ভূমিধস
ভারতের দক্ষিণাঞ্চলে ভূমিধসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৫১
ভারতের দক্ষিণাঞ্চলে একাধিক ভূমিধসে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৫১ জনে দাঁড়িয়েছে। কাদা ও ধ্বংসস্তূপের মধ্যেই তল্লাশি চালিয়ে যাচ্ছেন উদ্ধারকর্মীরা।
জানা গেছে, ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে কেরালা রাজ্যের ওয়ানাড় জেলায় চা বাগান ও আশেপাশের গ্রামগুলোতে একাধিক ভূমিধসের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় পুলিশ কর্মকর্তা আইজাজ জানান, কেরালা রাজ্যের ওয়ানাড় জেলায় পাহাড়ি এলাকায় মঙ্গলবার ভোরে ভূমিধস হয়। বাড়িঘরের পাশাপাশি সেতু ধ্বংস হয়ে যাওয়ায় যোগাযোগ ব্যবস্থা ব্যাহত হয়েছে।
আইজাজ আরও বলেন, কাদা ও ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়া লোকজনকে বের করে আনতে ৩০০ জনেরও বেশি উদ্ধারকর্মী কাজ করছে। রাতভর ১২ জনেরও বেশি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে রাস্তাঘাট বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এবং ভূমিধস অব্যাহত থাকায় উদ্ধার কার্যক্রম ব্যাহত হয়।
এর আগে মঙ্গলবার হতাহতের সংখ্যা উল্লেখ করে কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন জানান, শতাধিক মানুষ আহত হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এছাড়া তিন হাজারেরও বেশি মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
ধ্বংসস্তূপের নিচে কতজন আটকে রয়েছেন তা স্পষ্ট করে বলতে পারেননি মুখ্যমন্ত্রী।
স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে জানা যায়, হতাহতদের বেশিরভাগই চা বাগানের শ্রমিক।
আরও পড়ুন: ভারতের দক্ষিণাঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে ব্যাপক ভূমিধস, নিহত ৯৩
৩ মাস আগে
নেপালে ভূমিধসে ২ বাস নদীতে ভেসে গিয়ে ৬০ যাত্রী নিখোঁজ
নেপালে ভূমিধসে দুটি বাস নদীতে ভেসে গিয়ে অন্তত ৬০ জন নিখোঁজ রয়েছেন। অবিরাম বৃষ্টির কারণে ব্যাহত হচ্ছে উদ্ধার কার্যক্রম। একারণে মাত্র তিন যাত্রীকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) দিবাগত রাত ৩টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। রাজধানী কাঠমান্ডু থেকে প্রায় ১২০ কিলোমিটার পশ্চিমে সিমল্টালের কাছে ভূমিধসের পর যাত্রীবাহী বাস দুটি ভেসে যায় নদীতে।
উদ্ধার হওয়া তিনজন চিকিৎসাধীন জানিয়ে সরকারি প্রশাসক খিমা নান্দাদা ভুসাল জানান, তারা বাস থেকে লাফ দিয়ে সাঁতরে পাড়ে উঠেছিলেন। স্থানীয়রা তাদের খুঁজে পেয়ে নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যান।
ভুসাল আরও জানান, ভূমিধসের কারণে বেশ কয়েকটি জায়গা থেকে ওই এলাকায় যাতায়াতের পথও বন্ধ হয়ে গেছে।
উদ্ধার তৎপরতায় সহায়তার জন্য অতিরিক্ত উদ্ধারকারী ও নিরাপত্তা বাহিনী পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি।
ভেসে যাওয়া দুটি বাসের একটিতে ২৪ জন এবং অন্যটিতে ৪২ জন যাত্রী ছিল বলে জানিয়েছেন সরকারি প্রশাসক।
আরও পড়ুন: নেপালে বন্যা ও ভূমিধসে নিহত ১৫
পরে শুক্রবার সকালে একই মহাসড়কে ওই ঘটনাস্থলের কিছুটা দূরে ভূমিধসের কবলে পড়ে আরেকটি বাস। এতে চালকের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। এছাড়া আর কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেছে কি না তা জানা যায়নি।
