ভূমিধস
চীনে ভূমিধসে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩১, এখনও নিখোঁজ অনেক
চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ ইউনানের প্রত্যন্ত ও পার্বত্য এলাকায় ভূমিধসে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩১ জনে দাঁড়িয়েছে এবং এখনও অনেক নিখোঁজ রয়েছে বলে জানিয়েছে চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম সিনহুয়া।
সোমবার(২২ জানুয়ারি) স্থানীয় সময় ভোর ৬টার কিছু আগে ইউনানের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের লিয়াংশুই গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
এর আগে মঙ্গলবার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল, মোট ৪৪ জনের মতো নিখোঁজ এবং নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। ইতোমধ্যে বেশ কিছু লাশ উদ্ধার করেছেন তারা।
আরেকটি ভূমিধসের সতর্কতার কারণে দিনের শুরুতে উদ্ধার অভিযান স্থগিত থাকার পর পুনরায় তা শুরু হয়েছে।
জরুরি ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, খননকারী, ড্রোন ও উদ্ধারকারী কুকুরের সহায়তায় ১ হাজারেরও বেশি উদ্ধারকর্মী হিমশীতল ঠান্ডার মধ্যে কাজ করছেন। সোমবার দু'জনকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন দেওয়া হয়।
স্থানীয় বিশেষজ্ঞদের প্রাথমিক তদন্তের বরাত দিয়ে রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সিনহুয়া জানিয়েছে, প্রায় ১০০ মিটার (৩৩০ ফুট) প্রশস্ত, ৬০ মিটার (২০০ ফুট) উচ্চতা এবং গড়ে ৬ মিটার (২০ ফুট) পুরুত্বের একটি খাড়া পাহাড় ধসে পড়লে ভূমিধসের সূত্রপাত হয়। তবে কী কারণে প্রথম ধসের ঘটনা ঘটেছে, সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানায়নি তারা।
আরও পড়ুন: ফিলিপাইনের দক্ষিণাঞ্চলে ভূমিধসে নিহত ৭, নিখোঁজ ১০
সিনহুয়ার পোস্ট করা উপর থেকে তোলা ছবিতে দেখা গেছে, একটি উঁচু পাহাড়ের অংশ পাশের গ্রামের বেশ কয়েকটি বাড়ির ওপর ছড়িয়ে পড়েছে। নিরাপত্তার কারণে ৯০০ জনেরও বেশি গ্রামবাসীকে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
ঝেনশিয়ং কাউন্টি বেইজিং থেকে প্রায় ২ হাজার ২৫০ কিলোমিটার (১,৪০০ মাইল) দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত। ২ হাজার ৪০০ মিটার (৭,৯০০ ফুট) পর্যন্ত এর উচ্চতা রয়েছে।
উদ্ধারকারীরা তুষারপাত, বরফে ঢাকা রাস্তা এবং হিমশীতল তাপমাত্রার সঙ্গে লড়াই করছে। এমন আবহাওয়া কমপক্ষে আরও তিন দিন অব্যাহত থাকবে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: চীনের পশ্চিমাঞ্চলে ৭.১ মাত্রার ভূমিকম্প
চীনের অনেক অংশে ভারী তুষারপাত হচ্ছে, যা পরিবহন ব্যবস্থায় ব্যাঘাত সৃষ্টি করছে এবং জীবনকে বিপন্ন করছে।
উদ্ধারকারীরা গত সপ্তাহে উত্তর-পশ্চিম চীনের একটি প্রত্যন্ত স্কিইং এলাকা থেকে পর্যটকদের সরিয়ে নিয়েছিল। কারণ ভারী তুষারপাতের কারণে এক সপ্তাহ ধরে এক হাজারেরও বেশি লোক আটকা পড়েছিল। সীমান্তের কাছে জিনজিয়াং অঞ্চলের আলতাই প্রদেশের একটি গ্রামে তুষারধসের কারণে মঙ্গোলিয়া, রাশিয়া ও কাজাখস্তানের সঙ্গে চীনের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়।
বৃষ্টি বা অনিরাপদ নির্মাণ কাজের কারণে ভূমিধসের ঘটনা চীনে অস্বাভাবিক কিছু নয়। গত বছর ভূমিধসে কমপক্ষে ৭০ জন নিহত হয়েছিল। এর মধ্যে ইনার মঙ্গোলিয়া অঞ্চলে একটি উন্মুক্ত খনিতে ৫০ জনেরও বেশি লোক নিহত হন। এছাড়া ২০২১ সালে নির্মাণাধীন একটি টানেল প্লাবিত হওয়ায় ১৪ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছিল।
