ডিআইজি
অতিরিক্ত আইজি হিসেবে পদোন্নতি পেলেন ৬ ডিআইজি
উপমহাপরিদর্শক পদমর্যাদার ৬ কর্মকর্তাকে অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক পদে পদোন্নতি দিয়ে তাদের নতুন পদায়ন করেছে সরকার।
বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) আকরাম হোসেন, আবু নাসের মোহাম্মদ খালেদ ও মোসলেহ উদ্দিন আহমেদকে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক (এআইজি), গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার খন্দকার রফিকুল ইসলামকে স্পেশাল ব্রাঞ্চের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক, পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের ডিআইজি মোস্তফা কামাল ও শিল্প পুলিশের ডিআইজি মো. সিবগাতুল্লাহকে নিজ নিজ কর্মস্থলে রেখেই অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক হিসেবে পদোন্নতি দেওয়া হয়।
শিগগিরই এ আদেশ কার্যকর হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
আরও পড়ুন: গণঅভ্যুত্থানে হত্যা, ৪ পুলিশ কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তারের অনুমোদন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের
৩ সপ্তাহ আগে
পুলিশের কাছে সব প্রার্থীই সমান: ডিআইজি আনোয়ার
আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের সব প্রার্থীই পুলিশের কাছে সমান এবং কোনো ধরনের পক্ষপাতিত্ব করা হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন পুলিশের উপমহাপরিদর্শক (অপারেশন) মো. আনোয়ার হোসেন।
শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) পুলিশের সদর দপ্তরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘পুলিশের কাছে সব প্রার্থী সমান। প্রচার-প্রচারণার ক্ষেত্রে সব প্রার্থী যেন সমান সুযোগ পান সে নির্দেশনা দেওয়া আছে।’
তিনি আরও বলেন, নির্বাচনের সময়ে সারা দেশে ১ লাখ ৮৯ হাজার পুলিশ সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন। এর পাশাপাশি মোবাইল টিম, স্ট্রাইকিং টিম ও ম্যাজিস্ট্রেটের সঙ্গেও তারা দায়িত্ব পালন করবেন।
ডিআইজি আনোয়ার বলেন, ‘অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান চলমান। কোথাও এধরনের ঘটনা ঘটলেই তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, মামলাও হচ্ছে। কোথাও কোথাও অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারও করা হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘নির্বাচনকালীন পরিস্থিতি রক্ষা করাই আমাদের দায়িত্ব। নির্বাচন কমিশনের আদেশ অনুযায়ী পুলিশ কর্মকর্তাদের বদলি এবং কাউকে কাউকে প্রত্যাহারও করা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: পুলিশ সবসময় সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ায়: আইজিপি
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন: ৬৩৬ পুলিশ সদস্যের বদলি অনুমোদন
১০ মাস আগে
ময়মনসিংহের অতিরিক্ত ডিআইজিকে সাময়িক বরখাস্ত
ময়মনসিংহ রেঞ্জের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ মহাপরিদর্শক (প্রশাসন ও অর্থ) মো. এনামুল কবিরকে বিভিন্ন অভিযোগে বিভাগীয় তদন্তের জন্য সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
সোমবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
আরও পড়ুন: সিলেটে কলেজছাত্রকে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর অভিযোগ, ৩ পুলিশ সদস্য বরখাস্ত
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এনামুলের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গ, শিষ্টাচারহীনতা ইত্যাদির অভিযোগ রয়েছে। জনস্বার্থে তাকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা প্রয়োজনীয় ও উপযুক্ত বলে বিবেচিত হয়েছে।
পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত তাকে সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি অফিসে সংযুক্ত করা হয়েছে।
আরও পুড়ুন: চট্টগ্রামে পথশিশুকে মারধরের অভিযোগে কনস্টেবল বরখাস্ত
১ বছর আগে
ডিআইজি প্রিজন বজলুর রশিদের ৫ বছরের কারাদণ্ড বহাল
অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় কারা অধিদপ্তর থেকে সাময়িক বরখাস্ত ডিআইজি প্রিজন বজলুর রশীদের পাঁচ বছরের সাজা বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট।
রবিবার (১৮ জুন) বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন। দুদকের আইনজীবী খুরশিদ আলম খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: দুর্নীতি মামলায় বরখাস্ত ডিআইজি বজলুর রশীদের পাঁচ বছরের কারাদণ্ড
দুদকের আইনজীবী খুরশিদ আলম খান বলেন, হাইকোর্ট বজলুর রশিদের আপিল খারিজ করেছেন। এর ফলে তার ৫ বছরের সাজা বহাল রয়েছে।
গত বছরের ২৩ অক্টোবর জ্ঞাত আয়ের বাইরে তিন কোটি টাকার বেশি সম্পদ অর্জনের অভিযোগে কারা কর্তৃপক্ষ থেকে বরখাস্ত হওয়া উপ-কারা মহাপরিদর্শক (ডিআইজি-প্রিজন) বজলুর রশিদকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত।
এছাড়া তাকে পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত।
ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক মো. ইকবাল হোসেন এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার পর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
সেই থেকেই বজলুর রশিদ এখনও কারাগারেই আছেন।
গত বছরের ২ নভেম্বর বজলুর রশিদ পাঁচ বছরের কারাদণ্ড থেকে খালাস চেয়ে হাইকোর্টে আপিল করেন। ৩ নভেম্বর খালাস চেয়ে আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন হাইকোর্ট।
রবিবার শুনানি গ্রহণ শেষে হাইকোর্ট তার আপিল খারিজ করে রায় দেন।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ২০ অক্টোবর সকাল ১০টায় বজলুর রশীদ ও তার স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকে দুদক। জিজ্ঞাসাবাদের পর তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ওই দিনই দুদকের উপপরিচালক মো. সালাউদ্দিন বাদী হয়ে বজলুর রশীদের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন।
মামলায় তিন কোটি ১৪ লাখ ৩৫ হাজার ৯০২ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়।
আরও পড়ুন: খালাস চেয়ে ডিআইজি প্রিজন বজলুর রশিদের আপিল
দণ্ডপ্রাপ্ত ডিআইজি প্রিজন বজলুর রশিদের হাইকোর্টে জামিন
১ বছর আগে
দণ্ডপ্রাপ্ত ডিআইজি প্রিজন বজলুর রশিদের হাইকোর্টে জামিন
জ্ঞাত আয়ের বাইরে তিন কোটি আট লাখ টাকার সম্পদ থাকার অভিযোগে দায়ের করা একটি মামলায় কারারক্ষী বাহিনীর বরখাস্ত হওয়া উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) বজলুর রশীদকে আগামী ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।
একই সঙ্গে তার দণ্ডের বিরুদ্ধে করা আপিলের ওপর ৩০ এপ্রিল শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: জেসমিনকে উঠিয়ে নেওয়ার ব্যাপারে র্যাবের জুরিসডিকশন নিয়ে প্রশ্ন হাইকোর্টের
বুধবার (৫ এপ্রিল) বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আদালতে বজলুর রশিদের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার হুমায়ন কবির পল্লব ও আইনজীবী মাসহুদুল হক।
বজলুর রশিদের বিরুদ্ধে দুদক জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের দায়ে মামলা করে ২০১৯ সালের ২০ অক্টোবর। ওই দিনই তাকে ও তার স্ত্রী রাজ্জাকুন নাহারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকেছিল সংস্থাটি। জিজ্ঞাসাবাদ চলাকালেই মামলা করা হয় এবং বজলুর রশিদকে গ্রেপ্তার করা হয়। দুদক গ্রেপ্তারের পর বজলুর রশিদকে সাময়িক বরখাস্ত করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
