বালু উত্তোলন
কৃষি জমির স্বার্থে বালু উত্তোলন বন্ধে পদক্ষেপ নিতে সংসদীয় কমিটির সুপারিশ
কৃষি জমি বাঁচাতে বালু উত্তোলন বন্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার সুপারিশ করেছে কৃষি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।
সোমবার সংসদ ভবনে চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলামের সভাপতিত্বে সংসদীয় পর্যবেক্ষণ কমিটির ৩০তম বৈঠকে এ সুপারিশ করা হয়।
এতে ফসলি ও চরের জমিতে নির্বিঘ্নে চাষাবাদ নিশ্চিত করতে জমিতে নির্মিত সোলার প্যানেলের উচ্চতা বাড়ানোর পদক্ষেপ নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।
বিগত বৈঠকে গৃহীত সিদ্ধান্তের অগ্রগতি নিয়েও বিস্তৃত আলোচনা হয় বৈঠকে।
আরও পড়ুন: বছরে চার ফসলের সম্ভাবনা জাগাচ্ছে ব্রি৯৮ আউশ ধান: কৃষিমন্ত্রী
আগামী ২ থেকে ৩ বছরের মধ্যে চরাঞ্চলে ভুট্টা, সূর্যমুখী ও সয়াবিনের উৎপাদন বাড়ানোর লক্ষ্যে পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার সুপারিশও করা হয়েছে।
বৈঠকে কমিটির সদস্য আব্দুর রাজ্জাক, মোসলেম উদ্দিন, মামুনুর রশিদ কিরণ, আনোয়ারুল আবেদীন খান, উম্মে কুলসুম, হোসনে আরা, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ও মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: রবি ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধিতে ১৮৯ কোটি টাকার প্রণোদনা দেবে সরকার
১ বছর আগে
মেঘনায় বালু তুলতে পারবেন না সেলিম চেয়ারম্যান
চাঁদপুর সদর থানার লক্ষ্মীপুর ইউপি চেয়ারম্যান মো. সেলিম খানকে মেঘনার ডুবোচর থেকে বালু তোলার অনুমতি দিয়ে হাইকোর্টের দেয়া রায় বাতিল করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
রবিবার প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ এই আদেশ দেন। বেঞ্চের অপর দুই সদস্য হলেন, বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম। এর ফলে চাঁদপুরের মেঘনা তীরবর্তী ২১ মৌজায় সেলিম খান আর বালু উত্তোলন করতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মাঈনুল হাসান। অন্যদিকে সেলিম খানের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আজমালুল হোসেন কিউসি।
নথিপত্র অনুযায়ী, মেঘনা নদীর চাঁদপুর ও হাইমচর উপজেলায় অবস্থিত ২১টি মৌজায় নিজ খরচে সেলিম খান হাইড্রোগ্রাফিক জরিপ পরিচালনা করে বালু উত্তোলনের নির্দেশনা চেয়ে ২০১৫ সালে রিট করেন। নৌপথ সচল করার কথা বলে রিটটি করা হয়েছিল। রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ওই বছরের ৯ জুলাই হাইকোর্ট রুল দেন। এরপর রুল নিষ্পত্তি করে ২০১৮ সালের ৫ এপ্রিল রায় দেন হাইকোর্ট। রায়ে হাইড্রোগ্রাফি বিভাগের ২০১৮ সালের ৩১ জানুয়ারির চিঠি উল্লেখ করে বলা হয়, এতে প্রতীয়মান হয় যে, ওই মৌজাগুলোতে পর্যাপ্ত বালু-মাটি রয়েছে এবং তা তুলতে কোনো বাধা নেই। আপত্তি জানিয়ে বিবাদীদের (ভূমি