গানসু ও কিংহাই প্রদেশের মধ্যবর্তী প্রত্যন্ত অঞ্চলে চীনের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে কয়েক বছরের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানার মাত্র এক মাস পর ইউনানে ভূমিধসের ঘটনা ঘটল। গত ১৮ ডিসেম্বর আঘাত হানা ৬ দশমিক ২ মাত্রার ভূমিকম্পে অন্তত ১৪৯ জন নিহত হয়, এতে ঘরবাড়ি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয় এবং ভারী ভূমিধসে কিংহাই প্রদেশের দুটি গ্রাম প্লাবিত হয়।
গত ৯ বছরের মধ্যে চীনে সবচেয়ে ভয়াবহ ভূমিকম্পে প্রায় এক হাজার মানুষ আহত এবং ১৪ হাজারেরও বেশি ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়েছে।
আরও পড়ুন: চীনের পাহাড়ি এলাকায় ভূমিধসে ৪৭ জনের মৃত্যু
চীনের পাহাড়ি এলাকায় ভূমিধসে ৪৭ জনের মৃত্যু
চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় পার্বত্য ইউনান প্রদেশে ভূমিধসে ৪৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। ঠান্ডা তাপমাত্রা ও তুষারপাতের কারণে আরও ২০০ জনকে নিরাপদে সরিয়ে নিয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ।
সোমবার (২২ জানুয়ারি) স্থানীয় সময় ভোর ৬টার কিছু আগে ইউনান প্রদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় লিয়াংশুই গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
ঝেনশিয়ং কাউন্টির প্রচার বিভাগ জানিয়েছে, ১৮টি আলাদা বাড়িতে চাপা পড়া হতাহতদের উদ্ধার তৎপরতা চলছে।
তবে এসব ক্ষেত্রে তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। ভূমিধসের কারণ তাৎক্ষণিকভাবে জানা না গেলেও ছবিতে দেখা গেছে যে তুষারপাত অব্যাহত রয়েছে।
আরও পড়ুন: শ্রীলঙ্কায় বন্যা ও ভূমিধসে ২১ হাজারের বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত
ভূমিধসের সময় ৩৫ বছর বয়সী লুও ডংমেই ঘুমিয়ে ছিলেন, কিন্তু তিনি বেঁচে যান এবং স্থানীয় কর্তৃপক্ষ তাকে একটি স্কুলে সরিয়ে নিয়েছে।
লুও ডংমেই বলেন, ‘আমি ঘুমিয়ে ছিলাম, কিন্তু আমার ভাই দরজায় কড়া নাড়ল এবং আমাকে জাগিয়ে তুলল। তারা বলেছিল যে সেখানে একটি ভূমিধস ছিল এবং বিছানাটি কাঁপছিল, তাই তারা দ্রুত উপরে উঠে আমাদের জাগিয়ে তোলে।’
তিনি বলেন, লুও, তার স্বামী এবং তাদের তিন সন্তানসহ আরও অনেক বাসিন্দাকে স্কুলে খাবার সরবরাহ করা হয়েছে তবে তারা এখনও ঠান্ডা আবহাওয়া মোকাবিলায় কম্বল এবং অন্যান্য সুরক্ষা সামগ্রীর জন্য অপেক্ষা করছেন।
লুও বলেন, ভূমিধসের স্থানের কাছাকাছি থাকা তার বোন ও খালার সঙ্গে তিনি যোগাযোগ করতে পারছেন না। ‘আমি এখন শুধু অপেক্ষা করতে পারি।’
আরও পড়ুন: চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে ভূমিধসে খনি শ্রমিক আবাসনে নিহত ১৯
উদ্ধারকারীরা গত সপ্তাহে উত্তর-পশ্চিম চীনের একটি প্রত্যন্ত স্কিইং এলাকা থেকে পর্যটকদের সরিয়ে নিয়েছিল। কারণ ভারী তুষারপাতের কারণে এক সপ্তাহ ধরে এক হাজারেরও বেশি লোক আটকা পড়েছিল। সীমান্তের কাছে জিনজিয়াং অঞ্চলের আলতাই প্রদেশের একটি গ্রামে তুষারধসের কারণে মঙ্গোলিয়া, রাশিয়া ও কাজাখস্তানের সঙ্গে চীনের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়।
বৃষ্টি বা অনিরাপদ নির্মাণ কাজের কারণে ভূমিধসের ঘটনা চীনে অস্বাভাবিক কিছু নয়। গত বছর ভূমিধসে কমপক্ষে ৭০ জন নিহত হয়েছিল। এর মধ্যে ইনার মঙ্গোলিয়া অঞ্চলে একটি উন্মুক্ত খনিতে ৫০ জনেরও বেশি লোক নিহত হন। এছাড়া ২০২১ সালে নির্মাণাধীন একটি টানেল প্লাবিত হওয়ায় ১৪ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছিল।