এছাড়া ২০২০ সালের ২৬ আগস্ট মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক মো. নাসির উদ্দীন বজলুর রশীদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়, ঢাকার সিদ্ধেশ্বরী রোডে প্রায় তিন হাজার বর্গফুট আয়তনের একটি ফ্ল্যাট কিনতে বজলুর রশীদ তিন কোটি আট লাখ টাকা পরিশোধ করেন। এ টাকা তার জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ নয়। সপক্ষে কোনো বৈধ উৎসও দেখাতে পারেননি তিনি। ফ্ল্যাট কেনার কোনো তথ্য তিনি আয়কর নথিতেও দেখাননি।
২০২০ সালের ২২ অক্টোবর মামলায় বজলুর রশীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত।
এছাড়া ২০২০ সালের ২৯ অক্টোবর জামিন পান তিনি।
বিচার শেষে গত বছরের ২৩ অক্টোবর এ মামলায় বজলুর রশিদকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত। এছাড়া তাকে পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত।
ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক মো. ইকবাল হোসেন এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার পর তাকে ফের কারাগারে পাঠানো হয়।
গত বছরের ২ নভেম্বর বজলুর রশীদ পাঁচ বছরের কারাদণ্ড থেকে খালাস চেয়ে আপিল করেন। পাশাপাশি জামিনের আবেদন করেন তিনি।
গত বছরের ৩ নভেম্বর খালাস চেয়ে করা আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন হাইকোর্ট। আর বুধবার তার জামিন শুনানি করে হাইকোর্ট তাকে জামিন দেন।
তার আইনজীবী ব্যারিস্টার পল্লব জানিয়েছেন, এ মামলায় জামিন পাওয়ায় তারা কারামুক্তিতে কোনো বাধা নেই।
আরও পড়ুন: রকেটের গতিতে মামলা তদন্ত: সেই কর্মকর্তাকে বরখাস্তের নির্দেশ হাইকোর্টের
ময়মনসিংহের সেই শিশুকে ১৩ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র কিনে দেওয়ার নির্দেশ হাইকোর্টের
১ বছর আগে
আরও ২ ডিআইজি বাধ্যতামূলক অবসরে
অতিরিক্ত উপ-মহাপরিদর্শক পদমর্যাদার দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে।
সোমবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীন জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খান সাক্ষরিত এ সংক্রান্ত পৃথক প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তি অনুসারে,পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি (অপরাধ তদন্ত বিভাগ) মো. আলমগীর আলম এবং ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি মো. মাহবুব হাকিমকে পাবলিক সার্ভিস অ্যাক্ট-২০১৮ এর ৪৫ ধারা অনুযায়ী বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: অতিরিক্ত ডিআইজি হলেন ৪৩ কর্মকর্তা
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে,‘জনস্বার্থে’ অবিলম্বে আদেশটি কার্যকর হবে।
এর আগে গত ১৮ অক্টোবর পুলিশ সুপার (এসপি) পদমর্যাদার তিন পুলিশ কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়।
তারা হলেন- পুলিশ সদর দপ্তরের এসপি(টিআর) মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ চৌধুরী, অপরাধ তদন্ত বিভাগের(সিআইডি) বিশেষ সুপার (এসএস) মো. দেলোয়ার হোসেন মিয়া ও মির্জা আবদুল্লাহেল বাকী।
আরও পড়ুন: দুর্নীতি মামলায় বরখাস্ত ডিআইজি বজলুর রশীদের পাঁচ বছরের কারাদণ্ড
সাবেক ডিআইজি মিজানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা ৬ মাসের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ হাইকোর্টের
২ বছর আগে
দুর্নীতি মামলায় বরখাস্ত ডিআইজি বজলুর রশীদের পাঁচ বছরের কারাদণ্ড
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় কারা অধিদপ্তরের সাময়িক বরখাস্ত উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি, প্রিজন) বজলুর রশীদের পাঁচ বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
