রাশিয়াসহ ২০০টিরও বেশি আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক নির্বাচনের বৈধতা ও সাধারণভাবে গৃহীত শর্ত মেনে চলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
উল্লেখ্য, রুশ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের সদস্য আন্দ্রে শুতভ নির্বাচনের সময় বাংলাদেশে রুশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন।
আরও পড়ুন: রাশিয়ায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে গভর্নর সের্গেইভিচের বৈঠক অনুষ্ঠিত
১১ মাস আগে
প্রিমাকভ রিডিংস ইন্টারন্যাশনাল ফোরামের উদ্বোধন মস্কোয়
নবম আন্তর্জাতিক বৈজ্ঞানিক ও বিশেষজ্ঞ ফোরাম প্রিমাকভ রিডিংসের উদ্বোধন হয়েছে।
সোমবার (২৭ নভেম্বর) রাশিয়ার মস্কোর ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে আনুষ্ঠানিকভাবে এ ফোরামের উদ্বাধন হয়।
রাজনীতিবিদ, কূটনীতিক, বিশেষজ্ঞ ও ব্যবসায়িক প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠানে আলোচনার মূল বিষয় হলো পোস্ট-গ্লোবালাইজেশন হরাইজনস।
এই বছর ফোরামে আর্মেনিয়া, আজারবাইজান, বাংলাদেশ, চীন, কিউবা, মিশর, ফিনল্যান্ড, ভারত, ইরান, কাজাখস্তান, নাইজেরিয়া, উগান্ডা, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, উজবেকিস্তানসহ বিশ্বের ৩১টি দেশের ৮০ জন আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা, বিশ্ব রাজনীতি ও অর্থনীতি বিষয়ে বিশেষজ্ঞ উপস্থিত থাকবেন।
আয়োজকরা জানিয়েছে, রুশ ও বিদেশি বিজ্ঞানী ও বিশেষজ্ঞ সম্প্রদায়ের ১৩০০ জনের বেশি প্রতিনিধি, সরকারি সংস্থা এবং রাজনৈতিক ও ব্যবসায়িক ব্যক্তিত্ব ফোরামে অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে।
প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠানে দুজন রাষ্ট্রপ্রধান উপস্থিত থাকবেন। একজন হলো উগান্ডার বর্তমান প্রেসিডেন্ট ইওওয়েরি কাগুতা মুসেভেনি এবং দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক প্রেসিডেন্ট (১৯৯৯-২০০৮) থাবো এমবেকি।
আসন্ন ফোরামের আরেকটি বিশেষত্ব হলো প্রথমবারের মতো প্রিমাকভ রিডিংয়ে রাশিয়া-আফ্রিকা শীর্ষক অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে।
প্রিমাকভ রিডিংয়ের দুই দিনে আটটি অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে এবং রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ এতে বক্তৃতা করবেন।
রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও গণমাধ্যম বিভাগের পরিচালক মারিয়া জাখারোভা ২২ নভেম্বর এক ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘তিনি পক্ষাপাতহীন বহুমেরুর বৈশ্বিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা সম্পর্কে রাশিয়ার দৃষ্টিভঙ্গি উপস্থাপন করার পরিকল্পনা করেছেন।’
আরও পড়ুন: ৯ম ইন্টারন্যাশনাল সায়েন্টিফিক অ্যান্ড এক্সপার্ট ফোরামে ভাষণ দেবেন রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ফোরামে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে স্বাগত বক্তব্য দেবেন রাশিয়ান ফেডারেশনের প্রেসিডেন্টের সহকারী ও প্রিমাকভ রিডিংস অর্গানাইজিং কমিটির প্রধান ইউরি উশাকভ, রাশিয়ান ফেডারেশনের ফেডারেশন কাউন্সিলের ডেপুটি স্পিকার কনস্ট্যান্টিন কোসাচেভ, প্রিমাকভ ন্যাশনাল রিসার্চ ইনস্টিটিউট অব ওয়ার্ল্ড ইকোনমি অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল রিলেশনসের (আইএমইএমও) প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার ডিনকিন এবং রাশিয়ার চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রেসিডেন্ট সের্গেই ক্যাটারিন।
