ডিআইজি
নিষিদ্ধ সংগঠনের কর্মকাণ্ড চলবে না: ডিআইজি রেজাউল করিম
নিষিদ্ধঘোষিত কোনো সংগঠন যদি জনগণের নিরাপত্তায় বিঘ্ন ঘটানোর চেষ্টা করে, তাহলে তাদের দমন করার সক্ষমতা পুলিশের রয়েছে বলে মন্তব্য করেন ঢাকা রেঞ্জের উপ-মহাপুলিশ পরিদর্শক (ডিআইজি) রেজাউল করিম মল্লিক।
তিনি বলেন, ‘আমার অধীনে এসপি-ওসিদের নির্দেশ দিচ্ছি, নিষিদ্ধঘোষিত কোনো সংগঠনের কর্মকান্ড আপনার এলাকায় চলবে না। বৈষ্যম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যারা দমন-পীড়ন করেছে, যাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে, মামলার তদন্তে যারা দোষী, যারা দোসর হিসেবে পরিচিত, তাদের গ্রেপ্তার করতে হবে।’
রবিবার (১১ মে) বেলা সোয়া ১১ টার দিকে রাজধানীর সেগুনবাগিচার ঢাকা রেঞ্জ কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। এসময় রেঞ্জের অন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
গেল সরকারের আমলে কিছু পুলিশ সদস্যের বিতর্কিত ভূমিকার কথা উল্লেখ করে দেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বাহিনীকে ঘুরে দাঁড়াতে সহায়তা করায় তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
আরও পড়ুন: যমুনা ও সচিবালয় এলাকায় সভা-সমাবেশ ও গণজমায়েত নিষিদ্ধ
ডিআইজি বলেন, ‘ঢাকা রেঞ্জের প্রত্যেকটি থানা হবে ভুক্তভোগীদের প্রথম ভরসাস্থল। রেঞ্জের আওতাধীন ১৩টি জেলার ৯৮টি থানার মানুষ যেকোনো সমস্যা নিয়ে আমার কাছে আসতে পারবেন। তাছাড়া ঢাকা রেঞ্জের যেকোনো অপরাধের তথ্য পাওয়ার পাশাপাশি জনগণকে সহায়তা দিতে ‘টক টু ডিআইজি’ নামে একটি মোবাইল অ্যাপও চালু করা হবে। এতে ঘরে বসেই মানুষ সেবা নিতে পারবেন।’
তিনি আরও জানান, ‘ঘুষ-বদলি কারবারসহ কোনো ধরনের অন্যায়-অবিচার ও দুর্নীতিকে তার রেঞ্জে প্রশ্রয় দেওয়া হবে না। এ ছাড়া বৈষ্যম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে দমনপীড়নকারী; যাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে এবং মামলার তদন্তে যারা দোষী, তাদেরকে দোসরসহ গ্রেপ্তার করতে হবে।’
ডিআইজি রেজাউল বলেন, ‘সাধারণ মানুষ যেন সুবিচার পান, সেটি সেটি নিশ্চিত করা হবে। এমনকি ঢাকা রেঞ্জের কোনো পুলিশ সদস্য যদি কোনো ধরনের অনৈতিক ও অপেশাদার কর্মকাণ্ডের সাথে যুক্ত হন—তাদেরকেও বিন্দুমাত্র ছাড় দেওয়া হবে না।’
তিনি জানান, ‘প্রতিটি জিডি, অভিযোগ ও মামলা সুনিপুণভাবে মনিটরিং করবে দক্ষ একটি টিম। এ ছাড়া ঢাকা রেঞ্জের আওতাধীন ৯৮টি থানায় সিসিটিভি সংবলিত মনিটরিং সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনাকে ফেরাতে ইন্টারপোলের মাধ্যমে চেষ্টা চলছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
মনিটরিং সেন্টারগুলোতে তিনি সরাসরি জনগণের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন বলেও জানান। এ সময় ঢাকা রেঞ্জের প্রতিটি থানাকে বাংলাদেশ পুলিশের রোল মডেল থানা হিসেবে গড়ে তোলার আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
গণঅভ্যুত্থানে দায়ের করা মামলাগুলো নিবিড়ভাবে মনিটরিংয়র জন্য ডিআইজি অফিসে একটি বিশেষ মনিটরিং সেল খোলা হবে বলেও জানিয়েছেন নবনিযুক্ত এই ডিআইজি। থানাগুলোর কাজ সঠিকভাবে পরিচালনার জন্য তিনি ঢাকা রেঞ্জের সাধারণ জনগণকে পাশে থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।
২০৭ দিন আগে
অতিরিক্ত মহাপরিদর্শকসহ পুলিশের ৮২ কর্মকর্তাকে ওএসডি
এক অতিরিক্ত মহাপরিদর্শকসহ (আইজিপি) পুলিশের ৮২ কর্মকর্তাকে (বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) ওএসডি করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পৃথক তিনটি প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।