নিখোঁজের ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে সাম্প্রতিক বন্যা ও ভূমিধসের বিষয়ে উদ্বেগ জানিয়েছেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কমল দাহাল।
বেশ কয়েকটি সরকারি সংস্থা নিখোঁজদের সন্ধান করছে বলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম 'এক্স'-এ এক পোস্টে জানান তিনি।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে পোখারা রিসোর্ট শহরের কাছে ভূমিধসে একটি কুঁড়েঘর চাপা পড়ে সাত সদস্যের একটি পরিবারের সবাই মারা যান। আশেপাশের আরও তিনটি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
নেপালে জুন থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বর্ষা মৌসুমে ভারী বৃষ্টিপাত হয়। এ কারণে প্রায়ই ভূমিধসের ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: ইন্দোনেশিয়ায় অবৈধ স্বর্ণের খনিতে ভূমিধসে নিহত ১১, নিখোঁজ ১৯
৪ মাস আগে
ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বন্যা ও ভূমিধসে নিহত ১৬
ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে গত দুই সপ্তাহে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে সৃষ্ট বন্যা ও ভূমিধসে অন্তত ১৬ জন নিহত হয়েছে। এছাড়া ৩ লাখের বেশি মানুষ বন্যায় ঘরছাড়া হয়েছে।
বন্যায় ব্রহ্মপুত্র তীরবর্তী আসাম রাজ্য ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। ভারতের সেনাবাহিনী এবং বিমান বাহিনী এ রাজ্যে উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছে।
মঙ্গলবার (২ জুলাই) ব্রহ্মপুত্রের একটি ছোট দ্বীপে চারদিন ধরে আটকে থাকার পর হেলিকপ্টারের মাধ্যমে ১৩ জেলেকে উদ্ধার করেছে বিমান বাহিনীর সদস্যরা।
বাংলাদেশে প্রবেশের আগে আসামের ওপর দিয়ে ১২৮০ কিলোমিটার ধরে বয়ে গেছে ব্রহ্মপুত্র নদ। প্রতি বছরই বর্ষা মৌসুমে নদের পানি উপচে দুপাড়ে ব্যপক প্লাবনের সৃষ্টি হয়। তবে এ বছরের আগাম বৃষ্টিপাতের কারণে নদের দুপাড় এবং এর মাঝে থাকা ২ হাজারের বেশি দ্বীপের বাসিন্দারা আগেভাগেই বিপাকে পড়েছেন।
আরও পড়ুন: মেহেরপুর সীমান্তে বাংলাদেশে পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে আসার সময় বিএসএফের গুলিতে ভারতীয় নারী নিহত
আসামের বিখ্যাত কাজিরাঙ্গা জাতীয় উদ্যানের প্রাণীরাও বন্যার হাত থেকে রেহাই পেতে উঁচু জমিতে গিয়ে উঠছে। পার্কটিতে প্রায় আড়াই হাজার এক শিংওয়ালা গন্ডার রয়েছে।
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বলেছেন, পার্ক রেঞ্জাররা প্রাণীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে সর্বক্ষণ তাদের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করছেন।
এদিকে, আসামের পাশের রাজ্য চীনের সীমান্তবর্তী অরুণাচল প্রদেশে ভূমিধসে বেশ কয়েকটি রাস্তা বন্ধ হয়ে গেছে।
স্থানীয় পুলিশ জানিয়েছে, রাজ্যের চাংলাং জেলার একটি স্কুল থেকে ৭০ জন শিক্ষার্থী ও শিক্ষককে উদ্ধার করেছে সেনাবাহিনী।
এ ছাড়াও, সিকিম, মণিপুর ও মেঘালয় রাজ্যে প্রবল বন্যায় রাস্তা ভেসে গেছে, ভেঙে পড়েছে সেতু।
ভারতের সরকারি হিসাব অনুসারে, বৃষ্টির কারণে সৃষ্ট বন্যা ও ভূমিধসের কারণে মে মাসের শেষ থেকে এ পর্যন্ত দেশটির উত্তর-পূর্বের ছয়টি রাজ্যে ৮০ জনের বেশি লোক নিহত হয়েছে।
আরও পড়ুন: হাসিনার ভারত সফর: বাংলাদেশকে উন্নয়নের পথে আরেক ধাপ এগিয়ে নেবে
৪ মাস আগে