রবিবার ঢাকা বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক মো. ইকবাল হোসেন এ রায় ঘোষণা করেন।
এছাড়াও তাকে পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। যা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আদালত তার জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: বহিষ্কৃত ডিআইজি প্রিজন বজলুর রশীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন
শনিবার উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক শেষে রায় দেয়ার জন্য রবিবার দিন ধার্য করেন আদালত।
দুদক ২০১৯ সালের ২০ অক্টোবর বরখাস্ত ডিআইজি ও তার স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করে এবং তিন কোটি ১৪ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের পর একই দিনে তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
দুদকের উপ-পরিচালক মো. নাসির উদ্দিন ২০২০ সালের ২৬ আগস্ট সাবেক ডিআইজির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেন। ২২ অক্টোবর বজলুর রশীদের বিরুদ্ধে মামলার রায় ঘোষণা করেন আদালত।
আরও পড়ুন: বহিষ্কৃত ডিআইজি প্রিজন বজলুর রশীদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গ্রহণ
২ বছর আগে
অতিরিক্ত ডিআইজি হলেন ৪৩ কর্মকর্তা
পুলিশ সুপার (এসপি) পদমর্যাদার ৪৩ জন কর্মকর্তাকে উপপুলিশ মহাপরিদর্শক (অতিরিক্ত ডিআইজি) হিসেবে পদোন্নতি দিয়েছে সরকার।
মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ এ সংক্রান্ত উপসচিব ধনঞ্জয় কুমার দাস স্বাক্ষরিত জারিকৃত গেজেট প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানিয়েছে।
তাদের যোগদানের তারিখ থেকে এ আদেশ কার্যকর হবে।
আরও পড়ুন: জনগণের কল্যাণে কাজ করুন: পদোন্নতিপ্রাপ্ত ডিআইজিদের আইজিপি
২ বছর আগে
জনগণের কল্যাণে কাজ করুন: পদোন্নতিপ্রাপ্ত ডিআইজিদের আইজিপি
পুলিশের মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ সদ্য পদোন্নতিপ্রাপ্ত পাওয়া উপমহাপরিদর্শকদের (ডিআইজি) জনগণের কল্যাণে নিরলসভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
রবিবার পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের হল অব প্রাইডে নতুন ডিআইজিদের র্যাংক ব্যাচ পরিধান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ আহ্বান জানান আইজিপি।
এসময় আইজিপি বলেন, ‘বাংলাদেশ পুলিশ আপনাদের অনেক দিয়েছে। এখন ফেরত দেয়ার পালা। আপনারা দেশ, জনগণ ও পুলিশ বাহিনীর জন্য কাজ করবেন।’
তিনি পদোন্নতিপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও তাদের পরিবারের সদস্যদের আন্তরিক অভিনন্দন জানান।
অতিরিক্ত আইজি (এএন্ডআই) মো.মঈনুর রহমান চৌধুরী, সিআইডি প্রধান (অতিরিক্ত আইজি) ব্যারিস্টার মাহবুবুর রহমান এবং পদোন্নতিপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের মধ্যে মো. মোজাম্মেল হক ও সৈয়দ নুরুল ইসলাম বক্তব্য রাখেন।
এসময় অতিরিক্ত আইজিসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সদ্য পদোন্নতিপ্রাপ্ত ডিআইজিরা তাদের দায়িত্ব পালনে যেকোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের অঙ্গীকার করেন।
অনুষ্ঠানে পদোন্নতিপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের স্ত্রীরাও উপস্থিত ছিলেন।
সরকার সম্প্রতি ৩২ অতিরিক্ত ডিআইজিকে ডিআইজি পদে পদোন্নতি দিয়েছে।
আরও পড়ুন: পুলিশের ৭ ডিআইজিকে এআইজিপি পদে পদোন্নতি
সিএমপি কমিশনার ও রেঞ্জ ডিআইজিসহ ৭ পুলিশ কর্মকর্তাকে বদলি
২ বছর আগে
ডিআইজি মিজানের হাইকোর্টে জামিন
