স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
নারায়ণগঞ্জে স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় তানজিদা আক্তার পপি নামে এক গৃহবধূ হত্যা মামলায় স্বামী হীরা চৌধুরীকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (২৫ নভেম্বর) নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আবু শামীম আজাদ আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।
হীরা চৌধুরী ফতুল্লার পূর্ব লামাপাড়ার ওমর চৌধুরী তুহিনের ছেলে এবং তানজিদা আক্তার পপি বক্তাবলীর রাজাপুরের মৃত আলী আশরাফের মেয়ে।
আরও পড়ুন: পাবনায় চরমপন্থি দলের সাবেক নেতাকে গলাকেটে হত্যা
কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক মো. কাইউম খান বলেন, স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন বলে জানান কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক।
আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর আবুল কালাম আজাদ জাকির বলেন, উভয় পরিবারের সম্মতিতে হীরার সঙ্গে তানজিদার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে পপির কাছ থেকে শ্বশুরবাড়ির লোকজন নানা অজুহাতে বিভিন্ন সময় টাকা দাবি করে আসছিলেন। মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে জমি বিক্রি করে চাহিদা পূরণ করেছেন পপির মা তাসলিমা বেগম।
তিনি আরও বলেন, হত্যার আগের দিন দুপুরেও পপির শ্বশুরবাড়ি গিয়ে ৫০ হাজার টাকা দিয়ে এসেছিলেন তাসলিমা। পরের দিন শ্বশুরবাড়ি থেকে ফোন করে জানানো হয়, পপি শহরের ভিক্টোরিয়া জেনারেল হাসপাতালে। সেখানে গিয়ে তারা জানতে পারেন, পপিকে হত্যা করেছেন তারই স্বামী।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর ছোট ভাই মো. শাকিল ২০২১ সালের ২৬ মে ফতুল্লার থানায় মামলা করেন বলে জানান আবুল কালাম আজাদ জাকির।
আরও পড়ুন: তৃতীয় দিনের ধর্মঘটে বেনাপোলে বাস বন্ধ, ভোগান্তিতে যাত্রীরা
৩ সপ্তাহ আগে
নারায়ণগঞ্জে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
নারায়ণগঞ্জে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে মো. আব্দুল্লাহ চৌধুরী ওরফে রাসেলকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে ২০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ তৃতীয় আদালতের বিচারক মো. আমিনুল হক এই রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত মো. আব্দুল্লাহ চৌধুরী ওরফে রাসেল (৩৪) চট্টগ্রামের চন্দনগাঁও এলাকার একেএম ফরিদ আহমেদ চৌধুরীর ছেলে।
সেই সঙ্গে নিহত জান্নাতুল ফেরদৌস খুলনার খালিশপুর এলাকার জহিরুল ইসলামের মেয়ে।
কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক আব্দুর রশিদ বলেন, ‘২০২২ সালের ৪ নভেম্বর রূপগঞ্জ থানার দায়ের করা হত্যা মামলায় একজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আদালতের রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছে বাদীপক্ষ।’
আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর মো. সালাহ উদ্দিন সুইট বলেন, ‘আসামি মো. আব্দুল্লাহ চৌধুরী ওরফে রাসেল এবং ভুক্তভোগী জান্নাতুল ফেরদৌস জ্যোতি ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন। এই দম্পতি
রূপগঞ্জ উপজেলার মৈকুলি এলাকায় হাবিবুর রহমানের বাসায় ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করতেন। বিয়ের কিছুদিন পর থেকে তাদের মধ্যে পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কলহ শুরু হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ৪ নভেম্বর গভীর রাতে দ্বন্দ্বের এক পর্যায়ে স্বামী আব্দুল্লাহ ধারালো অস্ত্র দিয়ে জান্নাতুল ফেরদৌসকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করেন।
