রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা
রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় চিন্ময় দাসের জামিন স্থগিত
জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগে করা রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন আদেশ স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালত।
রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন শুনে মঙ্গলবার(৬ মে) আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি মো. রেজাউল হকের আদালত এই আদেশ দেন।
আদালতে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এম কে রহমান। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার অনীক আর হক ও অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল আরশাদুর রউফ।
এর আগে গত ৩০ এপ্রিল রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে জামিন দেন হাইকোর্ট। পরে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সেদিন সন্ধ্যায় আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত ওই জামিন আদেশ স্থগিত করেন। কিছুক্ষণ পরে ওই স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে ফের রবিবার রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের ওপর শুনানির জন্য ধার্য করেন। আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি মো. রেজাউল হকের আদালত এই আদেশ দেন। সে অনুযায়ী আজ রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের শুনানি হয়।
জানা যায়, রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় জামিন চেয়ে চিন্ময় দাসের করা আবেদনের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট গত ৪ ফেব্রুয়ারি রুল দিয়েছিলেন। আবেদনকারীকে (চিন্ময়) কেন জামিন দেওয়া হবে না, রুলে তা জানতে চাওয়া হয়।
গত ২৩ এপ্রিল হাইকোর্ট রুল শুনানির জন্য ৩০ এপ্রিল তারিখ নির্ধারণ করেন। এর ধারাবাহিকতায় গতকাল শুনানি নিয়ে রুল ‘অ্যাবসলিউট’ ঘোষণা করে সিদ্ধান্ত দেন হাইকোর্ট।
আদালতে চিন্ময় দাসের পক্ষে আইনজীবী জেড আই খান পান্না, প্রবীর হালদার ও অপূর্ব কুমার ভট্টাচার্য শুনানিতে ছিলেন। রাষ্ট্রপক্ষে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল অনীক আর হক শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুহাম্মদ আবদুল জব্বার ভুঞা, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ফরিদ উদ্দিন খান উপস্থিত ছিলেন।
জামিনের পরে আইনজীবী প্রবীর হালদার বলেন, হাইকোর্ট চিন্ময় দাসকে জামিন দিয়েছেন। জামিন হওয়ায় তার মুক্তিতে আইনগত কোনো বাধা নেই। তবে হাইকোর্টের রায়ের পর পরই রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগে আবেদন জানায়। পরে সন্ধ্যায় চেম্বার বিচারপতির আদালতে শুনানি হয়।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় চট্টগ্রামে চিন্ময়ের জামিন আবেদন নামঞ্জুর
এই মামলায় চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ গত ২ জানুয়ারি চিন্ময়ের জামিন আবেদন খারিজ করে আদেশ দিয়েছিলেন। এ নিয়ে হাইকোর্টে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন চেয়ে গত ১২ জানুয়ারি আবেদনটি করেছিলেন চিন্ময় দাস। এ আবেদনের শুনানি নিয়ে গত ৪ ফেব্রুয়ারি রুল দেন হাইকোর্ট। রুলের ওপর চূড়ান্ত শুনানি শেষে আজ সিদ্ধান্ত দেন আদালত। মামলায় গ্রেপ্তার চিন্ময় দাসের জামিন নামঞ্জুর হওয়া নিয়ে গত বছরের ২৬ নভেম্বর চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গণে সংঘর্ষ হয়েছিল। এ সময় আইনজীবী সাইফুল ইসলামকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়। জামিন নামঞ্জুর হওয়ার পর চিন্ময় দাসকে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। পরদিন জামিন শুনানির দিন ধার্য থাকলেও আইনজীবী হত্যার প্রতিবাদে কর্মবিরতির ডাক দিলে আদালতের কার্যক্রম বন্ধ থাকে। পরে আদালত গত ৩ ডিসেম্বর শুনানির দিন রাখেন। সেদিন চিন্ময়ের কোনো আইনজীবী উপস্থিত না থাকায় আদালত শুনানির জন্য ২ জানুয়ারি পরবর্তী দিন রাখেন। সেদিন তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর হয়।
গত বছরের ৩১ অক্টোবর নগরের চান্দগাঁও মোহরা ওয়ার্ড বিএনপির তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ খান বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে ওই মামলা করেন। পরে ফিরোজ খানকে বিএনপি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এ মামলায় চিন্ময়সহ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
২১২ দিন আগে
চিন্ময় দাসের জামিন স্থগিত
জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারী জামিন স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগ।
রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে বুধবার (৩০ এপ্রিল) সন্ধ্যায় আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি মো. রেজাউল হকের আদালত এই আদেশ দেন।
হাইকোর্টের রায়ের অনুলিপি প্রকাশ ও নিয়মিত লিভ টু আপিল দায়ের না হওয়া পর্যন্ত এই স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে। চেম্বার আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নী জেনারেল ব্যারিস্টার অনিক আর হক।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় চিন্ময় দাসের জামিন প্রশ্নে রুল শুনানি এপ্রিলে
এর আগে বিকালে চিন্ময় দাসের জামিন প্রশ্নে রুল অ্যাবসলিউট (যথাযথ) ঘোষণা করে জামিন দেন হাইকোর্ট। রুলের ওপর চূড়ান্ত শুনানি শেষে আজ বুধবার বিচারপতি মো. আতোয়ার রহমান ও বিচারপতি মো. আলী রেজার সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
মামলায় জামিন চেয়ে চিন্ময় দাসের করা আবেদনের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট গত ৪ ফেব্রুয়ারি রুল দিয়েছিলেন। আবেদনকারীকে (চিন্ময়) কেন জামিন দেওয়া হবে না, রুলে তা জানতে চাওয়া হয়। গত ২৩ এপ্রিল হাইকোর্ট রুল শুনানির জন্য ৩০ এপ্রিল তারিখ রাখেন। এর ধারাবাহিকতায় আজ শুনানি নিয়ে রুল ‘অ্যাবসলিউট’ ঘোষণা করে সিদ্ধান্ত দেন হাইকোর্ট।
আদালতে চিন্ময় দাসের পক্ষে আইনজীবী জেড আই খান পান্না, প্রবীর হালদার ও অপূর্ব কুমার ভট্টাচার্য শুনানিতে ছিলেন। রাষ্ট্রপক্ষে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল অনীক আর হক শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুহাম্মদ আবদুল জব্বার ভুঞা, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ফরিদ উদ্দিন খান উপস্থিত ছিলেন।
জামিনের পরে আইনজীবী প্রবীর হালদার বলেন, হাইকোর্ট চিন্ময় দাসকে জামিন দিয়েছেন। জামিন হওয়ায় তার মুক্তিতে আইনগত কোনো বাধা নেই। তবে হাইকোর্টের রায়ের পর পরই রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগে আবেদন জানায়। পরে সন্ধ্যায় চেম্বার বিচারপতির আদালতে শুনানি হয়। শুনানি নিয়ে হাইকোর্টের রায়ের কার্যকারিতা স্থগিত করা হয়। ফলে চিন্ময় দাসের কারামুক্তি মিলছে না বলে জানান আইনজীবীরা।
এই মামলায় চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ গত ২ জানুয়ারি চিন্ময়ের জামিন আবেদন খারিজ করে আদেশ দিয়েছিলেন। এ নিয়ে হাইকোর্টে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন চেয়ে গত ১২ জানুয়ারি আবেদনটি করেছিলেন চিন্ময় দাস। এ আবেদনের শুনানি নিয়ে গত ৪ ফেব্রুয়ারি রুল দেন হাইকোর্ট। রুলের ওপর চূড়ান্ত শুনানি শেষে আজ সিদ্ধান্ত দেন আদালত।
আরও পড়ুন: ইসকনের ৫৪ ভক্তকে বেনাপোল ইমিগ্রেশন থেকে ফেরত
মামলায় গ্রেপ্তার চিন্ময় দাসের জামিন নামঞ্জুর হওয়া নিয়ে গত বছরের ২৬ নভেম্বর চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গণে সংঘর্ষ হয়েছিল। এ সময় আইনজীবী সাইফুল ইসলামকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়। জামিন নামঞ্জুর হওয়ার পর চিন্ময় দাসকে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। পরদিন জামিন শুনানির দিন ধার্য থাকলেও আইনজীবী হত্যার প্রতিবাদে কর্মবিরতির ডাক দিলে আদালতের কার্যক্রম বন্ধ থাকে। পরে আদালত গত ৩ ডিসেম্বর শুনানির দিন রাখেন। সেদিন চিন্ময়ের কোনো আইনজীবী উপস্থিত না থাকায় আদালত শুনানির জন্য ২ জানুয়ারি পরবর্তী দিন রাখেন। সেদিন তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর হয়।
গত বছরের ৩১ অক্টোবর নগরের চান্দগাঁও মোহরা ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ খান বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে ওই মামলা করেন। পরে ফিরোজ খানকে বিএনপি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এ মামলায় চিন্ময় কৃষ্ণসহ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
২১৮ দিন আগে
রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় চিন্ময় দাসের জামিন প্রশ্নে রুল শুনানি এপ্রিলে
রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় সাবেক ইসকন নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর জামিন প্রশ্নে জারি করা রুলের শুনানি হবে হাইকোর্টের অবকাশকালীন ও ঈদের ছুটির পর। এই ছুটি চলবে ১৯ এপ্রিল পর্যন্ত। বিচারপতি আতোয়ার রহমান ও বিচারপতি আলী রেজার হাইকোর্ট বেঞ্চ শুনানির এ সময় নির্ধারণ করেছেন।
রবিবার (২৩ মার্চ) চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের আইনজীবী অপূর্ব কুমার ভট্টাচার্য এ তথ্য জানিয়েছেন।