গানসু ও কিংহাই প্রদেশের মধ্যবর্তী প্রত্যন্ত অঞ্চলে চীনের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে কয়েক বছরের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানার মাত্র এক মাস পর ইউনানে ভূমিধসের ঘটনা ঘটল। গত ১৮ ডিসেম্বর আঘাত হানা ৬ দশমিক ২ মাত্রার ভূমিকম্পে অন্তত ১৪৯ জন নিহত হয়, এতে ঘরবাড়ি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয় এবং ভারী ভূমিধসে কিংহাই প্রদেশের দুটি গ্রাম প্লাবিত হয়।
গত ৯ বছরের মধ্যে চীনে সবচেয়ে ভয়াবহ ভূমিকম্পে প্রায় এক হাজার মানুষ আহত এবং ১৪ হাজারেরও বেশি ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়েছে।
আরও পড়ুন: ফিলিপাইনের দক্ষিণাঞ্চলে ভূমিধসে নিহত ৭, নিখোঁজ ১০
কলম্বিয়ায় ভূমিধসে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩৪
কলম্বিয়ার পশ্চিমাঞ্চলে ভূমিধসে শনিবার নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩৪ জনে দাঁড়িয়েছে।
শুক্রবার কুইবদো ও মেডেলিন শহরের সংযোগকারী পার্বত্য এলাকার একটি ব্যস্ত পৌর সড়কে ভূমিধসের ঘটনা ঘটে।
ন্যাশনাল ডিজাস্টার রিস্ক ম্যানেজমেন্ট ইউনিট প্রাথমিকভাবে বিবৃতিতে জানিয়েছে, অন্তত ১৮ জন নিহত হয়েছেন। সংস্থাটি আরও জানিয়েছে, অন্তত আহত ৩৫ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
চোকো গভর্নরের কার্যালয় থেকে নতুন মৃত্যুর সংখ্যা জানানো হয়েছে, যেখানে অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযান সমন্বয়ের জন্য একটি সমন্বিত কমান্ড পোস্ট তৈরি করা হয়েছে। বিবৃতিতে তারা জানিয়েছে, ১৭টি লাশ শনাক্ত করা হয়েছে এবং কর্মকর্তারা আরও ১৭ জনকে শনাক্ত করার চেষ্টা করছেন।
প্রসিকিউটর অফিস নিহতের সংখ্যা নিশ্চিত করেছে।
আরও পড়ুন: ভারতের শিমলায় ভূমিধসে ২১ জনের মৃত্যু: মুখ্যমন্ত্রী সুখু
এর আগে কলম্বিয়ার ভাইস প্রেসিডেন্ট ফ্রান্সিয়া মার্কেজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে বলেন, ভূমিধসে আটকা পড়াদের খোঁজে তল্লাশি অব্যাহত রয়েছে।
হতাহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজন শিশু রয়েছে বলে তিনি জানান। তবে তিনি কোনো সংখ্যা উল্লেখ করেননি।
কী কারণে ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে তা নির্দিষ্ট করে জানায়নি রিস্ক ম্যানেজমেন্ট ইউনিট। তবে শুক্রবার রাতে প্রতিরক্ষা বিভাগ জানিয়েছে, ওই এলাকায় বৃষ্টি হচ্ছে। যার ফলে উদ্ধার কাজ পরিচালনা কঠিন হয়ে পড়েছে।
প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেট্রো শুক্রবার এক্সে বলেন, তার সরকার এই 'ভয়াবহ ট্র্যাজেডিতে' প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহায়তা দেবে।
আরও পড়ুন: ভারতের উত্তরাখণ্ডে ভূমিধসে ৫ তীর্থযাত্রী নিহত
ভারতে ভূমিধসে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৭
ভারতের শিমলায় ভূমিধসে ২১ জনের মৃত্যু: মুখ্যমন্ত্রী সুখু
ভারতের হিমাচল প্রদেশের শিমলায় ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে সৃষ্ট ভূমিধসে সোমবার (১৪ আগস্ট) সকাল পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এরমধ্যে শিমলার সামার হিল এলাকায় শিবমন্দির ধসে পড়ে ৯ জন নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া মন্দিরের ধ্বংসাবশেষের নিচে বেশ কয়েকজন আটকে পড়েছেন বলে ভারতীয় গণমাধ্যম এএনআইয়ের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হতাহতের ঘটনায় হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুখু শোক প্রকাশ করেছেন।
