পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন
আবুল মুহিত ছিলেন আলোকিত সফল মানুষ: তাজুল ইসলাম
স্থানীয় সরকার, পল্লি উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো.তাজুল ইসলাম বলেছেন, প্রয়াত আবুল মুহিত ছিলেন আলোকিত সফল মানুষ।
শনিবার সিলেট নগরীর ধোপাদিঘীর পারস্হ হাফিজ কমপ্লেক্সে সাবেক অর্থমন্ত্রী সদ্য প্রয়াত আবুল মাল আবদুল মুহিতের চেহলাম অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এই কথা বলেন।
তিনি বলেন, তিনি বিশ্ব মানবতার জন্য কাজ করে গেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একজন বিশ্বস্ত ও ঘনিষ্ঠ সঙ্গী হিসেবে তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ দরিদ্র একটি দেশ থেকে আজ বিশ্বের দরবারে মধ্যম আয়ের দেশে রূপান্তরিত হয়েছে। বাংলাদেশ অর্থনৈতিক উন্নয়নে আজ বহুদূর এগিয়ে গেছে। সর্বক্ষেত্রে একজন সফল মানুষ হিসেবে দেশের উন্নয়নে তার অবদান জাতি শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ রাখবে।
আরও পড়ুন: সুষ্ঠু নির্বাচন করতে সহযোগিতা করবে সরকার: তাজুল ইসলাম
এসময় বড় ভাই এএমএ মুহিতের জন্য সকলের কাছে দোয়া চেয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন বলেন, মুহিত ভাই ছিলেন একজন জিনিয়াস টেলেন্টেড (মেধাবী প্রতিভাবান) ব্যক্তি। তার চিন্তা ও চেতনায় সবসময় ছিল মানুষের কল্যাণ, দেশের টেকসই উন্নয়ন। তার সে স্বপ্ন বাস্তবায়নে জাতির পিতার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে সুযোগ করে দিয়েছেন, এজন্য তিনি পরিবারের পক্ষ থেকে শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।
অনুষ্ঠানে প্রশাসনের পদস্থ কর্মকর্তা, রাজনৈতিক নেতা-কর্মী, পেশাজীবী, জনপ্রতিনিধি, ব্যবসায়ী ও পরিবারের সদস্যবৃন্দসহ সমাজের সকল শ্রেণি পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন।
আরও পড়ুন: নিজ এলাকার মানুষের পাশে সাবেক প্রতিমন্ত্রী তাজুল ইসলাম
এর আগে শুক্রবার বিকালে সিলেট জেলা পরিষদ মিলনায়তনে সম্মিলিত নাগরিক উদ্যোগ সিলেটের আয়োজনে স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়।
এতে মন্ত্রীসভার অন্যান্য সদস্যরা, জাতীয় সংসদ সদস্যসহ সিলেটের সকল প্রগতিশীল রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, পেশাজীবীসহ সকল শ্রেণির মানুষ তার কর্মময় জীবনের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
২ বছর আগে
মিয়ানমার সীমান্তে অস্ত্র-মানবপাচার রোধে প্রয়োজনে গুলি চালানো হবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন বলেছেন, ‘মিয়ানমার থেকে অবৈধ অস্ত্র, মাদক, মানবপাচার ও চোরাচালান রোধে প্রয়োজনে সীমান্তে গুলি চালানো হবে।’
তিনি বলেন, ‘মিয়ানমার সীমান্ত দিয়ে সকল ধরনের চোরাচালান বন্ধে আরও কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে কথা হয়েছে।’
মঙ্গলবার সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভারত সরকারের উপহারের দুটি অ্যাম্বুলেন্স হস্তান্তর অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: মুহিবুল্লাহ হত্যায় জড়িত কাউকে ছাড় দেয়া হবে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘মায়ানমার ও বাংলাদেশ সীমান্তে গুলি না চালানোর সিদ্ধান্ত হয়েছিল। কিন্তু অবৈধ কর্মকাণ্ড বন্ধে এখন থেকে গুলি চালানো হবে। তাহলেই মানবপাচার, মাদক ও অস্ত্র চোরাচালান বন্ধ হবে। তবে এবিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত নেবে।’
