ধস
রাশিয়ায় ভবন ধসে নিহত ৪
রাশিয়ার নিঝনি তাগিল শহরে একটি আবাসিক ভবনের আংশিক ধসে পড়ে অন্তত চারজন নিহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার(১ আগস্ট) রাশিয়ার সভেরদলভস্ক ওব্লাস্টের নিঝনি তাগিল শহরে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
শুক্রবার(২ আগস্ট) দেশটির জরুরি পরিস্থিতি মন্ত্রণালয় (ইএমইআরকম) জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার একটি পাঁচতলা ভবনে গ্যাস-বায়ু মিশ্রণের বিস্ফোরণে দুটি প্রবেশদ্বার ধসে পড়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে বিস্ফোরণ, নিহত ৪
এতে বলা হয়, ধ্বংসস্তূপ থেকে সাত শিশুসহ মোট ১৫ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে।
নিঝনি তাগিলের জেরঝিনস্কিতে এ ঘটনার পর জেলায় জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। তদন্ত কমিটি সুরক্ষার প্রয়োজনীয়তা পূরণ করে না, এমন পরিষেবা বা কাজের বিষয়ে একটি ফৌজদারি মামলা দায়ের করেছে।
আরও পড়ুন: ভারতের দক্ষিণাঞ্চলে ভূমিধসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৫১
৩ মাস আগে
চট্টগ্রামে ফ্লাইওভারের গার্ডার ধস মামলার রায় ১০ জুলাই
চট্টগ্রামে বহদ্দারহাটে ফ্লাইওভারের গার্ডার ধসে ১৩ জনের মৃত্যুর মামলায় রায় ঘোষণা করা হবে আগামী ১০ জুলাই। এই মামলার আট আসামির সবাই ঠিকাদার মীর আখতার-পারিসার (জেভি) তৎকালীন কর্মী।
মঙ্গলবার (২৫ জুন) চট্টগ্রামের চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ শরীফুল আলম ভূঁঞা এ আদেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন বেঞ্চ সহকারি ওমর ফুয়াদ।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে ট্রেনে কাটা পড়ে দুই যুবকের মৃত্যু
আসামিরা হলেন- প্রকল্প ব্যবস্থাপক গিয়াস উদ্দিন, মনজুরুল ইসলাম, প্রকৌশলী আবদুল জলিল, আমিনুর রহমান, আবদুল হাই, মোশাররফ হোসেন, মান নিয়ন্ত্রণ প্রকৌশলী শাহজাহান আলী ও রফিকুল ইসলাম।
এদের মধ্যে রফিকুল ইসলামের নাম মামলার এজাহারে ছিল না। তদন্ত শেষে পুলিশ তার নাম অভিযোগপত্রে যুক্ত করেন।
ওমর ফুয়াদ বলেন, ‘মোট ২৮ জন সাক্ষীর মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষের ২২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে। সাতজন আসামি সাফাই সাক্ষ্য দিয়েছেন। সাত কর্মদিবসে রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামি পক্ষের আইনজীবীদের যুক্তিতর্ক শেষ হয়েছে। এরপর আদালত ১০ জুলাই রায়ের দিন ধার্য করেছেন।’
২০১২ সালের ২৪ নভেম্বর সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম নগরীর বহদ্দারহাট এলাকায় নির্মাণাধীন ফ্লাইওভারের তিনটি গার্ডার ভেঙে ১৩ জন নিহত হন। আহত হন অর্ধশতাধিক।
ফ্লাইওভার নির্মাণের কাজ করছিল চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ)। তখন সিডিএর চেয়ারম্যান ছিলেন বর্তমান সংসদ সদস্য আবদুস ছালাম।
এ ঘটনার পর ২৬ নভেম্বর নগরীর চান্দগাঁও থানায় একটি মামলা দায়ের হয়। মামলা করেছিলেন চান্দগাঁও থানার তৎকালীন উপপরিদর্শক (এসআই) আবুল কালাম আজাদ।
মামলায় চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) তিন কর্মকর্তাসহ মোট ২৫ জনকে আসামি করা হয়।
এরা হলেন- প্রকল্প পরিচালক সিডিএর নির্বাহী প্রকৌশলী হাবিবুর রহমান, সহকারী প্রকৌশলী তানজিব হোসেন ও উপসহকারী প্রকৌশলী সালাহ উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী।