ওএসডি হওয়া পুলিশ কর্মকর্তাদের মধ্যে অতিরিক্ত আইজিপি আবদুল আলীম মাহমুদ এবং ১৩ উপ-পুলিশ মহাপরিদর্শক (ডিআইজি), ৪৯ জন অতিরিক্ত ডিআইজি এবং ১৯ জন পুলিশ সুপার পদের কর্মকর্তা রয়েছেন। তবে ওএসডির কারণ সম্পর্কে প্রজ্ঞাপনে কিছু বলা হয়নি।
প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, বিসিএস (পুলিশ) ক্যাডারের নিম্নবর্ণিত কর্মকর্তাদের জননিরাপত্তা বিভাগ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) হিসেবে বদলি/পদায়ন করা হলো। জনস্বার্থে জারিকৃত এ আদেশ অবিলম্বে কার্যক্রর করা হবে বলেও প্রজ্ঞাপনে উল্লোখ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সূত্র জানিয়েছে, এই ৮২ জন কর্মকর্তা ২০১৮ সালের বিতর্কিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করেন।
২৮২ দিন আগে
বাধ্যতামূলক অবসরে পুলিশের চার ডিআইজি
উপমহাপুলিশ পরিদর্শক (ডিআইজি) পদের চার কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে। রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ।
জনস্বার্থে জারীকৃত এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে প্রজ্ঞাপনে৷ এতে সই করেন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি।
আরও পড়ুন: সাবেক অতিরিক্ত ডিআইজি মশিউর রহমান বরখাস্ত
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বিসিএস (পুলিশ) ক্যাডারের এসব সদস্যদের সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ (২০১৮ সালের ৫৭ নং আইন) এর ৪৫ ধারার বিধান অনুযায়ী জনস্বার্থে সরকারি চাকরি থেকে অবসর প্রদান করা হলো। তারা বিধি অনুযায়ী অবসরজনিত সুবিধাদি প্রাপ্য হবেন।
অবসরে পাঠানো কর্মকর্তারা হলেন, হাইওয়ে পুলিশের ডিআইজি আমেনা বেগম, পুলিশের এন্টি টেরিরিজম ইউনিটের ডিআইজি নিশারুল আরিফ, নৌপুলিশের ডিআইজি আব্দুল কুদ্দুস আমিন এবং হাইওয়ে পুলিশের ডিআইজি আজাদ মিয়া
২৮৪ দিন আগে
অতিরিক্ত আইজি হিসেবে পদোন্নতি পেলেন ৬ ডিআইজি
উপমহাপরিদর্শক পদমর্যাদার ৬ কর্মকর্তাকে অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক পদে পদোন্নতি দিয়ে তাদের নতুন পদায়ন করেছে সরকার।
বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) আকরাম হোসেন, আবু নাসের মোহাম্মদ খালেদ ও মোসলেহ উদ্দিন আহমেদকে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক (এআইজি), গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার খন্দকার রফিকুল ইসলামকে স্পেশাল ব্রাঞ্চের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক, পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের ডিআইজি মোস্তফা কামাল ও শিল্প পুলিশের ডিআইজি মো. সিবগাতুল্লাহকে নিজ নিজ কর্মস্থলে রেখেই অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক হিসেবে পদোন্নতি দেওয়া হয়।
শিগগিরই এ আদেশ কার্যকর হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
আরও পড়ুন: গণঅভ্যুত্থানে হত্যা, ৪ পুলিশ কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তারের অনুমোদন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের
৪০৫ দিন আগে
পুলিশের কাছে সব প্রার্থীই সমান: ডিআইজি আনোয়ার
আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের সব প্রার্থীই পুলিশের কাছে সমান এবং কোনো ধরনের পক্ষপাতিত্ব করা হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন পুলিশের উপমহাপরিদর্শক (অপারেশন) মো. আনোয়ার হোসেন।
শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) পুলিশের সদর দপ্তরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘পুলিশের কাছে সব প্রার্থী সমান। প্রচার-প্রচারণার ক্ষেত্রে সব প্রার্থী যেন সমান সুযোগ পান সে নির্দেশনা দেওয়া আছে।’
তিনি আরও বলেন, নির্বাচনের সময়ে সারা দেশে ১ লাখ ৮৯ হাজার পুলিশ সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন। এর পাশাপাশি মোবাইল টিম, স্ট্রাইকিং টিম ও ম্যাজিস্ট্রেটের সঙ্গেও তারা দায়িত্ব পালন করবেন।
ডিআইজি আনোয়ার বলেন, ‘অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান চলমান। কোথাও এধরনের ঘটনা ঘটলেই তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, মামলাও হচ্ছে। কোথাও কোথাও অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারও করা হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘নির্বাচনকালীন পরিস্থিতি রক্ষা করাই আমাদের দায়িত্ব। নির্বাচন কমিশনের আদেশ অনুযায়ী পুলিশ কর্মকর্তাদের বদলি এবং কাউকে কাউকে প্রত্যাহারও করা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: পুলিশ সবসময় সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ায়: আইজিপি
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন: ৬৩৬ পুলিশ সদস্যের বদলি অনুমোদন
৭০৫ দিন আগে
ময়মনসিংহের অতিরিক্ত ডিআইজিকে সাময়িক বরখাস্ত
ময়মনসিংহ রেঞ্জের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ মহাপরিদর্শক (প্রশাসন ও অর্থ) মো. এনামুল কবিরকে বিভিন্ন অভিযোগে বিভাগীয় তদন্তের জন্য সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
সোমবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
আরও পড়ুন: সিলেটে কলেজছাত্রকে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর অভিযোগ, ৩ পুলিশ সদস্য বরখাস্ত
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এনামুলের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গ, শিষ্টাচারহীনতা ইত্যাদির অভিযোগ রয়েছে। জনস্বার্থে তাকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা প্রয়োজনীয় ও উপযুক্ত বলে বিবেচিত হয়েছে।
পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত তাকে সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি অফিসে সংযুক্ত করা হয়েছে।
আরও পুড়ুন: চট্টগ্রামে পথশিশুকে মারধরের অভিযোগে কনস্টেবল বরখাস্ত
৮৯৯ দিন আগে
ডিআইজি প্রিজন বজলুর রশিদের ৫ বছরের কারাদণ্ড বহাল
অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় কারা অধিদপ্তর থেকে সাময়িক বরখাস্ত ডিআইজি প্রিজন বজলুর রশীদের পাঁচ বছরের সাজা বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট।
রবিবার (১৮ জুন) বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন। দুদকের আইনজীবী খুরশিদ আলম খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: দুর্নীতি মামলায় বরখাস্ত ডিআইজি বজলুর রশীদের পাঁচ বছরের কারাদণ্ড
দুদকের আইনজীবী খুরশিদ আলম খান বলেন, হাইকোর্ট বজলুর রশিদের আপিল খারিজ করেছেন। এর ফলে তার ৫ বছরের সাজা বহাল রয়েছে।
গত বছরের ২৩ অক্টোবর জ্ঞাত আয়ের বাইরে তিন কোটি টাকার বেশি সম্পদ অর্জনের অভিযোগে কারা কর্তৃপক্ষ থেকে বরখাস্ত হওয়া উপ-কারা মহাপরিদর্শক (ডিআইজি-প্রিজন) বজলুর রশিদকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত।
এছাড়া তাকে পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত।
ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক মো. ইকবাল হোসেন এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার পর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
সেই থেকেই বজলুর রশিদ এখনও কারাগারেই আছেন।