এর আগে গত ৪ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় সাবেক ইসকন নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে কেন জামিন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। সে রুল শুনানির জন্য গত ১৯ মার্চ উপস্থাপন করা হলে হাইকোর্ট বিষয়টি অবকাশকালীন ছুটি শেষে (১৯ এপ্রিলের পর) শুনানির জন্য নির্ধারণ করেন।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় চট্টগ্রামে চিন্ময়ের জামিন আবেদন নামঞ্জুর
আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী অপূর্ব কুমার ভট্টাচার্য ও প্রবীর রঞ্জন হালদার। আর রাষ্ট্র পক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল অনিক আর হক ও অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল আরশাদুর রউফ।
গত ২৫ অক্টোবর চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের নেতৃত্বে চট্টগ্রামে সনাতনী সম্প্রদায়ের একটি বড় সমাবেশ হয়। এর কয়েক দিন পর গত ৩১ অক্টোবর তার বিরুদ্ধে জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা হয়। এ মামলায় আরও ১৮ জনকে আসামি করা হয়। এরপর গত ২২ নভেম্বর চিন্ময়ের নেতৃত্বে রংপুরে আরও একটি বড় সমাবেশ হয়।
এরপর রাষ্ট্রদ্রোহের সেই মামলায় চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গত ২৫ নভেম্বর ঢাকায় গ্রেপ্তার করা হয়। পরদিন জামিন আবেদন করা হলে তা নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে চিন্ময়সহ ১৬৪ জনের বিরুদ্ধে আরও একটি মামলা
আদালত চিন্ময়কে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিলে সেদিন চট্টগ্রামে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও আইনজীবীদের সঙ্গে চিন্ময়ের অনুসারীদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এ সময় আইনজীবীর সাইফুল ইসলাম আলিফকে আদালত চত্বরের বাইরে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।এরপর থেকেই কারাগারে আছেন চিন্ময়। গত ২ জানুয়ারি চিন্ময় দাসের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন চট্টগ্রামের মহানগর দায়রা জজ আদালত। পরবর্তীতে হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন চিন্ময় দাস।
২৫৭ দিন আগে
চিন্ময়কে কেন জামিন নয়, জানতে চেয়ে হাইকোর্টের রুল
রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় সাবেক ইসকন নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে জামিন দেননি হাইকোর্ট। তবে এ মামলায় কেন তাকে জামিন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি আতোয়ার রহমান ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলী রেজার দ্বৈত বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। দুই সপ্তাহের মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী অপূর্ব কুমার ভট্টাচার্য ও প্রবীর রঞ্জন হালদার। আর রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল অনিক আর হক ও অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল আরশাদুর রউফ।
এর আগে, ২ জানুয়ারি চিন্ময় দাসের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ। এরপর ১৯ জানুয়ারি হাইকোর্টে জামিন চেয়ে আবেদন করেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে চিন্ময়কাণ্ডে গ্রেপ্তার ৮ আসামি ফের ৫ দিন রিমান্ডে
অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল অনিক আর হক জানিয়েছেন, হাইকোর্ট চিন্ময় দাশের জামিন আবেদন শুনানি করে তাকে জামিন দেননি। তবে তাকে কেন জামিন দেওয়া হবে না সে মর্মে দুসপ্তাহের রুল জারি করেছেন।
গত ৩১ অক্টোবর তার বিরুদ্ধে জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা হয়। এ মামলায় আরও ১৮ জনকে আসামি করা হয়। ২৫ নভেম্বর ঢাকায় গ্রেফতার করা হয় চিন্ময় দাসকে। পরদিন জামিন আবেদন করা হলে তা নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট।
ওই দিন আদালত প্রাঙ্গণে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। আদালত চত্বরে কুপিয়ে হত্যা করা হয় আইনজীবী সাইফুল ইসলামকে।
৩০৩ দিন আগে
চিন্ময়ের জামিন শুনানি পেছাল
বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র ও ইসকন নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর জামিন শুনানিতে তার পক্ষে কোনো আইনজীবী না থাকায় শুনানির তারিখ পিছিয়ে আগামী ২ জানুয়ারি নির্ধারণ করেছে আদালত।
মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ মো. সাইফুল ইসলামের আদালত এই আদেশ দেন।