এ ঘটনায় জান্নাতুলের মা শারমিন আক্তার ডলি বাদী হয়ে রূপগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। সেই মামলার বিচার কার্যক্রম শেষে ১৮ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আদালত এই রায় ঘোষণা করেছেন।
২ মাস আগে
খুলনায় স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
খুলনায় স্ত্রী জোহরা খাতুনকে হত্যার দায়ে স্বামী নুরুন্নবী শেখকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (১৫ মে) বেলা সাড়ে ১২টায় খুলনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক আব্দুস ছালাম খান এ আদেশ দেন।
আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ফরিদ আহমেদ বলেন, যৌতুকের দাবিতে ২০১১ সালে ২৫ আগস্ট রাতে খুলনা মহানগরীর বেলায়েত হোসেন সড়কের বাসভবনে আসামি নুরুন্নবী তার স্ত্রী জোহরা খাতুনকে শ্বাসরোধে হত্যা করে। পরে লাশ এবং শিশু ছেলেকে ঘরে তালাবন্ধ করে রেখে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর ভাই সাদ্দাম হোসেন বাদী হয়ে ২৭ আগস্ট খুলনা থানায় হত্যা মামলা করেন। এ মামলায় ১৪ জন সাক্ষী দিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বুধবার ওই মামলার রায়ে আসামি নুরুন্নবীকে মৃত্যুদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
আরও পড়ুন: মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্তের আগে কনডেম সেলে নয়: হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল
মৃত্যুদণ্ড চূড়ান্ত হওয়ার আগে আসামিদের কনডেম সেলে রাখা অবৈধ ও বেআইনি: হাইকোর্ট
৭ মাস আগে
নাটোরে স্ত্রী হত্যা মামলায় স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
নাটোরে স্ত্রী হত্যার পৃথক দু’টি মামলার রায়ে স্বামীকে মৃত্যুদণ্ড ও আরেকজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৩০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (৩০ অক্টোবর) দুপুরে নাটোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক জেলা জজ মুহাম্মদ আব্দুর রহিম এই রায় দেন।
সরকারি কৌসুলী আনিসুর রহমান জানান,২০১৭ সালের ৩১ আগস্ট বড়াইগ্রাম উপজেলার কেচুয়াকোড়া গ্রামে যৌতুকের জন্য গৃহবধূ হাসনা হেনাকে(২২) পিটিয়ে ও স্বাসরোধ করে হত্যা করে তার স্বামী শরিফুল ইসলাম। এ ঘটনায় হাসনা হেনার মা বাদি হয়ে মামলা দায়ের করলে আইন ও বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে আদালত এই রায় দেন।
আরও পড়ুন: হবিগঞ্জে অন্তঃসত্ত্বাকে হত্যার দায়ে ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড
তবে মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন দণ্ডপ্রাপ্ত শরিফুলের মা সহ ৩ জন। একই সাথে আসামি ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এদিকে গুরুদাসপুর উপজেলার বেড়গঙ্গারামপুর গ্রামে অপর একটি স্ত্রী হত্যা মামলার রায়ে স্বামী শফিকুল ইসলাম শফিককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মো. শরীফ উদ্দীন।
২০১৭ সালের ২৭ মে পারিবারিক বিরোধে স্ত্রী রোকেয়া বেগমকে উপর্যুপরি কুপিয়ে হত্যার পর মসজিদে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছিলো স্বামী শফিক। পরে এলাকাবাসীর সহায়তায় সেখান থেকে তাকে আটক করে পুলিশ। যাবজ্জীবন সাজা ছাড়াও শফিককে ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ড প্রদান করা হয় বলে জানান আদালতের পিপি সিরাজুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: জয়পুরহাটে ছেলেকে হত্যার দায়ে বাবার মৃত্যুদণ্ড