গত বছরের ২ নভেম্বর বজলুর রশিদ পাঁচ বছরের কারাদণ্ড থেকে খালাস চেয়ে হাইকোর্টে আপিল করেন। ৩ নভেম্বর খালাস চেয়ে আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন হাইকোর্ট।
রবিবার শুনানি গ্রহণ শেষে হাইকোর্ট তার আপিল খারিজ করে রায় দেন।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ২০ অক্টোবর সকাল ১০টায় বজলুর রশীদ ও তার স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকে দুদক। জিজ্ঞাসাবাদের পর তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ওই দিনই দুদকের উপপরিচালক মো. সালাউদ্দিন বাদী হয়ে বজলুর রশীদের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন।
মামলায় তিন কোটি ১৪ লাখ ৩৫ হাজার ৯০২ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়।
আরও পড়ুন: খালাস চেয়ে ডিআইজি প্রিজন বজলুর রশিদের আপিল
দণ্ডপ্রাপ্ত ডিআইজি প্রিজন বজলুর রশিদের হাইকোর্টে জামিন
৯০০ দিন আগে
দণ্ডপ্রাপ্ত ডিআইজি প্রিজন বজলুর রশিদের হাইকোর্টে জামিন
জ্ঞাত আয়ের বাইরে তিন কোটি আট লাখ টাকার সম্পদ থাকার অভিযোগে দায়ের করা একটি মামলায় কারারক্ষী বাহিনীর বরখাস্ত হওয়া উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) বজলুর রশীদকে আগামী ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।
একই সঙ্গে তার দণ্ডের বিরুদ্ধে করা আপিলের ওপর ৩০ এপ্রিল শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: জেসমিনকে উঠিয়ে নেওয়ার ব্যাপারে র্যাবের জুরিসডিকশন নিয়ে প্রশ্ন হাইকোর্টের
বুধবার (৫ এপ্রিল) বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আদালতে বজলুর রশিদের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার হুমায়ন কবির পল্লব ও আইনজীবী মাসহুদুল হক।
বজলুর রশিদের বিরুদ্ধে দুদক জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের দায়ে মামলা করে ২০১৯ সালের ২০ অক্টোবর। ওই দিনই তাকে ও তার স্ত্রী রাজ্জাকুন নাহারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকেছিল সংস্থাটি। জিজ্ঞাসাবাদ চলাকালেই মামলা করা হয় এবং বজলুর রশিদকে গ্রেপ্তার করা হয়। দুদক গ্রেপ্তারের পর বজলুর রশিদকে সাময়িক বরখাস্ত করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
এছাড়া ২০২০ সালের ২৬ আগস্ট মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক মো. নাসির উদ্দীন বজলুর রশীদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়, ঢাকার সিদ্ধেশ্বরী রোডে প্রায় তিন হাজার বর্গফুট আয়তনের একটি ফ্ল্যাট কিনতে বজলুর রশীদ তিন কোটি আট লাখ টাকা পরিশোধ করেন। এ টাকা তার জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ নয়। সপক্ষে কোনো বৈধ উৎসও দেখাতে পারেননি তিনি। ফ্ল্যাট কেনার কোনো তথ্য তিনি আয়কর নথিতেও দেখাননি।
২০২০ সালের ২২ অক্টোবর মামলায় বজলুর রশীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত।
এছাড়া ২০২০ সালের ২৯ অক্টোবর জামিন পান তিনি।
বিচার শেষে গত বছরের ২৩ অক্টোবর এ মামলায় বজলুর রশিদকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত। এছাড়া তাকে পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত।
ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক মো. ইকবাল হোসেন এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার পর তাকে ফের কারাগারে পাঠানো হয়।
গত বছরের ২ নভেম্বর বজলুর রশীদ পাঁচ বছরের কারাদণ্ড থেকে খালাস চেয়ে আপিল করেন। পাশাপাশি জামিনের আবেদন করেন তিনি।
