ভবন
রাশিয়ায় ভবন ধসে নিহত ৪
রাশিয়ার নিঝনি তাগিল শহরে একটি আবাসিক ভবনের আংশিক ধসে পড়ে অন্তত চারজন নিহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার(১ আগস্ট) রাশিয়ার সভেরদলভস্ক ওব্লাস্টের নিঝনি তাগিল শহরে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
শুক্রবার(২ আগস্ট) দেশটির জরুরি পরিস্থিতি মন্ত্রণালয় (ইএমইআরকম) জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার একটি পাঁচতলা ভবনে গ্যাস-বায়ু মিশ্রণের বিস্ফোরণে দুটি প্রবেশদ্বার ধসে পড়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে বিস্ফোরণ, নিহত ৪
এতে বলা হয়, ধ্বংসস্তূপ থেকে সাত শিশুসহ মোট ১৫ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে।
নিঝনি তাগিলের জেরঝিনস্কিতে এ ঘটনার পর জেলায় জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। তদন্ত কমিটি সুরক্ষার প্রয়োজনীয়তা পূরণ করে না, এমন পরিষেবা বা কাজের বিষয়ে একটি ফৌজদারি মামলা দায়ের করেছে।
আরও পড়ুন: ভারতের দক্ষিণাঞ্চলে ভূমিধসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৫১
৩ মাস আগে
বিটিভি ভবনে নাশকতা মামলায় বিএনপির শিমুল বিশ্বাসসহ ৭ জন রিমান্ডে
রাজধানীর রামপুরায় বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি) ভবনে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় করা মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাসসহ দলটির সাত নেতাকর্মীকে চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
সোমবার (২৯ জুলাই) শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রশিদুল আলম এ রিমান্ডের আদেশ দেন।
মামলার অপর আসামিরা হলেন- ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক সাইফুল আলম নীরব, দক্ষিণের আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম মজনু, রশীদুজ্জামান মিল্লাত, সৈয়দ এহসানুল হুদা, মহিউদ্দিন হৃদয় ও তরিকুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: মানবপাচার মামলায় মিল্টন ৪ দিনের রিমান্ডে
এদিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা খিলগাঁও জোনাল টিমের পুলিশ পরিদর্শক মোহাম্মদ ইয়াসিন শিকদার আসামিদের আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন।
আসামিদের পক্ষে মহসিন মিয়া, ওমর ফারুক ফারুকী, মোসলেহ উদ্দিন জসিম, সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহসহ কয়েকজন আইনজীবী রিমান্ড আবেদন বাতিল ও গ্রেপ্তারদের জামিন চেয়ে আবেদন করেন। অন্যদিকে, রাষ্ট্রপক্ষে পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ এর বিরোধিতা করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত তাদের রিমান্ডে নেওয়ার আদেশ দেন।
এর আগে, রাজধানীর বনানীতে সেতু ভবনে হামলার মামলায় গত ২৫ জুলাই তাদের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
এদিন তাদের রিমান্ডে শেষে আদালতে হাজির করে রামপুরা থানার মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোসহ সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করে পুলিশ।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, গত ১৮ জুলাই বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে শিক্ষার্থীরা রামপুরা ট্রাফিক পুলিশ বক্স ও বিটিভি ভবনের সামনের সড়কে অবস্থান নেয়। একপর্যায়ে পুলিশ সদস্যরা তাদের বুঝিয়ে সেখান থেকে সরিয়ে দেয়। এরপর বিএনপি ও জামায়াত-শিবিরের শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের নির্দেশে এবং সক্রিয় অংশগ্রহণে অজ্ঞাতনামা ৩-৪ হাজার কর্মী দলবদ্ধ হয়ে সরকারবিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দেয়।
