মাইক্রোবাস
কুড়িগ্রামে মাইক্রোবাস চাপায় মেয়ে নিহত, বাবা আহত
কুড়িগ্রামে মাইক্রোবাস চাপায় আয়শা আক্তার (১৯) নামে এক শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছে তার বাবা আনিছুর রহমান।
কোচিংয়ে ভর্তি হওয়ার জন্য বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকালে বাবার সঙ্গে রংপুরে যাওয়ার সময় ঘটনাটি ঘটে।
আয়শা কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়নের আজোয়াটারী শিমুলতলা এলাকার পল্লি চিকিৎসক আনিছুরের মেয়ে।
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় ২ জনের মৃত্যু
আয়শা নাগেশ্বরী ডিগ্রি কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন।
আয়শার চাচা নজরুল ইসলাম বলেন, বুধবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বাবা আনিছুর মেয়ে আয়শাকে নিয়ে মোটরসাইকেল করে রংপুরের দিকে যাচ্ছিলেন। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে রংপুর-কুড়িগ্রাম সড়কের নব্দীগঞ্জ এলাকায় পৌঁছালে একটি মাইক্রোবাস তাদের চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই আয়শার মৃত্যু হয়। আহত হন আনিছুর। স্থানীয়রা আনিছুরকে উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠান।
ফুলবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুস সাকিব সজিব বলেন, রংপুর যাওয়ার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় ফুলবাড়ী উপজেলার এক শিক্ষার্থীর মৃত্যুর খবর শুনেছি। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট থানা থেকে বার্তা এখনও আসেনি।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় মা ও মেয়ে নিহত
২ মাস আগে
সিরাজগঞ্জের মাইক্রোবাস-সিএনজির সংঘর্ষে নিহত ৬
সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলায় মাইক্রোবাস ও সিএনজি চালিত অটোরিকশার সংঘর্ষে ৬ জন নিহত হয়েছেন।
রবিবার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে সিরাজগঞ্জ-নলকা আঞ্চলিক মহাসড়কের কুটিরচর এসিআই ফুড কারখানার সামনে ঘটনাটি ঘটে।
আরও পড়ুন: নরসিংদীতে মাইক্রোবাস-কাভার্ডভ্যানের সংঘর্ষে নিহত ৫, আহত ৩
নিহতরা হলেন- রায়গঞ্জের ব্রাহ্মণ বয়রা গ্রামের আমজাদ হোসেনের ছেলে সিএনজি চালক রাশেদুল ইসলাম (২২), তাড়াশের ভাটড়া গ্রামের রমজান আলীর দুই ছেলে নুরুজ্জামান (৫২) ও তারেক রহমান (৫৫), একই গ্রামের মৃত নূর বক্সের দুই ছেলে রজাউল করিম (৬০) ও আব্দুল মজিদ (৫০) এবং একই গ্রামের মৃত মহিউদ্দিনের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম (৫৬)।
কামারখন্দ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল করিম বলেন, নলকা থেকে মাইক্রোবাসটি সিরাজগঞ্জ যাওয়ার পথে সিরাজগঞ্জ-নলকা আঞ্চলিক সড়কের কামারখন্দ উপজেলার ভদ্রঘাট কুঠিরচর এসিআই মিলের সামনে পৌঁছলে বিপরীতমুখী একটি সিএনজির সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটে।
আরও পড়ুন: ঝালকাঠিতে ট্রাক-মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে যুবক নিহত
তিনি বলেন, এতে ঘটনাস্থলেই তিনজন নিহত হন। আহত হন আরও তিনজন। পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহতদের উদ্ধার করে শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠালে সেখানে তিনজনের মৃত্যু হয়।
এছাড়া চালকসহ তিনজনের লাশ থানায় ও অপর তিনজনের লাশ ওই হাসপাতালে রয়েছে বলে জানিয়েছেন ওসি।
আরও পড়ুন: নড়াইলে ট্রাক-মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে যুবক নিহত
২ মাস আগে
কুমিল্লায় বাসের ধাক্কায় মাইক্রোবাসের সব যাত্রীর মৃত্যু