২৬ নভেম্বর করা রাষ্ট্রদ্রোহের এ মামলায় জামিন নাকচ করে চিন্ময়কে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন চট্টগ্রামের ষষ্ঠ মহানগর হাকিম আদালতের বিচারক কাজী শরীফুল ইসলাম। এ ঘটনায় আদালত প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ শুরু করেন তার অনুসারীরা। টানা কয়েক ঘণ্টার বিক্ষোভ ও পুলিশের সঙ্গে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার এক পর্যায়ে সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে পুলিশ চিন্ময় দাসকে কারাগারে নিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: ‘সম্প্রদায়ের নেতা হিসেবে নয়, রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় চিন্ময় কৃষ্ণ দাস গ্রেপ্তার’
পরে আদালত চত্ত্বরে রাখা বেশ কিছু মোটরসাইকেল ও যানবাহন ভাঙচুর করে বিক্ষোভকারীরা। একপর্যায়ে আদালতের আইনজীবী ও কর্মচারীরা মিলে বিক্ষোভকারীদের ধাওয়া দেন। পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার মধ্যে রঙ্গম কনভেনশন হল সড়কে আইনজীবী সাইফুল ইসলামকে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় হত্যা মামলাসহ মোট ৫টি মামলা হয়েছে। এরপর বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তারও করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার চিন্ময়ের জামিন শুনানি উপলক্ষে আদালত এলাকায় অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
চিন্ময়কে হত্যা মামলায় আসামি না করায় এবং নিহত আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফের প্রকৃত খুনিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে এদিন আদালত প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ করেন চট্টগ্রাম আইনজীবী সমিতির সদস্যরা।
আরও পড়ুন: শিশু ধর্ষণ মামলার ৮ বছর পর আসামির যাবজ্জীবন
৩৬৬ দিন আগে
বিএনপি নেতা মিনু, দুলুসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান মিনু ও সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুসহ দলটির চার নেতার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত।
বুধবার রাজশাহী মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক সাইফুল ইসলাম তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
মামলার অপর দুই আসামি হলেন-রাজশাহী মহানগর বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সিটি মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল ও মহানগরের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল হক মিলন।
আরও পড়ুন: অরিত্রীর আত্মহত্যা: ভিকারুনিসার দুই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আসলাম সরকার বলেন, রাজপাড়া থানার ওসি ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মাজহারুল ইসলাম বুধবার আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। আদালত প্রতিবেদনটি আমলে নিয়ে শুনানি শেষে বিএনপির চার নেতার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ান জারি করে। একই সাথে আগামী ২৬ এপ্রিল মামলার পরবর্তী দিন ধার্য করা হয়।
আইনজীবী আসলাম সরকার বলেন, গত ২ মার্চ রাজশাহীতে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট স্মরণ করিয়ে দিয়ে প্রাণনাশের হুমকি ও বর্তমান সরকার উৎখাতে রাষ্ট্রবিরোধী বক্তব্য দেয়া হয়। এ ঘটনায় রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার অনুমতি চেয়ে গত ৯ মার্চ রাজশাহী জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেন মহানগর আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মুসাব্বিরুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়া ও গয়েশ্বরের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে অনুমোদন পাওয়ার পর গত ১৬ মার্চ রাজশাহী মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা দায়ের করা হয়। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেয়।
১৭০৯ দিন আগে
ব্রাহ্মণবাড়িয়া ভিপি নুরের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা
সরকার ও সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্য করার অভিযোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সদ্য সাবেক সহ সভাপতি (ভিপি) নুরুল হক নুরের বিরুদ্ধে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মামলা হয়েছে।
১৮১০ দিন আগে
রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা: চবি শিক্ষক আনোয়ার হোসেনের জামিন বহাল
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) সমাজতত্ত্ব বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন চৌধুরীকে হাইকোর্টের দেয়া জামিন স্থগিত করতে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের ওপর ‘নো অর্ডার’ বলে আদেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ।
১৯০৮ দিন আগে