ড. একে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ২০১০ সালে বিমানবন্দর-বাদাঘাট বাইপাস সড়ক উন্নয়নের প্রকল্প গ্রহণ করেছিলেন। কিন্তু এখনো শেষ হয়নি। ১২ বছরে ১২ কিলোমিটার রাস্তার কাজ হয়নি। এটা সংশ্লিষ্টদের জন্য লজ্জার। এই ব্যর্থতার জন্য আমাদের জন্য দুঃখের, যারা এই রাস্তা ব্যবহার করছেন তাদের জন্যও দুঃখের। আর যারা এই কাজের দায়িত্বে (সড়ক ও জনপথ কর্মকর্তারা) ছিলেন তাদের জন্য লজ্জার। লজ্জায় তাদের চাকরি ছেড়ে দেয়া উচিত।’
উন্নয়ন কাজে দীর্ঘসূত্রিতা ও সংশ্লিষ্টদের গাফিলতিতে এবং সিলেটে বিশেষায়িত মা ও শিশু হাসপাতাল ২০০ বেডে উন্নিত না করে শত কোটি টাকা ফেরত দেয়ায় ক্ষোভ ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর নতুন বই ‘শেখ হাসিনা: বিমুগ্ধ বিস্ময়’
তিনি বলেন, ‘প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালকে ২০০ বেডের বিশেষায়িত মা ও শিশু হাসপাতাল করার জন্য প্রকল্প গ্রহণ করেছিলেন। এজন্য ১১০ কোটি টাকাও বরাদ্দ দিয়েছিলেন। কিন্তু শামসুদ্দিন হাসপাতালকে বিশেষায়িত হাসপাতালে উন্নিত করা হয়নি। ১শ’ শয্যা থেকে দুইশ’ শয্যায় উন্নিত করা হয়নি।’
তাছাড়া ২শ’ শয্যার হাসপাতাল না করে ১শ’ শয্যা সংস্কার করে বরাদ্দ থেকে ১০ কোটি টাকা ব্যয় করা হয়। কাজ না করে ফেরত দেয়া হয় ১শ’ কোটি টাকা। সংশ্লিষ্টরা সিলেটের স্বাস্থ্যসেবার জন্য বরাদ্দকৃত টাকা নষ্ট করেছেন বলে মনে করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, ‘২শ’ শয্যার মা ও শিশু হাসপাতালের জন্য ডিজাইন রেডি ছিল, অর্থ বরাদ্দও ছিল। কিন্তু শুধুমাত্র সংশ্লিষ্টদের গাফিলতির কারণে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হয়নি। কষ্ট করে টাকা আনার পর কাজ না হওয়া খুবই দুঃখজনক। এর জন্য দায়ীদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেয়া উচিত।’
আরও পড়ুন: ১২ বাংলাদেশি মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে পৌঁছেছেন: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশনার বিক্রম দ্বোরাইস্বামীসহ স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা। এছাড়া সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদ ও জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরীসহ দলীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
৩ বছর আগে
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর নতুন বই ‘জাতির উদ্দেশে ভাষণ: শেখ হাসিনা’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন লেখা নতুন বই ‘জাতির উদ্দেশে ভাষণ: শেখ হাসিনা’ তুলে দিয়েছেন। জাতিসংঘের ৭৬তম সাধারণ অধিবেশনে যোগদান উপলক্ষে যুক্তরাষ্ট্র সফররত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে নিজে বইটি তুলে দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের লোটে নিউইয়র্ক প্যালেস হোটেলে এসময় প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ-প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর নতুন বই ‘শেখ হাসিনা: বিমুগ্ধ বিস্ময়’
‘অন্য প্রকাশ’ থেকে প্রকাশিত বিশ্লেষণধর্মী এই বইয়ে জাতির উদ্দেশে দেয়া শেখ হাসিনার ৩২টি ভাষণের পরিপ্রেক্ষিত বিশ্লেষণ এবং মূল ভাষণ তুলে ধরা হয়েছে। এতে গত চার দশকের বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের একটি সুস্পষ্ট চিত্র প্রতিফলিত হয়েছে। এসব ভাষণের বিশ্লেষণে রয়েছে বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের কাঙ্খিত অভিযাত্রার গল্প, স্বপ্ন ও দর্শন।
এ গ্রন্থ সম্পর্কে ড. মোমেন বলেন, জাতির উদ্দেশে দেয়া বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার প্রতিটি ভাষণে তার রাজনৈতিক চিন্তা-দর্শন, দেশ ও জাতিকে নিয়ে তার পরিকল্পনা এবং বাংলাদেশকে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তোলার দৃঢ় প্রত্যয় সুস্পষ্টভাবে প্রতিফলিত হয়েছে। এই ভাষণগুলো দেশের অনাগত প্রজন্মেরও জন্যও দিক নির্দেশনা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অপরিসীম ত্যাগ ও কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে বহু বছরের সামরিক ও স্বৈরাচারী দুঃশাসনে ক্ষতিগ্রস্ত বাংলাদেশের প্রতিটি ক্ষেত্রকে পুননির্মাণের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলায় রূপান্তরের কাজ বাস্তবায়ন করে চলেছেন।