চীনে ভূমিধসে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩১, এখনও নিখোঁজ অনেক
চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ ইউনানের প্রত্যন্ত ও পার্বত্য এলাকায় ভূমিধসে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩১ জনে দাঁড়িয়েছে এবং এখনও অনেক নিখোঁজ রয়েছে বলে জানিয়েছে চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম সিনহুয়া।
সোমবার(২২ জানুয়ারি) স্থানীয় সময় ভোর ৬টার কিছু আগে ইউনানের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের লিয়াংশুই গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
এর আগে মঙ্গলবার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল, মোট ৪৪ জনের মতো নিখোঁজ এবং নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। ইতোমধ্যে বেশ কিছু লাশ উদ্ধার করেছেন তারা।
আরেকটি ভূমিধসের সতর্কতার কারণে দিনের শুরুতে উদ্ধার অভিযান স্থগিত থাকার পর পুনরায় তা শুরু হয়েছে।
জরুরি ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, খননকারী, ড্রোন ও উদ্ধারকারী কুকুরের সহায়তায় ১ হাজারেরও বেশি উদ্ধারকর্মী হিমশীতল ঠান্ডার মধ্যে কাজ করছেন। সোমবার দু'জনকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন দেওয়া হয়।
স্থানীয় বিশেষজ্ঞদের প্রাথমিক তদন্তের বরাত দিয়ে রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সিনহুয়া জানিয়েছে, প্রায় ১০০ মিটার (৩৩০ ফুট) প্রশস্ত, ৬০ মিটার (২০০ ফুট) উচ্চতা এবং গড়ে ৬ মিটার (২০ ফুট) পুরুত্বের একটি খাড়া পাহাড় ধসে পড়লে ভূমিধসের সূত্রপাত হয়। তবে কী কারণে প্রথম ধসের ঘটনা ঘটেছে, সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানায়নি তারা।
আরও পড়ুন: ফিলিপাইনের দক্ষিণাঞ্চলে ভূমিধসে নিহত ৭, নিখোঁজ ১০
সিনহুয়ার পোস্ট করা উপর থেকে তোলা ছবিতে দেখা গেছে, একটি উঁচু পাহাড়ের অংশ পাশের গ্রামের বেশ কয়েকটি বাড়ির ওপর ছড়িয়ে পড়েছে। নিরাপত্তার কারণে ৯০০ জনেরও বেশি গ্রামবাসীকে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
ঝেনশিয়ং কাউন্টি বেইজিং থেকে প্রায় ২ হাজার ২৫০ কিলোমিটার (১,৪০০ মাইল) দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত। ২ হাজার ৪০০ মিটার (৭,৯০০ ফুট) পর্যন্ত এর উচ্চতা রয়েছে।
উদ্ধারকারীরা তুষারপাত, বরফে ঢাকা রাস্তা এবং হিমশীতল তাপমাত্রার সঙ্গে লড়াই করছে। এমন আবহাওয়া কমপক্ষে আরও তিন দিন অব্যাহত থাকবে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: চীনের পশ্চিমাঞ্চলে ৭.১ মাত্রার ভূমিকম্প
চীনের অনেক অংশে ভারী তুষারপাত হচ্ছে, যা পরিবহন ব্যবস্থায় ব্যাঘাত সৃষ্টি করছে এবং জীবনকে বিপন্ন করছে।
উদ্ধারকারীরা গত সপ্তাহে উত্তর-পশ্চিম চীনের একটি প্রত্যন্ত স্কিইং এলাকা থেকে পর্যটকদের সরিয়ে নিয়েছিল। কারণ ভারী তুষারপাতের কারণে এক সপ্তাহ ধরে এক হাজারেরও বেশি লোক আটকা পড়েছিল। সীমান্তের কাছে জিনজিয়াং অঞ্চলের আলতাই প্রদেশের একটি গ্রামে তুষারধসের কারণে মঙ্গোলিয়া, রাশিয়া ও কাজাখস্তানের সঙ্গে চীনের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়।
বৃষ্টি বা অনিরাপদ নির্মাণ কাজের কারণে ভূমিধসের ঘটনা চীনে অস্বাভাবিক কিছু নয়। গত বছর ভূমিধসে কমপক্ষে ৭০ জন নিহত হয়েছিল। এর মধ্যে ইনার মঙ্গোলিয়া অঞ্চলে একটি উন্মুক্ত খনিতে ৫০ জনেরও বেশি লোক নিহত হন। এছাড়া ২০২১ সালে নির্মাণাধীন একটি টানেল প্লাবিত হওয়ায় ১৪ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছিল।