সচিব, নৌ-পরিবহন সচিব, বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান, চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক ও হাইড্রোগ্রাফিক বিভাগের পরিচালক) পক্ষ থেকে কোনো জবাব (হলফনামা) দায়ের করা হয়নি, যাতে বিষয়টি (বালু থাকা) বিশ্বাসযোগ্য মনে হয়। রায়ে চাঁদপুরের জেলা প্রশাসকসহ বিবাদীদের নির্দেশ দেয়া হয়েছিল, ২১টি মৌজায় অবস্থিত মেঘনার ডুবোচর থেকে ৮৬ দশমিক ৩০ কিউবিক মিটার (৩০ কোটি ৪৮ লাখ ঘনফুট) বালু সেলিম খানকে উত্তোলনে অনুমতি দিতে।
এই রায়ের চার বছর পর গত মার্চে লিভ টু আপিল (আপিল করার অনুমতি চেয়ে আবেদন) করে রাষ্ট্রপক্ষ। রাষ্ট্রপক্ষের লিভ টু আপিলে বলা হয়, বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন অনুসারে কোনো নদী থেকে বালু উত্তোলনের জন্য হাইড্রোগ্রাফিক জরিপ প্রতিবেদনই যে একক ভিত্তি নয়, তা হাইকোর্ট উপলব্ধি করতে পারেননি। বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন অনুসারে, পরিবেশ, পাহাড়ধস, ভূমিধস অথবা নদী বা খালের পানির স্রোতের গতিপথ পরিবর্তন, সরকারি স্থাপনার (যথা ব্রিজ, কালভার্ট, রাস্তাঘাট, ফেরিঘাট, হাটবাজার, চা বাগান, নদীর বাঁধ ইত্যাদি) এবং আবাসিক এলাকার কোনো ক্ষতি হবে কি না, সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মতামত গ্রহণ করবেন জেলা প্রশাসক।
এছাড়া বালু বা মাটি উত্তোলন করার ফলে পরিবেশ ও প্রতিবেশ নষ্ট বা সরকারি-বেসরকারি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত ও জনস্বার্থ বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা থাকলে বিভাগীয় কমিশনারের কাছে ওই বালুমহাল বিলুপ্তির প্রস্তাব পাঠাতে পারবেন জেলা প্রশাসক। লিভ টু আপিলে আরও বলা হয়, চাঁদপুরের জেলা প্রশাসকের অফিস থেকে ডুবোচরের বালু উত্তোলনের বিষয়ে কোনো ধরনের মূল্যায়ন হয়নি। এমনকি রিটে উল্লিখিত মৌজাগুলো বিভাগীয় কমিশনার বালুমহাল হিসেবেও ঘোষণা করেননি। তাই হাইকোর্ট বিভাগ বিবাদীকে (সেলিম খান) বালু উত্তোলনের অনুমতি দিতে যে নির্দেশ দিয়েছেন তা বাতিলযোগ্য। হাইড্রোগ্রাফিক জরিপের মাধ্যমে নদীর তলদেশে কোথায় কত দূরত্বে মাটি রয়েছে, তা আধুনিক পদ্ধতিতে চিহ্নিত করা বা এর মানচিত্র তৈরি করা হয়। ডুবোচর কাটতে হলে প্রথমে হাইড্রোগ্রাফিক জরিপ করতে হয়।
রাষ্ট্রপক্ষের এই লিভ টু আপিল গত ৪ এপ্রিল আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালতে শুনানি হয়। সেদিন শুনানি নিয়ে চেম্বার জজ আদালতের বিচারপতি হাইকোর্টের রায় স্থগিত করে রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদন শুনানির জন্য আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে পাঠান। এর ধারাবাহিকতায় আজ শুনানি নিয়ে আপিল বিভাগ লিভ টু আপিল নিষ্পত্তি করে ওই সিদ্ধান্ত দিলেন।
আরও পড়ুন: হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে সহিংসতা: প্রধান বিচারপতি বিবৃতি না দেয়ায় ফখরুলের ক্ষোভ