আরও পড়ুন: পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বই ‘বাংলাদেশ-একুশ শতকের পররাষ্ট্রনীতি: উন্নয়ন ও নেতৃত্ব’ প্রকাশিত
ড. মোমেনের গ্রন্থিত ও সম্পাদিত বইয়ের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ‘ শেখ হাসিনা: বিমুগ্ধ বিস্ময়’, ‘বাংলাদেশ- একুশ শতকের পররাষ্ট্রনীতি: উন্নয়ন ও নেতৃত্ব’, ‘বাংলাদেশ: রোড টু ডেভেলপমেন্ট’, ‘বাংলাদেশ তলাবিহীন ঝুড়ি নয়’, ‘বাংলাদেশ মার্চিং ফরোয়ার্ড’, ‘বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ’, ‘বাংলাদেশ: উন্নয়ন ও ভবিষ্যত সম্ভাবনা’, ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতা: প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি’, ‘বঙ্গবন্ধুর ভাষণ সমগ্র ১৯৫৫-১৯৭৫’, ‘বঙ্গবন্ধু থেকে শেখ হাসিনা: বাংলাদেশের উন্নয়ন ভাবনা ও কূটনীতি’, ‘টেকসই উন্নয়নের পথে অভিযাত্রা: বঙ্গবন্ধু থেকে শেখ হাসিনা’, ‘সাউথ সাউথ কো-অপারেশন: ফাইন্যান্সিং এসডিজি’, ‘বাংলাদেশ কান্ট্রি অব এমপাওয়ারিং পিপল’, এবং ‘বাংলাদেশ: ফোরটি ইয়ারস ইন দ্যা ইউএন’। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক নানা গবেষণাগ্রন্থে তাঁর প্রকাশিত গবেষণা প্রবন্ধের সংখ্যা আড়াইশ’রও বেশি।
আরও পড়ুন: ১২ বাংলাদেশি মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে পৌঁছেছেন: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
৩ বছর আগে
প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর নতুন বই ‘শেখ হাসিনা: বিমুগ্ধ বিস্ময়’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৫তম জন্মদিন উপলক্ষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের নতুন বই ‘শেখ হাসিনা: বিমুগ্ধ বিস্ময়’ প্রকাশিত হয়েছে। জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে যোগদানের জন্য যুক্তরাষ্ট্র সফররত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বইটি তুলে দেন।
মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নিউইয়র্কের লোটে নিউইয়র্ক প্যালেস হোটেলে বইটি হস্তান্তরের সময় প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বই ‘বাংলাদেশ-একুশ শতকের পররাষ্ট্রনীতি: উন্নয়ন ও নেতৃত্ব’ প্রকাশিত
ড. মোমেন সম্পাদিত এ গ্রন্থে রাজনীতিবিদ, মন্ত্রী, সংসদ সদস্য, উচ্চ পদস্থ সরকারি কর্মকর্তা, বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, প্রখ্যাত সাংবাদিক ও সাহিত্যিকসহ নানা শ্রেণি-পেশার গুণী ও বিদগ্ধজনের ৭৫টি লেখা স্থান পেয়েছে। এতে শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত জীবন, রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা ও বহুমাতৃক নেতৃত্বের নানা দিক তুলে ধরা হয়েছে। চন্দ্রাবতী একাডেমি প্রকাশিত এ বইয়ে প্রধানমন্ত্রী এক উজ্জ্বল, ত্যাগী, দূরদর্শী ও সৃষ্টিশীল নেতৃত্বের প্রতিভূ হিসেবে চিত্রিত হয়েছেন।
ড. মোমেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার আগে ছয় বছর জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন। পেশাগত প্রয়োজনে তিনি বিশ্বের বিভিন্ন দেশ সফর করেছেন এবং বিচিত্র মানুষের সংস্পর্শে আসার সুযোগ পেয়েছেন।
এই বইয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী তার লেখায় ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার আলোকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সাদামাটা জীবনের একটা তুলনামূলক চিত্র অঙ্কন করেছেন।