আলেকজান্ডার ডিনকিন বলেন, ‘গত ৩০ বছরে আমরা যে বিশ্বায়ন দেখেছি তার চালিকাশক্তি শেষ হয়ে গেছে। নতুন বিশ্বায়নের দিকে এগিয়ে যাওয়ার প্রথম পদক্ষেপ ছিল নয়াদিল্লিতে জি২০ বৈঠক। তবে ভবিষ্যৎ কেমন হবে তা বলা মুশকিল। কোভিড-১৯ মহামারির পরিণতি, ইউক্রেন ও মধ্যপ্রাচ্যের সংকট, চীন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা, জ্বালানি ঝুঁকি এবং নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ; যেমন জলবায়ু ও অভিবাসন সংকট প্রভৃতি বিষয়গুলো পরবর্তী বৈশ্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করবে। তাই এগুলোই চলতি বছরের প্রিমাকভ রিডিংয়ের কেন্দ্রবিন্দু।’
আলোচনায় বৈশ্বিক জ্বালানি বাজারের জন্য রাজনৈতিক ঝুঁকি, রাশিয়া এবং মধ্য এশিয়া ও দক্ষিণ ককেশাসের দেশগুলোর সহযোগিতা, চীন-আমেরিকান সম্পর্ক এবং গ্লোবাল সাউথের উন্নয়নের উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করছে।
অংশগ্রহণকারীরা বাল্টিক অঞ্চলে শক্তির ভারসাম্য এবং রাশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকার দেশগুলোর মধ্যে সম্পর্কের বিকাশের সম্ভাবনার বিষয়েও আলোচনা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এই বছর ফোরামটি অনলাইন ও সশরীরে দুইভাবেই অনুষ্ঠিত হচ্ছে। কিছু বিদেশি বক্তা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
আইএমইএমও আরএএস ইউটিউব চ্যানেলে সবাই আলোচনা দেখতে পারবেন।
আরও পড়ুন: সরকারবিরোধী বিক্ষোভের পরিকল্পনা নিয়ে ঢাকায় বিরোধী দলীয় নেতার সঙ্গে বৈঠক করেছেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত: রাশিয়া
রাশিয়ায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে গভর্নর সের্গেইভিচের বৈঠক অনুষ্ঠিত
১ বছর আগে
রাশিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক উপদেষ্টা বোর্ডের সভাপতি হলেন ড. ইউনূস
রাশিয়ান ফেডারেশন সরকারের অধীনস্ত ফাইনান্সিয়াল ইউনিভার্সিটির আন্তর্জাতিক উপদেষ্টা বোর্ডের সভাপতি নিযুক্ত হয়েছেন নোবেল বিজয়ী প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
২০২৩ সালের ২৩ নভেম্বর নোবেল বিজয়ী প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস ও রাশিয়ান ফেডারেশন সরকারের অধীনস্ত ফাইনান্সিয়াল ইউনিভার্সিটির রেক্টর প্রফেসর স্তানিস্লাভ প্রোকোফিয়েভের মধ্যে একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে একটি আন্তর্জাতিক উপদেষ্টা বোর্ড গঠনের সিদ্ধান্ত হয়। এর প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ প্রফেসর ইউনূসকে এই উপদেষ্টা বোর্ডের সভাপতি নিযুক্ত করার প্রস্তাব দেন এবং তিনি তা সানন্দে গ্রহণ করেন।
সোমবার (২৭ নভেম্বর) ইউনূস সেন্টারের নির্বাহী পরিচালক লামিয়া মোরশেদ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানান।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ফাইনান্সিয়াল ইউনিভার্সিটি রাশিয়ার শীর্ষ ৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম। এর একাডেমিক স্টাফের সংখ্যা তিন হাজার।
আরও পড়ুন: ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে 'হাতিয়ার' হিসেবে শ্রম আইনের ব্যবহার বন্ধের আহ্বান অ্যামনেস্টির
গত বছর প্রফেসর ইউনূস এই বিশ্ববিদ্যালয়ের আমন্ত্রণে সেখানকার শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য দেন। তিনি ‘তিন শূন্য’ অর্থাৎ শূন্য নীট কার্বন নিঃস্বরণ, শূন্য সম্পদ কেন্দ্রীকরণ ও শূন্য বেকারত্বের লক্ষ্য অর্জনে সামাজিক ব্যবসা-ভিত্তিক একটি নতুন সভ্যতা নির্মাণে তার চিন্তা-ভাবনা ও রূপকল্প তাদের তুলে ধরেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ফাইনান্সিয়াল ইউনিভার্সিটির এই আন্তর্জাতিক উপদেষ্টা বোর্ড একটি পরামর্শ-কেন্দ্রিক উচ্চশিক্ষামূলক কমিটির মতো কাজ করবে যার মূল লক্ষ্য হবে সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতাগুলো কাজে লাগানো, বিষয়বস্তুভিত্তিক গভীর বিশেষজ্ঞ-বিশ্লেষণ প্রদান করা, কৌশলগত উন্নয়নে বিভিন্ন প্রস্তাবনা তৈরি করা এবং বিশ্ববিদ্যালয়টির জন্য একাডেমিক, গবেষণা ও উদ্ভাবনমূলক কর্মসূচি গ্রহণে সহায়তা করা।