ভূমিধস
ভারতের শিমলায় ভূমিধসে ২১ জনের মৃত্যু: মুখ্যমন্ত্রী সুখু
ভারতের হিমাচল প্রদেশের শিমলায় ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে সৃষ্ট ভূমিধসে সোমবার (১৪ আগস্ট) সকাল পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এরমধ্যে শিমলার সামার হিল এলাকায় শিবমন্দির ধসে পড়ে ৯ জন নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া মন্দিরের ধ্বংসাবশেষের নিচে বেশ কয়েকজন আটকে পড়েছেন বলে ভারতীয় গণমাধ্যম এএনআইয়ের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হতাহতের ঘটনায় হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুখু শোক প্রকাশ করেছেন।
তিনি বলেন, সামার হিল এলাকায় ধসে পড়া মন্দিরের ধ্বংসাবশেষের নিচে আটকে পড়া লোকদের উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।
এক টুইটে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এখন পর্যন্ত ৯ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন এখনও আটকে পড়া ব্যক্তিদের উদ্ধারের চেষ্টা করছে।’
রাজ্যের মন্ত্রী বিক্রমাদিত্য সিং ও মুখ্যমন্ত্রী সুখু ধসে পড়া শিবমন্দির পরিদর্শন করেছেন।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এখনো ২০-২৫ জন মানুষ ধ্বংসাবশেষের নিচে আটকে আছে। ভারী বৃষ্টির কারণে রাজ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় মোট ২১ জন মারা গেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি মানুষকে বাড়িতে থাকার জন্য এবং নদী ও ভূমিধসপ্রবণ এলাকার কাছাকাছি না যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছি। বৃষ্টি থামার সঙ্গে সঙ্গে উদ্ধারাভিযান শুরু হবে।’
আরও পড়ুন: ভারতের উত্তরাখণ্ডে ভূমিধসে ৫ তীর্থযাত্রী নিহত
এর আগে শিমলার পুলিশ সুপার (এসপি) সঞ্জীব কুমার গান্ধী বলেন, ‘ধসে পড়া মাটি মন্দিরের ওপর পড়ে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। আশেপাশের ভবনগুলোও হুমকিতে রয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘বেশ কিছু মানুষ আটকে পড়েছে। আমরা বিস্তারিত তথ্যের জন্য অপেক্ষা করছি।’
এসডিআরএফ, এনডিআরএফ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা আটকে পড়া মানুষদের উদ্ধারে অভিযান চালাতে ঘটনাস্থলে উপস্থিত রয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী সুখু বলেন, ‘আমি মান্ডিতে আমার পূর্বনির্ধারিত অনুষ্ঠান বাতিল করেছি। ১৫ আগস্ট স্বাধীনতা দিবসের কর্মসূচি যথারীতি চলবে, তবে আমাদের অগ্রাধিকার হলো (দুর্ঘটনাকবলিতদের) জীবন বাঁচানো।’
রাজ্যের মন্ত্রী বিক্রমাদিত্য সিং জানান, সামার হিলে মন্দিরের ধ্বংসাবশেষ থেকে কয়েকজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
সিং বলেন, ‘এখনও ১০-১৫ জন ধ্বংসাবশেষের নিচে চাপা পড়ে আছে। আটকে পড়া মানুষদের নিরাপদে উদ্ধারের জন্য প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে রাজ্যের মান্ডি জেলায় ১২-১৫ জন মারা গেছে।
এর আগে, সাব ডিভিশনাল ম্যাজিস্ট্রেট (এসডিএম) কান্দাঘাট সিদ্ধার্থ আচার্য জানান, রাজ্যের সোলান জেলার কান্দাঘাট মহকুমার জাদন গ্রামে আকস্মিক ভারী বৃষ্টিতে সাতজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় দুটি ঘর ও একটি গোয়ালঘর ভেসে গেছে।