১ বছর আগে
নাটোরে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
নাটোরের নলডাঙ্গায় স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামী ওসমান গনীকে (৬২)মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত। একইসঙ্গে আসামিকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) দুপুরে নাটোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক জেলা জজ মুহাম্মদ আব্দুর রহিম এ রায় দেন বলে আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর আনিসুর রহমান জানান।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০১৩ সালের ২১ আগস্ট জেলার নলডাঙ্গা উপজেলার বাসুদেবপুর গ্রামের ওসমান গনী ৫০ হাজার টাকা যৌতুকের জন্য স্ত্রী রোকেয়া বেগমকে শারীরিক নির্যাতনের এক পর্যায়ে গলায় শাড়ি পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। এ ঘটনায় নিহতের ভাই একাব্বর হোসেন বাদি হয়ে ওসমানের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
আরও পড়ুন: বরিশালে হত্যা মামলায় একজনের মৃত্যুদণ্ড, ৩ জনের যাবজ্জীবন
সাভারে পলাতক মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত যুদ্ধাপরাধী গ্রেপ্তার
১ বছর আগে
যৌতুকের টাকা না পেয়ে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে যৌতুকের দাবিতে নির্যাতন চালিয়ে স্ত্রী ফারহানা বেগম পান্নাকে হত্যার দায়ে স্বামী শাহজাহান প্রধানকে মৃত্যুদণ্ড এবং একই সঙ্গে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা প্রদানের আদেশ দিয়েছেন আদালত। সোমবার বিকালে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক জান্নাতুল ফেরদাউস চৌধুরী এই রায় প্রদান করেন।
নিহত ফারহানা বেগম পান্না একই ইউনিয়নের সৈয়দপুর গ্রামের পাটওয়ারী বাড়ীর মো. আলী আকবর পাটওয়ারীর মেয়ে।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে প্রতিবন্ধী শিশু হত্যা মামলায় চাচাসহ ২ জনের যাবজ্জীবন
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত শাহজাহান প্রধান একই উপজেলার ভাটরা গ্রামের প্রধানিয়া বাড়ীর মৃত আব্দুস ছাত্তারের ছেলে।
মামলার বিবরণ থেকে জানা গেছে, ২০০৫ সালে ফারহানা ও শাহজাহানের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। তাদের সংসার জীবন ভালই চলছিল। ঘটনার সময় তাদের মাহবুব (৩) নামে পুত্র ও মীম নামে দেড় বছর বয়সী কন্যা সন্তান ছিল। ঘটনার কিছুদিন পূর্ব থেকে শাহজাহান সৌদি আরব যাওয়ার জন্য স্ত্রীকে বাবার বাড়ি থেকে তিন লাখ টাকা যৌতুক এনে দেয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করে। ২০০৯ সালের ৭ জুন বিকালে নিজ বসতঘরে শাহজাহান আবারও যৌতুকের টাকা না আনায় কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে স্ত্রীকে শারিরীক নির্যাতন ও সজোরে তার তলপেটে লাথি মারে। তাৎক্ষণিক ফারহানা মাটিয়ে লুটিয়ে পড়ে এবং অজ্ঞান হয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
এই ঘটনায় ফারহানার ভাই ফারুক আহম্মদ পাটওয়ারী বাদী হয়ে শাহাজাহান প্রধানকে প্রধান আসামি করে ৬ জনের বিরুদ্ধে হাজীগঞ্জ থানায় মামলা করেন।পরবর্তীতে ওই মামলাটি ২০০৯ সালের ১০ ডিসেম্বর চাঁদপুর নারী শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে দায়ের হয়। বিচারক মামলাটি তদন্তের জন্য দায়িত্ব দেন সিআইডি চাঁদপুরের তৎকালীন সময়ের উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আলমগীরকে। তিনি তদন্ত শেষে ২০১২ সালের ২৭ মার্চ শাহজাহানকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