তিনি বলেন, সামার হিল এলাকায় ধসে পড়া মন্দিরের ধ্বংসাবশেষের নিচে আটকে পড়া লোকদের উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।
এক টুইটে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এখন পর্যন্ত ৯ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন এখনও আটকে পড়া ব্যক্তিদের উদ্ধারের চেষ্টা করছে।’
রাজ্যের মন্ত্রী বিক্রমাদিত্য সিং ও মুখ্যমন্ত্রী সুখু ধসে পড়া শিবমন্দির পরিদর্শন করেছেন।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এখনো ২০-২৫ জন মানুষ ধ্বংসাবশেষের নিচে আটকে আছে। ভারী বৃষ্টির কারণে রাজ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় মোট ২১ জন মারা গেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি মানুষকে বাড়িতে থাকার জন্য এবং নদী ও ভূমিধসপ্রবণ এলাকার কাছাকাছি না যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছি। বৃষ্টি থামার সঙ্গে সঙ্গে উদ্ধারাভিযান শুরু হবে।’
আরও পড়ুন: ভারতের উত্তরাখণ্ডে ভূমিধসে ৫ তীর্থযাত্রী নিহত
এর আগে শিমলার পুলিশ সুপার (এসপি) সঞ্জীব কুমার গান্ধী বলেন, ‘ধসে পড়া মাটি মন্দিরের ওপর পড়ে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। আশেপাশের ভবনগুলোও হুমকিতে রয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘বেশ কিছু মানুষ আটকে পড়েছে। আমরা বিস্তারিত তথ্যের জন্য অপেক্ষা করছি।’
এসডিআরএফ, এনডিআরএফ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা আটকে পড়া মানুষদের উদ্ধারে অভিযান চালাতে ঘটনাস্থলে উপস্থিত রয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী সুখু বলেন, ‘আমি মান্ডিতে আমার পূর্বনির্ধারিত অনুষ্ঠান বাতিল করেছি। ১৫ আগস্ট স্বাধীনতা দিবসের কর্মসূচি যথারীতি চলবে, তবে আমাদের অগ্রাধিকার হলো (দুর্ঘটনাকবলিতদের) জীবন বাঁচানো।’
রাজ্যের মন্ত্রী বিক্রমাদিত্য সিং জানান, সামার হিলে মন্দিরের ধ্বংসাবশেষ থেকে কয়েকজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
সিং বলেন, ‘এখনও ১০-১৫ জন ধ্বংসাবশেষের নিচে চাপা পড়ে আছে। আটকে পড়া মানুষদের নিরাপদে উদ্ধারের জন্য প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে রাজ্যের মান্ডি জেলায় ১২-১৫ জন মারা গেছে।
এর আগে, সাব ডিভিশনাল ম্যাজিস্ট্রেট (এসডিএম) কান্দাঘাট সিদ্ধার্থ আচার্য জানান, রাজ্যের সোলান জেলার কান্দাঘাট মহকুমার জাদন গ্রামে আকস্মিক ভারী বৃষ্টিতে সাতজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় দুটি ঘর ও একটি গোয়ালঘর ভেসে গেছে।
মুখ্যমন্ত্রী সুখু নিহতের ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন এবং কর্তৃপক্ষকে সমস্ত সম্ভাব্য সাহায্য- সহায়তা নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ভারতে সেতু নির্মাণে ব্যবহৃত ক্রেন ধসে ১৬ শ্রমিক নিহত
সুখু পৃথক টুইটে বলেন, ‘সোলান জেলার কান্দাঘাট মহকুমার জাদন গ্রামে আকস্মিক ভারী বৃষ্টিতে সাতটি মূল্যবান প্রাণ ঝড়ে যাওয়ায় গভীর মর্মাহত। আমি শোকাহত পরিবারগুলোর প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছি। এই কঠিন সময়ে আমরা আপনাদের পাশে আছি।’
তিনি আরও লিখেছেন, ‘ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে সব ধরনের সাহায্য-সহায়তা করতে কর্তৃপক্ষকে আমরা নির্দেশ দিয়েছি।’