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রেসিডেন্ট প্রফেসর মিখাইল এসকিন্দারভ, একাডেমিক অ্যাফেয়ার্স বিষয়ক ভাইস রেক্টর প্রফেসর একাতেরিনা কামেনেভা, সেন্টার ফর ইন্টারন্যাশনাল সায়েন্টিফিক অ্যান্ড এডুকেশনাল প্রজেক্টসের পরিচালক প্রফেসর কিরিল বাবায়েভ, ইন্টারন্যাশনাল রিলেশনস বিভাগের প্রধান মিস লিলিয়া প্রিখোদকো, এবং রাশিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংক, ব্যাংক অব রাশিয়ার সার্ভিস ফর দ্য প্রটেকশন অব ফাইনান্সিয়াল সার্ভিসেস টু কনজ্যুমারস এন্ড মাইনরিটি শেয়ারহোল্ডারস এর প্রধান মিখাইল মামুতা।
আরও পড়ুন: কোনো অপরাধ করিনি, শঙ্কিত কেন হবো: দুদক কার্যালয়ে ড. ইউনূস
অনলাইন প্লাটফর্মে অনুষ্ঠিত এই সভায় ফাইনান্সিয়াল ইউনিভার্সিটির সেন্টার ফর ইন্টারন্যাশনাল সায়েন্টিফিক এন্ড এডুকেশনাল প্রজেক্টসের এবং ইনস্টিটিউট অব ফার ইস্টার্ণ স্টাডিজ অব দ্য রাশিয়ান একাডেমি অব সায়েন্সেস এর পরিচালক ভাষাতত্ত্ব বিজ্ঞানে ডক্টরেট অধ্যাপক কিরিল বাবায়েভকে,আন্তর্জাতিক উপদেষ্টা বোর্ডের সেক্রেটারী পদে নিয়োগ দেওয়া হয়।
এছাড়াও সভায় অংশগ্রহণকারীরা ফাইনান্সিয়াল ইউনিভার্সিটি ও ইউনূস সেন্টারের মধ্যে সম্ভাব্য সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা করেন। ফাইনান্সিয়াল ইউনিভার্সিটির রেক্টর প্রফেসর স্তানিস্লাভ প্রোকোফিয়েভ টেকসই ও দীর্ঘমেয়াদী সামাজিক উন্নয়নের গ্যারান্টি হিসেবে সামাজিক ব্যবসার ধারণার প্রতি তার অকুণ্ঠ সমর্থন ব্যক্ত করেন।
আরও পড়ুন: স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠাই এখন জরুরি কাজ, বিলম্ব গ্রহণযোগ্য নয়: ড. ইউনূস
১ বছর আগে
৯ম ইন্টারন্যাশনাল সায়েন্টিফিক অ্যান্ড এক্সপার্ট ফোরামে ভাষণ দেবেন রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী
২৭ ও ২৮ নভেম্বর মস্কোর ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে ৯ম ইন্টারন্যাশনাল সায়েন্টিফিক অ্যান্ড এক্সপার্ট ফোরাম প্রিমাকভ রিডিংস-এর আয়োজন করবে রাশিয়া।
রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও গণমাধ্যম বিভাগের পরিচালক মারিয়া জাখারোভা বর্তমান পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক এক ব্রিফিংয়ে বলেন, রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ ২৭ নভেম্বর আয়োজনটিতে অংশ নেবেন।
মস্কোর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এ বছর আর্মেনিয়া, আজারবাইজান, বাংলাদেশ, চীন, কিউবা, মিশর, ফিনল্যান্ড, ভারত, ইরান, কাজাখস্তান, নাইজেরিয়া, ওমান, দক্ষিণ আফ্রিকা, সিরিয়া, তুরস্ক, উগান্ডা, যুক্তরাষ্ট্র ও উজবেকিস্তানের প্রতিনিধিরা ফোরামে অংশগ্রহণের ঘোষণা দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ২ দিনব্যাপী রুশ চলচ্চিত্র উৎসব ও আলোকচিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত
মারিয়া জাখারোভা বলেন, ‘পূর্বানুমান ছাড়াই, আমি মূল বক্তব্যের বিষয়ে বলতে পারি: তিনি (সের্গেই ল্যাভরভ) একটি ন্যায্য বহুমেরু বিশ্ব ব্যবস্থার চলমান গঠনের সঙ্গে সম্পর্কিত বৈশ্বিক উন্নয়নের প্রধান প্রবণতা সম্পর্কে রাশিয়ার দৃষ্টিভঙ্গি উপস্থাপন করার পরিকল্পনা করেছেন।’
রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আরও উল্লেখ করেন, ‘আমাদের চোখের সামনে আক্ষরিক অর্থেই ঘটে যাওয়া বৈশ্বিক ভূ-রাজনৈতিক দৃশ্যপটের গঠনমূলক পরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে এই বৈঠকের বিষয়টি বিশেষভাবে প্রাসঙ্গিক। এটির শিরোনাম দেওয়া হয়েছে- পোস্ট-গ্লোবালাইজেশন হরিজনস।’
ফোরামে আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা, বিশ্ব রাজনীতি ও অর্থনীতির নেতৃস্থানীয় রুশ ও বিদেশি বিশেষজ্ঞ, কমিউনিটিভিত্তিক সংস্থার প্রতিনিধি, রাজনীতিবিদ ও কূটনীতিকরা অংশ নেবেন।