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে মাইক্রোবাসে যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় নারী ও শিশুসহ চারজন নিহত হয়েছে।
শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) সকাল ৬টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে নানকরা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেওয়ান নাজমুল হুদা জানান, সকাল ৬টার দিকে মহাসড়কের নানকরা এলাকায় ঢাকাগামী স্টার লাইন পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস পেছন থেকে মাইক্রোবাসটিকে ধাক্কা দেয়।
এ ঘটনায় ঘটনাস্থলেই তিনজন নিহত হন এবং চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পথে একজনের মৃত্যু হয়।
নিহতদের মধ্যে তিনজন একই পরিবারের সদস্য।
নিহতদের লাশ মিয়াবাজার হাইওয়ে থানায় নেওয়া হয়েছে।
তাৎক্ষণিকভাবে নিহতদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি বলে জানান ওসি।
২ মাস আগে
মেঘনা টোল প্লাজায় মাইক্রোবাসে অগ্নিকাণ্ডে ৫ যাত্রী দগ্ধ
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে একটি যাত্রীবাহী মাইক্রোবাসে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় পাঁচ যাত্রী দগ্ধ হয়েছেন।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সোনারগাঁওয়ে মেঘনা টোলপ্লাজা এলাকার বুধবার (১০ জুলাই) চট্টগ্রামমুখী লেনে এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: কর্ণফুলীতে মাছ ধরার নৌকায় আগুনে দগ্ধ ৫
তবে তাৎক্ষণিক দগ্ধদের নাম পরিচয় জানা যায়নি। কাঁচপুর হাইওয়ে থানার পরিদর্শক (টিআই) আবু নাইম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী জানায়, সকাল ১০টার দিকে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামমুখী একটি মাইক্রোবাস (ঢাকা মেট্রো-চ -১৩২২১৩) নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মেঘনা টোল প্লাজার সামনে সড়ক বিভাজনের সঙ্গে ধাক্কা লাগে।
এতে করে সঙ্গে সঙ্গে মাইক্রোবাসটিতে আগুন ধরে যায়। পরে যাত্রীদের চিৎকারে টোল প্লাজার কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয়রা মাইক্রোবাসটির জানালা ভেঙে তাদের উদ্ধার করে শেখ হাসিনা বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নিয়ে যায়।
কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল হক বলেন, ‘খবর শুনেই ঘটনাস্থলে যাই। এর মধ্যে ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তাদের পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে।’
আরও পড়ুন: রূপগঞ্জে গ্যাসের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে দম্পতি দগ্ধ
ভাষানটেকে আগুনে একই পরিবারের ৬ জন দগ্ধ
৪ মাস আগে
বরগুনায় সেতু ভেঙে কনেযাত্রীবাহী মাইক্রোবাস নদীতে পড়ে নিহত ৯
বরগুনার আমতলী উপজেলায় সেতু ভেঙে কন্যাযাত্রীবাহী মাইক্রোবাস নদীতে পড়ে ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় ১০ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।
শনিবার দুপুর দেড়টার দিকে চাওড়া নদীর উপর নির্মিত হলদিয়া হাট সেতু ভেঙে গেলে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- রুবিয়া (৪৫), রাইতি (২২), ফাতেমা (৫৫), জাকিয়া (৩৫), রুকাইয়াত ইসলাম (৪), তাহিয়া মেহজাবিন আজাদ (৭), তাসফিয়া (১৪), ঋধি (৪) ও রুবি বেগম (৩৫)।
আরও পড়ুন: সৌদিতে সড়ক দুর্ঘটনায় ৩ বাংলাদেশি শ্রমিক নিহত
এদের মধ্যে রুকাইয়াত ইসলাম ও জাকিয়ার বাড়ি উপজেলার দক্ষিণ তক্তাবুনিয়া গ্রামে। অপর ৭ জনের বাড়ি মাদারিপুরের শিবচর উপজেলার কোকরার চর গ্রামে। লাশগুলো আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রাখা হয়েছে।