আরও পড়ুন: জাতিসংঘের ৭৬তম অধিবেশনের উদ্বোধনী পর্বে প্রধানমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘শেখ হাসিনার সংগ্রামী জীবন ও উন্নয়নের দৃষ্টিভঙ্গি দেশবাসীর মধ্যে ছড়িয়ে দেয়ার উদ্দেশে বইটি প্রকাশিত হয়েছে। শেখ হাসিনা কথা নয়, কাজে বিশ্বাসী। লক্ষ্য অর্জনে কখনও পিছপা হননি তিনি। তার অক্লান্ত প্রয়াসে বাংলাদেশ আজ বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। এদেশের উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি আজ বিশ্ববাসীর কাছে এক বিস্ময়।’
ড. মোমেন বলেন, ‘২০২১ সালে ‘বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী’ ও ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী’ আমরা এক সাথে উদযাপন করছি। একই বছরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৫তম জন্মদিন। তিনটি বিষয়ই বাঙালি ও বাংলাদেশের জন্য গৌরব আর অহংকারের।’
আরও পড়ুন: জাতিসংঘ অধিবেশনে যোগ দিতে নিউইয়র্কে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী
ড. মোমেন গ্রন্থিত ও সম্পাদিত বইয়ের মধ্যে রয়েছে- ‘জাতির উদ্যেশ্যে ভাষণ: শেখ হাসিনা’, ‘বাংলাদেশ- একুশ শতকের পররাষ্ট্রনীতি: উন্নয়ন ও নেতৃত্ব’, ‘বাংলাদেশ: রোড টু ডেভেলপমেন্ট’, ‘বাংলাদেশ তলাবিহীন ঝুড়ি নয়’, ‘বাংলাদেশ মার্চিং ফরোয়ার্ড’, ‘বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ’, ‘বাংলাদেশ: উন্নয়ন ও ভবিষ্যত সম্ভাবনা’, ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতা: প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি’, ‘বঙ্গবন্ধুর ভাষণ সমগ্র ১৯৫৫-১৯৭৫’, ‘বঙ্গবন্ধু থেকে শেখ হাসিনা: বাংলাদেশের উন্নয়ন ভাবনা ও কূটনীতি’, ‘টেকসই উন্নয়নের পথে অভিযাত্রা: বঙ্গবন্ধু থেকে শেখ হাসিনা’, ‘সাউথ সাউথ কো-অপারেশন: ফাইন্যান্সিং এসডিজি’, ‘বাংলাদেশ কান্ট্রি অব এমপাওয়ারিং পিপল’, ‘বাংলাদেশ: ফোরটি ইয়ারস ইন দ্যা ইউএন’। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক নানা গবেষণাগ্রন্থে তার প্রকাশিত গবেষণা প্রবন্ধের সংখ্যা আড়াইশ’রও বেশি।
৩ বছর আগে
দেশে টিকার কোন সংকট নেই: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
দেশে টিকার কোন সংকট নেই উল্লেখ করে সবাই টিকা পাবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন।
তিনি বলেন, ‘দেশের সকল নাগরিকই কোভিড-১৯ টিকা পাবেন। এনিয়ে দুশ্চিন্তার কোন কারণ নেই। সরকারের হাতেও পর্যাপ্ত পরিমাণ টিকার মজুদ রয়েছে।’
শনিবার সকাল ৯ টায় নগরের রেড ক্রিসেন্ট মাতৃমঙ্গল হাসপাতালে সিলেট সিটি করপোরেশন এলাকার ‘জাতীয় কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্পেইনে’ ভার্চুয়ালি যুক্ত থেকে উদ্বোধনকালে তিনি এসব বলেন।
আরও পড়ুন: সংকট মোকাবিলায় আসিয়ান নেতাদের সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণের আহবান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
আব্দুল মোমেন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ করোনা পরিস্থিতি দৃঢ়ভাবে মোকাবিলা করছে। করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে সরকার বিভিন্ন দেশ থেকে টিকার ব্যবস্থা করছে। সামনে আরও প্রচুর টিকা দেশে আসবে।
‘জাতীয় কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্পেইন’কে যুগান্তকারী পদক্ষেপ উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে সবাইকে টিকা নিতে হবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে মেয়র আরিফুল হক তিনি বলেন, সরকার নির্দেশিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে সবাই কেন্দ্রে টিকা গ্রহণ করবেন। টিকা নিতে এসে যেন অসচেতনতাবসত করোনা সংক্রমণের কবলে কেউ না পড়েন।