আসামিরা দায়িত্বরত পুলিশ ও আনসার সদস্যদের বাধা উপেক্ষা করে অবৈধভাবে বিটিভি ভবনের প্রধান চারটি গেট ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে। এরপর তারা ভবনের ভেতর ব্যাপক ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট চালায়।
টেলিভিশন ভবনে কর্মরত বিভিন্ন কর্মকর্তাদের নাম ও পদবি উল্লেখ করে খোঁজাখুঁজি করে প্রাণনাশের হুমকিও দেয় দুর্বৃত্তরা। এছাড়া সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে পরিকল্পিতভাবে সন্ত্রাসী কার্যকলাপের মাধ্যমে তারা বাংলাদেশ টেলিভিশনের ভেতরে থাকা সরকারি মালামাল লুট করে। তাদের হামলায় বিটিভির ক্ষতির পরিমাণ অন্তত ৫০ কোটি টাকা। একপর্যায়ে পুলিশ ও বিজিবি রাত ৯টার দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়।
ওই হামলায় বিটিভির পোর্টেবল ডিএসএনজি সিস্টেমের সব সম্প্রচার যন্ত্রপাতি, পরিবহন কাজে ব্যবহৃত মাইক্রোবাস ও কেন্দ্রীয় শীতাতপ ব্যবস্থার ক্ষতি হয়। এছাড়া ১৭টি গাড়িতে অগ্নিসংযোগ এবং ৯টি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ২১টি মোটরসাইকেলেও হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা।
আরও পড়ুন: বারিধারায় কনস্টেবল হত্যা: সাত দিনের রিমান্ডে কাওসার
এমপি আনার হত্যা: দুই আসামি ৬ দিনের রিমান্ডে
৩ মাস আগে
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর ভবনের ভিত্তি প্রস্তর ও নির্মাণ কাজের উদ্বোধন
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের নতুন ২টি বেজমেন্টসহ ১০ তলা ভিত বিশিষ্ট ৮ তলা মূলভবণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন ও নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান।
সোমবার(৩ জুন) রাজধানীর খামারবাড়িতে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের সক্ষমতা জোরদারকরণ প্রকল্পের আওতায় ৮২ কোটি ৪৫ লাখ টাকা ব্যয়ে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর চত্বরে এ ভবন নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন মন্ত্রী।
মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উন্নয়নের পথে তার যাত্রা অব্যাহত রেখেছেন। প্রাণিসম্পদের জন্য এধরণের ভবন নির্মাণ তারই বহিঃপ্রকাশ।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী এই জাতি ও দেশ গঠনে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রী সারাক্ষণই দেশ নিয়ে ভাবেন, দেশের মানুষ নিয়ে ভাবেন, প্রাণি নিয়ে ভাবেন। প্রধানমন্ত্রী এ দেশকে এমন এক উচ্চতায় নিয়ে যেতে চান যেখান থেকে এ দেশ কোনো দিন আর পেছনে ফিরবে না, এদেশ সামনের দিকে এগিয়ে যাবে।
নানাবিধ পরিকল্পনার মাধ্যমে প্রাণিসম্পদের উৎপাদনশীলতা বাড়ানোর জন্য উপযুক্ত জনগোষ্ঠী তৈরির নিমিত্তে দৃষ্টি নন্দন একটি ভবন তৈরি করার ব্যবস্থা প্রধানমন্ত্রী যে আশা নিয়ে করে দিয়েছেন, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা তা পূরণ করবেন বলে মন্ত্রী এসময় আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
