গয়েশ্বর
নিরাপত্তাহীনতায় বাংলাদেশ থেকে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোক ক্রমান্বয়ে দেশ ছাড়ছে: গয়েশ্বর
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় অভিযোগ করে বলেন, নিরাপত্তাহীনতার কারণেই বাংলাদেশ থেকে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন ক্রমান্বয়ে প্রস্থান করছে।
তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের মধ্য দিয়ে আমরা সব ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সব শ্রেণি-পেশার লোক একসঙ্গে যুদ্ধ করেছিলাম। পাকিস্তানিদের যে অত্যাচার-নির্যাতন-শোষণ-বর্ণ বৈষম্য, ধর্মীয় বৈষম্যের আলোকে যে আচরণ করত, সেটা সুষ্ঠু রাজনৈতিক রাষ্ট্রের জন্য যথেষ্ট না এবং সেই চেতনাবোধ থেকেই বাংলাদেশ স্বাধীনতার পথে গিয়েছিল।
আরও পড়ুন: ইসি নয়, নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের প্রতিই বিএনপির মনোযোগ: গয়েশ্বর চন্দ্র রায়
তিনি বলেন, কিন্তু আমরা দেখলাম যে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পরে পালাক্রমে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের মধ্যে, বিশেষ করে দ্বিতীয় সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগোষ্ঠী সেটা হিন্দু সম্প্রদায়, তারা ক্রমান্বয়ে প্রস্থান করছে।
শুক্রবার (২৩ জুন) সকালে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্টের এক সংবাদ সম্মেলনের উদ্বোধনী বক্তব্যে তিনি এই অভিযোগ করেন।
তিনি বলেন, অর্থাৎ ১৯৬৪ সালে দাঙ্গায় মানুষ যেমন দলে দলে একসঙ্গে মিছিল করে দেশত্যাগ করেছে, তা নয়। প্রতিদিনই যাচ্ছে সেটা আমরা হয়তো অনুমান করতে পারছি না। যখন পরিসংখ্যান আসে, দেখা যায় যে ক্রমান্বয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের সংখ্যা কমতে থাকে। এক সময়ে ৬০ এর দশকে হিন্দু সম্প্রদায় ৩৭ শতাংশ বাংলাদেশে ভূখণ্ডে বাস করত।
এখন এটা ১০ এর নিচে নেমে এসেছে। তার মানে এভাবে কমছে, ক্রমান্বয়ে যাচ্ছে।
এর কারণ তুলে ধরে গয়েশ্বর বলেন, সামাজিক নিরাপত্তা, তাদের যে নাগরিক অধিকার সংবিধানে আছে, সেটা থেকে বঞ্চিত এবং প্রশাসনের কাছে কোনো অভিযোগ করলে তারা ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের অভিযোগগুলো খুব একটা গুরুত্ব দেয় না এবং এড়িয়ে চলে। সংখ্যালঘুদের যে নাগরিক অধিকার আছে, তার নিরাপত্তার বিষয়টা আছে, সেগুলো প্রশাসন তদারকি করে না।
দুঃখজনক হলেও সত্য যে বাংলাদেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোকেরা আদালত বলেন আর প্রশাসন বলেন, কোথাও কিন্তু গুরুত্ব পায় না। এক কথায় বলা যায়, বাংলাদেশে পাত্তা পায় না।
তিনি বলেন, আজকে পার্শ্ববর্তী একটি গণতান্ত্রিক দেশ ভারতবর্ষ। আমাদের দেশের হিন্দুরা সেকেন্ড হোম হিসেবে ভারতকে বেছে নেয়। একটা পূর্বঠিকানা থাকা দরকার, এখানে থাকা যাবে না, এই যে মনোবৃত্তিটা কেন সৃষ্টি হলো?