আরও পড়ুন: আগামী সপ্তাহে সিনোফার্মের ৩৪ লাখ ডোজ টিকা আসছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
সিসিকের ২৭টি ওয়ার্ডে ৮১টি কেন্দ্রে টিকা কার্যক্রম চলছে। প্রথম দিন প্রতিটি কেন্দ্রে ৩শ নাগরিকে টিকা দেয়া হবে । ৮ ও ৯ আগস্ট থেকে প্রতিদিন প্রতিটি কেন্দ্রে ২শ জন নাগরিককে টিকা দেয়া হবে। সিসিকের এই কার্যক্রমে ১৬২ জন কর্মী কাজ করছেন।
৩ বছর আগে
টিকা নিয়ে ফেসবুকে ‘সুখবর’ দিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
কয়েকটি দেশ ও সংস্থা থেকে শিগগিরই বিপুল পরিমাণ টিকার চালান দেশে আসবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন।
মঙ্গলবার এক ফেসবুক পোস্টে তিনি এ কথা জানান।
'সুখবর' শিরোনামে মন্ত্রী তার ফেসবুক টাইমলাইনে লিখেন, আমাদের জেনেভা মিশন জানিয়েছে যে, কোভ্যাক্সের মাধ্যমে আরও তিন মিলিয়ন (ইতোমধ্যে ২৫ লাখ এসেছে।) মডার্নার ভ্যাকসিন পাচ্ছি, শিপমেন্ট রেডি আছে।
আরও পড়ুন: চলতি মাসে কোভ্যাক্সের ৩৫ লাখ টিকা পাবে বাংলাদেশ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
তিনি বলেন, জাপানিরা ২৫ লাখের পরিবর্তে ২৯ লাখ এস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন কোভ্যাক্সের আওতায় দেবে।
মোমেন বলেন, চায়নিজ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে আমার ১৫ তারিখে তাসখন্দে সাক্ষাৎ হবে এবং চায়নিজ সরকার আরও এক মিলিয়ন সিনোফার্ম ভ্যাকসিন উপহার হিসেবে দেবে।
মন্ত্রী বলেন, ইইউ থেকে দশ লাখ এবং কোভ্যাক্সের অধীনে আরও ছয় লাখ ২০ হাজার টিকা আগস্টে আসবে।
এর আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, আমরা এখন ভালো অবস্থানে আছি। একটি লাইনআপ তৈরি করেছি। আমি মনে করি, এখন আর টিকার সংকট থাকবে না এবং কোনো বাধা ছাড়াই টিকা দেয়ার কর্মসূচি চলবে।
মোমেন বলেন, চুক্তি অনুযায়ী আগামী তিন মাসের মধ্যে চীনের সিনোফার্ম থেকে কেনা টিকার ডোজ দেশে আনার পরিকল্পনা চূড়ান্ত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ আরও টিকা পাওয়ার ইঙ্গিত পেয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
‘এই তিন মাসের পর চুক্তি সম্প্রসারণ নিয়ে আলোচনা চলছে এবং চীনা পক্ষ জানতে চেয়ে বাংলাদেশের কতটুকু লাগবে। আমরা চুক্তিটি প্রসারিত করব। পরিমাণ সম্পর্কে তাদের জানাতে তারা একটি তারিখ দিয়েছে,’ বলেন মন্ত্রী।
৩ বছর আগে
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গরিবের বন্ধু: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে গরিবের বন্ধু উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন বলেছেন, তিনি এ বছর সামাজিক নিরাপত্তা খাতে ১ লাখ ৭ হাজার ৬১৪ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছেন যা বাজেটের প্রায় ১৭.৪ শতাংশ।
গতকাল পররাষ্ট্রমন্ত্রী স্বেচ্ছাধীন তহবিল হতে তার নির্বাচনী এলাকা সিলেটে উপহার সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন।
এসময় ১০ হাজার টাকা করে ৩৫ জনের মাঝে ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা বিতরণ করা হয়। ইতোপূর্বে এ বছর ৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া, গত ২ বছরে ২০ লাখ টাকা এ তহবিল থেকে বিতরণ করা হয়।
আরও পড়ুন: ইসরায়েল সম্পর্কে বাংলাদেশের নীতির কোনো পরিবর্তন হয়নি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ড. মোমেন বলেন, সিলেটে জমিহীন, গৃহহীনদের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে বাড়ি বিতরণ করা হয়েছে। যারা এখনও পাননি তাদেরকে পর্যায়ক্রমে দেয়া হবে।