মামলার সরকার পক্ষের আইনজীবী স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মো. সাইয়্যেদুল ইসলাম বাবু বলেন, দীর্ঘ প্রায় ১৪ বছর মামলাটি চলমান অবস্থায় আদালত ১০ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন। সাক্ষ্য ও মামলার নথিপত্র পর্যালোচনা শেষে আসামির উপস্থিতিতে এই রায় দেন।
মামলায় আসামি পক্ষের আইনজীবী ছিলেন আবদুল মান্নান খান মহিন।
আরও পড়ুন: রংপুরে ধর্ষণের দায়ে ২ জনের যাবজ্জীবন
কুষ্টিয়ায় বাড়িওয়ালাকে হত্যার দায়ে দম্পতির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
২ বছর আগে
ফরিদপুরে যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে হত্যা, স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
ফরিদপুরে যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে গলাটিপে হত্যার মামলায় স্বামীকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এসময় মামলার অপর তিন আসামিকে খালাস দেয়া হয়।
সোমবার দুপুরে ফরিদপুরের নারী ও শিশু ট্রাইবুনাল, বিচারক জেলা ও দায়রা জজ প্রদীপ কুমার রায় এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
নিহত ফরিদা বেগম উপজেলার বাগাট গ্রামের রাশেদ শেখ মেয়ে।
আরও পড়ুন: সাতক্ষীরায় স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মো. সরোয়ার শেখ (৩৫) মধুখালী উপজেলার নওপাড়া ইউনিয়নের আলগাপাড়া গ্রামের চুন্নু শেখের ছেলে এবং পেশায় ভ্যানচালক।
খালাসপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন-সরোয়ার শেখের মা ছাহেরা বেগম (৫৫), মামা ওবায়দুল শেখ (৪৫) ও আলিয়ার শেখ (৬০)।
মামলায় আসামি পক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট নারায়ণ চন্দ্র দাস এবং রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট স্বপন পাল।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০১৭ সালে ৬ জুলাই সকালে তার মেয়ে তাকে মোবাইলে ফোন করে জানায় যে, ৫০ হাজার টাকা যৌতুকের জন্য তার স্বামী তাকে মারধর করছে। এরপর বেলা সাড়ে ১১টার দিকে খবর পান যে তার মেয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে মারা গেছে। এ ঘটনার পর পুলিশ আলামত জব্দ করে লাশ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায় এবং মধুখালী থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা করে। দায়েরকৃত অপমৃত্যু মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন আদালতে।
মামলার পর্যবেক্ষণে বিচারক বলেন, ময়নাতদন্তে প্রতিবেদনে নিহতের গলায় চারটি আঘাতের চিহ্ন ছিল। তাকে গলাটিপে হত্যার কথা উল্লেখ করা হয়।
রাষ্ট্রপক্ষ আসামি সরোয়ার শেখের বিরুদ্ধে ‘নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০’ এর ১১(ক) ধারার অপরাধ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে সক্ষম হওয়ায় উল্লেখিত আসামিকে ধারার অপরাধে দোষী সাব্যস্ত করে ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৭৪ ধারা অনুযায়ী বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট, হাইকোর্ট বিভাগের অনুমোদন সাপেক্ষে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে নেত্রকোণার খলিলুরের মৃত্যুদণ্ড
ফেনীতে ১৯ বছর পর মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার
২ বছর আগে
ফেনীতে স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