হিমাচল প্রদেশে গত ২৪ ঘণ্টা ধরে অবিরাম বর্ষণের ফলে ভূমিধস হয়েছে।
শিমলা-চণ্ডিগড় সড়কসহ বেশ কয়েকটি সড়ক প্লাবিত হওয়ায় যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে।
মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে শিক্ষাসচিব ১৪ আগস্ট সব সরকারি-বেসরকারি স্কুল-কলেজ বন্ধ রাখার প্রজ্ঞাপন জারি করেছেন।
মুখ্যসচিব ও স্বরাষ্ট্র সচিবের পাশাপাশি সমস্ত জেলা কালেক্টরকে দুর্যোগ পরিস্থিতির উপর কড়া নজর রাখার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
তিনি বলেন, প্রশাসনিক কর্মীদের সতর্ক থাকতে হবে এবং রাস্তা, বিদ্যুৎ ও পানির সুষ্ঠু ব্যবস্থা বজায় রাখতে হবে।
আরও পড়ুন: ভারতে ভূমিধসে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৭
ভারতের উত্তরাখণ্ডে ভূমিধসে ৫ তীর্থযাত্রী নিহত
ভারতের উত্তরাখণ্ডে ভূমিধসের ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়ে পাঁচ তীর্থযাত্রী নিহত হয়েছেন। শনিবার (১২ আগস্ট) পুলিশ এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
পুলিশ জানিয়েছে, দেরাদুন থেকে প্রায় ২৩০ কিলোমিটার পূর্বে রুদ্রপ্রয়াগ জেলায় ভূমিধসের ধ্বংসস্তূপে নিহতদের বহনকারী গাড়িটি চাপা পড়ে।
তারা আরও জানায়, হতাহতরা কেদারনাথ মন্দিরে যাচ্ছিলেন। নিহতদের মধ্যে তিনজন ভারতের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য গুজরাটের বাসিন্দা এবং বাকি দুজন হরিদ্বারের বাসিন্দা বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন: হাওয়াইয়ের মাউই দ্বীপে দাবানলে ৫৩ জনের মৃত্যু: গভর্নর
পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার রাতে গাড়িটি ভূমিধসের কবলে পড়ে থাকতে পারে বলে তাদের ধারণা।
খবরে বলা হয়েছে, দুর্ঘটনার খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই স্টেট ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্স (এসডিআরএফ) উদ্ধার অভিযান শুরু করেছে। তবে প্রবল বর্ষণে ওই এলাকায় উদ্ধার প্রচেষ্টা ব্যাহত হচ্ছে।
চলতি মাসের গোড়ার দিকে গৌরীকুণ্ডে ব্যাপক ভূমিধস হয়।
কর্মকর্তাদের মতে, ওই ভূমিধসে এখনো ১৬ জন নিখোঁজ রয়েছেন।
আরও পড়ুন: চলতি বছর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে দাবদাহে ১৪৭ জনের মৃত্যু
পাকিস্তানে ট্রেন লাইনচ্যুত হয়ে নিহত ৩০, আহত ৬০
বান্দরবানে ভূমিধসে মা-মেয়েসহ নিহত ৩
বান্দরবান জেলায় সোমবার ও মঙ্গলবার ভূমিধসে মা ও মেয়েসহ তিনজন নিহত ও আহত হয়েছেন আরও ৬ জন।
বান্দরবানের জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন জানান, সকালে লামা উপজেলার কুমারীতে বাড়ির ওপর মাটির টুকরো ধসে নুরুল ইসলাম (৩৫) নিহত ও ৬ জন আহত হয়েছেন।
আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাদের মধ্যে চারজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে বন্যার পানিতে ডুবে কলেজছাত্রীর মৃত্যু
এদিকে সোমবার বিকালে জেলার সদর উপজেলার গোদাপাড়ায় ভূমিধসে নুরুন্নাহার (৩৫) ও তার মেয়ে সাবেকুন্নাহার(১২) নিহত হয়েছেন।
গত কয়েকদিন ধরে টানা বৃষ্টিতে ভূমিধসের কারণে আরও প্রাণহানির আশঙ্কা করেছে স্থানীয় প্রশাসন।
এছাড়া টানা বৃষ্টিতে সব সড়ক পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় গত কয়েকদিন ধরে দেশের অন্যান্য অঞ্চলের সঙ্গে বান্দরবান জেলার সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে।