আরও পড়ুন: রাশিয়ান মুদ্রায় বাণিজ্যের অনুমতিপ্রাপ্তদের তালিকায় বাংলাদেশ: রুশ দূতাবাস
আলোচনায় আরও থাকবে- বৈশ্বিক জ্বালানি বাজারের জন্য রাজনৈতিক ঝুঁকি, রাশিয়া এবং মধ্য এশিয়া ও দক্ষিণ ককেশাসের রাষ্ট্রগুলোর সহযোগিতা, চীন-আমেরিকান সম্পর্ক এবং গ্লোবাল সাউথের উন্নয়ন।
অংশগ্রহণকারীরা বাল্টিক অঞ্চলে ক্ষমতার ভারসাম্য এবং রাশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্য-আফ্রিকার দেশগুলোর মধ্যে সম্পর্কের উন্নয়নের সম্ভাবনাও জায়গা করে নেবে বলে আশা করছেন অংশগ্রহণকারীরা।
প্রেসিডেন্সিয়াল গ্রান্টস ফাউন্ডেশনের সহায়তায় প্রিমাকভ ন্যাশনাল রিসার্চ ইনস্টিটিউট অব ওয়ার্ল্ড ইকোনমি অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল রিলেশনস, রাশিয়ান একাডেমি অব সায়েন্সেস, প্রিমাকভ সেন্টার ফর ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন, ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার এবং রাশিয়ান ফেডারেশনের চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রি অ্যান্ড কমার্স এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করছে।
ইন্টারন্যাশনাল সায়েন্টিফিক অ্যান্ড এক্সপার্ট ফোরাম প্রিমাকভ রিডিংস বিশ্ব অর্থনীতি, রাজনীতি ও নিরাপত্তার সমস্যা সমাধানের জন্য একটি বার্ষিক আলোচনার প্ল্যাটফর্ম।
আরও পড়ুন: আলোচনার মাধ্যমে ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান করুন: রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে প্রধানমন্ত্রী
১ বছর আগে
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জ্বালানি বর্জ্য ফেরত নেবে রাশিয়া: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের (আরএনপিপি) জ্বালানি বর্জ্য তাদের দেশে ফিরিয়ে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে রাশিয়া।
তিনি বলেন, 'আমরা জ্বালানি বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য রাশিয়ান ফেডারেশনের সঙ্গে একটি চুক্তি সই করেছি। রুশ ফেডারেশন এই জ্বালানি বর্জ্য তাদের দেশে ফিরিয়ে নেবে।
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের (আরএনপিপি) ইউরেনিয়াম জ্বালানি বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর অনুষ্ঠানে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
পাবনার ঈশ্বরদীতে কারখানার সাইটে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে এবং প্রেসিডেন্ট পুতিন মস্কোর ক্রেমলিন থেকে যোগ দেন।
শেখ হাসিনা বলেন, এই পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের নকশা ও নির্মাণকাজ কোনো ধরনের দুর্যোগের সময় যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেদিকে লক্ষ্য রেখেই করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ইউরেনিয়ামের প্রথম চালান গ্রহণ, পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদনকারীদের ক্লাবে বাংলাদেশ
প্রধানমন্ত্রী এ দিনটিকে বাংলাদেশের জনগণের জন্য অত্যন্ত গর্বের ও আনন্দের দিন হিসেবে বর্ণনা করেন।
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকারের নিরলস প্রচেষ্টায় রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র আজ পারমাণবিক জ্বালানি গ্রহণের মাধ্যমে সফল হচ্ছে।’
তিনি বলেন, তার সরকার ‘বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি নিয়ন্ত্রণ আইন’ প্রণয়ন করেছে এবং একটি স্বাধীন পরমাণু শক্তি নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইএইএ) প্রতিষ্ঠা করেছে।
“আইএইএ’র সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ বজায় রেখে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রতিটি স্তরে নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে এই প্রতিষ্ঠান"- তিনি যোগ করেন।