এছাড়া ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান মীর আক্তার অ্যান্ড পারিশা ট্রেড সিস্টেমসের (জেভি) ১০ জন এবং বেসরকারি পরামর্শক প্রতিষ্ঠান এসএআরএম অ্যাসোসিয়েটস অ্যান্ড ডিপিএমের ১২ জনকে আসামি করা হয়।
তদন্ত শেষে ২০১৩ সালের ২৪ অক্টোবর চান্দগাঁও থানার তৎকালীন পরিদর্শক (তদন্ত) এস এম শহীদুল ইসলাম আটজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
এতে সিডিএর তিন কর্মকর্তা, ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ তিনজন এবং পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ মতিনসহ ১২ জনের নাম বাদ দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাটে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে কৃষকের মৃত্যু
শরীয়তপুরে পুকুরে ডুবে শিশুর মৃত্যু
৪ মাস আগে
মাগুরায় বিদ্যালয়ের দেয়াল ধসে ৮ শিক্ষার্থী আহত
মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার শ্রীপুর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের ছাদের নিচের কংক্রিটের বিম ভেঙে চাপা পড়ে ৮ শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। শনিবার (১৮ নভেম্বর) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলো- রিথি বেগম (১৩), আম্বিয়া আক্তার (১৪), রিয়া আক্তার (১৩), আশরাদা জান্নাত (১৩), নূপুর খাতুন (১৪), নাদিয়া বেগম (১২), মিতু (১৩) ও মমি আক্তার (১৩)।
এদের মধ্যে- মমি আক্তারকে সদরের ডিজিটাল প্রাইভেট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ডান হাতের হাড় ভেঙে রিয়া ও দুই হাতের আঙুল ভেঙে নুপুর খাতুনকে মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ সময় লাইব্রেরিয়ান কায়কোবাদ বিদ্যালয়ে উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: পার্বতীপুরে ট্যাংকলরি বিস্ফোরণে নিহত ১, আহত ২
তিনি জানান, বিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক ভবনের চতুর্থ তলার ৪০১ নম্বর কক্ষে সপ্তম শ্রেণির বার্ষিক সামষ্টিক মূল্যায়ন পরীক্ষা চলছিল। দুপুর পৌনে ১টার দিকে ওই কক্ষের মাঝখানে বাঁশ দিয়ে ঠেকিয়ে রাখা অর্ধেক দেয়ালের অংশ ধসে পড়ে আট শিক্ষার্থী আহত হয়। এদিকে ঘটনার সময় অন্য কোনো শিক্ষক বিদ্যালয়ে উপস্থিত ছিলেন না।
নাসিরুল ইসলাম নামে এক অভিভাবক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, দেয়াল পুরোটা না ভেঙে শুধু বাঁশ দিয়ে ঠেস দিয়ে রাখাটা কোনোভাবেই বিবেচনা প্রসূত কাজ হয়নি।
এ বিষয়ে বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক উত্তম কুমার অধিকারী বলেন, ঘটনার বিষয়ে শুনেছি। তবে আমি এখন বাইরে আছি।
এ বিষয়ে মাগুরা জেলা প্রশাসক মোহম্মদ আবু নাসের বেগ বলেন, শ্রীপুরে একটি বিদ্যালয়ে পরীক্ষা চলাকালে কংক্রিটের বিম ভেঙে আহত হয়েছে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী। শ্রীপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
খবর পেয়ে শ্রীপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) গৌতম ঠাকুর বলেন, পার্টিশন পুরোটা না ভেঙে বিমের নিচের খানিকটা ওয়াল বাঁশ দিয়ে ঠেস দিয়ে রেখে দেওয়া হয়েছিল। যা মোটেও ঠিক হয়নি। এতে অনেক বড় ধরনের বিপদ ঘটতে পারত।
আরও পড়ুন: ঢাকার কদমতলীতে স্টিল মিলের আগুনে দগ্ধ হয়ে নিহত ১, আহত ৩
সুনামগঞ্জে পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষে সাংবাদিকসহ আহত ১০