আরও পড়ুন: ঈদুল আজহায় ১ কোটি ৩০ লাখ গবাদিপশুর যোগান দেওয়া হবে: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, এই ভবন তৈরিকে সামনে রেখে যাতে কোনো বাড়তি উৎপাতের জন্ম না হয় সেদিকে বিশেষভাবে খেয়াল রাখতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনার এই বাংলাদেশে যারা দেশকে কন্ট্রিবিউট করতে চায়, যারা মানুষকে কন্ট্রিবিউট করতে চায়, যারা প্রাণিসম্পদকে কন্ট্রিবিউট করতে চায়, তাদেরকে স্বাগত জানানো হবে।
তিনি আরও বলেন, তবে শেখ হাসিনার এই বাংলাদেশে কোন নষ্ট মানুষের জায়গা হবে না এবং আজকের তথ্য প্রযুক্তির এই যুগে দৈহিক শক্তি ব্যবহার করে কোন কিছুই করা যাবে না।
মন্ত্রী বলেন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের আটটি দপ্তর যদি একসঙ্গে পরিকল্পনা মাফিক কাজ করতে পারে তাহলে প্রধানমন্ত্রী যেটি আমাদের কাছ থেকে প্রত্যাশা করেন তা আমরা দিতে পারব।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ সেবা ত্বরান্বিত ও অধিদপ্তরের কর্মপরিবেশ ও কর্মকর্তা/কর্মচারীদের কর্মদক্ষতা উন্নয়নে ভবনটি বিশেষ অবদান রাখবে বলে এসময় তিনি আশা প্রকাশ করেন।
আধুনিক সুযোগ সুবিধাসম্পন্ন নান্দনিক এ ভবনটি নির্মিত হলে সেবাগ্রহীতাদের সেবাপ্রদান আরও সহজতর হবে বলেও তিনি এসময় মন্তব্য করেন।
উল্লেখ্য, ভবনটির আয়তন প্রায় ১ লাখ স্কয়ার ফিট। ভবনটিতে ২টি বেইজমেন্ট রয়েছে, যেখানে প্রায় ৪৪টি গাড়ি পার্কিংয়ের সুযোগ থাকবে।
এছাড়া ভবনটিতে প্রায় ২২০ জনের মাল্টিপারপাস হলরুম, ৬০ জনের ১টি কনফারেন্স রুম, ২৫ জনের ১টি কম্পিউটার ল্যাব, ৬০ জনের ১টি প্রশিক্ষণ রুমের ব্যবস্থা থাকবে।
এছাড়াও ৩৫ জন নারী ও ১২২ জন পুরুষের পৃথক নামাজের ব্যবস্থা, পুরুষ ও নারীদের পৃথক ওয়াশরুম, রিসিপশন, অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা, ওয়েটিং রুম, সার্ভার রুম, ডে-কেয়ার সেন্টার, ডক্টরস রুম ও ক্যাফেটেরিয়ার সু-ব্যবস্থা থাকবে।
ভবনটিতে উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন বৈদ্যুতিক সাবষ্টেশন, জেনারেটর ও ৪টি লিফট, স্যুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্লান্ট ও সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য আরবরিকালচার ও ট্রেস গার্ডেনের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
ভবনটির নির্মাণ কাজের সময়কাল ধরা হয়েছে ১৮ মাস।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মোহাম্মদ রেয়াজুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ভেটেরিনারি এসোসিয়েশন (বিভিএ) এর মহাসচিব ড. মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান মোল্লা, বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোহাম্মদ ইমরান হোসেন, বাংলাদেশ কৃষক লীগের সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দ, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. তোফাজ্জেল হোসেন ও অতিরিক্ত সচিব এ.টি.এম. মোস্তফা কামাল এসময় বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: এসডিজি অর্জনে সরকার সঠিক পথে রয়েছে: অর্থ প্রতিমন্ত্রী
টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিতে ডিআরএফ প্রণয়ন করা হবে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
৫ মাস আগে
ফতুল্লায় ভবন থেকে পড়ে বিদেশি প্রকৌশলীর মৃত্যু
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার বিসিকে পাওয়ার প্ল্যান্টের ভবন থেকে নিচে পড়ে ঝাং জি বিন নামে চীনের এক প্রকৌশলীর মৃত্যু হয়েছে।
বুধবার (১৭ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৯টায় পঞ্চবটি বিসিক শিল্পনগরীতে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