ঘুষ লেনদেনের মামলায় তিন বছরের দণ্ডপ্রাপ্ত পুলিশের বরখাস্তকৃত উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমানকে ২ মাসের জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। তার আবেদনের শুনানি করে বুধবার বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। তবে অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় এখনও জামিন না পাওয়ায় তার কারামুক্তি মিলছে না বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী ব্যারিস্টার মাহবুব শফিক। আদালতে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী খুরশিদ আলম খান।
এর আগে গত ৪ এপ্রিল বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল দায়ের করেন ডিআইজি মিজানুর রহমান। তার আপিল গত ৬ এপ্রিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন হাইকোর্ট। ওই আপিলের সঙ্গে করা জামিন আবেদনের ওপর বুধবার শুনানি নিয়ে তাকে জামিন দেন হাইকোর্ট। তবে এ জামিনের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আপিল করা হবে বলে জানিয়েছেন দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।
এর আগে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম এ মামলার রায় দেন। রায়ে ঘুষ লেনদেনের অভিযোগে মিজানকে দণ্ডবিধির ১৬১ ধারায় ও এ মামলার প্রধান আসামি খন্দকার এনামুল বাছিরকে দণ্ডবিধির ১৬৫(এ) ধারায় তিন বছর করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়। এছাড়া অর্থপাচার প্রতিরোধ আইনের ৪ ধারায় বাছিরকে পাঁচ বছর কারাদণ্ড ও ৮০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। কিন্তু অর্থ পাচারের অভিযোগ থেকে মিজানুর রহমানকে খালাস দেয়া হয়। পরে গত ১০ এপ্রিল অর্থ পাচারের অভিযোগে তার সাজা চেয়ে হাইকোর্টে দুদক আপিল করে। এছাড়া গত ৬ এপ্রিল এনামুল বাছিরও তার দণ্ড থেকে খালাস চেয়ে হাইকোর্টে আপিল করেন যা শুনানির জন্য গ্রহণ করেছেন হাইকোর্টের একই বেঞ্চ।
আরও পড়ুন: দুদক মামলায় সম্রাটের জামিন নামঞ্জুর, মুক্তি মিলছে না
২০১৯ সালের ৯ জুন একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলে প্রচারিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, ডিআইজি মিজানের বিরুদ্ধে পরিচালিত দুর্নীতির অনুসন্ধান থেকে দায়মুক্তি পেতে দুদক পরিচালক বাছিরকে ৪০ লাখ টাকা ঘুষ দিয়েছিলেন ডিআইজি মিজান। ঘুষ লেনদেন সংক্রান্ত কথোপকথন রেকর্ড করে ওই চ্যানেলকে দিয়েছিলেন মিজান। ডিআইজি মিজানও এ বিষয়ে নিজেই গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দেন। অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলা থেকে বাঁচতে ওই অর্থ ঘুষ দেন বলে ডিআইজি মিজান দাবি করেন।
এ প্রতিবেদন প্রচারিত হওয়ার পর দুদক সংস্থার সচিব মুহাম্মদ দিলোয়ার বখতকে প্রধান করে তিন সদস্যের উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করে। কমিটি ২০১৯ সালের ১০ জুন প্রতিবেদন জমা দেয়। প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে পরিচালক বাছিরকে দুদকের তথ্য অবৈধভাবে পাচার, চাকরির শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও সর্বোপরি অসদাচরণের অভিযোগে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করে কমিশন।
এরপর ২০১৯ সালের ১৬ জুলাই দুদক পরিচালক ও অনুসন্ধান টিমের দলনেতা শেখ মো. ফানাফিল্লাহ মানি লন্ডারিং আইনে সংস্থার ঢাকা-১ সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মামলাটি দায়ের করেন। একই বছর ২২ জুলাই এনামুল বাছিরকে গ্রেপ্তার করে দুদকের একটি দল। সেই থেকে তিনি কারাগারে। অপরদিকে দুর্নীতির মামলায় গ্রেপ্তার ডিআইজি মিজানকে এ মামলায়ও গ্রেপ্তার করা হয়। গত বছরের ২৩ ডিসেম্বর মামলাটিতে সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়। পরে ২৩ ফেব্রুয়ারি বিচারিক আদালত রায় দেন।
আরও পড়ুন: জামিন পেলেন বিএনপি নেতা ইশরাক
মাদক মামলায়ও জামিন পেলেন সম্রাট
২ বছর আগে