মার্কিন সেনা
'আর গণহত্যায় জড়িত থাকব না' বলে নিজের গায়ে আগুন দিলেন মার্কিন সেনা
ওয়াশিংটন ডিসিতে ইসরায়েলি দূতাবাসের বাইরে ‘আমি আর গণহত্যার সঙ্গে জড়িত থাকব না’ বলে নিজের গায়ে আগুন ধরিয়ে দিয়ে গুরুতর আহত হয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের বিমান বাহিনীর এক সক্রিয় সদস্য।
তাৎক্ষণিকভাবে নাম প্রকাশ না করা ওই ব্যক্তি রবিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১টার কিছু আগে দূতাবাসে যান এবং গায়ে আগুন ধরিয়ে দিয়ে ভিডিও স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম টুইচে লাইভ স্ট্রিমিং করেন।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তাদের ধারণা, ওই ব্যক্তি নিজের ফোনে লাইভস্ট্রিম শুরু করে নিজের গায়ে আগুন লাগিয়ে দেন।
পরে ভিডিওটি প্ল্যাটফর্ম থেকে সরিয়ে ফেলা হয়, তবে আইন প্রয়োগকারী কর্মকর্তারা একটি অনুলিপি সংগ্রহ ও পর্যালোচনা করেছেন।
ওই ব্যক্তিকে চলমান তদন্তের বিষয়ে প্রকাশ্যে আলোচনা করার অনুমতি দেওয়া হয়নি এবং নাম প্রকাশ না করার শর্তে এপির সঙ্গে কথা বলেছেন।
পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানায়নি।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রে ফিলিস্তিনি বংশোদ্ভূত ৩ যুবককে গুলি
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু যখন গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর রাফায় সামরিক অভিযানের জন্য মন্ত্রিসভার অনুমোদন চাইছেন, তখন এ ঘটনা ঘটল। তবে গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযানে ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে গণহত্যার দাবিসহ সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
ইসরায়েল বরাবরই গণহত্যার অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে। হামাসের সঙ্গে যুদ্ধে আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে বলে দাবি করে আসছে ইসরায়েল।
আটলান্টার দমকল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গত ডিসেম্বরে আটলান্টায় ইসরায়েলি কনস্যুলেটের বাইরে এক ব্যক্তি আত্মহত্যা করেন এবং আত্মহত্যার সময় পেট্রোল ব্যবহার করেন। ঘটনাস্থলে একটি ফিলিস্তিনি পতাকা পাওয়া গেছে এবং ঘটনাটিকে 'চরম রাজনৈতিক প্রতিবাদ' বলে মনে করা হচ্ছে।
এক বিবৃতিতে ওয়াশিংটন মেট্রোপলিটন পুলিশ বিভাগ জানিয়েছে, তাদের কর্মকর্তারা মার্কিন সিক্রেট সার্ভিস কর্মকর্তাদের সহায়তার জন্য ইসরায়েলি দূতাবাসের বাইরে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন এবং একটি সন্দেহজনক গাড়ি পরীক্ষা করতে তাদের বোমা স্কোয়াডকেও ডাকা হয়েছিল।
পুলিশ জানিয়েছে, গাড়িতে কোনও বিপজ্জনক বস্তু পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুক হামলায় ফের নিহত ২
৮ মাস আগে
আমার আফগান স্টুডেন্টরা ও ১৯৭১ : ব্যক্তিগত অনুভূতি
আমি ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির একটি শাখায় ‘গবেষণা পদ্ধতি’র ওপর ক্লাস নিই। এতে বিভিন্ন দেশের স্টুডেন্ট আছে। তার মধ্যে আছে আফগানীরা। এক মাস ধরে মার্কিনিদের চলে যাওয়া নিয়ে চারদিকে অনিশ্চিয়তা বিরাজ করছিল। আমার স্টুডেন্টরা মিড্ টার্ম পরীক্ষা দিয়েছে সবাই, রেজাল্ট ভালো। কিন্তু আমার মনে ছিল বড় রকম দুশ্চিন্তা। ওদের কি হবে ? যুদ্ধ ঘরে আসলে ওরা কি করবে?