গানসু ও কিংহাই প্রদেশের মধ্যবর্তী প্রত্যন্ত অঞ্চলে চীনের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে কয়েক বছরের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানার মাত্র এক মাস পর ইউনানে ভূমিধসের ঘটনা ঘটল। গত ১৮ ডিসেম্বর আঘাত হানা ৬ দশমিক ২ মাত্রার ভূমিকম্পে অন্তত ১৪৯ জন নিহত হয়, এতে ঘরবাড়ি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয় এবং ভারী ভূমিধসে কিংহাই প্রদেশের দুটি গ্রাম প্লাবিত হয়।
গত ৯ বছরের মধ্যে চীনে সবচেয়ে ভয়াবহ ভূমিকম্পে প্রায় এক হাজার মানুষ আহত এবং ১৪ হাজারেরও বেশি ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়েছে।
আরও পড়ুন: চীনের পাহাড়ি এলাকায় ভূমিধসে ৪৭ জনের মৃত্যু
৯ মাস আগে
চীনের পাহাড়ি এলাকায় ভূমিধসে ৪৭ জনের মৃত্যু
চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় পার্বত্য ইউনান প্রদেশে ভূমিধসে ৪৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। ঠান্ডা তাপমাত্রা ও তুষারপাতের কারণে আরও ২০০ জনকে নিরাপদে সরিয়ে নিয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ।
সোমবার (২২ জানুয়ারি) স্থানীয় সময় ভোর ৬টার কিছু আগে ইউনান প্রদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় লিয়াংশুই গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
ঝেনশিয়ং কাউন্টির প্রচার বিভাগ জানিয়েছে, ১৮টি আলাদা বাড়িতে চাপা পড়া হতাহতদের উদ্ধার তৎপরতা চলছে।
তবে এসব ক্ষেত্রে তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। ভূমিধসের কারণ তাৎক্ষণিকভাবে জানা না গেলেও ছবিতে দেখা গেছে যে তুষারপাত অব্যাহত রয়েছে।
আরও পড়ুন: শ্রীলঙ্কায় বন্যা ও ভূমিধসে ২১ হাজারের বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত
ভূমিধসের সময় ৩৫ বছর বয়সী লুও ডংমেই ঘুমিয়ে ছিলেন, কিন্তু তিনি বেঁচে যান এবং স্থানীয় কর্তৃপক্ষ তাকে একটি স্কুলে সরিয়ে নিয়েছে।
লুও ডংমেই বলেন, ‘আমি ঘুমিয়ে ছিলাম, কিন্তু আমার ভাই দরজায় কড়া নাড়ল এবং আমাকে জাগিয়ে তুলল। তারা বলেছিল যে সেখানে একটি ভূমিধস ছিল এবং বিছানাটি কাঁপছিল, তাই তারা দ্রুত উপরে উঠে আমাদের জাগিয়ে তোলে।’
তিনি বলেন, লুও, তার স্বামী এবং তাদের তিন সন্তানসহ আরও অনেক বাসিন্দাকে স্কুলে খাবার সরবরাহ করা হয়েছে তবে তারা এখনও ঠান্ডা আবহাওয়া মোকাবিলায় কম্বল এবং অন্যান্য সুরক্ষা সামগ্রীর জন্য অপেক্ষা করছেন।
লুও বলেন, ভূমিধসের স্থানের কাছাকাছি থাকা তার বোন ও খালার সঙ্গে তিনি যোগাযোগ করতে পারছেন না। ‘আমি এখন শুধু অপেক্ষা করতে পারি।’
আরও পড়ুন: চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে ভূমিধসে খনি শ্রমিক আবাসনে নিহত ১৯
উদ্ধারকারীরা গত সপ্তাহে উত্তর-পশ্চিম চীনের একটি প্রত্যন্ত স্কিইং এলাকা থেকে পর্যটকদের সরিয়ে নিয়েছিল। কারণ ভারী তুষারপাতের কারণে এক সপ্তাহ ধরে এক হাজারেরও বেশি লোক আটকা পড়েছিল। সীমান্তের কাছে জিনজিয়াং অঞ্চলের আলতাই প্রদেশের একটি গ্রামে তুষারধসের কারণে মঙ্গোলিয়া, রাশিয়া ও কাজাখস্তানের সঙ্গে চীনের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়।