চীনের নাগরিক ঝাং জি বিন টিবিইএ কোম্পানির ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
আরও পড়ুন: নওগাঁয় দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে দম্পতি নিহত
টিবিইএ কোম্পানি লিমিটেড নামে প্রতিষ্ঠানটির দোভাষী মো. সেলিম বলেন, পঞ্চবটিতে বিসিক এলাকায় একটি পঞ্চম তলা ভবনে পাওয়ার প্ল্যান্ট তৈরির কাজ করার সময় ভবনটির দ্বিতীয় তলায় ফ্লোরে বিদ্যুতের তার সঞ্চালনার ফাঁকা জায়গায় একটি কাঠ পেতে তার উপর দাঁড়িয়ে কাজ করছিলেন ঝাং জি বিন। হঠাৎ সেই কাঠটি ভেঙে গেলে সেই ফাঁকা জায়গা দিয়ে বেজমেন্টে পড়ে যান। এতে গুরুতর আহত হন তিনি। সঙ্গে সঙ্গে তাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। তবে অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির (পরিদর্শক) ইন্সপেক্টর মো. বাচ্চু মিয়া বলেন, চীনের নাগরিকের লাশটি মর্গে রাখা হয়েছে। ঘটনাটি সংশ্লিষ্ট ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেবে।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে বয়লার বিস্ফোরণে চীনের নাগরিক নিহত
গাজীপুরে বয়লার বিস্ফোরণে চীনের নাগরিক নিহত
৭ মাস আগে
মালিবাগে ভবনের ছাদ থেকে পড়ে নারীর মৃত্যু
রাজধানীর মালিবাগে একটি ভবনের ছাদ থেকে পড়ে ৪০ বছর বয়সী এক নারীর মৃত্যু হয়েছে।
নিহত আনোয়ারা বেগম ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাসিন্দা এবং মিরপুর জোনের ডিবি পুলিশের সহকারী কমিশনার মো. তরিকুল ইসলামের বাসায় কাজ করতেন।
সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মালিবাগ রেলগেট এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: খিলক্ষেতে ঘুড়ি ওড়াতে গিয়ে ছাদ থেকে পড়ে শিশুর মৃত্যু
শাজাহানপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুজিত কুমার সাহা জানান, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মালিবাগের রেলগেট এলাকায় ১০ তলা ভবনের ছাদে হাঁটার সময় হঠাৎ পা পিছলে মাটিতে পড়ে গুরুতর আহত হন আনোয়ারা বেগম।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ময়নাতদন্তের জন্য লাশ হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে বলেও জানান ওসি।
ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনের পর মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: রাজধানীর বনশ্রীতে ছাদ থেকে পড়ে ব্যবসায়ীর মৃত্যু
রাজধানীর হাজারীবাগে মাদরাসার ছাদ থেকে পড়ে শিশুর মৃত্যু
৯ মাস আগে
মতিঝিলের এজিবি কলোনির ভবন থেকে পড়ে নারীর মৃত্যু
রাজধানীর মতিঝিলের এজিবি কলোনির একটি ভবনের অষ্টম তলা থেকে পড়ে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) ওই নারীর মৃত্যু হয় বলে নিশ্চিত করেছে পুলিশ।
নিহত মোছাম্মাৎ হামিদা আক্তার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পুলিশ কনস্টেবল সাদ্দাম হোসেনের স্ত্রী।
মতিঝিল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ফাতেমা জানান, সকাল সাড়ে ৯টার দিকে হামিদা আক্তার এজিবি কলোনির ৮/বি ফ্ল্যাটের ৩ নম্বর ভবনের বারান্দা থেকে পড়ে যান।
আরও পড়ুন: নিখোঁজের ৫ দিন পর মাটির নিচ থেকে নিরাপত্তা প্রহরীর লাশ উদ্ধার
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে অচেতন অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে।
পরে বেলা ১১টার দিকে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