মুখ্যমন্ত্রী সুখু নিহতের ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন এবং কর্তৃপক্ষকে সমস্ত সম্ভাব্য সাহায্য- সহায়তা নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ভারতে সেতু নির্মাণে ব্যবহৃত ক্রেন ধসে ১৬ শ্রমিক নিহত
সুখু পৃথক টুইটে বলেন, ‘সোলান জেলার কান্দাঘাট মহকুমার জাদন গ্রামে আকস্মিক ভারী বৃষ্টিতে সাতটি মূল্যবান প্রাণ ঝড়ে যাওয়ায় গভীর মর্মাহত। আমি শোকাহত পরিবারগুলোর প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছি। এই কঠিন সময়ে আমরা আপনাদের পাশে আছি।’
তিনি আরও লিখেছেন, ‘ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে সব ধরনের সাহায্য-সহায়তা করতে কর্তৃপক্ষকে আমরা নির্দেশ দিয়েছি।’
হিমাচল প্রদেশে গত ২৪ ঘণ্টা ধরে অবিরাম বর্ষণের ফলে ভূমিধস হয়েছে।
শিমলা-চণ্ডিগড় সড়কসহ বেশ কয়েকটি সড়ক প্লাবিত হওয়ায় যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে।
মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে শিক্ষাসচিব ১৪ আগস্ট সব সরকারি-বেসরকারি স্কুল-কলেজ বন্ধ রাখার প্রজ্ঞাপন জারি করেছেন।
মুখ্যসচিব ও স্বরাষ্ট্র সচিবের পাশাপাশি সমস্ত জেলা কালেক্টরকে দুর্যোগ পরিস্থিতির উপর কড়া নজর রাখার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
তিনি বলেন, প্রশাসনিক কর্মীদের সতর্ক থাকতে হবে এবং রাস্তা, বিদ্যুৎ ও পানির সুষ্ঠু ব্যবস্থা বজায় রাখতে হবে।
আরও পড়ুন: ভারতে ভূমিধসে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৭
ভারতের উত্তরাখণ্ডে ভূমিধসে ৫ তীর্থযাত্রী নিহত
ভারতের উত্তরাখণ্ডে ভূমিধসের ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়ে পাঁচ তীর্থযাত্রী নিহত হয়েছেন। শনিবার (১২ আগস্ট) পুলিশ এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
পুলিশ জানিয়েছে, দেরাদুন থেকে প্রায় ২৩০ কিলোমিটার পূর্বে রুদ্রপ্রয়াগ জেলায় ভূমিধসের ধ্বংসস্তূপে নিহতদের বহনকারী গাড়িটি চাপা পড়ে।
তারা আরও জানায়, হতাহতরা কেদারনাথ মন্দিরে যাচ্ছিলেন। নিহতদের মধ্যে তিনজন ভারতের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য গুজরাটের বাসিন্দা এবং বাকি দুজন হরিদ্বারের বাসিন্দা বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন: হাওয়াইয়ের মাউই দ্বীপে দাবানলে ৫৩ জনের মৃত্যু: গভর্নর
পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার রাতে গাড়িটি ভূমিধসের কবলে পড়ে থাকতে পারে বলে তাদের ধারণা।
খবরে বলা হয়েছে, দুর্ঘটনার খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই স্টেট ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্স (এসডিআরএফ) উদ্ধার অভিযান শুরু করেছে। তবে প্রবল বর্ষণে ওই এলাকায় উদ্ধার প্রচেষ্টা ব্যাহত হচ্ছে।
চলতি মাসের গোড়ার দিকে গৌরীকুণ্ডে ব্যাপক ভূমিধস হয়।
কর্মকর্তাদের মতে, ওই ভূমিধসে এখনো ১৬ জন নিখোঁজ রয়েছেন।
আরও পড়ুন: চলতি বছর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে দাবদাহে ১৪৭ জনের মৃত্যু
পাকিস্তানে ট্রেন লাইনচ্যুত হয়ে নিহত ৩০, আহত ৬০
বান্দরবানে ভূমিধসে মা-মেয়েসহ নিহত ৩
বান্দরবান জেলায় সোমবার ও মঙ্গলবার ভূমিধসে মা ও মেয়েসহ তিনজন নিহত ও আহত হয়েছেন আরও ৬ জন।