বৃষ্টি বা অনিরাপদ নির্মাণ কাজের কারণে ভূমিধসের ঘটনা চীনে অস্বাভাবিক কিছু নয়। গত বছর ভূমিধসে কমপক্ষে ৭০ জন নিহত হয়েছিল। এর মধ্যে ইনার মঙ্গোলিয়া অঞ্চলে একটি উন্মুক্ত খনিতে ৫০ জনেরও বেশি লোক নিহত হন। এছাড়া ২০২১ সালে নির্মাণাধীন একটি টানেল প্লাবিত হওয়ায় ১৪ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছিল।
গানসু ও কিংহাই প্রদেশের মধ্যবর্তী প্রত্যন্ত অঞ্চলে চীনের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে কয়েক বছরের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানার মাত্র এক মাস পর ইউনানে ভূমিধসের ঘটনা ঘটল। গত ১৮ ডিসেম্বর আঘাত হানা ৬ দশমিক ২ মাত্রার ভূমিকম্পে অন্তত ১৪৯ জন নিহত হয়, এতে ঘরবাড়ি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয় এবং ভারী ভূমিধসে কিংহাই প্রদেশের দুটি গ্রাম প্লাবিত হয়।
গত ৯ বছরের মধ্যে চীনে সবচেয়ে ভয়াবহ ভূমিকম্পে প্রায় এক হাজার মানুষ আহত এবং ১৪ হাজারেরও বেশি ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়েছে।
আরও পড়ুন: ফিলিপাইনের দক্ষিণাঞ্চলে ভূমিধসে নিহত ৭, নিখোঁজ ১০
৯ মাস আগে
কলম্বিয়ায় ভূমিধসে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩৪
কলম্বিয়ার পশ্চিমাঞ্চলে ভূমিধসে শনিবার নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩৪ জনে দাঁড়িয়েছে।
শুক্রবার কুইবদো ও মেডেলিন শহরের সংযোগকারী পার্বত্য এলাকার একটি ব্যস্ত পৌর সড়কে ভূমিধসের ঘটনা ঘটে।
ন্যাশনাল ডিজাস্টার রিস্ক ম্যানেজমেন্ট ইউনিট প্রাথমিকভাবে বিবৃতিতে জানিয়েছে, অন্তত ১৮ জন নিহত হয়েছেন। সংস্থাটি আরও জানিয়েছে, অন্তত আহত ৩৫ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
চোকো গভর্নরের কার্যালয় থেকে নতুন মৃত্যুর সংখ্যা জানানো হয়েছে, যেখানে অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযান সমন্বয়ের জন্য একটি সমন্বিত কমান্ড পোস্ট তৈরি করা হয়েছে। বিবৃতিতে তারা জানিয়েছে, ১৭টি লাশ শনাক্ত করা হয়েছে এবং কর্মকর্তারা আরও ১৭ জনকে শনাক্ত করার চেষ্টা করছেন।
প্রসিকিউটর অফিস নিহতের সংখ্যা নিশ্চিত করেছে।
আরও পড়ুন: ভারতের শিমলায় ভূমিধসে ২১ জনের মৃত্যু: মুখ্যমন্ত্রী সুখু
এর আগে কলম্বিয়ার ভাইস প্রেসিডেন্ট ফ্রান্সিয়া মার্কেজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে বলেন, ভূমিধসে আটকা পড়াদের খোঁজে তল্লাশি অব্যাহত রয়েছে।
হতাহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজন শিশু রয়েছে বলে তিনি জানান। তবে তিনি কোনো সংখ্যা উল্লেখ করেননি।
কী কারণে ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে তা নির্দিষ্ট করে জানায়নি রিস্ক ম্যানেজমেন্ট ইউনিট। তবে শুক্রবার রাতে প্রতিরক্ষা বিভাগ জানিয়েছে, ওই এলাকায় বৃষ্টি হচ্ছে। যার ফলে উদ্ধার কাজ পরিচালনা কঠিন হয়ে পড়েছে।
প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেট্রো শুক্রবার এক্সে বলেন, তার সরকার এই 'ভয়াবহ ট্র্যাজেডিতে' প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহায়তা দেবে।
আরও পড়ুন: ভারতের উত্তরাখণ্ডে ভূমিধসে ৫ তীর্থযাত্রী নিহত
ভারতে ভূমিধসে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৭
১০ মাস আগে
ভারতের শিমলায় ভূমিধসে ২১ জনের মৃত্যু: মুখ্যমন্ত্রী সুখু