১ বছর আগে
টেকনাফে মাটির দেয়াল ধসে একই পরিবারের ৪ জন নিহত
কক্সবাজারের টেকনাফ হ্নীলা মৌলভীবাজার এলাকায় মাটির দেয়াল ধসে একই পরিবারের চারজনের মৃত্যু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১১৬ নভেম্বর) দিবাগত রাত ২টার দিকে উপজেলা হ্নীলা মৌলভীবাজার মরিচ্যা ঘোনার পানিরছড়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
দেয়াল ধসে মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাশেদ মোহাম্মদ আলী।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে পাহাড় ও দেয়াল ধসে প্রাণ গেল চারজনের
নিহতরা হলেন, আনোয়ারা বেগম (৫০), ছেলে শাহিদুল মোস্তফা (২০), মেয়ে নিলুফা ইয়াছমিন (১৫) ও সাদিয়া (১১)।
ইউপি চেয়ারম্যান রাশেদ মোহাম্মদ আলী বলেন,বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই ঝড়-বৃষ্টি শুরু হয়। মৌলভীবাজার মরিচ্যা ঘোনা এলাকার আনোয়ারা বেগম তার ছেলে-মেয়েদের নিয়ে রাতের খাবার শেষে তাদের মাটির তৈরি ঘরে স্ত্রীকে নিয়ে ঘুমাতে যান। রাতে প্রচণ্ড বৃষ্টিতে ঘরের মাটির দেয়াল ধসে তাদের ওপর পড়ে। ঘটনাস্থলেই ৪ জনের মৃত্যু হয়। শুক্রবার সকালে স্থানীয়রা বিষয়টি টের পেয়ে তাদের লাশ উদ্ধার করে।
টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ওসমান গণি বলেন, পুলিশ টিম ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করেছে।
আরও পড়ুন: বাঁশখালীতে অতি বৃষ্টিতে ঘরের দেয়াল ধসে শিশুর মৃত্যু
১ বছর আগে
সিলেটে টিলা ধসে ঘুমন্ত শিশুর মৃত্যু
সিলেটে চা বাগানের টিলা ধসে অর্চনা ছত্রী (১১) নামে ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (৭ অক্টোবর) ভোরে ঘুমন্ত অবস্থায় বাড়ির ওপর টিলার মাটি ধসে পড়লে শিশুটি চাপা পড়ে।
অর্চনা সিলেট সদর উপজেলার খাদিমনগর ইউনিয়নের খাদিম চা বাগানের বুলবুল ছত্রীর মেয়ে।
আরও পড়ুন: সিলেটে ছাদে ফুটবল খেলতে গিয়ে শিশুর মৃত্যু
খাদিমনগর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আতাউর রহমান জানান, টানা বৃষ্টির কারণে টিলার মাটি ধসে ঘুমন্ত শিশু অর্চনাকে চাপা দিলে সে মারা যায়। স্থানীয়রা মাটির নিচ থেকে বুলবুল ছত্রী, তার স্ত্রী এবং চার বছরের এক শিশুকে উদ্ধার করে। তবে এ সময় শিশু অর্চনাকে পাওয়া যাচ্ছিল না। প্রায় দুই ঘণ্টা পর তাকে ঘরের মধ্যে মাটিচাপা পড়া অবস্থায় উদ্ধার করেন স্থানীয়রা।
সিলেট সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাছরীন আক্তার বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পুনর্বাসনের জন্য কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদন করা হয়েছে।
এছাড়াও, পাহাড়-টিলার নিকট ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারীদের নিরাপদে সরে যেতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে মাইকিং করে জানানো হয়েছে।
সিলেট মহানগরীর এয়ারপোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মঈন উদ্দিন সিপন বলেন, এক শিশুর মৃত্যুর খবর পেয়েছি। তবে স্থানটি দুর্গম হওয়ায় পুলিশ ঘটনাস্থলে যেতে পারেনি।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় গর্তে জমে থাকা বৃষ্টির পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
ফেনীতে আগুনে ঘুমন্ত ২ শিশুর মৃত্যু, দগ্ধ মা
১ বছর আগে
রাজবাড়ীতে বালুর স্তূপ ধসে নিহত ৩