তিনি বলেন, বয়স্কভাতা, বিধবাভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা এবং ভিজিএফ কার্ডের সুবিধা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সময় শুরু হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধাদের মাসিক সম্মানী ৫ হাজার টাকা দিয়ে শুরু হলেও প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে এখন প্রত্যেক মুক্তিযোদ্ধাকে প্রতি মাসে ২০ হাজার করে টাকা দেয়া হবে।
আরও পড়ুন: টিকা পেতে কয়েকটি দেশের সাথে আলোচনা চলছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ড. মোমেন বলেন, করোনার মধ্যেও আমাদের স্থানীয় বাজার যথেষ্ট চাঙ্গা রয়েছে। প্রতিবেশী দেশের তুলনায় অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। এভাবে এগিয়ে গেলে আমরা ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’, - একটি উন্নত, সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে পারব।
আরও পড়ুন: রাশিয়া থেকে ৫ মিলিয়ন টিকা কিনতে আগ্রহী বাংলাদেশ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জনগণ আওয়ামী লীগ সরকারকে তৃতীয় বার নির্বাচিত করায় আমরা বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালন করতে পেরেছি। এছাড়া উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা অর্জন করতে পেরেছি।
৩ বছর আগে
রাশিয়া থেকে ৫ মিলিয়ন টিকা কিনতে আগ্রহী বাংলাদেশ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন রবিবার বলেছেন, বাংলাদেশ রাশিয়া থেকে দ্রুত ৫ মিলিয়ন করোনার টিকা ‘স্পুটনিক ভি’ আমদানি করতে আগ্রহী। এ বিষয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কাজ করছে।
রবিবার রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেক্সান্ডার আই ইগ্নটভের বিদায়ী সাক্ষাৎকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
ড. মোমেন বলেন, অনুমোদন পেলে বাংলাদেশের কয়েকটি কোম্পানি রাশিয়ার সাথে যৌথভাবে টিকা উৎপাদন করতে পারবে।
আরও পড়ুন: চীনের উপহার ছয় লাখ টিকা আসবে ১৩ জুন
রাশিয়া থেকে দ্রুত করোনা টিকা আমদানির ক্ষেত্রে বিদায়ী রাষ্ট্রদূতের সহযোগিতা চান ড. মোমেন।
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে কাজের গতি এবং মানে সন্তোষ প্রকাশ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি কর্মরত রাশিয়ান বিশেষজ্ঞ এবং শ্রমিকদের কাজের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রাশিয়া বাংলাদেশের পরীক্ষিত বন্ধু।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে আরও ৬ লাখ টিকা উপহার দেবে চীন
তিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় রাশিয়ার সহযোগিতার কথা কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করেন এবং সে সময়ের সহযোগিতার জন্য রাশিয়ার সরকার এবং জনগণকে ধন্যবাদ জানান।
এছাড়াও ড. মোমেন বাংলাদেশের উন্নয়নে রাশিয়ার অবদান এবং বিভিন্ন মেগা প্রজেক্টে রাশিয়ার উন্নয়ন সহযোগিতার কথা উল্লেখ করে রাশিয়া সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সাথে যৌথভাবে করোনার টিকা উৎপাদনে আগ্রহী চীন
রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশে দায়িত্ব পালনকালে সহযোগিতার জন্য পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান।
পররাষ্ট্রমন্ত্রীও রাশিয়ার কাছ থেকে পাওয়া সহযোগিতার জন্য বিদায়ী রাষ্ট্রদূতকে ধন্যবাদ জানান।
রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত ঢাকায় তার কার্যকাল মেয়াদ শেষ করে আগামী ৮ জুন রাশিয়ার উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করবেন।
৩ বছর আগে