আরএনপিপির প্রথম ইউনিট থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে এবং দ্বিতীয় ইউনিট থেকে ২০২৬ সালের মধ্যে বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রার কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা সেই লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছি। শিগগিরই প্রথম ইউনিট থেকে ১২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে সংযুক্ত করা হবে।’
তিনি বলেন, এই বিদ্যুৎকেন্দ্র পরিচালনার জন্য সরকার পৃথক আইনের মাধ্যমে “নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্ট কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেড” নামে একটি কোম্পানি গঠন করেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পের সূচনা করেছিলেন এবং বিশিষ্ট পরমাণু বিজ্ঞানী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়াকে প্রস্তাবিত রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের পরিচালকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ১৯৯৬ সালে সরকার গঠনের পর ২০২০ সালের মধ্যে ‘সবার জন্য বিদ্যুৎ’প্রদানের লক্ষ্যে ‘বিদ্যুৎ খাতের সংস্কারের বিষয়ে ভিশন স্টেটমেন্ট অ্যান্ড পলিসি স্টেটমেন্ট’ প্রণয়নের অনুমোদন দিয়েছে।
সরকার প্রধান বলেন, ‘১৯৯৬ সালে, আমরা শক্তি নীতিতে পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদনকে অন্তর্ভুক্ত করেছি এবং আমরা রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়ন শুরু করেছি।’
শেখ হাসিনা বলেন, তৎকালীন সরকার ‘বাংলাদেশ নিউক্লিয়ার পাওয়ার অ্যাকশন প্ল্যান-২০০০’ প্রণয়ন করেছিল এবং আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার সহযোগিতা চেয়েছিল।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আইএইএ’র আন্তরিক সমর্থনে একটি সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনাও গ্রহণ করেছি কারণ বিষয়টি আমাদের কাছে সম্পূর্ণ নতুন ছিল। আমাদের সরকারের ৯৬-০১ সালের মেয়াদ জটিল আইন প্রণয়নের আগেই শেষ হয়ে গেছে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ২০০৮ সালের নির্বাচনে জয়ী হয়ে আবার ক্ষমতায় এসে ২০০৯ সালে তার সরকার "ভিশন-২০২১" এর সঙ্গে সঙ্গতি রেখে "পাওয়ার সেক্টর মাস্টার প্ল্যান-২০১০" প্রণয়ন করেছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা আবার রূপপুর প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছি।’ বন্ধু রাষ্ট্র রাশিয়া এটি বাস্তবায়নে এগিয়ে এসেছে। ‘তাছাড়া, আইএইএ শুরু থেকেই বাংলাদেশকে নানাভাবে সাহায্য করে আসছে।’
এর জন্য, তিনি রাশিয়ান ফেডারেশন সরকার, আইএইএ ও সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী এটি সম্ভব করার জন্য রাষ্ট্রপতি পুতিনকে ব্যক্তিগতভাবে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।
তিনি মস্কোতে ২০১৩ সালের জানুয়ারিতে পুতিনের সঙ্গে তার বৈঠক এবং রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের চুক্তি সই অনুষ্ঠানের পাশাপাশি রাশিয়ার রাষ্ট্রপতির বিশেষ আতিথেয়তার কথাও স্মরণ করেন।
২ অক্টোবর প্রকল্পের উদ্বোধনের কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আপনার (ভ্লাদিমির পুতিনের) সার্বিক সহযোগিতায় এই বিদ্যুৎকেন্দ্র সর্বাধুনিক প্রযুক্তিতে সাফল্যের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছেছে।’
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ভারত ও দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন কারণ প্রতিবেশী দেশটি প্রকল্পের শুরু থেকেই বাংলাদেশকে সহযোগিতা করে আসছে।
বিশ্বব্যাপী পারমাণবিক অস্ত্রের সম্পূর্ণ নির্মূল এবং পারমাণবিক অস্ত্র নিষিদ্ধকরণ চুক্তি বাস্তবায়নে দৃঢ় অঙ্গীকার করেন তিনি।