বান্দরবানের জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন জানান, সকালে লামা উপজেলার কুমারীতে বাড়ির ওপর মাটির টুকরো ধসে নুরুল ইসলাম (৩৫) নিহত ও ৬ জন আহত হয়েছেন।
আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাদের মধ্যে চারজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে বন্যার পানিতে ডুবে কলেজছাত্রীর মৃত্যু
এদিকে সোমবার বিকালে জেলার সদর উপজেলার গোদাপাড়ায় ভূমিধসে নুরুন্নাহার (৩৫) ও তার মেয়ে সাবেকুন্নাহার(১২) নিহত হয়েছেন।
গত কয়েকদিন ধরে টানা বৃষ্টিতে ভূমিধসের কারণে আরও প্রাণহানির আশঙ্কা করেছে স্থানীয় প্রশাসন।
এছাড়া টানা বৃষ্টিতে সব সড়ক পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় গত কয়েকদিন ধরে দেশের অন্যান্য অঞ্চলের সঙ্গে বান্দরবান জেলার সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে।
বন্যা পরিস্থিতির মধ্যে একটি বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সোমবার থেকে জেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।
আরও পড়ুন: বান্দরবানে বন্যায় ৩০ হাজার মানুষ পানিবন্দি
জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন আরও বলেন, জেলা শহরের দুই-তৃতীয়াংশ অংশ প্লাবিত হওয়ায় ইতোমধ্যেই ২৬৫টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে, এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন প্রায় ৩০০ মানুষ।
ইতোমধ্যে দুর্গতদের জন্য ৮৫ মেট্রিক টন খাদ্য ও এক লাখ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে এবং ৪৩টি মেডিকেল টিম বন্যা কবলিত এলাকায় কাজ করছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম ও বান্দরবানে বন্যা-ভূমিধস মোকাবিলায় সেনা মোতায়েন
চট্টগ্রাম ও বান্দরবানে বন্যা-ভূমিধস মোকাবিলায় সেনা মোতায়েন
বন্যা পরিস্থিতি ও ভূমিধস মোকাবিলায় চট্টগ্রাম ও বান্দরবান জেলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) ইন্টার-সার্ভিস পাবলিক রিলেশনস (আইএসপিআর) অনুসারে, বেসামরিক প্রশাসনের অনুরোধের ভিত্তিতে সেনা বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে।
এদিকে, গত কয়েকদিনের অবিরাম বর্ষণে দুই জেলার প্রায় ৫ লাখ মানুষ ভয়াবহ পরিস্থিতি রয়েছেন।
বান্দরবান জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, বালাঘাটা, ফজর আলী পাড়া, চেয়ারম্যান পাড়া, পুলিশ লাইনস এলাকা, ছাইগ্যা মহাজন পাড়া, উদ্যানপালন এলাকা, লালমিয়ার চর এলাকা, হাফেজঘোনা, আর্মিপাড়া, কাশেম পাড়া, স্টেডিয়াম ও কেচিং পাড়া এলাকার বাসিন্দারা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: বান্দরবানে বন্যায় ৩০ হাজার মানুষ পানিবন্দি
প্রবল বন্যার কারণে রবিবার মধ্যরাত থেকে শহরের নিচু এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বিঘ্নিত হয়।
এছাড়া বান্দরবান থেকে রাঙ্গামাটি, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের বিভিন্ন পয়েন্টে সড়ক বন্যার পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
ফলে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাসমূহের জন্য প্রয়োজনীয় সহায়তা সেবা মারাত্মকভাবে বাধাগ্রস্ত হয়েছে।