যা ঘটলো তালিবানদের হাতে
তালিবানরা দ্রুতভাবে এগুতে লাগলো দেখে সবাই অবাক। মার্কিনিরা নাকি ভেবেছিল ছয় মাস লাগবে ওদের কাবুল পৌঁছাতে। কিন্তু ওরা লাগালো মাত্র ১৫ দিন। মার্কিনিরা যে কত বাস্তব জ্ঞানহীন এটা তারই পরিচয়। যেখানেই যায় এটা ঘটে। ভিয়েতনাম ছেড়েছে এই ভাবে, আফগানিস্তানও ছাড়লো একই ভাবে নিজেদের মানুষদের পুরা বিপদের মধ্যে ফেলে।
একটি অন্তর্বতীকালীন সরকার হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তার আগেই খেলা শেষ। প্রেসিডেন্ট গনি প্লেনে চড়ে পালিয়ে গেলো আর তালেবান কাবুল দখল করে ফেললো।
তোমাদের খবর কি ?
যে আমার ক্লাস সহায়ক এবং স্টুডেন্টদের সাথে যোগাযোগ রাখে তাকে বলেছি। সে আফগান স্টুডেন্টদের কয়েকটা মেসেজ পাঠানোর পর উত্তর আসলো। ‘আমরা ভালো আছি। কি হচ্ছে, কি হবে জানি না। চারদিকে অনিশ্চয়তা। তালিবানরা একের পর এক শহর দখল করছে। কাবুলের অনেক কাছে তারা। সবাইকে শুভেচ্ছা।’
এই কথায় নিশ্চিত হওয়ার মতো কিছু ছিল না। মেয়েটা আমাকেই আস্বস্ত করতে চাইছে মনে হলো। আমার ক্লাস সহায়ক একটা পোস্ট দিলো ফেসবুকে। লিখেছে, ‘কত দূরের যুদ্ধ, কত সহজে কাছে এসে যায়। আমার সহপাঠীদের জন্য খুব উদ্বিগ্ন। এখন সারাদিন সোশ্যাল মিডিয়া দেখি, কোনো খবর আছে কিনা।’
যেদিন তালিবানরা কাবুল দখল করলো সেদিন আর একজনের মেসেজে এলো। লিখছে , ‘কি হবে জানি না। অনেকে পালাতে শুরু করেছে। পাশের দেশে আশ্রয় নেয়ার চেষ্টা করছে অনেকে। আমার পরিবার নিয়ে আমি বেশি চিন্তিত। কারণ আমরা সংখ্যালঘু। আমাদের কি হবে কে জানে! চারদিকে কি ঘটছে জানি না, বুঝি না।’
যুদ্ধের না বলা খবরগুলো হারিয়ে যায়
সেই দোমড়ানো মনটা নিয়ে আছি। কারণ আমি জানিনা ওদের কি অবস্থা। ওরা কষ্ট করে এই দেশে পড়তে এসেছিল, তারপর করোনার কারণে ফেরত যেতে হয়। আর এখন জীবনটাই বন্ধ। আমার মতো মানুষের জন্য আরও বেশি কষ্টের কারণ ওরা আমার শিক্ষার্থী, শিক্ষকের কাছে আপন সন্তানের মতো। আমি বুকের ভেতরে কষ্টটা টের পাই সারাক্ষণ। অথচ এতো অসহায় লাগে নিজেকে। কিছুই করতে পারবো না, পারছি না।
১৯৭১ সালের একটা ঘটনা। ১৪ ডিসেম্বর আল- বদর এসে স্বামীকে তুলে নিয়ে যায়। যাওয়ার আগে ছেলেটাকে কোলে নিয়ে আদর করে তাদের ছেড়ে তিনি চলে যান। কেন নিচ্ছে কেউ বোঝেনি, এখনো জানে না। ১৬ তারিখে সবাই আনন্দ করে। তখন পরিবারের লোকজন জানে না তার কি হাল। ভেবেছে যুদ্ধে জিতেছে, নিশ্চয় ফিরে আসবে। লাশ আর কোনোদিন পাওয়া যায়নি।
যুদ্ধের বিজয় আছে। কিন্তু সাধারণ মানুষের কষ্টের কথা কেউ বলে না।
লেখক: এডিটর এট লার্জ, ইউএনবি
৩ বছর আগে
মার্কিন সেনাদের অভিযানে আইএস নেতা বাগদাদি নিহত: ট্রাম্প
ওয়াশিংটন, ২৭ অক্টোবর (এপি/ইউএনবি)- মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রবিবার বলেছেন, সিরিয়ায় ইসলামিক স্টেট (আইএস) গ্রুপকে লক্ষ্য করে চালানো যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক অভিযানে আইএস নেতা আবু বকর আল-বাগদাদি নিহত হয়েছেন।
৫ বছর আগে