ফেনীতে স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এর পাশাপাশি তাকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। মঙ্গলবার দুপুরে ফেনীর অতিরিক্ত দায়রা জজ সৈয়দ মো. কায়সার মোশারফ ইউছসুফ এই রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত আবদুল কাদের জাকারিয়া (৪০) ফুলগাজী উপজেলার আমজাদহাট ইউনিয়নের খাজুরিয়া গ্রামের বাসিন্দা।
নিহত আয়েশা আক্তার মুক্তা ছাগলনাইয়া উপজেলার ছয়ঘরিয়া গ্রামের মৃত রফিকুল ইসলামের মেয়ে ও আসামি আবদুল কাদের জাকারিয়ার স্ত্রী।
আরও পড়ুন: খুলনায় গৃহবধূ হত্যার দায়ে সাবেক স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
মামলার বিবরণ ও আদালত সূত্র জানায়, ২০১১ সালের নভেম্বরে ফুলগাজী উপজেলার আমজাদহাট ইউনিয়নের খাজুরিয়া গ্রামের আবদুল কাদেরের সঙ্গে ছাগলনাইয়া উপজেলার ছয়ঘরিয়া গ্রামের মৃত রফিকুল ইসলামের কন্যা আয়েশা আক্তার মুক্তার বিয়ে হয়। বিয়ের দেড় মাস পরে ২০১২ সালের ৫ জানুয়ারি রাতে আসামি আবদুল কাদের স্ত্রী মুক্তাকে মারধর ও গলাটিপে শ্বাসরোধে হত্যা করে। এরপর প্রচার করে মুক্তা আকস্মিকভাবে অসুস্থ ও সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: নোয়াখালীতে জোড়া খুন: ৮ জন খালাস, তিনজনের মৃত্যুদণ্ড বহাল
এ ঘটনায় মুক্তার মা বাদী হয়ে ফুলগাজী থানায় অপমৃত্যুর মামলা করেন।
পরে পুলিশ নিহতের স্বামী জাকারিয়াকে গ্রেপ্তার করে। এরপর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ফুলগাজী থানার পুলিশ পরিদর্শক আবুল মনজুর ২০১২ সালের ২ জুন আবদুল কাদের জাকারিয়াকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। একই বছর ৯ অক্টোবর বিচারকাজ শুরু হয়। আদালত দীর্ঘ শুনানির পর ফেনীর অতিরিক্ত দায়রা জজ সৈয়দ মো. কায়সার মোশারফ ইউছসুফ এই রায় দেন।
২ বছর আগে
অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে পুঁড়িয়ে হত্যার দায়ে কুষ্টিয়ায় স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
কুষ্টিয়ার মিরপুরে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার দায়ে স্বামীকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সোমবার কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো.তাজুল ইসলাম আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত শাহিনুল ইসলাম (৩৫) মিরপুর উপজেলার নওদা খাড়ারা গ্রামের শাজাহান মালিথার ছেলে।
কুষ্টিয়া জজ কোর্টের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) অনুপ কুমার নন্দী রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে হত্যা মামলায় নারীসহ দু’জনের মৃত্যুদণ্ড
আদালত সূত্র জানায়, পারিবারিক বিরোধের জের ধরে ২০১৪ সালে ৯ অক্টোবর রাতে শাহিনুল ইসলাম তার সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী চম্পার শাড়ি ও ঘরের বেড়ায় কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেয়। এতে চম্পার শরীরের অধিকাংশ স্থান আগুনে ঝলসে যায়। পরে গুরুতর অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে প্রথমে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে পরবর্তীতে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় চম্পার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় নিহতের চাচা শাহাদাত আলী বাদী হয়ে চম্পার স্বামী শাহিনুল ইসলামের বিরুদ্ধে মিরপুর থানায় মামলা করেন।
আরও পড়ুন: লক্ষ্মীপুরে স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর যাবজ্জীবন
পরে আদালত এ মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে ১৩ ডিসেম্বর রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার পরপরই দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে পুলিশ পাহারায় জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