বন্যা পরিস্থিতির মধ্যে একটি বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সোমবার থেকে জেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।
আরও পড়ুন: বান্দরবানে বন্যায় ৩০ হাজার মানুষ পানিবন্দি
জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন আরও বলেন, জেলা শহরের দুই-তৃতীয়াংশ অংশ প্লাবিত হওয়ায় ইতোমধ্যেই ২৬৫টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে, এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন প্রায় ৩০০ মানুষ।
ইতোমধ্যে দুর্গতদের জন্য ৮৫ মেট্রিক টন খাদ্য ও এক লাখ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে এবং ৪৩টি মেডিকেল টিম বন্যা কবলিত এলাকায় কাজ করছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম ও বান্দরবানে বন্যা-ভূমিধস মোকাবিলায় সেনা মোতায়েন
চট্টগ্রাম ও বান্দরবানে বন্যা-ভূমিধস মোকাবিলায় সেনা মোতায়েন
বন্যা পরিস্থিতি ও ভূমিধস মোকাবিলায় চট্টগ্রাম ও বান্দরবান জেলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) ইন্টার-সার্ভিস পাবলিক রিলেশনস (আইএসপিআর) অনুসারে, বেসামরিক প্রশাসনের অনুরোধের ভিত্তিতে সেনা বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে।
এদিকে, গত কয়েকদিনের অবিরাম বর্ষণে দুই জেলার প্রায় ৫ লাখ মানুষ ভয়াবহ পরিস্থিতি রয়েছেন।
বান্দরবান জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, বালাঘাটা, ফজর আলী পাড়া, চেয়ারম্যান পাড়া, পুলিশ লাইনস এলাকা, ছাইগ্যা মহাজন পাড়া, উদ্যানপালন এলাকা, লালমিয়ার চর এলাকা, হাফেজঘোনা, আর্মিপাড়া, কাশেম পাড়া, স্টেডিয়াম ও কেচিং পাড়া এলাকার বাসিন্দারা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: বান্দরবানে বন্যায় ৩০ হাজার মানুষ পানিবন্দি
প্রবল বন্যার কারণে রবিবার মধ্যরাত থেকে শহরের নিচু এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বিঘ্নিত হয়।
এছাড়া বান্দরবান থেকে রাঙ্গামাটি, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের বিভিন্ন পয়েন্টে সড়ক বন্যার পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
ফলে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাসমূহের জন্য প্রয়োজনীয় সহায়তা সেবা মারাত্মকভাবে বাধাগ্রস্ত হয়েছে।
বান্দরবানের জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন জানান, ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তার জন্য ইতোমধ্যে ২৬৫টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বান্দরবানে ভারি বর্ষণে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত, সতর্ক করতে মাইকিং
৫ ঘণ্টা পর বান্দরবান-থানচির যোগাযোগ স্বাভাবিক
ভারতে ভূমিধসে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৭
ভারতের মহারাষ্ট্রের একটি গ্রামে চার দিন আগের ভূমিধসে ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৭ জনে পৌঁছেছে। রবিবার (২৩ জুলাই) স্থানীয় কর্তৃপক্ষ এ তথ্য জানিয়েছে।
জানা যায়, এ দুর্ঘটনায় এখনও প্রায় ৮০ জন নিখোঁজ রয়েছে। ধ্বংসস্তূপের নিচে অনেকের চাপা পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
তবে দুর্গম ভূখণ্ডের কারণে উদ্ধার প্রচেষ্টা ব্যাহত হয়েছে। এখনও অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযান ধীরগতিতে এগোচ্ছে।
সরকারি সূত্রের বরাত দিয়ে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস জানিয়েছে, গ্রামে বসবাসকারী ২২৯ জনের মধ্যে ১৫১ জন নানাভাবে ভূমিধসের শিকার হয়েছেন। তাদের মধ্যে ২৭ জন প্রাণ হারিয়েছেন এবং ৮ জন আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