লাশ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে বলে জানান পুলিশের ওই এসআই।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে কিশোরের গলাকাটা লাশ উদ্ধার
১০ মাস আগে
হোল্ডিং ট্যাক্স নির্ধারণে ভবনের ছবি বাধ্যতামূলক করেছে কেসিসি
হোল্ডিং ট্যাক্স (গৃহকর) নির্ধারণের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট ভবনের ছবি বাধ্যতামূলক করেছে খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি)।
মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) থেকে এ বিষয়টি নিশ্চিত করার নির্দেশনা দিয়েছেন কর আদায় শাখার প্রধান ও রাজস্ব কর্মকর্তা মো. অহিদুজ্জামান খান।
কেসিসির রাজস্ব কর্মকর্তা মো. অহিদুজ্জামান খান বলেন, হোল্ডিং ট্যাক্স ধরার জন্য এখন নতুন ভবন ও বর্ধিত ভবনের ছবি বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। হোল্ডিং ট্যাক্সের বিল নথির সঙ্গে ওই ছবি যুক্ত থাকবে। এতে করে নগরীর সব ভবনের প্রকৃত ধারণা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে থাকবে। এতে করে হোল্ডিং ট্যাক্স ধার্য করার সময় যে অনিয়ম হতো তা অনেকাংশে কমবে। বাড়বে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি এবং রাজস্ব আয়। একই সঙ্গে এখন ভবন মালিকরা ইচ্ছা করলেই ঘরে বসে হোল্ডিং ট্যাক্স অনলাইনে জমা দিতে পারেন। এতে করে বাড়ির মালিকদের সময় বাঁচবে আর ঝামেলা মুক্ত থাকবেন।
তিনি বলেন, নগরীতে নতুন করে ১ হাজার ১৫৮টি ভবন হয়েছে। যার বিপরীতে ট্যাক্স ধরা হয়েছে ২ কোটি ৬ লাখ ২৬ হাজার ৫৯ টাকা। এছাড়া ১ হাজার ৪০৩টি ভবনের ট্যাক্স হালনাগাদ করা হয়েছে। এসব ভবনের বিপরীতে ৪ কোটি ৪৬ লাখ ৮৯ হাজার ৫৮৮ টাকা হোল্ডিং ট্যাক্স ধার্য করা হয়েছে। চলতি বছরে নতুন করে মোট ৬ কোটি ৫৩ লাখ ১৬ হাজার ৯৫০ টাকা হোল্ডিং ট্যাক্স ধরা হয়েছে। এ ট্যাক্স আদায়ে কেসিসি নতুন নতুন কৌশল গ্রহণসহ তৎপর রয়েছে বলে তিনি জানান।
আরও পড়ুন: খুলনা সিটি নির্বাচনে আ. লীগ সমর্থিত প্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেক জয়ী
কেসিসির প্যানেল মেয়র-৩ ও সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর মেমরী সুফিয়া রহমান শুনু বলেন, ভবন মালিকদের সহনীয় পর্যায়ে হোল্ডিং ট্যাক্স ধরা হয়েছে। এতে করে ভবন মালিকরা সন্তুষ্টচিত্তে নির্ধারিত সময়ে হোল্ডিং ট্যাক্স পরিশোধ করছেন।
এছাড়া এককালীন হোল্ডিং ট্যাক্স পরিশোধের ক্ষেত্রে ভবন মালিকদের ছাড় দেওয়াসহ নানা ধরনের সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে সচেতন হোল্ডিং মালিকরা কেসিসি এ সুবিধা নিচ্ছেন বলে তিনি জানান।
এদিকে খুলনা নগরীতে ৭৬ হাজার ৬২৮টি হোল্ডিং রয়েছে। এর বিপরীতে ২০২২-২৩ অর্থ বছরে কেসিসি প্রায় সাড়ে ৪২ কোটি টাকা হোল্ডিং ট্যাক্স আদায় করে। আনাদায়ী রয়েছে প্রায় কোটি টাকার মতো।
আরও পড়ুন: খুলনা সিটি করপোরেশনের প্রথম মেয়র সিরাজুল ইসলাম আর নেই
কর আদায় শাখার প্রধান তপন কুমার নন্দী বলেন, অনাদায়ী ১০০ কোটি টাকার হোল্ডিং ট্যাক্সের বড় অংশ আদায় করা অনেকটাই অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। এর মধ্যে নৌ বাহিনীর, বন্ধ পাটকল, এজাক্স জুট মিল, দৌলতপুরের কয়েকটি পাটের গোডাউনসহ বড় বড় কয়েকটি প্রতিষ্ঠান থেকে বকেয়া হোল্ডিং ট্যাক্স আদায় অনেকটা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের কেসিসির পাওনা ৫০ কোটি টাকার মতো হবে।