৩ বছর আগে
খুলনায় স্ত্রী হত্যায় স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
খুলনায় স্ত্রীকে হত্যার পর পুড়িয়ে মরদেহ গুমের মামলায় বিচার শুরুর মাত্র নয় কার্যদিবসের মধ্যে স্বামীকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সাথে ৫০ হাজার টাকা জারমানা এবং অপর একটি ধারায় তাকে সাত বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও ২৫ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
দণ্ডপ্রাপ্ত রফিক শেখ জেলার রূপসা উপজেলার বাসিন্দা। নিহত মরিয়ম বেগম (২৫) দণ্ডপ্রাপ্ত রফিক শেখের স্ত্রী।
রবিবার (৩১ অক্টোবর) দুপুরে খুলনা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মশিউর রহমান চৌধুরী এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এনামুল হক রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, পারিবারিকভাবে আসামি রফিক শেখের সাথে ফকিরহাট উপজেলার হালিমা বেগমের ছোট মেয়ে মরিয়মের বিয়ে হয় ২০১৭ সালে। মোবাইলে কথা বলাকে সন্দেহ করত নিহতের স্বামী। এ নিয়ে তাদের মধ্যে কলহ বিবাদ লেগেই থাকতো। এক পর্যায়ে তারা উভয় নেহালপুর থেকে ফকিরহাট উপজেলার খাজুরা এলাকায় রকি শেখের ভাড়া বাড়িতে এসে ওঠে। সেখানে এসেও তার ওপর একই অভিযোগে নির্মম অত্যাচার করা হয়।
২০২০ সালের ১২ আগস্ট দুপুর ১২ টায় বাড়ি এসে রফিক তার স্ত্রীকে না পেয়ে সন্দেহের মাত্রা আরও বেড়ে যায়। বাইরে থাকার কারণ জানতে চান তিনি। উত্তর দিতে না পারায় স্ত্রীকে হত্যার জন্য পরিকল্পনা করতে থাকে। পরিকল্পনা অনুযায়ী ওই দিন সকালে রফিক রূপসা উপজেলার দেবীপুর গ্রামের দীপক দাসের পানের বরজের মধ্যে পেট্রোল ও একটি বস্তার মধ্যে কয়েকটি ইট রেখে আসে। রাতে বেড়ানোর কথা বলে দু’জন রূপসা ব্রীজসহ বিভিন্ন জায়াগায় ঘুরতে থাকে। রাত ১০ টায় উভয় ঘটনাস্থলে পৌঁছলে রফিক পানের বরজের সামনে এনে ছলনার আশ্রায় নিয়ে কিছু বুঝে উঠার আগেই ভুক্তভোগীকে ইট দিয়ে মাথায় আঘাত করতে থাকে। এক পর্যায়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে মরিয়মের শরীরে বস্তা পেচিয়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: নেশার টাকা না পেয়ে মাকে পিটিয়ে হত্যা, ছেলের মৃত্যুদণ্ড
এরপর আসামি রফিক শেখ বাড়ি ফিরে গিয়ে মরিয়মের মাকে প্রতিবেশি রঞ্জন বৈরাগীর মাধ্যমে জানায়, মরিয়মকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। মরিয়মের মা সম্ভাব্য আত্মীয় স্বজনের বাড়িতে খোঁজ নিতে থাকে। এর দু’দিন পর তার অর্ধগলিত ও পোড়া মরদেহ পাওয়া যায় রূপসা উপজেলার দেবীপুর গ্রামে দীপকের পানের বরজের মধ্যে।
এ ব্যাপরে নিহতের মা রূপসা থানায় বাদী হয়ে রফিক শেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও চার জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। একই বছরের ৩১ ডিসেম্বর তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মো. শাহাবুদ্দিন গাজী রফিক শেখকে আসামি করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। মামলায় ১৫ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৩ জনের সাক্ষ্যগ্রহণের মাধ্যমে আসামি দোষী সাব্যস্ত হয়। বিচার শুরুর নয় কার্য দিবসের মধ্যেই এ হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করলেন খুলনার জেলা ও দায়রা জজ আদালত।
পড়ুন: স্ত্রীকে পুড়িয়ে মারার দায়ে ফরিদপুরে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড, দেবরের যাবজ্জীবন
কৃষক হত্যা মামলা: কিশোরগঞ্জে একজনের মৃত্যুদণ্ড, ৪ জন খালাস
৩ বছর আগে