হাইকোর্টে অনলাইনে বিচার শুরু, হালদা নদীর ডলফিন রক্ষার নির্দেশ
২ বছর আগে
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অবৈধ ২ ড্রেজার মেশিন ও সরঞ্জাম জব্দ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে বৃহস্পতিবার অভিযান চালিয়ে অবৈধ ড্রেজার মেশিন ও বালু উত্তোলন কাজে ব্যবহৃত সরঞ্জামাদি জব্দ করেছে নবীনগর উপজেলা প্রশাসন।
আরও পড়ুন:গাজীপুরে দূরপাল্লার ৪০ বাস জব্দ
স্থানীয়দের অভিযোগ, উপজেলার নাটঘর ইউনিয়নের ঋষিপাড়া এলাকার ফসলি জমি নষ্ট করে নাটঘরের গ্রামের ঋষিপাড়ার বিশ্বজিৎ ও বড়হিত গ্রামের মলাই মিয়া দীর্ঘদিন ধরে বাড়ির পার্শ্ববর্তী জমি থেকে দুইটি ড্রেজার মেশিন দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে আসছিলেন।
আরও পড়ুন: বিয়ানীবাজারে আটক ২, হাজার ইয়াবা জব্দ
এ বিষয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মোশাররফ হোসাইন জানান, দীর্ঘদিন ধরে এই ফসলি জমি থেকে অবৈধ ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলন ও বিক্রি করে আসছিলেন। এতে আশপাশের ফসলি জমিতে ভাঙন দেখা দেয়।
এমন অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ড্রেজার মেশিন ও উত্তোলন কাজে ব্যবহৃত সরঞ্জামাদি জব্দ করা হয়। ওই সকল সরঞ্জাম নিলামে বিক্রি করে অর্থ রাষ্ট্রীয় খাতে জমা দেয়ার শর্তে স্থানীয় ইউনিয়ন ভূমি অফিসের নায়েব ও ইউপি মেম্বার জিম্মায় দেয়া হয়েছে। এসময় অভিযানের টের পেয়ে ড্রেজার মালিকরা পালিয়ে যায়।
৩ বছর আগে
মানিকগঞ্জে নদী থেকে বালু উত্তোলন, দণ্ডিত ৮
মানিকগঞ্জের আবাসিক এলাকায় কালিগঙ্গ নদী থেকে বালি উত্তোলনের অপরাধে চার জনকে ১৫ দিনের কারাদণ্ড ও অপর চারজনকে অর্থদণ্ড, অনাদায়ে কারাদণ্ড প্রদান করে সদর উপজেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত।
শুক্রবার সকালে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইকবাল হোসেন এই অভিযান পরিচালনা করেন।
আরও পড়ুন: আখাউড়ায় পুকুর থেকে বালু উত্তোলন, জমি বিলীনের আশঙ্কা
তিনি জানান, সদর উপজেলার নবগ্রাম ইউনিয়নের পাচবারইল জনবসতি এলাকা থেকে এক কিলোমিটারের মধ্যে নদীর তলদেশ হতে বিক্রয়ের উদ্দেশে বালু উত্তোলন করা হচ্ছিল। খবর পেয়ে সকালে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান শুরু করা হয়। এসময় বালু উত্তোলনের দায়ে বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন, ২০১০ অনুযায়ী চার বালু উত্তোলনকারীকে ১৫দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়। এছাড়া আরও তিন জনকে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং একজনকে এক লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়।
আরও পড়ুন:অবৈধভাবে বালু উত্তোলন : সিরাজগঞ্জে ৮ জনের জরিমানা
জনস্বার্থে এই অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও তিনি জানান।