ভারতের হিমাচল প্রদেশের শিমলায় ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে সৃষ্ট ভূমিধসে সোমবার (১৪ আগস্ট) সকাল পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এরমধ্যে শিমলার সামার হিল এলাকায় শিবমন্দির ধসে পড়ে ৯ জন নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া মন্দিরের ধ্বংসাবশেষের নিচে বেশ কয়েকজন আটকে পড়েছেন বলে ভারতীয় গণমাধ্যম এএনআইয়ের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হতাহতের ঘটনায় হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুখু শোক প্রকাশ করেছেন।
তিনি বলেন, সামার হিল এলাকায় ধসে পড়া মন্দিরের ধ্বংসাবশেষের নিচে আটকে পড়া লোকদের উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।
এক টুইটে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এখন পর্যন্ত ৯ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন এখনও আটকে পড়া ব্যক্তিদের উদ্ধারের চেষ্টা করছে।’
রাজ্যের মন্ত্রী বিক্রমাদিত্য সিং ও মুখ্যমন্ত্রী সুখু ধসে পড়া শিবমন্দির পরিদর্শন করেছেন।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এখনো ২০-২৫ জন মানুষ ধ্বংসাবশেষের নিচে আটকে আছে। ভারী বৃষ্টির কারণে রাজ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় মোট ২১ জন মারা গেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি মানুষকে বাড়িতে থাকার জন্য এবং নদী ও ভূমিধসপ্রবণ এলাকার কাছাকাছি না যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছি। বৃষ্টি থামার সঙ্গে সঙ্গে উদ্ধারাভিযান শুরু হবে।’
আরও পড়ুন: ভারতের উত্তরাখণ্ডে ভূমিধসে ৫ তীর্থযাত্রী নিহত
এর আগে শিমলার পুলিশ সুপার (এসপি) সঞ্জীব কুমার গান্ধী বলেন, ‘ধসে পড়া মাটি মন্দিরের ওপর পড়ে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। আশেপাশের ভবনগুলোও হুমকিতে রয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘বেশ কিছু মানুষ আটকে পড়েছে। আমরা বিস্তারিত তথ্যের জন্য অপেক্ষা করছি।’
এসডিআরএফ, এনডিআরএফ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা আটকে পড়া মানুষদের উদ্ধারে অভিযান চালাতে ঘটনাস্থলে উপস্থিত রয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী সুখু বলেন, ‘আমি মান্ডিতে আমার পূর্বনির্ধারিত অনুষ্ঠান বাতিল করেছি। ১৫ আগস্ট স্বাধীনতা দিবসের কর্মসূচি যথারীতি চলবে, তবে আমাদের অগ্রাধিকার হলো (দুর্ঘটনাকবলিতদের) জীবন বাঁচানো।’
রাজ্যের মন্ত্রী বিক্রমাদিত্য সিং জানান, সামার হিলে মন্দিরের ধ্বংসাবশেষ থেকে কয়েকজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
সিং বলেন, ‘এখনও ১০-১৫ জন ধ্বংসাবশেষের নিচে চাপা পড়ে আছে। আটকে পড়া মানুষদের নিরাপদে উদ্ধারের জন্য প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে রাজ্যের মান্ডি জেলায় ১২-১৫ জন মারা গেছে।
এর আগে, সাব ডিভিশনাল ম্যাজিস্ট্রেট (এসডিএম) কান্দাঘাট সিদ্ধার্থ আচার্য জানান, রাজ্যের সোলান জেলার কান্দাঘাট মহকুমার জাদন গ্রামে আকস্মিক ভারী বৃষ্টিতে সাতজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় দুটি ঘর ও একটি গোয়ালঘর ভেসে গেছে।
মুখ্যমন্ত্রী সুখু নিহতের ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন এবং কর্তৃপক্ষকে সমস্ত সম্ভাব্য সাহায্য- সহায়তা নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ভারতে সেতু নির্মাণে ব্যবহৃত ক্রেন ধসে ১৬ শ্রমিক নিহত