এর আগে অনুষ্ঠানে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমানের কাছে জ্বালানি সরবরাহের সার্টিফিকেট এবং জ্বালানি অ্যাসেম্বলির মডেল হস্তান্তর করেন রোসাটমের মহাপরিচালক অ্যালেক্সি লিখাচেভ।
আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার (আইএইএ) মহাপরিচালক রাফায়েল মারিয়ানো গ্রোসিও ভিয়েনা থেকে ভার্চুয়ালি বক্তব্য রাখেন।
ইয়াফেস ওসমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন রোসাটমের মহাপরিচালক অ্যালেক্সি লিখাচেভ।
অনুষ্ঠানের শুরুতে আরএনপিপির জন্য পারমাণবিক জ্বালানির প্রথম ব্যাচের উৎপাদন ও বিতরণের উপর একটি অডিও-ভিডিও ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়। আরএনপিপির প্রকল্প পরিচালক ও এনপিসিবিএল-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মো. শওকত আকবর আরএনপিপি সম্পর্কে একটি উপস্থাপনা করেন।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সচিব মো. আলী হোসেন।ৎ
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র উভয়েই অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চায়: মোমেন
মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশনের মহাপরিচালকের সঙ্গে বাংলাদেশের হাইকমিশনারের বিদায়ী সাক্ষাৎ
১ বছর আগে
ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনে এজেন্ডাগুলোর অগ্রগতির আশা করছে রাশিয়া ও চীন
চলতি সপ্তাহে দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠেয় ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনে উন্নয়নশীল বিশ্বে আরও রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্র লাভের দিকে নজর দেবে রাশিয়া ও চীন। এ সময় পশ্চিম-বিরোধী যৌথ প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে সৌদি আরবকে কাছে টানতে আনুষ্ঠানিকভাবে চূড়ান্ত পদক্ষেপ নিতে পারে তারা।
ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন ও দক্ষিণ আফ্রিকার ব্রিকস অর্থনৈতিক ব্লকের নেতারা জোহানেসবার্গের স্যান্ডটনে তিন দিনের বৈঠক করবেন। গত দেড় দশকে চীন এই ব্লকে কূটনৈতিক মূলধন বিনিয়োগ করেছে এবং এটা নিয়ে তাদের উচ্চাকাক্ষা রয়েছে তার প্রমাণ ওই বৈঠকে চীনের প্রধানমন্ত্রী শি জিনপিংয়ের উপস্থিতি।
ইউক্রেনের যুদ্ধের জন্য রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি রয়েছে। একারণে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের ক্ষেত্রে জটিলতা থাকায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হবেন তিনি। এ ছাড়া ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা উপস্থিত থাকবেন।
বুধবার প্রধান শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। এ ছাড়া মঙ্গলবার ও বৃহস্পতিবার সাইডলাইন বৈঠকগুলো অনুষ্ঠিত হবে। বৈশ্বিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে পশ্চিমা আধিপত্য নিয়ে ক্রমবর্ধমান অসন্তোষের মধ্যেই দক্ষিণাঞ্চলীয় দেশগুলোর পারস্পরিক সহযোগিতা আরও বাড়াতে সাধারণ আহ্বান জানানো হবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে রাশিয়া ও চীন সবেচেয়ে বেশি আগ্রহী। দক্ষিণ আফ্রিকায় পুতিনের প্রতিনিধিত্ব করবেন রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ। এ ছাড়া আরও কয়েক ডজন উন্নয়নশীল দেশের নেতা বা প্রতিনিধিরা সাইডলাই বৈঠকে যোগ দেবেন।
ব্রিকস ব্লকের সম্ভাব্য সম্প্রসারণসহ একটি সুনির্দিষ্ট নীতির বিষয়ে আলোচনা করা হবে। ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত ও চীনের উদীয়মান বাজারভিত্তিক দেশগুলোর সমন্বয়ে ২০০৯ সালে গঠিত হয়েছিল ব্রিকস। পরের বছর সংস্থাটিতে দক্ষিণ আফ্রিকাকে যুক্ত করেছিল।