রাজবাড়ী সদর উপজেলার চন্দনী ইউনিয়নের জৌকুড়া ঘাটে বালুর চাতাল থেকে ট্রাকে বালু উঠানোর সময় বালুর স্তূপ ধসে বালুর নিচে চাপা পড়ে ৩ জন নিহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- বালু ব্যবসায়ী আব্দুর রহিম শেখ (৫৫), ভেকু (এস্কেভেটর) চালক মারুফ শেখ (২২) এবং ট্রাকচালক রিপন আলী ওরফে ইমরান (৩৮)।
স্থানীয়রা জানান, জৌকুড়া ঘাট এলাকার বালু ব্যবসায়ী হান্নানের রয়েছে বড় আকারের বালুর চাতাল। ওই চাতাল থেকে নিয়মিত বালু বিক্রি করা হয়। রাত ১১টার দিকে বালুর স্তূপ উপর থেকে ভেকু দিয়ে ১০ চাকার একটি ট্রাকে বালু ভর্তির কাজ করা হচ্ছিল।
আরও পড়ুন: ফুলবাড়ীতে বালুভর্তি ট্রাক্টরচাপায় চালক নিহত
তারা আরও জানান, তখন হঠাৎ করেই বালুর স্তূপের উপর থেকে ভেকুসহ বালু নিয়ে ওই ট্রাকের উপর পরে। এতে ঘটনাস্থলেই বালুর চাতাল মালিক হান্নানের ভাই আব্দুর রহিম, ভেকুচালক মারুফ শেখ এবং ১০ চাকার ট্রাকচালক রিপন আলী ওরফে ইমরান নিহত হয়।
রাজবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) মো. এসরাকুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
পরবর্তীতে বিস্তারিত জানানো হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: পাবনায় ‘অবৈধ বালুর স্তুপে’ চাপা পড়ে ২ শিশুর মৃত্যু
সুনামগঞ্জে অবৈধভাবে বালু ও পাথর উত্তোলন, আটক ২: নৌপুলিশ
১ বছর আগে
কক্সবাজারে পাহাড় ধসে বৃদ্ধ নিহত
কক্সবাজারে পাহাড় ধসে এক বৃদ্ধ নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে জেলা সদরের ঝিলংঝা ইউনিয়নের পূর্বলারপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত বৃদ্ধ মোহাম্মদ আজম (৬৫) কক্সবাজার সদরের ঝিলংঝার পূর্বলার পাড়া এলাকার বাসিন্দা।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে মানসিক প্রতিবন্ধী ছেলের কিল-ঘুষিতে বাবা নিহত
স্থানীয়রা জানান, আজম পাহাড় কেটে ঘর নির্মাণ করেছিল। কিন্তু সেই বাড়িতে রাতে পাহাড়ের কিছু মাটি ধসে পড়ে। পরে মাটি সরানোর জন্য আজম সেখানে যান। এ সময় ধসে পড়া মাটি সরানোর সময় ওপর থেকে পাহাড়ের আরও মাটি ধসে পড়লে আজম চাপা পড়েন। পরে তার স্ত্রীর চিৎকার শুনে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
আরও পড়ুন: কেরাণীগঞ্জে রাসায়নিক গুদামে অগ্নিকাণ্ডে নিহত ৪, আহত ৭
বাঁশখালীতে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
১ বছর আগে
টঙ্গীতে দেয়াল ধসে ৩ জনের মৃত্যু, আহত ৪
গাজীপুরের টঙ্গীতে দেয়াল ধসে ৩ জন নিহত হয়েছেন। শনিবার (২৯ জুলাই) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে টঙ্গীর পাগাড় ঝিনু মার্কেট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৪ জন। আহতদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: ভারতে দেয়াল ধসে নিহত ৯
নিহতরা হলেন- ময়মনসিংহের নান্দাইলের করইকান্দি গ্রামের আলী হোসেনের ছেলে বকুল হোসেন, একই গ্রামের বাসিন্দা সুবজ ও নয়ন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গত ২০ দিন ধরে ঝিনু মার্কেট এলাকায় গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ড্রেন নির্মাণের কাজ করছিলেন তারা। প্রতিদিনের মতো শনিবারও ড্রেন নির্মাণের জন্য মাটি কাটছিলেন শ্রমিকরা। এসময় একটি বাড়ির সীমানাপ্রাচীর ধসে পড়লে গুরুতর আহত হন শ্রমিকরা। পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে টঙ্গীর শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক ৩ জনকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে টঙ্গী পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, নিহতদের লাশ ময়নাতদন্ত করার প্রক্রিয়া চলছে। অভিযোগ পাওয়ার পর এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে দেয়াল ধসে শিশু নিহত, আহত ৪