সুখু পৃথক টুইটে বলেন, ‘সোলান জেলার কান্দাঘাট মহকুমার জাদন গ্রামে আকস্মিক ভারী বৃষ্টিতে সাতটি মূল্যবান প্রাণ ঝড়ে যাওয়ায় গভীর মর্মাহত। আমি শোকাহত পরিবারগুলোর প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছি। এই কঠিন সময়ে আমরা আপনাদের পাশে আছি।’
তিনি আরও লিখেছেন, ‘ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে সব ধরনের সাহায্য-সহায়তা করতে কর্তৃপক্ষকে আমরা নির্দেশ দিয়েছি।’
হিমাচল প্রদেশে গত ২৪ ঘণ্টা ধরে অবিরাম বর্ষণের ফলে ভূমিধস হয়েছে।
শিমলা-চণ্ডিগড় সড়কসহ বেশ কয়েকটি সড়ক প্লাবিত হওয়ায় যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে।
মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে শিক্ষাসচিব ১৪ আগস্ট সব সরকারি-বেসরকারি স্কুল-কলেজ বন্ধ রাখার প্রজ্ঞাপন জারি করেছেন।
মুখ্যসচিব ও স্বরাষ্ট্র সচিবের পাশাপাশি সমস্ত জেলা কালেক্টরকে দুর্যোগ পরিস্থিতির উপর কড়া নজর রাখার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
তিনি বলেন, প্রশাসনিক কর্মীদের সতর্ক থাকতে হবে এবং রাস্তা, বিদ্যুৎ ও পানির সুষ্ঠু ব্যবস্থা বজায় রাখতে হবে।
আরও পড়ুন: ভারতে ভূমিধসে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৭
১ বছর আগে
ভারতের উত্তরাখণ্ডে ভূমিধসে ৫ তীর্থযাত্রী নিহত
ভারতের উত্তরাখণ্ডে ভূমিধসের ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়ে পাঁচ তীর্থযাত্রী নিহত হয়েছেন। শনিবার (১২ আগস্ট) পুলিশ এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
পুলিশ জানিয়েছে, দেরাদুন থেকে প্রায় ২৩০ কিলোমিটার পূর্বে রুদ্রপ্রয়াগ জেলায় ভূমিধসের ধ্বংসস্তূপে নিহতদের বহনকারী গাড়িটি চাপা পড়ে।
তারা আরও জানায়, হতাহতরা কেদারনাথ মন্দিরে যাচ্ছিলেন। নিহতদের মধ্যে তিনজন ভারতের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য গুজরাটের বাসিন্দা এবং বাকি দুজন হরিদ্বারের বাসিন্দা বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন: হাওয়াইয়ের মাউই দ্বীপে দাবানলে ৫৩ জনের মৃত্যু: গভর্নর
পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার রাতে গাড়িটি ভূমিধসের কবলে পড়ে থাকতে পারে বলে তাদের ধারণা।
খবরে বলা হয়েছে, দুর্ঘটনার খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই স্টেট ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্স (এসডিআরএফ) উদ্ধার অভিযান শুরু করেছে। তবে প্রবল বর্ষণে ওই এলাকায় উদ্ধার প্রচেষ্টা ব্যাহত হচ্ছে।
চলতি মাসের গোড়ার দিকে গৌরীকুণ্ডে ব্যাপক ভূমিধস হয়।
কর্মকর্তাদের মতে, ওই ভূমিধসে এখনো ১৬ জন নিখোঁজ রয়েছেন।
আরও পড়ুন: চলতি বছর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে দাবদাহে ১৪৭ জনের মৃত্যু
পাকিস্তানে ট্রেন লাইনচ্যুত হয়ে নিহত ৩০, আহত ৬০
১ বছর আগে
বান্দরবানে ভূমিধসে মা-মেয়েসহ নিহত ৩
বান্দরবান জেলায় সোমবার ও মঙ্গলবার ভূমিধসে মা ও মেয়েসহ তিনজন নিহত ও আহত হয়েছেন আরও ৬ জন।
বান্দরবানের জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন জানান, সকালে লামা উপজেলার কুমারীতে বাড়ির ওপর মাটির টুকরো ধসে নুরুল ইসলাম (৩৫) নিহত ও ৬ জন আহত হয়েছেন।
আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাদের মধ্যে চারজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে বন্যার পানিতে ডুবে কলেজছাত্রীর মৃত্যু
এদিকে সোমবার বিকালে জেলার সদর উপজেলার গোদাপাড়ায় ভূমিধসে নুরুন্নাহার (৩৫) ও তার মেয়ে সাবেকুন্নাহার(১২) নিহত হয়েছেন।
গত কয়েকদিন ধরে টানা বৃষ্টিতে ভূমিধসের কারণে আরও প্রাণহানির আশঙ্কা করেছে স্থানীয় প্রশাসন।
এছাড়া টানা বৃষ্টিতে সব সড়ক পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় গত কয়েকদিন ধরে দেশের অন্যান্য অঞ্চলের সঙ্গে বান্দরবান জেলার সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে।
বন্যা পরিস্থিতির মধ্যে একটি বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সোমবার থেকে জেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।
আরও পড়ুন: বান্দরবানে বন্যায় ৩০ হাজার মানুষ পানিবন্দি
জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন আরও বলেন, জেলা শহরের দুই-তৃতীয়াংশ অংশ প্লাবিত হওয়ায় ইতোমধ্যেই ২৬৫টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে, এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন প্রায় ৩০০ মানুষ।
ইতোমধ্যে দুর্গতদের জন্য ৮৫ মেট্রিক টন খাদ্য ও এক লাখ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে এবং ৪৩টি মেডিকেল টিম বন্যা কবলিত এলাকায় কাজ করছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম ও বান্দরবানে বন্যা-ভূমিধস মোকাবিলায় সেনা মোতায়েন
১ বছর আগে
চট্টগ্রাম ও বান্দরবানে বন্যা-ভূমিধস মোকাবিলায় সেনা মোতায়েন
বন্যা পরিস্থিতি ও ভূমিধস মোকাবিলায় চট্টগ্রাম ও বান্দরবান জেলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) ইন্টার-সার্ভিস পাবলিক রিলেশনস (আইএসপিআর) অনুসারে, বেসামরিক প্রশাসনের অনুরোধের ভিত্তিতে সেনা বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে।
এদিকে, গত কয়েকদিনের অবিরাম বর্ষণে দুই জেলার প্রায় ৫ লাখ মানুষ ভয়াবহ পরিস্থিতি রয়েছেন।
বান্দরবান জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, বালাঘাটা, ফজর আলী পাড়া, চেয়ারম্যান পাড়া, পুলিশ লাইনস এলাকা, ছাইগ্যা মহাজন পাড়া, উদ্যানপালন এলাকা, লালমিয়ার চর এলাকা, হাফেজঘোনা, আর্মিপাড়া, কাশেম পাড়া, স্টেডিয়াম ও কেচিং পাড়া এলাকার বাসিন্দারা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: বান্দরবানে বন্যায় ৩০ হাজার মানুষ পানিবন্দি
প্রবল বন্যার কারণে রবিবার মধ্যরাত থেকে শহরের নিচু এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বিঘ্নিত হয়।
এছাড়া বান্দরবান থেকে রাঙ্গামাটি, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের বিভিন্ন পয়েন্টে সড়ক বন্যার পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
ফলে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাসমূহের জন্য প্রয়োজনীয় সহায়তা সেবা মারাত্মকভাবে বাধাগ্রস্ত হয়েছে।
বান্দরবানের জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন জানান, ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তার জন্য ইতোমধ্যে ২৬৫টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বান্দরবানে ভারি বর্ষণে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত, সতর্ক করতে মাইকিং
৫ ঘণ্টা পর বান্দরবান-থানচির যোগাযোগ স্বাভাবিক
১ বছর আগে