দক্ষিণ আফ্রিকার কর্মকর্তারা বলছেন, আরেকটি সম্ভাব্য সম্প্রসারণে ব্রিকসে যোগদানের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে আবেদনকারী ২০টিরও বেশি দেশের মধ্যে একটি হলো সৌদি আরব। রাশিয়া ও চীনের সঙ্গে একটি অর্থনৈতিক ব্লকে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম তেল উত্পাদককে অন্তর্ভুক্ত করার যে কোনো পদক্ষেপ স্পষ্টতই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং তার মিত্রদের মনোযোগ আকর্ষণ করবে। অতিরিক্ত শীতল ভূ-রাজনৈতিক পরিবেশ এবং পারস্য উপসাগরে কিছুটা প্রভাব বিস্তারের জন্য বেইজিংয়ের সাম্প্রতিক পদক্ষেপ এরই মধ্যে অনেকে দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।
আরও পড়ুন: দ. আফ্রিকায় ব্রিকস সম্মেলনে যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণ
সৌদি আরবে ভারতের সাবেক রাষ্ট্রদূত তালমিজ আহমেদ বলেছেন, ‘যদি সৌদি আরব ব্রিকসে প্রবেশ করে তবে এটি এই গ্রুপিংকে অসাধারণ গুরুত্ব দেবে।’
বিশ্লেষকরা বলছেন, ইতোমধ্যেই উন্নয়নশীল বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির একটি বড় অংশ নিয়ে গঠিত ব্রিকস সম্প্রসারণের নীতিতে একটি চুক্তিও জি-৭ এর ভারসাম্য বজায় রাখতে ব্লকের জন্য রাশিয়ান ও চীনা দৃষ্টিভঙ্গির জন্য একটি নৈতিক বিজয়।
ইউক্রেনের যুদ্ধের কারণে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চীনের অর্থনৈতিক দ্বন্দ্ব এবং পশ্চিমের সঙ্গে রাশিয়ার স্নায়ুযুদ্ধের মতো স্থবিরতার মধ্যে উভয়ই এক ধরনের জোটকে শক্তিশালী করার জন্য আরও দেশকে যুক্ত করার পক্ষে -- এমনকি এটি শুধুমাত্র প্রতীকী হলেও৷
আর্জেন্টিনা থেকে শুরু করে আলজেরিয়া, মিশর, ইরান, ইন্দোনেশিয়া ও সংযুক্ত আরব আমিরাত পর্যন্ত সব দেশই আনুষ্ঠানিকভাবে সৌদির সঙ্গে যোগদানের জন্য আবেদন করেছে এবং সম্ভাব্য নতুন সদস্যও হতে পারে।
জোহানেসবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজ অব বিজনেস অ্যান্ড ইকোনমিকসের অধ্যাপক অ্যালেক্সিস হাবিয়ারেমি বলেছেন, ‘যদি তাদের মধ্যে কয়েকটি দেশকে নেওয়া হয়, তাহলে এটি একটি বৃহত্তর অর্থনৈতিক ব্লকে পরিণত হবে এবং সেখান থেকে শক্তির উৎস তৈরি হবে।’
যদিও ব্রাজিল, ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকা সম্প্রসারণে কম আগ্রহী এবং বর্তমানে একটি একচেটিয়া উন্নয়নশীল বিশ্ব সংগঠনে তাদের প্রভাব হ্রাস পেয়েছে। যদিও কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি এবং পাঁচটি দেশকে প্রথমে নতুন সদস্য হওয়ার যে মানদণ্ড পূরণ করতে হবে তাতে একমত হতে হবে। বেইজিংয়ের চাপের মধ্যে এটি জোহানেসবার্গের এজেন্ডায় রয়েছে।
দক্ষিণ আফ্রিকায় চীনের রাষ্ট্রদূত চেন জিয়াওডং বলেছেন, ‘ব্রিকস সম্প্রসারণ এই মুহূর্তে শীর্ষ আলোচিত বিষয়ে হয়ে দাঁড়িয়েছে৷’ সম্প্রসারণই ব্রিকসের মূল কার্যক্রম বাড়ানোর চাবিকাঠি। আমি বিশ্বাস করি আসন্ন এই বছরের শীর্ষ সম্মেলন একটি নতুন ও দৃঢ় পদক্ষেপের সাক্ষী হবে।’
ব্রিকস থেকে উদ্ভূত যে কোনো রুশ ও চীনা প্রভাবকে বন্ধ করার প্রয়াসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দক্ষিণ আফ্রিকা, ব্রাজিল ও ভারতের সঙ্গে তার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের উপর জোর দিয়েছে। শীর্ষ সম্মেলনের আগেই স্টেট ডিপার্টমেন্ট বলেছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ‘ব্রিকস অ্যাসোসিয়েশনের অনেক নেতৃস্থানীয় সদস্যদের সঙ্গে গভীরভাবে জড়িত আছে।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে ব্রিকস জোটে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত চীন: মুখপাত্র
ইউরোপীয় ইউনিয়নও জোহানেসবার্গের ঘটনাগুলো ঘনিষ্ঠভাবে অনুসরণ করবে, তবে ইউক্রেনের যুদ্ধের উপর প্রায় একমাত্র মনোযোগ এবং উন্নয়নশীল বিশ্ব থেকে রাশিয়ার আগ্রাসনের জন্য ঐক্যবদ্ধ নিন্দা জানাতে ব্লকের অব্যাহত প্রচেষ্টা এখনও পর্যন্ত অনেকাংশে ব্যর্থ হয়েছে।