আরও পড়ুন: ভারতের উত্তরাঞ্চলে রেকর্ড বৃষ্টিপাতে শতাধিক মৃত্যু
ভারতের পশ্চিমবঙ্গে পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভোট চলাকালীন সহিংসতায় নিহত ৯
ভারতে ট্রেন দুর্ঘটনায় ২৯০ জনের বেশি নিহতের ঘটনায় ৩ রেল কর্মকর্তা গ্রেপ্তার
চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে ভূমিধসে খনি শ্রমিক আবাসনে নিহত ১৯
দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে একটি খনির কোম্পানীর কর্মী আবাসিকে ভূমিধসে ১৯ জন নিহত হয়েছে।
রবিবার ভোরে এই বিপর্যয় ঘটে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
বিপর্যয়টি সিচুয়ান প্রদেশের লেশান কাউন্টির একটি পাহাড়ী গ্রামীণ জেলায় কয়েক সপ্তাহ ধরে অবিরাম বৃষ্টিপাত হওয়ার কারণে ভূমিধস হয়।
রবিবার বিকালে উদ্ধার অভিযানা চালিয়ে ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়াদের খুঁজে বের করতে ১৮০ জনেরও বেশি লোককে একত্রিত করা হয়েছিল।
রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারকার সংস্থা সিসিটিভির মতে, নিহতরা সবাই জিনকাইয়ুয়ান মাইনিং কোম্পানির কর্মী।
আরও পড়ুন: ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিধসে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২১
আর্দ্র, বৃষ্টির আবহাওয়াসহ, দক্ষিণ-পশ্চিম চীন ভূমিধস প্রবণ এলাকা। বিশেষ করে এমন এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে যেখানে কৃষিকাজ, বন উজাড়, প্রকৌশল প্রকল্প এবং খনির কাজের কারণে বৃহৎ আকারে মাটি সরানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: ইকুয়েডরে ভূমিধসে নিহত ৭, নিখোঁজ অনেকে
ঘূর্ণিঝড় মোখা: সিলেটে ঝুঁকিপূর্ণ বাসিন্দাদের নিরাপদে সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশনা
ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে ভারি বর্ষণ ও ভূমিধসের আশঙ্কায় পাহাড় ও টিলার পাদদেশে বসবাসকারীদের আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছে সিলেট জেলা প্রশাসন। শনিবার (১৩ মে) বিকালে এক দাপ্তরিক আদেশে জেলার সব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।
জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমান জানান, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সেইসঙ্গে সিলেটের পাহাড় ও টিলার পাদদেশ এবং নদীর তীরবর্তী ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে বসবাসকারীদেরকে অন্যত্র সরে যেতে বলা হয়েছে। জনগণের মধ্যে সচেতনতা তৈরির লক্ষ্যে মাইকিং করে জরুরি নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখা’র প্রভাবে শনিবার (১৩ মে) সন্ধ্যা থেকে পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সিলেট জেলায় ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে। অতিভারী বৃষ্টিপাতের প্রভাবে পাহাড় ও টিলার পাদদেশে নদীর তীরবর্তী স্থানে ভূমিধস হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে বসবাসকারী লোকদের জানমালের ক্ষয়ক্ষতিরোধে জরুরি ভিত্তিতে তাদের আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নিতে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় মোখা লাইভ অনুসরণ করবেন যেভাবে
ঘূর্ণিঝড় মোখা: উপকূলবাসীদের পাশে দাঁড়াতে নেতাকর্মীদের আহ্বান বিএনপির