৩ বছর আগে
আখাউড়ায় পুকুর থেকে বালু উত্তোলন, জমি বিলীনের আশঙ্কা
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় শ্রেণি পরির্বতনের অনুমতি না নিয়ে একটি কৃষি জমিকে পুকুর বানানো হয়েছে। এখন ওই পুকুর থেকে অবৈধভাবে ড্রেজার দিয়ে বালু তোলার অভিযোগ উঠেছে।
এতে করে আশপাশের অনেক জমি ওই পুকুরে বিলীন হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এ ঘটনার প্রতিকার চেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ দিয়েছে স্থানীয়রা।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার উত্তর ইউনিয়নের টেংরাপাড়া এলাকার প্রভাবশালী আফছু মিয়া ও তার ছেলে রাজীব মিয়া পরিবেশ অধিদপ্তর ও স্থানীয় প্রশাসনের অনুমতি ছাড়াই তাদের নিজেদের একটি পুকুরে ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন করছেন। ইতোমধ্যেই পুকুরটি ৩০-৪০ ফুট গভীর করে ফেলা হয়েছে। এখান থেকে উঠানো বালু বাণিজ্যিকভাবে বিক্রি করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: অবৈধভাবে বালু উত্তোলন : সিরাজগঞ্জে ৮ জনের জরিমানা
স্থানীয়রা জানান, আফছু মিয়া ও তার ছেলে রাজীব ২০২০ সালে ফসলী জমি নষ্ট করে প্রথমে একটি পুকুর খনন করে। পুকুর করতে গিয়ে সেখানে এমনভাবে মাটি কাটা হয়েছে যে আশেপাশের জমি ভাঙতে শুরু করে। এ অবস্থায় তাদের কাছে একাধিক ব্যক্তি তাদের জমি বিক্রি করতে বাধ্য হন। এছাড়া গত ২ জুন থেকে ওই পুকুরে তারা ড্রেজার বসিয়ে বাণিজ্যিকভাবে বালু উত্তোলন শুরু করে। এ অবস্থায় স্থানীয় অনেকে আপত্তি করলেও তারা কর্ণপাত করেননি
এ বিষয়ে উপজেলার টানপাড়া গ্রামের মো. আসারুল ইসলামসহ অনেকেই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন।
একই গ্রামের মোহাম্মদ হোসেন মিয়া বলেন, ‘ওই জায়গায় আমার একটি ফসলি কৃষি জমি ছিল। তারা পুকুরটি খনন করায় আমার জমিটি ভেঙে বিলীন হতে থাকে। পরে এক প্রকার বাধ্য হয়েই জমিটি কম দামে তাদের কাছে বিক্রি করতে হয়।’
অভিযুক্ত পুকুরের মালিক রাজীব মিয়া বলেন, ‘পুকুরের গভীরতা বাড়াতে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। পাশের জমির কোনও ক্ষতি হবে না। তাছাড়া পুকুরের পাশে আমারও জমি রয়েছে।’
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পরিবেশ অধিদপ্তরের মো. নূরুল আমীন বলেন, ‘বাণিজ্যিকভাবে বালু উত্তোলন করার বিষয়টি ভূমি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন। তারপরও পরিবেশের কোনো ক্ষতি হচ্ছে কিনা তা আমরা খতিয়ে দেখবো।’
আরও পড়ুন: সুনামগঞ্জ জব্দকৃত বালু নিলামে বিক্রি, ১৮ নৌযানের জরিমানা
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুমানা আক্তার জানান, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য এসিল্যান্ডকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
৩ বছর আগে
সুনামগঞ্জের অভিশাপ অবৈধ বালু উত্তোলন!