গত বছরের ৩ নভেম্বর খালাস চেয়ে করা আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন হাইকোর্ট। আর বুধবার তার জামিন শুনানি করে হাইকোর্ট তাকে জামিন দেন।
তার আইনজীবী ব্যারিস্টার পল্লব জানিয়েছেন, এ মামলায় জামিন পাওয়ায় তারা কারামুক্তিতে কোনো বাধা নেই।
আরও পড়ুন: রকেটের গতিতে মামলা তদন্ত: সেই কর্মকর্তাকে বরখাস্তের নির্দেশ হাইকোর্টের
ময়মনসিংহের সেই শিশুকে ১৩ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র কিনে দেওয়ার নির্দেশ হাইকোর্টের
৯৭৪ দিন আগে
আরও ২ ডিআইজি বাধ্যতামূলক অবসরে
অতিরিক্ত উপ-মহাপরিদর্শক পদমর্যাদার দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে।
সোমবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীন জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খান সাক্ষরিত এ সংক্রান্ত পৃথক প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তি অনুসারে,পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি (অপরাধ তদন্ত বিভাগ) মো. আলমগীর আলম এবং ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি মো. মাহবুব হাকিমকে পাবলিক সার্ভিস অ্যাক্ট-২০১৮ এর ৪৫ ধারা অনুযায়ী বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: অতিরিক্ত ডিআইজি হলেন ৪৩ কর্মকর্তা
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে,‘জনস্বার্থে’ অবিলম্বে আদেশটি কার্যকর হবে।
এর আগে গত ১৮ অক্টোবর পুলিশ সুপার (এসপি) পদমর্যাদার তিন পুলিশ কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়।
তারা হলেন- পুলিশ সদর দপ্তরের এসপি(টিআর) মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ চৌধুরী, অপরাধ তদন্ত বিভাগের(সিআইডি) বিশেষ সুপার (এসএস) মো. দেলোয়ার হোসেন মিয়া ও মির্জা আবদুল্লাহেল বাকী।
আরও পড়ুন: দুর্নীতি মামলায় বরখাস্ত ডিআইজি বজলুর রশীদের পাঁচ বছরের কারাদণ্ড
সাবেক ডিআইজি মিজানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা ৬ মাসের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ হাইকোর্টের
১১৩০ দিন আগে
দুর্নীতি মামলায় বরখাস্ত ডিআইজি বজলুর রশীদের পাঁচ বছরের কারাদণ্ড
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় কারা অধিদপ্তরের সাময়িক বরখাস্ত উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি, প্রিজন) বজলুর রশীদের পাঁচ বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
রবিবার ঢাকা বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক মো. ইকবাল হোসেন এ রায় ঘোষণা করেন।
এছাড়াও তাকে পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। যা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আদালত তার জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: বহিষ্কৃত ডিআইজি প্রিজন বজলুর রশীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন
শনিবার উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক শেষে রায় দেয়ার জন্য রবিবার দিন ধার্য করেন আদালত।
দুদক ২০১৯ সালের ২০ অক্টোবর বরখাস্ত ডিআইজি ও তার স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করে এবং তিন কোটি ১৪ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের পর একই দিনে তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
দুদকের উপ-পরিচালক মো. নাসির উদ্দিন ২০২০ সালের ২৬ আগস্ট সাবেক ডিআইজির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেন। ২২ অক্টোবর বজলুর রশীদের বিরুদ্ধে মামলার রায় ঘোষণা করেন আদালত।
আরও পড়ুন: বহিষ্কৃত ডিআইজি প্রিজন বজলুর রশীদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গ্রহণ
১১৩৮ দিন আগে