বান্দরবানের জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন জানান, ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তার জন্য ইতোমধ্যে ২৬৫টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বান্দরবানে ভারি বর্ষণে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত, সতর্ক করতে মাইকিং
৫ ঘণ্টা পর বান্দরবান-থানচির যোগাযোগ স্বাভাবিক
ভারতে ভূমিধসে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৭
ভারতের মহারাষ্ট্রের একটি গ্রামে চার দিন আগের ভূমিধসে ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৭ জনে পৌঁছেছে। রবিবার (২৩ জুলাই) স্থানীয় কর্তৃপক্ষ এ তথ্য জানিয়েছে।
জানা যায়, এ দুর্ঘটনায় এখনও প্রায় ৮০ জন নিখোঁজ রয়েছে। ধ্বংসস্তূপের নিচে অনেকের চাপা পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
তবে দুর্গম ভূখণ্ডের কারণে উদ্ধার প্রচেষ্টা ব্যাহত হয়েছে। এখনও অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযান ধীরগতিতে এগোচ্ছে।
সরকারি সূত্রের বরাত দিয়ে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস জানিয়েছে, গ্রামে বসবাসকারী ২২৯ জনের মধ্যে ১৫১ জন নানাভাবে ভূমিধসের শিকার হয়েছেন। তাদের মধ্যে ২৭ জন প্রাণ হারিয়েছেন এবং ৮ জন আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
আরও পড়ুন: ভারতের উত্তরাঞ্চলে রেকর্ড বৃষ্টিপাতে শতাধিক মৃত্যু
ভারতের পশ্চিমবঙ্গে পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভোট চলাকালীন সহিংসতায় নিহত ৯
ভারতে ট্রেন দুর্ঘটনায় ২৯০ জনের বেশি নিহতের ঘটনায় ৩ রেল কর্মকর্তা গ্রেপ্তার
চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে ভূমিধসে খনি শ্রমিক আবাসনে নিহত ১৯
দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে একটি খনির কোম্পানীর কর্মী আবাসিকে ভূমিধসে ১৯ জন নিহত হয়েছে।
রবিবার ভোরে এই বিপর্যয় ঘটে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
বিপর্যয়টি সিচুয়ান প্রদেশের লেশান কাউন্টির একটি পাহাড়ী গ্রামীণ জেলায় কয়েক সপ্তাহ ধরে অবিরাম বৃষ্টিপাত হওয়ার কারণে ভূমিধস হয়।
রবিবার বিকালে উদ্ধার অভিযানা চালিয়ে ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়াদের খুঁজে বের করতে ১৮০ জনেরও বেশি লোককে একত্রিত করা হয়েছিল।
রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারকার সংস্থা সিসিটিভির মতে, নিহতরা সবাই জিনকাইয়ুয়ান মাইনিং কোম্পানির কর্মী।
আরও পড়ুন: ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিধসে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২১
আর্দ্র, বৃষ্টির আবহাওয়াসহ, দক্ষিণ-পশ্চিম চীন ভূমিধস প্রবণ এলাকা। বিশেষ করে এমন এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে যেখানে কৃষিকাজ, বন উজাড়, প্রকৌশল প্রকল্প এবং খনির কাজের কারণে বৃহৎ আকারে মাটি সরানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: ইকুয়েডরে ভূমিধসে নিহত ৭, নিখোঁজ অনেকে
ঘূর্ণিঝড় মোখা: সিলেটে ঝুঁকিপূর্ণ বাসিন্দাদের নিরাপদে সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশনা
ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে ভারি বর্ষণ ও ভূমিধসের আশঙ্কায় পাহাড় ও টিলার পাদদেশে বসবাসকারীদের আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছে সিলেট জেলা প্রশাসন। শনিবার (১৩ মে) বিকালে এক দাপ্তরিক আদেশে জেলার সব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।
জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমান জানান, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সেইসঙ্গে সিলেটের পাহাড় ও টিলার পাদদেশ এবং নদীর তীরবর্তী ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে বসবাসকারীদেরকে অন্যত্র সরে যেতে বলা হয়েছে। জনগণের মধ্যে সচেতনতা তৈরির লক্ষ্যে মাইকিং করে জরুরি নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখা’র প্রভাবে শনিবার (১৩ মে) সন্ধ্যা থেকে পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সিলেট জেলায় ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে। অতিভারী বৃষ্টিপাতের প্রভাবে পাহাড় ও টিলার পাদদেশে নদীর তীরবর্তী স্থানে ভূমিধস হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে বসবাসকারী লোকদের জানমালের ক্ষয়ক্ষতিরোধে জরুরি ভিত্তিতে তাদের আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নিতে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় মোখা লাইভ অনুসরণ করবেন যেভাবে
ঘূর্ণিঝড় মোখা: উপকূলবাসীদের পাশে দাঁড়াতে নেতাকর্মীদের আহ্বান বিএনপির
ভারী বর্ষণে কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, ৩ পার্বত্য জেলায় ভূমিধসের আশঙ্কা
বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদপ্তর চট্টগ্রাম, সিলেট ও বরিশাল বিভাগে ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণের পূর্বাভাস দিয়েছে, যা পাঁচটি জেলায় ভূমিধসের কারণ হতে পারে।
আরও পড়ুন: পেরুতে প্রবল বর্ষণে ভূমিধসে ৩৬ জনের মৃত্যু
আবহাওয়া অফিসের বিশেষ বুলেটিনে বলা হয়েছে, পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখা একই এলাকার উপর দিয়ে উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হওয়ায় চট্টগ্রাম, সিলেট ও বরিশাল বিভাগে ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে।
অতি ভারী বর্ষণের কারণে কক্সবাজার, বান্দরবান, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও চট্টগ্রামের পাহাড়ি এলাকায় ভূমিধসের আশঙ্কা রয়েছে বলে বুলেটিনে বলা হয়।
আরও পড়ুন: ইকুয়েডরে ভূমিধসে নিহত ৭, নিখোঁজ অনেকে
ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিধসে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২১
ইকুয়েডরে ভূমিধসে নিহত ৭, নিখোঁজ অনেকে
মধ্য ইকুয়েডরের একটি আন্দিয়ান সম্প্রদায়ের উপর ভয়াবহ ভূমিধসে বাড়িঘর চাপা পড়ে সাত জন নিহত হয়েছে এবং নিখোঁজ রয়েছে আরও অনেকে। জীবিতদের উদ্ধার কাজ চালাচ্ছে উদ্ধারকারী দল।
সোমবার জীবিতদের উদ্বেগের সঙ্গে উদ্ধারে উদ্ধারকারী দল অনুসন্ধান চালাচ্ছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
এর আগে দিনের শুরুতে ১৬ জন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছিল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু প্রেসিডেন্ট গুইলারমো ল্যাসো সোমবার রাতে রাজধানী কুইটো থেকে প্রায় ১৩৭ মাইল দক্ষিণে আলাউসিতে বিপর্যয়ের ঘটনাস্থলে পৌঁছে সাতজন নিহত হওয়ার কথা নিশ্চিত করেন। তবে কর্মকর্তারা নিখোঁজদের সংখ্যা ৬২ জনে উন্নীত হয়েছে বলে জানান।