তবে বকেয়া টাকা ধারাবাহিকভাবে আদায় করা হচ্ছে। আগের মতো বাড়ির মালামাল ক্রোকসহ নানা ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এখন আর ঘটছে না। ভবন মালিকরা অনেক সচেতন, তারা নির্ধারিত সময়ে হোল্ডিং ট্যাক্স পরিশোধ করছেন বলে জানান তপন নন্দী।
বকেয়া হোল্ডিং ট্যাক্স আদায়ের গতি বিগত দিনের চেয়ে অনেক বেড়েছে বলেও দাবি করেন তিনি।
আরও পড়ুন: খুলনা সিটি কর্পোরেশনের ১ হাজার ৮২ কোটি ৯৯ লাখ ১৯ হাজার টাকার বাজেট ঘোষণা
১০ মাস আগে
চট্টগ্রাম ওয়াসা ভবনে দুদক, নথিপত্র জব্দ
চট্টগ্রাম ওয়াসার পাম্প অপারেটর নিয়োগ ও বিভিন্ন প্রজেক্টে আর্থিক অনিয়ম তদন্তে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
এরই অংশ হিসেবে বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম ওয়াসায় আসেন দুদকের উপপরিচালক ফখরুল ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি টিম। সেখানে প্রায় এক ঘণ্টা অবস্থান করে বিভিন্ন নথিপত্র জব্দ করেছে দুদক টিম।
আরও পড়ুন: ১০ দিনের মধ্যে সব ভবনের মালিককে কাগজপত্র দিতে হবে: মেয়র আতিকুল
এসময় ওয়াসার চেয়ারম্যান এ কে এম ফজলুল্লাহ ও প্রধান প্রকৌশলী মাকুসদ আলমের সঙ্গে দেখা করেন তারা।
বিষয়টি নিশ্চিত করে দুদকের উপপরিচালক ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘অনেক আগে থেকে চট্টগ্রাম ওয়াসার বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ এসেছিল। তাছাড়া সদ্য ওয়াসার পাম্প অপারেটর নিয়োগ বিষয়ে অভিযোগ আছে। এসব বিষয়ে বুধবার প্রয়োজনীয় নথিপত্র সংগ্রহ করেছি। সবকিছু যাচাই-বাছাই করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করব।’
এছাড়া নথিপত্রে কোনো অনিয়ম পাওয়া গেছে কি না- এমন প্রশ্নে তদন্তাধীন বিষয়ে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
চট্টগ্রাম ওয়াসার প্রধান প্রকৌশলী মাকসুদ আলম বলেন, ‘চট্টগ্রাম ওয়াসায় ঠিকাদার ও পরামর্শক নিয়োগ কীভাবে হয় এসব বিষয়ে খবর নেওয়ার জন্য দুদকের একটি টিম এসেছিল। জরুরি কাগজপত্র সংগ্রহ করার পর এমডি স্যারের সঙ্গে কথা বলে তারা চলে যান।’
আরও পড়ুন: রেললাইন কাটা, গাড়িতে আগুন দিয়ে মানুষ পোড়ানো- এ কোন রাজনীতি: তথ্যমন্ত্রী
বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহী স্পেনের ব্যবসায়ীরা: বিদায়ী রাষ্ট্রদূত
১১ মাস আগে
ভুটানে বাংলাদেশ দূতাবাস ভবনের নির্মাণ কাজ শুরু
হিমালয়ের লীলাভূমি ভুটানের রাজধানী থিম্পুতে বাংলাদেশ দূতাবাস ভবনের নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে।
সোমবার (২৭ নভেম্বর) থিম্পুর নতুন কূটনৈতিক এলাকা হেজো-সামতেলিংয়ে ভুটান সরকার কর্তৃক প্রদত্ত জমিতে বাংলাদেশ দূতাবাসের নিজস্ব ভবন নির্মাণের জন্য নির্মাণ প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
থিম্পুতে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভুটান ও বাংলাদেশ নিজ নিজ রাজধানীতে দু’দেশের পরস্পরের দূতাবাস ভবন নির্মাণের জন্য জমি প্রদান করেছে। এর ধারাবাহিকতায় ভুটান সরকার থিম্পুর সুপ্রিম কোর্টের পাশে নির্ধারিত কূটনৈতিক এলাকায় বাংলাদেশের জন্য ১ দশমিক ৫ একর জমি প্রদান করে। উক্ত জমিতে দূতাবাস ভবন নির্মাণের জন্য ২০১৭ সালের ১৯ এপ্রিল বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ও ভুটানের রাজা ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