শি, লুলা, মোদি ও রামাফোসা একত্রিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ইউরোপীয় কমিশনের মুখপাত্র পিটার স্ট্যানো বলেছেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন তাদের এই মুহূর্তটি আন্তর্জাতিক আইন বজায় রাখার জন্য ব্যবহার করার আহ্বান জানিয়েছে।
স্ট্যানো বলেছেন, ‘আমরা পুতিনকে তার অবৈধ, অস্থিতিশীল আচরণ বন্ধ করতে তাদের ভূমিকার জন্য অপেক্ষা করছি।’
মূল শীর্ষ সম্মেলনের আগে জুন মাসে কেপটাউনে ব্রিকস পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকে যদি কোনো সমাধান হয়ে থাকে, তাহলে যুদ্ধ নিয়ে রাশিয়া বা পুতিনের প্রকাশ্য সমালোচনা হবে না। স্যান্ডটন কনভেনশন সেন্টারের বাইরে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল রাইটস গ্রুপ এবং ইউক্রেনীয় অ্যাসোসিয়েশন অব সাউথ আফ্রিকার ঘোষিত প্রতিবাদ সম্ভবত একমাত্র নিন্দা জানাবে।
যদ আগের বৈঠকে কোনো সমাধান হয়, এই শীর্ষ সম্মেলন থেকে কিছু সুবিধা পেতে পারে রাশিয়া।
ইউরোপ, রাশিয়া ও ইউরেশিয়া প্রোগ্রামে ওয়াশিংটনভিত্তিক সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের সিনিয়র ফেলো মারিয়া স্নেগোভায়া বলেছেন, গত মাসে ইউক্রেনের বাইরে শস্য পাঠানোর অনুমতি দেওয়ার একটি চুক্তি স্থগিত করার পরে পুতিন উন্নয়নশীল দেশগুলোতে আরও বিনামূল্যে রাশিয়ান শস্যের চালান ঘোষণা করতে ব্রিকস সমাবেশ ব্যবহার করতে পারেন। তিনি ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি আফ্রিকান দেশের জন্য করেছেন।
স্নেগোভায়া বলেন, ইউক্রেনকে প্রক্রিয়া থেকে বাদ দেওয়ার সময় এটি পুতিনকে উন্নয়নশীল বিশ্বের কাছে ‘সদিচ্ছা’ প্রদর্শনের অনুমতি দেবে।
ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন,পুতিন একটি ভিডিও লিঙ্কে উপস্থিত হওয়া সত্ত্বেও শীর্ষ সম্মেলনে ‘সম্পূর্ণ অংশগ্রহণ’ করবেন এবং একটি বক্তব্য দেবেন।
আরও পড়ুন: ব্রিকসে বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্তি নির্ভর করছে সদস্যদের উপর: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
জোহানেসবার্গে তিন দিন ধরে নিয়মিতভাবে যা সম্প্রচারিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে তা হলো বর্তমান বৈশ্বিক আর্থিক ব্যবস্থার উপর উন্নয়নশীল বিশ্ব আঁকড়ে ধরা। শীর্ষ সম্মেলনের আগের কয়েক মাস ও সপ্তাহ ধরেই আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের জন্য বিশ্বের মুদ্রা হিসেবে মার্কিন ডলারের আধিপত্যের সমালোচনা চলছে।
পাঁচটি দেশের ভিন্ন ভিন্ন অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক অগ্রাধিকারের কারণে এবং চীন ও ভারতের মধ্যে উত্তেজনা ও প্রতিদ্বন্দ্বিতার কারণে নীতি বাস্তবায়নে ব্লকের যে অসুবিধা রয়েছে তা নির্দেশ করতে ব্রিকস বিশেষজ্ঞরা সাধারণত ঐক্যবদ্ধ।
চায়না গ্লোবাল সাউথ প্রজেক্টের বিশ্লেষক কোবাস ভ্যান স্টাডেন বলেন, স্থানীয় মুদ্রায় আরও বেশি বাণিজ্যের দিকে মনোনিবেশ করা এমন একটি বিষয় যা তারা সকলেই পিছনে ফেলতে পারে।
তিনি দেখেছেন যে ব্রিকস বিশ্বের কিছু অংশে আঞ্চলিক বাণিজ্যে ডলারের থেকে দূরে সরে যাচ্ছে, ঠিক যেভাবে তিনি এই শীর্ষ সম্মেলনকে সামগ্রিকভাবে দেখেন।
ভ্যান স্ট্যাডেন বলেন, ‘এগুলোর কোনোটিই বড় অস্ত্র নয় যা ডলারকে মোকাবিলা করতে চলেছে। এটা নাটক নয়।’ ‘এটি একটি বড় তরবারির ক্ষত নয়, এটি অনেকগুলো কাগজ কাটার মতো। এটি ডলারকে দমাবে না, তবে এটি অবশ্যই বিশ্বকে আরও জটিল করে তুলছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘তাদের ডলারকে হারানোর দরকার নেই এবং তাদের জি-৭ কে পরাজিত করার দরকার নেই। তারা বিশেষভাবে যা করতে চায় তা হলো এর একটি বিকল্প উত্থাপন। এটা অনেক দীর্ঘ কাজ।’
আরও পড়ুন: ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলন: সাইডলাইন বৈঠকে বসতে পারেন শেখ হাসিনা-মোদি
১ বছর আগে