প্রেসিডেন্ট লাসো এই ট্র্যাজেডির জন্য দুঃখ প্রকাশ করে নগরীর জনগণকে তাদের উদ্ধারের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেন অনুসন্ধানের প্রচেষ্টায় ‘আমরা কাজ চালিয়ে যাব’।
রবিবার ইকুয়েডরের ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা সচিবালয় জানিয়েছে, রবিবার রাত ১০টার দিকে পাহাড় ধসে ৩০ জনেরও বেশি লোককে উদ্ধার করা হয়েছে। এতে ২৩ জন আহত হয়েছে।
পরিবারের সদস্যদের হারানো ৫৮ বছর বয়সী সদস্য লুইস অ্যাঞ্জেল গঞ্জালেজ বলেছেন, ‘আমার মা মাটির নিচে চাপা পড়েছে’ ‘আমি খুবই দুঃখিত, বিধ্বস্ত৷ এখানে কিছু নেই, ঘর নেই, কিছু নেই। আমরা গৃহহীন (এবং) পরিবারহীন।’
ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা সংস্থা অনুমান করেছে যে ৫০০ জন মানুষ এবং ১৬৩টি বাড়ি এই দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যা প্যান-আমেরিকান হাইওয়ের একটি অংশও ধ্বংস করেছে।
আরও পড়ুন: মালয়েশিয়ায় ভূমিধসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৪, নিখোঁজ ৯
চিম্বোরাজোর গভর্নর ইভান ভিনুয়েজা দ্য অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে জানিয়েছেন, আহতদের কয়েকজনকে এলাকার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, প্রায় দুই মাস আগে ভূমিধস ও ফাটল শুরু হওয়ার পর কর্মকর্তারা লোকজনকে ওই এলাকা থেকে সরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন। কেউ কেউ পরামর্শ অনুসরণ করে, এবং শনিবারের মধ্যে, কম্পন তীব্র হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অন্যরা সরে যায়।
এলাকার বাসিন্দারা স্থানীয় গণমাধ্যমকে বলেছেন যে তারা ভূমিধসের আগে পাহাড়ে কম্পনের শব্দ শুনেছেন, যা প্রায় ১৫০ মিটার (৪৯০ ফুট) প্রশস্ত এবং প্রায় দেড় মাইল (৭০০ মিটার) দীর্ঘ বলে অনুমান করা হয়েছিল। এটি গাছপালা, বাড়িঘর এবং অন্যান্য ভবন ভাসিয়ে নিয়ে গেছে। অর্ধশতাধিক ঘর মাটির নিচে চাপা পড়েছে।
ইমার্জেন্সি রেসপন্স এজেন্সি জানিয়েছে যে এলাকার ৬০ ভাগ পানীয় জল পরিষেবা ভূমিধসের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ের যোগাযোগ কার্যালয় বলেছে যে কিছু স্কুল অনলাইনে ক্লাস চালু করবে।
সাহায্যের জন্য ছয়টি শহর থেকে দমকল কর্মীদের ওই এলাকায় পাঠানো হয়েছে। উদ্ধারকারীরা ভূমিধসের দিকে বেশি গুরুত্ব দিয়েছে। যেখানে তারা ঘরের চিহ্ন এবং ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পেয়েছে।
উদ্ধারকারী এবং প্যারামেডিক আলবার্তো এসকোবার বলেছেন যে সময় অতিবাহিত হওয়ার কারণে আর বেশি বেঁচে থাকার সম্ভাবনা নেই।
যতদিন বৃষ্টি না হয় ততদিন তল্লাশি চলবে বলে জানান তিনি।
দেশের জরুরি পরিষেবা নেটওয়ার্কের সঙ্গে সংযুক্ত ক্যামেরার ভিডিওতে দেখা গেছে যে প্রতিবেশীদের সাহায্যে লোকজন তাদের বাড়ি ছেড়েছে।এতে দেখা যায় মানুষ যানবাহনে যন্ত্রপাতি এবং অন্যান্য জিনিসপত্র পরিবহন করছে।
আরও পড়ুন: পেরুতে প্রবল বর্ষণে ভূমিধসে ৩৬ জনের মৃত্যু
বেঁচে যাওয়া, অস্থায়ী আশ্রয়ে থাকা অনেকেই তাদের দুর্ভাগ্যের জন্য কাঁদছিল।