গাজীপুরে মাটির দেয়াল ধসে নিহত ১
১ বছর আগে
পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে ভারী বর্ষণে নিহত ২৫, আহত ১৪৫
পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে শনিবার বেশ কয়েকটি বাড়ি ধসে পড়ে এবং কমপক্ষে ২৫ জন নিহত ও ১৪৫ জন আহত হয়।
জ্যেষ্ঠ উদ্ধার কর্মকর্তা খাতের আহমেদ বলেন, খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের বান্নু, লাক্কি মারওয়াত এবং কারাক জেলায় বৃষ্টি ও শিলাবৃষ্টি হয়েছে; গাছ উপড়ে গেছে এবং বৈদ্যুতিক সঞ্চালন টাওয়ার ভেঙে পড়েছে।
তিনি আরও বলেন, কর্মকর্তারা আহতদের জরুরি ত্রাণ দেওয়ার জন্য কাজ করছেন।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানে বন্যা: ১৬ কোটি ডলারের জরুরি সহায়তার আবেদন জাতিসংঘের
গত বছর বর্ষায় বৃষ্টি ও বন্যায় পাকিস্তানে ১ হাজার ৭০০ জনেরও বেশি মানুষ মারা যায়, প্রায় ৩৩ মিলিয়ন মানুষ দুর্যোগের কারণে প্রভাবিত হয় এবং প্রায় ৮ মিলিয়ন মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়।
প্রাকৃতিক দুর্যোগের প্রভাব কমাতে সরকার শুক্রবার উপস্থাপিত জাতীয় বাজেটের খসড়ায় জলবায়ু স্থিতিস্থাপকতার জন্য ১ দশমিক ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বরাদ্দ করেছে।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ শনিবার দুর্যোগে প্রাণহানির ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন এবং কর্তৃপক্ষকে ত্রাণ তৎপরতার গতি বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানে স্মরণকালের সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যার কারণ
পাকিস্তানে লোডশেডিং: সরকারের পক্ষে অবস্থান পাক জ্বালানি মন্ত্রীর
১ বছর আগে
মিজোরামে পাথর খনি ধসে ৮ জনের মৃত্যু
ভারতের মিজোরামে পাথর খনি ধসে আট শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। এসময় আরও ১২ শ্রমিক ভেতরে আটকা পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
সোমবার দুপুর ২টা ৪০ মিনিটের দিকে মিজোরামের নাথিয়াল জেলার মৌদারহ এলাকায় এবিসিআই ইনফ্রাস্ট্রাকচার প্রাইভেট লিমিটেড নামক পাথরের খনিতে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
ভারতীয় গণমাধ্যম এএনআই এর এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এবিসিআই ইনফ্রাস্ট্রাকচার প্রাইভেট লিমিটেডে আটকে পড়া ১২ জনের মধ্যে ৪ জন কর্মচারী এবং ৮ জন ঠিকাদার কর্মচারী।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার সকালে দুইজন অফিসার ও ১৩ জন শ্রমিক নিয়ে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর (এনডিআরএফ) দল গঠন করা হয়েছে।
উদ্ধার অভিযান এখনও অব্যাহত আছে বলে জানা যায়।
নাথিয়াল জেলার অতিরিক্ত ডেপুটি কমিশনার সাইজিকপু সংবাদসংস্থা এএনআই-কে জানিয়েছেন, লাশগুলোর ময়নাতদন্তের পরে তাদের পরিচয় শনাক্ত করা হবে।
আরও পড়ুন: সিইপিএ বাংলাদেশ-ভারত বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াতে পারে: হাইকমিশনার
প্লাস্টিকের ভয়াবহতা বোঝাতে বাংলাদেশে ভারতীয় যুবক
ভারত থেকে দেশে ফিরলেন ২৬ বাংলাদেশি জেলে
২ বছর আগে