নভেম্বরে বিশ্বশান্তি সম্মেলন আয়োজন করবে বাংলাদেশ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন বলেছেন, মুজিববর্ষেই আগামী নভেম্বরে মাসে দু’দিন ব্যাপী বিশ্বশান্তি সম্মেলন আয়োজন করবে বাংলাদেশ। এ সময় বঙ্গবন্ধু শান্তি পুরস্কার প্রদান করা হবে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জুলিও কুরি পদক প্রাপ্তির ৪৮তম বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে ঢাকায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রবিবার এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
ড. মোমেন বলেন, ‘প্রগতিশীল ও বুদ্ধিজীবীসহ সারা পৃথিবীতে যারা শান্তির জন্য কাজ করছে তাদেরকে নিয়ে এ সম্মেলনের আয়োজন করা হবে। এ সম্মেলনে বিশ্ব শান্তি ও মানবতার অগ্রদূত বঙ্গবন্ধুর ওপর আলোচনার আয়োজন করা হবে। এ বিষয়ে একটি কমিটি তৈরি করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর পথ ধরে বাংলাদেশ শান্তির মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ সারা পৃথিবীতে শান্তির বাণী পৌঁছে দিচ্ছে এবং তা হচ্ছে'শান্তির সংস্কৃতি'।
আরও পড়ুন: টিকা পেতে কয়েকটি দেশের সাথে আলোচনা চলছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
‘জাতিসংঘের ১৯৩টি দেশ শান্তির সংস্কৃতির প্রস্তাবটি গ্রহণ করেছে। একে অন্যের প্রতি হিংসা বিদ্বেষের কারণে দেশে দেশে হানাহানি হচ্ছে। হিংসা-বিদ্বেষ দূর করতে পারলে আমরা পৃথিবীতে টেকসই শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে পারব। জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের ১১ লাখ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে আশ্রয় দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানবতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন,’ বলেন মন্ত্রী
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু সারাজীবন শান্তির জন্য এবং মানুষের কল্যাণে কাজ করেছেন। সে কারণে তিনি বাংলাদেশের "সবার সাথে বন্ধুত্ব,কারো সাথে বৈরিতা নয়" এ পররাষ্ট্রনীতি প্রতিষ্ঠিত করে গেছেন।
আরও পড়ুন: সাংবাদিক রোজিনা অবশ্যই ন্যায়বিচার পাবেন: সিএনএনকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জুলিও কুরি পুরস্কার প্রাপ্তিতে বঙ্গবন্ধু যেমন সম্মানিত হয়েছেন, বাঙালি জাতিও তেমনি সম্মানিত হয়েছে।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু সবসময় শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানে বিশ্বাস করতেন। আমরা প্রতিবেশী দেশের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানে বিশ্বাসী এবং এটা বঙ্গবন্ধু বারবার উচ্চারণ করেন।
আলাচনা সভায় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম বলেন, বঙ্গবন্ধু না থাকলেও তার মহান আদর্শ, তার নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে তার সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে। প্রধানমন্ত্রী মানুষের মুক্তি ও শান্তি প্রতিষ্ঠায় বিরামহীনভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
আলোচনা সভায় মূল বক্তা ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গবেষক বীর প্রতীক লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) কাজী সাজ্জাদ আলী জহির এবং ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন। জুলিও কুরি পুরস্কার গ্রহণকালে বঙ্গবন্ধুর বক্তৃতা পাঠ করেন রাষ্ট্রাচার প্রধান আমানুল হক। অনলাইনে সংযুক্ত ছিলেন সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, বিশিষ্ট সাংবাদিক ও কলামিস্ট আবদুল গাফফার চৌধুরী এবং বাংলাদেশের দূতাবাস প্রধানরা।
এছাড়া বক্তব্য দেন বঙ্গবন্ধু জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন কমিটির মূখ্য সমন্বয়ক ড. কামাল আব্দুল নাসের চৌধুরী, বিশ্বশান্তি পরিষদ-বাংলাদেশ অংশের সভাপতি মোজাফফর হোসেন পল্টু ।