তাদের মধ্যে জুনা পরিবার ছিল, যারা ইগলেসিয়া ম্যাট্রিজ দে আলাউসিতে অবস্থান করছিল। যেখানে ভূমিধসের ঝুঁকির কারণে কর্তৃপক্ষ এলাকায় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করার পরে কয়েকদিন আগে ক্যাটিসিজম বা প্যারিশ মিটিং-এর জন্য কক্ষগুলো গণ বিছানার জন্য প্রস্তুত করেছিল।
সোনিয়া গুয়াদালুপে জুনা বলেছিলেন যে তার মা বছরের পর বছর ধরে যা তৈরি করেছিলেন তা ছেড়ে যেতে নারাজ।
জুনা বলেন, ‘আমরা আশ্রয় কেন্দ্রে গিয়েছিলাম, কিন্তু আমার মা চাননি,’‘পরে, আমার মেয়ে তাকে বোঝাতে গিয়েছিল। তারা যখন রেলপথ ধরে হাঁটল, সবকিছু ভেঙে পড়ল। তারা ময়লা আচ্ছন্ন হয়ে কাঁদতে কাঁদতে পৌঁছেছে।’
জুনার পরিবার সবকিছু হারিয়েছে,তাদের জামাকাপড়ের জন্য সঞ্চয় করুন।
তিনি কাঁদতে কাঁদতে বলল, ‘আমি জানি না কোথায়, কিন্তু আমরা সবাই চলে যাচ্ছি।’ ‘আমার বাবা-মা আমাদের কঠোর পরিশ্রম করতে শিখিয়েছিলেন যে আপনি বস্তুগত জিনিস পান, কিন্তু একসঙ্গে থাকা অমূল্য।’
আরও পড়ুন: ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিধসে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২১
ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিধসে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২১
ইন্দোনেশিয়ার দুর্গম নাতুনা দ্বীপপুঞ্জের একটি পাহাড়ি গ্রামে ভূমিধসের ঘটনায় কয়েক টন মাটির নিচে চাপা পড়া আরও লাশ উদ্ধার হওয়ায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২১ জনে।
বৃহস্পতিবার ন্যাশনাল সার্চ অ্যান্ড রেসকিউ এজেন্সি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, সোমবার প্রবল বর্ষণের ফলে সৃষ্ট ভূমিধসে আশপাশের পাহাড় ধসে পড়ে এবং দক্ষিণ চীন সাগরের প্রান্তে নাতুনা দ্বীপপুঞ্জের একটি ছোট্ট দ্বীপের জেন্টিং গ্রামে ৩০টি বাড়ি চাপা পড়ে।
এতে আরও বলা হয়, কর্তৃপক্ষ অনুসন্ধান ও উদ্ধার সংস্থা, পুলিশ এবং সামরিক বাহিনীর ২০০ জনেরও বেশি উদ্ধারকর্মীকে এখনও নিখোঁজ ৩৩ জনের সন্ধানে মোতায়েন করেছে। যারা ভূমিধসের কারণে প্রায় ৪ মিটার গভীরে আটকা পড়ে।
আরও পড়ুন: পেরুতে প্রবল বর্ষণে ভূমিধসে ৩৬ জনের মৃত্যু
ন্যাশনাল ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট এজেন্সির প্রধান সুহারিয়ান্তো বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন, আটজনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে, যাদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। সোমবার গভীর রাতে তাদের জেন্টিং থেকে প্রায় ৩০০ কিলোমিটার দূরে বোর্নিও দ্বীপের পন্টিয়ানাক শহরের একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
দুর্যোগস্থলের আশেপাশে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযান ব্যাহত হয়। সুহারিয়ান্তো বলেন, আবহাওয়ার কারণে বেশ কয়েকবার অনুসন্ধান কার্যক্রম বন্ধ রাখতে বাধ্য হতে হয় এবং যোগাযোগ লাইন ও বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ায় অভিযান বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
সোমবারের ভূমিধসে প্রায় এক হাজার ৩০০ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে এবং তাদের চারটি অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সুহারিয়ান্তো।
আরও পড়ুন: মালয়েশিয়ায় ভূমিধসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৪, নিখোঁজ ৯