সৃষ্টি হলো এই কারণে যে, রাষ্ট্রীয় প্রশাসন যন্ত্রের ব্যর্থতা, অর্থাৎ রাষ্ট্র সবাইকে এই বাংলাদেশটা যে সবার এই আস্থা অর্জনে ব্যর্থ হয়েছে।
আরও পড়ুন: ৩০ মাসের বিল বকেয়া, বিএনপি নেতা গয়েশ্বরের বাসার গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন
মানুষের ভোটাধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা করাই বিএনপির দায়িত্ব: গয়েশ্বর
১ বছর আগে
৩০ মাসের বিল বকেয়া, বিএনপি নেতা গয়েশ্বরের বাসার গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন
৩০ মাসের বিল বকেয়া থাকায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের রায়েরবাজারের বাসায় গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে তিতাস গ্যাস কোম্পানি।
তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বিল খেলাপিদের বিরুদ্ধে অভিযান চলাকালে সোমবার গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়।
এ তথ্য নিশ্চিত করে তিতাস গ্যাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হারুনুর রশিদ মোল্লা জানান, ৩০ মাস ধরে প্রায় এক লাখ ৭০ হাজার টাকা বিল বকেয়া থাকায় গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।
তিতাস গ্যাসের কর্মকর্তারা জানান, রায়েরবাজারের শেরে বাংলা রোডের গয়েশ্বর রায়ের বাসায় সাতটি ডাবল বার্নার চুলা রয়েছে।
পড়ুন: সিলেট গ্যাসফিল্ডের ১০ নম্বর কূপে খনন করবে চীনের ‘সিনোপেক’
বিএনপি নেতা সর্বশেষ ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসে বিল পরিশোধ করেন। এরপর থেকে চলতি বছরের জুলাই পর্যন্ত গত ৩০ মাসের বিল পরিশোধ করেননি তিনি।
তার মোট বকেয়া বিল দাঁড়িয়েছে এক লাখ ৭০ হাজার ৩৭৮ টাকা।
তিতাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হারুনুর রশিদ মোল্লা বলেন, জরিমানাসহ বকেয়া টাকা পরিশোধ করলে সংযোগ পুনঃস্থাপন করা হবে।
তিতাস সূত্রে জানা গেছে, অবৈধ সংযোগ এবং বিল খেলাপিদের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে কোম্পানিটি তাদের ৩০টি টিমের মাধ্যমে রাজধানীজুড়ে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করছে।
ইতোমধ্যে মোট ১৩৩টি সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে এবং ২৬ লাখ ৯৭ হাজার টাকা বকেয়া তাৎক্ষণিকভাবে আদায় করা হয়েছে।
পড়ুন: কেরানীগঞ্জে গ্যাস পাইপলাইন বিস্ফোরণ: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৬
কর্ণফুলী গ্যাসের সাবেক উপমহাব্যবস্থাপকের স্ত্রী কারাগারে
২ বছর আগে
মানুষের ভোটাধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা করাই বিএনপির দায়িত্ব: গয়েশ্বর
সরকারের আর বেশি দিন সময় নেই উল্লেখ করে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, বিএনপির দায়িত্ব হলো মানুষের ভোটাধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা।
তিনি বলেন, ‘সরকারের আর বেশি দিন সময় নেই। সত্যের জয় হবেই। ভয়ের কোন কারণ নেই। বিএনপির দায়িত্ব দেশের স্বাধীনতা স্বার্বভৌমত্ব রক্ষা, গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনা এবং মানুষের ভোটাধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা। তাই যুদ্ধ করেই সরকারের পতন ঘটাতে হবে।’
শুক্রবার সকালে বগুড়া সদরের বাঘোপাড়া শহীদ দানেশ উদ্দিন স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির বগুড়া শাখার দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: সরকার জনগণের শক্তিকে ভয় পায়: গয়েশ্বর চন্দ্র
বিএনপি নেতা বলেন, সরকারকে ক্ষমতা থেকে নামিয়ে দেখাতে হবে আমরা জিয়ার সৈনিক। দুঃশাসন, দুর্নীতি থেকে জনগণকে মুক্ত করে সুশাসন দিতে হবে।
বগুড়া জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও বগুড়া পৌর মেয়র রেজাউল করিম বাদশা সম্মেলনের উদ্বোধন করেন। সম্মেলনে স্বাগত বক্তব্য দেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক আলী আজগর তালুকদার হেনা।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়া ও গয়েশ্বরের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
সদর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সোলায়মান আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট একেএম মাহবুবর রহমান ও হেলালুজ্জামান তালুকদার লালু, বিএনপির চট্টগাম বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামিম প্রমুখ।
দীর্ঘ ১১ বছর পর অনুষ্ঠিত এ সম্মেলনে উপজেলার ১১টির মধ্যে ১০টি ইউনিয়নের ৭২০ জন কাউন্সিলরসহ দলের নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
২ বছর আগে
বিচারপতিরা চাকরির ভয়ে বিচারকাজ করতে পারছেন না: গয়েশ্বর
বগুড়া, ২৭ অক্টোবর (ইউএনবি)- বিচারপতিরা চাকরির ভয়ে আইন অনুযায়ী বিচারকাজ করতে পারছেন না বলে রবিবার অভিযোগ করেছে বিএনপি।
৫ বছর আগে