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর বাংলাদেশ ও ভারতের সীমান্তবর্তী জাদুকাটা নদীর রূপ বৈচিত্রের জন্য এর ব্যাপক পরিচিত রয়েছে। দেশজুড়ে ভ্রমণপিপাসুরা সারাবছর ই ছুটে আসে এর সৌন্দর্য উপভোগ করতে।
নদীটি ভারতের মেঘালয় রাজ্যের খাসি পাহাড়ে উৎপত্তি লাভ করে বয়ে এসে বাংলাদেশের সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর উপজেলা দিয়ে বয়ে গেছে। এই তাহিরপুর উপজেলা বর্তমানে বাংলাদেশে নির্মাণ শিল্পের প্রয়োজনীয় বালু ও পাথরের অন্যতম যোগানস্থল।
কিন্তু অপরিকল্পিত এবং অবৈধ বালু ও পাথর উত্তোলনের ফলে নদীটির অস্তিত্ব ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে।
আরও পড়ুন: ধলেশ্বরী নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন: বসত-বাড়ি ও ফসলি জমি নদী গর্ভে বিলীন
স্থানীয়দের অভিযোগ, কর্তৃপক্ষের আশ্রয়-প্রশ্রয়েই ক্ষমতাশালীরা অবৈধভাবে বালু ও পাথর উত্তোলনের সাহস পাচ্ছে। স্থানীয়রা জানায়, প্রশাসন বা পুলিশ পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে কোনও হস্তক্ষেপ করতে দেখা যায় না। তাই স্থানীয়রাও এই অবৈধ কাজে বাঁধা দিতে তেমন একটা সাহস পায় না।
স্থানীয় এক ব্যক্তি ইউএনবিকে বলেন, বছর-বছর ধরে চলে আসা এই অবৈধ বালু ও পাথর উত্তোলন একদিকে যেমন সরকারকে আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করছে, অন্যদিকে পরিবেশেরও ব্যাপক ক্ষতি সাধন হচ্ছে।
গত ২৪ মার্চ স্থানীয় প্রশাসন, পুলিশ, বিজিবি এবং র্যাবের সমন্বিত টাস্ক ফোর্স বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে অবৈধভাবে উত্তোলনকৃত বালু এবং পাথর জব্দ করে।
স্থানীয়রা জানায়, জব্দকৃত বালু ও পাথরের কিছু অংশ নিলামের মাধ্যমে দুই পক্ষের নিকট ৩৬ লাখ টাকায় বিক্রি করে প্রশাসন। বাকি জব্দকৃত বালু ও পাথর বর্তমানে প্রশাসনে জিম্মায় আছে। স্থানীয়রা বলছেন, খুব দ্রুত অবশিষ্ট মালামাল নিলামে বিক্রি করা না হলে সেগুলো চুরি হয়ে যেতে পারে।
তাহিরপুরের স্থানীয় এক বাসিন্দা তথ্য গোপন রাখার শর্তে ইউএনবিকে বলেন, “বালু ও পাথর উত্তোলনকারী চক্রের প্রায় ২০ থেকে ২৫ জন এখন পালিয়ে বেড়াচ্ছে। তাদের অতি দ্রুত গ্রেফতার করা উচিৎ।”
এ বিষয়ে জানতে চাইলে তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনবিকে বলেন, “জব্দকৃত মালামালে একাংশ আমরা ইতিমধ্যেই নিলামেই বিক্রি করেছি এবং বাকিগুলোরও ব্যবস্থা নেয়া হবে।” এসয় হুশিয়ারি জানিয়ে তিনি বলেন, “খুব শিগগিরই পলাতক সকলকে আইনের আওতায় আনা হবে।”
আরও পড়ুন: অবৈধভাবে বালু উত্তোলনে হুমকির মুখে কৃষি জমি
অবিক্রিত বালু ও পাথর সম্পর্কে জানতে চাইলে সুনামগঞ্জের ডেপুটি কমিশনার (ডিসি) মো: জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, “করোনার লকডাউনের কারণে অবশিষ্ট মালামাল বিক্রিতে আমরা বাঁধাগ্রস্ত হয়েছি। লকডাউন শেষে আমরা নিয়ম অনুযায়ী সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।”
৩ বছর আগে
চাঁপাইনবাবগঞ্জে পদ্মায় সক্রিয় বালু সিন্ডিকেট
চাঁপাইনবাবগঞ্জে সদর উপজেলার চরবাগডাঙ্গা ও আখেরআলী এলাকায় পদ্মা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে একাধিক সিন্ডিকেট। সরকারি নিয়মের তোয়াক্কা না করে ড্রেজার দিয়ে প্রকাশ্যে চলছে বালু উত্তোলন।