এতে আরও বলা হয়, ভুটান সরকার প্রদত্ত জমিতে ভবন নির্মাণের জন্য আন্তর্জাতিক দরপত্রের মাধ্যমে দেশটির ‘বজ্র বিল্ডার্স প্রাইভেট লিমিটেড’ নামক নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান নির্বাচিত হয়।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-ভুটান দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক: থিম্পুতে স্থাপিত হবে বিশেষ বার্ন ইউনিট
১১ মাস আগে
চট্টগ্রামে ভবন হেলে পড়ার ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন
চট্টগ্রাম মহানগরীর বায়েজিদ রৌফাবাদ এলাকায় একটি ৪তলা ভবন হেলে পড়ার ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করেছে জেলা প্রশাসন।
শনিবার (২৫ নভেম্বর) রাতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৭ সদস্যের কমিটি গঠনের কথা জানানো হয়।
এর আগে সন্ধ্যা ৬টার দিকে বায়েজিদ বোস্তামি থানার রৌফাবাদ হাউজিং সোসাইটি এলাকায় খোরশেদ ম্যানশন নামে একটি ৪ তলা ভবন হেলে পড়ে এক পাশে।
এর পরপরই অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সাদিউর রহিম জাদিদ, কাট্টলী সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) উমর ফারুক, চাঁন্দগাও সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফেরদৌস আরা ও জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তার উপস্থিতিতে ফায়ার সার্ভিসের ৩টি ইউনিট উক্ত ভবনের বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিয়ে আনে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে হেলে পড়েছে চারতলা ভবন
আশে পাশের আরো ৪টি ভবন ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচনায় সেগুলোর বাসিন্দাদেরও সরিয়ে আনা হয়েছে। মোট ১০০টি পরিবারকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে আনা হয়েছে।
চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ ও র্যাবের সহায়তায় জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা কাজ করে যাচ্ছেন।
জানা গেছে, মূল হেলে পড়া ভবনটির পেছনে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) খাল খনন প্রকল্পের কাজ সেনাবাহিনী বাস্তবায়ন করছে। সেই খাল খনন করায় ভবনের পিলার দুর্বল হয়ে পড়েছে- এমনটাই দাবি করছেন বাসিন্দারা। অপরদিকে সিডিএ'র প্রধান প্রকৌশলী জানান, উক্ত ভবন অপসারণ করার কথা ছিল এবং ভবনের মালিক অপসারণের জন্য সময় নিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: মহাখালীতে বহুতল ভবনে আগুন
জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, ঘটনা তদন্তে জেলা প্রশাসনের পক্ষ হতে উপপরিচালক স্থানীয় সরকারকে প্রধান করে ৭ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, উক্ত কমিটিতে সিএমপি'র প্রতিনিধি, সিটি করপোরেশনের প্রতিনিধি, সিডিএ'র প্রতিনিধি, বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, ফায়ার সার্ভিসের প্রতিনিধি, পিডব্লিউডি'র প্রতিনিধিকে রাখা হয়েছে। কমিটি প্রয়োজনে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞদের মতামত গ্রহণ করবে। ৭ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ ৫টি ভবনে কেউ যেন পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বসবাস না করেন সে জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ হতে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। বাসিন্দাদের আশ্রয়ের জন্য আশেপাশের বিদ্যালয় খোলা রাখা হয়েছে। পাশাপাশি খাবারের ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ডেমরায় নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে শ্রমিকের মৃত্যু
১১ মাস আগে