নিহতদের স্বনজনরা জানায়, কাউনিয়া ইব্রাহিম একাডেমির সহকারী শিক্ষক ও উত্তর তক্তাবুনিয়া গ্রামের মাসুম বিল্লাহ মনিরের মেয়ে হুমায়রা আক্তারের বিয়ের অনুষ্ঠান হয় শুক্রবার। শনিবার আমতলী পৌর শহরের খোন্তাকাটা এলাকার বাসিন্দা হুমায়রার স্বামী ডা. সোহাগের বাড়ি যাচ্ছিলেন কনেযাত্রীরা। হলদিয়া সেতু পার হওয়ার সময় সেতুর মাঝের অংশ ভেঙে মাইক্রোবাস ও অটোরিকশা নদীতে পড়ে যায়। এতে অটোরিকশায় থাকা যাত্রীরা সাঁতরে তীরে উঠতে পারলেও মাইক্রোবাসের যাত্রীরা নদীতে তলিয়ে যায়। মাইক্রোবাসে ১৬ জন ও অটোতে ৩ জন যাত্রী ছিলেন।
খবর পেয়ে আমতলী ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নিখোঁজ যাত্রীদের উদ্ধারের চেষ্টা চালায়। ততক্ষণে মাইক্রোবাসে থাকা কনে পক্ষের ৯ যাত্রী মারা যান।
মাইক্রোবাসে থাকা সোহেল মিয়া বলেন, ‘মাইক্রোবাসে কনে পক্ষের ১৬ জন যাত্রী বরের বাড়ি যাচ্ছিলাম। হলদিয়া হাট সেতুতে উঠামাত্রই মাঝখান দিয়ে ভেঙে মাইক্রোবাসটি নদীতে পড়ে যায়। আমিসহ ৩ জন সাঁতরে কিনারে উঠতে পেরেছি। পরে স্থানীয় লোকজন, ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ ৯ জনের মরদেহ উদ্ধার করেছে।
একই পরিবারের তিন নিহতের স্বজন আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘আমার কিছুই রইল না। আমার দুই কন্যা ও স্ত্রী মারা গেছে। সব হারিয়ে আমি এখন অসহায়।’
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২
প্রত্যক্ষদর্শী ইউপি সদস্য সাইফুল ইসলাম স্বপন ও নাসির উদ্দিন বলেন, মাইক্রোবাস ও অটোটি সেতুর মাঝখানে এলে সেতু ভেঙে নদীতে পড়ে যায়। তাৎক্ষণিক আমরা স্থানীয়দের নিয়ে উদ্ধারের চেষ্টা চালাই। পরে ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ এসে উদ্ধার কাজে অংশ নেয়।
আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার মো. মনিরুজ্জামান বলেন, হাসপাতালে আনার আগেই ওই ৯ জন মারা গেছেন।
আমতলী থানার ওসি কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন, ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।
আমতলী ফায়ার সার্ভিসের ওয়ার ইনচার্জ মো. হানিফ বলেন, চার ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়েও মাইক্রোবাস উদ্ধার করতে পারিনি। উদ্ধার চেষ্টা অব্যাহত আছে।
আমতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) তারেক হাসান বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। উদ্ধার কাজের তদারকি করছি।
আরও পড়ুন: সৌদি আরবে সড়ক দুর্ঘটনায় চট্টগ্রামের যুবক নিহত
৪ মাস আগে
কালাইয়ে ট্রাকের পেছনে মাইক্রোবাসের ধাক্কায় নিহত ২, আহত ৬
জয়পুরহাটের কালাইয়ে মহাসড়কে দাঁড়িয়ে থাকা আলু বোঝাই ট্রাকের পেছনে মাইক্রোবাসের ধাক্কায় দুইজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় মাইক্রোবাসের চালকসহ আরও ছয়জন যাত্রী আহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে জয়পুরহাট-বগুড়া মহাসড়কের কালাই পৌরসভার নরওয়েস্ট হিমাগারের মূল ফটকের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাটে অটোরিকশা ধাক্কায় নিহত ১
নিহতরা হলেন- ফাহিমা খাতুন ও রোকন। আহতরা হলেন- মাইক্রোবাসের চালক আব্দুর রশিদ, পাপিয়া, ফারিয়া, রোহান ও নিশাদ। সবাই একই গ্রামের বাসিন্দা।
স্থানীয়রা জানান, মাইক্রোবাসটি একটি ট্রাকের পিছনে এসে ধাক্কা দিলে দুইজন নিহত হয়েছেন। এছাড়া এ ঘটনায় মাইক্রোবাসের চালকসহ আরও ছয়জন যাত্রী আহত হয়েছেন।
কালাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) (তদন্ত) আনোয়ার হোসেন জানানএ ঘটনায় ট্রাক জব্দ করা হয়েছে। আর চালক ও সহকারী পালিয়েছে।
আরও পড়ুন: জৈন্তাপুরে পিকআপের ধাক্কায় ২ মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
গাইবান্ধায় ইজিবাইকের ধাক্কায় শিশু নিহত
৮ মাস আগে
বঙ্গবন্ধু ট্যানেলে মাইক্রোবাস উল্টে আহত ৮
চট্টগ্রামে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলে একটি মাইক্রোবাস উল্টে নৌবাহিনীর এক সদস্যসহ আটজন আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) সকালে টানেলের আনোয়ারা প্রান্তে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
আহত ব্যক্তিরা হলেন- নৌবাহিনীর সদস্য গাজী মাহবুব রহমান রনি (৩৯), মাইক্রোবাসচালক রুবেল (৩০), আলী মুর্তুজা (২৭), রাশেদুল করিম (২৮), ফারহানা আক্তার (২৬), মুন্না (২৫) ও কাঞ্চিম (২২)।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ঘন কুয়াশায় চালক মাইক্রোবাসটি সড়ক বিভাজনের ওপর নির্মিত ট্রাফিক বক্সে তুলে দেন। ট্রাফিক বক্সে আঘাত লেগে গাড়িটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। পরে টানেল কর্তৃপক্ষ মাইক্রোবাসটি সরিয়ে নেয়।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় ট্রাক ও বাসের সংঘর্ষে চালক নিহত, আহত ১০
কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জহির উদ্দিন বলেন, দুর্ঘটনায় আহত নৌবাহিনীর সদস্য গাজী সৈকতকে পতেঙ্গা বিএনএস হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, অন্যদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সিকিউরিটি বক্সে দায়িত্বে থাকা প্রত্যক্ষদর্শী সাজ্জাদ হোসেন বলেন, নৌবাহিনীর দুই সদস্যসহ আমরা তিনজনই বক্সে ছিলাম। দুর্ঘটনার পাঁচ মিনিট আগে আমরা দুজন বাইরে বের হয়েছি। হঠাৎ দ্রুতগতির মাইক্রোবাসটি বক্সটিকে টেনেহিঁচড়ে নিয়ে যায়। বক্সে থাকা অপরজন গুরুতর আহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: নবীনগরে সাবেক এমপির গাড়িবহরে হামলা, আহত ২
১০ মাস আগে
যশোরে মাইক্রোবাসের সঙ্গে মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে যুবক নিহত
যশোরের চৌগাছায় মোটরসাইকেল ও মাইাক্রাবাসের সংঘর্ষে এক যুবক নিহত হয়েছেন।
সোমবার (১১ ডিসেম্বর) রাত ১০টার দিকে উপজেলার যশোর-চৌগাছা সড়কের নারায়নপুর ইউনিয়নের বনলীতলা নামক স্থানে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত শাওন (২৩) ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার বাতানগাছি শংকরহোদা গ্রামের মাসুদের ছেলে।
এলাকাবাসীরা জানান, শাওন সোমবার রাতে মোটরসাইকেলে চৌগাছা বাজার থেকে মহেশপুরের দিকে যাচ্ছিল। পথে হাজরাখানা সংলগ্ন যাত্রী ছাউনির সামনে বনলীতলায় মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মাইক্রোবাসের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।
এতে মোটরসাইকেল চালক শাওন গুরুতর আহত হন। তাকে উদ্ধার করে চৌগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক বি এম শামছুর রহমান তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
চিকিৎসক বলেন, হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে।
চৌগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল বাহার চৌধুরী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
১১ মাস আগে
বিএনপির তারুণ্যের রোডমার্চ: নাটোরে মাইক্রোবাসে অগ্নিসংযোগ, ব্যক্তিগত গাড়ি ভাঙচুর