বালু উত্তোলনের ফলে নদী ভাঙনের আশঙ্কার পাশাপাশি বালুবোঝাই ভারি ট্রাক্টর চলাচলের কারণে গ্রামীণ রাস্তাগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধে প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করলেও বালুদস্যুদের দৌরাত্ম থামছে না বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
আরও পড়ুন: পিয়াইন নদীতে অবৈধ বালু উত্তোলন, অর্ধ শতাধিক বসত নদীগর্ভে বিলীন
স্থানীয়দের জানায়, ২০১০ সালে বালু উত্তোলন নীতিমালায় যন্ত্রচালিত মেশিন দিয়ে ড্রেজিং পদ্ধতিতে নদীর তলদেশ থেকে বালু উত্তোলন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এছাড়াও মূল্যবান স্থাপনার এক কিলোমিটারের মধ্যে বালু উত্তোলন করা বেআইনি। অথচ সরকারি নিয়মনীতি উপেক্ষা করে সদর উপজেলার চরবাগডাঙ্গা ও বাখেরআলী এলাকায় পদ্মা নদীতে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। এভাবে বালু উত্তোলনের ফলে নদী ভাঙনের পাশাপশি নদীর গতিপথ বদলে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। হুমকির মুখে পড়বে পদ্মা নদীর তীররক্ষা বাঁধ ও নদী তীরবর্তী স্থাপনাগুলো।
স্থানীয়রা জানান, ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন অব্যাহত থাকলে বর্ষা মৌসুমে নদী ভাঙনে তাদের বসতভিটা ও ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাবে এছাড়াও পদ্মার ভাঙন থেকে রক্ষার জন্য সরকারের চরবাগডাঙ্গার ও শাজাহানপুর এলাকা রক্ষা প্রকল্প বাস্তবায়ন হুমকির মুখে পড়তে পারে। আর বালুবোঝাই ভারি ট্রাক্টর চলাচলের কারণে বেড়ি বাঁধ সড়কসহ গ্রামীণ রাস্তাগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এতে এলাকার মানুষকে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
আরও পড়ুন: তিস্তা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু তুলছেন ইউপি চেয়ারম্যান!
স্থানীয়দের অভিযোগ, বালু বাণিজ্যকে ঘিরে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক দলের কিছু নেতার ছত্রছায়ায় গড়ে উঠেছে একাধিক সিন্ডিকেট। তারা সবকিছু ম্যানেজ করে চালিয়ে যাচ্ছে তাদের কাজ।
আরও পড়ুন:নগরকান্দায় বালুভর্তি ট্রাকের ভারে ভেঙে পড়ল বেইলি ব্রিজ
স্থানীয়রা জানান, অবৈধভাবে এই বালু উত্তোলন বন্ধে প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে, তারপরও বন্ধ হচ্ছে না বালু উত্তোলন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমুল ইসলাম সরকার জানান, পদ্মা থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগ তিনি পেয়েছেন। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
৩ বছর আগে
তিস্তা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু তুলছেন ইউপি চেয়ারম্যান!
কুড়িগ্রামের উলিপুরে তিস্তা নদী থেকে অবৈধভাবে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলনের অভিযাগ উঠেছে এক ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। নদী থেকে বালু তুলে ওই চেয়ারম্যান তার নির্মাণাধীন আলিশান বাড়ি ও পুকুর ভরাট করছেন বলে জানা গেছে।
৩ বছর আগে
কুড়িগ্রামে অবৈধ বালু উত্তোলন, হুমকিতে নদীর তীরবর্তী এলাকা
যেনতেনভাবে ড্রেজার মেশিন দিয়ে নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের ফলে কুড়িগ্রামের রাজিবপুর উপজেলার নদী তীরবর্তী গ্রামগুলো হুমকির মুখে পড়েছে।
৩ বছর আগে
বালু উত্তোলন: মাগুরায় মধুমতির ভাঙনে দিশেহারা এলাকাবাসী
মাগুরা জেলার মধুমতি নদীর পানি যেমন বাড়তে শুরু করলে শুরু হয় নদী ভাঙন ঠিক তেমনি নদীর পানির স্রোত কমতে থাকলেও ফের ভাঙনের কবলে পড়ে নদীপাড়।
৪ বছর আগে