এ সময় "শান্তির দূত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান" শিরোনামে প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়।
৩ বছর আগে
সোনার বাংলা গড়ার পথে অন্যতম পাথেয় তথ্যপ্রযুক্তি: একে মোমেন
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্বে জাতির পিতার ‘সোনার বাংলা’ গড়ার পথে একটি অন্যতম পাথেয় তথ্যপ্রযুক্তি।
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদের বলিষ্ঠ ও দৃঢ় নেতৃত্বে অনেক অসম্ভবকে সম্ভব করে আজকের ডিজিটাল বাংলাদেশ এগিয়ে চলেছে।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নিয়োগের কথা জানালেন মালদ্বীপের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ আয়োজিত ‘বৈঠক’ অ্যাপের ভার্চুয়াল উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
দেশের নিজস্ব কারিগরি কুশলতায়, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের ব্যবস্থাপনায় ‘বৈঠক’ অ্যাপটি, জুম বা অন্যান্য ভিডিও কনফারেন্স অ্যাপের বিকল্প হিসেবে তৈরি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: দেশের সফলতা তুলে ধরতে দেশি-বিদেশি গণমাধ্যমের প্রতি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আহ্বান
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিদেশী সাহায্য নির্ভর অর্থনীতি থেকে বাংলাদেশ রপ্তানি ও বৈদেশিক আয় নির্ভর অর্থনীতির রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। রূপকল্প-২০৪১ বাস্তবায়নে আমরা এগিয়ে চলেছি দুর্বার গতিতে। সেজন্য প্রয়োজন কৃষি, শিল্প, সেবা, তথ্য প্রযুক্তিসহ সকল খাতে আমাদের সাফল্যের ধারা বজায় রাখা।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের সাফল্য আজ বিশ্বের কাছে স্বীকৃত এবং এ বিষয়ে সম্প্রতি ১৪৭টি দেশের রাষ্ট্রপ্রধান ও সরকার প্রধান ভূঁয়সী প্রশংসা করেছেন।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা সঙ্কটের স্থায়ী ও শান্তিপূর্ণ সমাধান চায় ইইউ
দেশে উদ্যোক্তা বান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি এবং অধিকতর কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে সরকার গুরুত্বারোপ করেছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের সম্ভাবনা আছে, সম্পদ আছে এবং স্পৃহা আছে। আছে সঠিক দিকনির্দেশনা ও সুযোগ্য নেতৃত্ব। ২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করতে রাষ্ট্রের সবগুলো অঙ্গপ্রতিষ্ঠানকে একযোগে ও এক লক্ষ্যে কাজ করে যেতে হবে।
তিনি উল্লেখ করেন, এখন বাংলাদেশের ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় ১০ কোটি। ১৬ কোটির উপর মানুষ আজ মোবাইল ফোন ব্যবহার করছে। আইসিটি সেক্টর থেকে প্রতি বছর আমরা এক বিলিয়ন ডলার আয় করছি। ২০২৫ এর মধ্যে এই সংখ্যা পাঁচ বিলিয়ন মার্কিন ডলার হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
ড. মোমেন বলেন, উন্নত দেশ হওয়ার পাশাপাশি জনগণের দোরগোড়ায় সরকারি সেবা পৌঁছে দেয়া আমাদের লক্ষ্য। আর এই সেবা নিশ্চিত করতে আমাদের মানবসম্পদ উন্নয়নের সাথে ডিজিটাল সরকার ব্যবস্থাকেও যুগোপযোগী করতে হচ্ছে এবং সেই পথে এগিয়ে যাবার একটি চমৎকার উদাহরণ এই ‘বৈঠক’ প্লাটফর্ম। তথ্যপ্রযুক্তির নতুন নতুন মাত্রার সাথে সামিল হতে আমাদের দক্ষতা উন্নয়ন এখনই দরকার।
তিনি বলেন, জীবনের সকল ক্ষেত্রে, সকল কর্মযজ্ঞে, সকল বিষয়ে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার যদি আমরা সঠিকভাবে করতে না পারি, তবে এর বহুমাত্রিক উপযোগিতা থেকে আমরা বঞ্চিত হব এবং এর খেসারত দিবে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম বক্তব্য দেন।
৩ বছর আগে