বগুড়া থেকে রাজশাহী পর্যন্ত বিএনপির তিন সহযোগী সংগঠনের তারুণ্যের রোডমার্চ চলাকালে রবিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) নাটোর সদর উপজেলার ডালসড়ক এলাকায় ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কে একটি মাইক্রোবাসে আগুন দেওয়া হয়।
এছাড়া জেলা শহরের বিভিন্ন স্থানে একটি প্রাইভেটকারসহ বেশ কিছু যানবাহন ভাঙচুর করা হয়েছে।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসিম আহমেদ বলেন, কারা মাইক্রোবাসে আগুন দিয়েছে এবং গাড়ি ভাঙচুর করেছে তা এখনো পরিষ্কার নয়।
তিনি বলেন, ‘পুলিশ ঘটনাটি তদন্ত করছে।’
এদিকে, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম বাচ্চু তাদের দলের তারুণ্যের রোডমার্চে সহিংসতার জন্য ক্ষমতাসীন দলের লোকদের দায়ী করেছেন।
আরও পড়ুন: সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত রোডমার্চ চলবে: ফখরুল
বিএনপির তিন সহযোগী সংগঠন জাতীয়তাবাদী যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের রোডমার্চ ঠেকাতে ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা জেলা শহরের বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নিয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
আগামী নির্বাচন নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে করার জন্য সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে ১৩ সেপ্টেম্বর রোডমার্চের ঘোষণা দেয় বিএনপি’র অঙ্গ সংগঠনগুলো।
যোগাযোগ করা হলে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম রমজান অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের খুঁজে বের করবে।
রংপুর থেকে জাতীয়তাবাদী যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দল এবং ছাত্রদলের ঘোষিত ‘তারুণ্যের রোডমার্চ’ রবিবার থেকে শুরু হয়ে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলবে।
আরও পড়ুন: বিএনপির সহযোগী সংগঠনের রংপুর-দিনাজপুর রোডমার্চ শুরু হবে শনিবার দুপুরে
গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে বিএনপি একা নয়: ফখরুল
১ বছর আগে
যশোরে ট্রাক-মাইক্রোবাস সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ৫
যশোরের মনিরামপুরে ট্রাক ও মাইক্রোবাসের সংঘর্ষে একজন নিহত এবং পাঁচজন আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার যশোর-চুকনগর মহাসড়কের ছাতিয়ানতলা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত বিধান চন্দ্র রায় (৫৫) বাগেরহাটের কচুয়ার নরেন্দ্রপুর গ্রামের মৃত মনোরঞ্জন রায়ের ছেলে। তিনি পেশায় একজন আইনজীবী।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় ভাইবোনসহ নিহত ৩
আহতরা হলেন- খুলনার সোনাডাঙ্গার শেখপাড়া এলাকার এম এন জোয়ারদার (৫৬), হোসনেয়ারা (৫৪), জলি জোয়াদ্দার (৫০), শওকত আরা (৪২) ও মাইক্রোবাসের চালক লিটন হোসেন (৪৫)।
মণিরামপুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রণব কুমার বিশ্বাস জানান, আহতদের উদ্ধার করে মনিরামপুর হাসপাতালে নেয়া হয়।
ঘন কুয়াশার কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে তার ধারণা।
মনিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. তন্ময় কুমার বিশ্বাস বলেন, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনার আগেই একজন মারা যান। আহতদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
মনিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে বোনকে আনতে গিয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেলো ভাইয়ের
জানুয়ারিতে ৫৯৩টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৫৮৫ জন নিহত: যাত্রী কল্যাণ সমিতি
১ বছর আগে